নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইকেল চালানো স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ইহা ক্ষুধা উদ্রেক করে!

হঠাৎ ধুমকেতু

আমি মহিউদ্দিন খালেদ। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পড়তে ভালোবাসি। নিজের একটা চিন্তা জগত আছে। সেখানে চারপাশের অনেক কিছু নিয়ে অনেক নিঃশব্দ আলোচনা হয়! সেই আলোচনা গুলোর সাথে বৃহত্তর জগতের সংযোগ ঘটাতে ইচ্ছে করে!

হঠাৎ ধুমকেতু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্ণো দার্শনিকের বাণী

১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:২১

সভ্যতার অগ্রগতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ সম্ভবত নারী এবং পুরুষের মধ্যে সুস্থ সম্পর্ক নির্মাণ যেখানে মানব জাতির এই দুই অর্ধাংশের মধ্যে সুস্পষ্ট যৌন আকর্ষণ বিদ্যমান। এই যৌন আকর্ষণ কে স্বীকার করে নিয়ে পরস্পর কে মানুষের মর্যাদা দিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ ভাবে নারীপুরূষের পাশাপাশি অবস্থান যতদিন পর্যন্ত নির্মাণ করা যাবেনা ততদিন আমরা অসভ্য থাকব।পোষাকে আশাকে ফিটফাট হলেও মানসিকতায় হব অসুস্থ কামস্রোতে ঘোলা দূর্গন্ধযুক্ত সদরঘাট।

পত্রিকায় যখন প্রমানিত এবং অপ্রমানিত ধর্ষণ হত্যার খবরগুলি পড়ি তখন আমার মনে একটা স্থির বিশ্বাস সব সময় কাজ করে- বেশিরভাগ মানসিক ভাবে অবিকশিত পুরুষের অবচেতনে প্রোথিত পর্ণোলব্ধ নারী বিষয়ক জ্ঞান তাকে নারী মাত্রেই ধর্ষণের উপযোগী মাংসপিন্ড ছাড়া আর কিছু বলে ভাবতে শেখায় না এবং সদ্যো যৌবন সমাগত কোন কিশোরী ঘুণাক্ষরেও হয়ত চিন্তা করতে পারেনা তার চারপাশের অধিকাংশ পুরুষ তাকে রক্তমাংসের মানুষ না ভেবে সুস্বাদু একটি যৌনসামগ্রী হিসেবেই ভাবছে। একমাত্র যৌনসত্ত্বা ছাড়া কিশোরীর বাকী মানব সত্ত্বার অস্থিত্ত্ব ও তাদের মনে বিন্দুমাত্র রেখাপাত করেনা।

সময় এসেছে এর কারণ অনুসন্ধানের। কারণ পুরুষের এই অসুস্থ মানসিকতা দূর না করে সম্ভব নয় নারী পুরুষের মধ্যে সুস্থ সম্পর্ক নির্মাণ। যে সুস্থ সম্পর্কের জোরে নারী পুরুষ উভয়ের স্বতঃস্ফুর্ত শিক্ষা লাভে বাঁধা থাকবেনা। চাকরি বা ব্যবসা করতে বাঁধা থাকবেনা। নিজ নিজ পছন্দের ক্ষেত্রে উভয়েই নিজ নিজ মেধা এবং কর্মশক্তির পূর্ণ বিকাশ ঘটিয়ে দেশ এবং পৃথিবীর উন্নয়নে গুরুত্ত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারবে।

প্রথমেই দেখা যাক সদ্য গোঁফের রেখা দেখা দেয়া কিশোর কে পর্ণোগ্রাফী নারী এবং যৌন জীবন সম্পর্কে কি ধারনা দেয়। এক কথায় বলতে গেলে পর্ণোগ্রাফি শেখায় নারী সে মা বোন কন্যা চাচী মামী ফুফু সহপাঠিনী, শিক্ষক, কলিগ, কাজের মেয়ে যাই হোক তার সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা যায় এবং যৌন সত্ত্বা বাদ দিয়ে মেয়েদের আর কোন সত্ত্বা নাই। নারীর একমাত্র পরিচয় সে একটা যৌন বস্তু এবং ছলে বলে কৌশলে তাকে ভোগ করাটাই ‘আদর্শ পুরুষের’ কাজ।

‘পর্ণো দার্শনিক’ দের দৃষ্টিতে যার লিঙ্গ যত মোটা সে তত আদর্শ পুরুষ এবং সিদ্ধিলাভের জন্য পুরুষের একমাত্র সাধনা হচ্ছে বীর্য ধারণ সাধনা যাতে সে যেকোন নারীর সাথে যতক্ষন ইচ্ছা ততক্ষণ সঙ্গম করতে পারে।

বলা বাহুল্য আমাদের সমাজে বিচরন করা বেশির ভাগ যুবা পুরুষ পর্ণো দার্শনিকের এই বানী তে বিশ্বাসী। বিশ্বাস না হয় বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্যের এক হাজার জন যুবা পুরুষের ইন্টার ভিউ নিন।প্রায় সবাই বলবে- ‘অন্য কাজে যেমন তেমন! কিন্তু ‘ঐ কাজে’ তার তুলনা মেলা ভার! অন্য সাইজে যেমন তেমন! কিন্তু ‘ঐ সাইজে’ তার তুলনা মেলা ভার!!’ পর্ণো দার্শনিক এই বানীও পাশাপাশি দিয়ে থাকেন যে অস্বাভাবিক যৌন ক্ষমতাই পৃথিবীর তাবৎ নারীর মন জয় করার একমাত্র উপায় এবং তোমার যদি সেইরকম সাইজ এবং ক্ষমতা না থাকে তাহলে আর কোন কিছু দিয়ে তুমি নারীর মন জয় করতে পারবে না। বলাবাহুল্য, পর্ণো দার্শনিকের এই বাণী মঘা ইউনানী , হার্বাল ইউনানী, স্বপ্নে পাওয়া গাছ প্রভুত ব্যবসায়ীদের পরোক্ষ ভাবে প্রচুর সহায়তা করে এবং এদের উচিৎ এদের একটা লভ্যাংশ পর্ণো দার্শনিক দের কাছে পৌঁছে দেয়া!

সুস্থ নারী পুরুষ নির্মাণ করতে চাইলে সুস্থ যৌন শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। বয়ো সন্ধিক্ষণে কিশোর দের যদি এই বার্তা দেয়া যায় যে যৌন ক্ষমতা টা আর দশটা সাধারণ ক্ষমতার মতই একেক জন মানুষের একেক রকম এবং সুস্থ সুন্দর সম্পর্ক নির্মাণের জন্য যার যেটুক ক্ষমতা সেটুক ই যথেষ্ট তাহলে উঠতি তরুণ রা ক্ষতিকর যৌন হীনমন্যতা থেকে রেহাই পায় এবং সার্বক্ষনিক যৌন চিন্তা থেকে তার মনটাও মুক্তি পায়। বয়ো সন্ধিক্ষণে যদি কিশোরদের এই বার্তা দেয়া যায় যে নারী এবং পুরুষ উভয়েই মেধা, ক্ষুধা, তৃষ্ণা, আবেগ, সুখবোধ ,বেদনাবোধ রসবোধ সম্পন্ন মানুষ এবং নারীর সাথে এই সব মাত্রা বাদ দিয়ে শুধুমাত্র যৌনমাত্রায় কোন সম্পর্ক আসলে হয় না। আমার ধারনা নারী পুরুষের সম্পর্ক নিয়ে সঠিক বিজ্ঞান সন্মত ধারনা পেলে পর্ণো দার্শনিক দের বানী গুলো তরুন মন এমনিতেই প্রত্যাখ্যান করবে এবং নারী পুরুষের সুস্থ সম্পর্ক তৈরি হবার মত পরিবেশ তৈরি হবে।

আর এ সম্পর্কে সঠিক ধারনা না দিয়ে শুধু পর্ণোগ্রাফি বন্ধ করে বেশি একটা লাভ হবে না। কারণ প্রকাশ্যে বন্ধ হলেও গোপনে এসব চলবে এবং ‘ পাড়ার যেসব বড় ভাই’ দের মাথায় এই বানী সমূহ দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে গেঁথে গেছে তারা ‘পাড়ার ছোট ভাই’ দের কাছে এই বাণী চা সিগারেট এবং গাঞ্জা সহযোগে পৌঁছে দেবে।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: এসব যৌনবাচালতায় আক্রান্ত শিশ্নমস্তকেরা পরিচর্যার অভাবে প্রেমিক থেকে ধর্ষক হয়ে যাচ্ছে।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২২

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: এটা খুব সিরিয়াস ইস্যু। সেদিন বাসে ঢাকা হয়ে খুলনা যাব। বাথ্রুমের দেয়ালে এক ছেলে শুদ্ধ ইংরেজিতে লিখে রেখেছে- আই হ্যাভ এ বিগ পেনিস, প্লিজ কন্টাক্ট। তার উপরেই ধ্বজ ভঙ্গের বিজ্ঞাপন। তরুণ রা হয় ভাবছে নিজেকে যৌন ভাবে অক্ষম বা অতি সক্ষম। সঠিক ধারনার অভাবে এটা হয় এবং মাথার মধ্যে এগুলাই খালি চুলকায়। নারী কে এই চুল্কানির বাইরে এসে তারা চিন্তা করতে পারেনা। এটা নিয়ে কাজ হওয়া উচিৎ।

২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: সময় এসেছে এই বিষয়ে আরো সচেষ্ট হওয়ার !

১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০০

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: হ্যাঁ। সময় বয়ে যাচ্ছে।

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:৪৪

মহাকাল333 বলেছেন: শিক্ষামূলক পোস্ট। সবার পড়া উচিত। আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে, যৌনতার ব্যাপারে তরুণ-তরুণীদের সচেতন করতে করার পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরে জন সচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন এবং পর্ণোগ্রাফী নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি পর্ণো নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর আইন প্রয়োগ করা উচিত। পোস্টে প্লাস।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:০৬

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ মহাকাল।

৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৪২

বাংলার আকাশ বলেছেন: বাবা ( ইয়াবা) বন্ধ করেন, ধর্ষণ কমে যাবে । আমারা ইন্টারনাশনাল চক্রানতের শিকার , দাদারা চায় আমরা শেষ হইয়া যাই ।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:০৭

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ভাই প্যাসিভ সাইকোলজি নিয়ে বসে থাকলে আজ বলবেন দাদার চক্রান্ত, কাল বলবেন নানার, পরশু বলবেন শ্বশুরের। আমাদের পাড়ার এক আপা প্রতি বছর মেট্রিক ফেল করার পর কখনো বোর্ড, কখনো ইনভেজিলেটর, কখনো এক্সামিনারের চক্রান্তের কথা বলত। এই মানসিকতা পরিবর্তন না হলে আজীবন ফেল মারবেন।

৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: যৌনশিক্ষা স্কুলকলেজে বাধ্যতামূলক করা উচিৎ| না হলে এর প্রতিরোধ, প্রতিকার কোনটাই হবে না

১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:০৮

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ রাখাল।

৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:১৬

বাংলার আকাশ বলেছেন: খুব ই মুল্লোবান কথা বলেছেন, একদম জাগতিক কথা । মুল কারন বের করে বানিজ্জ বনধ কারা থিক হবে না !

৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮

সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
‘পর্ণো দার্শনিক’ দের দৃষ্টিতে যার লিঙ্গ যত মোটা সে তত আদর্শ পুরুষ এবং সিদ্ধিলাভের জন্য পুরুষের একমাত্র সাধনা হচ্ছে বীর্য ধারণ সাধনা যাতে সে যেকোন নারীর সাথে যতক্ষন ইচ্ছা ততক্ষণ সঙ্গম করতে পারে।

মন্তব্য নিস্প্রয়োজন।

১৮ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১৭

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: মন্তব্য নিস্প্রয়োজন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.