নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জিতু

ফেইসবুকে আছিঃ https://www.facebook.com/shamimahmedjitu রকমারিতেঃ http://www.rokomari.com/book/77323 কবিতার পেইজঃ https://www.facebook.com/PriyoPromotyo

জিতু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব কিডনি দিবস.।.।.।

১৩ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:০৮

লেখালেখি করি ছোটবেলা থেকে। দুপুরবেলা আম্মার সাথে বিছানায় শুয়ে শুয়ে ঘুমানোর ব্যর্থ চেষ্টা করতে করতে মাথার মধ্যে ছন্দ কাজ করত। খুলনার খুলশীতে থাকবার সময়ও একই ঘটনা। আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি নেমেছে রাতে। আমি ভোরবেলা বৃষ্টি হতে থাক, এই দোয়া করতে করতে ঘুমাই। ভোরে উঠেও দেখি বৃষ্টি হচ্ছে, আমি দোয়া করছি যাতে স্কুলে যেতে না হয়, তখনও মাথার মধ্যে ছন্দ খেলা করে,



"বৃষ্টি, বৃষ্টি, বৃষ্টি

তুই যে বড় মিষ্টি

তোরে ছাড়া হয়না ওরে

কোনকিছুই সৃষ্টি!"



ক্লাস 2 তে লেখা ওই ছড়াটার কিছু লাইন এখনও মনে আছে অথচ এবারের বইমেলার sold out কাব্যগ্রন্থ একফোঁটা বৃষ্টি হতে যদির কোন কবিতাই মুখস্থ বলতে পারবোনা। ABC Radio তে ইন্টারভিউ নেয়ার সময় বললো,



"ভাই আপনার কবিতার কিছু লাইন শোনাতে হবে"



আমি লজ্জিত কন্ঠে বললাম,



"ভাই আমার মনে নাই"



Zobayer ভাই বললেন,



"শামীম ভাই ফেইসবুক থেকে বের করা যাবেনা?"



আমি লজ্জিত কণ্ঠে আবারও বললাম,



"থাক!"



যোবায়ের ভাই'র সাথে মেলার শেষদিন দেখা। শুদ্ধস্বরের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন, বই পাননি। বই শেষ। এমন আরও অনেকেই পাননি, অনেকে এখনও চাচ্ছেন, কেউ কেউ রকমারি.কম এ অর্ডার দিচ্ছেন। এই সপ্তাহান্তে ইচ্ছা আছে Ahmedur Rashid Tutul ভাইয়ের সাথে বসে খোশ-গল্পের সাথে সাথে এ সংক্রান্ত কিছু কাজের কথাও বলা, দেখা যাক!



যাইহোক যে কারণে আলোচনাটা শুরু করেছিলাম। আমার শ্বশুর আমার বিয়ের আগে থেকেই গুরুতর অসুস্থ ছিলেন, আমার বিয়ের সময় ইতিমধ্যে তিনি বাকশক্তি হারিয়েছেন, চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা। কর্মযোগি মানুষ, বাক শক্তি হারিয়ে অসহায়ের মতো হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর অসুস্থতার সময় আমার শ্বাশুড়ি, বউ আর শ্যালিকা Farzana Husain তাঁর কি যে যত্ন-আত্তি করেছে তা অবিশ্বাস্য। আমি নিজে মানুষ খারাপ, কিছুই করিনাই, কারও জন্যই কখনও কিছু করতে পারিনাই, কিন্তু মুগ্ধ হয়ে এই ৩ জন মানুষের তাদের স্বামী এবং বাবার প্রতি ভালবাসা দেখেছি। শেষের দিকে আমার শ্বশুরের কিডনিতে জটিলতা শুরু হয়। ডাক্তাররা বলেন ব্যথার জন্য তিনি খুব হাই-ডোজ ওষুধ খেতেন যেটার একটা প্রভাব পড়েছিল। তাকে হলি ফ্যামিলি হসপিটালে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হতো। এটা কি যে ভীষণ একটা যন্ত্রণাদায়ক অবস্থা বলে বোঝানো যাবেনা।



প্রতি সপ্তাহেই করাতে হয়, হসপিটালে ভর্তি করাতে হয়। থাকতে হয় কিছুদিন। আমার তখন গাড়ি নাই, প্রতিদিন CNG করে হাসপাতালে যাই, বউ-শ্যালিকার সাথে দেখা করি, কথা বলি, চুপচাপ কিছুক্ষণ হসপিটালের CCU এর সামনে বসে থাকি, তারপর শ্বশুর বাড়িতে বউ অথবা শ্যালিকাকে নামিয়ে দিয়ে মেয়েকে রেখে চলে আসি নিকেতন।



হসপিটালে চুপচাপ বসে থাকার সময় বহুদিন পর আমি আবার কলম তুলে নেই, কবিতা লেখা শুরু করি। গত ৫ বছরের কবিতা লেখার পেছনের শুরুটায় নারী কম, ঈশ্বর বন্দনা বেশী।



আমার শ্বশুর ডায়ালাইসিস করানোর সময় হার্ট এটাকে মারা যান।



আজ বিশ্ব কিডনি দিবস।

কিডনি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা অঙ্গ।

প্রতিদিন নিয়মিত পানি খান।

সকালে উঠে ২ গ্লাস পানি খালি পেটে খেয়ে দিনটা শুরু করুন।



আমি নিজেও খুব সচেতন ছিলাম না। ইদানীং চেষ্টা করছি।



শুভ সকাল।



শামীম আহমেদ

১৩ মার্চ ২০১৪

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সুন্দর!!

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০০

জিতু বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩

আমি ইহতিব বলেছেন: কিডনি রোগের মত খারাপ রোগ মনে হয় আর একটাও নেই। আমি নিজে এই রোগের কারনে ভুক্তভোগী। আমার স্বামীর কিডনী সমস্যা ধরা পড়ে গত বছর মার্চে। আমরা যখন জানতে পারি তখন ওর দুটো কিডনীই ৯০% ড্যামেজড হয়ে গিয়েছিলো। দুঃসহ সময় পার করেছি তখন। আল্লাহর রহমতে এপ্রিল মাসে ওর কিডনী প্রতিস্থাপণ অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়। এখন সে ভালো আছে আলহামদুলিল্লাহ।

সবাই সচেতন হন আর ভালো থাকুন।

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০১

জিতু বলেছেন: ভাল লাগল জেনে যে তিনি সুস্থ হয়েছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.