নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফ্রম ডাস্ট আই হ্যাভ কাম, ডাস্ট আই উইল বি

আপন আলোয় আলোকিত হবার অব্যাহত চেষ্টা

আধখানা চাঁদ

যাহা বলিব সত্য বলিব, সত্য বই মিথ্যাও কিঞ্চিৎ বলিব (গল্প বলার সময়)

আধখানা চাঁদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাতিন আমেরিকার হাসি কান্না, ফাইনালে গেল আর্জেন্টিনা (সচিত্র ম্যাচ রিভিউ)

১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:২১

প্রথম সেমি-ফাইনালের আদ্যপান্ত জানতে এখানে ক্লিক করুন



আগের ম্যাচে বিস্ময়ে,লজ্জায় এবং হতাশায় স্তব্ধ করে দেয়া ব্রাজিলের পরাজয় অনেকটাই শঙ্কায় ফেলে দিয়েছিল আর্জেন্টাইন সমর্থকদের। অনেকের চোখেই এবারের ফাইনাল হতে যাচ্ছিল,'অল ইউরোপ ফাইনাল'। খুব বড় কিছুর লক্ষ্য ঠিক না করে বিশ্বকাপ শুরু করা নেদারল্যান্ডস সর্বোচ্চ লক্ষ্যটাকে স্থির করার উদ্দেশ্যে সাও পাওলো তে হাজির হয়। টানা ২য় বিশ্বকাপ সেমি-ফাইনালের বৈতরণী পার হয়ে সমান সংখ্যক বার ফাইনালে উঠতে উদগ্রবীব উড়তে থাকা ফ্লাইং ডাচরা।



অন্যদিকে লাতিনের স্বপ্ন ধারণ করা,ইতিহাসের হাতছানিতে সাড়া দিয়ে দীর্ঘ ২৪ বছর পর আর্জেন্টিনার সেমিফাইনালে ওঠা। মাঠের ডিজিটাল এ্যাডে, প্রায়ই একটা বিজ্ঞাপন দেখা যায়, "অল অর নাথিং"। ২য় রাউন্ড থেকেই এটা সব দলের জন্যে প্রযোজ্য। তবে আর্জেন্টিনা বলে দেখেই কিনা এর মাহাত্ন্য বেড়ে যায়। ৮৬ এর মহানায়ক ম্যারাডোনার প্রভাব বিশ্বে এবং বাংলাদেশে প্রকট। যে প্রজন্ম চর্মচক্ষে ম্যারাডোনার খেলা দেখেছে এবং যারা দেখেনি তাদের সমর্থনের মূল প্রাণভোমরা এই ম্যারাডোনা। সে সমর্থন এখন ম্যারাডোনা থেকে পরবর্তী জেনারেশন বাতিস্তুতা,ক্রেসপো,তেভেজ হয়ে এখন মেসি তে এসে ঠেকেছে। বাতিস্তুতা ছিলেন গোল মেশিন, তার সমসাময়িক ক্রেসপো ছিলেন প্লে মেকার কাম স্ট্রাইকার। আর পাগলাটে তেভেজের কথা সবারই জানা। এই প্রজন্ম বার বার আশার তীর আঘাত হানলেও তীরে ভিড়তে পারেনি। প্রতিভার স্ফুলিং ফোটানো মেসি গত বিশ্বকাপে আশা জাগিয়ে গোল করালেও করতে পারেননি একটি গোলও। বয়স হয়ে গেছে ২৭, আগের চাইতেও পরিণত ছোট জাদুকর এবারের বিশ্বকাপ টার্গেট করলেন, এখন পর্যন্ত করলেন ৪টি গোল, করালেন ১টি।



২য় সেমিফাইনালটি দু দলই শুরু করে সতর্কতার সাথে। দুই দলই জানে একটি আর্লি গোল ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। ঠিক আগের ম্যাচগুলোতে দুই দলই সেটি প্রমাণ করে সেমি ফাইনালে এসেছে। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ হয়েছে। প্রতিহতও হয়েছে।



নিজেকে হারিয়ে খুঁজে ফেরা হিগুইন একবার ভাল সুযোগ পেয়েছিল। ডি-বক্সের বাইরে থেকে উড়ে আসা বলে মাথা ছোঁয়ানোর আগেই ডাচ ডিফেন্ডার হেড করে বল ক্লিয়ার করেন।



অন্যদিকে ডাচদের আক্রমণ সুসংগঠিত থাকলেও অধিনায়ক রবিন ফন পার্সি তার কোয়ার্টার এবং সেমি ফাইনালে গোল না করার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রেখেছেন। অনেকবার আক্রমণ শানালেও প্রপার ফিনিশিং এর অভাবে গোল হয়নি একটিও।



ম্যাচের একটি সুবর্ণ সুযোগ যা কিনা কাজে লাগাতে পারলে হয়ত সংবাদ শিরোনাম অন্য রকম হলেও হতে পারত সেটি হল আরিয়ান রোবেনের মিস। ম্যাচের অন্তিম মুহুর্তে দুই ডিফেন্ডার চিড়ে বের হয়ে গিয়েছিলেন রোবেন। বলে শটও নিয়েছিলেন, নিশ্চিত গোল হয়েও যেত যদি না আর্জেন্টাইন আস্থার প্রতীক মাচেরানো স্লাইড করে ক্লিয়ার না করতেন।



মাচেরানোর ম্যাচ বাচানো ট্যাকলঃ





অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ম্যাচ গড়ায় টাই ব্রেকারে। যেখানে গোলকীপার হয়ে ওঠে কখনও হিরো, কখনও ভিলেন। ডাচ কোচ ট্যাকটিশিয়ান লুই ফন গাল এদিন আর ক্রালকে নিয়ে জুয়া খেলতে পারেননি সুযোগ না থাকায়। নিয়মিত সিলেনসেনের উপরই ভরসা করতে হয় তাকে।



পেনাল্টি শুট আউটঃ



নেদারল্যান্ডস এর পক্ষে প্রথমেই শুট করতে আসেন শক্তিশালী ভ্লার। ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন রোমেরো।





আর্জেন্টাইনদের পক্ষে প্রথম গোল করতে আসেন বিশ্বসেরা লিওনেল মেসি। তার গোল মিস হবার কোন কারণ থাকতে পারে না, থাকেও নি। ঠান্ডা মাথায় নিজের ৫ম গোলটি করেন ছোট যাদুকরঃ





নেদারল্যান্ডস এর পরের গোলটি করেন আরিয়ান রোবেন। ফিরতি শুটে গোল করেন আর্জেন্টিনার গ্যারে। যেকোন দলের জন্যে ১০ নম্বর জার্সি আস্থার প্রতীক, ৩নম্বর শুটটিতে সেটি করতে আসেন স্নাইডার। বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায় রুখে দেন আর্জেন্টাইন গোলকীপার রোমেরো।







ততক্ষনে ম্যাচের সেরা এবং হিরো হয়ে গেছেন তিনি। পরের শুটটি নিতে আসেন "জামাই" আগুয়েরো। গোল করেন। নেদারল্যান্ডসের হয়ে শুট এবং গোল করেন অভিজ্ঞ সেনানী কাউট। শেষ শুটটি নিতে আসেন আর্জেন্টিনার ম্যাক্সি রদ্রিগেজ। গোল করতে পারলেই ১৯৯০ এর পর ফাইনালে উঠবে আর্জেন্টিনা। শুট করলেন। বলটি গোলবারের ভেতরে দুই বার ড্রপ দিয়ে ভেতরে ঢুকে গেল।







উৎসবমুখর আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সঃ





প্রথমবারের মত মেসি মাঠে কাঁদলেন। আর্জেন্টিনার এবং বাংলাদেশে এর সমর্থকদের স্বপ্ন ছোঁয়ার আরেক ম্যাচ এগিয়ে গেলেন। সামনে ফাইনালে আগেও দুই বার দেখা হওয়া "ভয়ংকর" জার্মানী। মেসি কী পারবেন ? না আরেকবার স্বপ্ন ভংগের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। অপেক্ষা রবিবারের।





ছবিঃ ফিফা.কম

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: ধুর মিয়া কচু শঙ্কা দিয়েছিল !

আপনি ব্রা জিল কিনা জানি না ।

আর্জেন্টিনা আর্জেন্টিনাই .....

পোষ্ট ভাল লাগে নাই । X(

১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:২৯

আধখানা চাঁদ বলেছেন: শঙ্কা ছিল দেখেই গোল করার চেয়ে গোল না খাওয়ার চিন্তা ছিল, যেটায় খেলার মূল সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়। প্রতিযোগিতা কমে যায়।

ঠিকই ধরেছেন, আমি ব্রাজিল সমর্থক নই। পোস্ট ভাল না লাগলে কী আর করা। কষ্ট করে পড়ে ফেলেছেন এ জন্যে অনেক ধন্যবাদ রিফাত ভাই।

ভাল থাকবেন।

২| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০৫

কলমের কালি শেষ বলেছেন: সুন্দর সুন্দর...

১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০

আধখানা চাঁদ বলেছেন: মন্তব্যও ; সুন্দর সুন্দর।

অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:১৫

আহসানের ব্লগ বলেছেন:

১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১

আধখানা চাঁদ বলেছেন: বলেছেন : ?

৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৬

সায়েম উর রহমান বলেছেন: টাই ব্রেকারে করা গোল কখনও ফিল্ড গোল হিসাবে কাউন্ট হয় না । তাই মেসির গোল সংখ্যা ৪। এর আগে আর্জেন্টিনা - জার্মানি ২ বার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে, ৩ বার নয়।

১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১

আধখানা চাঁদ বলেছেন: সংশোধন করে দিয়েছি।

পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:১০

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: ২য় সেমিফাইনালের একটা চমতকার খন্ড চিত্র দেখতে পেলাম আপনার পোস্টে।

১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩২

আধখানা চাঁদ বলেছেন: পড়ার জন্যে আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ বঙ্গভূমির রঙ্গ ।

৬| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

অতঃপর জাহিদ বলেছেন: ইনশাল্লাহ কাপ নিবে আর্জেন্টিনা

১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩

আধখানা চাঁদ বলেছেন: সেই শুভকামনা রইল।

পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ জাহিদ। ভাল থাকবেন

৭| ১০ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২১

রাজীব বলেছেন: এর আগে আর্জেন্টিনা - জার্মানি ২ বার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে,

এবং

আর্জেন্টিনা - জার্মানি ২ বার কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে

১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৫

আধখানা চাঁদ বলেছেন: সংশোধন করে দিয়েছি।

পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৮| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:১৮

বাঙ্গাল অ্যানোনিমাস বলেছেন: দারুণ পোস্ট দিছেন। ধন্যবাদ

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২৫

আধখানা চাঁদ বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ বাঙ্গাল অ্যানোনিমাস।

৯| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৬

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: বাহ চমৎকার ম্যাচ রিপোর্ট। :-P

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২২

আধখানা চাঁদ বলেছেন: শেষের ভেংচিটা দিয়া কি বুঝাইলেন লেখা ভাল হয় নাই ?!

হা হা হা। অনেক ধন্যবাদ রিয়াদ পড়ার জন্যে।

১০| ১২ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার রিপোর্ট। আপনি কোন পত্রিকায় লেখেন নাকি?

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:৩৪

আধখানা চাঁদ বলেছেন: না হাসান ভাই, কোন পত্রিকায় লিখিনা। লেখালেখির যাবতীয় প্রতিভা সামুতেই ব্যয় করি! লেখা তো কিছু হয় না, চেষ্টা করি লেখার। সামুকে ধন্যবাদ আমার পোস্টগুলো পাবলিশ করার জন্যে।

অসাধারণ মন্তব্যের জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।দিন শেষে আমার প্রাপ্তি আপনাদের ভাললাগা।

ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.