নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফ্রম ডাস্ট আই হ্যাভ কাম, ডাস্ট আই উইল বি

আপন আলোয় আলোকিত হবার অব্যাহত চেষ্টা

আধখানা চাঁদ

যাহা বলিব সত্য বলিব, সত্য বই মিথ্যাও কিঞ্চিৎ বলিব (গল্প বলার সময়)

আধখানা চাঁদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

২৬ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫৪

ডেমোক্রেসি বা গণতন্ত্র থাকার অনেক জ্বালার মধ্যে একটি হল একেক জনের একেক মত থাকা! মত থাকা দোষের কিছু না কিন্তু সেটা নগ্ন,অশালীনভাবে প্রকাশ করাটা দোষের। গতকালকের খেলায় ৪ টি পরিবর্তন এনেও হার। এখন প্রশ্ন উঠেছে তামিম কেন দলে ? চাচা আকরাম খান নির্বাচক বলে ? শামসু থাকলে তো কোপায় দিত ! মাহমুদুল্লাহ কেন দলে ? মুশফিকের ভায়রা তাই ? স্টপ দিস ননসেন্স এরাউন্ড। যারা ক্রিকেট বোঝে,দেখে,খবর রাখে তাদের জানা থাকার কথা সাকিব,তামিম,মাশরাফি ছাড়াও এই দলটা অনেক ম্যাচ জিতেছে। দলের একটা খারাপ সময় যাচ্ছে, একসময় ভাল হবেই।



এবার নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা।গতকাল রাত থেকে আমার ছোটবোন এবং আম্মা চিন্তা করছিল আজ "লাখো কন্ঠে সোনার বাংলা" অনুষ্ঠানে যাবে না। সারা সপ্তাহ স্কুল করে, কোচিং করে একটা ছুটির দিনে একটু দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার বায়না একটা নির্দোষ চাওয়া। কিন্তু স্কুল থেকে বলা হয়েছে, আজ উপস্থিত না থাকলে পরীক্ষায় অংশগ্রহ্ণ করতে দেয়া হবে না। সুতরাং তাঁরা আজও স্কুলে গেছে। অনেক রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল, কিন্তু স্কুলে সকাল ৮টার মধ্যে উপস্থিত থাকতে হবে। দুনিয়াঘুড়ে রিকশা দিয়ে ঠিক সময়ে তারা স্কুলে পৌঁছাল।



অন্যদিকে আমার আজ তেমন কোন তাড়া ছিল না। ঘুম থেকে উঠে,নাস্তা করে আস্তে ধীরে বেরোলাম। উদ্দেশ্য জাতীয় প্যারেড স্কয়ার। যেখানে আমার আম্মা, ছোটবোন গেছে অনেকটা বাধ্য হয়ে, সেখানে আমি গিয়েছি সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছায়,নিজের আগ্রহে।ওখানে যাওয়ার জন্যে কেউ আমাকে খাবারের প্যাকেট দেয়নি,জুস দেয় নি এমনকি পানির বোতলও দেয় নি! এগুলোর আমার দরকারও নাই। গিয়ে দেখি প্রচুর মানুষের সমাগম। আমি যেদিক দিয়ে গিয়েছি(আগারগাঁও এর রাস্তা ধরে) ওখানে কোন সামিয়ানা ছিল না, প্রচন্ড গরম। ১১ টার সময় জাতীয় সংগীত গেয়ে বের হলাম।



বাসায় আসার পর আম্মা আর ছোটবনের উচ্ছ্বাস, অনুষ্ঠান নাকি তাদের অনেক ভাল হয়েছে। ছোটবোনের সব বান্ধবীরা মিলে, আম্মা সব গার্জিয়ানদের নিয়ে জাতীয় সংগীত গেয়েছে। যেই অনুষ্ঠানে যেতেই চাচ্ছিল না তার কোন অংশই তাঁরা বাদ দেননি। ছোট বোন একটা সার্টিফিকেটও পেয়েছে। খুব খুশী সে।



ফেইসবুকে দেখলাম, স্কুলের ছেলেমেয়েরা ফেলে দেয়া জাতীয় পতাকা পা দিয়ে মাড়িয়ে যাচ্ছে। আরো জানলাম, ওষুধ নাকি ইবনে সিনার! আরো কত শত কথা। এখন কথা হল আমরা ব্যাপারটা কীভাবে নিলাম সেটা। সরকার একটা রেকর্ড করতে চাচ্ছিল,করেছে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কারো কারো আগ্রহ ছিল, কেউ কেউ বাধ্য হয়ে গিয়েছে আবার আমার মত একেবারে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিও নেহায়েত কম ছিল না।



দেশের জন্যে ভালবাসা থাকাটা অন্যায় কিছু না,সবার কাজ ঠিকমত করার মধ্য দিয়ে দেশকে সেবা করা হয়ে যায়। আবার কোন বিশেষ দিনে প্রচন্ড গরমে জাতীয় সংগীত কেউ কেউ প্রচন্ড রকমের ভালবাসা থেকেই গেয়ে ফেলে। ভালবাসার জন্ম, উদয় মন থেকে হলেও মাঝে মাঝে সেটা প্রকাশ করতে কোন বাধা নেই।



ওহ আচ্ছা, আমাদের তিনজনের তিনটি পতাকা আমরা কেউ ফেলে দেই নি। সযত্নে বাসায় নিয়ে এসেছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.