নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইকেল চালানো স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ইহা ক্ষুধা উদ্রেক করে!

হঠাৎ ধুমকেতু

আমি মহিউদ্দিন খালেদ। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পড়তে ভালোবাসি। নিজের একটা চিন্তা জগত আছে। সেখানে চারপাশের অনেক কিছু নিয়ে অনেক নিঃশব্দ আলোচনা হয়! সেই আলোচনা গুলোর সাথে বৃহত্তর জগতের সংযোগ ঘটাতে ইচ্ছে করে!

হঠাৎ ধুমকেতু › বিস্তারিত পোস্টঃ

রুপালী আর্তনাদ

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

এজলাশ কক্ষ লোকে লোকারণ্য। যার তার বিচার নয়, ‘হিউম্যানিটি ল্যাব’ এর প্রধান বিজ্ঞানী টেম্পু ইকারের বিচার হচ্ছে আজ। বিচার হচ্ছে ল্যাব কমিউনিটির নিজস্ব বিচারালয়ে। মিডিয়ার সমালোচনা এড়ানোর জন্য বিচারকের এজলাশ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। প্রধান বিচারকের আসনে বসে আছেন ল্যাব এর প্রেসিডেন্ট,সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ওয়াইন নাগেট। সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী বলেই সম্ভবত ওয়াইন নাগেট বিচারকের আসনে বসে পাইপ টানছেন। তাঁর পুরুষালী চেহারা এবং পুরুষ্ট গোঁফের সাথে পাইপ টা দারুণ মানিয়ে গেছে।

আসামীর কাঠ গড়ায় হাসি হাসি মুখ করে দাঁড়িয়ে আছেন টেম্পু ইকার।তার এলোচুল গুলো কপালের উপর এসে পড়েছে। মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়িতে হাল্কা পাক ধরেছে। মাঝে মাঝেই ভ্রু কুঞ্চিত করে তিনি ‘হেট ইউ ইকার, হেট ইউ বাস্টার্ড’ স্লোগান দিতে থাকা জনতার দিকে তাকাচ্ছেন। জনতার দিকে তাকিয়ে মাঝে মাঝে এমন ভাবে হাত নাড়ছেন যেন জনতা তার নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছে!
আসামী পক্ষের উকিলের দিকে একবার ক্রুর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বাদী পক্ষের উকিল তার এক ঘেঁয়ে বিরক্তিকর আর্জি পেশ করা শুরু করল-

আপনারা জানেন হিউম্যানিটি ল্যাব থেকে মানুষের জীবন কি ভাবে আরো শান্তিময়, সুখময়, ঐশ্বর্য্যময় হবে সেটা নির্ধারণ করা হয়। ল্যাবে যে সব আধুনিক মেশিন আছে সেগুলোর অগনিত সেন্সর সারাক্ষণ মানুষের সামাজিক পারিবারিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবন যাপনের উপর চোখ রাখে।সামাজিক পারিবারিক এবং রাষ্ট্রীয় যে সিদ্ধান্তগুলো মানুষের জীবনের সুষম বিকাশে বাধাদান কারী বলে মেশিনের সেন্ট্রাল কমান্ড মনে করে সে সিদ্ধান্তগুলো সাথে সাথে বাতিলের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয় এবং সরকার সেগুলো বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর কে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করেন। হিউম্যানিটি ল্যাবের মাননীয় প্রেসিডেন্ট এর দয়া(!)য় এবং সুচতুর পরিচালকদের সুদক্ষ পরিচালনায় দেশের উন্নয়নে হিউম্যানিটি ল্যাব অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসতেছিল। কিন্তু এই মামলার আসামী, ল্যাবের সাবেক(!) প্রধান বিজ্ঞানী জনাব টেম্পু ইকার, শয়তান কর্তৃক প্রলুব্ধ হয়ে এই ল্যাবের সবচেয়ে পুরোনো মেশিনের কার্যকারীতায় পরিবর্তন আনার আস্পর্দা দেখান যার ফলস্রুতিতে ল্যাবের দুটা অত্যন্ত আধুনিক মেশিন নষ্ট হওয়া সহ তিন জন ল্যাব এসিস্টেন্ট তাৎক্ষনিক মারা যায়। ভবিষ্যতে এধরনের জঘন্য অপরাধ যাতে কেউ করতে সাহস না পায় সেজন্য তাকে দুইশ একচল্লিশ ধারা অনুযায়ী ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেবার জন্য মহামান্য আদালত কে বিনীত অনুরোধ করছি।

আসামী পক্ষের উকিল মুখ খুলতে যাচ্ছিল। তাকে হাতের ইশারায় থামিয়ে দিলেন স্বয়ং প্রধান বিচারক ল্যাব প্রেসিডেন্ট ওয়াইন নাগেট। পাইপে ঘন ঘন টান দিয়ে কিছুক্ষন ধোঁয়া উদগীরণ করলেন তিনি।উদগত ধোঁয়ার সাথে এমন একটা গাম্ভীর্য্য সারা ঘরময় ছড়িয়ে দিতে চাইলেন যাতে মনে হতে পারে- শতাব্দীর শ্রেষ্ট ন্যায় বিচারের ঘটনা কিছুক্ষনের মধ্যে এই এজলাশেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যুগ যুগ ধরে ক্রিটিক্যাল বিচার কার্য্য সম্পাদনে বিচারক রা এই বিচারকার্য্য কে দৃষ্টান্ত হিসেবে ব্যবহার করবে।

পাইপের তামাক সম্ভবত শেষ হয়ে গিয়েছিল। পাশে দন্ডায়মান উর্দি পরা সেপাই শ্রেনীর লোকটার হাতে পাইপ টা দিয়ে তাতে তামাক ভরে আনার নির্দেশ দিলেন ওয়াইন নাগেট। তারপর দুহাত সামনে টেবিলের উপর প্রসারিত করে স্পিকারের দিকে ঝুঁকে আসলেন। খুক করে একটা কাশি আসাতে সেটা গিলে ফেললেন। কারণ এধরনের একটা ‘ব্যক্তিত্ত্বহীন কাশি’ উপস্থিত জনতার কাছে তার ব্যক্তিত্ত্ব কে খাটো করে দিতে পারে। কাজেই কাশির বলে গোঁফের কোণায় ব্যক্তিত্ত্বপূর্ণ হাসি ফুটিয়ে তুলে তিনি বলতে আরম্ভ করলেন-

আমাদের দল গনতন্ত্রে বিশ্বাসী। টেম্পু ইকারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেবার পূর্বে আমরা টেম্পো ইকার কে আত্নপক্ষ সমর্থনের পূর্ণ সুযোগ দেব। যদি টেম্পো ইকার প্রমান করতে পারে হিউম্যানিটি ল্যাব এর দূর্ঘটনার জন্য সে দায়ী নয় তাহলে আমরা তাকে বেকসুর খালাস দেব এবং তাকে পরবর্তীতে ল্যাবের প্রধান বিজ্ঞানীর পদে বহাল করা যাবে কিনা সেটা সমবেত্ জনতা ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ করবেন( সমবেত জনতা থেকে ‘নো, নেভার’ চিৎকার উঠল! প্রধান বিচারক জনতাকে আশ্বস্ত করার ভঙ্গিতে হাত নেড়ে আবার বলতে শুরু করলেন)-
উকিলের মাধ্যমে আদালতে বক্তব্য উপস্থাপন করা প্রচলিত রীতি। কিন্তু বিষয় টা যেহেতু বিজ্ঞান ঘনিষ্ট সেহেতু টেম্পো ইকার কে আমি সরাসরি নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করার সূযোগ দিচ্ছি। ( একথা বলার সাথে সাথে আসামী পক্ষের উকিলের মুখ চুন হয়ে গেল। কারন সে ফিজিক্সের অনার্স করে ল তে ভর্তি হয়েছিল এবং এই মামলায় ফিজিক্সের জ্ঞান দিয়ে ব্যাপক কেরদানি করার জন্য মনে মনে প্রস্তুত হয়ে এসেছিল)।

বিচারকের নির্দেশে উর্দি পরা একজন একটা মাইক্রোফোন কাঠ গড়ার দিকে এগিয়ে দিল। মাইক্রোফোনে টুকা দিয়ে প্রথমেই মাইক্রোফোন ঠিক আছে কিনা টেস্ট করে নিলেন টেম্পু ইকার। তারপর উপস্থিত সবাইকে বিস্মিত করে দিয়ে বললেন-

আমার পকেটে দুটা গাঁজার পুরিয়া আছে।আপনাদের আর আমার ব্রেনের লেভেলে পার্থক্য আছে।তাই আপনাদের সাথে কম্যুনিকেট করার জন্য গাঞ্জা খেয়ে ব্রেন কে কিঞ্চিত ঘোলা করে নেয়া আবশ্যক! আমি কি একটু গাঞ্জা টানতে পারি? মহামান্য আদালতের কাছে কি একটা দেশলাই হবে? আমার পকেটে দেশলাই নাই!

সমবেত জনতা খিস্তি খেউড় করে যার পকেটে শক্ত ধাতব যা ছিল বের করে কাঠ গড়ার দিকে ছুঁড়ে মারতে লাগল। কত বড় বেয়াদব! মহামান্য আদালতের সামনে দাঁড়িয়ে বলে কিনা দেশলাই দাও, গাঞ্জা খাব!!

উয়াইন নাগেট এক বুক হতাশা নিয়ে টেম্পু ইকারের দিকে তাকিয়ে রইলেন। ধুরন্ধর ইকার বুঝতে পেরেছে তার ফাঁসি কোন ভাবেই ঠেকানো হবে না। কারণ তাকে ফাঁসি না দিলে জনগনের ভোটে নির্বাচিত উয়াইন নাগেটের প্রেসিডেন্টের চেয়ার টলে উঠবে। তাই বলে এতটা নির্লজ্জ ভাবে সে আদালত কে অপমান করবে! ফাঁসি দেবার পূর্বে সবার অলক্ষ্যে টেম্পো ইকার কে তার সাথে একান্ত ডিনারের দাওয়াত দেবার যে সিদ্ধান্ত টা উয়াইন নাগেট নিয়ে রেখেছিলেন সেটা মনে মনে বাতিল করে দিলেন। উশৃঙ্খল জনতার একজনের ছুঁড়ে মারা ম্যাকগাইভার নাইফে টেম্পো ইকারের কপাল কেটে রক্ত পড়তেছিল। উর্দি পরা সেপাই কে রক্ত মোছার টিস্যু পেপার আনার নির্দেশ দিয়ে উয়াইন নাগেট জনগনের উদ্যেশ্য বলতে আরম্ভ করলেন-

আপনারা শান্ত হোন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত(!) আসামীর কাছে আমরা ভব্যতা আশা করতে পারি না।কিন্তু তার বক্তব্য শোনা আমাদের জন্য জরুরী। কারণ বক্তব্য না শোনে কাউকে সরাসরি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়া অসভ্যতার নামান্তর। ফাঁসি দেবার আগে আমরা অবশ্যই তার বক্তব্য শুনব। আর সে যদি গাঁজা না খেয়ে তার বক্তব্য দিতে না পারে তাকে আমরা অবশ্যই গাঁজা খাবার সুযোগ দেব। উর্দি পরা সেপাইকে তিনি দেশলাই আনার নির্দেশ দিলেন।

সেপাই বেরিয়ে যাবার আগে টেম্পু ইকার হাত উঁচিয়ে তাকে দেশলাই এর সাথে একটা খালি পাইপ ও আনার নির্দেশ দিল!

উর্দি পরা সেপাই কিচ্ছুক্ষন পর প্রধান বিচারকের তামাক ভর্তি পাইপ, টেম্পো ইকারের খালি পাইপ এবং দেশলাই নিয়ে এজলাশ কক্ষে ঢুকল। তামাক ভর্তি পাইপ বিচারকের হাতে দিয়ে খালি পাইপ এবং দেশলাই হাতে কাঠগড়ার দিকে এগিয়ে গেল।

টেম্পু ইকার সেপাইর হাত থেকে অত্যন্ত ধীর স্থির ভঙ্গিতে খালি পাইপ নিল। দেশলাই নিল। তারপর সমবেত জনতার উদ্যেশ্যে বলল-
আপনারা যেমন জানেন আমার ফাঁসি হবে, আমিও জানি। মাননীয় বিচারক ও জানেন! আমাকে রাস্তার ধারে কুকুরের মত গুলি করে না মেরে আদালত বসিয়ে ফাঁসি দিচ্ছেন যাতে প্রমানিত হয় আপনারা সভ্যমানুষ! ত সভ্য যখন প্রমান করতেই চাইছেন আমি চাইব আপনারা সেটা আরেকটু ভাল ভাবেই প্রমান করুন!

কিভাবে? কিভাবে??- সমবেত জনতা চিৎকার করে উঠল।

-মৃত্যুর আগে আমার শেষ ইচ্ছা হল প্রধান বিচারকের পাইপের তামাকের সাথে গাঞ্জা মিশিয়ে খাওয়া। এই স্পেশাল তামাক যেহেতু কেবল মাত্র ক্ষমতায় আরোহন করলেই সেবন করা যায় আমি তার স্বাদ টা একটু পরখ করে দেখতে চাই। এতে এমন কি আছে যা ক্ষমতাসীন এর মগজ কে প্রবল ভাবে নিরেট এবং আচ্ছন্ন করে দেয়!

উয়াইন নাগেট তাঁর চেয়ারে বসে রীতিমত কাঁপছেন। এই শয়তান তাকে নিয়ে কঠিন খেলা শুরু করেছে। সে চাইছে এক মুহুর্তের জন্যে হলেও তিনি তাঁর মেজাজ হারান। মেজাজ হারিয়ে তাঁর ব্যক্তিত্ত্বের খোলস থেকে বেরিয়ে এসে এমন কোন আচরন করেন যেটা জনগনের কাছে তাকে খাটো করে তুলবে।এটার সূযোগ নিয়ে জনগনের একাংশ তার বিরোধীতা করা শুরু করবে। এখন যারা পক্ষে থাকার মজা পাচ্ছে তাদের একবার বিরুদ্ধে থাকার মজা ধরিয়ে দিতে পারলেই হল! পক্ষ বিপক্ষ জনতার কাছে আসল নয়। আসল হল মজা! উয়াইন নাগেট উত্তেজিত জনতাকে আবার শান্ত হবার পরামর্শ দিয়ে নিজের হাতের পাইপ সেপাই এর হাত দিয়ে সেটা কাঠগড়ায় দন্ডায়মান বিজ্ঞানীর হাতে পৌঁছে দেবার নির্দেশ দিলেন! তারপর সবার উদ্যেশ্যে বললেন-

এজলাশে গাঁজা খাওয়া এবং শুধুমাত্র ল্যাব প্রেসিডেন্টের জন্য বরাদ্দ কৃত তামাক সেবনের আস্পর্দা প্রকাশ করা রীতিমত ফাঁসিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু একই লোককে যেহেতু দুবার ফাঁসি দেয়া যায়না কাজেই আমরা মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীর শেষ ইচ্ছাপূরনের সূযোগ দেবার জন্য এজলাশ কক্ষেই তাকে মহামান্য ল্যাব প্রেসিডেন্ট এবং বিচারকের তামাকের সাথে গাঁজা মিশিয়ে সেবনের অনুমতি দিচ্ছি।কারণ আমরা সভ্য মানুষ!

গাঁজার ধোঁয়ায় এজলাশ কক্ষ অন্ধকার। বিশ্রী গন্ধ আসা সত্ত্বেও উপস্তিত জনতার সবাই উপস্তিত ই আছে! কেউ পালায় নি। সবাই ফাঁসিতে ঝুলার আগে উদ্ধত বৈজ্ঞানিক টেম্পু ইকারের শেষ বক্তব্য শুনতে চায়।

গাঁজার ধোঁয়ার সাথে সাথে টেম্পু ইকারের কথা মালা গুলো ও যেন এজলাশ খানার ছোট্ট ইথারে উড়ে বেড়াতে লাগল-

একটা বাদে ল্যাবের বাকী সব মেশিন গুলো কাজ করে ইন্টার ফেস সিস্টেমে। প্রত্যেকে বর্তমান সময় থেকে নিজের নিজের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ইনপুট নেয়।নিজেদের মধ্যে ইন্টার ফেসে যোগাযোগের মাধ্যমে ইনপুট গুলো বিশ্লেষণ করে। তারপর একটা সিদ্ধান্ত দেয়- মানুষের পারিবারিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে নতুন কি যোগ করা যায় অথবা সেখান থেকে কি বাতিল করা যায়। একটা মাত্র মেশিন যেটা সবচেয়ে পুরানো সেটা নতুন কোন ইনপুট ও নেয়না এবং কারো সাথে ইন্টার ফেস ও করতে চায় না। সে শুধু তার পুরোনো আউট পুট গুলো সেন্ট্রাল ডিসিশন আকারে চাপিয়ে দিতে চায়! আমি তাকে অন্য মেশিন গুলোর সাথে ইন্টার ফেস করাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার পদ্ধতি সম্ভবত সঠিক ছিল না। আমি তার কার্যপদ্ধতি হয়ত পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি! ইন্টারফেস করাতে গিয়ে তার একটা অংশ হঠাৎ প্রচন্ড গরম হয়ে উঠে এবং কিছু বুঝে উঠার আগেই সেই অংশ টা বিস্ফোরিত হয়! এতে আমার সহকারী তিন জন ল্যাব এসিস্টেন্ট ততক্ষনাৎ মারা যায়। সেই মুহুর্তে টয়লেটে থাকার কারনে আমি প্রানে বেঁচে যাই!

গাঁজায় দম দিতে দিতে একটু থামল টেম্পো ইকার। তারপর বলল- দেখুন। আমি প্রান ভিক্ষা চাইছি না। কারন আমি ভিক্ষুক নই! তবে আমাকে ফাঁসি দেয়াটা একটা ভুল সিদ্ধান্ত। কারন আমি বেঁচে থাকলে হয়ত এই পুরোনো মেশিন টাকে ঠিক করতে পারতাম। তাকে ইন্টার ফেসে আনা গেলে হয়ত তার ভেতরকার প্রচন্ড শক্তিটাকে মানবতার কল্যানে কাজে লাগানো যেত!

এজলাসে কেউ একজন একটা রুপালি রঙের লেজার লাইট জ্বালিয়েছে। রুপালি লেজারের আলোয় গাঁজার ধোঁয়া গুলোকে ক্ষনে ক্ষনে মনে হচ্ছে রুপালি অক্ষর বা রুপালি আর্তনাদের মত। এজলাশ কক্ষের ছোট্ট ইথারে সেই রুপালি অক্ষর বা আর্তনাদ গুলো ভাসতে ভাসতে বলছে-

আমাদের মুক্তি দাও। আমাদের জন্ম হয়েছে আকাশে ছড়িয়ে পড়ার জন্য। আলো না ছড়ালে আকাশ কে কেউ আকাশ বলে চিনতে পারেনা।


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগে নাই।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:২৭

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই। একটু আগেই আমার সমমনা এক বন্ধুর সাথে কথা হচ্ছিল। গল্প লেখকের হাতে শুধুই কলম আর কাগজ। বাকী পুরোটাই লেখকের স্বাধীনতা। এটা বিরাট সম্ভাবনা, একই সাথে বিরাট ট্র্যাপ। ট্র্যাপ হয় কখন? লেখক মনে করছে তার ভাবনা টা ট্রান্সমিট হচ্ছে। কিন্তু নির্মান শৈলীর কারনে কিছুই ট্রান্সমিট হয়না অর্থাৎ পাঠক কিছুই পায়না। এই গল্প টা মনে হচ্ছে ট্র্যাপে পড়ে গেছে! একই কন্সেপ্ট নিয়ে অন্য সময়ে হয়ত ভিন্ন কিছু লিখব।

ভাল লাগল আপনার দায়ীত্ত্বপূর্ণ মন্তব্য। এটা আমাকে নিশ্চয় আরো সচেতন হতে সাহায্য করবে। ভাল থাকবেন।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:০০

আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: দাদাভাই, কেন যেন এন্ডিং টা ঠিক ধরতে পারিনিাই, একটা “তারপর কী হল” রয়ে গেল... :(

তবে আইডিয়াটা দারুণ! সত্যি্ি যদি এমন কোন যন্ত্র থকতো!
আচ্ছা, একটা মাত্র মেশিন যেটা সবচেয়ে পুরানো সেটা নতুন কোন ইনপুট ও নেয়না এবং কারো সাথে ইন্টার ফেস ও করতে চায় না। সে শুধু তার পুরোনো আউট পুট গুলো সেন্ট্রাল ডিসিশন আকারে চাপিয়ে দিতে চায়! - এটা দিয়ে কি আপনি এখনকার শাসক শ্রেণী যে পুরনো চিন্তাভাবনায় রয়ে গেছে, এধরণের কিছু বোঝাতে চেয়েছেন???! গল্পের শেষটায় মনে হচ্ছে আপনি হাল ছেড়ে দিয়েছেন এবং টেম্পু ইকার কে সত্যিই ফাঁসী দিয়ে দিলেন!
সে তো নতুনকে গ্রহণ করবার উপায় খুঁজে বের করতে যাচ্ছে, তাকে এক্ষুণি মেরে ফেইলেন না...........................?

২১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:০০

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: গল্পটা একটা অপারেশন থিয়েটার। সেখানে কার অপারশন করবেন সেটা আপনার ব্যাপার। লেখক হিসাবে আমি নির্মোহ ছিলা্ম বলেই আমি টেম্পু কে ফাঁসি দিয়েছি। টেম্পো তার নিজস্ব স্টাইলে প্রহসনের বিচার কে এক হাত নিয়েছে! সে মহামান্য আদালতের কাছে গাঞ্জা খাবার জন্য লাইটার চেয়েছে। আর গল্পের শেষের রুপালী আর্তনাদ টুকু আমি আকাশে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলাম। সীমাবদ্ধ ক্ষমতার কারণে সেটা পারিনি দিদিবোন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.