নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যাহা বলিব সত্য বলিব, সত্য বই মিথ্যাও কিঞ্চিৎ বলিব (গল্প বলার সময়)
উৎসর্গঃ পোস্টটি আপামর ব্রাজিল সমর্থকগোষ্ঠীদের নামে উৎসর্গ করা হল
রাত ২ টার সময় খেলা পড়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ সংবাদপত্র গতকালকের খেলার সম্পূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারেনি। এখানে সেই অপচেষ্টা করা হল!
এতক্ষণে কারও জানতে বাকি নেই যে গতকালকের ম্যাচে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল তাঁদের বিশ্বকাপের চেয়ে আরো দুটি গোল বেশি খেয়ে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে। ম্যাচে মোট গোল হয়েছে ৮ টি। তাহলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ব্রাজিল ১-জার্মানী ৭ ! জ্বী, আপনি ভুল দেখছেন না বা আমিও রোজা থাকার কারণে ভুলভাল টাইপ করছি না। ব্রাজিল তাদের 'মিশন হেক্সা' থেকেও একটি গোল বেশি খেয়েছে।
ম্যাচ শুরুর দিকের কিছু চিত্রঃ
ভক্তদের উচ্ছ্বাস
কানায় কানায় পূর্ণ স্টেডিয়াম
কী আনন্দ, কীযে খুশি
বে্লো হরিজন্তে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি দুই পরাশক্তি ব্রাজিল-জার্মানী। ব্রাজিল একাদশে নেইমারের অনুপস্থিতি এবং নিয়মিত অধিনায়ক থিয়াগো সিলভার ম্যাচে নিষেধাজ্ঞার কারণে শুরু থেকেই দলে একটি অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছিল। কিন্তু সেটিও উড়ে গিয়েছিল নিজেদের মাঠে খেলা বলে।
ম্যাচে অদৃশ্য নেইমারের ছিল সরব উপস্থিতি। তার সতীর্থরা চেয়েছিল নেইমারের জন্যে হলেও ম্যাচটি জিতে স্মরণীয় করে রাখতে। কিন্তু যেভাবে ম্যাচটি স্মরণীয় হয়ে থাকল সেভাবে খোদ নেইমারও বোধকরি থাকতে চাইত না।
অফিসিয়াল ফটোসেশনে নেইমারের জার্সি হাতে সতীর্থরা
ম্যাচের মাঠে জার্মানদের প্রভাব ছিল একেবারে শুরু থেকেই। এবং ম্যাচে কী ঘটতে যাচ্ছে তার জানান দেয়া শুরু করে মুলার, ম্যাচের ১১ মিনিটে প্রথম গোল করে।বিশ্বকাপে এটি তার ৫ম গোল।
এর ঠিক ১২ মিনিট পর থেকে যা শুরু হল, ব্রাজিলিয়ানরা এবং সমর্থকরা মনে প্রাণে চাইবেন সেটি রিপিট করে প্রথম ১১ মিনিটে চলে যেতে, যখন মাত্র ১ টি গোল হয়েছে। ম্যাচের ২৩তম মিনিটে ইতিহাসের বিখ্যাত গোলটি করেন মিরোস্লাভ ক্লোসা। ইতিহাসবিখ্যাত কারণ এই গোলটি করেই ক্লোসা বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১৬ গোলের মালিক বনে যান। এর আগের ১৫ গোল করে রেকর্ডটি ভাগাভাগি করেছিলেন 'এল ফেনোমেনা' ব্রাজিলের রোনালদোর সাথে।
ক্লোসার গোল উদযাপন
মূলত এখান থেকেই শুরু হয় জার্মানদের গোল-বন্যা, অন্যদিকে ব্রাজিল সমর্থকদের হাহাকার-কান্না। ১ মিনিট না পেরোতেই ম্যাচসেরা ক্রুসের গোলঃ
২ মিনিট না পেরোতেই আবার ক্রুসের আঘাতঃ
এবং ৪ মিনিট না পেরোতে মিডফিল্ডার খেদিরার ব্রাজিল সমর্থকদের হৃদয় ক্ষরণ করা ৫ম গোল!
ভাগ্যক্রমে এরপর প্রথম হাফ এ ব্রাজিল কে আর গোল হজম করতে হয়নি। ক্রিকেটের মত যদি ডিক্লারেশন সিস্টেম থাকত, ব্রাজিল মনে হয় ডিক্লেয়ার করে পরাজয় মেনে নিত। কিন্তু এটা অঘটনের বিশ্বকাপ। অনেক কিছুই সহ্য করতে হবে।
৫মিনিটে ৪ গোল হজম করা চ্যাম্পিয়নরা বুঝে গেছে পরাজয় ঠেকানো যাবে না। গ্যালারিতে বসে থাকা ব্রাজিলিয়ানরা কেউ কাঁদছে, কেউ মূড় জম্বির মত বসে আছে। কোন উল্লাস নেই, মাতামাতি নেই।
২য় হাফে ব্রাজিল অনেক চেষ্টা করেছে গোল আদায় করার, কিন্তু যোগ্য ফিনিশের অভাবে সম্ভব হয়নি। ফ্রেড,হাল্ক এর নিশ্চল,নীথর প্রচেষ্টা ব্রাজিলিয়ানদের আক্ষেপ বাড়িয়েছে শুধু। গোল তো পায়ই নি, উলটো ৬৯ মিনিটে ক্লোসার বদলি হিসেবে নামা শ্রুল একটি গোল করে বসেন। স্কোর ৬-০
এর ১০ মিনিট পর আবারো শ্রুলের আঘাতঃ
আক্ষরিক অর্থে বিদ্ধস্থ ব্রাজিলের স্কোর তখন ০-জার্মানী ৭। একটি গোলের জন্যে মরিয়া ব্রাজিল সান্ত্বনাসূচক একমাত্র গোলতই করে ম্যাচের শেষ মিনিটে।
ম্যাচশেষে যা হয়, প্লেয়ারদের মাঠে গড়াগড়ি করে কান্না, হা পিত্যেশ। কিন্তু ব্রাজিল কাল ছাড়িয়ে গেল সবকিছুই। খেলায় জয়-পরাজয় মেনে নেয়াই যায়। কিন্তু অপমান মেনে নেয়া খুবই কঠিন। জার্মানী ম্যাচে যা করল তা স্রেফ অপমানের সমানই। ২ জন ভাল প্লেয়ারের অনুপস্থিতি মানে আর যাই হোক ৭ গোলের ব্যবধানে হার নয়, আর ম্যাচটি যদি সেমিফাইনাল হয়, তাহলে আরও নয়।
নানা সমালোচনার মুখে শুরু হওয়া বিশ্বকাপটি ব্রাজিল সরকারের জন্যে আন্দোলনকারীদের আন্দোলনের নতুন মাত্রা দিতে পারে। মাত্রাতিরিক্ত ব্যয়ের হিসেব এখন আরও বেশি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। আর ৩য় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে কী হয় সেটাই এখন দেখার।
অন্যদিকে ফাইনালে পা দেয়া জার্মানী এখন আর্জেন্টিনা বা হল্যান্ডের জন্যে আগাম হুংকার দিয়ে রাখলো। একটি 'হয়ত' জমজমাট ফাইনালের অপেক্ষায় ৩ বারের চ্যম্পিয়নরা।
ম্যাচ শেষে ভক্তদের হতাশার কিছু ছবিঃ
ফেইসবুকের স্ট্যাটাস সমূহঃ
ব্রাজিল কী ফুটবল খেলতেসে না সার্কাস !
ব্রাজিলের উচিত ছিল ১১ জন নিয়ে খেলা। ফ্রেড আর জুলিও সিজার এই দুইজন কী মাঠে আছে ?
গোল গোল এভরিহোয়ার
রোজা তো আমরা রাখসি। ব্রাজিলের প্লেয়াররাও মনে হয় ভুলে রোযা রাইখা গোল খাইতাসে, ওদের রোযায় ধরসে মনে হয়!
এখন খেদিরাও ব্রাজিলের সাথে গোল দেয়। কে কোথায় আছিস, নেইমার রা কেউ মাইরালা !
থিয়াগো সিলভা থাকলেও আজকে ৭টা গোলই হইত। বলা যায় না, গোল ৩ টা বেশিও হতে পারত!
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২১
আধখানা চাঁদ বলেছেন: ব্রাজিল জিতলেও লেখা পেতেন।
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।
২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার রিপোর্ট।
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২২
আধখানা চাঁদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৩| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮
জহিরুল লাইভ বলেছেন: পেলে সাহেব তো কাউকে মূল্য দিয়ে কথা বলতে লজ্জাবোধ করে! মেসি থেকে নেইমার সেরা। আরও কত কি? কালকে তার স্ট্যাটাস পড়লা।। ভাল লাগল।
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২২
আধখানা চাঁদ বলেছেন: পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ
৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০১
আরিফ রুবেল বলেছেন: এক মিনিট নীরবতা আপামর ব্রাজিল সমর্থকদের জন্য।
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৪
আধখানা চাঁদ বলেছেন: এক মিনিটের নীরবতায় যদি কিছু বদলানো যেত। যত সমর্থনই থাকুক না কেন, বাড়াবাড়ি যেন না হয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।
পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।
৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৫৪
ইলি বিডি বলেছেন: ব্রাজিল তাঁদের বিশ্বকাপের চেয়ে আরো দুটি গোল বেশি খেয়ে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে।
কথা সত্য।
০৯ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৫৪
আধখানা চাঁদ বলেছেন: হুম !
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১
রাজিব বলেছেন: ব্রাজিলের এত খারাপ হার কখনোই হয়নি। ঘরের মাটিতে তাদের ভাগ্য খুব একটা ভাল নয়।
১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৩
আধখানা চাঁদ বলেছেন: এত খারাপ আসলে এই প্রথম। শুধু ভাগ্যের দোষ ছিল এটাও একেবারে বলা যাবে না। ভাগ্যের দোষে ১,২ বা ৩ গোল হয়। এতগুলো নয়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:০১
কলমের কালি শেষ বলেছেন: ভালো লিখেছেন । ব্রাজিল হারে একটাই অর্জন । আমরা একটি সুন্দর লেখা পেয়েছি ।