নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জিতু

ফেইসবুকে আছিঃ https://www.facebook.com/shamimahmedjitu রকমারিতেঃ http://www.rokomari.com/book/77323 কবিতার পেইজঃ https://www.facebook.com/PriyoPromotyo

জিতু › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষায় 'অপরাজেয়' এবং আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস

৩০ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:১১

ওয়াটারএইড বর্তমানে পৃথিবীর পানি, পয়ঃনিষ্কাশন এবং স্বাস্থ্যভ্যাস নিয়ে কাজ করা উন্নয়ন সংস্থাগুলোর মধ্যে নেতৃত্বস্থানীয়। আমরা পৃথিবীর ২৬টি দেশে কাজ করি এবং এই কাজ করার সময় নিশ্চিত করবার চেষ্টা করি যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণ কোনভাবেই যেন তাদের অধিকার বঞ্চিত না হন। এই প্রচেষ্টায় শুধুমাত্র প্রতিবন্ধী ব্যক্তিই নন, দরিদ্র এবং সামাজিক বঞ্চনার শিকার যেকোন মানুষের অধিকার রক্ষার দিকেও ওয়াটারএইড সদা সতর্ক থাকে। এই প্রচেষ্টাকে সুশৃঙ্খলভাবে বাস্তবায়িত করবার লক্ষ্যে আমরা অন্তর্ভূক্তি এবং ন্যায্যতার নির্দেশনামূলক একটি গঠনতন্ত্র তৈরি করেছি এবং ভেবেছি এর মূল বার্তা শুধুমাত্র ওয়াটারএইড এবং এর সহযোগী প্রতিষ্টানসমূহের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে দেশের উন্নয়ন নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের সবার কাছে পৌঁছে দিতে। এই উদ্দেশ্যে অধিক সংখ্যক মানুষ এবং প্রতিষ্ঠানকে এই বার্তা পৌঁছে দিতে আমরা জুটি বেঁধেছি ‘অপরাজেয়’র সাথে । আমাদের এই প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে বেশ ক’বছর আগে এবং তা সামনের দিনগুলিতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি।



এবারের সংখ্যায় যে বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তার অন্যতম হচ্ছে মানবাধিকারের মূলনীতি সংক্রান্ত বিষয়সমূহ। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা এবং তাদের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিতকরণ যে কোন দাতব্যে বিষয় নয় সেটি পরিষ্কার বুঝতে হবে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষার জন্য যে প্রয়োজনে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নীতিমালার আলোকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার তা আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই।



এটি উল্লেখ করা প্রয়োজন যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আলোচনার মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান নাও হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে যুক্তি-তর্কের প্রয়োগ, তথ্য-প্রমাণাদির উপস্থাপন এবং সর্বোপরি অধিকার বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর উপস্থিতিতে নীতিনির্ধারকগণকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চাপের মুখেও ফেলতে হয়। অধিকার রক্ষা কোন সহজ বিষয় হয় তাই এর সফল বাস্তবায়নে বহুমুখী কর্মপন্থার সহায়তা নিতে হয়। নিয়মিত এই আয়োজনে এবার আমরা বলেছি যে ওয়াটারএইড তার সহযোগী সংস্থাগুলোকে নিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিরাপদ পানি, পয়ঃনিষ্কাশন এবং স্বাস্থ্যভ্যাস সুনিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে উপযুক্ত নকশা প্রণয়ন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজের মধ্যে সমন্বয় বজায় রাখা, দীর্ঘস্থায়ী প্রযুক্তির ব্যবহার এবং মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করে যাচ্ছে। এবারের সংখ্যায় শহুরে এলাকায় পানি, পয়ঃনিষ্কাশন এবং স্বাস্থ্যভ্যাস নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীতাকে কেন গুরুত্ব দেয়া উচিৎ সে বিষয়ক একটি লেখাও রয়েছে আপনাদের জন্য। আপনাদের মতামত আমাদের জানান। ধন্যবাদ।



শামীম আহমেদ

https://www.facebook.com/shamimahmedjitu

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৪২

নি্লীমা বলেছেন: ভালো উদ্যোগ.... আমারও খুব ইচ্ছে এসব বাচ্চাদের জন্য কিছু করার... আমার একটা ইচ্ছে খুব জানিনা কখন্ পূরণ হবে কিনা....আমার একটা এতিমখানা খুলার ইচ্ছে...কারণ আমি নিজেই তো একজন এতিম...কিন্তু ইচছে আছে সার্থ নাই.... তবে চেষ্টা করি যতটুকু পারি গরীব বাচ্চাদের মুখে হাসি ফুটাতে.... আমার মতো মানুষ যদি আপনাদের প্রতিষ্ঠানের কোন উপকারে আসে তাহলে বলেন বিনা পয়সা ওদের জন্য কাজ করতে ইচছুক আছি...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.