নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুপুরে আরাম করে ঘুমাতে গেছি, ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে ঠিক এমন সময় Shahnoor Wahid ভাইয়ের এক চেলি'র (বস নিজেই বলসে সিরাম সুন্দরী নাকি!) ফোনে ঘুম ভাঙল। শনিবার, ছুটির দিনের শেষ দুপুরের রাগ চেপে ভদ্রতার মুখোশে খুব সুন্দর করে চিবিয়ে চিবিয়ে অফিসিয়াল মিষ্টি আলাপ সারলাম, কিন্তু আমার ভেঙে যাওয়া ঘুম আর জোড়া লাগল না। মেজাজটা খিচড়ে গেল। মেজাজ খিচড়ে যাওয়া আমাদের বংশের গৌরব, মোটামুটি কোন কারণ ছাড়াই আমরা মেজাজ খারাপ করে ফেলতে পারি।
টিভি অন করলাম, দেখি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস কনফারেন্স। নড়ে-চড়ে বসলাম। আমার নেত্রী কি বলে শুনি। আপার কথা শুইন্যা মেজাজ খারাপ চলে গেল, মন খারাপ হয়ে গেল।
আপাকে একজন জিজ্ঞেস করলেন মুক্তিযুদ্ধের বন্ধুদের যে ক্রেস্ট দেয়া হইসে তাতে সোনার পরিমাণ নিয়ে জালিয়াতি করা হইসে, এ বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে? আমি মোটামুটি শিওর আপা বলবেন যে তাদের চড়ায় দাঁত ফালায় দিবেন, কিন্তু আমি অবাক হয়ে দেখলাম আমার নেত্রী বলল যে এসব বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র, সোনা কতটুকু আছে সেটা বিষয় না, বিষয় হচ্ছে আন্তরিকতা এবং স্বীকৃতি, ব্যবস্থা যা নেবার নেয়া হবে, স্বর্ণ তো নয়-ছয় হয়-ই। শুনে আমি তব্দা খায়া গেলাম। নিজের গায়ে চিমটি দিয়া দেখি আমার শরীর-ই এবং আমি জাইগা আছি!
আওয়ামী লীগের জনসমর্থন নাই এবং তারা বেঁচে আছে ভারতের সহায়তায় এটা তো জানি তাই আপা যখন নানাভাবে ভারত মাতা কি জয় বললেন, তাতে অবাক হইলাম না, এটা expected-ই ছিল।
গত পরশু আইনমন্ত্রী জামাতের নিষিদ্ধকরণ নিয়ে একটা অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছেন এটা হাইকোর্টে বিচারাধীন আছে এবং বিদ্যমান আইনে তাদের নিষিদ্ধ করা সম্ভব না। খাঁটি কথা। আমি কোন সমস্যা দেখিনা। কিছু আঁতেল বুদ্ধিজীবীরা কথা নাই, বার্তা নাই, ছ্যাঁত করে উঠছে কিছু না বুঝেই। তাদের ভাব-ভঙ্গী আর খালেদ মুহীউদ্দিনের আজাইরা প্রশ্নের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য পাই নাই। এদের কথা শুনলে মনে হয় জিয়াউর রহমানের মতো কাউকে ডেকে এনে বাংলাদেশ বেতার থেকে ঘোষণা দিলেই জামাত নিষিদ্ধ হয়ে যাবে! বাই দ্য ওয়ে, খালেদ মুহীউদ্দিন প্রধানমন্ত্রী কে প্রশ্ন করেছিল উনি তার প্রধানমন্ত্রীত্ব আগের দুইবারের চাইতে কতটা বেশি উপভোগ করছেন! প্রধানমন্ত্রীর একটা কথাই আজকে ভাল লেগেছে সেটা হচ্ছে সাংবাদিকরা টক-শো করতে করতে সব প্যাঁচানো কথা বলে, সোজাভাবে আর চিন্তা করতে পারেনা, একদম হক কথা!
প্রধানমন্ত্রী আইনমন্ত্রীর পক্ষ নিতে গিয়ে অত্যন্ত রেগে গিয়েছিলেন। তিনি যুক্তি দিয়ে বুঝিয়েছেন কেন আইনমন্ত্রী ঠিক বলেছেন। আরে আপা যুক্তি দিয়ে কথা বলবে আইনমন্ত্রী, আপনি কথা বলবেন বেকুব বাঙ্গালীর মন বুঝে! বেকুব বাঙ্গালী যুক্তি বোঝেনা, আবেগ বোঝে। এই আইনমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে যে ভূমিকা রেখেছেন তাতে অনেকেরই গাত্র-দাহ হবে এবং তারা ভুল বুঝিয়ে বেকুব আওয়ামী বুদ্ধিজীবীদের বিভ্রান্ত করবে এ আর নতুন কি! আপা তো একটু চালাকি কইরা পাবলিকরে ঘি খাওয়াইতে পারত!
যাউগগা এত কথা কয়া লাভ নাইক্কা। বাজেটে বিড়ি, সিগারেট, টিভি টক-শো এবং প্রধানমন্ত্রীর কথার ওপর সারচার্জ বসানোর দাবি জানাই।
শুভ রাত্রি।
শামীম আহমেদ
৩১ মে ২০১৪
নিকেতন, ঢাকা।
https://www.facebook.com/shamimahmedjitu
২| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:৪২
ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: স্বর্ণ তো নয় ছয় হতেই পারে।
চুরি তো হতেই পারে।
মান ইজ্জত তো যেতেই পারে।
গুম খুন তো হতেই পারে।
আসলে কি আর বলবো, প্রধানমন্ত্রী তো এসব কথা বলতেই পারে। এইসব এতো গুরুত্ব দেওয়ার কি আছে?
কাদের কথার মানুষ গুরুত্ব দেয় না, বুঝে নেন
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ১১:১৯
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
হুম