নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জিতু

ফেইসবুকে আছিঃ https://www.facebook.com/shamimahmedjitu রকমারিতেঃ http://www.rokomari.com/book/77323 কবিতার পেইজঃ https://www.facebook.com/PriyoPromotyo

জিতু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেয়ে, মন ও অন্যান্য

০৫ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ২:৪১

এমনটা আমার সাথে হয়না কখনও। আমিও মানুষ, তবে আমাকে প্রলুব্ধ করা কঠিন, যতক্ষণ না আমি বিপথে যেতে চাইব। আর আমি যদি একবার যেতে চাই, তাহলে কারও সাধ্য নেই আমাকে ফেরায়, কিংবা তার নিজেকে ফেরায়। আমি সময়ের সাথে সাথে নিজেকে সামলাতে শিখি, জানি প্রলুব্ধ হবার কিছু নাই, যখন যা হবার, যা চাইবার, যা পাবার কথা তোমার, তা তুমি পাবেই!



তবু আজ কি হলো বুঝতে পারছিনা। আমার চোখ বার বার তার শরীরের দিকে যাচ্ছে। আমার অস্বস্তি লাগছে। আমি হয়ত অনেকের সাথে মিশেছি, ভালবেসেছি, কিন্তু ভদ্রতার গন্ডি পার হইনি। আজ কোন এক অদ্ভুত কারণে, শারীরিক সৌন্দর্য, আমাকে আকর্ষণ করছে। আমি তাকালেই যেন আগুনে পুড়ে যাচ্ছি, এমন উন্মুখ লাগছে কেন বুঝতে পারিনা!



আমি অনেক কষ্ট করেও আমার চোখ সরাতে পারিনা। তার পায়ের দিকে তাকাই। তার লম্বা পা থেকে আস্তে আস্তে আমার চোখ তার বুকের কাছে যেয়ে আটকে যায়। আমি বিব্রত হই, আবার তাকাই। আমার ভাল লাগে। আমার মাথা খারাপ হয়ে যায়। আমি আস্তে আস্তে তার দিকে এগুই। সে কিছু বলেনা; কেমন যেন প্রাণহীন, নির্জীব। তার দিক থেকে কোন সাড়া নেই, আবার আপত্তি করবে এমনটাও মনে হচ্ছনা। তার সাজসজ্জা উগ্র, তেলতেলে শারীরিক সৌন্দর্য; আভিজাত্য এবং বেড়ে ওঠার সময়কালটাকেই হয়ত উপস্থাপন করে।



আমি পিছিয়ে যাবার চেষ্টা করি, কিন্তু তার উগ্রতা আমাকে তার কাছে টেনে নেয়। আমি হঠাৎ নির্ভীক হয়ে যাই। সাহস করে তার উরুর কাছটায় চেপে ধরি, টেনে আনি নিজের কাছে। তার অনাবৃত পা, উরু ভরে যায় আমার স্পর্শে, আমার ঠোঁট দাঁত তার শরীরে আদরের দাগ কাটে, আমি বুঝি তার অস্তিত্ব কেঁপে ওঠে, সে অবস্থান হারাতে থাকে দ্রুত, তার চারিদিকে শূণ্যতার সৃষ্টি হয়। আমি আরও সাহসী হই, আস্তে আস্তে ওপরের দিকে উঠতে থাকি। তার বুকের দিকে আমার চোখ যায়, আমি ঠোঁট নামিয়ে আনি, স্পর্শে কাতর হই!



কিন্তু একি!



“করিম ভাই, মুরগীর একেক পিস একেকরকম কেন?”



“কেন স্যার কি হইসে?”

“আরে মিয়া, রান এত নরম হইসে, বুক এত শক্ত কেন?” আমি বিরক্ত হয়ে বলি।



“স্যার সকালে গুলশান বাজারে যাওয়ার সময় রাস্তায় দেখলাম এক ব্যাডায় মুরগী বেচতেসে, হের কাছ থেকেই স্যার নিলাম ৩ পিস দেশি মুরগী, আর আগের একটা কক আছিল ফ্রিজে!”



“তাইলে তোমার দেশি মুরগী রান্না হয়নাই, শক্ত রয়া গেছে”, মুন্সী ভাই বললেন মাথা নাড়তে নাড়তে।



“ভাই শক্ত মনে হয় দেশিটা না, ককটাই হইসে, you know what I mean ;)” বলেই একটা চোখ টিপ দেয় জাফর। পোলাটা বয়সে তরুণ, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করা, বরাবরই একটু ফাজিল প্রকৃতির।



আমি বিতৃষ্ণা নিয়ে মুরগীটার দিকে তাকাই। আমি কক খাইনা, আমি বিষমকামী, রান নরম, কিন্তু বুক শক্ত এমন মুরগী আমি আর কখনোই খাবনা বলে প্রতিজ্ঞা করে উঠে পড়ি খাবার টেবিল থেকে..



শামীম আহমেদ

নিকেতন, ঢাকা

৫ মার্চ ২০১৪



[অসত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত!]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৫

আরিফ রুবেল বলেছেন: ইহা আমি কি পড়িলাম !

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৫৫

জিতু বলেছেন: মহাকাব্য!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.