নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফ্রম ডাস্ট আই হ্যাভ কাম, ডাস্ট আই উইল বি

আপন আলোয় আলোকিত হবার অব্যাহত চেষ্টা

আধখানা চাঁদ

যাহা বলিব সত্য বলিব, সত্য বই মিথ্যাও কিঞ্চিৎ বলিব (গল্প বলার সময়)

আধখানা চাঁদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তোমরা যারা জাতীয় টিমে খেলো

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:২৬

ইন্ডিয়ান ওপেনার শিখর ধাওয়ান টীমে চান্স পায় গত বছর । রোহিত,বিরাট কুলি,সুরেশ রায়না ২০০৭ থেকেই মোটামুটি টীম ইন্ডিয়ায় স্থায়ী। রায়না, ধাওয়ান এরা দুজনে ২০০৪ সালের আন্ডার নাইন্টিন ওয়ার্ল্ডকাপ খেলেছে।



আফতাব আহমেদের কথা মনে আছে ? বাংলাদেশের আফতাব আহমেদও ২০০৪ একই টুর্নামেন্টে খেলেছে। তখনই আফতাবের মারমুখী ব্যাটিং সবার নজরে আসে। পুরস্কার স্বরূপ জাতীয় টিমে চান্স। পরের ৩ বছরে আফতাব বাংলাদেশ জাতীয় টিমের ৮৫ ম্যাচে প্রায় স্থায়ী সদস্য, কিছু ম্যাচ জয়ী দলের সদস্য।৩-৪ নম্বরে ব্যাট করতে নামতেন, কোন সেঞ্চুরি নেই। অল্পবয়সে বিয়ে করেন,এক মেয়ের বাবাও হন। এবং দল থেকে স্থায়ীভাবে বাদ হয়ে নিজের শততম ম্যাচ খেলার আগেই!(বলা বাহুল্য তার দল থেকে বাদ পড়ার ব্যাপারে তার স্ত্রী,সন্তান দায়ী নন, আফতাব নিজেই দায়ী!)

অন্যদিকে যে সময়ে আফতাব বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে তেমন কিছুই বলার মত করছিলেন না সে সময়ে আরো অনেক ঘরোয়া ম্যাচ খেলে নিজেদের শানিত করছিলেন রোহিত,ধাওয়ানরা।



২০১২ সালের আন্ডার নাইন্টিন ওয়ার্ল্ডকাপের সর্বোচ্চ স্কোরার কে জানেন ? বাংলাদেশের আনামুল হক। এটা ২০১৪ সাল। মাত্র ১ বছর লেগেছে তার জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে। মনে প্রাণে আশা করব, আনামুলের অবস্থা আফতাবের মত যাতে না হয়। এবার ফিরে যান ২০০৪ সালে, শিখর ধাওয়ান ভারতীয় আন্ডার নাইন্টি দলে , জাতীয় দলে ২০১৩ সালে । বোঝা গেছে ব্যাপারটা ?

আমাদের জাতীয় দলে ঠাঁই করে নিতে বেগ পেতে হয় না। শুধু তাই না, পৃথিবীর সব টেস্ট প্লেয়িং দেশে জাতীয় দলে যারা চান্স পান তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে ৫০/৬০টা ফিফটি, ২০/৩০টা হানড্রেড থাকে। আমাদের আফতাবের লিস্ট এ ক্যারিয়ারের এভারেজ ২৪, ওডিয়াই এভারেজও ২৪! (অন্যদেরটা আর ঘাঁটাতে ইচ্ছা করছে না, ঘুম পাচ্ছে!)



ভাল খেলতে হলে ঘরোয়া লীগে প্রচুর রানের অভ্যাস থাকা লাগে, আর যারা সেই অভ্যাস করেন তাদেরই নেয়া লাগে। ভাল খেলোয়াড় তৈরি হয় ঘরোয়া লীগেই। তা না করে শুধুমাত্র প্রতিভা খুঁজে বেড়ালে আশরাফুল,আফতাব,রাজিন,তালহারা আসবে আবার সময়ের সাথে সাথে বিলীনও হয়ে যাবে। তা না করলে মাঝে মাঝে ১ টা জয় নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে আর বাকি সব ম্যাচ হেরে সান্ত্বনা খুঁজতে হবে।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৫৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: তা না করে শুধুমাত্র প্রতিভা খুঁজে বেড়ালে আশরাফুল,আফতাব,রাজিন,তালহারা আসবে আবার সময়ের সাথে সাথে বিলীনও হয়ে যাবে। তা না করলে মাঝে মাঝে ১ টা জয় নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে আর বাকি সব ম্যাচ হেরে সান্ত্বনা খুঁজতে হবে।

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৩৮

আধখানা চাঁদ বলেছেন: ঠিক তাই ।

২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:০৯

পাইলট ভয়েচ বলেছেন: তাদের সময় দিতে হবে ঘরোয়া লিগে। কিন্তু আমদের দেশে যে একবার জাতীয় দল থেকে বাদ পরে সে ক্রিকেট থেকেই বাদ পরে যায়। তাকে দেখা যায় জিবীকার জন্য লড়তে। এই ভাবে দেশ ও কিছু পাবে না খেলোয়াররা ও কিছু পাবে না।
পাব শুধু আমরা হতাশা

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৪২

আধখানা চাঁদ বলেছেন: জাতীয় দল থেকে যে ঢুকে তাকে তার পূর্বের পারফরম্যান্স দেখেই ঢোকানো হয়। এবং ম্যাচের পর ম্যাচ খারাপ খেলতে থাকলেই কেবল তাকে বাদ দেয়া হয়। আশরাফুলের কথাই দেখেন। ৫০ ম্যাচ পর পর একটা ৫০ করত! তাকে কিন্তু যথেষ্ট এর বেশি সুযোগ দেয়া হয়েছে। আর গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করায় এখন ক্রিকেটারদের অন্তত জীবিকা নিয়ে চিন্তা করা লাগেনা। ক্রিকেটাররাও দেশের প্রতি নিবেদিত নন।

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:১৪

রবিউল করিম বাবু বলেছেন: আসলে আমাদের দেশে তো ইন্ডিয়ার মতো পর্যাপ্ত ভালো খেলোয়াড় নেই তাই লীগে যারা মোটামুটি ভালো খেলে তাদেরকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়া হয়। অতো ভালো খেলোয়াড় থাকলে তো আর তামিমের মতো গাধারা এতো বাজে খেলার পরও এতোদিন দলে থাকতে পারতো না। তবে আপনার মতামত বেশ গুরুত্বপুর্ণ। বিসিবি যদি এখন থেকেই ঘরোয়া লীগে মনোযগী হয় তাহলে হয়তো আগামী মুল বিশ্বকাপে (৫০ ওভারের) বাংলাদেশ ভালো কিছু করবে। তা না হলে আমরা বেঁচে থাকতে থাকতে বাংলাদেশকে জীবনে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও দেখতে পাবো না।

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৪৯

আধখানা চাঁদ বলেছেন: ইন্ডিয়ার রঞ্জি ট্রফি অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। অনেক ভাল খেলোয়াড় সেখান থেকে বের হয়ে আসে। আমাদের ঘরোয়া লীগে তেমন বলার মত খেলোয়াড় বের হয়ে আসছে না। আমাদের চেয়ে থাকতে হয় বিকেএসপি এবং বয়স ভিত্তিক টীমের দিকে। ওখান থেকে সাকিব, মুশফিক আসলেও পর্যাপ্ত গাইডেন্সের অভাবে তারাও তাদের মেধা অনুযায়ী খেলতে পারে না। আর জাতীয় দলে সুযোগ পেলে খেলোয়াড়রাও আর ঘরোয়া লীগে খেলতে গা করে না। গতবার বিসিবি এটা বাধ্যতামূলক করে দেয়ায় কিছু ম্যাচ তারা খেলেছে। কিন্তু বলার মত অনেক হাই স্কোর বা অনেক রান তারা কিন্তু করেনি। আর আগামী মূল বিশ্বকাপে বাংলাদেশ আরো খারাপ করবে। কারণ, খেলা হবে নিউজিল্যান্ড,অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট পীচে, যে ধরনের পীচে ইন্ডিয়া,পাকিস্তানের খেলোয়াড়রাও নাকানি চুবানি খায়, আমাদের ভাল করার সুযোগ সীমিত সেখানে। ভাল কিছু করতে হলে প্রত্যেক ঘরোয়া লীগের মাঠে টার্ফ বসিয়ে ফাস্ট বোলিং উপযোগী পিচ বানাতে হবে, সেখানে খেলিয়ে খেলোয়াড়দের অভ্যাস তৈরি করতে হবে। বিসিবির মনে হয়না তেমন সদিচ্ছা আছে। তারা খেলোয়াড়দের সাথে বিদেশ ভ্রমণ করতে পারলেই খুশী। হার তো গা সওয়া হয়েই গেছে। মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:২০

বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ এবং পর্যালোচনা দুটোই ভালো লাগলো। তবে ভারতের সাথে তুলনা করার মতো পর্যায়ে আমাদের ক্রিকেটের অবস্থান এখনো ততোটা সমৃদ্ধ হয়ে উঠে নাই। ভারতের ক্রিকেট ইতিহাস অনেক পুরনো এবং তাদের অর্জনও অনেক সমৃদ্ধ। সেই তুলনায় আমাদের দেশের ক্রিকেটকে এখনো নবীন বললে অত্যুক্ত হবে না। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেট অনেক শক্তিশালী। এমন কী ওদের অনেক প্রাদেশিক টিমও বাংলাদেশের জাতীয় টিমকে হারানোর যোগ্যতা রাখে। ভারতে এতো পরিমাণে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন খেলোয়াড় আছে যে, যা দিয়ে বাংলাদেশের কয়েকটা জাতীয় টিম গঠন করা যাবে। তাই সেখানে এমন অনেক খেলোয়াড় আছেন, যাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের খাতা অনেক স্বাস্থ্যবান হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় টিমে চান্স মিলে না। এই জন্যই শেখর ধাওয়ান এবং রোহিত শর্মার মতো ক্রিকেটেরা এতো পরে দলে ঠাই পান। ভারতের একজন খেলোয়াড়কে ১০০ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে যে সময় লাগে, সে সময়ে আমাদের দেশের একজন খেলোয়াড়ের মোটামুটি অবসর নেয়ার সময় হয়ে যায়। টেস্ট ম্যাচের বেলায় এই সংখ্যা অর্ধেকেরও কম। এই দিক দিয়ে অবশ্য আমরা ক্রিকেট বৈষম্যের শিকার। এই বৈষম্য তো গত আইসিসি সভায় গৃহীত বিভিন্ন প্রস্তবনায় আরও প্রকট হয়ে উঠেছে, যা আমাদের দেশের খেলোয়াড়দের আরও পিছনে ঠেলে দেয়া হয়েছে। তারপরও বলবো আগামী আরও ১০ বছর পার হলে হয়তো আমাদের দেশেও অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। তখন দেখা যাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে আসা যেকোনো খেলোয়াড়ের ঘরোয়া ক্রিকেটের বেশ সমৃদ্ধ পরিসংখ্যান রয়েছে। ধন্যবাদ আধখানা চাঁদ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৫৩

আধখানা চাঁদ বলেছেন: এমন অসাধারণ মন্তব্যের জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহী ।

আপনার সাথে একমত। আমরাও কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন না। ২৮ বছর ধরে খেলছি ওয়ান্ডে, ১৪ বছর ধরে খেলছি টেস্ট। ২৭০ ওয়ান্ডের বিপরীতে জয় মাত্র ৭৬ টা, ৮১ টেস্টে জয় কেবল ৪টি। সময় এবং সুযোগের বিপরীতে অনেক বেশি অপ্রতুল। আপনি নিশ্চয়ই জানেন, শ্রীলংকান ক্রিকেটের কথা। ১৯৯৬ বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত তাদের ভাল করে কেউ চিনতই না, যদিও ভাল ক্রিকেট খেলে আসছিল তারা প্রথম থেকেই। রানাতুঙ্গা,ডি সিল্ভার মত ব্যাটসম্যানরা এখনকার আমাদের আনামুল, সাকিব দের চেয়েও কম সুবিধা পেতেন। প্রতিবন্ধকতা থাকবেই। কিন্তু তার মানে এই না যে সেটা ভাল খেলা, ভাল খেলোয়াড় তৈরি তে প্রতিবন্ধক হিসেবে গণ্য হবে।
আইসিসি এখন বৈষম্য করছে। তার সুযোগ আমরা আরো ভাল করে করে দিলাম আফগান এমনকি হংকং এর কাছে হেরে। ১০ বছর পর অবশ্যই আমরা অনেক ভাল প্লেয়ার পাব। আমিও আশাবাদী। আশা ছেড়ে দিলে কিছুই থাকেনা জীবনে। কিন্তু এখন লক্ষ্য করেন, আমরা একটা ফুল ক্রিকেট প্লেয়িং নেশন, অথচ কোন লেভেলেই আমাদের ৩ জন ভাল মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান নেই ! মুশফিক, মুমিনুল। সাকিব কে রাখলাম না কারণ সে জেনুইন ব্যাটসম্যান না। দেখেন, মুশফিক ছাড়া দ্বিতীয় নামটিও আপনি জোর দিয়ে বলতে পারবেন না ! আমরা ২৮ বছর পরও একজন ভাল মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান পাইনি। আকরাম,বুলবুল বলার মতন কোন পরিসংখ্যান নেই তাঁদের, যেটা থাকা তাদের করা উচিত ছিল বলে আমি মনে করি।এখানে কোন এক্সকিউজ এর সুযোগ নাই। আইসিসি জিতে আসার পর তাঁরা জাতীয় বীর ছিলেন, সুযোগ কম পাননি কেউ। এখন ১০ বছর পর সলিড মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এর নাম না আসে তাহলে কি করে আশায় বুক বাঁধব?
আপনি যেটা বলেছেন, আগামী ১০ বছর পর ঘরোয়া ক্রিকেট, বয়সভিত্তিক ক্রিকেট সব ধরনের ক্রিকেটে আন্তুর্জাতিক মান সম্পন্ন না করতে পারলে, প্রতিযোগিতা না করতে পারলে আমাদের সারাজীবন বৈষম্যের শিকার হয়ে থাকতে হবে। জবাব টা দিতে হয় মাঠেই।

৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৫:১৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনার মতামত সঠিক, একমত।

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪

আধখানা চাঁদ বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্যে, মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।

৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৫:৪০

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: উপরের বিদ্রোহী বাঙালীর সাথে আমি একমত। কিন্তু আমাদের মধ্যে একাগ্রতার অভাব আছে- এটা মানতেই হবে। সবাই শর্টকাটে তারকা হতে চায়। কিন্তু ভালো খেলোয়াড় হতে খেলাটাকে সাধনার পর্যায়ে নিতে হয়। আর আমাদের খেলা ও খেলার বাইরের আত্নবিধ্বংসী রাজনীতির কথা বলাই বাহুল্য। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা।

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০৩

আধখানা চাঁদ বলেছেন: আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত। আমাদের জাতীয় মানে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটারদের মধ্যে একাগ্রতা এবং প্রফেশনালিজমের অভাব রয়েছে। এই পর্যায়ে এসে নিশ্চয়ই আপনাকে শট সিলেকশন শেখাতে হবে না। সেটা শিখে আসার কথা আগেই। শ্রীলংকা সিরিজের শুরু থেকে অফস্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল যেটা কিনা আন্ডার নাইন্টিনের ছেলেরাও পেলে বাউন্ডারি মারে, সেই বলে ব্যাট ছোঁয়াতেই নাসিরের দিন শেষ হয়ে যায়! বা গতকালকের ম্যাচে তামিম জানে ফার্স্ট স্লিপে ফিল্ডার আছে, খোঁচা দিলো কেন ? যাই হোক, সাধনা আসে না কারন প্লেয়ারদের জাগতিক চাহিদা খুব ভালমত মেটানো হচ্ছে, আর দ্বিতীয়ত তামিম রা জানে ওরা ছাড়া পাইপলাইনে তার চেয়ে ভাল ক্রিকেটার নেই। এটাই হল সমস্যা। তামিম যদি জানত ওর ঘাড়ে আরেকটা তামিম শ্বাস নিচ্ছে, সে আরো সাবধানী হত, আরো ভাল খেলা পেতাম তার কাছ থেকে।
অনেক সুন্দর মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ তনিমা। ভাল থাকবেন।

৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৬:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাংলাদেশ ক্রিকেটের সব কিছুই অগোছালো। এই লেখাটির বক্তব্যের সাথে আমি পুরোপুরি একমত। অতি অল্প খেলাধুলা করেই যদি জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া যায়, তাহলে কখনোই ক্রিকেটের মান উন্নত হবেনা।
ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০৭

আধখানা চাঁদ বলেছেন: আমাদের একটা কাঠামো আছে। কিন্তু সেই কাঠামো পর্যাপ্ত না। নিজেদের মধ্যে আমাদের কম্পিটিশন নাই। যারা জাতীয় পর্যায়ে খেলে তাদের খেলায় এপ্লিকেশন নাই। একটা ভাল ইনিংস খেলতে যদি ৫ ম্যাচ অপেক্ষা করা লাগে তাহলে দল ধুঁকবেই। প্রতি ম্যাচেই নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে হয়, সেই চেষ্টা থাকা লাগে, সেটার অভাব আছে ঘরোয়া লীগে, জাতীয় টিমেও।

কষ্ট করে পড়ার জন্যে, সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আবুহেনা ভাই। ভাল থাকবেন।

৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:২৭

রাহমান রাফি বলেছেন: অযথা পেনিক নিতে যান কেন ভাই?অস্ট্রেলিয়ার মত দলের ওতো খারাপ অবস্থা যায়।সাউথ আফ্রিকা তো নিজেকে এখন নিজেরাই আন্ডারডগ বলে তো এইখানে বাংলাদেশের খারাপ খেলা নিয়া এত পেনিকের কি আছে?

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:১৬

আধখানা চাঁদ বলেছেন: হা হা হা। ভাই, পেনিক তো আমরা নেই না, আমরা শুধু প্লেয়ারদের পেনিক নিতে না করি, আর পেনিক নিয়ে যখন আফগানিস্থান,হংকং এর কাছে হারে তখন পেনিক করতে যে না করসিলাম সেটা শুধু মনে করিয়ে দেই!
সাউথ আফ্রিকা কিন্তু নেদারল্যান্ডস এর কাছে হারতে হারতেও হারে নাই। আমরা শুধু আফগানদের কাছে হেরেই ক্ষান্ত হই নাই, হারসি হংকং এর কাছেও। মানলাম এক্সিডেন্ট একবার হয়, আমরা কি আগে আয়ারল্যান্ড, কানাডার কাছেও হারি নাই ? তখন থেকেই যদি সাবধান হইতাম, এত বছর পর আবারো হারা লাগত ? ভাল দলগুলার কাছে হারে, মানলাম, তাই বলে ওইগুলার কাছেও হারতে হবে ? দিন খালি আমাদেরই খারাপ যায়, তাই বলে এত খারাপ ? নিজেদের দিনে আমরা ভাল খেলি কিন্তু সেই ভাল দিনের অপেক্ষায় থেকে কত হাজার দিন যে খারাপ হচ্ছে সেই খেয়াল রাখি ?
ভাই, ভাল খেললে যেমন ভাল বলবেন, খারাপ খেললেও খারাপ টা বলতে শেখেন, এতে লাভ প্লেয়ারদেরই। ওরা বুঝতে শিখবে। আর আমার মত নাদানের লেখা প্লেয়ার পর্যন্ত পৌঁছবে না। আর আন্ডারডগ ? আমরা তো পাপ্পিই হইতে পারলাম না নিজেদের মাঠে খেলা, আন্ডারডগ অন্য দল হইলে আমাদের কী লাভ বলেন ?
সুন্দর মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ রাফি ভাই। ভাল থাকবেন।

৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: বেশ!
শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪

আধখানা চাঁদ বলেছেন: আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ মুনতাসির।

১০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: আপনার সাথে একমত । গদগদে আবেগমার্কা বিশ্লেষণ না দেখতে পেয়ে খুশি হয়েছি ।
ঘরোয়া ক্রিকেট শক্তিশালি করার ব্যাপারে বিসিবির কোন মাথাব্যাথা
আছে বলে মনে হয় না । জেলা ক্রিকেট শক্তিশালি হলে এটার একটা ফল আমরা পেতাম । খুব নিচের স্তর থেকে আমাদের ভাবতে হবে - যদি উন্নতি করার খায়েস থাকে । ব্যক্তিগত চমকে আর কয়টা ম্যাচ জেতা যায় !

আপনার লেখা খুবই ভাল লেগেছে । ফেসবুকে তাই শেয়ার দিলাম ।

ভাল থাকুন ভাই ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩৫

আধখানা চাঁদ বলেছেন: আমার মত নাদানের লেখা আপনার ভাল লেগেছে জেনে খুবই ভাল লাগল।
আপনি ঠিকই বলেছেন। দেখেন, আমাদের উপজাতীয়রা কিন্তু শারীরিকভাবে খুবই শক্ত-সমর্থ, খুবই ফিট এন্ড কুইক এস ওয়েল। আমরা কি উপজাতিদের দিকে খেয়াল করেছি বা বিসিবি কি খেয়াল করেছে ? ওখান থেকেও তো অসাধারণ কিছু ফিল্ডার, পিঞ্চ হিটার বের হয়ে আসতে পারে। কেবল বড় শহরগুলোর দিকে সবার নজর। আফ্রিদি কিন্তু পাকিস্থানের উপজাতি থেকে উঠে এসেছে। এইদিকটাও ভেবে দেখা উচিত বিসিবির। রূট লেভেল থেকে কাঁচা হীরা বের করতে হবে, তারপর শেইপ করতে হবে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ ভাই।

১১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:১৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষনগুলো মোটামুটি ঠিকই আছে। আমিও অনেকটা তাই মনে করি। তবে আমাদের দরকার সঠিক পরিকল্পনা এবং অর্থের সঠিক ব্যবহার। ক্রিকেট বোর্ড থেকে অযোগ্য ও দলকানা লোক থেকে মুক্তি।

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

আধখানা চাঁদ বলেছেন: বিসিবিতে নাকি ভারপ্রাপ্ত সিইও আছে। উনি মাসে বেতন নেয়া ছাড়া আর কী কাজ করে আমার খুব জানার ইচ্ছা। এবং সম্ভব হলে বিসিবিকে জানিয়ে দিতে চাই ওইখানে তার এক তৃতীয়াংশ বেতনে আমি কাজ করতে আগ্রহী!

এবার একটু অন্য কথা বলি। প্রিয় কাল্পনিক_ভালোবাসা। আমি একটা সময় এ ব্লগে খুব সময় দিতাম। উলটা পালটা লেখার চাইতে পড়তেই বেশি ভাল লাগত, এখনো লাগে। তবে এখন আগের মত সময় দিতে পারিনা। সেই শুরু থেকেই আপনি, কালা মনের ধলা মানুষ(এখন উনিও ব্যস্ত) আমার মত নাদানের লেখা পড়ে আসছেন। যখনই লিখি আপনার মূল্যবান মতামত পাই। আপনি কি জানেন আপনার এ কয়েক লাইন মন্তব্য আমাকে কী পরিমাণ আলোড়িত করে, অনুপ্রাণিত করে ? অন্যরকম একটা শক্তি পাই, আরো ভাল লেখার চেষ্টা চলে আসে।
আপনাকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শ্রদ্ধা, ভালবাসা; কাল্পনিক না কিন্তু, বাস্তবে ।

১২| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: ভাল বলেছেন।

সহমত।

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৪৫

আধখানা চাঁদ বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ বংগভূমি। ভাল থাকবেন।

১৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩

মামুন রশিদ বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আলোকপাত করেছেন । আন্ডার নাইনটিন বা ঘরোয়া লীগে যে ছেলেগুলো ভালো করে তাদের স্কিলকে বিকশিত করার জন্য নিবিড় প্রশিক্ষনে রাখা প্রয়োজন । কিন্তু তা না করে এই কচি ছেলেগুলোকে ন্যাশনাল টিমে নিয়ে হাঙর-কুমীরদের সামনে ছেড়ে দেয়া হয় । যার নিশ্চিত ফল পারফরমেন্সে অধারাবাহিকতা, এবং যে বয়সে তার জাতীয় টিমে ঢুকার স্বপ্ন দেখার কথা সেই বয়সে সে জাতীয় দল থেকে চিরতরে রিজেক্ট হয়ে যায় ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫১

আধখানা চাঁদ বলেছেন: আপনি জানেন যে অস্ট্রেলিয়ায় একটা প্লেয়ার ইন্টারন্যাশনাল ক্যারিয়ার শুরু করতে করতেই ২৮ বছর লেগে যায়! শেষ যেই খেলোয়াড় ২২ বছরে শুরু করেছিলেন উনি রিকি পন্টিং। উনার পরে যাদের অভিষেক হয়েছে সবার বয়স কমপক্ষে ২৪ বছর বা তার বেশি ছিল! এখন এটা পাকিস্তানেও আরম্ভ হয়েছে। মিসবাহ,সাঈদ আজমলরা অনেক পরে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন, এখনো খেলে চলেছেন। আমাদের ১৮-১৯ বছরেই অভিষেক করানো হয়, ২৫ এর আগেই শেষ। এটা কোনভাবেই উচিত না, কাম্য না।
কষ্ট করে পড়ার জন্য এবং সুন্দর মন্ত্যব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:২১

আহমেদ সাদ রিজভী বলেছেন: আমাদের ঘরোয়া লিগ এর স্ট্রাকচার টা আগে ঠিক করতে হবে.। লিগ এর ম্যাচ গুলাকে করতে হবে ফিক্সিং মুক্ত। আর অনেক খুটিনাটি ব্যাপার ঠিক করলে পরেই আমাদের ক্রিকেট টা আরও ভালর দিকে যাবে বলে আমি মনে করি।

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:২২

আধখানা চাঁদ বলেছেন: সম্পূর্ণ একমত। লীগ হতে হবে প্রতিযোগিতামূলক। তাহলে পাইপলাইনে অনেক ভাল খেলোয়াড় তৈরি থাকবে।

সুন্দর মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.