নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
'' এখানে স্বপ্নের মৃত্যু, এখানেই ক্ষয়ে যেতে হয়;
মানুষ তাকিয়ে থাকে অর্থহীন নীল শূন্যতায়। ''
- ইমন জুবায়ের
ইমন জুবায়ের আপনাকে মনে পড়ে।
নিস্তরঙ্গ শীতল হৃদয় নিয়ে যখন বিছানায় রাখি আমার অতৃপ্ত আঁখি;
যখন চোখের কোণে অজান্তেই নোনাজল এসে উৎসব শুরু করে;
যখন ভীষণ একা লাগে যদিও মানুষের অভাব নেই পৃথিবীতে;
যখন ভীষণ যন্ত্রণা হয় কিংবা হাসিমুখে ঘরে ফিরে আমি অনুভব করি রাজ্যের অর্থহীনতা;
আর আমার সেই নিষ্ঠুর মেয়েটির কথাও মনে পড়ে যায়।
আমি সিদ্ধান্তে আসি - এইসব আয়োজন; নিজেকে প্রকাশ করার এই যে ব্যাকুলতা; সংসার, যুথবদ্ধতা, অপেক্ষায় ছিঁড়ে যাওয়া আমার অগণিত রাত্রির বিষণ্নতা - সকলই ভয়াবহভাবে নিরর্থক।
কেননা জানি না 'সত্য' কি? হয়তো 'সত্য' জানা যায় না।
আমার মৃত্যু ও নতুন কিছু জীবনের 'যাত্রা'র মধ্যেই কি জাগতিক সত্যের বীজ নিহিত?
জানিনা । আর জানিনা বলেই অনিশ্চিত এই বেঁচে থাকা।
ইমন জুবায়ের আপনি কি ভালো আছেন? আপনি কি আদৌ কোথাও আছেন? নাকি আপনার মৃত্যু-লগ্ন থেকে শুধু দীর্ঘশ্বাসে ভারী হয়েছে ছায়াপথ।
আমার আর ইচ্ছে নেই তবু 'ইচ্ছে আছে' ভাব নিয়ে বেঁচে থাকা। হতাশ নই। তবুও যেহেতু মানব জীবনের কোনো আশা নেই শুধু বেঁচে থাকা ছাড়া তাই নিশ্চল সময় পায়ে জড়িয়ে একা একা পড়ে থাকা।
আমার ভেতর-ঘরে কেবলই সংশয় জমে যাচ্ছে। আমার দীর্ঘশ্বাস গ্রন্থাগারে বাড়ি খেয়ে অবশেষে নিরর্থকতায় সমর্পিত।
আর পাথর ভেঙ্গে কেবলই ধেয়ে আসছে জল।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০৮
ডি মুন বলেছেন: এখানে এসে দাঁড়ালে মনে পড়ে যাবে।
বুকের ভিতর হাওয়া ঘুরে উঠবে আবার;
এখন রাস্তায় জমে আছে শুকনো পাতা
দিয়েছে ঢেকে হারানো পায়ের ছাপ।
- ইমন জুবায়ের
২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০৩
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ইমন জুবায়ের ভাইয়ের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১০
ডি মুন বলেছেন:
একটি সূর্যাস্তের ঠিক কী মানে? যখন নিস্তেজ মৌন রোদ ছড়ায় শহরের গাছগুলির ওপর; যখন কাকের কোলাহল সেই মৌনতাকে খানখান করে ভাঙ্গতে থাকে; যখন দিগন্তের আলো দ্রুত নিভতে থাকে আর ব্যাপক কুয়াশার ভিতর জড়ানো থাকে একটি রাত্রির ইঙ্গিত; যখন একটি শীত শীত দিনের শেষ বেলাকে কেউ ফিসফিস করে বলে: বিদায়। এই অনুভূতি আমাকে কেমন অবশ করে দেয়। কেননা, জীবন আরও গভীরে গড়াল কিংবা হারাল মহাকালের কিছু মুহূর্তসমষ্টি-যে মুহূর্তসমষ্টি আমি লাভ করেছিলাম জন্মমুহূর্ত থেকেই। সেই মুহূর্তসমষ্টি কি আমার? মহাকালের তরফ থেকে আমাকে সচেতনভাবে দেওয়া হয়েছিল? এই প্রশ্নটিই আমাকে বিব্রত করে দেয়। কেননা, আমি দেখেছি অভাবী নারী ফুটপাথে তার শিশুটিকে নিয়ে অনাহারে কাটাচ্ছে অর্থহীন মুহূর্তসমষ্টি; তবে আমি কেন আমার মুহূর্তসমষ্টিকে সুখি ও শিল্পায়িত করার জন্য অহরহ চেষ্টা করব? আমি কেন নিজেকে নির্বাচিত ও বিশেষ ভেবে উৎফুল্ল হয়ে উঠব? এই বোধ আমার স্নায়ূতন্ত্রকে বিকল করে দিতে যথেষ্ট।
- ইমন জুবায়ের
৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০৮
আবু শাকিল বলেছেন: আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুক।আমিন
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১৩
ডি মুন বলেছেন: আমিন ।
একটাই জীবন। তাই, পাহাড়েই কাটিয়ে দিতে চেয়েছিলাম;
তবুও হে সমতল শহর- আমি তোমায় ভালোবাসি বলে
তোমাকে ছেড়ে আমি অরণ্যবাসী হইনি; তোমার সংকীর্ণ গলিতেই
আজও আমার বাস;
যদিও পানছড়ির মৌন পাহাড়শ্রেণি আমাকে ডাকে নিরন্তর
একটাই জীবন যেহেতু- তাই পাহাড়েই কাটিয়ে দিতে চেয়েছিলাম
গভীর নির্জনতা আর গাছপালার ঘন গন্ধ ভালোবাসি বলে।
- ইমন জুবায়ের
৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:১৮
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: ইমন জুবায়ের ভাই চির দিন হৃদয়ে থাকবেন শ্রদ্ধা এবং ভালবাসায়। ইমন ভাইয়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। মহান আল্লাহ্ তায়ালা উনাকে বেহেস্ত নসীব করুণ।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪৯
ডি মুন বলেছেন: বিকেল থেকেই সুপারি গাছে ঘেরা মাঠটায় বসেছিল সে। একা। সেই মুহূর্তে আকাশ ভরতি আলোর ভিতর গভীর চিন্তামগ্ন দেখাচ্ছিল তাকে। কী নিয়ে যেন গভীর ভাবে ভাবছিল সে। মাঠের পাশেই হরিণজালির খাল। খালের জলের রং অনেকক্ষন ধরেই বদলে যাচ্ছিল । বদলে-যাওয়া জলের দিকে তাকিয়ে ছিল সে। জলে অস্তরাগের লাল আভা। আকাশের রংও বদলে যাাচ্ছিল দ্রুত । কতগুলি কাক উড়ছিল। চেনা-অচেনা পাখিরা কলতান তুলে ফিরে যাচ্ছিল যার-যার নিড়ে। ক্রমেই অন্ধকার- হয়ে- ওঠা প্রকৃতিকে সে তার ভিতরে নিয়ে যেতে থাকে, তখন মায়াময় এক সম্পৃক্ততার বোধ হয়।
- ইমন জুবায়ের
৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:২৩
কালের সময় বলেছেন: আল্লাহ তাকে জান্নাত বাসী করুন । আমিন
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৫
ডি মুন বলেছেন: আমিন ।
হায়, আমি আর এই মাঠ দেখব না,
হরিণজালির খাল দেখব না ...
ইমন জুবায়ের
৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৬:৩৪
বৃতি বলেছেন: মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী, চিরন্তন, জীবনের একটা অংশ। কিন্তু একে নিয়ে আচ্ছন্ন হয়ে থাকার কিছু নেই। ইমন জুবায়ের ভাইয়ের কথাই ধরুন, তাঁর কাজ তাঁকে আমাদের মাঝে অনেক জীবন্ত মানুষের থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ করে রেখেছে। তিনি উদ্ভাসিত থাকবেন তাঁর অবদানের মাঝে। জীবনকে নিরর্থক বলার কোন মানে নেই সে কারণে। জীবনের অর্থ আছে, সেই অর্থ খোঁজার চেষ্টা করা উচিৎ।
অনেক শুভেচ্ছা মুনের জন্য ।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৪
ডি মুন বলেছেন:
মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী, চিরন্তন, জীবনের একটা অংশ।
সব শেষ কিংবা নতুন শুরু। ভয়াবহ দ্বিধা , বিশ্বাস অথবা যুক্তি । সত্য চিরকালই অধরা ।
বছর দশেক আগে, কপিলের তখন কুড়ি বছর বয়স, লতাদির শোকে আচ্ছন্ন, হরিণজালি খালের পাশের মাঠে কার্তিক মাসের এক সন্ধ্যায় বসেছিল । তখন ...তখন কে যেন কপিলের ভিতর ফিসফিস করে বলে উঠল, ত্রিগুণাত্বক প্রকৃতিতে পরিবর্তন ঘটছে, আমার মধ্যে নয়। আমি লতাদি জন্য শোক করব কেন। কপিল অবাক হয়ে গেল। কে কথা বলে? দেখা দেয় না?
সেই শুরু।
তারপর একদিন মনে হল: জগৎ আকস্মিক; জগতের কোনও মানে হতে পারে না ...
- ইমন জুবায়ের
৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১৮
মহানাজমুল বলেছেন: ইমন জুবায়ের পড়ে এত বিচিত্র জিনিস জেনেছি, এত সহজ এবং সাবলীল ভাষায় এত কিছু...
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৫৭
ডি মুন বলেছেন: অফিস ভরতি মাংসলোভী কুকুর।
কাজেই মেহজাবীন
অভিমানে অভিমানে
নিজে কে প্রথমে পাথর
তারপর মৃত জেনেছে ।
নিঃসঙ্গ মেহজাবীন আজকাল এই নিদারুণ গ্রীষ্মে ভয়ানক শীতল বোধ করে। যেন ও বিশাল একটা ডিপ ফ্রিজে বন্দি। চারিদিকে কেবল বরফ আর বরফের ধোঁওয়া। কেউ কোথাও নেই। বড় শব্দহীন। বড় বিচ্ছিন্ন। বড় বেদনাদায়ক।
- ইমন জুবায়ের
৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ইমন জুবায়ের বাংলা ব্লগের আদর্শ হয়ে থাকবেন আমাদের মাঝে।
থ্যাংকস, ডি মুন
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০০
ডি মুন বলেছেন: একটা মেয়ে। শ্যামলা। একুশ/বাইশ বছর মনে হল। হাত নেড়ে কী যেন বোঝাচ্ছে। কান পাতলাম। “রামপুরা” শব্দটা কানে এল। যৌনকর্মী? আমি মুখ ফিরিয়ে নিই। কাকরাইর মোড়ে এক বাস থেমে আছে। পেট্রলের গন্ধটা ঘন। ইশা খাঁ হোটেলের কয়েকটা জ্বানালায় আলো। কোন্ মডেলের ঘুম ভাঙল কে জানে! এদের ভোরবেলা পুলিশের সঙ্গে বার্গিনিং করতে হয় না। এদের পয়সাওলা ক্লায়েন্টদের পুলিশেরা ঘাটে না। যত বিপত্তি রাস্তায় মেয়েদের। রাস্তা পাড় হই। ডানে উইলস লিটল ফ্লওয়ার স্কুল। কারা যেন পাতা পুড়িয়েছে। তার তীব্র গন্ধ। আমার কান্না পায়। মাধব । মাধব। আমি ওই স্কুলে পড়তাম। মাধবরা স্কুলের ভিতরে থাকত সেই পুরনো দোতলা বাড়িটায় । মাধবের সঙ্গে খেলতাম। চুরাশিতে পাস করে বেরিয়েছি। পুরনো স্কুলে অনেকেই যায় পুরনো স্মৃতির টানে। কায়েস স্যার সুইসাইড করার পর আমি আর যাইনি। স্কুলটার সামনে এলে অস্বস্তি লাগে। আমি দ্রুত হাঁটতে থাকি। বাঁয়ে কাকরাইল চার্চ। এই ভোরে ওখানে কী রহস্য লুকিয়ে কে জানে। যিশু কি সত্যি আসবেন? মোম জ্বালিয়ে কেউ ওখানে একখানা প্রাচীন পান্ডুলিপির ওপর ঝুঁকে আছে? আমি দ্রুত হাঁটছি। ঘড়িতে ছটা কুড়ি। আমার শরীরের রক্তে জন্মাবধি শর্করার আধিক্য। ইনফানটাইল ডায়াবেটিস। কুড়ি মিনিট ধরে হাঁটার ফলে তার কতটা সুরাহা হল কে জানে।
- ইমন জুবায়ের
৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬
পার্থ তালুকদার বলেছেন: ইমন ভাইয়ের সময়টাতে আমার ব্লগে আগমন ঘটেনি। তবে আপনার মতো কয়েকজন ব্লগারের সদিচ্ছার দরুন ইমন ভাইয়ের নামটা আমার হৃদয়ে গেঁথে আছে।
ধন্যবাদ মুন ভাই।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০২
ডি মুন বলেছেন:
একটা দিনের শুরু। এখন আর অতটা অন্ধকার নেই। শীত আছে। ডান পাশে অনেকগুলি কুকুর। আমার শরীরে শিহরন বয়ে যায়। অনেকগুলি কুকুর মানেই আদিম হিঃস্রতা। বন্যতা।আমি নিরীশ্বরবাদী সেকুলার। তবে প্রার্থনায় বিশ্বাস করি। যে প্রার্থনা মানুষ গাছ ও পাখিদের জন্য। এই ভোরে এক প্রার্থনা উঠে আসে:পৃথিবীর সকল প্রাণি সুখি হোক। মঙ্গল লাভ করুক।
- ইমন জুবায়ের
১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
মামুন রশিদ বলেছেন: বিনীত শ্রদ্ধা ।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৩
ডি মুন বলেছেন: বুঝিতে পারিনি আমি
মাটির তৈরি ছিলে;
সোনায় মোড়ানো ভেবে
মন কেড়েছিলে?
দেহমাটি ধুয়ে গেছে
মায়াচোখ ক্ষয়েছে ব্যাপক;
তবুও তোমার খোঁজে
আজও আমি কেটে যাই ছক।
তোমার মূরতি গড়ে
উপাসক বিপুল ব্যাথায়;
সোনায় মোড়ানো পুতুল
এ জীবনে আর কে পায়?
- ইমন জুবায়ের
১১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বিনম্র শ্রদ্ধা।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৬
ডি মুন বলেছেন:
আমার গিটারটা সোফার ওপর পড়ে ছিল। আমি মেধাবী তরুণটির কথা শুনতে শুনতে সামান্য ঝুঁকে তারগুলিতে আঙুল বুলিয়ে দিই-টুং টাং শব্দ ওঠে। ছেলেটির অস্বস্তি হয় সম্ভবত। যেন মাদ্রাসার নিষ্পাপ কিশোর-ভুল করে বাঈজীর ঘরে ঢুকে পড়েছে।
যা হোক। কথার ফাঁকে আমি বললাম, তোমার দেশের বাড়ি কই?
সে: বাগেরহাট।
আমি: যাও?
সে: মাসে দুবার।
আমি: কী সে? বাসে?
সে: হ্যাঁ। লঞ্চে পদ্মা পার হই।
আমি: নদী দেখ?
সে: নদী? (ইষৎ বিস্মিত)
আমি: হ্যাঁ, নদী। দেখ?
সে: হ্যাঁ। লঞ্চে উঠলে তো চোখে পড়ে।
আমি: আলাদা করে দেখ না?
সে: কি!
আমি: নদী
সে: নদী?
আমি: হ্যাঁ, নদী। পদ্মা নদী।
ছেলেটি কেমন বিমূঢ় বোধ করে। নদী- ঠিক- সেভাবে- দেখার- কী- আছে!
আমি ভাবলাম, এখন যদি আমি ছেলেটির মুখের দিকে তাকিয়ে আবৃত্তি করি-
হে আকাশ, একদিন ছিলে তুমি প্রভাতের তটিনীর;
তারপর হয়ে গেছ দূর মেরুনিশীথের স্তব্দ সমুদ্রের।
ভোরবেলা পাখিদের গানে তাই ভ্রান্তি নেই,
নেই কোনও নিস্ফলতা আলোকের পতঙ্গের প্রাণে।
বানরী ছাগল নিয়ে যে ভিক্ষুক প্রতারিত রাজপথে ফেরে-
আঁজলায় স্থির শান্ত সলিলের অন্ধকারে-
খুঁজে পায় জিজ্ঞাসার মানে।
যদি আমি আবৃত্তি করি জীবনানন্দের ‘কবিতা’-তা হলে কী হতে পারে ছেলেটির মুখচোখের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া?যাক। আমি আর ছেলেটিকে হতাশাগ্রস্থ করে না তুলে বলতে থাকি- জানেন তো-মানুষ আসলে গল্প শুনতে পছন্দ করে। বলতেও।
- ইমন জুবায়ের
১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৭
অপু তানভীর বলেছেন: ব্লগে আসার অর্ধেক আকর্ষন কমে গেছে তিনি চলে যাওয়ার পরে
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১০
ডি মুন বলেছেন:
পাটাতনের ওপর দাঁড়িতে আমি হা করে আকাশ দেখছি। নীল আকাশের তলে ঝকঝকে রোদের ভিতর জীবনে প্রথম খুব কাছ থেকে দেখলাম উড়ন্ত গাঙচিল। এত কাছে-যেন হাত বাড়িয়ে ছোঁওয়া যাবে। প্রায় অবিশ্বাস্য সেই দৃশ্য। পাখি এত ভালোবাসি-তাকে মুক্তই দেখতে চাই। কাজেই গাঙচিলের উড়ন্ত দৃশ্যটা আজও ফিরে ফিরে আসে এখনকার এই সীমিত জীবনে, যে জীবনে ডিসেম্বর এলেও টেকনাফের নাফ নদীর গন্ধটা আর পাই না। গাঙচিল প্রথম দেখি মহেশখালি যাওয়ার সময়
- ইমন জুবায়ের
১৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১
সাদরিল বলেছেন: এক সময় ব্লগে ঢুকলেই ওনার তথ্যবহুল পোস্ট দেখতাম।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১২
ডি মুন বলেছেন:
বাঁ পাশে সূর্যটা বঙ্গোপসাগলে লাল আলো ছড়িয়ে ক্রমেই ডুবে যাচ্ছিল।
দৃশ্যটায় কী ছিল- আমার কেমন ঘোর লেগেছিল।
কী যেন বলতে চাইছিল প্রকৃতি।
আমাকে।
অন্যদের নয়।
কেবল, আমাকেই।
যাকে আমি ভীষণ ভীষণ ভালোবাসি।
যাকে দুচোখ ভরে দেখব বলে আমি একটা মেয়েকে পর্যন্ত উপেক্ষা করেছি।
সেই প্রকৃতি আমায় মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে এনে একই সঙ্গে অস্তমিত সূর্য ও উদীয়মান চাঁদ দেখিয়ে কী যেন বলতে চাইছিল ১৯৯৪ সালের ১৭ ডিসেম্বরের এক শীতার্ত সন্ধ্যায়।
-ইমন জুবায়ের
১৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:১১
ঢাকাবাসী বলেছেন: অনেক ভাল লাগল।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৪
ডি মুন বলেছেন:
প্রকৃতি যে প্রতিনিয়তই বিবর্তিত হচ্ছে-সামান্য কান্ডজ্ঞানেই তা বোঝা যায়। যদিও মানবগোষ্ঠীর একটি অংশ এই অবধারিত সত্যটি অস্বীকার করেই যাচ্ছে। অস্বীকারের কারণও আছে। এই গৃহটিতে বেঁচে থাকার জন্যই প্রয়োজন একজন অসীম ক্ষমতাশীলী করুণাময় ঈশ্বরের । যেন প্রাকৃতিক বিবর্তন স্বীকার করে নিলে সৃষ্টিকর্তার অসীম ক্ষমতা খানিকটা খর্ব হয়েই যায়।
- ইমন জুবায়ের
১৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১০
জাফরুল মবীন বলেছেন: আল্লাহ উনাকে জান্নাত নসিব করুন-আমীন।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪৪
ডি মুন বলেছেন: আমিন
আমার দুচোখে গাঢ় কুয়াশার ঘোর
তবুও তোমার কাব্য দুহাতে ধরা।
জলের স্রোতের কাছে ঘুমিয়ে পড়েছি আমি
পাতা ঝরে ঢেকে দিয়ে গেল আমায় ।
- ইমন জুবায়ের
১৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: এমন একজন মানুষ এত তাড়াতাড়ি কেন চলে গেলেন! কিসের ব্যস্ততা ছিলো তার!
৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪৯
ডি মুন বলেছেন: প্রযুক্তির বিকাশের পরিনাম বৈশ্বিত উষ্ণতা। ফলে আমাদের হাতে সময় আর বেশি নেই। এ শতকেই তলিয়ে যাচেছ বাংলাদেশ। তাই মনে হয় প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ অন্ধকার। কামার-রাখালদের সমাজ আসলে ব্রিটিশপূর্ব ভারতবর্ষ বা বাংলা। সোনার বাংলাও সম্ভবত। যে সময়টার জন্য আমরা আজও হাহাকার করি। ফকির সন্ন্যাসীরা যে প্রযুক্তিনির্ভর ব্রিটিশ শাসনের বিরোধীতা করেছিল। আর আমার স্বপ্নটা হয়তো কাব্যিক, নিজে নির্জনতা প্রিয় বলেই হয়তো গ্রামের রাখাল কিংবা পাখির জীবন বেছে নিতে চাই। আমাদের হাতে ৭/৮শ বছর থাকলে পাল পাড়ার লোকদের জন্য বৈজ্ঞানিক উপায় উদ্ভাবনের কথা ভাবতাম। আমাদের হাতে যেহেতু খুব বেশি সময় নেই তাই আর শহরে ভিড় বাড়িয়ে কি লাভ। আপনাকে ২০৫০ সালের চিত্রটা আগাম দেখাতে পারলে আপনি আর দেশের উন্নতি নিয়ে ভাবতেন না হয়তো। তখন কেউ কামার বা রাখাল থেকে জীবনযাপন করতে পারলেও আমরা অবাক হব। আর ইউরোপীয় জ্ঞানবিজ্ঞান নিয়ে আরেক বার ভাবুন। ওই তথাকথিত জ্ঞানবিজ্ঞান আমাদের কোথায় নিয়ে ঠেকিয়েছে। তেলের জন্য ১০ লক্ষ ইরাকীর জীবন দিতে হল।
- ইমন জুবায়ের
১৭| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০০
উপপাদ্য বলেছেন: ইমন জুবায়ের আপনাকে মনে পড়ে।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৩
ডি মুন বলেছেন:
আর আমার স্বপ্নটা হয়তো কাব্যিক, নিজে নির্জনতা প্রিয় বলেই হয়তো গ্রামের রাখাল কিংবা পাখির জীবন বেছে নিতে চাই।
- ইমন জুবায়ের
১৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুপ্রিয় ইমন জোবায়ের ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী ।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:২৩
ডি মুন বলেছেন:
পাটাতনের ওপর দাঁড়িতে আমি হা করে আকাশ দেখছি। নীল আকাশের তলে ঝকঝকে রোদের ভিতর জীবনে প্রথম খুব কাছ থেকে দেখলাম উড়ন্ত গাঙচিল। এত কাছে-যেন হাত বাড়িয়ে ছোঁওয়া যাবে। প্রায় অবিশ্বাস্য সেই দৃশ্য। পাখি এত ভালোবাসি-তাকে মুক্তই দেখতে চাই। কাজেই গাঙচিলের উড়ন্ত দৃশ্যটা আজও ফিরে ফিরে আসে এখনকার এই সীমিত জীবনে, যে জীবনে
- ইমন জুবায়ের
১৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৫০
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ইমন যুবায়ের সামুর নক্ষত্র ছিল , তার আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৬
ডি মুন বলেছেন: প্রকৃতি যে প্রতিনিয়তই বিবর্তিত হচ্ছে-সামান্য কান্ডজ্ঞানেই তা বোঝা যায়। যদিও মানবগোষ্ঠীর একটি অংশ এই অবধারিত সত্যটি অস্বীকার করেই যাচ্ছে। অস্বীকারের কারণও আছে। এই গৃহটিতে বেঁচে থাকার জন্যই প্রয়োজন একজন অসীম ক্ষমতাশীলী করুণাময় ঈশ্বরের । যেন প্রাকৃতিক বিবর্তন স্বীকার করে নিলে সৃষ্টিকর্তার অসীম ক্ষমতা খানিকটা খর্ব হয়েই যায়।
- ইমন জুবায়ের
২০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪৯
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ইমন জুবায়ের কে ভুলে থাকা যায় না।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:১৭
ডি মুন বলেছেন: ইমন জুবায়ের কে ভুলে থাকা যায় না।
একটাই জীবন। তাই, পাহাড়েই কাটিয়ে দিতে চেয়েছিলাম;
তবুও হে সমতল শহর- আমি তোমায় ভালোবাসি বলে
তোমাকে ছেড়ে আমি অরণ্যবাসী হইনি; তোমার সংকীর্ণ গলিতেই
আজও আমার বাস;
যদিও পানছড়ির মৌন পাহাড়শ্রেণি আমাকে ডাকে নিরন্তর
একটাই জীবন যেহেতু- তাই পাহাড়েই কাটিয়ে দিতে চেয়েছিলাম
গভীর নির্জনতা আর গাছপালার ঘন গন্ধ ভালোবাসি বলে।
- ইমন জুবায়ের
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৩৭
আমিনুর রহমান বলেছেন:
ইমন জুবায়ের ভাই আপনাকে মনে পড়ে।