নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কী ভাবার কথা কি ভাবছি?

ডি এইচ খান

স্বাধীনতা অর্জনের চে রক্ষা করা কঠিন

ডি এইচ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিপিএ ভারী বেকার প্রজন্ম এবং অলীক বিকল্প ভাবনা!

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩

কাজের সুবাদে প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ জন সদ্য মাধ্যমিক/ উচ্চমাধ্যমিক পাশ নতুন মুখের সাথে মোলাকাত হয়। হইতে পারে এরাই এদের প্রজন্মের সেরা মুখ না, আশাকরি বাকিরা এদের চে ঢের ভাল, কিন্তু এরা একটা বড় অংশের প্রতিনিধিত্ব করতেছে। জিপিএ র ভারে নুয়ে পরা এদের দেখলে আপনার মায়াই হবে। এদের জ্ঞানের, জানার আর জানার আগ্রহের বহর দেখে প্রথমে আপনিও আমার মতই হাসবেন, পরে রসিকতা করবেন, তারপর বিষাদে ভুগবেন, এরোপর ক্ষুদ্ধ হবেন, কিন্তু সব শেষে আপনার মায়াই হবে। হয়ত গ্লানিও হবে, কারন এদের এই হালের জন্য আপনি আমিও বোধহয় কিছুটা দায়ি!



ইন্টার পাশ একটা ছেলে এইদেশে নিজের পায়ে দাঁড়াইতে অক্ষম। বাবা মা খরচ বন্ধ করে দিলে না খায়া মরবে। বিদেশে গিয়ে এরাই পার্ট টাইমে অনেক কাজ করে, অথচ দেশে টিউশানি ছাড়া অন্য কিছুই করার চেস্টাটাও কইরা দেখে না। ক্যান? মুদির দোকানে, গার্মেন্টসে, পেপার বিক্রিতে অথবা কুরিয়ার সার্ভিসে কাজ করে টু পাইস কামাইতে দোষ কি তোর? ক্যাডারগো চ্যালা হইয়া তো ঠিকি মিছিলে গিয়া গাড়ি ভাঙ্গস।



এদের জন্য ডলা সিস্টেমের শিক্ষা ব্যাবস্থা দরকার। পাচ বচর হইলেই স্কুলে যাবে। ক্লাশ ওয়ান থিকা থ্রি পর্যন্ত স্কুল শিখাবে বর্নমালা, ছড়া, আর শিখাবে কেম্নে রাস্তা পার হইতে হয়, কেম্নে মুরুব্বি দেখলে সালাম দিতে হয়, কেম্নে লাইনে দাড়াইতে হয়, আগে যে আসে তারে আগে সুযোগ দিতে হয়, এইসব। নো হোম ওয়ার্ক। বাচ্চা বাচ্চা পুলাপাইন তাদের চে বড় সাইজের ব্যাগ কান্ধে ক্যান স্কুলে যাইব? সে আম গাছের নিচে যাবে, গাছ চিনবে, আম চিনবে, গাছের তলায় বইসা আমের ছবি আকবে , ছবির নিচে লিখবে আম, তারনিচে লেখবে ম্যাংগো। মানে, টার্গেট হবে নৈতিক শিক্ষা আর প্র্যাক্টিকাল অরিয়েন্টেশন।



ক্লাশ ফোর আর ফাইভে চলবে অরিয়েন্টেশন উইথ সারাউন্ডিংস। মানে দলে দলে প্রতিদিন স্কুলের এই বাচ্চারা থানা দেখতে যাবে, কোর্ট চিনবে, আইটি ফার্ম দেখবে, ক্যান্টন্মেন্ট চিনবে, মসজিদ মন্দির চিনবে, ব্যাঙ্ক চিনবে, কারখানা চিনবে, বাজার চিনবে। আর শিখবে কোথায় কিভাবে চলতে হয়, কি দেখতে কেমন। পোঙ্গটা পুলাপাইন বান্দরামি করবে কিন্তু একটা বেইজ আন্ডারস্ট্যান্ডিং তৈরি হবে।



ক্লাশ সিক্স থেকে এইট ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলেই থাকবে, এইবার বিভিন্ন পেশার প্রতিষ্ঠানেরা বছরজুড়ে অন্তত একবার করে তাদের এলাকার প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেম্পেইনে যাবে। সিভিল সার্ভিস, টেলিকম, ব্যাঙ্ক, বীমা, গার্মেন্টস, পুলিশ, আর্মি, উকিল সব পেশার প্রতিনিধিরা যাবেন। সহজ ভাষায় বলবেন কিভাবে ব্যাঙ্কে একাউন্ট খুলতে হয়, কেম্নে থানায় জিডি করতে হয়, কিভাবে মোবাইলে টাকা পাঠায় ইত্যাদি।



ক্লাশ নাইন টু টেন এরা সব শিখবে, নো সায়েন্স আর্টস। বাইলজির এমিবা প্রজনন শিখুক আর না শিখুক, বাড়িতে কারো হাত পুরলে কি প্রাথমিক চিকিতসা সেইটা জানবে; ফিজিক্সে ই ইকুয়াল টু এমসি স্কোয়ার বুজুক আর নাই বুজুক, বাসার ফিউজড বাল্ব বদলাইতে জানবে; সারনি মুখস্ত হোক বা না হোক, অক্টেন-ডিজেল আলাদা চিনতে পারবে, কম্পিউটার জানবে, গাড়ির টায়ার বদলাইতে জানবে, ছোট খাট দোকানের হিসাব রাখতে জানবে, ট্যাক্স দিতে জানবে। টার্গেট হল সসাইটিতে চলতে শিখবে।



ক্লাশ ইলেভেন আর টুয়েলভ এ তারে যোগ্যতা অনুযায়ী হায়ার স্তাডিজের জন্য রেডি করা হবে। কেউ যদি ডাক্তারি পরার লায়েক হয়, এইবার সে ঘার মুর ভাইঙ্গা বাইলজি পড়বে, সাথে বাধ্যতা মুলক যে কোন একটা হাসপাতালে পার্ট টাইম কম্পাউন্ডার বা মেডিকের কাজ করে টু পাইস কামাবে।



এমুন কোন সিস্টেমে না আগাইলে লাভ নাই!!!



মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৬

মফিজ বলেছেন: অনেকাংশে সহমত।সৃজনশীল পরীক্ষা,জিপিএ ৫ এর বন্যা আপাততঃ খুশী করলেও শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭

ডি এইচ খান বলেছেন: ভাই, মাধ্যমিক পর্যায়ে আমরা কৃষি বিজ্ঞান পড়তাম। তো একদিন স্যার রে জিজ্ঞেস করলাম, এই যে কৃষি বিজ্ঞান পড়তেছি, জীবনে তো ক্ষেতের আইলে যাওয়া দূরে থাক একটা ফুলের টবের পাশে যাই না। একটা গাছও লাগাই না, কলম কেম্নে করে জানিনা। তাইলে এই বিদ্যা শিক্ষার কাম কি? সাইজে উনার চে কিঞ্চিত লম্বা ছিলাম বইলা মারতে বাকি রাখছিলেন মনে হয়। পরীক্ষার খাতায় শোধ নিছিলেন ষোল আনা। কিন্তু ভেবে দেখেন ভুল কি বলেছিলাম কিছু? যারা জীবনেও কৃষক হবে না, তাদের কৃষি বিজ্ঞানে পড়া উচিত উৎপাদন পদ্ধতি, বিপনন ব্যবস্থাপনা কোশল।

মেয়েরাও গার্হস্থ্য পড়ত, কিন্তু নিজের বাচ্চাই পালতে শেখে না। ধর্মের ক্লাশে হিন্দুরা অন্য ক্লাশে চলে যেত। পড়ার সময় সব ধর্মই সবারে পড়ানো উচিত, প্র্যাক্টিসটা বাড়ী থেকে শেখানো উচিত, কোনদিন তো হুজুররে স্কুলে যোহরের নামাজ পড়াইতে দেখি নাই।

এমিবার প্রজনন, সালোক্সংশ্লেশন আর পিথাগোরাসের থিউরি শিখে আমার কি লাভ হইছে? কোন আগুন কেম্নে নিভাইতে হয়, স্ট্রোকের রোগীরে কেম্নে হাস্পাতালে নিতে হয়, এইসব তো নিজে থেকেই শিখতে হল!!!

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: বর্তমান ব্যবস্থায় পুরো শিক্ষাটাই ধ্বংস হয়ে গেছে। ভালো রেজাল্টের ভিড়ে আসলে যে কে ভালো ভাই তো খুঁজে পাওয়া মুস্কিল!

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৬

ডি এইচ খান বলেছেন: এইটা ঠিক বলেছেন ভাই, রেজাল্ট দেখে অনুমান করা সত্যি কঠিন।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মুদ্‌দাকির বলেছেন:
ভালো কিন্তু বাস্তবতা বিবর্জিত কল্পনা !!! মনে হচ্ছে আপনি এই দেশে বড় হননি !!!!

০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

ডি এইচ খান বলেছেন: ভালো কিন্তু বাস্তবতা বিবর্জিত কল্পনা !!!
সেজন্যই অলীক বলেছি রে ভাই।
আর এদেশেই বড় হয়েছি আর এদেশেই আছি, আর এটাও জানি আমরা কখনই ভালোটা নিতে শিখব না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.