নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জিতু

ফেইসবুকে আছিঃ https://www.facebook.com/shamimahmedjitu রকমারিতেঃ http://www.rokomari.com/book/77323 কবিতার পেইজঃ https://www.facebook.com/PriyoPromotyo

জিতু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরকীয়া

০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৩



রাকিব বাথরুমের দরজা খুলে ভেতরে ঢোকে। টিপ-টপ বাথরুম, আধুনিক এপার্টমেন্টে যেমন থাকে। হালকা গোলাপী রঙের টাইলস, দামী সব বিদেশী প্রসাধনী সামগ্রী। রাকিবের ক্লান্ত লাগে। বেসিনের সামনে দাঁড়িয়ে আয়নায় তাকায়। বাথরুমের জানালা দিয়ে হালকা সূর্যের আলো ঢোকে, যতটা আলোতে অন্ধকার নিবিড় হয় ঠিক ততটা! বড় বড় সব দালান উঠে সূর্যের আলো ঢুকবার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।



রাকিব আয়নার দিকে ভাল করে তাকায়। আয়নায় মানুষটাকে ভাল করে চেনা যায়না। ইচ্ছে করলে বাতি জ্বালানো যায়। তাঁর ইচ্ছে করছেনা। আরেকটু কাছে যেয়ে ভাল করে ছায়ামূর্তিটাকে দেখার চেষ্টা করে সে। মধ্যবয়স্ক একজন মানুষ। শ্যামলা কিংবা কালোই বলা যায় হয়ত। চুলে হালকা পাক ধরেছে, মোটা ভ্রু, মুখটা আশ্চর্যরকম ভাবলেশহীন, আবেগের কোন ছাপই নেই তাতে।



রাকিব অবাক হয়, এই মানুষটা তো সে নয়। রাকিবের বয়স ২৭, উজ্জ্বল গায়ের রঙ, প্রাণ-চাঞ্চল্যে ভরপুর একজন মানুষ সে! নিজেকে এতটা পরিবর্তিত দেখছে কেন তবে? রাকিবের কি মতিভ্রম হয়েছে, সে কি স্বপ্ন দেখছে?



কই না তো? সবকিছু তো ঠিকঠাকই আছে। তার হাতে ঘড়িটা টিক-টিক করে সময় জানান দিচ্ছে, এখনও মোবাইলে বাসা থেকে ফোন করা স্ত্রীর শেষ কলটি জানান দিচ্ছে মোবাইল ফোনের স্ক্রীনে। রাকিব বিভ্রান্ত হয়। আবার আয়নায় তাকায়। আবারও অচেনা নিজেকে দেখে।



"বেবি, তুমি পিঠা খাবে? একটু ঠান্ডা, আমি গরম করে দিতে পারি।"



"উহু থাক, বাইরে যেয়ে খেয়ে নেব।"



"আর ইউ শিওর বেবি? আরন'ট ইউ হানগ্রি?"



"আয়াম শিওর, আয়াম ফাইন বেবি, ডোন্ট ওরী, আয়াম কামিং আউট"



"উহু, দরজা খোলো। আই ওয়ানা সি ইউ।"



রাকিব দরজা খোলে, অবনী এগিয়ে আসে। দরজার বাইরের দেয়ালে একহাতে ভর দিয়ে রাকিবের ঠোঁটের কাছে ঠোঁট এনে টকাস করে একটা চুমু খায়।



"আয়াম গেটিং রেডি রাকিব, বেশী দেরী কোরোনা।"



বলেই অবনী হেঁটে চলে যায় বেডরুমের দিকে। অবনীর শরীরের একটা সুতোও নেই। দশ মিনিটও হয়নাই তারা আদরে আদরে একাকার হয়েছে। অবনীর লম্বা চুল তাঁর নিতম্ব ঢেকে দিয়েছে প্রায়। রাকিব দীর্ঘশ্বাস ফেলে; অবনী তাঁর মধ্যরাতের গল্প।



বেসিনের ট্যাপ খুলে চোখে-মুখে জলের ঝাপটা দিয়ে আয়নায় তাকাতেই রাকিব এবার চমকে ওঠে। সে বুঝে যায় আয়নায় যার চেহারা সে দেখতে পাচ্ছিল, সে আর কেউ নয়, অবনীর স্বামী। রাকিবের মনে হয়, আয়নার ছায়াটা আর ছায়া থাকেনা, জীবন্ত মানুষের অবয়ব নিয়ে পেছন থেকে বেরিয়ে আসে।



অজান্তেই বলে ওঠে, "আপনি, আপনি কে?"



.........



গল্পঃ পরকীয়া

গল্পসমগ্রঃ অদ্ভুত ইঙ্গিত আসে ঈশ্বর থেকে

প্রকাশকালঃ একুশে বইমেলা ২০১৫

লেখকঃ শামীম আহমেদ



https://www.facebook.com/shamimahmedjitu

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৫৬

বন্ধুহারা০০ বলেছেন: :(( :(( :((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.