নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইকেল চালানো স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ইহা ক্ষুধা উদ্রেক করে!

হঠাৎ ধুমকেতু

আমি মহিউদ্দিন খালেদ। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পড়তে ভালোবাসি। নিজের একটা চিন্তা জগত আছে। সেখানে চারপাশের অনেক কিছু নিয়ে অনেক নিঃশব্দ আলোচনা হয়! সেই আলোচনা গুলোর সাথে বৃহত্তর জগতের সংযোগ ঘটাতে ইচ্ছে করে!

হঠাৎ ধুমকেতু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘটনাচক্রে দেশ-প্রেমিক, আরেকটা সতর্ক সংকেত!

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:২১

আমাদের দেশে এমন মানুষের সংখ্যা নিশ্চয় কম নয় যারা নিজের সন্মান এবং দেশের সন্মান কে এক করে দেখেন। নিজের সন্মান এবং দেশের সন্মান কে এক করে দেখা কখন সম্ভব?আমার মতে,আপনি যেভাবে বাঁচতে চান সেভাবে বাঁচার জন্য আপনি যদি পৃথিবীর মানচিত্রে আপনার দেশের অভ্যুদয় কে অবশ্যম্ভাবী বলে মনে করেন কেবলমাত্র সেক্ষেত্রেই আপনি নিজের সন্মান এবং দেশের সন্মান কে এক করে দেখতে পারবেন। আপনার মনের কোন কোনে যদি একটু হলেও এই ভাবনা উঁকি দেয়, যে দেশ স্বাধীন না হলেও আমি ভাল থাকতে পারতাম তাহলে বুঝতে হবে দেশ এবং আপনার স্বত্বার মধ্যে দেয়াল আছে এবং দেশ ভাল না থাকলেও নিজে ভাল থাকার ক্ষমতা আপনার আছে।

দুর্ভাগ্যজনক কিন্তু সত্য হল, আমাদের দেশে এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয় যারা মনে করে দেশ স্বাধীন না হলেও আমি ভাল থাকতে পারতাম! সেই বিশাল সংখ্যক মানুষের স্বত্বা এবং দেশের সত্ত্বার মধ্যে দেয়াল আছে এবং দেশ ভাল না থাকলেও তারা নিজেকে ভাল রাখতে সক্ষম।

যে দূ’শ্রেনির কথা উপরে বলা হচ্ছে সেই দূ শ্রেণিই এক জায়গায় এক। দূ শ্রেণিই চায় নিজেকে ভাল রাখতে। বলা বাহুল্য প্রথম শ্রেণির ভাল থাকার অপরিহার্য্য শর্ত হল দেশ ভাল থাকা। এটাও বলা বাহুল্য যে দ্বিতীয় শ্রেণির ভাল থাকার অপরিহার্য্য শর্ত দেশ ভাল থাকা নয়।

‘দেশ ভাল না থাকলেও একটা শ্রেণি নিজেকে ভাল রাখতে পারে’ এই ব্যাপার টা শুনতে অত ভয়াবহ না শোনালেও ব্যাপার টা আসলে ভয়াবহ। কারন এই শ্রেনির নিজের ভাল থাকা যেহেতু দেশের ভাল থাকার উপর নির্ভর করে না কাজেই এই শ্রেণি নিজে ভাল থাকার প্রয়োজনে দেশের ক্ষতি করতে সব সময় প্রস্তুত!

যারা স্পষ্টতই স্বাধীনতা বিরোধী তাদের কে আমি এই আলোচনার বাইরে রেখেছি কারন একেবারে নির্বোধ ছাড়া আর কারো মনে এদের নিয়ে কোন ধোঁয়াশা থাকা সম্ভব না। স্পষ্টত স্বাধীনতা বিরোধী যারা তাদের কথা বাদ দিলে আমাদের দেশের মানুষ কে উপরে উল্লিখিত দুটা শ্রেণিতে ভাগ করা যায় বলে আমি বিশ্বাস করি।

দ্বিতীয় শ্রেণির মানুষ যারা তাদের একটা অংশের আচরণ দেখলে মনে হবে এরা অত্যন্ত দেশ অন্তঃপ্রান। কিন্তু একটু গভীরে গিয়ে খেয়াল করলে দেখা যাবে এদের দেশ প্রেম পুরোপুরি পরিস্থিতি নির্ভর। কিছু কিছু ঘটনা ঘটে যখন দেশপ্রেম এর মার্কেট ভ্যালু বেড়ে যায়!

বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশ কে ষড়যন্ত্র করে( পরিসংখ্যানের নিয়মে একই ম্যাচে তিনটা ভুল সিদ্ধান্ত একটা দলের বিপক্ষে যেতে পারে না। যারা বলে বাংলাদেশ আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তজনিত দূর্ভাগ্যের স্বীকার তারা হয় জ্ঞানপাপী অথবা গর্দভ) হারিয়ে দেয়া হল। যেসব ঘটনা ঘটলে দেশপ্রেমের মার্কেট ভ্যালু বেড়ে যায় এই ঘটনাটা সেসব ঘটনার একটা আদর্শ উদাহরণ হতে পারে। যেহেতু দ্বিতীয় শ্রেণির মানুষের কাছে দেশপ্রেম একটা পণ্য ছাড়া আর আর কিছু নয় সেহেতু তাদের মধ্যে যারা চালাক চতুর তারা সাথে সাথে এই সুযোগ টা লুফে নিল। তারা সোশাল মিডিয়াতে দেদারসে ভারতীয় পণ্য বর্জন, মিডিয়া বর্জন, বন্ধু বান্ধব বর্জন ইত্যাদি বলে দেশপ্রেম বিক্রি করা শুরু করল। বলা বাহুল্য তাদের এ ‘লোক দেখানো বর্জন’ চড়ুইপাখির সঙ্গম কালের মত ক্ষণস্থায়ী। কারন দুদিন পরে যখন দেখবে এই সাময়িক দেশপ্রেম বিক্রির মুনাফা টুকু সে পেয়ে গেছে এবং এটা পাবলিক আর খাচ্ছেনা তখন সে ‘ধুৎ শালা’ বলে অন্য ব্যবসায় মন দেবে এবং সাময়িক বর্জননীতি জনিত ক্ষতি’র জন্য মনে মনে আফসোস করবে।

দেশের সত্যিকারের উন্নতির জন্য প্রথম শ্রেণির মানুষের সংখ্যা শুধু বৃদ্ধি পাওয়া জরুরী নয়। তাদের প্রভাবশালী হওয়া ও জরুরী। কারন দ্বিতীয় শ্রেণি যেহেতু সব কিছুকেই পণ্য বানাতে পারে এবং তাদের কোন সততা নেই কাজেই অর্থ এবং ক্ষমতা উপার্জনে তারা এগিয়ে যায় এবং তারাই প্রভাবশালী হয়। প্রথম শ্রেণির মানুষ কে অবৈধ পয়সা এবং ক্ষমতা উপার্জনে বাধা দেয় বিবেক। কাজেই প্রথম শ্রেণির মানুষ দের শেষ পরিণতি হয় প্রভাবহীন এবং অভিমানী। অস্তিত্বের লড়াইয়ে হেরে গিয়ে প্রথম শ্রেণির কোন মানুষ হয়ত কখনো দ্বিতীয় শ্রেণির কোন মানব গোষ্ঠীর কাছে আত্নসমর্পণ ও করে!

দেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের এই আলোচনার বাইরে রাখতে চাইলেও অঙ্কের নিয়মে তারা আলোচনার ভেতরে চলে আসতেছে। ধরা যাক এরা তৃতীয় শ্রেণি। দ্বিতীয় শ্রেণি হল আমাদের দেশের মানব দ্রবণের সবচেয়ে ভাল দ্রাবক যা তৃতীয় শ্রেণি নামক এই দ্রব কে অক্ষত আকারে দ্রবীভূত করে রাখতে পারে। কাজেই দ্বিতীয় শ্রেণি যতদিন প্রভাব শালী থাকছে ততদিন তৃতীয় শ্রেণির শক্তি বৃদ্ধি অক্ষুণ্ণ থাকছে। ‘ স্বাধীনতাবিরোধী তৃতীয় শ্রেণির শক্তি যে আমাদের দেশের স্বাধীনতা সার্ব-ভৌমত্বের ব্যস্তানুপাতিক’ এটা বোঝার জন্য নিউটন হবার দরকার নাই।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১৫

অতঃপর তন্ময় বলেছেন: আমি কোন শ্রেনীর প্রাণী তা এখন অবধি জানলাম না- চেষ্টা করলাম আপনার দেয়া শ্রেণীগুলোর মধ্যে নিজেকে যেকোন একটার সাথে খাপ খাওয়াতে- হলোনা।
আমি কি তবে??

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:২২

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: আমি মূলত এই তিনটা শ্রেনি ই খুঁজে পেয়েছি। আপনার কাছে যদি মনে হয় এছাড়াও আরো শ্রেনি সম্ভব তাহলে সেটা প্রকাশ করলে খুশি হব। ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২৮

তপ্ত সীসা বলেছেন: ++

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৪

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ সীসা ভাই।

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:২৯

বিলোয় বলেছেন: পুরাটাই মাথার উপর দিয়া গেল।

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৫

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: মাথার উপর দিয়ে যাওয়ার ব্যাপার টা আমার লেখক হিসাবে আমার সীমাবদ্ধতার কারনে হতে পারে। আবার পাঠক হিসাবে আপনার সীমাবদ্ধতার কারনেও হতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.