নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়ি এবং লেখি

সৃষ্টিশীল আলিম

ক্ষুদে সাহিত্যিক, সৃষ্টির নেশায় উন্মুখ

সৃষ্টিশীল আলিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপহার—রম্যগল্প

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫




মামা রুবজ এ রহমান তখন কবিতা লেখায় গভীরভাবে মগ্ন। এমন সময় কলিংবেল বেজে উঠলো। কবিতা লেখা তখন শেষপর্যায়ে। মামা উঠলেন না। পুনরায় মনোনিবেশ করলেন। আবারও কলিংবেল বেজে উঠলো। এভাবে পঞ্চমবার মামা লেখা অসমাপ্ত রেখেই উঠে গেলেন। দরজা না খুলে কী মনে করে যেনো জানালা খুললেন। জানালা খুলতেই এক ভিক্ষুক মহিলা বিনীতস্বরে বললেন—বাবা, গরিব মানুষ; থোরা সায্য করুখখা। সাধারণত লেখার সময় কেউ বিরক্ত করলে মামা খুবই মনোক্ষুণ্ন হন। কখনো কখনো পাগলা ষাড়ের মতোও ক্ষেপে যান। আজও ক্ষেপে যাওয়ার মতো অবস্থা! কিন্তু কি মনে করে যেনো মামা বিরক্তি চেপে গেলেন। ভদ্রভাবে বললেন-মাইগো, মাফ করুক্কা।

মাফের কথা শুনেই মহিলা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন। রাগান্বিতস্বরে বললেন—কিতার লাগি মাফ খরতাম? সায্য দিতায় নায় তো আমার সময় নষ্ট খরলায় খেনে? ইতা বড়োলোকি রইতনায় ...! মামা কি বলবেন তা ভেবে উঠার আগেই মহিলা বিরক্তকণ্ঠে গজরাতে গজরাতে অদৃশ্য হয়ে গেলো। মামা দূরের আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। তারপর অস্পষ্ট স্বরে বললেন—রুবজানা, আইজ তোমারে লইয়া লেখা কবিতাখান শেষ করতে ফারলাম না। বিকালে তোমারে লইয়া নিশ্চয়ই পাখানিত যাইমু। পাখানির অনুভূতি দিয়া কবিতার বাকী অংশ শেষ খরমু।

যেই কথা সেই কাজ। বিকেলবেলা রুবজানাকে নিয়ে মামা জিন্দাবাজার রওয়ানা দিলেন। তাকে সঙ্গ দেওয়া ও কিছু গিফট করাই ছিল মামার মুখ্য উদ্দেশ্য। জিন্দাবাজারের বিখ্যাত জুতারদোকান শহিদ আশরাফ এন্ড সন্স-এ ঢুকলেন। ঠিক ওই মুহূর্তেই ভেতরের সিঁড়িতে দাঁড়ানো ব্যবস্থাপনা পরিচালক এক সেলসম্যানকে উদ্দেশ্য করে বললেন—রুবজানারে ছিঁড়িয়া বস্তায় ভরো। কথাটি শোনামাত্র মামার বান্ধবী রুবজানা ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে গেলেন। এরমধ্যে সেলসম্যানও রুবজানার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো। সেলসম্যানকে এগিয়ে আসতে দেখে রুবজানার ভয়েরমাত্রা আরও বেড়ে গেলো। উপায়ন্তর না দেখে জোরে চিৎকার দিয়ে দ্রুত বেরিয়ে গেলেন। বাইরে এসেই দিলেন দৌড়। মামাও তার পেছনে পেছনে দৌড়াতে লাগলেন।

শহিদ আশরাফ ঘটনার মূলরহস্য কিছুই বুঝলেন না। কেবল বাইরের দিকে কিছুক্ষণ ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলেন। তারপর সেলসম্যানকে বললেন—ওই যে, ‘রুবজানা স’। ওগুলোর বাক্স ছিঁড়ে বস্তায় ভরো।

বি. দ্র. : গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। এই গল্পের সঙ্গে কোনো ব্যক্তির বা চরিত্রের কোনোরূপ সাদৃশ্য মিলে গেল তা কাকতালীয় ঘটনা।

২৪.১১.২০১৭
শিবগঞ্জ, সিলেট

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২

রাজীব নুর বলেছেন: এটা কোনো ক্লাল্পনিক ঘটনা না।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫

সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: :) =p~ :-B


সত্যি বলে প্রচার চালালে নিশ্চয় মামার হাতের মার খেতে হবে। :P :#)

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

বেনামি মানুষ বলেছেন: সিলেটি মাত হুনিয়া ও খইলজা ঠাণ্ডা অই যায়। হাছা গল্প না মিছা গল্প ইতা থুকাইবার টাইম নাই।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: ধন্যবাদ মোরগরোর ভাই। বালা থাকবা।

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮

শামচুল হক বলেছেন: মজার ঘটনা।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৩

সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা।

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: মজা পেলাম।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: একসমুদ্র ভালোবাসা।

৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৩

সুমন কর বলেছেন: হাহাহা..... :D

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৮

সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: :) =p~

ধন্যবাদ

৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩০

দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: বাহ ।অন্যরকম।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: ভালোবাসা জানবেন।

৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা রে রুবজানা !!!
হাহাহাহাহা ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮

সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: :) =p~ :P


ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.