নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইকেল চালানো স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ইহা ক্ষুধা উদ্রেক করে!

হঠাৎ ধুমকেতু

আমি মহিউদ্দিন খালেদ। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পড়তে ভালোবাসি। নিজের একটা চিন্তা জগত আছে। সেখানে চারপাশের অনেক কিছু নিয়ে অনেক নিঃশব্দ আলোচনা হয়! সেই আলোচনা গুলোর সাথে বৃহত্তর জগতের সংযোগ ঘটাতে ইচ্ছে করে!

হঠাৎ ধুমকেতু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের জয়ের সমীকরণ

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:১১

গতকাল অফিস থেকে সারাটা পথ তুমুল উত্তেজনায় হাঁফাতে হাঁফাতে যখন বাসায় ফিরলাম তখন তামিম এবং মুশফিক ক্রিজে।দূশ উনচল্লিশ রান তাড়া করতে গিয়ে ত্রিশ ওভারেই বাংলাদেশের রান দুশোর কাছাকাছি এবং মাঠে উপস্থিত পাকিস্তানের এগার জন খেলোয়াড়ের শরীরের উপর দিয়ে বিষের ফোয়ারা হয়ে বইছে বাংলাদেশের জয়ের বাতাস। গ্যালারী তে দেখলাম মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন। তামিম মুশফিকের চারের সাথে শেখ হাসিনার মুখে ফুটছে হাসি। সেই হাসিতে মায়ের মমতা উপস্থিত। উজ্জীবিত বাংলাদেশের সামনে অসহায় পাকিস্তান- এই ‘প্রতীকি দৃশ্য’ শেখ হাসিনা গ্যালারীতে বসে মায়ের মমতা নিয়ে দেখছেন, এই ঘটনার মধ্যে আমি কোন ধরনের অসঙ্গতি দেখিনা। বরং বঙ্গবন্ধু কন্যা হিসেবে এই দৃশ্যে তাকেই যেন সর্বাধিক মানায়। বাংলাদেশের জয়ের পরে তিনি যেভাবে জাতীয় পতাকা দোলালেন সেটাও আমার সুন্দর লেগেছে। উনার পতাকা দোলানোর ভঙ্গিতে অর্জিত বিজয়ের গৌরব ছিল। অসুন্দর ঔদ্ধত্য ছিল না।গ্যালারিতে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর উপস্থিতি অবশ্যই বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য বড় অনুপ্রেরনা।আমাদের প্রধানমন্ত্রী ক্রীড়া-বান্ধব এটা নিঃসন্দেহে দেশের ক্রীড়া জগতের বড় প্রাপ্তি।আমি মনে করি ক্রিকেট খেলায় প্রধান মন্ত্রীর এই উৎসাহ প্রদান বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের জয়ে বড় ভুমিকা রাখতে পারে।



প্রধান মন্ত্রী শুধু ক্রীড়া-বান্ধব ই নন। অসহায় নারীদের প্রতি উনার মমতার পরিচয় ও আমরা পাই। নীমতলিতে দূদিন পরে কনে হতে যাওয়া মেয়েদের সর্বস্ব যখন আগুনে পুড়ে গিয়েছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তখন তাদের স্বাবলম্বী মায়ের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন এবং ঘটা করে তাদের বিয়ে দিয়েছিলেন।সেই মেয়েদের পুড়ে যাওয়া মনে যে পুস্পিত আলোর সঞ্চার তিনি সেদিন করেছিলেন সে আলো বংশ পরস্পরায় তাদের মনে থাকবে একথা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। এই ছোট্ট ঘটনাটা নিঃসন্দেহে উনার কোমল এবং মহৎ প্রানের পরিচয় দেয়। আমাদের প্রধান মন্ত্রী যে অসহায় নারীদের প্রতি সহানূভুতিশীল, এটা নিঃসন্দেহে আমাদের ভরসার জায়গা।আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রীর এই অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়ানো নিশ্চয় বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের জয়ে বড় ভুমিকা রাখতে পারে।



কিন্তু বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ কোনদিন ই জিতবে না, যদি পহেলা বৈশাখে নারী অবমাননাকারীদের বিচার না হয়। ক্রিকেটে আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিঅন হতে পারি, দেশের তাবৎ অসহায় নারীর ভরন পোষনের ব্যবস্থা করে সারা বিশ্বে মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারি,কিন্তু মানুষ হিসেবে আমরা কখনোই জিতব না যদি আমরা প্রকাশ্য রাজপথে নারী লাঞ্ছনার ঘটনার বিচার করতে না পারি। আমার ধারনা এই নিকৃষ্ট অপরাধীদের বিচার করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ কে জিতিয়ে দেবেন। তুচ্ছ কিছু কীটের কাছে হেরে গিয়ে তিনি বাংলাদেশ কে হারিয়ে দেবেন না। খেলার মাঠে তামিম মুশফিক তাসকীন কে নিশ্চয় তিনি অনুপ্রেরনা শুধু দেন ই নাই। আমার ধারনা তাদের থেকে কিছু অনুপ্রেরনা তিনি নিয়েও এসেছেন। সেই অনুপ্রেরনা কাজে লাগিয়ে ‘নপুংসক শিশ্নকীট’ দের বিচার করে তিনি বাংলাদেশ কে জিতিয়ে দেবেন। এই জয় যতদিন না আসছে ততদিন বাংলাদেশ জিতবে না।



আমার কথা যারা বিশ্বাস করছেন না তাদের জন্য নিচে একটা গানিতিক সমীকরন দিলাম। বিশ্বাস করুন, এই সমীকরন আবিস্কার করার জন্য লাইবনিৎস বা ফিবোনাচ্চি হওয়া লাগেনা। খুব সামান্য গনিত জানলে আর মনূষ্যত্ববোধ থাকলেই এই সমীকরণ আবিস্কার করা যায়!





বাংলাদেশের জয় = পহেলা বৈশাখে নারী লাঞ্ছনাকারীদের বিচার + পহেলা বৈশাখে নারী লাঞ্ছনাকারীদের বিচার(ক্রিকেটার দের প্রেরনা যোগানো + অসহায় নারীর পাশে দাঁড়ানো+)



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.