নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাওয়াইন স্ট্রীল গীটার , কবিতা , উপন্যাস , প্রবন্ধ-নিবন্ধ , ভোকাল ও আর্ট • এসব আমার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে

দেবজ্যোতিকাজল

আমি ক্যাপিটেল পালিসমেন্টের বিরুদ্ধে ।মানবতা মানুষের পরিচয় ।।জনগণের বাণীই ঈশ্বরের বাণী । প্রকৃতির সবচে বড় ভুল মানুষ সৃষ্টি । পৃথিবীতে যত অধিকারের আন্দোলন হয়েছে তাতে কিন্তু মানুষকে মানুষ বানাবার আন্দোলন ক্কখোনও হয়নি ৷• বিজ্ঞানে ঈশ্বর নেই । কিন্তু সৃষ্টি আছে •O lf there is no god , create one , সাহিত্য পত্রিকা ※ http://nkkh10.blogspot.com

দেবজ্যোতিকাজল › বিস্তারিত পোস্টঃ

জন্মভূমিতে এখন আমি অতিথি । হায় স্বাধীনতা !

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১১


“চাষাদের মোটেদের মজুরের
গরিবের নিঃস্বের ফকিরের
আমার এ দেশ, সব মানুষের, সব মানুষের।”


এটা বাংলাদেশের দেশ ভক্তির গা ন । গানটা আমার গীটারে তোলা ছিল । আমি আর একটা দেশভক্তির গান খুর বাজাতাম ।

“প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্যের আগে
প্রতিদিন তোমায় দেখে হৃদয় জাগে
সে আমার দেশ প্রিয় বাংলাদেশ ।”


গানটা এখনও গীটার নিয়ে বসলে বাজানোর চেষ্টা করি কিন্তু বাজাতে পারি না । কান্নায় মনটা ভেঙ্গে পরে । আমি গানটা বাজাবার সময় যখন কান্না করি মা আমার ঘর থেকে বেরিয়ে জান । মা জানে কাজল কেন কাঁদছে । গানটার সাথে জীবনের বাস্তব পরিস্থিতি পাল্টে গেছে । জীবনের মানেটাও এখন আর এক নেই । আমাকে কেও জীঞ্জেস করলে এই বলতে হয় ,“আমি পশ্চিমবঙ্গবাসি” । এটা আমরা পরিচয় না । আমার পরিচয় দোঁয়াশ মাঠির মত হয়ে গিয়েছে । কি মর্মি বেদনা । যে পেয়েছে সেই জানে ।দেশ আর মা সমান ।যাই হোক ।

এবার বাবার কথায় আসি ।দেশ ত্যাগ করে আমার বাবা পাঁচ বছর বেঁচে ছিলেন । মানে কারু সাথে কথা বলতেন না । সব সময় একটা উদাসীনতা লক্ষ করতাম। তিনি এখানে এসে বোবা হয়ে গিয়েছিলেন । দেশ ত্যাগের কষ্টটা চেপে রাখতে রাখতে হঠাৎ একদিন স্টোক হয়ে বিছানায় পরে যান । তারপর বোঝা গেল বাবার এততাড়াতাড়ি চলে যাবার কারণটা । বাবা যখন বিছানায় পরে যান তখন আমাকে বলতেন , আমি মারা গেলে আমার দেশের উত্তরবাহী শ্মশানে নিয়ে গিয়ে পোড়াবী । তার দেশের বাড়ির কথা অসুখের ঘোরে বলে উঠতেন । এই টানের নাম জন্মভূমি ।এটান জন্মগত । বড়ই বেদনার । বাংলাদেশের লোক এসব ইতিহাস জানেন না দেশ ত্যাগিদের দিনগুলোর কথা । তাদের দুঃখের দিনের কথাও জানেন না । যেখানটায় নিরাপদ থাকা শুরু সেখান থেকেই বেদনা ,ক্ষুধা আর মানসিক যন্ত্রণা শুরু । দুয়ের মিশ্রনে তৈরী হয় এক বিকৃত মানুষ ।
আমাকেও কষ্ট দেয় । যে দেশটাকে প্রিয় ও জন্মভূমি ভেবেছিলাম সে দেশ নাকি আমার এখন পরদেশ ভাবতে হয় । ।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৪

আহা রুবন বলেছেন: স্বাধীনতা অর্জন জীবনে স্বস্তি আনে। আমাদের এখানে কারও কারও জীবনে স্বাধীনতা নিয়ে এসেছে অনিশ্চয়তা, জন্মভূমি হারানোর যন্ত্রণা। উপমহাদেশের বাইরে হয়ত এমন দ্বিতীয় কোনও উদাহরণ নেই।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: পৃথিবী একটি জাগতেই অশান্ত ,আমরা বুঝি কিন্তু চুপচাপ থাকি

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: পৃথিবী একটি জাগতেই অশান্ত ,আমরা বুঝি কিন্তু চুপচাপ থাকি

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২১

সেলিনা ইসলাম বলেছেন: একটা যুদ্ধ শুধু হতাহত করেনি,করেছে মানুষের ভালবাসাকে দ্বিখণ্ডিত! যা সত্যিই দুঃখজনক। ঈশ্বর আপনার বাবাকে শান্তিদান করুণ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ধন্যবাদ ,সহমর্মিতার জন্য

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: যেখানে মানস পড়ে থাকে , শিকড়ের সন্ধানে ঘরত্যাগী দেশত্যগী তার খুঁজ নেয় বাড়ে বাড়ে । তার কথা প্রকাশে থাকেনা কোন দ্বিধা সংশয়; অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় এ ব্যথার কোনো শেষ নাই । সভ্যতার শরীরে যতো সব আবর্জনা, নোংরার বিচরণ দেখা যায় হয় যখন জন্মভুমির বিভাজন । যেখানে মানস কেবলই পড়ে থাকে হাজার লাখ কোটি বছর কাল অমানুষিক মানসিক নির্যাতনে। বাধ্যতামুলক দেশত্যগীদের মনে মুক্তিগন্ধ নেই , মুক্তির বাতাস পানি ভূমি নেই কেবলই আভা আছে কেবলই পীড়ন আছে তার প্রতাপের। ভারি ভারী পাথরের মতন গীটারের সঙ্গীত দুমড়ে মুচড়ে দেয়, মানসের সবটুকু স্তর ভেঙে খান খান হয় । আবার জোড়া লাগার কয়েক মুহূর্ত আবার দহন দংশন পীড়ন প্রপাত। জন্মস্থানের মাটিতে মানস পড়ে থাকে গাছের ছায়ায় শসানের সীমানায়। দেশ ভাগের স্তুপিকৃত যন্ত্রনায় যা এখন আর নড়তে চড়তে পারেনা, হয় পরিণতিহীন। সাম্রাজ্যবাদী ও সাম্প্রদায়ীকতার কু প্রভাবে স্বার্থান্বেশীদের ছোঁড়া অসংখ্য ঘুণ পোকার দখলে আর্তনাদ ছোঁড়ে। এইসব মানসের ছবি, চেতনার ধার দৃশ্যের পর দৃশ্যে সজ্জিত হয় উপায়হীন পারিপার্শ্বে; খুঁজে দেখা যায় এ ব্যথায় কারো সহনের চোখ নেই, গ্রহণের বুক নেই, হৃদয়ের সংবেদনায় নীজ দেশে হয় পরবাসী ।
কস্ট লাগল গল্পটি পড়ে ঈশ্বর আপনার বাবাকে শান্তিদান করুন এ কামনাই করি ।
শুভেচ্ছা রইল

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৮

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ডাঃ ভাইকে ধন্যবাদ সমব্যথি হবার জন্য

৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫৫

কলাবাগান১ বলেছেন: " যেখানটায় নিরাপদ থাকা শুরু সেখান থেকেই বেদনা ,ক্ষুধা আর মানসিক যন্ত্রণা শুরু । দুয়ের মিশ্রনে তৈরী হয় এক বিকৃত মানুষ ।"

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০০

সুমন কর বলেছেন: মর্মস্পর্শী লেখা।

ভালো লাগা রইলো।

৬| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১১

supriy mahapatr বলেছেন: দারুণ বলেছেন....

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.