নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বদমেজাজী মন্দ লোক (www.meetmamun.com)

ডি মুন

এস এম মামুনুর রহমান - www.meetmamun.com

ডি মুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ উড্ডয়ন

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৪



এখন বরফের মত শীতকাল। বাসেদের ছোট্ট ঘর শব্দহীন। ঘরঘর শব্দওয়ালা ফ্যানটা হাইবারনেশানে। ভালো লাগে না শব্দহীন জগত। নিস্তব্ধতা মৃত্যুর মত।

বহুতল মেসের যে কামরায় ও থাকে, তার সামনে ছোট্ট একটা করিডোর। ব্রাশে দাঁত ঘষতে ঘষতে বাসেদ করিডোরে দাঁড়িয়ে বাইরে তাকায়। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। কুয়াশার পুরু চাদরে সকালের এই পৃথিবী বন্দী। হয়ত আজ সারাদিনটাই এমন কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে কিংবা দুপুর যখন পশ্চিমে গা হেলিয়ে পড়বে তখন খানিকটা রোদ ফুটবে।

ঘরে এসে বাসেদ কালো রঙের শালটা গায়ে জড়িয়ে নেয়। তারপর মুঠোবন্দী হাত চাদরের ভেতরে পাঠিয়ে দিয়ে বেরিয়ে পড়ে। উদ্দেশ্য চায়ের দোকান। এতক্ষণে নিশ্চয়ই জহির আর রাসেলও চলে এসেছে। ওরা বাসেদের চা-বন্ধু। চা খেতে খেতেই একদিন ওদের আলাপ-পরিচয় হয়। দেশের ছেলেরা সেদিন ক্রিকেট খেলছিল টেলিভিশনে।

-- হা হা দ্যাখছেন, তামিম হালায় কী মাইরডা দিল এই ওভারে ! – জহির পাশে বসে থাকা ছেলেটার দিকে তাকায় হাসিমুখে।
রাসেল হাসিমুখ সম্মতি জানিয়ে বলে, আবার জিগায়, আমগো জিত আইজক্যা কেউ ঠেকাইতে পারব না।

ধীরে ধীরে কাঁপের শরীরে ঠোঁট ছুঁইয়ে উত্তাপ বোঝার চেষ্টা করে বাসেদ। সহ্যসীমা পার হবে না নিশ্চিত হয়ে এক চুমুক খায়। তারপর, পাশে-বসা দুজনের মতই হা করে টিভি স্ক্রিনের দিকে তাকায়। ওর খুব ইচ্ছে হয় আলোচনায় যোগ দিতে। দেশ ভালো খেলতে শুরু করলে সবাই ক্রিকেটানুরাগী হয় বলেই বাসেদ আলোচনায় ঝাঁপ দেয়,

– তয় যা-ই কন, দেইখ্যা শুইন্যা না খ্যাললে জিতার পারুম না। আমগো উইকেট পড়বার লাগলে তো আর থামারই চায় না।

জহির আর রাসেল ওর দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়ে। সমস্ত সময়টায় আরো কথা বিনিময় হয়। একসময় উত্তেজনা, আশংকা আর প্রত্যাশার ঘাত প্রতিঘাতে জর্জরিত হয়ে দেশের ছেলেরা জিতে যায়। আনন্দে ওরা তিনজনও লাফিয়ে ওঠে। কোলাকুলি করে। আর তারপর চা দোকান থেকে একটা স্টিলের প্লেট নিয়ে, তাতে লাঠির বাড়ি দিয়ে মিছিল গোছায়। নিখাঁদ এই উল্লাসে ছেলে-বুড়োরাও যোগ দেয়। দেখে মনে হয়, সবাই যেন আনন্দের এমনই কোনো উপলক্ষ্যের জন্যে অপেক্ষায় ছিল বহুদিন।

পরদিন সকালে আবার চা-দোকানে দেখা হয়ে গেলে ওরা তিনজন আবিষ্কার করে – ওদের মধ্যে সখ্য হয়ে গেছে।




দোকানে পৌঁছুতেই বাসেদ পায়ের উপর পা তুলে আয়েশ করে বসে। চারপাশটায় একবার চোখ বুলায়। তারপর বলে, বাশার ভাই, লেবু মাইরা এক কাপ চা লন চটজলদি।
বাশার ভাই গরম পানি দিয়ে কাপগুলো ধুয়ে নেন। তারপর কাঁপের ভেতর দু’চামচ চিনি ফেলে দেন। বাসেদ তাকিয়ে থাকে। তখন কেটলির পানি ছাঁকনির ভেতরকার চা-পাতা ভিজিয়ে দিয়ে লিকার হয়ে কাপে পড়ে। রঙিন এই খেলা দেখে মুগ্ধ হয় বাসেদ। চায়ের কাপে লেবুর রস ফেলতেই রঙ বদলে যায়। বদলে যায় স্বাদ। বাসেদ চায়ে ঠোঁট ভেজায়। বলে, পাত্তি লেবুর সোয়াদই আলাদা, আহ।

আজ রাসেল কিংবা জহির কেউই আসেনি। হয়ত খানিকক্ষণ পরে আসবে কিংবা আসবে না। বাসেদের চা শেষ হয়ে আসে।
-- আইজ আমগো রাসেল-জহির কেউরে যে দ্যাকতাছি না ?
-- হ, অহনতরি আইয়ে নাই। মনে কয়, আইয়া পড়ব।
বাসেদ চারপাশটা আরেকবার দেখে নিয়ে বলে, থাউক, আইযক্যা আর বমু না। যাইগা। আইলে কইয়েন আমি আইছেলাম।

শিমুল তুলোর মত কুয়াশা কেটে বাসেদ এগোতে থাকে। হাত দুটো চাদরের ভেতরে ঢুকিয়ে শান্ত ভঙ্গিতে চারপাশটাতে চোখ বোলায় এবং একসময় একজন পাখিওয়ালাকে দেখে থামে। লোকটা ফেরি করে পাখি বিক্রি করছে। খুব সুন্দর টকটকে লাল-ঠোঁট পাখি। বাসেদ লোকটার কাছে এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করে, আপনের পক্ষীর নাম কী? পাখিওয়ালা পা থেকে মাথা পর্যন্ত তাকিয়ে বাসেদকে একবার মেপে নেয়। বলে, পাখি তো আমার না। আল্লার পাখি। আমি ধইরা ধইরা বেচি। বাসেদ ভুল শুধরে বলে, আপনের আল্লার পাখির নামডাই কন?

-- এই পাখির নাম হীরামন।

নামটা খুব ভালো লাগে বাসেদের। দরে পোষালে নেবে এমন একটা ভাব নিয়ে জিজ্ঞেস করে, আলা কন, আপনের আল্লার পাখি শব্দ করব তো? ডাকব তো? না ডাকলে হুদাকামে নিয়া লাভ কী?
পাখিওয়ালা যেন এই প্রশ্নের জন্যেই অপেক্ষা করছিল। বলল, এই পাখি ডাকব, কথা কইব। আর একজোড় নিলে ডিম পাড়ব, বাচ্চা ফুটব। দামেও সস্তা। নিবেন নাকি ভাইজান?
-- ডিম দিয়া কি করমু। আইচ্ছা কন, হীরামন কী খায়?
-- যা খাওয়াইবেন তাই খাইব। ফল-ফলাদি, ধান-গম, মরিচ, ফুলের রেণু সব।
-- আইচ্ছা, আলা কন দাম কত?
পাখিওয়ালা ময়লা দাঁতের পাটি বের করে হাসে। বলে, একদম পানির দামে বেচতাছি ভাইজান, ৩০০ ট্যাকা কইরা।
দাম শুনে বাসেদ পকেটে হাত চালিয়ে টাকা স্পর্শ করে। কপালে ভাঁজ ফেলে বলে, অত ট্যাকা তো নাইক্যা।
পাখিওয়ালার স্বর কিছুটা নিস্প্রভ হয়ে আসে।
-- ভাইজান কত দিবেন, শুনি।
-- দুইশো ট্যাকা।

পাখিওয়ালা কিছু একটা ভাবল। তারপর বিড়বিড় করে হিসেব নিকেশ করতে করতে বলল, না ভাইজান, এই দামে পোষাইব না। আর পঞ্চাশখান ট্যাকা বাড়াইয়া দেন। হীরামন খুউব ভালা পাখি।
-- থাকলে তো দিমু। আপনের না পোষাইলে থাউকগা।
-- আইচ্ছা নেন, আপনেরে দিয়া আইজক্যা বউনি করি।

বাসেদ পছন্দসই একটা হীরামন বেছে নিল। সবুজ দেহের জমিন, লাল ঠোঁট আর গলায় কালো রিঙ। একটা ছোট খাঁচায় হীরমানকে পুরে বাসেদ ওর কামরামুখি পা বাঁড়ায়।




দুপুর নাগাদ হীরামনের খবর জহির আর রাসেলের কানে পৌঁছায়। ওরা হাজির হয় কিছু কাঁচামরিচ সঙ্গে করে। বাসেদ, তোমার পাখির লাইগ্যা আনলাম, দ্যাহোতো খায় কিনা। বাসেদ দেয়ালে খাঁচাসমেত পাখিটার দিকে তাকায়। খাঁচার শিকের ভেতর দিয়ে একটা কাঁচামরিচ এগিয়ে দিয়ে বলে, হীরামন আলা খাও, খাও।

হীরামন লোহার শিকে শক্ত করে পা আঁটকে রেখে দুইবার ডানা ঝাপটায়। বাসেদ খুশিতে জহিরের দিকে তাকায়, যেন হীরামন ওর কথা বুঝতে পেরেছে। রাসেল আরো একটা কাঁচামরিচ খাঁচার শিক গলিয়ে দেয়। হীরামন খপ করে টেনে নেয়। জহির, রাসেল আর বাসেদের মুখে হাসির ফোয়ারা ছোটে।

শীতের রাত নির্জনতা আনে, নিঃসঙ্গতা আনে। বাসেদের একলা থাকার কষ্ট বাড়ে। ও মুখোমুখি দেয়ালে খাঁচার পাখিটার দিকে তাকায়। তাকিয়েই থাকে। মনে মনে ভাবে – আল্লার পাখি কী তাজ্জব জিনিস। আমগো চাইয়া রঙিন দেহা যায়। একসময় বাসেদ ওটাকে খাঁচা থেকে বের করে হাতের ওপর রাখে। হীরামন উড়ে না গিয়ে বাসেদের হাতে বসে থাকে। বাসেদ ওর পিঠে হাত বুলিয়ে দেয়। তারপর হীরামনকে বিছানায় রেখে – হীরামনের দিকে মুখ করে শুয়ে পড়ে। পাখিটা যেন একদিনেই পোষ মেনে গেছে এমনি শান্ত হয়ে বসে থাকে। অবাক চোখে বাসেদ শুধু ভাবে, আল্লার পাখি সত্যই কী তাজ্জব জিনিস ...!

পাখির চোখে তাকাতে তাকাতে একসময় ওর চোখের পাতা ভারী হতে থাকে। চোখের সামনে দৃশ্যপট দ্রুত বদলাতে শুরু করে। বিচিত্র সব ঘটনার ঘনঘটা যেন শ্রাবণের বৃষ্টির মত নামতে থাকে ঝরঝরিয়ে। ঘরময় পাখির ডাকাডাকি টের পায় বাসেদ। তবু চোখ ঘুরিয়ে সত্য যাচাইয়ের শক্তি থাকে না ওর। ও হীরামনের চোখের গভীরে এক অন্য জগতে চলে যায়।

বাসেদ বিশালাকার একটা গাছের একদম মগডালে বসে আছে। বটপাতার মত পাতাময় এ গাছের নাম সে জানে না। ছোট ছোট শাখা-প্রশাখার ফাঁকে লাল-বাদামী অসংখ্য ফল ধরে আছে। থোকা থোকা। ফলের গায়ে পাখির ঝাঁক, মৌমাছির উড়াউড়ি। চারপাশে যতদূর দৃষ্টি যায় - সবুজে সবুজ। লোকালয়ের কোনো চিহ্ন নেই। দূরে একদল বানর এ গাছ থেকে সে গাছে লাফিয়ে পড়ছে, ঝুপঝাঁপ শব্দ করে। পাখির কিচিরমিচির আওয়াজে সমস্ত জায়গায় একটা তরঙ্গ বয়ে যাচ্ছে। বাসেদ দেখল, পাশের গাছটা থেকে দুটো কাঠবিড়ালি যেন তীরবেগে নিচে নেমে গেল কেবলই। আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখল; আকাশ নীল। বরফের চাঁইয়ের মত টুকরো টুকরো মেঘ ভেসে যাচ্ছে। আর তারই ভেতর দিয়ে সূর্যের সোনা-রঙ ঝরে পড়ছে বনবীথিকায়। হঠাৎ দমকা হাওয়ায় বাসেদ ডালসমেত কেঁপে উঠল। সাবধানে খানিক নিচে নেমে এসে একটা শক্ত ডালে পা রেখে ডাকল, হীরামন, হীরামন...

হীরামন উড়তে উড়তে ওর কাঁধে এসে বসল। তারপর - জানে না কেন - পাখি সাথে নিয়ে উঁচু সেই গাছের ডাল থেকে বাসেদ লাফিয়ে পড়ল।




ঘুম ভাঙতেই – বেঁচে আছি – এই ভেবে বাসেদের মন আনন্দে ভরপুর। তাকিয়ে দেখল, ওর হীরামন দেয়ালে ঝোলানো খাঁচার উপরে বসে। বাসেদ পাখিটার কাছে গিয়ে ডাকল, হীরামন, ও হীরামন, মরিচ খাইবা। পাখিটা দু’বার ডানা ঝাপটে একটা তীক্ষ্ণ শব্দ করল। বাসেদ পাখিটাকে হাতের ওপর বসিয়ে মরিচ খাওয়াতে খাওয়াতে ভাবল, পাখিও পোষ মানে অথচ মানুষ?

রাস্তায় নামতেই জহিরের সাথে দেখা হল বাসেদের। তোমার হীরামনের লাইগ্যা দুইডা দানা আনলাম। জহির একটা শস্যদানার প্যাকেট এগিয়ে ধরল। বাসেদ হাসিমুখে হাত বাড়িয়ে নিল। আজ খুব একটা কুয়াশা নেই। সূর্যের লালিমা কুয়াশা ঝেটিয়ে বিদায় করেছে আগেই। জেগে উঠছে চারপাশ। মানুষের হাক-ডাক। রিকশার টুং-টাং। দোকানের কপাট খোলার ধাতব শব্দ। সবকিছু মিলে মিশে আজকের সকালটা জীবন্ত। ওরা দুজন জীবন্ত শহরের প্রাণবায়ু শুষে নিয়ে এগোচ্ছে। জহির মাথার মাফলারটা খুলে গলায় ফেলে রাখল। বাসেদ জহিরের দিকে তাকায়,

-- হইছে কি , আইজক্যা তো হীরামনরে লইয়া খোয়াব দ্যাখলাম।
-- হাঁচা নি , কী দ্যাখলা?
-- দ্যাখলাম হীরামনরে লইয়া বনেত গেছি। ইয়া লম্বা এক গাছের আগাত।
-- হেরপর ?
-- হেরপর, হীরামনের লগে একলগে ফাল দিছি গাছের থন।
-- হা হা হেব্বি খোয়াব দ্যাখছো তো ! তা ফাল দিবার গেছ ক্যা?
-- খোয়াবের মইদ্ধে উড়বার মনে চাইল।
-- কি যে কও বাসেদ, মাইনষে কি আর উড়বার পারে ! মাডি মাইনষেরে ছাড়ে না ।
-- তা হাঁচাই কইছো। রাসেল কোনে, হেরে যে দ্যাকতাছি না?

ওরা কথা বলতে বলতে এগোয়। ওদের কথা রাসেল থেকে রইসুল, নওশাদ আর হালিম হয়ে কারখানা, মেশিন আর লোহা-লক্করে যেয়ে থামে। খুচরো আলাপের ফাঁকে বাসেদের ডান পায়ের বুড়ো আঙুলটা টাটায়। দুদিন আগে কাজের সময় মোটরের ব্লেডে আঙুলের অনেকটা পড়ে গেছে।

-- পাও কি সারছে , আইজ কামে যাইবা নি?
-- লও যাই, বইয়া থাকলে কী প্যাট চলবো !
-- তুমি তাইলে আওগাইতে থাহো, আমি আইয়া তোমারে ধরতাছি।

বাসেদ ধীর পায়ে হাঁটতে থাকে। ও জানে জহির এখন ফাতেমাদের বাড়ির পেছনের জানালায় পাখি হয়ে ডাকবে। ফাতেমার সাড়া মিললে, ওরা দুজন উড়তে উড়তে নিরাপদ একটা ডালে মিনিট পাঁচেক আশা-আকাঙ্ক্ষার বুলি কপচাবে। হয়ত জহির বলবে, আইছে শীতেই তোমারে আমগোর ঘরে তুলুম, ফাতেমা। জবাবে ফাতেমা ভেঙচি কেটে কৃত্রিম অভিমান দেখাবে, যেন এ কথায় ওর আস্থা নেই। তারপর ওরা সবার অলক্ষ্যে ডানা ঝাপটাবে; কিচিরমিচির শব্দ তুলে পরস্পরকে ঠোঁকরাবে।

বাসেদ হঠাৎ জনবিষণ্ণ হয়ে পড়ে। বিচ্ছিন্নতাবোধ ওকে তাড়িয়ে ফেরে। বাসেদ বোঝে না যে, বিচ্ছিন্নতাবোধ মধ্যবিত্তের একান্ত অজুহাত। ওর মতো বিত্তহীনের এতে আক্রান্ত হবার কোনো দায় নেই।




হীরামন দোরবন্ধ ঘরের মধ্যে একবার চক্রাকারে ঘুরে এসে বাসেদের কাঁধে বসে। তীক্ষ্ণ স্বরে ডাকে। ঘাড়ে মাথা ঘষে। বাসেদ বিড়বিড় করে বলে, হীরামন, ও হীরামন, লও বনেত যাই। হীরামন ডানা ঝাঁপটায়। বাসেদের মাথার চারপাশে ক্ষুদ্র বৃত্তাকার পথে পাঁক খায়। তারপর ওর মাথায় বসে তীক্ষ্ণ স্বরে ডেকে ওঠে। বাসেদ হাসে । ও ভুলে যায় ওর ঘা-হয়ে-যাওয়া পায়ের কথা। নড়ে বসতেই পায়ের ঘা টনটন করে ওঠে। বাসেদ ভাবে হীরামনের মত একজোড়া ডানা থাকলে বেশ হয়।

ও হীরামনকে বালিশের পাশে বসিয়ে দেয়। পা-টাকে সাবধানে একপাশে ফেলে রেখে আস্তে আস্তে বালিশে মাথা রাখে। তারপর পাখিটার দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বলে, হীরামন, কথা কইতা না ! লও বনেত যাই। পাখিটার চোখে কোনো ভাবান্তর নেই। সে অপলক চেয়ে থাকে বাসেদের চোখে। বাসেদ ভুলে যায় ওর নষ্ট-হতে-বসা পায়ের কথা। চোখভর্তি নেশা নামে ওর। ও দ্রুতবেগে পড়তে থাকে নিচে।

মাটি স্পর্শ করার আগেই বাসেদ বাতাসে ভেসে ওঠে। ডানা ঝাপটায়। সাঁই সাঁই বাতাস কেটে উপরে ওঠে। মেঘ ছুঁয়ে ওদের খুব আনন্দ হয়। ডানা প্রসারিত করে ছোঁ-মারা ভঙ্গিতে নামতে নামতে একটা অনুচ্চ গাছের একথোকা কচি ফলের উপর বসে। ফল ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়। বনের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তের কোনো থই পাওয়া যায় না। পাখির ডাকাডাকি। বড় বড় গাছের বাহারি পাতা। ঝিরঝিরে বাতাস। আর তারই মধ্যে হীরামন আর বাসেদ। হীরামন একটা রসালো ফল ঠোঁটে ধরে বাসেদের দিকে এগিয়ে দেয়। বাসেদ তা ঠোঁটে পুরে দিয়ে হীরামনের কাঁধে ওর ঠোঁট ঘষে। অমৃতরসে ওরা তৃপ্তিতে ডেকে ওঠে। বনময় সে ডাকের প্রতিধ্বনি ছোটাছুটি করতে করতে মিলিয়ে যায় দূরে।




দরজায় ঠক ঠক শব্দ হয়। সদ্য ঘুম ভাঙা চোখে প্রায় হামাগুড়ি দিতে দিতে দরজায় কাছে পৌঁছায় বাসেদ। হীরামন ওর কাঁধের উপরে বসে। দরজা খুলতেই হুড়মুড় করে কিছু রোদ ঢুকে পড়ে ঘরের ভেতর। সেই সাথে রাসেল আর জহিরের উদ্বিগ্ন কণ্ঠ কানে আসে, তোমার শইলডা এখন কেমুন লাগে বাসেদ। ওষুধপাতি খাইতাছো তো? জহির কলার ছড়া আর আঙুরের প্যাকেটটা বিছানার একপাশে রেখে বাসেদের কাঁধে চাপ দেয়। চিন্তা কইরো না এত, ভালা হইয়া যাইবা।

বাসেদের চোখ দেখে বোঝা যায় না - ও ভালো হতে চায় কিনা। রাসেল বলে, বাসেদ ! তোমারে মিয়া সামনের শুককুরবার ভালা ডাকতরের ধারে লমু, নো চিন্তা। ওষুধপাতি খাইলেই তামাম ব্যাদনা ঠিক। জহির ওর হাতে কিছু টাকা দেয়। বলে, পয়সাডি রাখো বাসেদ। আপদে বিপদে লাগব।

বাসেদ হাত বাড়িয়ে টাকা ক’টা নেয়। ওদের দিকে কৃতজ্ঞতার হাসি দিতে চেষ্টা করে। কিন্তু ওর সমস্ত জানটা একটা ঘা-ওয়ালা পায়ের মধ্যে সেঁধিয়ে ওকে একদম বিমর্ষ করে তোলে। ও হাসতে পারে না ঠিকমত। ওরা একবার হীরামনের দিকে তাকায়। এই অল্প ক’দিনে হীরামনের শ্রী বৃদ্ধিতে ওদের চোখ ভরে ওঠে। জহির পাখিটার সামনে শস্যদানা তুলে ধরে। হীরামন সেদিকে ভ্রূক্ষেপ না করেই বাসেদের কাঁধে বসে ডানা ঝাঁপটায়। জহির বলে, হীরামন তো দ্যাখতাছি তোমার বহুত ন্যাওটা হইছে। বাসেদ এ কথায় মুচকি হাসে।




শুক্রবার আসার আগেই বাসেদের পায়ের ব্যথা মাত্রা ছাড়ায়। ঘরের হাওয়া ওর কাছে অসহ্য ঠেকে। পায়ের ঘা-হয়ে-যাওয়া মাংসের দিকে তাকিয়ে বাসেদ শিউরে ওঠে। হীরামনকে কাঁধে নিয়ে পা টানতে টানতে ও ঘরের বাইরে আসে। হীরামনও যেন বাসেদের ব্যথায় কুঁই কুঁই করে ওঠে। পাখিটার দিকে মুখ ফিরিয়ে বাসেদ ঠোঁট ছড়ায়। বলে, হীরামন, ও হীরামন, লও বনেত যাই।

অসহ্য ব্যথায় বাসেদের চোখে অন্ধকার গাঢ় হয়ে উঠলে, ও নিজেকে আর ধরে রাখতে পারে না। ধপ করে করিডোরের মেঝেতে পড়ে যায়।

বাসেদের সংবাদ পেয়ে জহির আর রাসেল হাসপাতালে আসে। ওদেরকে দেখে খাটের স্ট্যান্ডে বসে থাকা হীরামন শব্দ করে ডেকে ওঠে। ওরা পাখিটার দিকে তাকিয়ে কৃতজ্ঞতায় মাথা নাড়ে। বাসেদের মাথার কাছে বসে জহির ওর হাত ধরে । সব ঠিক হইয়া যাইব মিয়া – এমন একটা কিছু উচ্চারণ করতে গিয়ে ওর চোখ যায় বাসেদের ডান পায়ের দিকে। হাঁটুর নিচ থেকে ও আর কিছু ঠাওর করতে পারে না। জহির থমকে যায়। পচে যাওয়ার পরিণতির কথা কে না জানে ! ওরা বাসেদের চোখের জল মুছে দেয়। বলে, আমরা আছি কিল্ল্যাইগা, চিন্তা কইরো না।

বাসেদ মেসে ফিরে ক্র্যাচে ভর দিয়ে ধীরে ধীরে হাঁটার চেষ্টা করে। সারাদিন হীরামনের সাথে বিড়বিড় করে। কাঁদে। হাসে। আর ভাবে, একজোড়া ডানা থাকলে বেশ হয়। হীরামন সবসময় ওর কাঁধে; যেন ও কোনো পাখি নয়, বাসেদেরই অবিচ্ছেদ্দ্য কোনো অংশ। বাসেদ ভাবে, হীরামনও বুঝি তার মত একলা। না হলে উড়ে যায় না কেন?




ক্র্যাচে ভর দিয়ে সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে বাসেদ আর হীরামন একসময় বহুতলের চূড়া স্পর্শ করে। রেলিঙয়ের একদম ধার ঘেঁষে ওরা দাঁড়ায়। বিকেলের নরম রোদ মুখে পরশ বুলায়। ঝিরঝিরে বাতাস চুলগুলোতে বিলি কেটে হাসতে হাসতে বেরিয়ে যায়। আকাশের দিকে তাকিয়ে বুক ভরে দম নেয় বাসেদ। খোলা আকাশ ওর কাছে বিরাট এক পৃথিবী মনে হয়। সূর্যের রঙ সোনা হয়ে ঝরে ঝরে পড়ে। বাসেদ সেই সোনারঙ আলোতেই চিরকাল ভেসে যেতে চায়।

বাসেদ বুক ভরে শ্বাস নেয়। শরীরটাকে হালকা করে বাতাসে খেলিয়ে দেয়। ক্র্যাচ দুটি ফেলে দিয়ে এক পায়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। ওর চোখের সামনে অন্তহীন সবুজের সমাহার ঢেউ খেলে যায়। ও একবার হীরামনের দিকে তাকায়। তারপর কাঁধ থেকে হাতে নামিয়ে নিয়ে বলে, হীরামন, ও হীরামন, কথা কইতা না, লও অহনি বনেত যাই। হীরামন সম্মতি জানিয়ে গাঢ় স্বরে ডেকে ওঠে।


টলটলে নীল জলের ওপর দিয়ে বাসেদ আর হীরামন উড়তে থাকে। জলের আরশিতে বাসেদ নিজেকে দেখতে পায়। ভেতরের পাখিটাকে দেখে ও মুগ্ধ হয়। ডানা ঝাপটে একটা ঘূর্ণি দিয়ে তীক্ষ্ণ স্বরে হেসে ওঠে। তারপর ওরা উড়তে উড়তে – সমস্ত জলময়তা পেছনে ফেলে – একটা উঁচু গাছের ডালে যেয়ে বসে।

খোলা আকাশের তলে বুনো হাওয়ায় দুলতে দুলতে ওরা দেখে - সামনে অথৈ জলরাশি মুহুর্মুহু শব্দ করে আছড়ে পড়ছে বেলাভূমিতে।



----------









ছবি - Click This Link

মন্তব্য ৯৩ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৯৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০০

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমার আসল নামের একটা অংশ বাসেদ!
চমৎকার গল্পো

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৮

ডি মুন বলেছেন: বাহ !!! তাহলে তো গল্প পড়ার সময় আসল ফিলিংস পেয়েছেন :)

ধন্যবাদ গল্প পাঠের জন্যে আরণ্যক

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৯

আবু শাকিল বলেছেন: তরুণদের পরিচয় বোঝি এভাবেই হয়ে যায়-
"হা হা দ্যাখছেন, তামিম হালায় কী মাইরডা দিল এই ওভারে ! – জহির পাশে বসে থাকা ছেলেটার দিকে তাকিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।
রাসেল হাসিমুখ সম্মতি জানিয়ে বলে, আবার জিগায়, আমগো জিত আইজক্যা কেউ ঠেকাইতে পারব না। "

তারপর তারাই আপন হয়ে সুখ-দুঃখে পাশে থাকে ।
গল্পের পুরুটা জুড়েই তারা ছিল ।

বিচ্ছিন্নতাবোধ মধ্যবিত্তের একান্ত অজুহাত। মধ্যবিত্ত ছাড়া অন্য কারো এতে আক্রান্ত হবার কোন দায় নেই।
কথাটা খুব পছন্দ হইছে ।
মুক্ত আকাশে উড়ার ইচ্ছাটাই মনে হয় গল্পে প্রকাশ পেয়েছে ।গল্পের শেষে এসে তাই বোঝলাম
" টলটলে নীল জলের ওপর দিয়ে বাসেদ আর হীরামন উড়তে থাকে। জলের আরশিতে বাসেদ নিজেকে দেখতে পায়। ভেতরের পাখিটাকে দেখে ও মুগ্ধ হয়। ডানা ঝাপটে একটা ঘূর্ণি দিয়ে তীক্ষ্ণ স্বরে হেসে ওঠে। তারপর ওরা উড়তে উড়তে – জলময়তা পেছনে ফেলে – একটা উঁচু গাছের ডালে যেয়ে বসে।
বুনো হাওয়ায় দুলতে দুলতে বাসেদ দেখতে পায় - সামনে অথৈ জলরাশি মুহুর্মুহু শব্দ করে আছড়ে পড়ছে বেলাভূমিতে।"

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৯

ডি মুন বলেছেন:
বন্ধুত্বের সম্পর্কগুলো খুব অদ্ভুত লাগে আমার।
চেনা নেই, জানা নেই, কেমন হুট করে এক মুহুর্তে বন্ধুত্বের বীজ বোনা হয়ে যায়।
কখনোবা সে বন্ধুত্ব আমৃত্যু স্থায়ী হয়।

মনোযোগী পাঠের জন্যে ধন্যবাদ আবু শাকিল ভাই।
ভালো থাইকেন :)

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪১

স্পর্শিয়া বলেছেন: হীরামনের মত উড়ে দূর আকাশে উড়ে যেতে পারলে বুঝি ভালোই হত।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৫

ডি মুন বলেছেন: হ্যাঁ, তা তো বটেই।
:)

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৮

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: হা হা দ্যাখছেন, তামিম হালায় কী মাইরডা দিল এই ওভারে ! – জহির পাশে বসে থাকা ছেলেটার দিকে তাকিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:০২

ডি মুন বলেছেন: ?

৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৩

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমি অনেক রকমের পাখি পুষতাম। এখনো আমার বাসার কম্পাউন্ডে অনেক পাখির বাসা।

ভাল লেগেছে গল্পটা। বাসেদের পা মনে হয় আর ভাল হবার নয়। যদিও বলেননি তাও মনে হল। আংগুল থেকে ব্যথা সারা পায়েই ছড়িয়ে পরে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:০৩

ডি মুন বলেছেন: পাখি পুষতেন জেনে ভালো লাগল।
আমার ছোট্ট রুমের মধ্যেও পাখির উড়াউড়ি।

গল্পপাঠের জন্যে কৃতজ্ঞতা।

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:০৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভালো লেখা।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৩

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আপনার গল্পে বিশদে বলার (ডিটেইলিং) ঝোঁক টের পেলাম।
গল্প ভাল লেগেছে। তবে বিচ্ছিন্নতাবোধ শুধু মধ্যবিত্তের একার সম্পত্তি নয়। মূলত প্রতিটি মানুষই ভিতরেভিতরে শেষপর্যন্ত একা।

আচ্ছা শেষে কি বাসেদ পাখি সমেত ঝাঁপ দিয়েছিল বাতাসে? মানে হালকা একটু আত্মহত্যার গন্ধ যেন পেলাম। নাকি শুধুই স্বপ্নময়তা?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৪

ডি মুন বলেছেন: মনোযোগী পাঠের জন্যে কৃতজ্ঞতা।

শেষটা ইচ্ছেমত ভেবে নেয়া যেতে পারে। এখানে পাঠক স্বাধীন।

ভালো থাকুন।

৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৫

আলোরিকা বলেছেন: ' উড়তে না জানলে বাঁচা যায় না।' - এটাইতো মনে হচ্ছে গল্পের মূল ভাব । হীরামন পাখি / পাখির মত উড়েই মাটির জীবন যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হয়ে কল্পনার জগতে বাঁচতে চেয়েছে বাসেদ ।

রূপক গল্পটি অনেক অনেক ভাল লেগেছে ।

মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন?!
তাইরে নাইরে নাইরে নাইরে .......গেল সারাটি জীবন । :)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩১

ডি মুন বলেছেন: হীরামন পাখি / পাখির মত উড়েই মাটির জীবন যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হয়ে কল্পনার জগতে বাঁচতে চেয়েছে বাসেদ ।


------------- খুব সুন্দর করে মূল কথাটি বলেছেন। গল্পটা ভালো লেগেছে জেনে আমিও আনন্দিত হলাম। :)
ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।

৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: বয়ান এবং ভাষাশৈলি অদ্ভুত রকম সুন্দর হয়েছে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩২

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ গল্প পাঠের জন্যে
ভালো থাকুন

১০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪০

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ভালো লাগলো গল্পটা পড়ে। নরম সুরে যেন বাসেদের কথা বলে গেছে লেখক। বাসেদের জীবনযাত্রার মান মধ্যবিত্তের না যদিও তবুও ওর বন্ধু রাসেল আর জহিরের অন্তরঙ্গতাটুকু বর্তমান সমাজের স্বার্থান্বেষীর প্রেক্ষাপটে এক ঝলক সতেজ বাতাসের মত লেগেছে।
শুভকামনা মুন

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

ডি মুন বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
আসলেই এখন নিঃসার্থ বন্ধু পাওয়া যেন আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতই দুর্লভ।
আধুনিক জীবনে কে কাহার !

ভালো থাকুন। শুভকামনা।

১১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৪

রিকি বলেছেন: জাস্ট ওয়াও। :) :)

উড়তে না জানলে বাঁচা যায় না।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫০

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ :)
ভালো থাকা হোক।

১২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: পাখির চোখে বেঁচে থাকার পৃথিবী দেখা অথবা উড়ে অদৃশ্য হওয়াতেই যাতনাময় শিকল ভেঙ্গে সকল বেঁচে থাকা । দারুণ লাগলো গল্পটা ।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

ডি মুন বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্যে কৃতজ্ঞতা।
গল্পটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম। :)

ভালো থাকুন

১৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: শেষে কি বাসেদ পাখি হয়ে গেল? কেমন জাদু বাস্তবতার ছোঁয়া পেলাম...।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৯

ডি মুন বলেছেন: হয়তো সে পাখি হয়েই গেল, অথবা তার ভেতরে অন্য জগত তৈরি হয়ে গেল, কিংবা সে ছাদ থেকে পড়ে মরে গেল।
সমাপ্তিটা পাঠকের মনেই তৈরি হোক।

জাদু বাস্তবতার ছোঁয়া খানিকটা আছে।
আসলে গল্পটা এভাবে লিখে আমি খুব আনন্দ পেয়েছি।

ভালো থাকা হোক রেজওয়ানা আপু

১৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: বিচ্ছিন্নতাবোধ মধ্যবিত্তের একান্ত অজুহাত।

বিচ্ছিন্নতাবোধ সব শ্রেণীর মানুষের মধ্যে থাকলেও মধ্যবিত্তেরা এটা কে হাইলাইট করে বেশি। অজুহাত হিসেবে দাঁড় করায় ব্যর্থতার সামনে।

গল্প ভালো লেগেছে তবে শেষে বাসেদ এর পরিণতি কিছুটা ধোঁয়াটে।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০১

ডি মুন বলেছেন: হ্যাঁ বিচ্ছিন্নতাবোধ বোধকরি সকলের মধ্যেই কমবেশি বিদ্যমান।

গল্পের শেষটা নিজের ইচ্ছেমত ভেবে নেয়ার সুবিধা আছে এই গল্পে। কল্পনা করে নিন কিছু একটা। :)

শুভেচ্ছা রইলো রাজপুত্র

১৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১০

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: গতকাল পরেছিলাম গল্পটি , একেবারে ডুবে গিয়েছিলাম গল্পে । বাসেদ আর হীরামন পাখীর গল্প ভালো লেগেছে । :D

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০২

ডি মুন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
পাঠকের ভালোলাগাই তো এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা।
ভালো থাকুন। :)

১৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কেমনে পারেন এতো সুন্দর করে গল্প ভাবতে ?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৫

ডি মুন বলেছেন: লজ্জায় ফেলে দিলেন অভি ভাই ! :)

তবে এই গল্পের আইডিয়াটা এসেছে পাখি কেনার পর।
আমার এই ছোট্ট ঘরে [যেটা দেখে গিয়েছিলেন] এখন চারটা বাজরিগার উড়াউড়ি করে। ডাকে। হাতের উপর এসে খাবার খায়। আর মাথার ভেতর গল্প দিয়ে যায়।

:) ভালো থাকুন কবি-মনের-মানুষ।

১৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:

ওড়তে না জানলে বাঁচা যায় না... তা-ই বলতে চাইলেন গল্পে।
বেশ কিছুদিন পর গল্প নিয়ে এলেন... ডার্ক মুন!

শুভেচ্ছা............ :)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৮

ডি মুন বলেছেন: ঠিক ধরেছেন মইনুল ভাই।
উড়তে না জানলে বাঁচা যায় না। নিজস্ব কল্পনার জগতে ভেসে যাওয়া চাই।

অনেকদিন পর গল্প লিখলাম, পোস্ট করলাম।
এ গল্পটা লিখে আমি অনেকটা তৃপ্তি পেয়েছি।

আপনার হাসিমুখ উপস্থিতি সবসময়ই আনন্দের :)

১৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর গল্প। পাখির বড় অভাব।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৯

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ঢাকাবাসী ভাই । আপনি তো পাখির মতই এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ান।
:)

১৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

জুন বলেছেন: বাসেদও কল্পনায় হীরামনের সাথে উড়ে গেল কারন উড়তে না জানলে বাঁচা যায়না ।গল্পে অনেক ভালোলাগা ডিমুন ।

আমারও পাখী আছে তবে তারা মুক্ত পাখি । সময়মত আসে আর খেয়ে যায়। কখনো বসে থাকে গ্রিলে। ওদের জন্য খাবার কিনে আনি কাউনের চাল আর বুলবুলিগুলো ফল ছাড়া খেতে চায়না ওদের জন্য এখন আনি পাকা কলা । আমের দিনে আম ।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১২

ডি মুন বলেছেন: বাসেদও কল্পনায় হীরামনের সাথে উড়ে গেল কারন উড়তে না জানলে বাঁচা যায়না । :)

আপনার মুক্ত পাখিগুলোর ছবি দেখেছিলাম একবার আপনার এক ব্লগপোস্টে। আপনার পাখিপ্রীতি ভালো লেগেছে।
পাখি আমিও খুব পছন্দ করি।

ভালো থাকুন জুনাপু

২০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০১

প্রামানিক বলেছেন: অনেক ভাল লাগল গল্প। ধন্যবাদ ডি মুন।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১২

ডি মুন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

২১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২৫

জুন বলেছেন: মুন আমার বুলবুলি দুটো পেপে খাচ্ছে

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

ডি মুন বলেছেন: বাহ :) খুব সুন্দর।

বুলবুলি, ও বুলবুলি,
গান করত এক কলি

বুলবুলি নিয়ে দুই লাইনের ছড়া বানিয়ে ফেললাম। ছোটবেলায় অনেক বুলবুলি দেখতাম, এখন খুব একটা চোখে পড়ে না।

২২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৩

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক অনেক সুন্দর বুনন!!

অনেক ভালো লাগলো। লেখা এবং মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য।

অনিঃশেষ শুভকামনা সুলেখক।

ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩২

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও
ভালো থাকা হোক।

২৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩০

ইমরান নিলয় বলেছেন: শেষ অর্ধেক বেশি ভালো লেগেছে। শুভকামনা।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪০

ডি মুন বলেছেন: গল্প পাঠের জন্যে ধন্যবাদ ভাই।
ভালো কাটুক দিনরাত্রি। :)

ভালো কথা , আপনি গল্প লেখা কি একেবারে বাদ দিয়ে দিলেন !!!!

২৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৭

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: পক্ষী কিন্না দেখি পক্ষী নিয়া গপ্প লিক্ষা ফেলছো! নায়কের নামটা নিজের নামই দিয়া দিতা।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

ডি মুন বলেছেন: দিরহাম ভাই, আমি প্রেম করে প্রেমিকা নিয়ে গল্প লিখতে ইচ্ছুক এবং সেখানে নিজের নামও ব্যবহার করতে ইচ্ছুক।
কি করাম কয়া দেন। হেল্পান :) B-))

২৫| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১০

বৃতি বলেছেন: "মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন?" :) পাখির মত মন সীমিত মানব-জগতে আকাশের সন্ধান দেয়, সেখানে উড়তে শেখায়।


++্খুব সুন্দর গল্প।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ বৃতি আপু
শুভকামনা জানবেন।

২৬| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০০

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:

" টলটলে নীল জলের ওপর দিয়ে বাসেদ আর হীরামন উড়তে থাকে। জলের আরশিতে বাসেদ নিজেকে দেখতে পায়।

এ যে মাহমুদ ভাইয়ের "ফাঁদ" গল্পের সেই কাকের উড়ে যাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিল !!
গল্প ভাল লেগেছে ভ্রাতা, কেমন আছেন আজকাল ??

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

ডি মুন বলেছেন: :)

েএইত ভাই, আছি ফার্স্ট ক্লাস । :-B
আপনি ভালো আছেন তো ?

২৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৩

সুমন কর বলেছেন: পাখি পুষতে পুষতে পাখি নিয়ে গল্প, ভালোই হলো। আমরা একটি গল্প পেলাম।

বর্ণনা অতিরঞ্জিত মনে হলো।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:২৭

ডি মুন বলেছেন:
ধন্যবাদ সুমন ভাই।
কিন্তু বর্ণনা অতিরঞ্জিত মনে হলো -- কথাটা ঠিকমত বুঝি নাই। অল্পকিছু সংলাপ ছাড়া পুরোটাই তো বর্ননা। দ্যাট মিনস, সংলাপ কয়েকটা ছাড়া বাকী সকল বর্ণনার অংশই কী আপনার অতিরঞ্জিত মনে হয়েছে ? :P B-))

২৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১০

তার আর পর নেই… বলেছেন: আমিও মাঝে মাঝে উড়ি, তবে স্বপ্নে …
গল্প ভাল লেগেছে। আঞ্চলিক ভাষাটা কোন জায়গার?

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১২

ডি মুন বলেছেন: আঞ্চলিক ভাষাটা ঢাকার মানিকদী-বালুঘাট-মাটিকাটা এলাকার।

:)

২৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯

মহান অতন্দ্র বলেছেন: অনেকদিন পর খুব ভাল একটি গল্প পড়লাম। আপনার কলম ধরার হাতটি অনেক পোক্ত বলতে হবে। ভাল থাকবেন মুন।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০০

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ অতন্দ্র আপুনি
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।


ভালো থাকা হোক সর্বক্ষণ

৩০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার একটা গল্প। নিঃসহায় মানুষের ভাবনার ইউটোপিয়া। স্পর্শ করলো।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৯

ডি মুন বলেছেন: নিজস্ব ইউটোপিয়ায় ডুব না দিলে বেঁচে থাকা দায়।

মন্তব্যে মুগ্ধতা হাসান ভাই
আনন্দভ্রম-এর জন্যে অগ্রিম শুভেচ্ছা।

৩১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৪

কল্লোল পথিক বলেছেন: ভাল লেগেছে গল্পটা।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৯

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ

৩২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৫

আহসানের ব্লগ বলেছেন: ভাইয়া মুগ্ধতা জানালাম । ডি মুন মানে কী ভাইয়া ?

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৭

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ
ডি মুন মানে ডার্ক মুন :)

৩৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭

পার্থ তালুকদার বলেছেন: ছুডুবেলা একটা পাখি পোষছিমাম। মইরা গেছে। বহুত খারাপ লাগছিল। গল্পটা পইড়া আবার তার কথা মনে হইগেছে।
আবার পাখি পোষতে মন চায়। যদিও এখন একটা ময়না পাখি ঘরে তুলছি :)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৯

ডি মুন বলেছেন:
একটা ময়না পাখি ঘরে তুলছেন খুব ভালো কথা।
ক্ষেমতা থাকলে আরোও খান দুই ময়না পাখি ঘরে আনেন। পুরুষ মাইনসের আবার শরমের কী !!!! :P
উৎসাহ যা লাগে আমরা দিমু :) B-))

৩৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪২

আহসানের ব্লগ বলেছেন: ও তাই । আমিতো ভাবছিলাম ডে মুন । মানে দিনের মুন ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

ডি মুন বলেছেন:
:)

৩৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪

নীলপরি বলেছেন: বাহ খুব ভালো লিখেছেন । করুন সুর ছুঁয়ে গেল ।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৩

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ

৩৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩১

আমিই মিসির আলী বলেছেন: বাসেদ বুক ভরে শ্বাস নেয়। শরীরটাকে হালকা করে বাতাসে খেলিয়ে দেয়। ক্র্যাচ দুটি ফেলে দিয়ে এক পায়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। ওর চোখের সামনে অন্তহীন সবুজের সমাহার ঢেউ খেলে যায়। ও একবার হীরামনের দিকে তাকায়। তারপর কাঁধ থেকে হাতে নামিয়ে নিয়ে বলে, হীরামন, ও হীরামন, কথা কইতা না, লও অহনি বনেত যাই। হীরামন সম্মতি জানিয়ে গাঢ় স্বরে ডেকে ওঠে।

অনেক ভালো লাগছে ভাই। +

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৮

ডি মুন বলেছেন:

ধন্যবাদ গল্প পাঠের জন্যে
ভালো থাকুন, আনন্দে থাকুন :)

৩৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
নিঃসঙ্গ সম্পর্কহীনতায় অনিশ্চিত ভবিতব্যের মনঃভূমির পলায়নবৃত্তের স্বপ্ন বিভ্রাটে অজাগতিক সময়কে স্পর্শের কালভূমি ৷

যদিও পলায়নভীতিটুকু মেনে নিতে হলো মনঃবেদনায় ৷মধ্যবিত্তের শ্রেণীবিভাজনে প্রশ্ন থেকে যায় ৷ভাল লিখেছেন ৷

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৩

ডি মুন বলেছেন: মন্তব্যে মুগ্ধতা জানবেন প্রিয় জাহাঙ্গীর আলম ভাই

৩৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ভালো গল্প। কিন্তু গল্প কথনে ভাষার চাকচক্য কাহিনীর গতিকে কমিয়ে দিয়েছে বলে মনে হয়েছে। তা ছাড়া মানুষের অন্তর্গত বিষণ্ণতা মানুষকে অসুস্থ করে দেয় গল্পে সে কথাটিও প্রতিষ্ঠা করেছেন।

আরো লিখুন।

(প্রথম আলোর কোনো এক সংখ্যায় হাসান আজিজুল হক অনুদিত ব্রিজের পাশে বৃদ্ধ গল্পটা দেখলাম। আমি খুশি এ জন্যে যে, শিষ্যের পরে ওস্তাদ কাজে হাত দিলেন। d:)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০১

ডি মুন বলেছেন: দারুণ পর্যবেক্ষণ প্রিয় জুলিয়ান ভাই ।

আমিও আজ সকালে গল্পটা আবার পড়তে গিয়ে এটা অনুধাবন করলাম।
আপনার মন্তব্য আমার জন্যে আশীর্বাদের মত।

আর 'ব্রিজের পাশে' গল্পটার কথা জেনে আনন্দিত হলাম। গুরুর অনুবাদটা খুব শীঘ্র পড়ে নেব।
আপনার উপস্থিতি আমাদেরকে সকলকেই অনুপ্রাণিত করে।
ব্যক্তিগত ব্যস্ততার মাঝে মাঝে হলেও আপনার দেখা চাই।


আন্তরিক শুভকামনা রইল
:)

৩৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৪

এহসান সাবির বলেছেন: দারুন।
অফ লাইনে পড়েছি আগেই।

বই মেলাতে দেখা হবে আশা করছি।

শুভেচ্ছা।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৮

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ সাবির ভাই।
আশাকরি দেখা হবে বই মেলায় :)

৪০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৭

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: এই নামেও মনে ভরছে না । ফাক থেকে যাচ্ছে /
বাঁচার মত বাঁচবার আকুতি । স্পর্শ করলো ।
ভাল থাকবেন ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

ডি মুন বলেছেন: নাম কইতে পারেন না একটাও, আবার বড় বড় লেকচার মারেন।
আপনারে ধইরা আছাড় মারুম।
ফালতু পাঠক কুনহানকার।

B-)) :-B

৪১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:২৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: নামটা ভাবালো। 'হীরামন, লও বনেত যাই'। তারপর শেষটায় মুক্তি, কিংবা বিভ্রমে ডুব। কিংবা উড়তে শেখা। কিন্তু সেটা অলীক হবে কেন? বাসেদের কাছে সেটাই কি তখন বাস্তব নয়? একটা জায়গা যেখানে সে উড়তে পারে। বিষাদ নেই। শুধু সে আর হীরামন।

গল্পের গাঁথুনি ভাল ছিল। কিন্তু আরো বড় হচ্ছিল গল্পটা বোধহয়? নাকি আলোর নিচে কেবল বাসেদকেই আনার ইচ্ছে ছিল? প্রশ্ন জাগল মনে। অর্থাৎ লেখক কৌতূহল জাগাতে পেরেছেন। এখানেই সফলতা।

শুভরাত্রি, মুন। শুভেচ্ছা রইল।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০

ডি মুন বলেছেন: গল্পের নামটা নিয়ে খুব সিদ্দান্তহীনতায় ভুগেছি, ভুগছি। প্রথমে নাম দিয়েছিলাম 'পাখিওয়ালা বাসেদ' । তারপর মনে হল, নাহ, এটা তো ঠিক গল্পের আবহের সাথে যাচ্ছে না। পরে নামটা পালটে 'অলীক উড্ডয়ন' করলাম। যদিও এমন নামকরণে আমি সন্তষ্ট নই। আবার ভাবলাম নামটা 'উড়াল' রাখলে কেমন হয়। মোটকথা, আমি একটা যুতসই নাম খুঁজে পাচ্ছি না এ গল্পটার জন্যে।

গল্পটা কিছুদিন আগে পড়তে গিয়ে আবিষ্কার করলাম, গল্পের ঘটনাপ্রবাহের গতিশীলতার তুলনায় ভাষাটা বোধহয় বেশি মন্থর হয়ে গেছে, যদিও সেটা এখনো ঠিক করিনি। করব কি করব না - এটা নিয়ে দ্বিধায় আছি। এ গল্পটা আমাকে বেশ ভুগিয়েছে।

শেষটাতে বাসেদ অন্য কোনো বাস্তবে চলে গেল, যেখানে সে আর হীরামন অভিন্ন কিছু নয়। যেখানে উচ্ছেডানায় ভর করে উড়ে যাওয়া যায়। অন্তত লেখার সময় এমনটাই মাথাতে ছিল। বাস্তবের উর্ধে কোনো অলৌকিক জগতে চলে যেতে পারা, বা বাস্তবে বাস করেও বাস্তবতার বিষাদাবরণ ছিঁড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার মত, কিংবা লৌকিক অলৌকিকের মিথস্ক্রিয়া।

কিংবা, শেষটা পাঠকের মাথায় শেষ হোক, অথবা শুরু হোক অন্য কোনো গল্প যেখানে ডানা না থাকা সত্ত্বেও মানুষেরা উড়তে পারে।

আপনার মন্তব্যের অপেক্ষাতে থাকি। নিজেকে অন্যের আয়নার দেখার মত আনন্দলাভ হয়।

আর হ্যাঁ, নামটা নিয়ে কোনো সাজেশন থাকলে সাদরে গৃহীত হবে।
ভালো থাকুন প্রিয় গল্পকার।

৪২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৬

বিজন রয় বলেছেন: অসাম।
++

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৩৬

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ গল্প পাঠের জন্যে

৪৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডি মুন ,




গল্পটি পড়ে রবীন্দ্রনাথের " দুই পাখি" কবিতাটি মনে এলো ।
গল্পের খাঁচার হীরামনকে আপনি দেখিয়েছেন বনের পাখি হিসেবে আর খাঁচা খোলা বাসেদ কে দেখিয়েছেন এক বন্দী পাখির ভুমিকায় ।

শেষে বলি - নিটোল এক স্বাপ্নিক গল্প ।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৪

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ ভাই
শুভেচ্ছা রইলো।

৪৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭

বিজন রয় বলেছেন: নতুন লেখা দিন।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭

ডি মুন বলেছেন: আশাকরি, ৪/৫ দিনের মধ্যেই নতুন কিছু পোস্ট করতে পারব।

:) ভালো থাকুন। শুভকামনা রইল।

৪৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক দিন দেরীতে হলেও পড়তে পেরে ধন্য মনে হচ্ছে্ .. নইলে বিশাল কিছু মিস হয়ে যেত .....

অসাধারন!!! :)

++++++++++++++++++++++

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৯

ডি মুন বলেছেন: ধন্যবাদ
গল্পপাঠে আনন্দ পেয়েছেন - এটাই আমার প্রাপ্তি।
ভালো থাকুন সর্বদা

৪৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
গ্রামে আমাদের পাড়ায় এক বাসেদ আছে, পড়াশোনা না জানা
যে অনেক বছর আগে একদিন এভাবে গান গাইতে ছিলঃ

আধো রাতে যদি ঘুম ভেঙ্গে যায়,
মনে পড়ে মোরে প্রিয়,
-------------------------------
পাকা আম ছুলে দিও ! :D ( ঘটনাটা কিন্তু বানানো নয় মোটেও!)

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫১

ডি মুন বলেছেন: হা হা হা হা :)
খুব মজার ঘটনা তো B-))

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.