নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যত পথ হেঁটেছি তত পথ চিনেছি

কসমিক রোহান

বজ্রকন্ঠে গাইতে চাই সত্য শব্দমালা। হাতুড়ি দিয়ে ভাঙতে চাই মিথ্যার খুলিটা।

কসমিক রোহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডা. জাকির নায়েকঃ ভ্রান্ত নাকি সহীহ

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২১

ডা. জাকির নায়েক : দারুল উলূম দেওবন্দের ফতোয়া



মূল : যয়নুল ইসলাম কাসেমী ইলাহাবাদী



নায়েবে মুফতি দারুল উলূম দেওবন্দ







অনুবাদ : মুফতি তাউহীদুল ইসলাম



উস্তাদ দারুল ইফতা



জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া



সাত মসজিদ মুহাম্মদপুর,ঢাকা







ডা. জাকির নায়েকের বয়ানসমূহে বিশুদ্ধ আকীদা থেকে বিচ্যুতি, কুরআনে কারীমের তাফসির বিকৃতি ও মনগড়া ব্যাখ্যা এবং সাইন্সের গবেষণা দ্বারা প্রভাবিত হওয়া ইসলামবিরোধী পাশ্চাত্যের চিন্তা-চেতনার সাথে সম্পর্ক এবং ফিকহী মাসায়েলে সালফে সালেহীন ও জুমহুরের পথ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার মতো বিভ্রান্তকারী বিষয়াদি পাওয়া যায়।



এছাড়া তিনি মুসলিম উম্মাহকে আইম্মায়ে মুজতাহিদীনের ইত্তিবা থেকে ফেরানো, দীনী মাদরাসা সমূহের প্রতি বীতশ্রদ্ধ করা এবং হক্কানী উলামায়ে কেরামের ব্যাপারে জনসাধারণকে কুধারণার বশীভূত করাতে লিপ্ত। নিচে তার বিভ্রান্তকারী বিষয়াদির কিছু দৃষ্টান্ত দেয়া হলো-







১. আকীদা (যা অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয় যাতে সামান্য বিচ্যুতি অনেক সময় ঈমানের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়)



এ সম্পর্কে ডা. সাহেবের কিছু কথা-







ক. আল্লাহ তায়ালাকে বিষ্ণু ও ব্রহ্ম নামে ডাকা বৈধ।







ডা. সাহেব একটি প্রোগ্রামে বলেন- ‘আল্লাহ তায়ালাকে হিন্দুদের



উপাস্যদের নামে ডাকা বৈধ, যেমন বিষ্ণু ‘রব’ এবং ব্রহ্ম ‘সৃষ্টিকর্তা’ তবে শর্ত হলো বিষ্ণুর ব্যাপারে এই বিশ্বাস রাখতে পারবে না যে তার চারহাত আছে যে পাখির ওপর আরোহণ করে আছে।’



[ইসলাম আউর আলমী উখুওয়াত-৩৩ ডা. জাকির নায়েক]



অথচ অনারবি ভাষায় ঐ সকল শব্দাবলী দিয়েই কেবল ডাকা বৈধ যা আল্লাহ তা’য়ালার জন্যই বিশেষায়িত। এগুলো ছাড়া অন্যকোনো নামে ডাকা বৈধ নয়। তাহলে বিষ্ণু ও ব্রহ্ম যা হিন্দুদের প্রতীক এগুলো দিয়ে ডাকা কিভাবে বৈধ হতে পারে?







খ. আল্লাহ তায়ালার কালাম কোনটি তা পরখ করার জন্য বিজ্ঞান ও টেকনোলোজির আশ্রয় নেয়া আবশ্যক।







ডা. সাহেব একটি প্রোগ্রামে বলেন- প্রত্যেক মানুষ এটা মনে করে যে তার পবিত্র গ্রন্থই আল্লাহ তায়ালার কালাম। যদি আপনি জানতে চান যে কোনো গ্রন্থটি বাস্তবিক পক্ষেই আল্লাহর কালাম তাহলে তাকে চূড়ান্ত পরীক্ষা তথা আধুনিক বিজ্ঞান ও টেকনোলজির সাহায্য নিন। যদি তা আধুনিক বিজ্ঞান মোতাবেক হয় তাহলে মনে করুন এটা আল্লাহর কালাম।’



এই বক্তব্যটি থেকে ডা. সাহেবের বিভ্রান্তকারী ধৃষ্টতা! কিতাবুল্লাহর ব্যাপারে তার চিন্তা-চেতনার পথ ভ্রষ্টতা ও আধুনিক বিজ্ঞানের ব্যাপারে আশংকাজনক পর্যায়ে প্রভাবান্বিত হওয়ার ঠিকানা পাওয়া যায়। কেননা তিনি প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তনশীল বৈজ্ঞানিক গবেষণার দিকে আসমানী কিতাবসমূহ বিশেষত; ঐশী কালাম কুরআনে কারীমের যাচাইয়ের মানদন্ড সাব্যস্ত করেছেন। অথচ আল্লাহ তায়ালার কালাম হওয়ার সবচেয়ে বড় প্রমাণ এর অলৌকিকত্ব যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন জায়গায় চ্যালেঞ্জ করেছেন।







গ. ফতোয়া দেয়ার অধিকার যে কোনো ব্যক্তির রয়েছে।







ডা. সাহেব এক জায়গায় বলেন- প্রত্যেকের জন্য ফতোয়া প্রদান করা জায়েয। কারণ ফতোয়ার অর্থ হলো মতামত দেয়া।’



ফতোয়া দেয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। আল্লামা ইবনুল কাইয়্যুমের ভাষায় মুফতি আল্লাহ তায়ালার বিধান বর্ণনা করার ক্ষেত্রে বিশ্বজগতের প্রতিপালকের ভাষ্যকার এবং তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে দস্তখত করার দায়িত্বশীল হয়।’দেখুন [ই’লামুল মাআক্কিঈন ১/৯১]



এই ফতোয়াকে তিনি ‘মতামত দেয়ার’ মতো হালকা পাতলা শব্দ দ্বারা ব্যক্ত করে শুধু নিজের জন্যই নয়; বরং প্রত্যেকের জন্য এর বৈধতা দিচ্ছেন। অথচ কুরআনে কারীমে বলা হয়েছে-



‘যদি তোমাদের জ্ঞান না থাকে তাহলে জ্ঞানীদের জিজ্ঞাসা কর।’



নবীজি সা. এর হাদিসে উল্লেখ হয়েছে- ‘যে ব্যক্তি (বিশুদ্ধ) জ্ঞান ছাড়া ফতোয়া দেয় এর গুনাহ ফতোয়া দাতার ওপর হবে।’ [আবু দাউদ হাদিস নং ৩৬৫৯৩]



তিনি এই আয়াত ও হাদিসকে একেবারেই ভুলে গেলেন।







২. তাফসীরুল কুরআনের ক্ষেত্রে মনগড়া ব্যাখ্যা অর্থাৎ অর্থগত বিকৃতি।







কুরআনে কারীমের তাফসিরের বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কেননা মুফাসসিরগণ কুরআনে কারীমের আয়াত দ্বারা আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশ্য নির্ধারণ করে থাকেন- যে আল্লাহ তায়ালা এই অর্থ উদ্দেশ্য নিয়েছেন। অতএব অনুপযুক্ত ব্যক্তির এই ময়দানে কদম রাখা খুবই আশংকাজনক। হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে- ‘যে ব্যক্তি নিছক তার যুক্তি দিয়ে তাফসির করে সে ঘটনাক্রমে সঠিক অর্থ করে ফেললেও সে ভুলকারী সাব্যস্ত হবে।’ [তিরমিযি- হাদিস নং ২৭৭৬]



এ কারণে মুফাসসিরগণের জন্য অনেক শর্ত রয়েছে। যেমন কুরআনে কারীমে সমস্ত আয়াতের প্রতি গভীর দৃষ্টি, হাদিসের ভান্ডারের ব্যাপারে গভীরজ্ঞান আরবি ভাষা ও ব্যকরণ যথা- নাহু, সরফ, ইশতিকাক, ফাসাহাত­-বালাগাত ইত্যাদির ওপর ভালো পান্ডিত্য থাকা ইত্যাদি। যতোদূর জানা যায়, ডা. সাহেবের মধ্যে উল্লেখিত শর্তাবলীর অনেকগুলোই আবশ্যকীয় পর্যায়ে নেই। তিনি আরবি ভাষা ও ব্যাকরণ সমন্ধে যথাযথ অবগত নন। হাদিসের ভান্ডারের ওপর তার গভীর দৃষ্টি নেই। অনুরূপ ফাসাহাত- বালাগাতেও তার নেই তেমন জ্ঞান। (নিম্নে দৃষ্টান্তগুলোতে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে) বরং তাফসীরের ক্ষেত্রে তার মধ্যে গোমরাহীর অনেক কারণ রয়েছে যথা -



নবীজি সা. সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন ও তাবে তাবেঈনের তাফসির থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া। যুগের ধ্যান ধারণা দ্বারা প্রভাবিত কুরআনে কারীমের বিষয়কে ভুল বুঝা ইত্যাদি ডা. সাহেবের মধ্যে পরিপূর্ণভাবে বিদ্যমান। এজন্যই তিনি বেশ কিছু আয়াত নিয়ে তার অজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন। নিচে তার কিছু নমুনা লক্ষ্য করুন-







ক. কুরআনে কারীমের আয়াত-



{الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاءِ بِمَا فَضَّلَ اللَّهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَبِمَا أَنْفَقُوا مِنْ أَمْوَالِهِمْ} [النساء: ৩৪]



‘আররিজালু কাওয়ামুনা আলান্নিসা’







এই আয়াতের তাফসীরে ডা. সাহেব বলেন- লোকেরা বলে قَوَّامُونَ ‘কাওয়ামুন’ শব্দটির অর্থ একস্তর উঁচু মর্যাদা। অথচ মূলত : এই শব্দটি اقامة‘ইকামাতুন’ থেকে উদ্ভুত হয়েছে, যার অর্থ হচ্ছে দন্ডায়মান হওয়া তাই এর উদ্দেশ্য হচ্ছে দায়িত্বের দিক দিয়ে উঁচু মর্যাদার দিক দিয়ে নয়। [ খুতুবাতে জাকির নায়েক : ২৯০]



ডাক্তার সাহেব পাশ্চাত্যের সমতার ধ্যান ধারণার স্বপক্ষে কুরআনের আয়াতের মনগড়া ব্যাখ্যা করে পুরুষদের এক স্তর মর্যাদাকে নাকচ করে দিলেন অথচ উম্মাহর বড় বড় মুফাসিসরগণ মর্যাদার দিক দিয়ে উঁচু হওয়ার অর্থ ব্যক্ত করেছেন। যেমন ইবনে কাসীরে লিখেছেন- পুরুষের অবস্থান তার স্ত্রীর সামনে শাসক ও সরদারের মতো। প্রয়োজন হলে স্বামী-স্ত্রীকে সমুচীন শাস্তিও দিতে পারে। অনুরূপ



{ وَلِلرِّجَالِ عَلَيْهِنَّ دَرَجَةٌ وَاللَّهُ عَزِيزٌ حَكِيمٌ } [البقرة: ২২৮]



‘লিররিজালি আলাইহিন্না দারাজাহ’



এই আয়াতের তাফসীরে আল্লামা ইবনে কাসির লিখেছেন- ‘স্বামী স্ত্রী থেকে মর্যাদা, সম্মান ও আনুগত্য ইত্যাদির ক্ষেত্রে এক স্তর ওপরে’ অনুরূপ ডা. সাহেবের তাফসিরটি নবীজি রা. এর হাদিসের পরিপন্থি। হাদিসটি হলো- নবীজি সা. বলেন- ‘আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আর কারো জন্য সেজদা বৈধ হলে আমি নারীদেরকে নির্দেশ দিতাম তারা যেনো তাদের স্বামীদের সেজদা করে।’ [আবু দাউদ ২১৪০]



কেননা যদি উভয়ের মর্যাদা এক হতো এবং স্বামীর জন্য স্ত্রীর ওপর কোনো প্রাধান্য না থাকতো তাহলে নবীজি সা. নারীদের তাদের স্বামীদের চূড়ান্ত সম্মানের প্রতীক সেজদা করার নির্দেশ দেয়ার উপক্রম কেন হলেন?







খ. ডা. সাহেবকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো। কুরআনে কারীমের মধ্যে আছে। কোনো মায়ের জরায়ুতে বিদ্যমান বাচ্চার লিঙ্গ কেবলমাত্র আল্লাহ তায়ালাই জানেন। অথচ বর্তমান বিজ্ঞান যথেষ্ট উন্নতি করেছে। এখন আমরা অতি সহজেই আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে ভ্রুণ নির্ধারণ করতে সক্ষম। তাহলে এই আয়াতটি কি মেডিকেল সাইন্সের পরিপন্থি নয়। এর জবাবে তিনি বলেন, একথা ঠিক যে কুরআনের এই আয়াতের বিভিন্ন অনুবাদ ও ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে যে কেবল মাত্র আল্লাহই জানেন যে মায়ের জরায়ুতে বিদ্যমান বাচ্চার লিঙ্গ কি? কিন্তু এই আয়াতের আরবি টেক্সটটি পাঠ করুন সেখানে সেক্স [লিঙ্গের] কোনো আরবি বিকল্প শব্দ ব্যবহৃত হয়নি। মূলত: কুরআন যা বলছে তা হলো- জরায়ুতে কি আছে? এর জ্ঞান কেবল মাত্র আল্লাহ তায়ালার রয়েছে। অনেক মুফাসসির ভুল বুঝে বসেছেন, তারা এর অর্থ এই করেছেন যে কেবলমাত্র আল্লাহ তায়ালাই মায়ের পেটে বাচ্চার লিঙ্গ সমন্ধে জানেন। এটা ঠিক নয়। এই আয়াত ভ্রণের লিঙ্গের দিকে ইঙ্গিত করছে না এবং এর ইঙ্গিত এই দিকে যে মায়ের পেটে বিদ্যমান বাচ্চার স্বভাব কেমন হবে? সে তার মা বাবার জন্য রহমতের কারণ হবে? না আজাবের কারণ হবে? ইত্যাদি।



[ইসলাম পর চালিস এ'তেরাযাত : [১৩০]







ডা. সাহেব বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রভাবিত হয়ে এ আয়াত থেকে আপাত দৃষ্টিতে সৃষ্ট প্রশ্ন থেকে বাঁচার জন্য কুরআনের অন্যান্য আয়াত এবং সাহাবা ও তাবেঈন থেকে বর্ণিত তাফসীরকে পৃষ্ঠদেশে নিক্ষেপ করে একটি প্রসিদ্ধ অর্থকে অস্বীকার করে বসেছেন এবং বড় বড় মুফাসসিরগনের ওপর দোষারূপ ও তাদের তাফসিরকে ভুল সাব্যস্ত করেছেন। ডা. সাহেব যে অর্থ উল্লেখ করেছেন তা ‘মা’ ইসমে মাউসূল-এর ব্যাপকতায় তো আসতে পারে এবং অনেক মুফাসসিরগণ প্রথম অর্থের মধ্যে এই অর্থও উল্লেখ করেছেন। কিন্তু অপর অর্থকে অস্বীকার করা একেবারেই ঠিক নয়। বরং এটা ডা. সাহেবের খেয়ালিপনা এবং তাফসীরের ক্ষেত্রে সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈনের উক্তি থেকে বিমুখ হওয়ার স্পষ্ট প্রমাণ। কেননা ডা. সাহেব যেই অর্থকে নাকচ করে দিয়েছেন তার দিকেই ইঙ্গিত করছে সূরা রা’আদের এই আয়াত- ‘আল্লাহ জানেন প্রত্যেক নারী যা গর্ভধারণ করে এবং গর্ভাশয়ে যা সংকুচিত হয় ও বর্ধিত হয়।



[রা’আদ ৮]



এছাড়া প্রখ্যাত তাবেঈ ও তাফসীরের ইমাম হযরত কাতাদাহ রহ. থেকে এই অর্থই বর্ণিত আছে। যেমন : হযরত কাতাদাহ রহ. বলেন- ‘মায়ের গর্ভাশয়ে ভ্রণ পুরুষ না নারী এর নিশ্চিত জ্ঞান আল্লাহ তা’য়ালা ছাড়া আর কারো নেই। অনুরূপভাবে ইবনে কাসির তার তাফসিরে ৬/৩৫৫ এবং আল্লামা নাসাফী তাফসিরে মাদারেকে ৩/১১৬ ও ইমাম শওকানী ফতহুল কাদির ৫/৪৯৮ এ উল্লেখিত আয়াতের এই অর্থই বর্ণনা করেছেন। অথচ ডা. সাহেব এসকল বড় বড় মুফাসিসরগণের বর্ণনাকে ভুল সাব্যস্ত করে নিজের বর্ণনা করা অর্থটিকে নিশ্চিত সঠিক সাব্যস্ত করায় অটল রয়েছেন।



সঠিক জবাব : আয়াতে কারীমার উদ্দেশ্য আল্লাহ তায়ালার জন্য ইলমে গায়েব প্রমাণ করা আর ইলমে গায়েব মূলত ঐ নিশ্চিত ইলমকে বলে যা বাহ্যিক কোনো কারণ ছাড়া কোনো যন্ত্রের মাধ্যম ব্যতিত অর্জিত হয়। আর চিকিৎসকদের ইলম শতভাগ নিশ্চিতও নয় এবং মাধ্যমহীনও নয়; বরং নিছক প্রবল ধারণা প্রসূত এবং যন্ত্রের মাধ্যমে অর্জিত হয়। তাই আল্ট্রাসনোগ্রাফি দ্বারা অর্জিত ধারণা প্রসূত ইলম দ্বারা কুরআনের আয়াতের ওপর কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হবে না।







গ. ইরশাদ হচ্ছে, হে নবী! ঈমানদার নারীরা যখন আপনার কাছে এসে এ মর্মে বাইয়াত করে যে তারা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না।







[সূরা মুমতাহেনা ১২]



ডা. সাহেব এই আয়াতের তাফসিরে বলেন-‘এখানে বাইয়াত শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। আর বাইয়াত শব্দে আমাদের আজ কালের ইলেকশনের অর্থও শামিল আছে। কেননা নবীজি সা. আল্লাহ তা’য়ালার রাসূলও ছিলেন সেই সাথে রাষ্ট্রপতিও ছিলেন। আর বাইয়াত দ্বারা উদ্দেশ্য তাকে সরকার প্রধান হিসেবে মেনে নেয়া ছিল। ইসলাম সেই যুগে নারীদের ভোট দেয়ার অধিকার অর্পণ করেছিল। [ডা. জাকির নায়েক, ইসলাম মেঁ খাওয়াতীনকে হুকুম : [৫ পৃষ্ঠা]



এখানেও ডা. সাহেব আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করে নারীদের জন্য ভোট দেয়ার অধিকার প্রমাণ করতে চাচ্ছেন যে নারীদের নবীজি সা. এর দরবারে এসে বাইয়াত করা বর্তমান যুগের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ারই একটি প্রাচীন পদ্ধতি। অথচ গণতন্ত্রের বাস্তবতা সম্পর্কে যারা অবগত তারা খুব ভালোভাবেই বুঝতে সক্ষম যে ডা. সাহেবের এই ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ বাস্তবতা পরিপন্থী এবং কুরআনের তাফসিরে নিজের জ্ঞানের অযথা ব্যবহার। কারণ বর্তমান গণতন্ত্র মোতাবেক সবার এখতিয়ার থাকে যে তারা প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজেদের রায় দিবে। যদি কারো ব্যাপারে সংখ্যাধিক্য ও মতাধিক্য না থাকে তাহলে সে প্রধান হতে পারে না। যদি নবীজি সা. এর বাইয়াত নেয়া ভোট নেয়া হতো তাহলে ঐ সকল নারী সাহাবীদের নবীজি সা. এর নেতৃত্ব মেনে নিতে অস্বীকার করার এখতিয়ার থাকতো।







ঘ. ইরশাদ হচ্ছে, হে হারূনের বোন তোমার পিতা মন্দ লোক ছিলেন না এবং তোমার মা ব্যভিচারি ছিলেন না’ [সূরা মারয়াম : ২৮]







সূরা মারয়ামের এই আয়াতটি না বুঝার কারণে একটি প্রসিদ্ধ প্রশ্ন তোলা হয় যে- ‘হযরত মরিয়ম আ. হযরত হারূন আ. এর বোন ছিলেন না এবং উভয়ের যুগের মাঝে এক হাজার বছরের ব্যবধান।’



এই প্রশ্নের জবাবে ডা. সাহেব বলেন- খ্রিস্টানরা বলে থাকে যে হযরত মুহাম্মদ সা. যিশুর মা ‘মেরী’ মারয়াম এবং হারূনের বোন মারয়ামের মধ্যে পার্থক্য জানা ছিলো না। অথচ আরবিতে উখতুন এর অর্থ আওলাদ (সন্তান)ও আছে। এ কারণে লোকেরা মারয়ামকে বললো হে হারূনের সন্তান এবং এর দ্বারা মূলত হারুণ আ. এর সন্তানই উদ্দেশ্য।



ডা. সাহেবের হাদিস ও লুগাত সমন্ধে অজ্ঞতার ওপর প্রতিষ্ঠিত এই গবেষণার বিশ্লেষণ স্বরূপ মুসলিম শরিফের হাদিসই যথেষ্ঠ। সহিহ মুসলিমে আছে- হযরত মুগীরা ইবনে শো’বা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- ‘যখন আমি নাজরানে গেলাম তো লোকেরা আমাকে প্রশ্ন করলো তোমরা ‘ইয়া উখতা হারূন’ পাঠ করে থাক অথচ মুসা আ. ঈসা আ. থেকে এতো এতো বছর পূর্বে। পরে যখন আমি নবীজি সা. কাছে এলাম তাকে এ সমন্ধে জিজ্ঞেস করলাম, তখন তিনি উত্তরে বললেন- ‘তারা তাদের পূর্ববর্তি নবী ও নেককারদের নামে নিজেদের নাম রাখতো।



[হাদিস নং ৫৭২১]



নবীজি সা. এই আয়াতের ব্যাখ্যা আজ থেকে চৌদ্দশত বৎসর পূর্বেই করেছেন যার ‘সারাংশ হলো হযরত ঈসা আ. এর মা হযরত মারয়াম হযরত মুসা আ. এর ভাই হারূন আ. এর বোন ছিলো না; বরং হযরত ঈসা আ. এর মায়ের ভাইয়ের নামও হারূন ছিলো এবং তারা নিজেদের নবী ও মাকবুল ব্যক্তিত্বের নামে নিজেদের নাম রাখতো। এতে বুঝা গেলো এটা কোনো নতুন প্রশ্নও নয় এবং নিজের পক্ষ থেকে কোনো জবাব বানানোরও কোনো প্রয়োজন নেই।



ডা. সাহেবের তাফসিরসংক্রান্ত হাদিস সমূহের ব্যাপারে কেমন অজ্ঞতা যে হাদিস ও তাফসিরের ভান্ডার থেকে বাস্তবতা পর্যন্ত পৌঁছার চেষ্ট না করে মনগড়া ব্যাখ্যা করছেন।







ঙ. ইরশাদা হচ্ছে-



{ وَالْأَرْضَ بَعْدَ ذَلِكَ دَحَاهَا} [النازعات: ৩০]



‘ওয়াল আরদ্বা বা’দা যালিকা দাহা-হা’



এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ডা. জাকির নায়েক সাহেব বলেন-‘এখানে دَحَاهَا দাহা-হা শব্দটি ডিমের অর্থে ব্যবহৃত আরবি শব্দ। যার অর্থ উট পাখির ডিম। উট পাখির ডিম পৃথিবীর আকৃতির সাথে সামঞ্জস্যতা রাখে। অথচ যখন কুরআন নাযিল হয় তখন ধারণা করা হতো পৃথিবী চেপ্টা।’



[খুতুবাতে জাকির নায়েক কুরআন এবং বর্তমান সাইন্স :/৭৩-৭৪]



কুরআনে কারীমের বিষয়বস্ত্ত হলো- তাওহীদ এবং রেসালত প্রাকৃতিক বিষয়াদির আলোচনা প্রাসঙ্গিকভাবে আছে। ব্যাপারটি না বুঝা এবং বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার কারণে ডা. সাহেব পৃথিবীর আকৃতির ব্যাখ্যা করতে যেয়ে আয়াত দিয়ে ভুল পদ্ধতিতে প্রমাণ দিচ্ছেন। এবং আয়াতের মনগড়া ব্যাখা করেছেন। ‘দাহবুন’ শব্দ ও দাল, হা. ওয়াও এর মাদ্দাটি আরবিতে ছড়ানো এবং ছড়িয়ে যাওয়ার অর্থ বুঝায়। সে মোতাবেক ‘দাহা-হা’ -এর ব্যাখ্যা ও অনুবাদ হলো পৃথিবীকে ছড়ানো এবং বড়







৩। হাদিস সম্পর্কে অজ্ঞতা :







হাদিসের ভান্ডারের ব্যাপারে অজ্ঞতার কারণে ডা. সাহেব অনেক স্থানে সহীত হাদিসের পরিপন্থি মাসায়েল বলেছেন- এমনকি অনেক জায়গায় কোনো মাসআলায় একাধিক হাদিস থাকা সত্ত্বেও বলে ফেলেছেন যে এ ব্যাপারে কোনো দলীল নেই। নিম্নে ডা. সাহেবের হাদিসের ব্যাপারে অজ্ঞতা, অথবা জেনে বুঝে না দেখার ভান করার কিছু নমুনা উল্লেখ করছি







ক. নারীদের জন্য হায়েজ অবস্থায় কুরআন পাঠ করার বৈধতা :







এক আলোচনায় নারীদের বিশেষ দিন সম্পর্কে ডা. সাহেব বলেন-‘কুরআন ও হাদিসে নামাজের ব্যাপারে ছাড় দেয়া আছে। তবে কোনো হাদিসে এ কথা নেই যে কুরআন পড়তে পারবে না।’



অথচ তিরমিজি শরিফে স্পষ্ট হাদিস- ‘ঋতুবর্তি ও জুনুবি কুরআনের কিছু পাঠ করবে না।’ [হাদিস নং ১৩১]



এখন চিন্তুা করুন ডা. সাহেব সহীহ ও স্পষ্ট হাদিস থাকা সত্ত্বেও সবজান্তা হওয়ার দাবি করে এটাকে অস্বীকার করে দিলেন।







খ. রক্ত বের হলে অজু ভাঙ্গার ব্যাপারে হানাফিদের কোনো দলীল নেই।







ডা. সাহেব একটি বক্ততৃায় রক্ত বের হলে অজু ভাঙ্গা ও না ভাঙ্গার বিষয়ে কথা বলতে যেয়ে বলেন- ‘ কোনো কোনো আলেম বিশেষ করে হানাফি মাযহাবের সাথে সম্পৃক্ত উলামায়ে কেরামের ধারণা মতে রক্ত বেয়ে পড়লে অজু ভেঙ্গে যায়। নামাজের মধ্যে রক্ত বেয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কার কি করা উচিত এই প্রশ্নের জবাবে তাদের (হানাফিদের) ফতোয়া অনেক লম্বা। তবে তাদের এই দৃষ্টিভঙ্গির সমর্থনে বাহ্যিকভাবে কোনো প্রমাণ নেই।’



[হাকিকতে জাকির নায়েক : ২১৪]



এখানে ডা. সাহেব হানাফি মাযহাবের সাথে সম্পৃক্ত উলামায়ে কেরামের ওপর অভিযোগ দিচ্ছেন যে তারা প্রমাণ ছাড়াই অজু ভাঙ্গার কথা বলেন- অথচ রক্ত বের হলে অজু ভাঙ্গাসংক্রান্ত অনেক হাদিস বর্ণিত আছে। তাছাড়া সাহাবায়ে কেরামের আমলও এর উপর ছিলো। নিম্নে কিছু উদ্বৃতি দিচ্ছি- হযরত আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- ফাতিমা বিনতে আবু হুবাইশ রা. নবী কারীম সা. এর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার এতো বেশি রক্তস্রাব হয় যে, আর পবিত্র হইনা। এমতাবস্থায় আমি কি সালাত ছেড়ে দেবো? রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করলেন- না, এতো ধমনি নির্গত রক্ত, হায়েয নয়। তাই যখন তোমার হায়েয আসবে তখন সালাত ছেড়ে দিও। আর যখন তা বন্ধ হবে তখন রক্ত ধুয়ে ফেলবে, তারপর সালাত আদায় করবে। হিশাম বলেন, আমার পিতা বলেছেন, তারপর এভাবে আরেক হায়েয না আসা পর্যন্ত প্রত্যেক সালাতের জন্য উযু করবে। [বুখারি ২২৮]



অপর হাদিসে এসেছে- ‘নামাজের মধ্যে যদি কারো নাক দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে তাহলে তার কর্তব্য হচ্ছে রক্ত ধুয়ে নিবে এবং অজু দুহরিয়ে নিবে। [দারেকুতনী হাদিস নং ১৭/১৮/১৯]



অপর হাদিসে এসেছে- ‘রক্ত গড়িয়ে পড়লে অজু আবশ্যক হয়ে যায়।’ [নসবুর রায়াহ ১/৩৭]



এগুলো এবং এগুলো ছাড়াও আরো অনেক রেওয়াত থাকা সত্ত্বেও ডা. সাহেব নিজের অজ্ঞতা প্রকাশ না করে উল্টো মুজতাহিদ সুলভ দাবি করে বসলেন যে বাহ্যিকভাবে রক্তের কারণে অজু ভাঙ্গার ওপর কোনো প্রমাণ নেই।







গ. পুরুষ ও নারীর নামাজে পার্থক্য করা বৈধ নয়







অন্য এক জায়গায় ডা. জাকির নায়েক সাহেব পুরুষ ও নারীর নামাজের মধ্যে পার্থক সম্পর্কে বলেন- ‘ কোথাও একটিও সহীহ হাদিস পাওয়া যায় না যাতে নারীদের জন্য পুরুষদের থেকে আলাদা পদ্ধিতিতে নামাজ আদায়ের নির্দেশ আছে, বরং তদস্থলে সহীহ বুখারির রেওয়াতে আছে হযরত উম্মে দারদা রা. বর্ণনা করেন আত্তাহিয়্যাতুর মধ্যে নারীদের পুরুষদের মতোই বসার নির্দেশ রয়েছে।



এখানে ডা. সাহেব দুটি বিষয় একেবারেই ভুল বলেছেন- এক. নামাজের ক্ষেত্রে পুরুষ নারীর মাঝে পার্থক্যসংক্রান্ত কোনো হাদিস নেই।







দুই. নবীজি সা. নারীদের পুরুষদের মতো বসার নির্দেশ দিয়েছেন।



ডা. সাহেব প্রথম কথাটি বলে ঐ সকল হাদিস অস্বীকার করে দিয়েছেন যার মধ্যে পুরুষ ও নারীর নামাজের পার্থক্য উল্লেখ আছে। নিম্নে এমন কিছু রেওয়াত উল্লেখ করছি-



নবীজি সা. ইরশাদ করেন- ‘তোমাদের কি হয়েছে, সালাতে কোনো ব্যাপার ঘটলে তোমরা হাততালী দিতে থাকো কেন? হাততালি তো মেয়েদের জন্য।’



[বুখারি ১/১৭৪]



হযরত ওয়াইল ইবনে হজর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমাকে নবীজি সা. বলেছেন- ‘ হে ওয়ায়েল ইবনে হজর! যখন সালাত আদায় করবে তখন তোমার হাতদ্বয় কান পর্যন্ত ওঠাবে এবং নারী তার হাত তার স্তন পর্যন্ত ওঠাবে।



[আল মুজামুল কাবীর ২৮]



হযরত এযিদ ইবনে আবি হাবীব থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- নবীজি সা. এমন দু’জন নারীর পাশ দিয়ে অতিক্রম করলেন, যারা নামাজ পড়ছিলো, তখন তিনি বললেন- যখন তোমরা সেজদা কর তখন শরীর জমিনের সাথে মিলিয়ে রাখবে, কেননা, নারী এক্ষেত্রে পুরুষের মতো নয়।



[বাইহাকী- ৩০১৬]



এই রেওয়ায়াতগুলোতে পুরুষ ও নারীদের নামাজের মধ্যে বিভিন্ন পার্থক্যের উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া আরোও অনেক হাদিস রয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত গ্রন্থাবলীতে বিস্তারিত দেখা যেতে পারে। আর দ্বিতীয় কথাটি হলো- বুখারি শরিফে নারীদের পুরুষদের মতো বসার নির্দেশ সম্পর্কিত নবীজি সা. নির্দেশের ব্যাপারটিকে নবীজি সা. এর দিকে একটি ভুল সম্পৃক্তকরণ বৈ কিছু না। হযরত উম্মে দারদা রা. এর যে বর্ণনার রেফারেন্স ডা. সাহেব দিয়েছেন তার ভাষ্য হলো-



হযরত উম্মে দারদা তার সালাতে পুরুষদের মতো বসতেন এবং তিনি ফকীহ ছিলেন। [বুখারি ১/১১৪]



এখানে কোথাও নবীজি সা. এর কর্মের আলোচনা নেই; বরং এটা একজন নারী সাহাবীর আমল। যার উল্লেখ করে ইমাম এই কথারই ঈঙ্গিত দিয়ে ছিলেন যে তিনি ফকিহ ছিলেন নিজের ইজতিহাদে এমন করতেন। উপরন্তু ইমাম বুখারি হাদিসটি মুয়াল্লাক করে উল্লেখ করেছেন সনদ বলেননি।







৩। আইয়্যিম্মায়ে মুজতাহিদীনের অনুসরণ থেকে পালায়ন এবং ফেকহী মাসায়েলের ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ মত থেকে স্পষ্ট বিচ্যুতি।







ডা. জাকির নায়েক সাহেবের লিখনি ও বক্তব্যের আলোকে তাকে কোনো ইমামের অনুসারী বলে মনে হয় না। বরং তিনি স্বেচ্ছাচারিতা, প্রগতিশীলতা, মাযহাববিহীন মানুষ হিসেবে প্রতিয়মান হন। শুধু যে তিনি নির্দিষ্ট কোনো ইমামের তাকলীদ করেন না- তাই নয়; বরং তাকলীদকারী নিষ্ঠাবান জনসাধারণকে তাকলীদ না করার পন্থা অবলম্বনের শিক্ষা দেন এবং নিজের বয়ান কৃত মাসায়েলে কোথাও কোনো ইমামের কথা ও তার ইস্তিম্বাত করা হুকুম নিজের দিকে সম্পৃক্ত করে নকল করেন। আবার কোথাও নিজে মুজতাহিদ সুলভ ভঙ্গিতে মাসআলা বয়ান করতে থাকেন। অথচ তার মাসায়েল নকল করার ক্ষেত্রে ঐ নির্দিষ্ট ইমামের নাম নেয়া কর্তব্য ছিল। যিনি এই মাসআলাগুলো ইস্তিম্বাত করেছেন। যাতে করে শ্রোতাগণ এই ভুল না করে বসে কুরআন ও সুন্নাহ থেকে শুধুমাত্র এটাই প্রমাণ হয়। এছাড়া যে অন্য সকল বিষয় যার ওপর লোকেরা আমল করছে তা কুরআন ও হাদিস থেকে প্রমাণিত ও আইয়্যিম্মায়ে মুজতাহিদীনের বক্তব্য হলেও তা ভুল। নিম্নোক্ত উদাহরণসমূহ থেকে বিষয়গুলো খুব সুন্দরভাবে অনুমান করা সম্ভব।











ক. অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা বৈধ



ডা. সাহেব এক স্থানে বলেন- ‘অজুছাড়া কুরআনে কারীম স্পর্শ করার অনুমতি থাকা চাই। অথচ ডা. সাহেবের এই বক্তব্য কুরআনে কারীমের আয়াত-



{لَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ} [الواقعة: ৭৯]



‘লাইয়া মাসসাহু ইল্লাল মুতাহ হারুন’ [সূরা ওয়াকিয়া ৭৯]



তাছাড়া সকল মুজতাহিদ ইমামগণের মতেরও বিরুদ্ধে।







খ. জুমার খুতবা আরবি ভাষার স্থলে স্থানীয় ভাষায় হওয়া চাই ।



একস্থানে জুমার খুতবার সম্পর্কে ডা. সাহেব বলেন- ‘আমি মনে করি আমাদের দেশে জুমার খুতবা স্থানীয়, মাতৃভাষায় দেয়ার ওপর গুরুত্ব দেয়া হোক যাতে করে …. অথচ নবীজি সা. এর যুগ থেকে আজ পর্যন্ত জুমার খুতবা আরবি ভাষায় দেয়ার ধারাবাবিহক নিয়ম চলে আসছে। আজ ডা. সাহেব এই দাওয়াত দিচ্ছে যে খুতবা স্থানীয় ভাষায় হওয়া চাই। যাতে জনগণ বুঝতে পারে। অথচ এই স্বার্থ আরবি যারা জানেনা তাদের বুঝা নবীজি সা. এর যুগেও বিদ্যমান ছিল। কারণ নবী কারীম সা. খুতবা সমূহতে অনারব ব্যক্তিবর্গও শরীক হতো। তবুও নবী কারীম সা. সর্বদা আরবিতেই খুতবা দিয়েছেন। অন্যকোনো ভাষায় খুতবা দেয়ানোর ব্যবস্থা করেননি। আর পরে এর অনুবাদও করাননি। অনুরূপভাবে সাহাবায়ে কেরাম তাবেঈন ও তাবে তাবেঈন এবং তাদের অনুসারীগণ আরব থেকে বের হয়ে ভিন্ন দেশে গিয়েছেন। প্রাচ্যে পাশ্চাত্যে ইসলাম ছড়িয়েছে। তদুপরি সকল স্থানে খুতবা সর্বদা আরবি ভাষায়ই দিয়েছেন। অথচ তাদের দ্বীনের তাবলীগের প্রয়োজন বর্তমান থেকেও বেশি ছিলো। মোট কথা খোলাফায়ে রাশেদীন, সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈনের ইজমামের কর্মধারা ও নিরবচ্ছিন্ন আমল এবং সমস্ত উম্মাহ ধারাবাহিক কর্ম পন্থা। একথার স্পষ্ট প্রমাণ যে খুতবা আরবি ভাষায় দেয়াই আবশ্যক। এমনকি ইমাম মালেক রহ. বলেন- জুমার নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য খুতবা আরবি ভাষায় হওয়া আবশ্যক। যদিও পূর্ণ উপস্থিতি অনারবদের হোক না কেন এবং আরবি কেউ না জানুক এবং আরবি ভাষায় খুতবা পাঠ করতে সক্ষম এমন একজনও উপস্থিত না হয়ে থাকে তাহলে সকলের জোহরের নামাজ আদায় করা আবশ্যক হবে। জুমা তাদের রহিত হয়ে যাবে।



[হাশিয়ায়ে দুসুকী আলাশ শারহিল কাবীর ১/৩৭৮]



তাছাড়া শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহ. বলেন- খুতবা শুধু আরবি ভাষাই হওয়া আবশ্যক। প্রাচ্চ্য থেকে পাশ্চাত্বের সকল মুসলমানের আমল এটাই ছিল। [মুসাফফা শরহে মু’আত্ত্বা ১৫২]







গ. তিন তালাক একটি তালাকই হওয়া চাই







ডা. সাহেব বলেন- ‘তিন তালাকের জন্য এতো শর্ত রয়েছে যা পূর্ণ হওয়া সম্ভব নয়। সৌদি আরবে তিনশত ফতোয়া আছে। তাই তালাক একটিই বর্তমানের অবস্থার বিবেচনায় একটিই হওয়া চাই’।



[খুতুবাতে জাকির নায়েক : ৩৩১]



অথচ সাহাবায়ে কেরাম তাবেঈনে ইজমা, চার ইমাম, উম্মাহের সংখ্যাগরিষ্ঠ উলামা এবং বর্তমান যুগের সৌদি আরবের সকল গ্রহণযোগ্য আলেমগণের কাছে এক মজলিসের তিন তালাক তিনটি তালাকই সংগঠিত হয়, একটি নয়। এ মাসআলায় পূর্ণ ইতিহাসে গ্রহণযোগ্য কোনো আলেমের মতোবিরোধ নেই। ইবনে তাইমিয়া এবং তার শাগরিদ ইবনুল কাইয়্যিম ছাড়া। কিন্তু সমগ্র জাতির যাদের মধ্যে চার ইমাম- ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেঈ ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলও শামিল। মুকাবিলায় এই দুইজনের মতে কিছুতেই অনুসরণযোগ্য হতে পারে না।



ডা. সাহেব এমন ঐক্যমতের বিধানের পরিপন্থি মাসআলা বলে জাতিকে পথভ্রষ্ট করছেন। এই বিধানটি কুরআনের আয়াত অসংখ্য হাদিস এবং সাবাবায়ে কেরামের কর্মপদ্ধতি থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণীত হয়।



‘হযরত নাফে বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. এর কাছে যখন ঐ ব্যক্তি সমন্ধে ফতোয়া জিজ্ঞাসা করা হতো যে তিন তালাক দিয়ে দিয়েছে। তখন তিনি বলতেন যদি তুমি এক. দুই তালাক দিতে (তাহলে ফিরিয়ে নিতে পারতে) কেননা নবীজি সা. আমাকে এর (ফিরিয়ে নেয়ার) নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদি তিন তালাক দেয় তাহলে হারাম হয়ে যাবে যতোক্ষণ না অন্য স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।



অপর হাদিসে আছে- হযরত মুজাহিদ বলেন, আমি ইবনে আববাস রা. কাছে ছিলাম এমতাবস্থায় এক ব্যক্তি এসে বললো, সে তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন হযরত ইবনে আববাস রা. চুপ থাকলেন। আমি মনে করলাম তিনি স্ত্রীকে ফিরিয়ে দিবেন। (রোজআতের নির্দেশ দিবেন) কিন্তু তিনি বললেন তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ বোকামি করে বসে অতঃপর ইবনে আববাস ইবনে আববাস বলে চিল্লাতে থাকে। শোন আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন- ‘ যে আল্লাহকে ভয় পায় তার জন্য রাস্তা করে দেন। তোমরা নিজেদের প্রভুর সাথে নাফরমানী করছে (তিন তালাক দিয়ে দিয়েছে) তাই তোমাদের স্ত্রী বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।



হযরত ইমাম মালিকের কাছে এই বর্ণনা পৌঁছেছে যে এক ব্যক্তি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আববাসের কাছে জিজ্ঞাসা করলে। আমি আমার স্ত্রীকে এক তালাক দিয়ে দিয়েছি। আপনি এ ব্যাপারে কি বলেন? হযরত ইবনে আববাস রা. উত্তর করলেন এর মধ্য থেকে তিন তালাক তোমার স্ত্রীর ওপর পতিত হয়েছে অবশিষ্ট সাতানববই তালাকের মাধ্যমে তুমি আল্লাহ পাকের আয়াত নিয়ে খেলেছ।



আরেক হাদিসে আছে- হযরত ইমাম মালিকের কাছে এই রেওয়াত পৌঁছেছে যে এক ব্যক্তি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের কাছে এসে বললো আমি আমার স্ত্রীকে আটটি তালাক দিয়েছি। হযরত ইবনে মাসউদ রা. জিজ্ঞাসা করলেন লোকেরা তোমাকে কি বলেছে? সে জবাব দিলো আমার স্ত্রী বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। হযরত ইবনে মাসউদ রা. বলেন ঠিক বলেছে। অর্থাৎ তিন তালাক হয়েছে।



[মুআত্ত্বা ইমাম মালেক-১৯৯]



অপর হাদিসে আছে- হযরত হাসানের বর্ণনা আমাদের হযরত ইবনে উমর রা. বলেন- যে তিনি তার স্ত্রীকে মাসিকের সময় এক তালাক দিয়ে দিয়েছিলেন। অতপর ইচ্ছা করলেন দুই তোহরে (পবিত্রতার সময়) অবশিষ্ট দুই তালাক দিয়ে দিবেন। নবীজি সা. অবগত হলেন এবং বললেন- ‘হে ইবনে উমর! এভাবে আল্লাহ তোমাকে নির্দেশ দেননি। তুমি সুন্নত তরীকার খেলাফ করেছো। সুন্নত তরীকা হলো তোহরের অপেক্ষা করবে এবং প্রতি তোহরে এক তালাক করে দিবে। এরপর নবীজি সা. আমাকে ফিরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিলেন। সেমতে আমি ফিরিয়ে নিলাম। এরপর বললেন- যখন সে পবিত্র হয়ে যাবে তখন তোমার এখতিয়ার, ইচ্ছা করলে তালাক দিয়ে দিতে পারবে আর ইচ্ছা করলে রেখেও দিতে পারবে। হযরত ইবনে উমর রা. বলেন, এরপর আমি নবীজি সা. কে জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! যদি আমি তিন তালাক দিয়ে দিতাম তাহলে কি আমার ফিরিয়ে আনা জায়েজ হতো? নবীজি বললেন- না। সেক্ষেত্রে তোমার স্ত্রী তোমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতো এবং তোমার এই কাজ (তিন তালাক প্রদান) গুনাহের কাজ হতো। দারেকুতনী ২/৪৩৮



আপনি লক্ষ্য করেছেন যে উল্লেখিত হাদিসসমূহে তিন তালাকের মাধ্যমে তিন তালাকই হওয়ার বিধান রয়েছে। এছাড়াও আরোও অনেক রেওয়াত স্পষ্টভাবে প্রমাণ করছে যে- তিন তালাক তিন তালাকই হবে। এক তালাক নয়।



বি:দ্র: ডা. জাকির নায়েক তার বক্তৃতায় সৌদি আরবের তিনশত আলেমের উদ্বৃতি দিয়েছেন। তারপর নিজের মতামতও পেশ করেছেন। কিন্তু তারা কোন কোন আলেম তা উল্লেখ করেননি। অথচ সৌদি আরবে তাহকীকাতে ইলমিয়ার সম্মানীত মুফতীগণ তিন তালাক দ্বারা তিন তালাক হওয়ারই ফতোয়া দিয়েছেন। তাদের সিদ্ধান্তটি নিম্নরূপ :-



এক শব্দে তিন তালাকসংক্রান্ত বিষয়ে হাইয়াতুল বিবারিল উলামা এর সাধারণ পরিষদ থেকে পেশকৃত ও লাজনাতুদ্দায়েমা লিল বুহুস ওয়াল ইফতা থেকে প্রস্ত্ততকৃত গবেষণার ওপর অবগতি লাভ পূর্বক মাসআলাটি নিয়ে স্টাডি মতবিনিময় ও সংশ্লিষ্ট মতামতসমূহ পেশ করা এবং প্রত্যেক মতামতের ওপর আরোপিত বিষয়াদি নিয়ে আলোচনার পর বোর্ডের অধিকাংশ এক শব্দের তিন তালাকে তিন তালাক পতিত হওয়ার বিষয়টিই গ্রহণ করেছেন। মাজাল্লাতুল বুহুস আল ইসলামিয়া ১ম খন্ড ৩য় সংখ্যা







১৩৯৭ হি:



ঘ. ডা. সাহেব একটি আলোচনায় বক্তৃতার সময় পরামর্শ দেন ‘ মুসলমানদের এমন পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত যেনো সমগ্র বিশ্বে একই দিন ঈদ হতে পারে।’







ডা. সাহেবের এই বক্তব্য ‘ছূমূ লিরুয়াতিহী ওয়া আফতিরুলি রুয়াতিহী’ মুসলিম-২৫৬৭



অর্থাৎ ‘চাঁদ দেখে রোজা রাখা ও চাঁদ দেখেই ইফতার করো।’ এ হাদিসটির পরিপন্থি হওয়ার সাথে সাথে সুস্থ বিবেকেরও পরিপন্থি। কেননা একই দিনে ঈদের মাসআলাটির মূলত এই ভিত্তিতে সৃষ্টি হয় যে ঈদকে একটি উৎসব দেশীয় অনুষ্ঠান বা জাতীয় দিবস সাব্যস্ত করা হয়। অথচ এটা চূড়ান্ত পর্যায়ের একটি ভুল চিন্তা। কেননা আমাদের ঈদ রমজান বা মুহাররম কোন উৎসব নয়, বরং সবগুলোই ইবাদত, তাছাড়া সময় সব দেশ ও এলাকার আকাশ সীমার বিবেচনায় হওয়া একটি আবশ্যকীয় বিষয় আমরা হিন্দুস্তানে যখন আসরের নামাজ আদায় করি তখন ওয়াশিংটনে সকাল হয়। যখন হিন্দুস্তানে আমরা জোহরের নামাজ আদায় করি তখন লন্ডনে মাগরিবের নামাজ হয়ে যায়। এছাড়া এমনও হয় যে এক দেশে জুমার দিন হলে অন্যদেশে তখনো বৃহস্পতিবার, আবার কোথাও শনিবার শুরু হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে সারাবিশ্বে একই দিনে ঈদ পালনের চিন্তা কিভাবে করা যায়?



মোটকথা এসকল সমালোচনার আলোকে বুঝা গেলো ডা. জাকির নায়েক অনেক মাসআলায় আহলে সুন্নাতওয়াল জামাআত থেকে বিচ্যুত। কুরআন ও হাদিসের ব্যাখ্যায় আরবি ভাষাও পূর্বসূরিদের থেকে বর্ণিত তাফসিরসমূকে দূরে ঠেলে দিয়ে খোড়া যুক্তির মাধ্যমে তাফসির করে অর্থগত বিকৃতির শিকার। তাছাড়া তিনি (ডা. সাহেব) শরীয়তের ইলম ও এর উদ্দেশ্যাবলী সম্পর্কে গভীর জ্ঞান না থাকা সত্ত্বেও কোনো ইমামের তাকলীদ করেন না। বরং উল্টো তিনি মুজতাহিদ ইমামগণের সমালোচনা করেন। তাই তার কথাবার্তা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। তার প্রোগ্রাম দেখা তার বয়ান শোনা এবং তাহকীক ছাড়া তার ওপর আমল করা অত্যন্ত ক্ষতিকর। আর যেহেতু বাস্তব তাহকীক করা সব ধরনের মানুষের কাজ নয়। তাই তার প্রোগ্রাম সমূহ থেকে সাধারণ জনতার বেঁচে থাকাই আবশ্যক। তাছাড়া প্রত্যেক মুমিনের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে দ্বীনের বিষয় যা অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয়। মানুষ দীনের কথা শুনে এবং এর ওপর আমল করে শুধু আখেরাতের নাজাতের জন্য। এক্ষেত্রে শুধু মাত্র নতুন নতুন তাহকীক, ত্বরিত জবাব, রেফারেন্সের আধিক্য এবং মানুষের মাঝে বাহ্যিক গ্রহণযোগ্যতা দেখে তাহকীক ছাড়া কারো কথার ওপর কখনোই আমল করা উচিত নয়; বরং মানুষের চিন্তুা করা জরুরি যে সে ব্যক্তি দীনী ইলমের কতোটুকু যোগ্যতা রাখে। কোন কোন উস্তাদদের থেকে ইলম অর্জন করেছে। কোন পরিবেশে সে প্রতিপালিত হয়েছে। তার পোশাক-আসাক, বাহ্যিক অবস্থা অন্যান্য উলামায়ে কেরামের সাথে সামঞ্জস্যতা রাখে কিনা?



তাছাড়া সমসাময়িক গ্রহণযোগ্য উলামা মাশায়েখের তার ব্যাপারে কি মতামত? এটাও দেখা জরুরি যে তার দ্বারা প্রভাবিত ও তার আশপাশে একত্র হয় এমন ব্যক্তিবর্গের মধ্যে কি পরিমাণ সহীহ দ্বীনি অনুভূতি রাখে এবং দীনি খিদমতে জড়িত গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির পরিমাণই বা কেমন? তার কাছাকাছি কিছুগ্রহণ যোগ্য ব্যক্তি থাকলে তাদের কাছে জানা প্রয়োজন যে তার ধরন কি? তারা কেন তার কাছে আছে? এমন তো নয় যে কোন ভুল ধারণার বশিভূত হয়ে বা জ্ঞানের স্বল্পতা অথবা কোন স্বার্থে কাছাকাছি দেখাচ্ছে। মোটকথা এই সকল বিষয় তাহকীক করার পর যদি নিশ্চিত হওয়া যায় তাহলেই কেবল দ্বীনি বিষয়ে তার কথা গ্রহণ ও আমলযোগ্য সাব্যস্ত হবে। নতুবা তার কাছ থেকে দূরত্ব অবলম্বন করার মধ্যেই ঈমানের নিরাপত্তা। প্রসিদ্ধ তাবেঈ মুহাম্মদ ইবনে সীরিনের বাণী- ‘দীনের কথা শোনা ও শিখার জন্য জরুরি হলো যে খুব চিন্তা করো যে কেমন লোক থেকে ইলম অর্জন করছো এবং দীন শিখছো। আল্লাহ তা’য়ালা সবাইকে সঠিক পথে চলার তাওফিক দান করুন।



আমীন







আরবি হাওয়ালা ও বিস্তারিত দেখার জন্য নিচের লিঙ্কে মুল ফতোয়াটি দেখুন ।



http://darulifta-deoband.org/

সূত্রঃ

মন্তব্য ৭২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩১

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: শিরোনাম দেখে পোস্টটি পড়ার প্রয়োজন মনে করছি না। তবে লালনের একটা গানের লাইন মনে পড়ছে।

এক কানা কয় আরেক কানারে
চলো এবার ভবো পাড়ে
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বারংবার

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৩

কসমিক রোহান বলেছেন: আপনি যদি নিজেকে মুসলিম মনে করেন তবে আপনার পড়া আবশ্যক।
আর যদি নাস্তিক হন তাহলে কৃতকর্মের জন্য আপনিই দায়ী।
নাস্তিকদের আমি জ্ঞান-পাপি অথবা মূর্খ ছাড়া আর কিছুই মনে করিনা।

আর লালনের কথা আর কি বলব , নিচে একটা পোষ্ট এর লিঙ্ক দিলাম।
লালন ছিলো মুসলিম বিদ্বেষী এবং সাম্প্রদায়িক। মূলত: এক শ্রেণীর বৈষ্ণব। যারা লালন কে মুসলিম বলতে চান তাদের জন্য

২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

অপরিচিত অতিথি বলেছেন: অর্ধেক পরছি। বাকীটা পরে পড়ব। নো কমেন্ট এব্যাউট টপিকস।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৩

কসমিক রোহান বলেছেন: সম্পূর্ণ পোষ্ট টা দয়া করে একবারের জন্য হলেও পড়বেন।

৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

পিচ্চি হুজুর বলেছেন: এই হইল উপমহাদেশের আলেমদের সমস্যা। ডা জাকির নায়েক এর আসলে কোন এক কওমী মাদ্রাসা থিক্কা সার্টিফিকেট নেয়া দরকার আছিল, তাইলে উনি আলবত সহীহ হইতেন।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩০

কসমিক রোহান বলেছেন: ইসলামে কারো মনগড়া কথার স্থান নেই। সবই হতে হবে পরিশুদ্ধ আল-কুরআন আর হাদীসের আলোকে।

ইসলাম কে গোড়া বা রুট লেভেল থেকেজানতে হবে, মাঝখান থেকে ইসলাম কে বোঝা যাবেনা।
আলিফ , বা , তা, ছা থেকে শুরু করা যেতে পারে, বুঝতে পারবেন।
মাঝখান থেকে বুঝা যাবেনা কিছুই।
ইসলাম কে শিখতে হবে এমন কারো কাছে থেকে যার ইসলামী ইলম এসেছে উর্দ্ধক্রমে স্বয়ং রাসুলাল্লাহ (সাঃ) কাছ থেকে।
আপনি কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে যেতে পারেন। একদম রুট লেভেল থেকেশিখতে পারবেন।
অন্যথায় একজন আলেম এর কাছে যান, যিনি রুট থেকে ইসলাম জেনেছেন।
আমরা যারা জেনারেল সাবজেক্ট এর স্টুডেন্ট তাদের মেন্টালিক সেটাপ এবং লজিক তৈরী হয়েছে আলাদাভাবে যা আমাদেরকে আমাদের নিজেদের পছন্দমত লজিক গ্রহণে কার্যকর ভূমিকা রাখে। আমাদের সুবিধা অনুযায়ী লজিক আমরা মানি।
কোন কিছুর উপর ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়ে অনুমান করে লজিক স্থাপন করলে সেটা অধিকাংশ সময়েই ভুল হয়।
একটা ছোট্ট ভুলেই অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে।
তাই সাবধানী থাকা শ্রেয়।

৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২

উড়োজাহাজ বলেছেন: আপনার জ্ঞানগর্ভ লেখা পড়ে বিষ্মিত বোধ করছি। তারপরেও প্রশ্ন- অপরের ছিদ্রান্বেষণ না করে এই প্রতিভাকে অন্যভাবে কাজে লাগাতে পারেন না?
ঐক্য গড়ার কথা বলতে পারেন না?
আর কত ভাঙ্গবেন? ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে এখন তো আর কিছু বাকী নাই। গুটি কয় ইসলাম বিদ্বেষীদের দাপটে ৯০ভাগ মানুষের ত্রাহী কান্না, এককোটি ইহুদির লাথিতে ৩০ কোটি আরবের পেটের হালুয়া বের হচ্ছে আর আপনারা জ্ঞানের ভারে নুয়ে পড়ছেন।
বলতে পারেন আল্লাহর ভাষায় শ্রেষ্ঠ জাতি এখনো আছেন? বলতে পারেন দুনিয়ায় এখন কার হুকুম চলে? থাক আর কিছু বললাম না।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪২

কসমিক রোহান বলেছেন: হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, "আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, একটি দল ব্যতীত ৭২টি দলই জাহান্নামে যাবে।

আমরা কোন দলে আছি তা বিবেচনা করা উচিৎ। নাহলে শেষে কি হবে?

এখানে সম্পূর্ণ টা দেখুন

৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩

উড়োজাহাজ বলেছেন: এই জন্য কি অন্যের পাছার গন্ধ শুকবেন? অন্যের পাছার গন্ধ শুকার মাঝেই কি ঐ একটি দলের অংশ প্রমাণিত হয়?
হয় না। তাই ঐক্যের কথা বলুন, বিভেদ ব্যবধান দূর করার উপায়ের কথা বলুন- যা এই সময়ের প্রকৃত দাবি, ঐ শেষ দলটির কাজ।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৫

কসমিক রোহান বলেছেন: আপনি ভদ্রশব্দে লিখুন। ভদ্রতার পরিচয় দিন।

সবার আগে চাই নিজের বিশুদ্ধতা, তারপর বিশুদ্ধ পথে সবাইকে ডাকুন, বুঝান, ঐক্য গড়ে তুলুন। এটাই হবে উত্তম।

সহজ কথা না বুঝলে আর কিভাবে বুঝবেন। চিন্তা করুন গভীর ভাবে, বুঝবেন।

গলদযুক্ত পথে ডাকলে ক্ষতি ছাড়া লাভ নাই।

৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ব্যক্তি আক্রমণে কেন যান?? বুঝলাম, লালন সাম্প্রদায়িক ছিলেন। কিন্তু তার এই কখাটি ব্যাখ্যা করুন। তিনি কি বলেছেন সেটার সমালোচনা করুন মুরোদ থাকলে।

এক কানা কয় আরেক কানারে
চলো এবার ভবো পাড়ে
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বারংবার

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৮

কসমিক রোহান বলেছেন: লালনের এই ভণ্ড বাক্যের কোন মূল্য নেই আমার কাছে।

আমার কাছে মূল্য আছে আল-কুরআনের, হাদীসের।

৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৭

সেল্ফ রিলায়েবল বলেছেন: অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি বিষয় দেখে কমেন্ট করা জরুরী মনে করে ব্লগে লগিন করলাম।

প্রথম কথা হচ্ছে মানুষের ভুল হতে পারে এবং মানুষ ভুল করতে পারে। কিন্তু তাই বলে কাউকে বাতিলের খাতায় ফেলে দেয়া ঠিক না।

অাপনি উপরের লেখায় জাকির নায়েকের বক্তব্যের যে রেফারেন্স দিয়েছেন সেগুলো হল "ই’লামুল মাআক্কিঈন ১/৯১, ইসলাম আউর আলমী উখুওয়াত-৩৩ ডা. জাকির নায়েক, খুতুবাতে জাকির নায়েক : ২৯০" ইত্যাদি।

এগুলোকি জাকির নায়েকের লেখা বই, নাকি জাকির নায়েক সম্পর্কে কেউ এই ধরনের বই লিখেছে? যদি এগুলো জাকির নায়েক সম্পর্কে কারো লেখা হয়ে থাকে তাহলে সেখান থেকে রেফারেন্স দিয়ে তাকে মিথ্যা বা বাতিল সাব্যস্ত করা ঠিক নয়।

একটি বইয়ের রেফারেন্স দিলাম যেখান– ডাঃ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগ ও অপপ্রচারের জবাব দেয়া হয়েছে।
লিংক: Click This Link

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৩

কসমিক রোহান বলেছেন: একজন মানুষ যদি ইসলাম প্রচার করতে চায় তাহলে তাকে পরিপূর্ণ ইসলাম পালন করতে হবে।

ড.জাকির নায়েক কে দেখে আপনার কতটুকু ইসলাম পালন করে বলে মনে হয়?
তার লেবাস আর ইসলামের লেবাস কি এক?

অসংখ্য পয়েন্ট এর মধ্যে শুধু একটা পয়েন্ট বললাম।

আপনি এই পোষ্ট টি সম্পূর্ণ পড়ুন তারপর কমেন্ট করুন।

৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

মশিকুর বলেছেন:
সকলকে অনুরোধ করছি, এই ধরনের পোস্ট বিশ্বাস করার আগে, যাচাই করে নিন। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে আসলেই এ কথা বলেছে কিনা। একটা লেকচারের কয়েকটা লাইন না পরে, পুড়ো লেকচারটা শুনুন, এরপর সিদ্ধান্ত আপনার। আমি পোস্ট পড়েই বলছি, এখনই সিদ্ধান্ত নিবেন না। একমাত্র কুরআন ছাড়া ইসলাম সম্পকে যেকোনো মতবাদ নিজে যাচাই করা উচিৎ।

"ডা. জাকির নায়েকয়ের লেকচার সমগ্র" পাবেন বাইতুল মুকারমে, মাত্র ২৮০ টাকা।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৭

কসমিক রোহান বলেছেন: আপনি যথার্থ বলেছন। ধন্যবাদ।

৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫১

নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: দেওবন্দ থেকে শুরু করে ভণ্ড পীর আর ধর্ম ব্যাবসায়িদের বাঁশ দেবার কারনে তাদের কাছে এবং তাদের মুরিদদের কাছে জাকির নায়েক আসলেও একটা শয়তান। কে চায় বলুন এমন কাউকে ভালো বলতে যে কিনা রুটি রুজির উপর লাথি মারে। তাই আজকে আমরা জাকির নায়কের কথা শুনবো না, তাবিজ (৫০০ টাকা দিয়ে) না নিয়ে ঘরে ফিরব না।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২০

কসমিক রোহান বলেছেন: আপনি ইসলামকে রুট থেকে জানুন।
ইসলাম কে গোড়া বা রুট লেভেল থেকেজানতে হবে, মাঝখান থেকে ইসলাম কে বোঝা যাবেনা।
আলিফ , বা , তা, ছা থেকে শুরু করা যেতে পারে, বুঝতে পারবেন।
মাঝখান থেকে বুঝা যাবেনা কিছুই।
ইসলাম কে শিখতে হবে এমন কারো কাছে থেকে যার ইসলামী ইলম এসেছে উর্দ্ধক্রমে স্বয়ং রাসুলাল্লাহ (সাঃ) কাছ থেকে।
আপনি কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে যেতে পারেন। একদম রুট লেভেল থেকেশিখতে পারবেন।
অন্যথায় একজন আলেম এর কাছে যান, যিনি রুট থেকে ইসলাম জেনেছেন।
আমরা যারা জেনারেল সাবজেক্ট এর স্টুডেন্ট তাদের মেন্টালিক সেটাপ এবং লজিক তৈরী হয়েছে আলাদাভাবে যা আমাদেরকে আমাদের নিজেদের পছন্দমত লজিক গ্রহণে কার্যকর ভূমিকা রাখে। আমাদের সুবিধা অনুযায়ী লজিক আমরা মানি।
কোন কিছুর উপর ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়ে অনুমান করে লজিক স্থাপন করলে সেটা অধিকাংশ সময়েই ভুল হয়।
একটা ছোট্ট ভুলেই অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে।
তাই সাবধানী থাকা শ্রেয়।

দেওবন্দ থেকেই এই উপমহাদেশে প্রকৃত ইসলামের আলো জ্বলেছে।

১০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

উড়োজাহাজ বলেছেন: গলদযুক্ত পথে ডাকলে ক্ষতি ছাড়া লাভ নাই। বিতর্ক সৃষ্টি করে আপনিই গলদযুক্ত পথে ডাকছেন। ধর্মজীবী অতি পণ্ডিত শ্রেণীই মানুষকে বিতর্ক সৃষ্টি করে হাজারো মতবাদে বিভক্ত করেছে। দীন সহজ সরল। ইহদিনাস সেরাতাল মোস্তাকীম। যা প্রতি রাকাতে পড়া আল্লাহ ফরদ করে দিয়েছেন। অথচ অতি পণ্ডিতদের কাছে গেলে মনে হয় ইসলাম বুঝতে কয়েকটি জনম পার করতে হবে।
রাগ উঠে যায় মাথায়। স্বাভাবিক, আল্লাহর রসুলের মত রিপুজয়ী মানুষ যদি মতভেদ দেখলে রেগে আগুন হয়ে যেতেন , সেই তুলনায় আমি তো নস্যি। তাই নোঙরা ভাষায় ব্যবহার করে ফেলায় আমি অনুশোচনা প্রকাশ করছি না।

ঐক্য নষ্ট করার কথা বলে শেষ দলে থাকা সম্ভব নয়।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৬

কসমিক রোহান বলেছেন: প্রকৃত ইসলাম সত্যিই সহজ ও সরল এতে কোন সন্দেহ নেই , তবে যারা মানতে চায় তাদের জন্য।

এই পোষ্টটিতে কোন মনগড়া কথা বলা হয়নি যা বলা হয়েছে তা কুরআন ও হাদীসের আলোকে।

যদি আপনি বিরোধিতা করেন তবে তা কুরআন ও হাদীসের বিরোধিতা করার ধৃষ্টতার শামিল।

আল্লাহ সবাইকে সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন।

১১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৮

হেডমাষ্টার সাহেব বলেছেন: আমার মনে হয় একজন জীবিত ব্যক্তি সম্পর্কে এধরনের অভিযোগ যাচাই করা খুবই সহজ। হয় তাকে আমন্ত্রন জানান অথবা তার কাছে সুনির্ধারিতভাবে লেখেন অথবা তার কাছে যাওয়াও সম্ভব। অবশ্য যদি সদিচ্ছা থাকে।
সদিচ্ছা না থাকলে চালিয়ে যান , তবে মনে রাখবেন অভিযোগ সত্য না হলে তার দায় কিন্তু ভুল অভিযোগকারীর ঘাড়েই বর্তাবে-এ সর্ম্পকিত হাদীস কিন্তু মিথ্যা না।
ধন্যবাদ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৬

কসমিক রোহান বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

১২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

উড়োজাহাজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: প্রকৃত ইসলাম সত্যিই সহজ ও সরল এতে কোন সন্দেহ নেই , তবে যারা মানতে চায় তাদের জন্য।
আপনাদের এসব কাণ্ডকারখানা দেখলে তা কিন্তু মনে হয় না।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫০

কসমিক রোহান বলেছেন: আপনার বক্তব্য স্পষ্ট নয়। আপনি আপনার বক্তব্য স্পষ্ট করুন।

আপনি যদি বিশুদ্ধ ইসলাম কে মানতে চান তাহলে এই পোষ্টটাকে ও মেনে নিতে হবে।

আর যদি না মানেন তবে সেটা আপনার বেপার। তবে কোন মন্তব্য যুক্ত করার আগে কুরআন ও হাদীসের রেফারেন্স সহকারে দিবেন।

মূর্খদের মত নিজ মনগড়া বুলি আওরাবেন না।

১৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০২

রওশন জমির বলেছেন:
১- যখন একটি সমাজের সৃজনশীলতা খুইয়ে আসে, তখন সে পরস্পরের ছিদ্রান্বেষণে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মুসলিম সমাজের সৃজনশীলতা যে শুন্যের কোটায়, তা কিন্তু বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই যাকির নায়ক প্রমুখকে নিয়ে কেউ সমালোচনায় অবাক হওয়ার কিছু নেই।

২- ইমাম শাতেবী যখন সেই স্পেনে প্রথার বাইরে এসে কথা বলতে শুরু করেন, তার বিরুদ্ধেও বন্ধ্যপ্রবণ লোকজন ফতোয়ার খড়্গ নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। শাতেবী এখন দীপ্যমান তারার মতো। তার সমালোচকদের নামও কেউ উচ্চারণ করে না।

৩- ইমাম গাজ্জালিকেও কঠিন পরিস্থিতির ভিতর দিয়ে যেতে হয়েছে। ধর্মপরিসরের অসহিষ্ণু কায়েমী স্বার্থবাদীরা তার বই পুড়িয়েছে। তার অনেক বই এখন আর পাওয়া যায় না। কিন্তু যা আছে, তাই সভ্যতার অমূল্য সম্পদ। কারণ, তিনি ছিলেন সৃষ্টিশীল মানুষ।

৪- ইবনে তাইমিয়া তো সমকালে রপথাগত আলেমদের পাতানো নরক পার হয়ে গেছেন। এই ভারত উপমহাদেশেও মাওলানা আবুল হাসান আলী নদভী বই লেখার পূর্ব পর্যন্ত তাকে কঠোর সমালোচনা সইতে হয়েছে। কিন্তু নদভীর বইয়ের মাধ্যমে যখন তাইমিয়ার সৃষ্টিশীলতা দৃষ্টিগোচর হয়, তখন মুখ ভুতা হয়ে আসে।

৫- এভাবে নানা উদাহরণ টানা যায়। কিন্তু লাভ নেই। কারণ শুরুতেই বলা হয়েছে। মুসলিম সমাজ এখন আত্মবিশ্বাসহীন, বন্ধ্য এবং একারণেই পরশ্রীকাতর। সুতরাং অক্ষমদের নর্তন-কুর্দন দেখে যাওয়াই এখন নিয়তি।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৭

কসমিক রোহান বলেছেন: সেই প্রকৃত মুসলিম যে সত্য ও নির্ভুল প্রচার করে।
সত্য ও নির্ভুল প্রচার করতে হলে আগে কুরআন ও হাদীস জানতে হবে তারপর এর থেকে প্রচার করতে হবে।

নিন্দুকরা অনেক কথাই বলবে। মনে রাখতে হবে শয়তান কখনো ভাল কোন কিছুকেই ভালো চোখে দেখেনা। আর শয়তানের চেলাদের ও কাজ একই।

১৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৩

উড়োজাহাজ বলেছেন: এই পোস্টের পেছনে আপনার কষ্ট স্বীকারকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। কিন্তু এতে উম্মাহ, জাতির কোন উন্নতি হবে না। বিভক্তি শুধুই বাড়বে। এমন কিছু করুন যাতে উম্মাহর ঐক্য সৃষ্টি হয়, শক্তি বৃদ্ধি হয়। একে অন্যের পেছনে লেগে আমরা শেষ হয়ে গেছি।
বাকারার ২৬ নং আয়াতটা একবার পড়ে আসুন। তারপর আত্মতুষ্টিতে ভুগুন।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৯

কসমিক রোহান বলেছেন: সেই প্রকৃত মুসলিম যে সত্য ও নির্ভুল প্রচার করে।
সত্য ও নির্ভুল প্রচার করতে হলে আগে কুরআন ও হাদীস জানতে হবে তারপর এর থেকে প্রচার করতে হবে।

নিন্দুকরা অনেক কথাই বলবে। মনে রাখতে হবে শয়তান কখনো ভাল কোন কিছুকেই ভালো চোখে দেখেনা। আর শয়তানের চেলাদের ও কাজ একই।

খাঁটি মুসলমানের ঐক্য একমাত্র খাঁটি মুসলমানের সাথেই সম্ভব।

১৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৯

উড়োজাহাজ বলেছেন: অহঙ্কারে আপনার পেট ভরা। নিশ্চয় জীবনে বহু কিতাবের ভার বহন করেছেন, কিংবা মাদ্রাসা নামক ত্রুটিপূর্ণ শিক্ষাব্যবস্থায় কোন ডিগ্রী অর্জন করেছেন। তাই এই ফল। এক দলের পেছনে আরেক দল সব সময় কাঠি নিয়ে ঘুরেন। যতদিন মাদ্রাসায় এই শিক্ষাপদ্ধতি বহাল থাকবে ততদিন আপনাদের মধ্যে ঐক্য আসবে না।

গুডবাই। আমি আপনাকে আমার কথা বোঝাতে পারলাম না। জীবনে আর পারবো ও না। আল্লাহ হাফেজ। ফের আপনার সাথে বাহাসে আসতে হবে এমন কোন মন্তব্য লিখবেন না। আপনার সাথে আর একটা লাইন্ও ব্যয় করতে আমি রাজি নই। চাইলে আমার সবকটা মন্তব্য আপনার ব্লগ থেকে মুছে দিতে পারেন।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৬

কসমিক রোহান বলেছেন: আপনি বোতলের সুধা পান করলে তো আর ইসলামের নৈতিকতা আপনার ভাল লাগবেনা।

বোতল খেয়ে আপনার মেন্টালিক সেটআপটা-ই চেঙ্গ হয়ে গেছে। একমাত্র কওমী মাদ্রাসা ছাড়া আদর্শ কোন শিক্ষা ব্যবস্থা পৃথিবিতেই নেই।

আপনি কি কোন মাদ্রাসা ছাত্রকে নেশা/ টিজিং / সন্ত্রাস করতে দেখেছেন?



ইসলাম কে গোড়া বা রুট লেভেল থেকেজানতে হবে, মাঝখান থেকে ইসলাম কে বোঝা যাবেনা।
আলিফ , বা , তা, ছা থেকে শুরু করা যেতে পারে, বুঝতে পারবেন।
মাঝখান থেকে বুঝা যাবেনা কিছুই।
ইসলাম কে শিখতে হবে এমন কারো কাছে থেকে যার ইসলামী ইলম এসেছে উর্দ্ধক্রমে স্বয়ং রাসুলাল্লাহ (সাঃ) কাছ থেকে।
আপনি কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে যেতে পারেন। একদম রুট লেভেল থেকেশিখতে পারবেন।
অন্যথায় একজন আলেম এর কাছে যান, যিনি রুট থেকে ইসলাম জেনেছেন।
আমরা যারা জেনারেল সাবজেক্ট এর স্টুডেন্ট তাদের মেন্টালিক সেটাপ এবং লজিক তৈরী হয়েছে আলাদাভাবে যা আমাদেরকে আমাদের নিজেদের পছন্দমত লজিক গ্রহণে কার্যকর ভূমিকা রাখে। আমাদের সুবিধা অনুযায়ী লজিক আমরা মানি।
কোন কিছুর উপর ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়ে অনুমান করে লজিক স্থাপন করলে সেটা অধিকাংশ সময়েই ভুল হয়।
একটা ছোট্ট ভুলেই অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে।
তাই সাবধানী থাকা শ্রেয়।


বুঝতে চাইলে বুঝে নিন। নতুবা আপনার মন যা চায় তাই করুন, অবশ্যই যার যার কৃতকর্মের ফল তার তার উপরেই বর্তাবে।

১৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৯

উড়োজাহাজ বলেছেন: আহারে! করুণা হচ্ছে আপনার জন্য। বিদ্যার এত অহঙ্কার।

কওমী মাদ্রাসা!
বিকৃত ইসলামের চূড়ান্ত অবস্থান। তাবলীগ জামাতও এর চাইতে অনেক ভাল।
কওমী মাদ্রাসা থেকে যারা বের হয় এদের বেশিরভাগেরই ধর্ম বিক্রি করা ছাড়া রুটি রুজির কোন পথ থাকে না। হয় টাকা পয়সার বিনিময়ে শীতকালে ওয়াজ নসিহত করতে হয়, নয় পয়সার বিনিময়ে কোন মসজিদের ইমামতির চাকরি করতে হয়, মিলাদ পড়িয়ে টাকা উপার্জন করতে হয়, মুর্দা দাফন করে টাকা কামাই করতে হয়, তারাবী পড়িয়ে পয়সা নিতে হয়।

পরের বাড়িতে দাওয়া ত খেয়ে খেয়ে এদের বেশিরভাগেরই ঘাড়-গর্দান ষাড়ের মত মোটা হয়। ইসলামকে এরা পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে। কথাবার্তায় মনে হয় এরা স্রস্টার কাছ থেকে ধর্মের কপি রাইট নিয়ে এসেছে। আর তারা দুনিয়াতে আল্লাহর এজেন্ট, যেমন হিন্দু ধর্মে পুরোহিত, খৃষ্টান ধর্মের যাজক, ইহুদিদের রব্বাই, সাদ্দুসাই, ফারিসি।

এই কাতারের চেয়ে বরঙ তাবলিগিরা যা করে তাও ভাল। অন্তত পরের টাকায় না চলে নিজের টাকায় মেহনত করে।

থাকেন ঘাউরামী করে। তবে ধর্মব্যবসার দিন ফুরিয়ে এসেছে। ধর্মব্যবসার গোমর ফাক হয়ে গেছে। ঘাউরামীর ফলও হাতেনাতে পাবেন।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

কসমিক রোহান বলেছেন:
আপনি যেভাবে বলছেন, যেন আপনি সবজান্তা।

আচ্ছা বলুন তো ইসলামি শুদ্ধ শিক্ষা ব্যবস্থা কোনটা?

সারা বিশ্বে ইসলামি আদর্শে সহীহ-শুদ্ধ শিক্ষা ব্যবস্থা একমাত্র কওমী মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা। বিশ্বের সকল সর্বোচ্চ পর্যায়ের বিজ্ঞ আলেমগণ এই শিক্ষা ব্যবস্থার পক্ষে।
কওমী মাদ্রাসাই প্রকৃত নবীজী (সঃ) এর সুন্নাত এর সিলসিলা, একমাত্র হাক্কানী দ্বীনি শিক্ষা ব্যবস্থা। যেখানে কুরআন ও হাদীসের বিশুদ্ধ তা'লীম দেয়া হয়।

যারা তাকওয়াশীল আলেম তাদের কয়জনকে আপনি টাকা পয়সার বিনিময়ে ওয়াজ নসীহত করতে দেখেছেন?


﴿ وَمَنۡ أَحۡسَنُ قَوۡلٗا مِّمَّن دَعَآ إِلَى ٱللَّهِ وَعَمِلَ صَٰلِحٗا وَقَالَ إِنَّنِي مِنَ ٱلۡمُسۡلِمِينَ ٣٣ وَلَا تَسۡتَوِي ٱلۡحَسَنَةُ وَلَا ٱلسَّيِّئَةُۚ ٱدۡفَعۡ بِٱلَّتِي هِيَ أَحۡسَنُ فَإِذَا ٱلَّذِي بَيۡنَكَ وَبَيۡنَهُۥ عَدَٰوَةٞ كَأَنَّهُۥ وَلِيٌّ حَمِيمٞ ٣٤
কে উত্তম ঐ ব্যক্তি অপেক্ষা, যে আল্লাহর প্রতি মানুষকে আহ্বান করে, সৎকর্ম করে এবং বলে, ‘আমি তো অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত।’ ভাল ও মন্দ সমান হতে পারে না।
( সূরা ফুসসিলাত: ৩৩)

হযরত উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,,,
অর্থ: ‘‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে ও অপরকে শিক্ষা দেয়।’’
[বুখারী: ৫০২৭]


আপনি কওমী মাদ্রাসার কোন ওস্তাদকে কুরআন এবং সুন্নাহর বাইরে কোন শিক্ষা দিতে দেখেছেন কি?
তাঁরা সারাজীবন নিঃস্বার্থ ভাবে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা এবং ইসলামের দাওয়াত দিয়ে যান।

ইসলামে বিদআত নিষিদ্ধ, তেমনি মিলাদ একটি বিদআত। যা কোন প্রকৃত আলেম প্রশ্রয় দেন না।

আর রিজিকের মালিক আল্লাহ।
তাঁরা বিলাসী জীবন পছন্দ করেন না, যেমন নবীজী (সঃ) পছন্দ করেন নি কখনো।
তাঁরা জীবন গেলেও হারাম পথ বেছে নেন না। হালাল পথেই উপার্জন করেন।

তাঁরাই মুসলিম উম্মাহর কর্ণধার, তাঁরাই সমাজের গোমরাহী ফেরায়, তাঁরাই বিদআত, কুফরি প্রতিহত করে।
এঁদের চাইতে শ্রেষ্ঠ মানব আর কে হতে পারে?

আর তাবলীগঃ তাবলীগ তো এই হাক্কানী আলেম সমাজ দ্বারাই লালিত। তাঁরাই এ পৃষ্ঠপোষকতা করেন।

নবীজীর রিসালাত এরাই জারি রেখেছেন আজ পর্যন্ত, ইনশা আল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত তা জারি থাকবে।

রঙিন চশমা খুলুন , সঠিক পথ চিনে নিন সময় ফুরোবার আগেই।

১৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৩

পিচ্চি হুজুর বলেছেন: It is mustahabb for the khutbah to be in Arabic but it is not essential, and the khateeb may deliver the khutbah in his own language instead of Arabic. This is the view of Abu Haneefah and some of the Shaafa’is.

See: Radd al-Muhtaar (1/543) and al-Mawsoo’ah al-Fiqhiyyah (19/180).

This third view is the correct one, and it is the view favoured by a number of our contemporary scholars, because there is no clear evidence to say that the khutbah must be in Arabic, and because the purpose of the khutbah is to exhort, benefit and teach, which can only be done by using the language of the people present.

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১২

কসমিক রোহান বলেছেন: আপনি পুরো পোষ্ট পড়েন নি, পড়লে এমন কমেন্ট করতেন না।

যে সকল বিষয়গুলো ইসলামে প্রতিষ্ঠিত যা নবীজী সঃ এর কাছে থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত চলে আসছে, তা অবশ্যই নবীজী সঃ যেভাবে বলেছেন, যেভাবে করেছেন হুবহু ঠিক তেমনি পালন করতে হবে।
ইসলামে বিদআত এর কোন অবস্থান নেই।




ইসলাম কে গোড়া বা রুট লেভেল থেকেজানতে হবে, মাঝখান থেকে ইসলাম কে বোঝা যাবেনা।
আলিফ , বা , তা, ছা থেকে শুরু করা যেতে পারে, বুঝতে পারবেন।
মাঝখান থেকে বুঝা যাবেনা কিছুই।
ইসলাম কে শিখতে হবে এমন কারো কাছে থেকে যার ইসলামী ইলম এসেছে উর্দ্ধক্রমে স্বয়ং রাসুলাল্লাহ (সাঃ) কাছ থেকে।
আপনি কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে যেতে পারেন। একদম রুট লেভেল থেকেশিখতে পারবেন।
অন্যথায় একজন আলেম এর কাছে যান, যিনি রুট থেকে ইসলাম জেনেছেন।
আমরা যারা জেনারেল সাবজেক্ট এর স্টুডেন্ট তাদের মেন্টালিক সেটাপ এবং লজিক তৈরী হয়েছে আলাদাভাবে যা আমাদেরকে আমাদের নিজেদের পছন্দমত লজিক গ্রহণে কার্যকর ভূমিকা রাখে। আমাদের সুবিধা অনুযায়ী লজিক আমরা মানি।
কোন কিছুর উপর ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়ে অনুমান করে লজিক স্থাপন করলে সেটা অধিকাংশ সময়েই ভুল হয়।
একটা ছোট্ট ভুলেই অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে।
তাই সাবধানী থাকা শ্রেয়।

১৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৪

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: মন্তব্যটা ডিলিট মেরে দিলেন??
যাইহোক আবারও বলি।
আপনি বলছেন, লালনের কথার কোনো মূল্য নেই আপনার কাছে, আপনার কাছে মূল্যবান কোরান-হাদিস। ভালো কথা। খুবই ভালো কথা।
কিন্তু কোরান-হাদিসের সার্বজনীন ব্যখ্যা কি? শিয়া, সুন্নি, আহমদীয়া থেকে শুরু করে মুসলিমদের মধ্যেই হাজারটা বিভাজন। এবং এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে মারামারি ঠাপাঠাপি লেগেই রয়েছে। প্রত্যেকেই নিজেদেরটা ঠিক মনে করে এবং অপরটাকে বেঠিক মনে করে। তাহলে ইসলামের সার্বজনীন ব্যাখ্যা কি? আপনি বলবেন আপনি যা বুঝছেন সেটাই সার্বজনীন। জাকির লায়েক ভুল।
এ কারনেই লালনের উক্তি স্মরণ করছি।

এক কানা কয় আরেক কানারে
চলো এবার ভবো পাড়ে
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বারংবার


১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৫

কসমিক রোহান বলেছেন: আমি আপনার আগের মন্তব্য ডিলেট করেছি তার জন্য ২ টা কারণ আছে:

১। আপনি বারবার একই প্যাচাল লিখেন, যার মধ্যে গুরুত্ববহ কিছু নেই।
২। লালন মার্কা আবালের প্যাচাল পারেন। যারা লালন নিয়ে পড়ে থাকে তাদের জ্ঞানের সীমা কতটুকু তা আর আমার বলে দিতে হবেনা, অনেকেই জানে।



আপনি আপনার প্রশ্ন সোজাসুজি করলে করতে পারতেন।
যা হোক এতক্ষণ পর প্রশ্ন করলেন, বেশ ভালো।
আমি অত জ্ঞানী নই , আমি সহজ ভাবে বলছি।

আপনি মার্কেটে নজর ফিরান, দেখুন সেখানে যে ব্রান্ড টা সবচেয়ে বেশি চলে তার নকল ব্রাণ্ডটা ও ততবেশি, কিন্তু যে ব্রাণ্ড টা পাবলিক খায়না সে ব্রান্ড এর কোন নকলও পাওয়া যায়না।

সারা পৃথিবিতে দ্বীনের পথ অথবা ধর্ম কেবল মাত্র একটি-ই সত্য হতে পারে। একাধিক নয়। আর যে ধর্ম সত্য তার নকল ও বেশি হবে।

দেখুন কারো প্রডাক্ট কে কেউ কি নকল বলে মেনে নেবে?
আসল প্রোডাক্ট এর মালিক যে সেও তারটাকে আসল বলবে আবার নকল যে প্রোডাক্ট , তার মালিকও নিজেরটাকে আদি ও আসল দাবী করবে।

এখন আসুন প্রমাণেঃ
ইসলামই যে একমাত্র সঠিক ও সত্য দ্বীন বা ধর্ম, তা ইসলাম এর গুনাবলী থেকেই প্রমাণ করা যায়।
সারা পৃথিবিতে অনেক ধর্ম আছে এবং তাদের ধর্মিয় পুস্তক আছে, যাতে অগনিত ভুল এবং সীমাবদ্ধতা পাওয়া যায়। কিন্তু একমাত্র আল কুরআন এর কোন ভুল কেউ কোন্দিন প্রমাণ করতে পারেনি। যারাই ভুল প্রমাণ করতে গেছে তারাই অপমানিত, অপদস্থ হয়ে ব্যর্থ হয়েছে।
অন্যসব ধর্মিয় পুস্তক আদিকাল থেকে আজ পর্যন্ত অবিকৃত নেই। কিন্রু আল কুরআনই একমাত্র কিতাব যা আদিকাল থেকেই অবিকৃত রয়ে গেছে। পৃথিবির প্রাচীনতম কুরআন ও বর্তমান যুগের কুরআন কপি কে মিলিয়ে দেখুন কোন অমিল খুজে পান কিনা।

ইসলামের মূল উৎস হচ্ছে আল কুরআন। আর নবীজী সঃ আল কুরআন সমর্থিত সকল সুন্নাহ সারাজীবন দেখিয়ে দিয়ে গেছেন, আর তাই হল হাদীস। নবীজী সঃ হলেন আল কুরআন এর শিক্ষক এবং প্রশিক্ষক। তাই তিনি যেভাবে বলে গেছেন সেটাই হল প্রকৃত ইসলাম। আর বাকি সব ইসলাম বহির্ভুত। আল্লাহর নবী সঃ বলে গেছেন “ তোমরা যতদিন আল-কুরান ও সুন্নাহ আঁকড়ে ধরে রাখবে ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবেনা”।
ইসলাম এর কয়েকটি আদর্শ ও শর্ত আছে যা ফলো করলে কেউ ইসলাম বহির্ভুত হবে না।

ইসলাম সম্পৃক্ত কিংবা যে কোন কিছু যাচাই বা ণির্ণয় এর জন্য অবশ্যই বিশুদ্ধ ইসলাম সম্মত উপায়ে করতে হবে। আর ইসলাম সম্মত উপায় বলতেই কুরআন ও সহীহ হাদীস সম্মত উপায়। এখানে মনগড়া উপায় বা নিজস্ব লজিক এর কোন স্থান নেই।

১৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪২

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: একটি পোস্টই লিখে ফেললাম। পড়ার আহবান জানাই।
Click This Link

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৯

কসমিক রোহান বলেছেন: আপনার আগের মন্তব্যের প্রতি মন্তব্য দ্রষ্টব্য।

২০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৭

রওশন জমির বলেছেন:
১। ইসলামে যদিও পোপতন্ত্র নেই, কিন্তু ইসলামের প্রতিটি মাজহাবেই সচেতনভাবে পোপতন্ত্রের চর্চা আছে। মানে, ইসলামের ব্যাখ্যা দেবার একমাত্র হকদার তারাই। এব্যাপারে আর কারো কর্তৃতব নেই। আমাদের দেওবন্দি মাসলাকও এই মতবাদের অনুসারী। তাই কেউ তাদের দলভুক্ত না হয়ে ধর্ম সম্পর্কে কথা বললে তারা হৈ হৈ রৈ রৈ করে উঠেন, পাছে তাদের কর্তৃত্বের অবসান হবে এই ভয়ে। জাকির নায়কসহ অপ্রথাগত মুসলিম স্কলারদের বিরোধিতার মূল কারণটি এখানেই নিহিত।

২। এ পোস্টে যতগুলো অভিযোগ ও প্রশ্ন এসেছে, তার যৌক্তিক ও আন্তরিক উত্তর না দিয়ে লেখক কওমি ও দেওবন্দি ধারার নির্ভুলতাকেই তুলে ধরেছেন। যেখানে খোদ মাজহাবের ইমামগণ পর্যন্ত নির্ভুলতার দাবি করতে পারেন নি, আমাদের দেওবন্দিরা তাই পারেন এবং অহরহ করেন। তারা অন্যদের মাইন্ডসেট নিয়ে প্রশ্ন তুলেন, কিন্তু নিজেদের মাইন্ডসেট নিয়ে পুনর্মূল্যায়নে সম্পূর্ণ গররাজি! আর তাই একসময়ে দিল্লিতে বসে আলেমগণ ফতোয়া দিলে বাঙ্গাল মুলুকে তা মানুষজন নির্দবিধায় মেনে নিতেন। তখনকার সাধারণ মানুষদের জন্য আলেমদের সদর দরোজা খোলা ছিল। এখন নেই। তাই মানুষ নানা প্রশ্ন তোলেন। কারণ, ফতোয়ার কর্ণধাররা নিজেদের মাইন্ডসেট অন্যদের ওপর চাপিয়ে দিতে চান। তারা কখনো অন্যের মাইন্ড/ মন বুঝতে চান না। চাইবেন কিভাবে? তারা যে ‘ওয়ারেসিনে-আম্বিয়া!’

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

কসমিক রোহান বলেছেন: ইসলাম কে বুঝার শর্টকাট কোন ওয়ে নাই।

ইসলাম জানতে হলে আপনাকে শুরু থেকেই জানতে হবে।
আলিফ , বা, তা, ছা থেকে।

কারণ , আল কুরআন অনুবাদ পড়ে বুঝা যাবেনা।
আরবী ভাষা জানলেও হবেনা, আপনাকে হতে হবে আরবী ভাষার পণ্ডিত।
তারপর আপনি কিছুটা বুঝতে পারেন হয়তো।

আর অবশ্যই কোন উস্তাদের মাধ্যমেই আপনার শিখতে হবে, এবং সে উস্তাদের উর্ধক্রমে সর্বোচ্চ উস্তাদ হতে হবে স্বয়ং রাসূলাল্লাহ সঃ।

নিশ্চই জানেন যার কোন উস্তাদ নেই তার উস্তাদ শয়তান।

আর যদি বিকল্প পদ্ধতি চান তাহলে আপনাকে এমন এক আলেম/ উস্তাদ এর কাছে থেকে জানতে হবে যিনি ইলম শিক্ষা করেছেন এমন জনের কাছে থেকে যার সর্বোচ্চ উর্ধক্রমে স্বয়ং নবীজী সঃ রয়েছেন।

২১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৩

উড়োজাহাজ বলেছেন: তাল গাছ ছাড়বেন না সেটা আপনার ঘাউরামী দেখে আমার আগেই বোঝা উচিত ছিল। বিশেষ করে যখন পেটে জ্ঞানের অহংকারে ফুলে ফেপে আছে।


যার দুয়ার বন্ধ তার ঘরে প্রবেশ করা যায় না। তাকে কেউ কিছু দিতে পারে না।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

কসমিক রোহান বলেছেন: আপনি হলেন জ্ঞান পাপী।

আপনি সম্পূর্ণ পোষ্ট ভাল করে পড়ুন । তারপর সকল মন্তব্য ও উত্তর পড়ুন।

এরপর আপনার কোন কথা থাকে তাহলে স্পেসিফিক্যালি প্রশ্ন করুন।

২২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

রওশন জমির বলেছেন:
১- মন্তব্য হিসাবে কিছু লিখে জবাব যা পেয়েছি, তা বোঝার সাধ্য আমার নেই। সেটা আমার অক্ষমতা, সে আমি জানি। যারা কথার কারবার্‌ আত্মম্ভরী, তাদের জন্য এখানে দুটি বাণী উল্লেখ করছি
জ) وقف الإمام مالك أمام قبر رسول الله صلى الله عليه وسلم وقال: (كل يؤخذ من كلامه ويرد إلا صاحب هذا القبر

খ) خدمة الدين بعقولنا أولى من خدمته بعواطفنا

العلامة/ عبد الله بن بيه

২- যেই কথা বারবার আউড়ে যাচ্ছেন, যে পরিবেষ ও ধর্মীয় শিক্ষা পরিবেশের কথা বলে যাচ্ছেন, তা আমার জন্য অপরিচিত নয়। এর অভিজ্ঞতা সম্পর্কেও জানা আছে। তাই বলছি, ঢাকা ঘাস সাদা-ই থাকে। আলো-বাতাসে তা নেতিয়ে পড়ে, নুইয়ে পড়ে। এ নিয়ে জাবর কাটার প্রয়োজন নেই।

ধন্যবাদ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৪

কসমিক রোহান বলেছেন: আপনি পোষ্টটি যদি মনযোগ দিয়ে পড়তেন তাহলে আর এই মন্তব্য করতেন না। এই পোষ্ট এ কোথাও কি মনগড়া কথা বলা আছে?
সম্পুর্ণ পোষ্ট বর্ণনা করা হয়েছে, আল-কুরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে।

২৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৬

নিমতিতা বলেছেন: খুৎবার বিষয়ে যে ঘটনা বর্ণনা করলেন সেটা খেয়াল করেন:
"তবুও নবী কারীম সা. সর্বদা আরবিতেই খুতবা দিয়েছেন। অন্যকোনো ভাষায় খুতবা দেয়ানোর ব্যবস্থা করেননি। "

১. রাসুল (স) আরবি ছাড়া অন্য ভাষাভাষী ছিলেন কিনা এমন কিছু জানা নেই।
২. অন্য ভাষার কিছুলোক থাকলেও, সংখ্যায় বেশি ছিল আরবিভাষীরা কাজেই তখন খুৎবা আরবিতে দেয়া ঠিক ছিল।
৩. রাসুলের (স) সামনে তিনি ছাড়া অন্য কেউ তো খুৎবা দেবার মর্যাদা রাখেন না আর রাসুল (স) অন্য ভাষা জানতেন কিনা এমনটা আমি পাইনি।

এখন, মসজিদে যান, আরবি ভাষায় একই কথা ইমাম সাহেব প্রত্যেক জুমায় বলে চলেছেন, উপকার কি?

তারচেয়ে, স্থানীয় ভাষায় হলে সমস্যা কোথায়?

আপনার পরিচিত যদি কেউ নর্থ অ্যামেরিকায় থেকে থাকে তাদের জিজ্ঞেস করলে শুনবেন,
যেসব মসজিদ আরবি ভাষীরা ম্যানেজ করেন সেখানে খুৎবা হয় ইংরেজিতে সবাই বুঝতে পারে, ইমাম সবাইকে ভালো ভালো উপদেশ দেন, কি করণীয় সেটা নিয়ে আলোচনা করেন। একজন আরবিভাষী ইমাম এসে ইংরেজিতে খুৎবা দেন।


আর, উপমহাদেশের লোকেরা সেসব মসজিদ ম্যানেজ করেন, সেখানে খুৎবা হয় আরবিতে (একজন উপমহাদেশের ইমাম এসে আরবিতে খুৎবা দেন।)। বেশিরভাগ উপমহাদেশের লোকেরা নিজেরাই আরবি বোঝে না, এদিক সেদিক বা ইমামের দিকে তাকিয়ে অন্য কিছু চিন্তা করতে থাকেন।

আপনি যে ভাষা বুঝবেন না, সে ভাষায় আপনাকে উপদেশ দিলে লাভ কি?

নর্থ আমেরিকার সব লোকজনকে আবার নাস্তিক/মুশরিক ভাববেন না। যারা মসজিদের সাথে জড়িত, যারা ইমাম

খুৎবার উদ্দেশ্য কি? কেন এটা ওয়াজিব এটা নিয়ে ভাবেন। তারপর, বলেন যে আরবি ভাষায় খুৎবা দিলে কিভাবে ইসলামের লাভ হতে পারে?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৯

কসমিক রোহান বলেছেন: যে কাজ গুলো নবীজী সঃ এবং তার সাহাবা রাঃ গণ এর যুগে এবং বর্তমান যুগে আছে, একই ধরণের কাজ হলে নবীজী সঃ এর পদ্ধতির বাইরে করাই হল বিদআত।
আর বিদআত ইসলামে নিষিদ্ধ।
ইসলাম কে রুট থেকে জানুন।
মাঝখান থেকে নয়।
পোষ্ট মনযোগ সহকারে আরেকবার সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ করছি।

২৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৮

নিমতিতা বলেছেন: আগের প্রশ্নে :
"আরবি ভাষায় খুৎবা দিলে কিভাবে ইসলামের লাভ হতে পারে?"
মানে বোঝাইতে চাইছি:
"যে উপস্থিত জনতার বেশির ভাগ আরবি বুঝে না, তাদের আরবি ভাষায় খুৎবা দিলে কিভাবে ইসলামের লাভ হতে পারে?"

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৯

কসমিক রোহান বলেছেন: পোষ্ট মনযোগ সহকারে আরেকবার সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ করছি।

২৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: দুঃখের বিষয় জবাব হয়নি।
শুনুন সত্য আসলে একটাই সেটা কে নির্ধারণ করবে।
আপনাকে আমার এই পোস্টটি খুব ভালো ভাবে পড়ার আহবান জানাই।
Click This Link

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৩

কসমিক রোহান বলেছেন: আমি পড়েছি । আপনার তো মৌলিক চিন্তা ধারাই ঠিক নাই। জ্ঞনহীন মূর্খ যারা তাদের মত আপনি কেন চিন্তা করবেন?

আর আপনার মন্তব্য এই পোষ্ট বহির্ভুত।

২৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

সেল্ফ রিলায়েবল বলেছেন: বিভিন্ন দলে উপদলে বিভক্ত থাকার পরও কিভাবে সমগ্র মুসলিম উম্মা একত্রিত হতে পারি ‌এবং অামাদের প্রত্যেকের কর্তব্য কি সে সম্পর্কে শেইখ ইয়াছির কাদি একটি অসাধারণ লেকচার দিয়েছেন। তাই লেখক, পাঠক ও মন্তব্যকারী সবার প্রতি একটি অনুরোধ, দয়া করে নিচের ভিডিওটি দেখুন।

লিংক: http://www.youtube.com/watch?v=jT5PeP8Odr0

অার বর্তমান প্রেক্ষাপটে মুসলিমদের মধ্যে কিভাবে ঐক্য সম্ভব সে সম্পর্কে সদালাপের ব্লগার মুনিম সিদ্দিকী একটি অসাধারণ লেখা লিখেছেন। সেটিও পড়ার অনুরোধ রইল।

লিংক: http://www.shodalap.org/munim/22166/

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

কসমিক রোহান বলেছেন: লেখক বলেছেন: দেখুন পানি (Water) তো মানুষের পান করতেই হয়। কিন্তু কেউ যদি পানিকে ফুটিয়ে এবং ফিল্টার করে পান তাহলে তাহলে রোগ-জীবানু শরীরে কম যায়। আর যারা ফিল্টার করে পান করে না তাদের নিশ্চই কোন আসুখ বাঁধে।

ঠিক তেমনি ইসলাম কে যারা ঠিক নবীজী সঃ এর তরীকা মত বিশুদ্ধ ভাবে পালন করে তারা শঙ্কা মুক্ত। আর যারা বিশুদ্ধ ভাবে পালন করেনা তারা শঙ্কা মুক্ত নয়।

পানি তো সবাইকে পান করতেই হবে।
এখন যারা যত ভেজাল পানি পান করে তাদের অসুখ তত বেশি এবং কারো কারো অসুখ ছোঁয়াচে।
এবং ছোঁয়াচে যারা তাদের কাছে থেকে দূরে থাকতে হয়।
তবে ছোঁয়াচে ছাড়া যারা তাদের সাথে থাকা যেতে পারে।

২৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪১

নিমতিতা বলেছেন: কমেন্ট ২৩ &২৪ এর জবাবের রেশ ধরে:

"যে কাজ গুলো নবীজী সঃ এবং তার সাহাবা রাঃ গণ এর যুগে এবং বর্তমান যুগে আছে, একই ধরণের কাজ হলে নবীজী সঃ এর পদ্ধতির বাইরে করাই হল বিদআত।"

কোন কিছু নতুন হইলেই বিদআত হয় না ভাইজান।
রাসুল (স) উটে কইরা একজায়গা থেকে আরেক যায়গেয় যাইতেন।
দুনিয়াতে উট এখনও আছে, তো আপনি কি হজ্বের সময় মক্কা থেকে মদিনা গেলে উটে যাইবেন না বাসে উঠবেন?

আপনি আমাকে যেই উপদেশ দিছেন, সেইটা নিজেও মানেন:
"ইসলাম কে রুট থেকে জানুন।
মাঝখান থেকে নয়।"


খুৎবা কেন দেয়া হয় সেইটা আগে জানেন, বাংলাভাষী লোকদের কোন ভাষায় খুৎবা দিলে উপকার হয় সেইটা চিন্তা করেন।

প্রশ্নের ঠিকমত জবাব দিবার পারেন না, খালি একই কথা বেবেক জায়গায় কপি পেস্ট।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

কসমিক রোহান বলেছেন: আপনি আমার কথা বুঝেন নাই।

"যে কাজ গুলো নবীজী সঃ এবং তার সাহাবায়ে কেরাম রাঃ গণ এর যুগে এবং বর্তমান যুগে আছে, একই ধরণের কাজ হলে নবীজী সঃ এর পদ্ধতির বাইরে করাই হল বিদআত।"

এখানে আমি ইসলাম ধর্মিয় কাজের কথা বলেছি, যেমন মিলাদ একটি বিদআত, যাকে ইসলামের অংশ বা ইসলামের কোন আমল মনে করা জায়েজ হবেনা। কারণ মিলাদ এর মত কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান নবীজী সঃ এর যুগে সাহাবী রাঃ গণ কখনো পালন করেন নি।
মনে করুন মাগরিবের ফরজ নামাজ ৩ রাকাআত, কেউ যদি ৪ রাকাআত অথবা দুই রাকাআত পড়ে, তাহলে সেটা কি গ্রহণযোগ্য হবে?

তেমনি ধর্মিয় আচার / নিয়ম / অনুষ্ঠান / ইবাদাত গুলো যেভাবে সাহাবায়ে কেরাম রাঃ গণ পালন করে গেছেন ঠিক সেভাবেই আমাদের পালন করতে হবে।
বিশেষ কোন ক্ষেত্রে কি করতে হবে তাও সাহাবায়ে কেরাম রাঃ গণ দেখিয়ে দিয়ে গেছেন।

নবীজী সঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি যে কোন সাহাবী এর মত জীবন যাপন করবে সেই কামিয়াব।
এবং নবীজী সঃ আরো বলেছেন যে, তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কোরনা।

২৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৫৭

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: ডাঃ জাকির নায়েক কে নিয়ে আপনার সব গুলো ভুল ব্যখ্যার জবাব আপনাকে দেব,তার আগে আপনি আমাকে বলেন খুৎবা শব্দের মানে কি,? এবং প্রতি জুমা ও দুই ঈদের যে কোন একটি খুৎবার বাংলা কি আমাকে আপনি দিতে পারবেন?

দিলে আপনার সাথে কথা বলা সহজ হবে, আমি অপেক্ষায় থাকলাম,কালকে এই সময়ে আসবো আবার।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

কসমিক রোহান বলেছেন: খুৎবা এর অর্থ বক্তৃতা, ভাষণ । খুৎবা শব্দের অর্থ বিচার করে তো খুৎবা দানের পদ্ধতি নির্নয় করা যাবেনা।
যেমন ধরুন ঈমান। এর অর্থ বিশ্বাস। কিন্তু ইসলামি পরিভাষায় এর অর্থ ব্যপক। ঈমান আনয়ন করার পদ্ধতিটা বিশেষ কয়েকটি পয়েন্ট এর উপর নির্ভর করে।

আর জাকির নায়েক সম্পর্কে আপনার অ্যানসার যেন আল-কুরআন এবং হাদিসের আলোকে হয় এই প্রত্যাশা রইল।

২৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৪

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: হুম খুৎবা মানে ভাষণ বা বক্তব্য ঠিক আছে, এখন আপনি বলুন ভাষণ বা বক্তব্য কি শ্রুতি মধুর করে শুনে গেলেই হবে নাকি আপনাকে বুঝতে হবে।?

আপনার সামনের ব্যক্তিটা বক্তিতা দিচ্ছে ধর্ম রাষ্ট আল্লাহ নবি যে কোন বিষয় নিয়ে কিন্তু আপনি কিছুই বুঝতেছেননা,আপনি শ্রুতি মধুর ভাবে শুধু শুনে যাচ্ছেন কিন্তু কেন ভাই?ধর্ম নিয়ে মজা করেন আমাদের সাথে? মসকরা পাইসেন? নবীজির ভাষা আরবি তিনি আরবিতে বুঝেন আমরা বাংলা বুঝি। যে কানে শুনেনা সে ইশারায়।এখানে বুঝে নেয়াটাই আসল ভাষা নয় বা ভাষা থাকতে হবে এটাও নয়। মানুষ ছাড়া বাকি মাখলুকাতের কোন ভাষা নেই তারা ভাবের আদান প্রধান করে তাদের নিজস্ব পন্থায়, এখন যদি আমরা মানুষ গরুকে বলি গরু বাংলায় বল আমি ঘাস খাবো তাহলে খেতে দেব নাহয় দেবনা এটাকি সম্ভব? কিংবা আমি যদি বলি গরু যা ঘুমা সেটাকি সে বুঝবে?সে না বুঝলে করবে কিভাবে?তাহলেকি আরবি ছাড়া আর কোন ভাষার মুল্য নেই? আমাদের কি আরবী ভাষাভাষিদের মত এই ভাষা শিখতে হবে তা নাহলে কি আমরা বেহেস্ত পাবোনা?

এবার আসুন খুৎবা নিয়ে -

যখন প্রচার মাধ্যম সংবাদ মাধ্যম বা ডাক মাধ্যম ছিলোনা,কিংবা অফিস আদালত বা সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনার আলাদা কোন সংগঠন তখন মসজিদ ছিল সকল কিছুর প্রচার ঘোষনা আদেশ নিষেধ একমাত্র মাধ্যম।মানুষ সারা সপ্তাহ ব্যবসা বানিজ্য কাজে এদিক সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে যেত কারন তখন একজায়গা থেকে অন্য জায়গা যেতে আসতে দিন রাত অতিবাহিত হবার ব্যপার ছিলো।তাই মানুষ শুক্রবার একটা দিন নিজ নিজ এলাকার মসজিদে মিলিত হতে চেষ্টা করতো এবং সেই দিন কোন ধর্মীয় সামাজিক সিদ্ধান্ত গুলো ইমাম সাহেবের মাধ্যমে মসজিদেই ঘোষণা বা প্রচার করা হতো।এটা এক ধরণের রাষ্টিয় বৈঠকের মত,কারণ এবাদত শুধু নামাজ নয়,সমাজের নিয়ম কানুন একে অণয়ের প্রতি দায় বদ্ধতা সব কিছুই ইবাদতের মধ্যে পড়ে এসব জানতে জানাতে বুঝতে বুঝাতে তৎসময় শুক্রবারের খৎবা বা ভাষণেই ছিলো একমাত্র মাধ্যম।এবং তা সবার কাছে গুরুত্বপুর্ণ ছিলো মনোযোগ সহকারে শোনা সেই জন্য খুৎবা শোনাকে ওয়াজিব করা হয়েছে, এটাকে এতটা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে যেন কেউ অন্য মনষ্ক হয়ে ভাষনের একটা অংশ শোনা থেকে বুঝা থেকে বাদ না পড়ে।দেখুন যেখানে খূৎবার দিকে মনোযোগ বা বুঝা জানার জন্য ওয়াজিব করে দেয়া হলো সেটা আপনি এখন শুনছেন কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছেননা, যেটা আপনি বুঝতেছেননা সেটা আপনি শুনে কি হবে? ওয়াজিবের কি দাম থাকলো বলুন?

খুৎবায় উঠে আসবে মানুষের জীবন যাপনের নীতিমালা,সামাজিক কোন অসঙ্গতির সমাধান, নবীজির জীবনি, মহল্লার কোন মুসলিমের বিপদে সবার অংশ গ্রহন,কারো প্রশ্নের ধর্মীয় ব্যখ্যা,কোন ফোতোয়ার প্রচার,রাষ্টিয় কোন সিদ্ধান্তের প্রচার ইত্যাদি সমাজের সকল ধর্মীয় মানবীয় যত বিষয় আছে তা ইমাম সাহের সারা সপ্তাহ লিপিবদ্ধ করে শুক্রবার বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান যেমন ঈদে সবার উদ্দেশ্য ভাষণ দেয়া হলো খুৎবা সেটা যদি আপনি না বুঝে মাথা নাড়েন বসে বসে চোখ বন্ধ করে এটার কি মুল্য আছে কার আছে আমাকে বুঝান?

আপনি বললেন হাদিস কোরান আলোকে বলতে, আরে ভাই হাদিস কোরান আমাদের জন্য, আমরা ইহার জন্য নয়,কোরান রক্ষা মানে গিলাফ বেধে বুকের মধ্য ঝুলিয়ে রাখা নয়, কোরান রক্ষা মানে তার থেকে অজানা জেনে প্রতিষ্ঠা করা, কোরান দিয়ে আপনি সমযোতা সংঘাত এড়াবেন,কোরানের জন্য আপনি সংঘাত করার নাম কোরান রক্ষা নয়।

আবার আসবো)

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

কসমিক রোহান বলেছেন: তাহলে আপনার যুক্তিতে বুঝা গেল নামাযে যে দুয়া পড়া হয় এমনকি সূরা কেরাত ও আপনি অনুবাদ করে পড়ার পক্ষে?

খুৎবা কিন্তু নামাজের ই একটা অংশ।

আশা করি আপনি জানেন যে প্রত্যেক মুসলমানের উপর ইলম শিক্ষা করা ফরজ, তবে অবশ্যই তা ইসলামি ইলম।

সূরা কিরাত, দুয়া খুৎবা এগুলোর অনুবাদ নিজে জেনে নেওয়া উচিৎ।


ধন্যবাদ আপনাকে।
আবারো আসার জন্য আপনাকে স্বাগত জানাই।

৩০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৯

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন:
লেখক বলেছেন: তাহলে আপনার যুক্তিতে বুঝা গেল নামাযে যে দুয়া পড়া হয় এমনকি সূরা কেরাত ও আপনি অনুবাদ করে পড়ার পক্ষে?

নাহ ভাই আমি তা বুঝাইনি,কারণ কোরাণ আর খুৎবা এক জিনিস নয়,খুৎবা সমাজের অবস্থার উপর পরিবর্তন হয় তাই একবার একটা ভাষন হয়ে গেলে সেটা আপনি না শুনলে সেটা আর পাবেননা,কিন্তু কোরআণ লিপিবদ্ধ আছে,আপনি তা অন্য কোন সময় বসে বাংলা তরজুমা করে বুঝে নিতে পারবেন।আর কোরআনের ভাষা আরবি থাকার প্রয়োজনীয়তা আছে কারণ সেটা বিধাতা ছন্দ মিলিয়ে শ্রুতি মধুর করে সৃষ্টি করেছেন,কোরাণের তরজুমা বুঝার পর তা আপনি আরবিতে তেলোয়াতের মধ্যে নিজেকে নিজের মনকে আত্নাকে বিগলিত করতে পারবেন।সুতরাং কোরাআনের বিষয় আমার বক্তব্য যেহেতু এটা মানব জীবনের সংবিধান সেহেতু এটা যেই ভাষায় আপনি বুঝবেন তা ভাষান্তর করায় কোন গুনাহ নেই।আমরা জেহেতু জানি নামাজে সুরা ফাতেহা বাধ্যগত এবং কোরানের সুরা গুলর সহিত নামাজ শেষ করতে হবে সুতরাং আমি এখানে আরবি বিপরিত ভাবিনা।

প্রচলিত খুৎবা গুলো লিপিবদ্ধ এবং নির্দিষ্ট হয়ে আছে যা খুৎবার শুরুদিকের উদ্দেশ্য নয়। এখন যেহেতু রাষ্টিয় কার্যক্রম অন্য মাধ্যমে সম্পাদন হচ্ছে তাই খুৎবার অবস্থান গুরুত্ব নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।

এবার আপনার জাকির নায়েক নিয়ে কথা বলি-

আপনার প্রশ্ন (খ) কোরাণ বনাম বিজ্ঞান...........

কেন আপনি কি মনে করেননা কোরাণের সাথে বিজ্ঞানের কোন সম্পর্ক নেই? কিংবা আপনি কি বলতে চান বিজ্ঞান তথা বিজ্ঙানিরা আল্লাহর সৃষ্টি নয়? বিজ্ঞানীর মাথায় যেই জ্ঞান আছে বা ছিলো সেগুলো কি অন্য কোন স্রষ্টার সৃষ্টি? তাহলেতো উল্টো শেরেক হবে।
বিজ্ঞান সক সৃষ্টি রহস্য বের করে,আল্লাহ বলে আমি মানুষ বানিয়েছি,বিজ্ঞান বলে মানুষের জন্ম শুক্রানু থেকে,মায়ের গর্ভে ১০ মাস ১০ দিনে এইভাবে আস্তে আস্তে শ্রবণ শক্তি পরে অন্যান্য ইন্দ্রীয় গুলো সৃষ্টি হয়।একটা মানুষ জন্ম নিয়েছে আল্লাহর মেহেরবানিতে এইটুকু আমরা শুনি কিন্তু আমরা অবাক হইনা,আল্লাহ বানাইসে তাহলে ঠিক আছে হতে পারে এটা কোন ব্যপারনা,আমরা মুগ্ধ হই কিন্তু অবাক হইনা,অবাক আমরা তখন হই যখন শুনি ১০ মাস ১০ দিনে কিভাবে একটা রক্ত মাংসপিন্ড পরে শিশুতে পরিনত হলো,যেদিন ন্যশনাল জিওগ্রাফিতে একটা মায়ের পেটের মধ্যে ক্যামেরা লাগিয়ে আস্তে আস্তে বেড়ে উঠা দেখলাম তখন নির্বাক হয়ে গেলাম আল্লাহ সৃষ্টি নিপুনতা ও দক্ষতা সতর্কতা দেখে।এখন আপনি বলুন বিজ্ঞান কি ক্ষতি করলো ধর্মের বা আল্লাহর,তার সাথে সম্পর্ক রাখা কি ধর্ম আল্লাহকে ছোট করা নাকি আল্লাহর ক্ষমতা সম্পর্কে আরেকবার জানলাম।

মহাশুন্য নিয়ে বিজ্ঞানের আলোকে এবং আল্লাহ বক্তব্যের মিল কতটা সঙ্গত সেটা পরেরবার বলবো, আজকে শুধু আপনাকে বিজ্ঞান আর কোরাণের আশ্চর্য্য সম্পর্ক একটা নমুনা দেই।

কোরাআন শরীফ খুলে দেখুন-সুরা কাহফ এর ৯ থেকে ২৫ নাম্বার আয়াত, আমি আলাদা আলাদা ভাবে লিখতে পারছিনা,একটু শারীরিক অসুস্থতার জন্য।আমি মুল বিষয়টা তুলে ধরছি, আল্লাহ বলেছেন -ঐ যুবকদের ৩০৯ বছর ঘুম পাড়িয়ে রেখেছি একটা গুহায় জালেমদের হাত থেকে রক্ষা করতে। এবং আমি তাদের ঘুমন্ত অবস্থায় পার্শ্ব পরিবর্তন করাতাম।একাবার ডান দিকে একবার বাম দিকে।এই কথা আল্লাহ ১৪০০ বছর আগে কোরাণ শরীফে বলেছেন,এখন আসুন দেখুন কেন আল্লাহ এই পার্শ্ব পরিবর্তন করাতেন।কারণ হলো আপনি জানেন কিনা জানিনা যারা ব্রেইন স্ট্রোকের রুগী,হাত পা অচল থাকে,যেভাবে শুয়ে রাখা হয় রুগী সেইভাবেই শুয়ে থাকে তাদের জন্য ডাক্তারের এডভাইস হলো এই ধরনের রুগীকে যেন বার বার পার্শ্ব পরিবর্তন করানো হয়,যদি কোন রুগী একভাবে শুয়ে থাকে তাহলে তার প্রেসার পয়েন্টে ঘা হয়ে যেতে পারে,যাকে মেডিকেলের ভাষায় বেড সোর রোগ বলে,এই রোগ হলে সেই রুগীকে আর সুস্থ্য করে তোলা সম্ভব নয়।

এবার বুঝেছেন কেন আল্লাহ ঐ যুবকদের পার্শ্ব পরিবর্তন করাতেন>?।আজকে ১৪০০ বছর পর বিজ্ঞান এই তথ্য দিয়ে কি ধর্মে ক্ষতি করলো নাকি আমার মত একজন গন্ড মুর্খ মুসলিমের চোখে আনঘ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো যে তোরা যেই কোরাণ হাতে নিয়ে বিড় বির করে শরীর ঢুলিয়ে ঢুলিয়ে পড়িস সেখানে কি আছে দেখ।

আজকের জন্য শেষ কথাটা বলি- আপনারা আরবী নিয়ে যে মরছেন দেখুন আল্লাহ কি বলে- সুরা ইউসুফের ২ নং আয়াতে দেখুন- আমি এই কিতাবকে আরবী রুপে অবর্তীর্ন করেছি যেন তোমরা তা বুঝতে পারো। ( কারা? আরব বাসীরা) সয়ং আল্লাহ যেখানে বলছেন বুঝার কথা,যেখানে আরব বাসীদের বুঝানোর জন্য আল্লাহ নিজের আরবী ভাষায় কোরাণ নাযিল করেছেন শুধু মাত্র বুঝার জন্য আপনি কোথা থেকে আসলেন ভাই আরবী ভাষাকে কদম বুচি করার জন্য?

ভালো থাকবেন


আবার আসবো)

০২ রা জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

কসমিক রোহান বলেছেন: একজন মানুষ সহীহ ও বিশুদ্ধ করে আল কুরয়ান পড়তেই জানেনা , সে মানুষ আল কুরআনের ব্যখ্যা করবে কিভাবে?
আল্লাহ স্বয়ং নবীজী সঃ কে বলেছেন যে আমি কুরআন নাযিল করেছি আমিই আপনাকে আল কুরআন শিখিয়ে দেব। এর মানে নবীজী সঃ নিজে নিজেই আল কুরআন বুঝেন নি , স্বয়ং আল্লাহ সুবহানাহু তা'আলাই তাঁকে আল কুরআন শিখিয়ে দিয়েছেন।
তাহলে একজন মানুষ যে আরবী ভাষার পণ্ডিত নন , আল কুরআনের আয়াতের সাথে সংশ্লিষ্ট হাদীস জানেনা , শানে নুজুল জানেনা এমনকি আরবী পড়তেই জানেনা , যারা জানে তারা সহীহ উচ্চারনে পড়তে জানেনা আল কুরআন ভুল উচ্চারণে পড়ে ।
আবার তারাই হয়ে যায় কুরআনের মুফাসসির , ফাতোয়া দানকারী !!

যে স্বীকৃত ডাক্তার সেই কেবল চিকিতসা করতে পারে। যে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার কেবল সে ব্যক্তিই বিল্ডিং ডিজাইন করার অধিকার রাখে। মাটিকাটার শ্রমিক হয়ে চক্ষু অপারেশন করা যেমন বিপজ্জনক তারচেয়েও বেশি বিপজ্জনক যারা হাদীস ও কুরআনের যথাযথ স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য জ্ঞান না রেখে যারা কথা বলে ।

৩১| ০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: আপনার শেষ পোষ্ট আমাকে আলোচনায় নিরুৎসাহীত করে দিলো, তাই আর আগে বাড়ছিনা।আসবো বলেছিলাম বলে আবার আসলাম শুধু।

আমি কোন মানুষকেই তার মতামতের জন্য তাকে দায়ী করিনা,দায়ী করি পরিস্থিতির,যেই পরিবেশ পরিস্থিতি গুলো একটা বিশেষ জাতি গোষ্ঠী অতি সুক্ষ্মভাবে নিজেদের সার্থে তৈরী করেন প্রজন্মকে পথভ্রষ্ট করতে,দোষ তাদের।প্রতিটা মানুষ তার অবস্থান গত আচরণ করবে এটাই স্বাভাবিক,তবে কিছু মানুষ হয় যারা মাথাকে মধ্যখানে রাখেন যেন নিজের মগজে ডান বাম বেছে নিতে পারেন ।

ভালো থাকবেন

০২ রা জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪

কসমিক রোহান বলেছেন: আপনি কিভাবে নিশ্চিত যে আপনি ১০০% বিশুদ্ধ মতের অধিকারী ?
পৃথিবীতে কি বিশুদ্ধ মতের অধিকারী কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নেই?

আপনার কথা দ্বারাই সত্যয়ন হচ্ছে যে আপনি বিশুদ্ধ মতের অধিকারী নন , ইসলামকে জানার ও বুঝার বেশ ঘাটতি আছে ।
আমারো অনেক আছে । তবে আল্লাহ দয়া করে আমাকে যে জ্ঞান দিয়েছেন তা দিয়ে আমি কিছূতা হলেও ভুল ত্রুটি ধরতে পারি । আলহামদুলিল্লাহ।

প্রিথিবী একটা পরীক্ষাগার মাত্র । যারা নিজের মনগড়া মতে ও মনগড়া পথে চলবে তারাই পথভ্রষ্ট হয়ে যেতে পারে । আর যারা নিজের মনগড়া মতে ও পথে না চলে আল কুরআন ও সুন্নাহ যথযথ অনুসরন করে চলবে তারা ইন শা আল্লাহ পথভ্রষ্ট হবেনা । আল্লাহ ওয়াদা করেছেন এ বিষয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ।

আপনি যদি সঠিকটা বুঝতে চান তবে অবশ্যই শুরু থেকে শিখতে হবে ।
ইসলামে জ্ঞান অর্জন করা ফরজ করা হয়েছে । যে জ্ঞান অর্জন করলে সারাজীবন নির্ভুল ভাবে ইসলামী মতাদর্শে থাকা যায় সে জ্ঞান অর্জন করা ফরজ প্রত্যেকের জন্য ।
আর আমরা কতটুকু জ্ঞান অর্জন করি ?
আমরা তো এসএসসি পাস করতেই ১০ থেকে ১২ বছর সময় ব্যয় করি তাতেও আমাদের সামান্যই দুনিয়াবি সম্মান হাসিল হয়। মাস্টার্স পাশ করে অনেকে রিকশা পর্যন্ত চালায় ।
এত কষ্ট করি দুনিয়া পাওয়ার জন্য , পরিশেষে কি পাই ?
অথচ আমাদের উচিত ছিল আল কুরআন ও হাদীসের জ্ঞান অর্জন করার।
আপনি নিশ্চই একজন আলেমকে দেখাতে পারবেন না যিনি রিকশা চালিয়ে জিবিকা নির্বাহ করেন । জেনারেল শিক্ষিত অনেক আছেন যারা বেকার । একজন ইলমে দ্বীন কে আপনি বেকার দেখাতে পারবেন না ।

পৃথিবিতে সবাই স্বাধীন যার যার মত নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে সে চলতে পারে ।
তবে নিজেকে শুধরে নিয়ে বিশুদ্ধ মানুষ হওয়াই সবার জন্য কাম্য।

৩২| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯

কাবিল বলেছেন: রেখে দিলাম পরে পড়ব।

০২ রা জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮

কসমিক রোহান বলেছেন: এই পোস্ট টা বেশ পুরোনো। জাকির নায়েক যে ভ্রান্ত তার আরো বহু প্রমাণ পাওয়া গেছে।

৩৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫

মায়াবী রূপকথা বলেছেন: লেখক বলেছেন: হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, "আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে, একটি দল ব্যতীত ৭২টি দলই জাহান্নামে যাবে।



আমরা কোন দলে আছি তা বিবেচনা করা উচিৎ। নাহলে শেষে কি হবে?


U are definitely going there.

২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:১৩

কসমিক রোহান বলেছেন: এজন্যই আমার এই পোস্ট ।

৩৪| ০২ রা জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬

জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: আমি ডাঃ জাকির নায়িকের অনেকগুলো অনুষ্ঠান দেখেছি, উনার কথা আমার কাছে সব সময়ই সত্য মনে হয়েছে বাকীটুকু আল্লাহ ভাল জানেন, আমার ভুল হলে উনার নিকট ক্ষমা চাই।
তবে আপনি যদি উনাকে দাওয়াত করেন কোন অনুষ্ঠানে অথবা তাকে ইমেইল করেন উনি আশা করি সঠিক উত্তরটি দিবেন।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:১৪

কসমিক রোহান বলেছেন: নবীজী সঃ ছিলেন সারা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী মানব, তাঁর মাতৃভাষাই ছিল আরবী। তারপরেও কেন আল্লাহ্‌ বললেন কুরআন তাকে শিখিয়ে দেবেন ?
কারণ কুরআন একা একা বুঝার নয় ।
আল কুরআনেই আছে যারা জানেনা তারা যেন যারা জানেন তাদের কাছে থেকে যেনে নেয়।
অথচ আজকে কতিপয় মূর্খের দল কুরআনের অপব্যখ্যা করে। যারা কোনদিন আরবীই পড়তে শেখেনি।
অথচ প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ইসলামী জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। ওই পর্যন্ত ইসলামী জ্ঞান অর্জন ফরজ, যতটুকু জ্ঞান অর্জন করলে সারা জীবন প্রতিটি ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ ইসলামী প্নথায় চলা যায় ।

কুরআন সবচেয়ে বেশী জানতেন রাসূলুল্লাহ সঃ । এরপর তাঁর সাহাবায়ে কেরামগণ, এরপর তাবেয়ীন , তাবে-তাবেয়ীণ, এরপর কুরআনের মুফাসসিরগণ ।
তাঁরা সারাজীবন গবেষণা করেন কুরআন নিয়ে । নিজের মনগড়া ভাবে নয়।কুরআন বুঝতে হবে উর্ধ্বক্রম থেকে ধারাবাহিক ভাবে, নবীজী আয়াতের কী অর্থ করেছেন, সাহাবায়ে কেরাম কী ব্যাখ্যা দিয়েছেন এরকম যোগ্য ব্যক্তিদের অর্থ ব্যখ্যাকরণ বুঝে অর্থ ধার্য্য করতে হবে ।

কুরআন সহজ বাট তাদের জন্য যারা ইসলামী জ্ঞান অর্জন করেছেন ।
যদি কেউ অমুসলিম হন তবে তাকে একজন বিজ্ঞ মুসলিমের নিকট থেকে কুরআনের ব্যখ্যা জেনে নিতে হবে।

মোট কথা রুট থেকে বুঝা ছাড়া কুরআন এর সঠিক মর্মার্থ বুঝা যাবে না।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন , তা না হলে দীর্ঘ আলোচনা করতে হবে।

৩৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৬

জেকলেট বলেছেন: আপনি তো অগোছালো উত্তর দিচ্ছেন। আর আপনি এক ভাইকে (ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট) বলেছেন "আপনি কিভাবে নিশ্চিত যে আপনি ১০০% বিশুদ্ধ মতের অধিকারী ?" আমার প্রশ্ন হচ্ছেআপনি কভাবে নিশ্চিত আপনি ১০০% ঠিক আছেন?? অথচ আল্লাহ বলেছেন বান্দা ভূল করবে আর উনি ক্ষমাকারী।

"এই পোষ্টটিতে কোন মনগড়া কথা বলা হয়নি যা বলা হয়েছে তা কুরআন ও হাদীসের আলোকে।
যদি আপনি বিরোধিতা করেন তবে তা কুরআন ও হাদীসের বিরোধিতা করার ধৃষ্টতার শামিল।"
আমি যদি আপনার এই কথা নিয়া তেনা পেচাই কি হবে বলেন ত?? আপনার কথাই কুরআন-হাদীসের কথা?? অবশ্যই এই পোষ্টে এমন অনেক কথা আছে যা কোরআন এবং হাদীসের আলোকে নাই।

আপনি বলেছেন "কওমী মাদ্রাসাই প্রকৃত নবীজী (সঃ) এর সুন্নাত এর সিলসিলা, একমাত্র হাক্কানী দ্বীনি শিক্ষা ব্যবস্থা। যেখানে কুরআন ও হাদীসের বিশুদ্ধ তা'লীম দেয়া হয়।" এইটা কুরআন আর হাদীসের কই পাইছেন একটু রেফারেন্স দিলে ভালো হয়। বস্তুত কওমী শিক্ষা এই দেশে আভির্বাব ই হইছে ব্রিটিশ আমলে।

খুতবার ব্যাপারে: "তাহলে আপনার যুক্তিতে বুঝা গেল নামাযে যে দুয়া পড়া হয় এমনকি সূরা কেরাত ও আপনি অনুবাদ করে পড়ার পক্ষে?" আচছা এই নলেজ নিয়া আপনি ইসলামি ব্লগ লিখছেন আর এত মানুষের সাথে তর্ক করছেন??
কোরআনের আয়াত, সূরা অনুবাদ করে পড়া নিষেদ করা হইছে দুইটা কারনে
১) কুরআনের অর্থ এবং বিশুদ্বতা ঠিক রাখার জন্য। ২) কুরআনের অক্ষতা এবং মহীমা কেয়ামত পর্যনত জারী রাখার জন্য
আর খুতবা নামাজের অংশ না বরং খুতবার গুরুত্বের কারনে জুমার নামাজের আগে এবং দুই ঈদের নামজের আগে বা পরে পড়া হয়। এবং এইটা আল্লাহ কর্তক নাজিলকৃত নয় যে এইটাকে হুবুহু তাই পড়তে হবে। আর আল্লার রাসূল নিজে ছিলেন আরবীভাষি এবং উনার আশপাশের মোটামোটি সবাই আরবিভাষী তাই উনার সকল কথা, ভাষন আরবীতে। আপনার এই লজিকের উত্তর খুব সুন্দর করে কোরআনে দেয়া আছে। মক্কার কফেরেরা রাসুলকে প্রশ্ন করেছিলো কোরআন কেন আরবীতে নাজিল হ্ইছে?? আল্লাহ নিজেই এর উত্তর দিয়েছেন। সূরা ইব্রাহীম (১৪:৪)
খুতবার ব্যাপারে মেজরিটি ষ্কলারের মধ্যে মতভেদ আছে। কিন্ত কেউ ই আপনার মত কাউকে এইভাবে বাতিল করে দেয়নি।
এবার আপনার খুতবা নামাজের অংশ এই ব্যাপারে কিছু বলি: খুতবা নামাজের অংশ এই রেওয়াতটার রেফারেন্স হিসেবে বলা হয় হজরত উমর (রা:) একটি উক্তিকে "জুমার নামাজের ২ রাকাতকে খুতবার মধ্যমে রিপ্লেস করা হয়েছে।" কিন্তু পরবর্তিতে মেজরিটি ষ্কলার এই রেফারেন্ষ দূর্বল বলেছেন। মাজহাবগুলো পর্যন্ত এই ব্যাপারে বিভক্ত। কট্টর মন্তব্য করার আগে পড়া লেখা করবেন আশা করি।
আপনি যে দেওবনদিরদের রেফারেন্সে এই লেখা লিখলেন: উনারা তো মান্যবর সোনিয়া গান্দী, ইন্দিরা গান্ধীদের সাথে উট বস করেন। এখন আমার প্রশ্ন একজন মূর্তি পুজারী কিভাবে ইসলামের বন্ধু হতে পারে?? যারা আল্লার রাসূলকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছে??? আর উনাদের রেফারেন্সে একজন দ্বায়ীর নামে কুৎসা রটাচ্ছেন। অবশ্যই জাকির নায়েক ভূল ত্রটির উর্ধে নন। উনার ভূল গুলো উনার সাথে যোগাযোগ করে রেফারেন্স সহ বুজিয়ে দিবেন। আর যদি উনি তারপর ও আপনার মতামত মানতে নারাজ হন তাহলে আপনি আপনার মতামত মানুষের কাছে সুন্দর যুক্তি সহকারে বুজাবেন। উনার নামে যা লিখছেন তা তো গীবতের মধ্যে পড়ে। আর গীবতের ব্যাপারে ইসলামের বক্তব্য আশা করি জানেন।
ইসলামের এই সকল ব্যাপারে এর আগেও ষ্কলারদের মধ্যে দ্বিমত হয়েছে। তখন লোকেরা এর রফারেন্স টানলে উনরা বলতেন আমার মতামত হচ্ছে এইটা এবং এই এই কারনে।
আপনার টোটাল এই ব্লগ নিয়া আরো অনেক কিছু লেখার ছিলো। কিন্তু পরষ্পর ঝগড়া-ঝাটি করা আমার ভালো লাগেনা। এই মুসলিম উম্মার মাঝে আজকে ঐক্যের খুব দরকার। এইভাবে কে কাফের আর কে মুসলমান বলে নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির রাষ্তা থেকে বের হয়ে আসুন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়াত দান করুন। আমীন

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

কসমিক রোহান বলেছেন: আপনার মন্তব্যের প্রতি উত্তর আমি কয়েক পর্বে দিব ইন শা আল্লাহ্‌ ।
তার আগে আমি দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা বিষয়ক কিছু তথ্য দিচ্ছিঃ

দারূল উলূম দেওবন্দ ভারতের উত্তর প্রদেশে অবস্থিত একটি বিশ্বখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান । বর্তমানে এটি একসময়কার জগতখ্যাত ইসলামী গবেষনা প্রতিষ্ঠান '' আল-আযহার '' এর ভূমিকা পালন করছে। এই প্রতিষ্ঠান টি সূচনা লগ্ন থেকে মান্ সম্মত ও সুন্নত তরিকা মোতাবেক শিক্ষা প্রদান করে আসছে। যুগে যুগে এই মাদ্রাসাটি পেয়েছে আশ্রাফ আলি থানভি,আনোয়ার শাহ কাশ্মিরি, মাহমুদ হাসান, রশিদ আহমেদ গাঙ্গুহির মত নামকরা শিক্ষক ও ইসলামী গবেষককে ।বর্তমানে বাংলাদেশের হাট হাজারি, জামেয়া রহমানিয়া, পাকিস্তানের দারূল উলুম করাচি, যুক্তরাজ্যের ডুইসবারে, দক্ষিন আফ্রিকা এমনকি আমেরিকা মহাদশেও এই মাদ্রাসাটির শিক্ষাপদ্ধতির আলোকে মাদ্রাসা ও ইসলামী গবেষনা প্রতিষ্ঠান চালু রয়েছে। কিন্তু এই মাদ্রাসাটির শুরুর ইতিহাস অনেকেরই অজানা। আর অনেকেই জেনেও না জানার ভান করেএই মাদ্রসাটি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করছেন। বর্তমানে মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটা প্রোগ্রাম হাতে নেয়া হয়েছে, যার টার্গেট হল কওমী মাদ্রাসা, দাওয়াত ও তাবলীগ ও হক্কানী পীর মাশায়েখ দের সম্পর্কে খারাপ ধারনা ছড়ানো। বাংলাদেশি হাজিদের তারা এই সম্বলিত ফ্রি সিডি ও বিতরন করেছে। এই ভন্ডদের প্রধান হাতিয়ার হল ডঃ জাকির নায়েক, যিনি নিজেই সুন্নত অনুযায়ী পোশাক পড়তে লজ্জা পান। তাই দেওবন্দ সম্পর্কে আমার ছোট লেখার পসরা ।

আমরা যদি উপমহাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার ইতিহাস পর্যালোচনা করি তাহলে দেখতে পাই, মুঘল আমলে এই উপমহাদেশে ১২ লক্ষ মাদ্রাসা ছিল। এগুলোর ব্যয়ভার জনগন বা সরকার কেউ করত না। প্রত্যেক মাদ্রাসার নিজস্ব ওয়াকফকৃত জমি ছিল। তাই মাদ্রাসাগুলো ছিল স্বয়ংসম্পুর্ণ। ইংরেজ বেনিয়ারা ভারতীয় উপমহাদেশ দখলের পর এই ১২ লক্ষ মাদ্রাসার ওয়াকফ জমি বাজেয়াপ্ত করে দেয়। তখন মোল্লা মাজেদুদ্দিন নামের এক বুজুর্গকে সাথে নিয়ে কিছু লোক কলকাতার ছেলেদের দ্বীন শিক্ষার সুযোগকরে দেয়ার জন্য ইংরেজ সরকারকে অনুরোধ জানায়। ১৭৮১ সালে লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস এর সময় কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসার উদ্বোধন হয়। পরবর্তিতে শাহ আব্দুল আজিজ (রহঃ ) এর ইংরেজ বিরোধী ফতোয়া আর কাসেম নানুতুবী (রহঃ) এর স্বাধীনতা আন্দোলন ঘোষনার কারনে সমগ্র উপমহাদেশে আজাদি আন্দোলন শুরু হয় ।এতে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসার অনেক ছাত্রে অংশ নেয়। স্বভাবতই ইংরেজরা এতে নাখোশ হয়। তারা তখন এই আলিয়া মাদ্রাসাটির বারোটা বাজানোর ব্যবস্থা করে। ইংরেজ সরকার মাদ্রাসাটির ৩ টি ক্ষতি করে।
১। ইংরেজ্রা কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় একটানা ২৬ জন খ্রিষ্টান প্রিন্সিপাল নিয়োগ করে।
২। ছাত্রদের মাদ্রাসায় পঠিত সিলেবাস থেকে তফসিরে বাইযাবি ও মিশকাত শরিফকে অর্থাৎ কুরআন ও হাদিসের ব্যাখ্যা গ্রন্থ দুটিকে বাদ দেয়।
৩। ইংরেজ সরকার ঘোষনা করে শুধুমাত্র ইংরেজি শিক্ষিত লোকেরাই শিক্ষিত,বাকি অন্য ভাষায় শিক্ষা গ্রহণকারীরা সবাই অচল। এতে করে আলিয়া মাদ্রাসাটির মেরুদণ্ড ভেঙ্গে গেল। এটি আর মাদ্রাসা হিসেবে আগের মত অবস্থায় থাকল না। তখন ই মাওলানা কাসেম নানুতুবি (রহঃ) মাদ্রাসাশিক্ষার সংস্কার এ এগিয়ে আসেন। তখন এই কাজের সাথে জড়িত ছিলেন আরো কয়েকজন প্রখ্যাত আলেম। তাদেরই একজন মাওলানা শাহ রফিউদ্দিন (রহঃ) রাসূল (সাঃ ) এর স্বপ্ন দর্শণ লাভ করেন। রাসূল (সাঃ) তার লাঠি মোবারক দিয়ে এই মাদ্রাসাটির সীমারেখাটি নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। এই ঘটনার বর্ণনা ইসলামী ফাউন্ডেশন এর অনুবাদকৃত '' তারিখে দেওবন্দ'' বইয়ের শুরুতেই আছে। তাই বলা যায় দেওবন্দ প্রতিষ্ঠায় বাহ্যিক প্রতিষ্ঠাতা কাসেম নানুতূবি হলেও এর আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠাতা রাসুলে আকরাম (সাঃ )। কাসেম নানূতুবি রহঃ ১৮৬৬ সালে এই মাদ্রাসাটির গোড়াপত্তন করেন । তখন থেকেই কওম বা জনগনের টাকায় কওমী মাদ্রসার গোড়াপত্তন।

কাসেম নানূতুবি (রহঃ ) এর পরিচয় ঃ অনেকেই তার সম্পর্কে না জেনে তাকে নিয়ে বিভিন্ন খারাপ মন্তব্য লেখে। কিন্তু তারা কি জানে আজ উপমহাদেশে ইসলামী আকিদা, আচার ,কৃষ্টি টিকে আছে কার বদৌলতে? পূর্ব বর্তী বুজুর্গদের সমালোচনা করা মানে আমাদের দীর্ঘ ইসলামী ইতিহাসকেই অস্বীকার করা। কাসেম নানূতুবি (রহঃ ) জন্মগত দিক দিয়ে হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ ) এর বংশধর । আর শিক্ষাগত যোগ্যতায় তিনি মামলুক আলী (রহঃ ) এর ছাত্র। আবার মামলুক আলী (রহঃ ) শাহ আব্দুল আজিজ (রহঃ ) এর ছাত্র ছিলেন । শাহ আব্দুল আজিজ এর উস্তাদ ছিলেন শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলবি (রহঃ )।
কাসেম নানূতুবির রাজনৈতিক পরিচয়ঃ তিনি ১৮৫৭ সালে সিপাহি জনতার বিদ্রোহের সময় '' শামেলির ময়দানে '' সেনাপতি ছিলেন।

তথ্যসুত্র ঃ তারিখে দেওবন্দ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ।
মাওলানা নূরুল ইসলাম অলীপূরি সাহেবের বয়ান ( মিরপুর -১৪ ,জামেউল উলুম মাদ্রাসায় , ২০০৯ সাল )

৩৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:৩৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এই লিখক কি জীবিত আছেন??

২৬ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৬

কসমিক রোহান বলেছেন: কেন ব্রাদার ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.