নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কী ভাবার কথা কি ভাবছি?

ডি এইচ খান

স্বাধীনতা অর্জনের চে রক্ষা করা কঠিন

ডি এইচ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাজা বিপর্যয় এবং অন্যান্য

২১ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৬



লীগ অফ নেশন্সের ইতিহাস ইয়াদ পরে।বাতাসে বারুদ আর লাশের গন্ধ।রক্তলোলুপতা বড়ই সংক্রামক।ইতিসের প্রহসন হল ইতিহাসের শিক্ষা থেকে আদতে কেউই কখনও শিখতে চায়না।কারা হতে যাচ্ছে নতুন অক্ষ আর মিত্র পক্ষ?



আল্টিমেটাম দিয়ে অসামরিক নিরস্ত্রদের হত্যাকে যুদ্ধ বলে কোন হারামজাদা?সবদোষ অই বেজম্মা জার্মান হিটলারের, একটা প্রজেক্টও যদি এই ব্যভারিয়ান করপোরাল ঠিক মত শেষ করে যেতে পারত!



বাতাসে কি আরও লাশের গন্ধ পাও?শুনতে কি পাও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের অস্পস্ট দামামা?হিটলারের প্রেতাত্মা কি মুচকি হাসছে?



ব্রিক্স এর এন্টি-ডলার স্ট্যান্স দেখার পর, এইবার ইঙ্গ-মার্কিন রিটালিয়েশনটা দেখার অপেক্ষায় আছি। খেলা মনেহচ্ছে জমবে এবার। মোদি, পুতিন আর জিনপিং দের একাট্টা হওয়াটা তাতপর্যপুর্নই লাগছে।



রাশা স্নায়ুযুদ্ধোত্তর পৃথিবীতে অনেকদিন ধরেই আত্মপরিচয় খুজে যাচ্ছে। মার্কিন ইউনিপোলারিজম ভাংতে রাশার বিকল্প নেই, সেটা রাশাও ভাল জানে। ইরান সিরিয়া ইস্যুতে পুতিনের অনঢ় অবস্থানের জবাবে পশ্চিমারা ইউক্রেন তাতিয়ে দিচ্ছে। তবু এশিয়াতে মার্কিন মাতাব্বরি ঠেকাতে আপাতত পুতিনেই সব ভরসা।



কারন চীনারা আগাগোড়াই বেনিয়ার জাতে পরিনত হয়েছে। যুদ্ধ লাগলে এই চাকবুমদের লাভ, বাংলাদেশও ওদের কাছ থেকে অস্ত্র কেনে, মায়ানমারও কেনে, লাভই লাভ। অবশ্য ইদানিং উইঘুরদের উপর চড়াও হওয়া দেখে মনে হচ্ছে তেনারও ওয়ার্ম আপ শুরু করে দিয়েছে।



মোদির উত্থানটা বেশ মোক্ষমই লাগছে। ভারত অনেকদিন ধরেই এই প্ল্যাটফর্মটা গড়ে তুলেছে। লাঞ্চিং টা মোদির হাত ধরেই হবে মনে হচ্ছে। পাকিস্তানের সাথে কামড়াকামড়ি না করে ভারত রাইট ট্র্যাকেই এগুচ্ছে।



রাশা, চায়না, ইন্ডিয়া, সাঃআফ্রিকা আর ব্রাজিলই কি তাহলে নতুন অক্ষ? দুইটা বিশ্বযুদ্ধে একটা বোমাও মেইনল্যান্ডে পড়তে না দিয়ে, স্নায়ুযুদ্ধশেষে রাশার ব্যবচ্ছেদ নিশ্চিত করে, ইস্রায়েল, লাদেন আর টেররিস্ট এর নতুন সংজ্ঞা পয়দা করে আমেরিকা যে ইন্দ্রজাল বিছিয়ে বসেছিল, সেই জাল বুঝি গুটাবার সময় হল।



দেশ-বিদেশে বসন্তের ডাক দিতে গিয়ে কবে কখন যে প্রাচ্যে শরত চলে এল, সে খেয়াল নেই। আইএমেফ আর বিশ্বব্যাঙ্ককে ব্রিক্সের শারদ শুভেচ্ছাকে তাই অন্য আঙ্গিকেই দেখতে পাই।



ডলার ইউরোর বিপরীতে একটা কিছু খুব দরকার। কিন্তু গাজা প্রসঙ্গে ব্রিক্সের কোন কার্যকর ভুমিকা আশা করাটা কতটা লজিকাল হবে সেটাই প্রশ্ন। ভারত ইস্রাইলের ভাল বন্ধু। হিন্দু ইহুদী দের বৈশ্বিক একাকিত্ব এদের কাছে টানে। রাশা অথবা অন্যদেরও ইস্রায়েলের সাথে কোন সাংঘর্ষিক স্বার্থ দেখিনা। একমাত্র মার্কিন আধিপত্য খর্ব করার স্বার্থেই ইউক্রেন অথবা দেবযানি টাইপের ছুতো গুরুত্বপুর্ন হয়ে উঠতে পারে।



আপাতত দর্শকের ভুমিকায় থাকা ছাড়া উপায় কই? দ্য গেম ইজ অলরেডি অন

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০

হেডস্যার বলেছেন:
আপনার সাথে আমি ও দর্শক। 8-|

২১ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৫

ডি এইচ খান বলেছেন: আপাতত এই গিট্টু না খোলা পর্যন্ত এছাড়া কোন উপায়ও নাই রে ভাই

২| ২১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:২৩

মামুন রশিদ বলেছেন: দেশ-বিদেশে বসন্তের ডাক দিতে গিয়ে কবে কখন যে প্রাচ্যে শরত চলে এল, সে খেয়াল নেই। আইএমেফ আর বিশ্বব্যাঙ্ককে ব্রিক্সের শারদ শুভেচ্ছাকে তাই অন্য আঙ্গিকেই দেখতে পাই।

সুন্দর বিশ্লেষণ ।

২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:২৫

ডি এইচ খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৩| ২২ শে জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০৮

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: ব্লগার হিসেবে আপনার সাম্প্রতিক পোষ্টগুলো চমৎকার। তবে আপনাকে ঘনঘন পোষ্ট না করতে অনুরোধ করি। মানে একটি পোষ্ট ফ্রন্ট পেজ থেকে যাবার পরই অন্য একটি পোষ্ট করা। ব্যাস। আরো নতুন পোষ্টের জন্য শুভ কামনা।

২২ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫

ডি এইচ খান বলেছেন: সরি ভাই, মেকানিজমটা ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ। উইল ট্রাই টু বি এ কুইক লার্নার, ইনশাল্লাহ

৪| ২২ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:৪৬

রফরফ বলেছেন: হুম! আমিও গ্যালারীতে বসলাম ।

২১ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯

ডি এইচ খান বলেছেন: চলেন দেখি কী হয়

৫| ২১ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৬

বিতর্কিত বিতার্কিক বলেছেন: সাম্প্রতিক সময়ের আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক খুব বেশি আইসোলেটেড। এমনকি একজোড়া রাষ্ট্র নিজেদের মাঝের বানিজ্যিক ও সামরিক অবস্থানগত বৈপরীত্য অহরহ চোখে পড়ে। কৌশলগত কারনে এমন হতে পারে মানছি তবে মধ্যবিত্ত আমাদের চোখে তা কেমন যেন ঠেকে।
"শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু" এই প্রাচীন প্রবাদটাও অসার। দরকষাকষির জন্য যখন যাকে দরকার তার সাথেই মিত্রতা বা শত্রুতা।
ব্যতিক্রম খালি আমরা। "সকলের সাথেই বন্ধুত্ব, কারও সাথেই শত্রুতা নয়" এই অমর অচল বানী কার মাথা থেকে নির্গত জানতে ইচ্ছা করে।
ভারত, রাশিয়া, চিন, ব্রাজিল কারও কাছেই নীতিগত ভাবে খুব বেশি কিছু দেখার প্রত্যাশা নাই। কে কার ভাগেরটা কত ভালভাবে আদায় করতে পারে সেটাই দেখার বিষয়।

২১ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩

ডি এইচ খান বলেছেন: তাইতো হওয়া উচিত, আগে নিজের আখের না গুছিয়ে পরের মোষ তাড়িয়ে লাভ নেই। সক্ষমতা একটা চমৎকার জিনিস। এমনকি সবার সাথে ভাল বন্ধুত্বের জন্যেও এটা জরুরী। অবশ্য আজকালকার বন্ধুত্বও আবার হয় ঠেকায়, নয় ঠ্যালায় পরে হয়। সম্প্রদান কারক অনেকদিন আগেই অচল হয়েছে। আগে গাছ থেকে টুপ করে খেজুর পরে গোফে আটকালে তবেই যে খেত, তাকে গোফখেজুরে বলত; এখন উপযুক্ত স্বার্থ ছাড়া গোফখেজুরেও খেজুর মুখে তুলে না। সমস্যাটা হল আমরা আমাদের স্বার্থের ব্যাপারে একমত নই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.