নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাইকেল চালানো স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ইহা ক্ষুধা উদ্রেক করে!

হঠাৎ ধুমকেতু

আমি মহিউদ্দিন খালেদ। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পড়তে ভালোবাসি। নিজের একটা চিন্তা জগত আছে। সেখানে চারপাশের অনেক কিছু নিয়ে অনেক নিঃশব্দ আলোচনা হয়! সেই আলোচনা গুলোর সাথে বৃহত্তর জগতের সংযোগ ঘটাতে ইচ্ছে করে!

হঠাৎ ধুমকেতু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের সন্মানিত সূ’উচ্চ শিক্ষিত জনতা’র করকমলে নিবেদিত

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৫৪

চট্টগ্রাম এ সোয়া তিন বছর চাকরি করার পর আবার ঢাকায় ফেরত এসেছি। বৌ সকাল সন্ধ্যা বাচ্চার স্কুল ঠিক করার জন্য তাড়া দেয়- তাড়াতাড়ি স্কুলে ভর্তি করাতে হবে। নইলে পিছিয়ে যাবে। তাড়াতাড়ি ফর্ম নাও!
আমার ভেতর সেরকম কোন তাড়াহুড়া দেখা যায়না। আমি অলস ভাবে ভাবি- এই ত ধীরে সুস্থে ভর্তি হলেই হল।বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি করানোর ব্যাপারে আমি সিরিয়াস হতে পারিনা। আমার পরিচিত স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পাশ মানুষদের মূর্খামি দেখে দেখে আমি ভাবি- কি হবে স্কুলে ভর্তি হয়ে? স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় যদি একজন মানুষের মধ্যে কোন আধুনিক মানসিকতা তৈরি করতে না পারে তাহলে এ শিক্ষার কি মূল্য?
এই ত কিছুদিন আগেই কথা হচ্ছিল কিছু পরিচিত উচ্চ শিক্ষিত মানুষের সাথে। ওনারা সগৌরবে বলতেছিলেন, ওমুক বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে জ্বীন আছে। এই পুকুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সহ অনেকের ‘জ্বীন ডুবি’ হইছে অর্থাৎ পুকুরে নামার পর জ্বীনে টেনে পুকুরের তলায় নামায় ফেলছে। এছাড়াও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা হলে নাকি ছেলেপেলেদের কে জ্বীনে থাপড়ায়।
আমি উচ্চ শিক্ষিত ভদ্রলোক কে জিজ্ঞেস করলাম- জ্বীনে টেনে যে পুকুরের তলায় নামায় ফেলছে অথবা হলে জ্বীনে পোলাপান কে থাপড়ায় এটার কোন প্রমান আছে?
ভদ্রলোক আমার দিকে বিস্মিত দৃষ্টি হেনে বললেন- জ্বীন আছে এটা ত সত্য!
আমি বললাম- ধরেন আমি রাস্তায় হাঁটার সময় উষ্টা খেয়ে পড়ে গেলাম। তারপর বললাম আমাকে মাইক টাইসন বক্সিং মেরে ফেলে দিছে। আপনি জিজ্ঞেস করলেন- মাইক টাইসন যে বক্সিং মারছে তার কোন প্রমান আছে? প্রমানস্বরূপ আমি বললাম- ‘মাইক টাইসন আছে এটা ত সত্য!’ আপনি কি আমার যুক্তি গ্রহণ করবেন?
ভদ্রলোক আমার প্রশ্নকে নিতান্ত নাবালক প্রশ্ন হিসেবে অবজ্ঞা করে জ্বীন যে মাঝে মাঝেই এরকম রোমহর্ষক ঘটনা ঘটায় সেটা প্রমান করার জন্য আরেক টি রোমহর্ষক ঘটনার বর্ননা দিলেন। গ্রামে কবে কোন মেয়ে মাথায় কাপড় না দিয়ে পুকুর ঘাটে গেছে সন্ধ্যাবেলা। জ্বীন তাকে উল্টা করে পুকুরে ডুবায় মারছে( মেয়েটার গলায় নাকি জ্বীনের কামড়ের দাগ ছিল!), তারপর পুকুরের অন্য পাড় দিয়ে সশব্দে একটা ‘বাতাস’ কে চলে যেতে দেখা গেছে! আমি জিজ্ঞেস করলাম- আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন এটা কোন জাগতিক হত্যাকান্ড ছিলনা? এমন কি হতে পারেনা যে কেউ তাকে হত্যা করে জ্বীনে মেরে ফেলেছে বলে সুন্দর একটা গল্প তৈরি করেছে!
উচ্চ শিক্ষিত ভদ্রলোক উজ্জ্বল চোখ করে চেহারায় নূরানী আভা ফুটিয়ে বললেন- কিন্তু জ্বীন আছে এটা ত সত্য!
সেই সময় আড্ডায় একজন তরুণ যুবার আবির্ভাব হল। তরুন যুবা আলাপের রেশ ধরে বললেন- দেখেন জ্বীন ই যে এই হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী সেটা নিশ্চিত করে বলা যায়না। কিন্তু জ্বীন যেহেতু আছে কাজেই জ্বীন তাকে হত্যা করেছে এটা হলেও হতে পারে!
আমি তরুণের দিকে তাকিয়ে বললাম- আপনি ত একাউন্টস এ চাকরি করেন। এখন আপনি দশলাখ টাকা চুরি করলেন। তারপর কোম্পানীর এমডি কে বোঝালেন- ‘জ্বীন এই টাকা গায়েব করেছে সেটা নিশ্চিত করে বলা যায়না। কিন্তু জ্বীন যেহেতু আছে কাজেই জ্বীন মিষ্টি খাবার জন্য এই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এটা হলেও হতে পারে!’ আপনার চাকরি কি থাকবে?
উচ্চ শিক্ষিত তরুন যুবা চোখ উজ্জ্বল করে চেহারায় নূরানী আভা ফুটিয়ে তুলে বললেন- কিন্তু জ্বীন আছে এটা ত সত্য!
আমি এর পর ও তাদের বোঝাতে চাইলাম, 'প্রমান ছাড়া সত্য গ্রহণ করার প্রবনতা' কোন সমাজে থাকার মানেই হল সেই সমাজে ভয়ঙ্কর অন্যায় সঙ্ঘটিত করে পার পেয়ে যাবার সম্ভাবনা তৈরি হওয়া। ধরেন একটা গ্রামের খুব প্রভাবশালী একজন লোক। সে একজন কে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করাল। তারপর সূকৌশলে প্রচার করাল- এটা আসলে জ্বীনের কাজ। সন্ধ্যাকালে সে নাপাক অবস্থায় পুকুর পাড় দিয়ে যাচ্ছিল। এই সময় তার উপর নজর পড়ে দূষ্ট জ্বীনের। দূষ্ট জ্বীন একটু দূষ্টামি করে তাকে পানিতে চুবিয়ে মেরে ফেলে। এই জ্বীন ত তাও তার বাপ দাদাদের তুলনায় অনেক ভাল যে একটু আঁচড় কামড় দিয়ে লাশ ভাসায় দিছে। জ্বীনের বাপ দাদারা ত নাকি তাও দিত না!
গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ এই গল্প বিশ্বাস করবে কারণ তারাও জানে ‘জ্বীন আছে এটা সত্য’ এবং ‘পুকুরে একটা জ্বীন আছে’ এই সুস্বাদু গল্প তাদের কুসংস্কারগ্রস্ত মস্তিষ্কে খুব সহজেই যায়গা করে নেবে। কিন্তু একজন প্রভাবশালী মানুষ এই গল্প যত সহজে সাধারন গ্রামবাসীর উপর চাপিয়ে দিতে পারবে সাধারন একজন গ্রামবাসী চাইলেও সেরকম গল্প প্রভাবশালী কারো উপর চাপিয়ে দিতে পারবেনা। একজন নিরিহ গরুচোর গ্রামের মাতব্বর বা চৌধুরির গোয়াল থেকে গরু চুরি করে এই গল্প কাউকেই বিশ্বাস করাতে পারবেনা যে গরু জ্বীনে নিয়ে গেছে! সেক্ষেত্রে গরু চুরি হবার জাগতিক কারনের বাইরে কেউ কথাই বলবেনা। জ্বীনের গল্প বেচারা গরু চোরের পিঠ বাঁচাতে কোন কাজেই আসবেনা।
এসব কথা এদের বুঝিয়ে কোন কাজ হয়না। এরা পরিষ্কার বক্তব্য দেয়- আমার পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই দেখে আমি এসব জ্বীনিয় ব্যাপার স্যাপার বুঝতে পারিনা। আমার আরো স্টাডি করা দরকার।
‘জ্বীন কেমনে মানুষ খুন করতে পারে’ সেটা নিয়ে স্টাডি না করে আমি বরং মনে মনে এসব তথাকথিত উচ্চ শিক্ষিত মানুষদের নিয়েই স্টাডি করি। স্টাডিতে ভয়ঙ্কর তথ্য বেরিয়ে আসে। আমাদের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন কোন পাঠদান প্রক্রিয়া নাই যেটা ছাত্র ছাত্রীদের যুক্তিবোধ কে প্রখর করে। দৃশ্যমান জগত কে অনুভব করার ক্ষমতা কে প্রখর করে।
এখানে গনিত পড়ানো হয় কিন্তু গনিতের যুক্তির সিঁড়ি’র সাথে ছাত্র ছাত্রীদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়না। এখানে বলা হয় বৃত্তের ক্ষেত্রফল পাই আর স্কয়ার কিন্তু এটা আবিস্কার করার জন্য কতজন গনিতজ্ঞ কে তাদের প্রখর মস্তিস্ক কত সময় ধরে খাটাতে হয়েছে সে সম্পর্কে কোন ধারনা দেয়া হয়না। এর ফলে গনিত পড়ে আমরা শুধু কিছু সুত্রের প্রয়োগ করে সেগুলোর ফল ভোগ করতে শিখি। কিন্তু এই আবিস্কারের নেপথ্যে থাকা যৌক্তিক মনন সম্পর্কে আমাদের কোন ধারনা গড়ে উঠেনা। আমরা গনিত গ্রাজুয়েট হয়ে যাই আর্কিমিডিস, লিবনিৎস বা পীথাগোরাসের মনন সম্পর্কে কোন ধারনা না পেয়েই।
এখানে বিজ্ঞান পড়ানো হয় কিন্তু বিজ্ঞানের মহত্ত্বের সাথে ছাত্র ছাত্রীদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়না। কোন জীব বিজ্ঞান ক্লাসে কোন দিন বলতে শুনি নাই, মহৎ বিজ্ঞানীরা যদি দেহ কোষ আবিস্কার না করতেন, রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কার না করতেন, সার্জারি আবিস্কার না করতেন, সন্তান পুত্র বা কন্যা হবার কারন আবিস্কার না করতেন, তাহলে পৃথিবীতে কত মানুষ মহামারিতে মারা যেত, কত প্রসূতি মারা যেত সন্তান প্রসব করার সময়, কত মা কে সইতে হত কন্যা সন্তান জন্মদানের অপবাদ! এই ভয়ঙ্কর সব অন্ধকার থেকে পৃথিবীকে একটু একটু করে আলোর পথ দেখিয়েছেন যেসব মহৎ বিজ্ঞানীরা তাদের মনন সম্পর্কে ছাত্র ছাত্রীদের পরিচয় করিয়ে দেবার দায়ীত্ব কোন শিক্ষক অনুভব করেন না। ‘পরীক্ষা পাশ করানোর কন্ট্রাক্টর’ বৃত্ত থেকে আমাদের শিক্ষক সমাজ বের হতে পারেন না। এর বাইরে ওনারা যেটা করেন সেটা হল কোচিং চর্চা এবং সেন্টিমেন্ট চর্চা-‘ আমরা শিক্ষক সমাজ, আমরা মহান!’
এখানে সাহিত্য পড়ানো হয় বিজ্ঞান অঙ্ক ইংরেজি ইত্যাদি দরকারী বিষয়ের পাশাপাশি একটা অদরকারী বিষয় হিসেবে। এখানে জ্ঞানী(!)রা সাহিত্যিক দের এক ধরনের করুনার চোখে দেখে। আহা বেচারারা এমন অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করল যেটা না দুনিয়ার কাজে লাগে,না আখেরাতের কাজে লাগে! এই দুহাজার ষোল সালে স্বজাতির মানসিক গড়ন দেখলে আমার নিজের ও প্রথিতযশা সাহিত্যিক যেমন সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ, মূনির চৌধুরি, আবু ইসহাক, আবুল মনসুর আহমদ ইনাদের জন্য করুণা হয়। আহা, বেচারারা খামোকাই জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করেছেন!!
এক ফোঁটা মননশীলতার চর্চা নেই এসব স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হতে পাশ উচ্চ শিক্ষিত রা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুকুরে জ্বীনের উপস্থিতি প্রশ্নাতীত ভাবে বিশ্বাস করবে এটাই স্বাভাবিক। এদেশের সায়েন্স গ্রাজুয়েটই গম্ভীর ভাবে মাথা নেড়ে বলবে- জ্বীন কামড় দিয়ে মানুষ কে মেরে ফেলতে পারে এতে ত অসম্ভবের কিছু নাই! মঙ্গল গ্রহে যান পাঠানোর সাথে তুলনা করলে এটা ত কিছুই না!!
এজন্য সন্তান কে স্কুলে দেবার জন্য আমার ভেতর থেকে কোন প্রেরনা আসেনা। ‘ডিগ্রিধারী মূর্খ উৎপাদন’ এর জন্য বাবা হিসাবে আমি কোন দায়ীত্ব অনুভব করিনা।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


কিছু তরুণ সার্টিফিকেট পেয়ে চাকুরী বাকুরী করছে, তবে এরা গুহা-মানব, জ্বীন, ভুত ইত্যাদি নিয়ে আছে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৭

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: গু খা মানব থেকে উত্তরন না ঘটলে ভবিষ্যত অন্ধকার।

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৯

কলাবাগান১ বলেছেন: আমেরিকায় অনেক বাংলাদেশী পরিবারদের দেখি কোথায় ভাল স্কুল আছে তার চেয়ে আগে কাছে কোথায় মসজিদ/মাদ্রাসা আছে তার খোজ আগে করে।

আর ভারতীয় রা মন্দিরের আগে খোজে ভাল স্কুল- ফলাফল: গুগুল/ মাইক্রসফটের ভারতীয় সিইও

আর আমাদের 'কম্যুনিটি' নেতা রা বড় জোর স্হানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: :) :)

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ লাগে এসব দেখলে। আপনার খোঁচা মারা রিপ্লাই ভালো হৈসে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৪

হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব।

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আপনার সন্তান কি তবে অশিক্ষিত থেকে যাবে ! জগত খারাপ হোক, আপনি ভাল থাকার চেষ্টা করেন। বাবা প্রাজ্ঞ সাহচর্যে সন্তান ডিগ্রিধারী সুশিক্ষিত হোক। এত হতাশা রাখতে নেই ...

৫| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এখানে বিজ্ঞান পড়ানো হয় কিন্তু বিজ্ঞানের মহত্ত্বের সাথে ছাত্র ছাত্রীদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়না।
-----
এই ভয়ঙ্কর সব অন্ধকার থেকে পৃথিবীকে একটু একটু করে আলোর পথ দেখিয়েছেন যেসব মহৎ বিজ্ঞানীরা তাদের মনন সম্পর্কে ছাত্র ছাত্রীদের পরিচয় করিয়ে দেবার দায়ীত্ব কোন শিক্ষক অনুভব করেন না।

‘পরীক্ষা পাশ করানোর কন্ট্রাক্টর’ বৃত্ত থেকে আমাদের শিক্ষক সমাজ বের হতে পারেন না। এর বাইরে ওনারা যেটা করেন সেটা হল কোচিং চর্চা এবং সেন্টিমেন্ট চর্চা-‘ আমরা শিক্ষক সমাজ, আমরা মহান!’

এখানে সাহিত্য পড়ানো হয় বিজ্ঞান অঙ্ক ইংরেজি ইত্যাদি দরকারী বিষয়ের পাশাপাশি একটা অদরকারী বিষয় হিসেবে।

এখানে জ্ঞানী(!)রা সাহিত্যিক দের এক ধরনের করুনার চোখে দেখে। আহা বেচারারা এমন অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করল যেটা না দুনিয়ার কাজে লাগে,না আখেরাতের কাজে লাগে!

এই দুহাজার ষোল সালে স্বজাতির মানসিক গড়ন দেখলে আমার নিজের ও প্রথিতযশা সাহিত্যিক যেমন সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ, মূনির চৌধুরি, আবু ইসহাক, আবুল মনসুর আহমদ ইনাদের জন্য করুণা হয়। আহা, বেচারারা খামোকাই জীবনের মূল্যবান সময় নষ্ট করেছেন!!
এক ফোঁটা মননশীলতার চর্চা নেই ..

দারুন সত্যকে যুক্তির সাথে তুলে ধেরেছেন। কেটে যাক অন্ধকার।

+++++

৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪

আমিনুর রহমান বলেছেন:


ভাবতে ছিলাম আপনে সন্তানের স্কুল থেকে জিনে চলে গেলেন কেনো? কিনারা পাইলাম শেষে আইছা।
জ্বীন আছে এটা সত্য তাই এই লিখা আপনে লিখছেন নাকি জ্বীনে লিখছে বুঝতাছি না :P

ঢাকায় চলে আসছেন? কোথায় উঠেছেন? সময় করে ফোন দিয়ে জানাইয়েন :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.