নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মসলিন কীভাবে আমাদের ঐতিহ্য হয়? আবার সেই ঐতিহ্যকে ফিরিয়েও বা আনতে হবে কেন?

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২৮



মসলিন নিয়ে সেই ছোটবেলা থেকেই জানি। খুবই পাতলা কাপড়। এর প্রধান দুইটি বৈশিষ্ট্য হলো মসলিন শাড়ীকে একটা ম্যাচ বাক্সে ভরে রাখা যায়, একটা আংটির ভেতর দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া যায়। আওরঙ্গজেবের কন্যা নাকি একবার সেই শাড়ি(বা মসলিনের জামা) পরে রাজার সামনে এসেছিল, রাজা জিজ্ঞেস করেছিল তুমি কি আজকে কোন কাপড় পরোনি?(উইকিপিডিয়াতে আছে রাজা বলেছিল, তোমার কি কাপড়ের অভাব?)

মসলিন ছিল মূলত রপ্তানী পন্য। এই অঞ্চলে রাজা, জমিদারদের মহিলা সদস্য বা ব্রিটিশ মেমসাহেবদের পোশাক হিসেবে ছিল। তাও একান্ত ঘরের পোশাক। তখনকার সাধারণ কেউ এই কাপড়ের জামা বা শাড়ি পরতো না। তাহলে এটা কীভাবে আমাদের ঐতিহ্য হয়? মসলিনে তৈরি পোশাক ছিল একটা ভালগার পোশাক। সাধারণ পশ্চিমা পোশাককে আমাদের বুদ্ধিজীবিরা বলছেন, বাঙালী সংস্কৃতির সাথে যায় না। তাহলে মসলিন কীভাবে আমাদের ঐতিহ্যের সাথে যায়? আবার এই ঐতিহ্যকে নাকি ফিরিয়েও আনা হচ্ছে। গবেষণা চলছে। কিন্তু কেন?

মসলিন কি হাসিনা খালেদা পরবেন?
মসলিন পরে কি পুতুল, জোবায়দা রাস্তায় বের হবেন?
'শাড়ি আর টিপ ছাড়া বাঙালী হয় না' বলা মিতা হক পরে বের হবেন?
একটু পর আমাকে 'গুহায় চলে যেতে বলা' কলাবাগান-এর স্ত্রী পরবেন?
উইম্যান চ্যাপ্টারের নারীবাদিরা পরবেন?

তাহলে মসলিন কার জন্য ফিরিয়ে আনা হবে? রক্ষণশীল সমাজে মসলিনের কোন দরকার নেই। আরও পরে হয়তো আমরা আর এত রক্ষণশীল থাকবো না। তবে এখন এই কাপড় ফিরিয়ে আনা ঠিক হবে না।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আপনি গুহা না, মাটির তলায় চলে যান। =p~

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: মৃত্যুর পর যেতে তো হবেই।

২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫০

নতুন বলেছেন: ভাই আমি কাউকে সাধারনত গুহাতে ফিরে যাইতে বলিনা।

কিন্তু যদি নেটের যুগে বসবাস করেও এই সাধারন জিনিস বোঝে না তাকে বলবো বুঝিনা।

পাতলা কাপড় হলে যেই জামার নিচে অন্য কাপড় দিয়ে লেয়ার দেয়। এটা আপনার বাড়ীর পাশের দজি`র কাছেই জিঙ্গাসা করতে পারেন।

না হলে গুগুলে যদি মুসলিন পোষাক দিয়ে একটু সাচ` দেন তবে সেখানেও অনেক পোষাক পাবেন যেটা সবাই পরতে পারবে।

যদি বিশ্বাস না হয় তবে গুগুলে একটু সাচ` দিন প্লিজ...
Click This Link

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: মসলিনের শাড়ী হলেও কী এভাবে লেয়ার বা বক্রম দিয়ে পাতলা ঢাকা হবে? বর্তমানে ট্রান্সপারেন্ট শাড়ী কিন্তু মসলিনের কাছাকাছি।

৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫০

নতুন বলেছেন:

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: মসলিন এখন বিলুপ্ত। কারণ, যে তুলা থেকে তৈরি করা হতো তার সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। এগুলো কোথা থেকে আসলো?

৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৬

নতুন বলেছেন: আপনার পোস্টের উদ্দেশ্য ছিলো যে মুসলিন খুবই পাতলি এবং তা দিয়ে পোষাক পরলে গা দেখা যাবে..।

এখন কি বুঝতে পেরেছেন যে মুসলিন দিয়ে ভালো স্বালীন পোষাক বানানো যায়???

আগে আপনার ভুল ধারনা ছিলো সেটা স্বিকার করুন..... পরে আরো তথ্য খুজে দেখবো।

মুসলিন উতপাদন হয়।

আমাদের ঢাকায় যেই মানের মত সেই রকমের ভালো হয়তো হয় না।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৬

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: মসলিনের অনেক প্রকার আছে যার মধ্যে জামদানীও একটা। আমি জানি। কিন্তু অরিজিনাল যে পাতলা মসলিন(বিলুপ্ত) সেটা দিয়ে বানানো পোশাক যে শ্লীল হবে না তাই বলার উদ্দেশ্য। ধন্যবাদ।

৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:




বাংলাদেশে গবেষণার জন্য কোন টাকা কোথায়ও দেয়া হয় না, আপনার কান বোধ হয় চিলে নিয়ে গেছে!

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:১৭

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: খবর অনুযায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন জন অধ্যাপক গবেষণা করছেন।

৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

জাহিদ হাসান বলেছেন: আপনি যেহেতু দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সেহেতু আপনাকে ধর্ম মন্ত্রনালয়ে দেওয়া যায় কিনা তা নিয়ে অালোচনা করা দরকার।
যেহেতু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই এইসব কথা বলেছেন।
আপনার কি মনে হয় আগেকার দিনে মসলিনের কাপড় অশ্লীল ছিল?
আর সেসময় কেউ বাইরে এটা পরতো না?
সে সময় ক্যামেরা ছিল না। সুতরাং কেউ ছবি তুলে রাখতে পারেনি। তাই আপনার ধারনগুলো তো ভুলও হতে পারে।
আর আওরঙ্গজেব এর যে উদাহারন টানলেন, আপনি কি জানেন না আওরঙ্গজেব অধিক মাত্রায় ধার্মিক ছিলেন?
সেজন্য হয়তো এই রকম কিছু বলেছেন। আজকের যুগে শাড়িকে তো তেমনই বলে ধার্মিক রা।
ধার্মিকদের মতে মুসলিম মেয়েদের পোশাক হতে হবে - বোরকা ও হিজাব।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:১৬

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: নিশ্চয়ই মসলিন সাধারণের পোশাক ছিল না। আর এটা খুবই পাতলা ছিল বলেই সমালোচনাও ছিল। ধর্মকেও বাদ দেয়া যাচ্ছে না।

৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০৫

নতুন বলেছেন: বত`মানে মসলিন আছে.... তা দিয়ে সব রকমের পোষাকই বানানো যায়... আপনি কাহিনি শুনেছেন যে খুবই পাতলা ছিলো...... সেটা সবাইকে বলে বেড়াচ্ছেন।

আপনাকে মসলিনের ছবি দিলাম.... এটা অবশ্যই বেশ ট্রান্সপারেন্ট... এবং পোষাকের নিচে ফলস কাপড় ব্যবহার করে পোষাক বানানো হয়।

কিছু নিয়ে লাফালাফি করার আগে অবশ্যই একটু জেনে নেবেন। ধন্যবাদ।

আপনার এই হাস্যকর যুক্তির কথা যদি সবাইকে জানাতে চান তবে পোস্টি মুছে ফেলতে পারেন। তবে বাকি সবাই এসে হাসাহাসি করবেনা।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩৩

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমি চাইলেই তো আর মসলিন গবেষণা বন্ধ হবে না। এটা আমার মতামত মাত্র। তবে মনে হচ্ছে রক্ষণশীলরা এখনো আমার পোস্ট পড়েননি!

৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৫৩

শিখণ্ডী বলেছেন: যে কাপড়ে শরীরের সবটাই দেখা যায়, তা দিয়ে পোশাক তৈরি হবে এটা ভাবলেন কী করে? আওরঙ্গজেবের কন্যার ঘটনা একটা গল্প, এসব সত্য নয়। মসলিন দিয়ে সুন্দর সুন্দর পোশাক হতে পারে। আজকাল দেখা যায় পাতলা কাপড় দিয়ে নানা ডিজাইনের তৈরি বোরখা। তো আপনি কি বোরখার ঐ পাতলা অংশটাই চোখে দেখবেন বাকিটা দেখবেন না। আপনার কথা মতো ছালা গায় দেয়া উচিত, তাই না? ছালা আমাদের ঐতিহ্য টিক বলেচি তে?

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:০৭

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: দেখা যাক, মসলিন আসার পর কতটা সুন্দর ব্যবহার হয়। ধন্যবাদ।

৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:২৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: মসলিনতো শুধু গায়েই থাকবে না মানুষের | এরতো আরো ব্যবহার থাকবে তাই না ? তাই এটা আমাদের সংস্কৃতির অংশ হতেতো বাঁধা নেই |

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৩:৪৪

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: এটা প্রধানত নারীদের পোশাকেই ব্যবহৃত হত বা হবে। এত পাতলা কাপড়ের অন্য ব্যবহার হয়তো ওড়না বা রুমাল হিসেবে হবে! ধন্যবাদ।

১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

ভাললাগে না বলেছেন: মসলিন ছিল মূলত রপ্তানী পণ্য। ব্রিটেনে শিল্প বিপ্লবের পরও তারা সুবিধা করতে পারছিল না মসলিনের জন্য তাই তারা ষড়যন্ত্র করে বন্ধ করে দিয়েছে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: হুমমম।ধন্যবাদ।

১১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২৪

আল ইফরান বলেছেন: বুঝতে ভূল করেছেন আপনি, মসলিন সাধারন মানুষ পরিধান করতো না।
এইটা রপ্তানীযোগ্য পণ্য ছিলো আর বাংলার উচ্চশ্রেণীর মানুষদের কাছে কিছু যেত।
শ্রেণীভিত্তিক কনজাম্পশন বিহেভিয়র খেয়াল করলেই দেখবেন আপনি যা বলতে চেয়েছেন তার কোন ভিত্তি নাই।
দেশে মসলিন ফিরে আসলেও আপনি আমি অথবা আমাদের মত সাধারন মানুষ সেইটা এফোর্ড করতে পারবে না।
আর ব্লগার কলাবাগান তার স্ত্রীকে কি পরাবেন বা পরাবেন না সেইটা নিশ্চয়ই আপনার মাথাব্যথা না।
দয়া করে ব্যক্তিগত আক্রমন পরিহার করবেন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: সেটা একটা উপমা যেখানে আমি হাসিনা খালেদার নামও এনেছি। যেহেতু, এটা সাধারণের পোশাক ছিল না তাই এটা আমাদের ঐতিহ্যও ছিল না। মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.