নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৯৯ সাল। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা। সারারাত আমরা ক'জন বন্ধু জেগে ছিলাম আরেক বন্ধুর বাসায়। উদ্দেশ্য রাত ২টার দিকে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন আউট হবে, আমরা সেটা পড়ে এক সাথে পরীক্ষার হলে যাব। তো রাত ২টা পর্যন্ত কি করব? তার আগে গাড়ি করে নীলক্ষেত, মেডিকেল এলাকা, পুরান ঢাকায় ঘুরলাম যদি প্রশ্নের অন্যান্য সংস্করণ পাওয়া যায়। নানা সংস্করণ প্রশ্নের নানা সেট নিয়ে আমরা ৩টার দিকে মিরপুরে সেই বন্ধুর বাসায় মিলিত হয়ে প্রশ্নের সলভ করলাম। পড়লাম এবং পরীক্ষার হলে গেলাম সকাল বেলা।
প্রশ্ন কমন পড়ল না।
আমাদের সেই বন্ধুরা পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান, প্রায়োগিক পরিসংখ্যান, অণুজীব বিজ্ঞান, মৃত্তিকা বিজ্ঞান, ভূতত্ব বিজ্ঞান, অর্থনীতি, বুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আরবান এন্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ নানা ভাল জায়গা থেকে পাস করে এখন দেশ, বিদেশ কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে।
আজকে যখন শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্নপত্র বিষয়ে প্রশ্ন করা হলো তিনি বললেন যারা প্রশ্ন পাচ্ছে তারা কেন অভিযোগ করছেনা? আরে গরু, প্রশ্ন পাইলে কেও ফেরত দিবে? এতো বিবেক তো স্বামী বিবেকানন্দেরও ছিল না। আজাইরা কথা কয়া তো লাভ নাই। আমাদের বন্ধুরা নৈতিক দিক দিয়ে কেউ খুব খারাপ ছিল না, কেউ চাকরি বাকরিতে চুরি চামারি করেনা, কিন্তু প্রশ্নপত্র খুঁজছিল। ছাত্ররা প্রশ্ন পেলে নিবেই। এটাই স্বাভাবিক।
শিক্ষামন্ত্রীর অভাবনীয় সাফল্য আছে। তিনি ছাত্রদের হাতে জানুয়ারী'র এক তারিখে বই তুলে দিয়েছেন, এর কোন তুলনা নাই। মতিয়া চৌধুরী এবং নাহিদই বাকশাল সরকারের সুনাম রেখেছিলেন গত টার্মে। কিন্তু বামপন্থীদের নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। এরা কথা কওয়ার সময় যেমন তোতলায়, জীবনে কখনও না কখনও হাওয়াই চপ্পলের থাপ্পড় খায়, তেমন কাজের কাজ কিছু করতে পারেনা। এরা রমনা পার্কে একটা গাছ কাটলে কাইন্দা ভাসায়া ফেলে কিন্তু হেফাজত-জামাত-বিএনপি লাখ লাখ গাছ কাটলে কিছু কয়না! নাহিদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়ে গ্যাঞ্জামও মেটাতে পারেন নাই। আজকে আবার প্রশ্নপত্র সমস্যার জন্য সেই সমস্যাযুক্ত ভিসি আনোয়ার দোষারোপ করলেন মন্ত্রণালয়ে জামাতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
আরে প্রিয় স্যারেরা আপনাদের হাতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশবাহিনী, 'রেব', রক্ষীবাহিনী কি নাই? শুধু শুধু নিজেদের লোকজনকে মেরে শীতলক্ষ্যায় না ডুবায়া কিছু জামাত ধইরা ডোবান, তাহলে শুকিয়ে যাওয়া শীতলক্ষ্যা নদীর নতুন নাম শীতলক্ষ্যা ডোবার নামকরণের সার্থকতা পাওয়া যায়।
নাহিদ যদি ভবিষ্যত আরেকটি পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস না ঠেকাতে পারে, তাহলে তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে মন্ত্রী পরিষদ থেকে বের করে দেয়া হোক। কোন ব্যর্থ বামপন্থীকে সরকারে দেখতে চাই না।
যদিও নিকোলকে বলছি প্রশ্নপত্র ফাঁসে আমার আপত্তি নাই, কিন্ত আসলে আছে। আগামী শুক্রবার জাফর ইকবাল স্যারের সাথে শহীদ মিনারে আন্দোলনে যোগ দিব। এ বিষয়ে কোন দিরং নাই।
শামীম আহমেদ
৩১ মে ২০১৪
নিকেতন, ঢাকা।
https://www.facebook.com/shamimahmedjitu
৩১ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬
জিতু বলেছেন: তাই তো মনে হচ্ছে!
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মে, ২০১৪ ভোর ৫:০১
সকাল হাসান বলেছেন: নাহিদের টাইম শেষ পর্যায়ে। শিক্ষাব্যবস্থাকে স্থবির করতে না চাইলে নাহিদকে সড়ানো ব্যাতিরেকে অন্য কোন রাস্তা নেই।