নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কী ভাবার কথা কি ভাবছি?

ডি এইচ খান

স্বাধীনতা অর্জনের চে রক্ষা করা কঠিন

ডি এইচ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

'দ্য আর্ট অব ওয়ার' : ০৭ : মেনুভার।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:৪০



’৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষদিকে যখন ভারতীয় সেনাবাহিনীর অংশগহন প্রায় নিশ্চিত, তখন জেনারেল নিয়াজি উপলব্ধি করলেন নিরীহ বাঙালি মারার ‘অপারেশন সার্চ লাইট’ কন্সেপ্ট দিয়ে ইন্ডিয়ান আর্মির মোকাবিলা করা অসম্ভব। অতএব অক্টোবর ’৭১ নাগাদ তিনি তার প্ল্যান রিভিউ করে তার ডিফেন্স ঢেলে সাজেলেন। নতুন এই কন্সেপ্টে তিনি বর্ডার আউটপোস্ট বরাবর ১ম লাইন, বর্ডার থেকে ঢাকামুখী মহাসড়কের ওপর বড় বড় শহর বরাবর ২য় লাইন, এবং ঢাকার বাইরে আর ভেতরে মিলিয়ে আরো দুই লাইন, মোট চারস্তরে ডিফেন্স নিলেন, যাকে বলা হল ফোর্ট্রেস কন্সেপ্টে ডিফেন্স। নিয়াজির আশা ছিল ২য় লাইন বরাবর ডিফেন্সটা ক্লিয়ার করে ঢাকা পর্যন্ত আসতে আসতে ইন্ডিয়ানদের খবর হয়ে যাবে। কিন্তু ইন্ডিয়ানরা ২য় লাইনের ডিফেন্স ক্লিয়ারের ধারে কাছেও গেলনা। বরং মুক্তিবাহিনী আর সাধারন জনগনের সহায়তায় তারা ২য় লাইনের পাক ডিফেন্সিভ পজিশনগুলো স্রেফ বাইপাস করে সোজা ঢাকার উদ্দেশ্য এগুতে লাগল। ইন্ডিয়ান কোরগুলোর মধ্যে মোটামুটি কম্পিটিশন চলছে তখন কে কার আগে ঢাকার উপকন্ঠে পৌছাবে। নিয়াজির বুজতে দেরী হল না যে আত্মসমর্পনের কোন বিকল্প নাই তার হাতে।



যুদ্ধ আপনি দুই কায়দায় লড়তে পারেন। একঃ সামনে আগাইতে থাকবেন আর পথে যত শত্রু পাবেন সব কচুকাটা করতে থাকবেন, এইটারে বলে এট্রিশন ওয়ারফেয়ার। দুইঃ মেনুভার কইরা শত্রুরে আত্মসমর্পনে বাধ্য করবেন, এইটারে বলে মেনুভার ওয়ারফেয়ার। যুদ্ধ যত আধুনিক হইছে, সেনাপতিরা তত মেনুভার ওয়ারফেয়ারের দিকেই ঝুকছে। মুলত অশ্বারোহী সেনাদের আবির্ভাবের পরপরই মেনুভার ওয়ারের শুরু, কারন এই কিছিমের যুদ্ধে গতি একটা মুখ্য ইস্যু, আর গতিকে কাজে লাগিয়ে যে আগে সুবিধাজনক অবস্থানটা দখল করতে পারে সেই যুদ্ধে জেতে। রোমানদের বিরুদ্ধে হ্যানিবলের ব্যাটেল অফ ক্যাননি কিংবা পার্সিয়ানদের বিরুদ্ধে খালিদের ব্যাটেল অফ ওয়ালাজা পড়ে দেখতে পারেন। অধুনা সব যুদ্ধই অবশ্য এট্রিশন আর মেনুভারের সমন্বয়ে লড়া।





সানজু বলেন, কমান্ড পেয়েই জেনারেল সাহেব প্রথমে সৈন্য সংগ্রহ করেন, তারপর তীরন্দাজ, অশ্বারোহী, পদাতিক আর গোলন্দাজদের সমন্বয়ে বাহিনী সাজান। এরপর তার সেনাদলগুলোর ট্যাক্টিকাল মেনুভার নিয়ে ভাবতে বসেন। ট্যাক্টিকাল মেনুভারের সব চে জটিল বিষয় হল লক্ষ্যে পৌছানোর সহজতম অথচ নিরাপদতম পথ খুজে বের করা আর সীমাবদ্ধতাকে সুযোগে পরিনত করা। তাই আপনি আপনার শত্রুকে বিভ্রান্ত করতে প্রথমে ভুল এক দিকে এগিয়ে যান, তারপর হঠাত ঘুরে গিয়ে দ্রুত শত্রুর দিকে এগুতে থাকুন।



আপনার আর্মি যদি ওয়েল ট্রেইনড হয়, মেনুভার করে আপনি জিতবেন, আর যদি না হয়, তাহলে বিপদে পরবেন। একটা সুযোগ চোখে পরা মাত্র যদি আপনি আপনার গোটা আর্মি নিয়া ছুট দেন, সেইটা হবে বোকামি। কারন তল্পিতল্পা নিয়া আপনার আর্মি যে গতিতে আগাবে, তাতে আপনি সুযোগটা হারাবেন; আর যদি ভারী অস্ত্র আর রসদ পিছনে ফেলেই আপনি রওনা দেন, তাহলে শত্রু এসে আপনার রসদ লুটে নিতে পারে।



আপনি যদি আপনার আর্মি নিয়া সাধারন গতিতে আগান, তাহলে গড়পরতায় দিনে ১৫ মাইল যেতে পারবেন। জোর কদমে আগাইলে দিনে ৩০ মাইল, আর যদি দিনে ৫০ মাইল করে আগাইতে চান তাহলে না থেমেই দিনে রাতে সমানে হাটতে হবে। মনে রাখা ভাল, এইভাবে হাটতে থাকলে শীঘ্রই আপনি ধরা পরবেন আর যুদ্ধবন্দি হিসাবে হাটতে থাকবেন। কারন সানজুর হিসাবে এই গতিতে আগাইলে আপনার সামনের সৈন্যরা যখন যুদ্ধক্ষত্রে প্রবেশ করবে, তখনো আপনার দশ ভাগের নয় ভাগ সেনা পেছনে পরে থাকবে। একই হিসাবে জোর কদমে ২৫ মাইল চলার পর যুদ্ধক্ষেত্রে পৌছাতে গেলে সময় মত আপনার অর্ধেক সেনা পৌছালেও সামনের কমান্ডারদের হারানোর ঝুকি থাকে। আর যদি ১৫ মাইল দূরে এভাবে এগিয়ে যান তবে আপনার তিনভাগের দুই ভাগ সেনা সময়মত যুদ্ধক্ষত্রে ঢুকবে।





২য় বিশ্বযুদ্ধে বার্মা থিয়েটারে মিত্রবাহিনীর সাথে লড়ছিল জাপানীরা। ইমফল-কহিমার যুদ্ধে কোহিমা থেকে বৃটিশদের হঠাতে জাপানীরা জেনারেল সাটোর নেতৃত্বে প্রানপন লড়ছিল। কিন্তু রসদে যখন টান পড়ল, সাটো সত্বর পেছনে মেসেজ পাঠালেন রসদ চেয়ে। কিন্তু জবাবে জাপানী কোর কমান্ডার মুতাগাচি খাবারের বদলে পাঠালেন একগাদা গোলাবারুদ। খাবারের অভাবে সাটো তার ডিভিশন নিয়া পিছু হটলেন। জাপানি সামরিক ইতিহাসে উর্ধতন কমান্ডারের আদেশ ছাড়াই কোন ডিভিশন কমান্ডারের পিছুহটার রেকর্ড বিরল। সানজু বলেন, রসদ ছাড়া আর্মি কখনো জিততে পারেনা।





যেকোন কেম্পেইনের আগে জেনারেল হিসেবে আপনি অবশ্যই যুদ্ধক্ষত্রের ম্যাপ খুবই ভাল ভাবে স্টাডি করবেন। পথে কয়টা ঝুকিপুর্ন এলাকা আছে, কোন নদীর গভীরতা কত, কোন শহরের লোকের আচরন কেমন এ সবই আপনার নখদর্পনে থাকা চাই। তারপরও লোকাল গাইডের কোন বিকল্প নাই। একমাত্র লোকাল গাইডের সাহায্যেই আপনি একটা এলাকার ভুমির সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে পারবেন।



আপনি যখন শত্রুদেশে আক্রমনে যাবেন তখন আপনাকে শত্রুর স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট গুলো চিনতে হবে, জানতে হবে তার বন-প্রান্তর যেখানে সেনাদল লুকিয়ে থাকতে পারে, রাস্তার দুরত্ব জানতে হবে, রাস্তার কন্ডিশন আর ব্রিজের কথা জানতে হবে, আরো জানতে হবে বিভিন্ন শহরের সাইজ, শত্রু সেনাদলের সংখ্যা, তাদের অস্ত্রের ধরন, ইত্যাদি সব। এসব জানা থাকলে, তবেই আপনি সহজে জিততে পারবেন।





যুদ্ধ ধোঁকা নির্ভর, তাই সুযোগ বুঝে সামনে এগিয়ে যান, পরিস্থিতি বুঝে ফর্মেশন বদলান। যখন এগুবেন, তখন বাতাসের ক্ষিপ্রতায় আগান; আপনার সেনাদল যেন ঘন বনের মত একতাবদ্ধ থাকে। যখন শত্রু ওপর হানা দেবেন অথবা লুট করবেন তখন আগুনের তেজ দেখান, যখন থামবেন তখন পাহাড়ের মত অটল থাকুন। আপনার প্ল্যান হোক কালো মেঘের মত গভীর রহস্যময় আর যখন এগুবেন তখন বিদ্যুতগতিতে প্ল্যানমাফিক এগিয়ে যান। লুটের সময় আপনার সেনাদল ভাগে ভাগে এগুবে আর দেশ দখলের পর লুন্ঠিত সম্পদ সবাই ভাগাভাগি করে নেবে।





পরিস্থিতি বুঝে চাল আর চলা শুরু করতে হয়। যিনি ডাইরেক্ট আর ইনডাইরেক্ট এপ্রোচের কৌশল ভাল জানেন, তিনিই জয়ী হন। যুদ্ধে গলা শোনা যায়না, তাই ঢাক আর ঘন্টা বাজান হয়, সৈন্যরা যেহেতু একে অন্যকে পরিস্কা;২র দেখতে পারেনা, তাই প্রত্যেক ইউনিটের আলাদা পতাকা-ঝান্ডা ব্যবহার করা হয়। সৈন্যদের ফোকাসড রাখতেই এই আয়োজন, তাই যুদ্ধক্ষত্রে দুঃসাহসী কখনও একা এগোয় না আর কাপুরুষও কখনও একা ভাগে না। রাতে ব্যবহার হয় মশাল আর ড্রাম, এবং দিনে পতাকা। এই হল বড় সেনাদলে সৈন্য পরিচালনার কৌশল।





১৯৪৪ সালের নভেম্বর মাসের শেষদিকে লর্ড মাউন্টব্যাটেন রিচার্ড পিরসে নামের এক ভদ্রলোক আর জেসি নামের এক ভদ্রমহিলাকে ভারত থেকে ইংল্যান্ডে ফেরত পাঠালেন। জেসি ছিলেন জেনারেল অচিনলেকের স্ত্রী আর পিরসে ছিলেন অচিনলেকের সহপাঠী আর এয়ার চিফ মার্শাল, এরা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন, যা মাউন্টব্যাটেন জেনে গিয়েছিলেন। ভারতে আসার আগে অচিনলেক ছিলেন নর্থ আফ্রিকায় মিত্রবাহিনীর মিডল-ইস্ট কমান্ডের কমান্ডার। ১৯৪১ সালের ডিসেম্বরে তিনি তবরুক থেকে জার্মান জেনারেল রোমেল (যিনি ডেজার্ট ফক্স নামে সমাধিক পরিচিত) কে পিছু হটতে বাধ্য করেন। কিন্তু ১৯৪২ সালের জুলাইয়ের ভেতর তার অষ্টম আর্মি রোমেলের প্যাঞ্জার ডিভিশনের কাছে মার খেয়ে পিছু হটতে লাগল। তার আন্ডারের সব জেনারেলদের সাথে তার সম্পর্ক খারাপ হতে লাগল। মে মাসে গাজালার যুদ্ধে রোমেল তাকে আরেকবার হারাল আর অষ্টম আর্মি পিছুহটে এল-আলামিনে ঠাই নিল। অবস্থার বেগগতিক দেখে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী চার্চিল স্বয়ং আফ্রিকা এলেন আর অচিনলেককে কমান্ড থেকে সরিয়ে নিলেন। অচিনলেকের এই হারিয়ে যাবার পেছনে তার স্ত্রী জেসির পরকীয়ার ভুমিকা নিয়ে ইতিহাস নিরব। সানজু বলেন, কখনো কখনো যুদ্ধে গোটা আর্মির সৈনিকদের মনোবল যেমন উবে যেতে পারে, তেমনি কমান্ডারও সাহস হারিয়ে বসতে পারেন।





সকালে সৈন্যদের মনোবল সবচে চাঙ্গা থাকে, দুপুরের দিকে তা মিইয়ে যেতে থাকে, আর সন্ধ্যে নাগাদ তারা তাবুতে ফিরতে উন্মুখ হয়ে উঠে। তাই যখন শত্রু সৈন্যদের মনোবল সবচে চাঙ্গা থাকে, বিচক্ষন জেনারেল তখন তাদের সাথে যুদ্ধ এড়িয়ে যান, আর যখন তা মিইয়ে যেতে তখনই ক্ষুরধার আক্রমন করেন; একেই বলে শত্রুর মনোবল বুঝে যুদ্ধের কৌশল। ধুর্ত জেনারেল সুশৃঙ্খল আর শান্ত হয়ে অপেক্ষায় থাকেন কখন তিনি শত্রু শিবিরে অস্থিরতা আর বিশৃংখলার আভাস পাবেন; একে বলে শত্রুর মানসিক অবস্থা বুঝে যুদ্ধের কৌশল। ঝানু সেনাপতি শত্রু সেনাদের ক্লান্ত আর ক্ষুধার্ত হওয়া পর্যন্ত ওঁত পেতে থাকেন; একে বলে শত্রুর শাররিক দুরবাস্থার সুযোগ বুঝে যুদ্ধের কৌশল। তিনি চমৎকার ফরমেশনে এগিয়ে আসা শত্রুকে কখনো আক্রমন করেন না, অপেক্ষা করেন শত্রুর ফরমেশনে ভাঙ্গন ধরার; একে বলে অনুকুল পরিস্থিতি বুঝে যুদ্ধের কৌশল। ।





সানজু বলেন, যখন শত্রু উঁচুতে আর আপনি নিচে, তখন তাকে আক্রমন না করাই সমীচিন; আর উঁচু ভুমি থেকে ঢাল বেয়ে নেমে আসা আক্রমন ঠেকাতে না যাওয়াই উত্তম। সানজুর এই কথা না মেনেই আমেরিকান সিভিল ওয়ারে গেটিসবার্গের যুদ্ধে কনফেডারেট জেনারেল লী, ১২৫০০ সৈন্য নিয়ে সিমেট্রি রিজের ওপর অবস্থান নেয়া ইউনিয়ন বাহিনীকে আক্রমন করেন। এই পিকেটস চার্জে কনফেডারেটরা তাদের অর্ধেক সেনা হারায়, আর এই ক্ষতি পরে আর কখনই তারা পুষিয়ে উঠতে পারেনি। আধুনিক বিল্ড আপ এরিয়া বা নগরযুদ্ধেও একি কথা প্রযোজ্য, কেননা উঁচু দালানের জানালায় দাড়িয়ে শত্রু অনেক দূর দেখতে পায় আর নিচ থেকে উঁচুতে গুলি টার্গেটে লাগানো কঠিন।



সানজু আরো বলেন, শত্রুর এলিট ফোর্সকে সরাসরি আক্রমন করতে যাবেন না, কারন এদের মনোবল সবসময় তুঙ্গে থাকে, তাই হারানো কঠিন। আর শত্রুকে পালাতে দেখলেই পিছু নেবেন না। কারন শত্রু অনেক সময় এভাবেই আপনাকে প্রলুব্ধ করবে তার পিছু পিছু গিয়ে যেন আপনি তার পাতা ফাঁদে পা দেন। পিছু হটার সময় শত্রু তার খাবার আর পানিতে বিষ মিশিয়ে যেতে পারে, তাই পিছুহটা শত্রুর ফেলে যাওয়া খাবার পরীক্ষা না করে খাবেন না।



সম্রাট শুয়ান এঁর শাসনামলে চিয়াং গোত্রের বিদ্রোহ দমাতে গিয়েছিলেন রাজা চাউ চুংকু। তার বিশাল বাহিনী দেখে বিদ্রোহীরা ফেরিতে করে ইয়েলো নদী পেরিয়ে পালাতে শুরু করল। এই অবস্থা দেখে চাউ চুংকু তার সেনাবাহিনীর চলার গতি আরো শ্লথ করতে আদেশ দিলেন। বিস্মিত সেনাপতিরা রাজাকে জানাল যে তারা চাইলেই এখন ইয়েলো নদীর পাড়ে ফেরিটা ডুবিয়ে দিয়ে সব বিদ্রোহীদের কচুকাটা করতে পারে, তাই এমন মোক্ষম সুযোগ হাতছাড়া করা ঠিক হবে না। রাজা বললেন, ওরা এখন পালাবার জন্য বেপরোয়া হয়ে আছে। আমরা যদি সুযোগ দেই তাহলে ওরা কোনদিক না তাকিয়ে ফেরির পর ফেরি ভরে পালিয়ে যাবে। কিন্তু আমরা যদি এখন আক্রমন করি ওরা জানে ওদের পেছনে নদী তাই পিছুহটার উপায় নেই। আর কোণঠাসা পশু অথবা মানুষ ভয়ংকর, এরা অপার্থিবের মত লড়বে আর আমাদের ক্ষয়ক্ষতি বাড়বে।



যুদ্ধশেষে বাড়ীর পথে রওয়ানা দেয়া সেনাদলকে আক্রমন করতে বারন করেছেন সানজু। কারন, এসময় সৈন্যরা বাধাগ্রস্ত হলে আবেগে উন্মাদ হয়ে লড়ে। আরো বলেছেন শত্রুকে ঘিরে ফেলার পর তাকে কোনঠাসা না করে পালাবার জন্য একটা রাস্তা খোলা রাখতে, কারন যুদ্ধের মানসিকতা ঝেড়ে যে একবার পালাবার মানসিকতায় আচ্ছন্ন হয়, তাকে হারানো সহজ। সবশেষে সানজু সাবধান করেছেন কোণঠাসা শত্রুকে পারতপক্ষে আক্রমন না করতে। এই হল সানজুর সেনাদল মোতায়েন আর পরিচালনার নিয়ম।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

অরণ্যতা বলেছেন: পড়ে ফেললাম পুরোটাই

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৭

অরণ্যতা বলেছেন: অনেক ভাল লেখা। প্লিজ চালিয়ে যান

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৪৯

ডি এইচ খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩০

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার হচ্ছে। চালিয়ে যান।


দুই একটা গেইম খেলে দেখতে হবে বইটা পড়ার পর দক্ষতা কেমন বাড়ল ;)

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া। শুভকামনা জানবেন।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৫১

ডি এইচ খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। রসকষ হীন বইটা কে যে উপস্থাপন করতে পারছি, তাতেই সুখ।

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০৪

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: ব্যতিক্রমী টপিকে একটা অ্যানালাইটিকেল পোস্ট পেলাম ব্লগে ... পোস্টে ভালোলাগা (+) রইলো ...

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৯

ডি এইচ খান বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮

অরণ্যতা বলেছেন: মহামহোপাধ্যায Please tell me the name of the game I also want to play to examine my skill

৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:৪৬

এম হাবিব আহসান বলেছেন: ভাললাগা রইলো।

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:১৫

ডি এইচ খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৭| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৪৩

অ্যামাটার বলেছেন: এই পর্ব পর্যন্ত শেষ করলাম আপাতত। চমৎকার লাগল।

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১৬

ডি এইচ খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, লেখা ভাল্লাগছে জেনে ভাল্লাগলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.