নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কী ভাবার কথা কি ভাবছি?

ডি এইচ খান

স্বাধীনতা অর্জনের চে রক্ষা করা কঠিন

ডি এইচ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

'দ্য আর্ট অব ওয়ার' : ১১ : নয় ধরনের যুদ্ধ পরিস্থিতি- ১ম কিস্তি

১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩৩





৭১০ খীস্টাব্দ। কাউন্ট জুলিয়ানের কন্যা রুমিয়া যখন রাজ অতিথি হয়ে হিস্পেনিয়া সফরে গিয়েছিলেন, হিস্পেনিয়ার লম্পট রাজা রোডেরিক তার শ্লীলতাহানি করেন। কাউন্ট জুলিয়ান ছিলেন আফ্রিকা মহাদেশে নিযুক্ত বাইজান্টাইন ভাইসরয়। উমাইয়াদ খেলাফত তখন খলিফা আল-ওয়ালিদের যোগ্য নেতৃত্বে আফ্রিকার মরক্কো অবধি বিস্তার লাভ করেছে। জঘন্য সেই অপমানের শোধ নিতে কাউন্ট জুলিয়ান তখন আফ্রিকায় নিযুক্ত মুসলিম গভর্নর মুসা বিন নুসায়েরকে স্পেন আক্রমনে প্ররোচিত করলেন। গভর্নর মুসা স্পেন অভিযানের সেনাপতি হিসেবে তারেক বিন যিয়াদকে নিয়োগ দিলেন। কাউন্ট জুলিয়ানের সহায়তায় তারিক মাত্র ৫০০০ সেনা নিয়ে স্পেনের উদ্দেশ্যে সাগর পাড়ি দিলেন। ওদিকে রাজা রোডেরিকের সৈন্য সংখ্যা প্রায় এক লাখ। তারেক জানতেন, এই অসম যুদ্ধ জিততে হলে পিছুহটার ভাবনা মন থেকে মুছে ফেলতে হবে। তাই স্পেনের মাটিতে পা দিয়েই তিনি সব নৌযান একসাথে পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দিলেন। পরে গুয়াদালেতের যুদ্ধে তারেকের আর্মির কাছে রাজা রোডেরিকের আর্মি হেরে যায়, আর রোডেরিক নিজেও প্রান হারান।



ইতিহাসে এই ‘তীরে এসে তরী পুড়িয়ে’ যুদ্ধের স্ট্রেটেজি কিন্তু একেবারে নতুন না। তারিকের আগেও রোমান পৌরানিক বীর আইনিয়াস, খ্রীস্টের জন্মের আগে চীনা সেনাপতি জিয়াং ইয়ু আর মেক্সিকো অভিযানে স্প্যানিশ সেনাপতি হার্নান কোর্তেজ এভাবেই তাদের নিজ সেনাদের পয়েন্ট অব নো রিটার্নে নিয়ে গিয়ে তাদের যুদ্ধজয়ের জন্য মরিয়া করে তুলেছিলেন।



যুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হয়; আর পরিস্থিতি ভেদে যোদ্ধাদের মনোবলও হয় বিভিন্ন। সেনাপতির কাজই হল অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া; আর ব্যবস্থা নিতে, তথা সিদ্ধান্ত গ্রহনে, সেনাদলের মনোভাব যাচাই অত্যন্ত তাতপর্যপুর্ন নিয়ামক। সানজুর মতে, সৈন্য মোতায়েনের প্রেক্ষিতে যুদ্ধে নয় ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে।



একঃ ডিস্পারসিভ বা ছত্রভঙ্গ পরিস্থিতি। যখন একটি আর্মি নিজ দেশের ভেতরে থেকেই লড়াই করে, তখন সেই আর্মির অফিসার আর সৈন্যরা নিজেদের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন থাকে। বাড়ি ফিরতে উন্মুখ এই সেনাসদস্যরা যুদ্ধে মরিয়া হয়ে লড়বার পারাক্রম দেখাতে পারেনা আর পিছুহটার মত পরিস্থিতিতে উশৃংখল হয়ে পরে। এমন পরিস্থিতে লড়াই না করাই শ্রেয়।



দুইঃ ফ্রন্টিয়ার বা সীমান্ত পরিস্থিতি। যখন কোন আর্মি নিজ দেশের সীমান্তের কাছাকাছি শত্রুর দেশের ভেতরে ঢুকে যুদ্ধ করে, তখন পিছুহটা সহজ। এমন পরিস্থিতে নৌকা পুড়িয়ে হোক আর ব্রিজ গুড়িয়েই হোক, সৈন্যদের এই বাস্তবতাটা বঝানো জরুরী যে সামনে এগিয়ে যাওয়ার কোন বিকল্প নেই। এমন পরিস্থিতিতে যেকোন উপায়ে যাত্রা বিরতি পরিহার করে এগিয়ে যাওয়াই শ্রেয়।



তিনঃ কন্টেনশাস বা কলহময় পরিস্থিতি। যখন দুই পক্ষই এমন একটি সুবিধাজনক অবস্থান দখলের জন্য লড়ছে, যা যে আগে দখল করতে পারবে, সেই জিতবে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত এগিয়ে যান আর আপনার আর্মির পেছনের অংশও যেন সামনের সাথে সমান তালে এগিয়ে আসে তা নিশ্চিত করুন। এরপরও যদি সুবিধাজনক অবস্থান দখলে ব্যর্থ হন, তবে যুদ্ধ এড়িয়ে যান।



চারঃ ওপেন বা কমুনিকেটিং বা উন্মুক্ত পরিস্থিতি। যখন একটি এলাকার উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে উভয় প্রতিপক্ষই সমান সুবিধায় চলাচল করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে শত্রুকে অযথাই অবরুদ্ধ করার চেস্টা করবেন না। বরং আপনার নিজের প্রতিরক্ষায় আরো মনযোগী হন।



পাঁচঃ ফোকাল বা কেন্দ্রী পরিস্থিতি। যখন পাশাপাশি তিন দেশের সীমানা এক স্থানে মিলিত হয় আর যে আগে এই এলাকায় পৌছায় সেই বাকিদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আপনার মিত্রদের সাথে মিলিত হয়ে শক্তিবৃদ্ধি করুন।



ছয়ঃ সিরিয়াস বা সঙ্গিন পরিস্থিতি। যখন কোন আর্মি পেছনে বেশ কিছু বড় শহর পেড়িয়ে শত্রু রাস্ট্রের রাজধানীর উপকন্ঠে পৌছে যায়। এমন পরিস্থিতিতে আপনার রসদ সরবরাহ নিশ্চিত করুন, কেননা মুল যুদ্ধের আগে আপনার পর্যাপ্ত রসদের মজুদ চাই, আর পেছনে ফেলে আসা শত্রু শহরের অবশিষ্ট শত্রুরা পুনর্গঠিত হয়ে ক্রমাগত আপনার সরবরাহ লাইনে আঘাত হানবে।



সাতঃ ডিফিকাল্ট বা কঠিন পরিস্থিতি। যখন কোন আর্মি এমন এক দেশে যুদ্ধ করতে ঢুকে যেখানকার ভুমি পর্বত সঙ্কুল অথবা চলাচলের জন্য বন্ধুর। এমন পরিস্থিতিতে মুল সড়কের কাছাকাছি থেকে ধিরেসুস্থে দেখেশুনে এগুবেন।



আটঃ এন্সার্কেল্ড বা হেমড ইন বা পরিবেস্টিত পরিস্থিতি। যখন এমন এলাকায় লড়তে হয় যেখানে ঢুকতে সংকীর্ন পথ পেরুতে হয়, আর যেখান থেকে অপেক্ষাকৃত ছোট বাহিনীও বড় বাহিনীকে হারিয়ে দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে কৌশলী হোন, প্রত্যক্ষ যুদ্ধের চে সীমিত চলাচলের পথগুলোর উপর নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করে প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করে ফেলুন।



নয়ঃ ডেথ বা ডেসপারেট পরিস্থিতি। যখন বাঁচার একমাত্র পথ হল লড়াই করে শত্রুকে হারানো। তাই এমন পরিস্থিতিতে সেনাদলকে চাঙ্গা রাখুন আর তারা যেন সাধ্যের শেষবিন্দু দিয়ে লড়তে প্রস্তুত হয় সে ব্যবস্থা করুন।



এই নয় পরিস্থিতি, ঘন এবং বিস্তীর্ন মোতায়েনের সুবিধা, আর মানব চরিত্রের বৈশিষ্টের প্রেক্ষিতে রনকৌশলে পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে প্রত্যেক জেনারেলের উচিত সর্বোচ্চ সতর্কতার পরিচয় দেয়া।





আদ্দিকালে ঝানু জেনারেলরা সবসময় নিশ্চিত করতেন যেন শত্রুর সম্মুখ আর পশ্চাৎ ভাগ যুদ্ধের সময় একে অন্যের সাথে যোগ দিতে না পারে। তারা নিশ্চিত করতেন যেন শত্রুর ছোট বড় দলগুলো একে অন্যকে সফলভাবে সহায়তা করতে ব্যর্থ হয়। তারা আরো নিশ্চিত করতেন যেন ভাল যোদ্ধারা যেন অপেক্ষাকৃত দুর্বলদের রক্ষা করতে না পারে, আর অফিসাররা যেন ঠিকভাবে তাদের দল পরিচালনা করতে না পারে। তারা যেকোন মূল্যে শত্রুকে কন্সেনট্রেশন করতে বাঁধা দিতেন আর কন্সেনট্রেটেড শত্রুকে বিভ্রান্ত করার চেস্ট করতেন। যখনই সুযোগ পেতেন তখনই তারা কনসেনট্রেট করে এগিয়ে যেতেন, আর পরিস্থিতি অনুকুল না হওয়া পর্যন্ত নানাভাবে বড় ধরনের লড়াই এড়িয়ে যেতেন।



কম্যুনিজম রুখবার দোহাই দিয়ে শক্তিশালী ইউ এস আর্মি ভিয়েতনামে এক অসম যুদ্ধে জড়িয়ে পরে। উনিশ বছর, পাঁচ মাস, চার হপ্তা আর একদিনের রক্তক্ষয়ী এই সংগ্রামে প্রায় আট লাখ ভিয়েতনামী প্রান হারায়। সমরশক্তির তুল্যবিচারে ইউ এস আর্মির কাছে নস্যি ভিয়েতনাম আর্মি ক্রমাগত উদ্ভাবনী উপায়ে প্রতিপক্ষের শক্তি আর মনোবল ধ্বংস করে দিচ্ছিল। অবশেষে ১৯৭৫ সালে সায়গন পতনের মধ্য দিয়ে তারা চুড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। বলা হয়ে থাকে ভিয়েতনামের যুদ্ধ হল ‘ট্যাকটিকাল ডিফিট বাট স্ট্রেটেজিক ভিক্টরি’ এঁর এক অনুপম দৃস্টান্ত!



সানজুর মতে শক্তিশালী শত্রু যখন আক্রমনের জন্য এগিয়ে আসে তখন তাকে রুখবার সবচে আদর্শ উপায় হল শত্রুর মনোবল নষ্ট করা, যেন সে আক্রমনের ইচ্ছা ত্যাগ করে। চোরাগুপ্তা হামলা করে তার অগ্রাভিযানকে ব্যহত করে, তার সাপ্লাই লাইনে উপর্যুপরি হানা দিয়ে, তার রাস্তায় কৃত্রিম প্রতিবন্ধকতা বসিয়ে, তার সেন্টার অব গ্র্যাভিটিতে বিকল্প উপায়ে আঘাত হেনে শত্রুর ইনিশিয়েটিভ নষ্ট করা যায়।





১৯৪০ সালের এপ্রিল মাসে জনৈক ফ্রেঞ্চ পাইলট দেখতে পেল প্রায় ১০০ কিঃমিঃ দীর্ঘ জার্মান সাঁজোয়া যানের সারি লুক্সেমবার্গ সীমান্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গুরুত্বপুর্ন এই তথ্য সে সঙ্গে সঙ্গে তার কতৃপক্ষকে জানিয়েছিল। কিন্তু ফ্রেঞ্চ জেনারেল গেমেলিনকে তখন একগুঁয়েমিতে পেয়ে বসেছে। সেপ্টেম্বর’৩৯ এ জার্মানদের পোল্যান্ড আক্রমনের পর থেকেই তার সেনাপতিত্বে ফ্রেঞ্চরা জার্মানদের ঠেকাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। গেমেলিন নিশ্চিত জার্মানরা আক্রমন করবেই, আর সে আক্রমন হবে ১ম বিশ্বযুদ্ধের ‘স্লিফেন প্ল্যান’ মোতাবেকই; অর্থাৎ দুর্ভেদ্য মেজিনো লাইন এড়িয়ে জার্মানরা বেলজিয়াম-নেদারল্যান্ড হয়েই ফ্রান্স আক্রমন করবে। তারওপর জানুয়ারি মাসে বেলজিয়ামে ক্র্যাশ ল্যান্ড করা জার্মান বিমান থেকে পাওয়া ড্রাফট জার্মান প্ল্যানও তেমনি ইঙ্গিত দিচ্ছিল। গেমেলিন আন্দাজও করতে পারেননি যে জার্মানরা কতটা ধুর্ত হতে পারে।



জার্মান জেনারেল হ্যাডলারের দায়িত্ব ছিল ফ্রান্স অভিযানের প্ল্যান করার, তিনি আদতে ‘স্লিফেন প্ল্যান’ এঁর আদলেই তার প্ল্যান সাজিয়েছিলেন। কিন্তু হিটলারের পছন্দ হল আরেক জেনারেল মেনস্টেইনের প্ল্যান। জার্মান আর্মি তিন গ্রুপে ভাগ হয়ে আক্রমন করল। গ্রুপ বি গেমেলিনের প্রত্যাশা মত বেলজিয়ান-ডাচ বর্ডারের দিকে এগিয়ে গেল, গ্রুপ সি থাকল দুর্ভেদ্য ফ্রেঞ্চ প্রতিরক্ষা ব্যুহ মেজিনো লাইন বরাবর ফ্রেঞ্চদের ঠেকাতে। আর গুডেরেইন আর রোমেলের মত জেনারেলদের নিয়ে ফিল্ডমার্শাল রুনস্টেচ তার গ্রুপ এ নিয়ে আর্ডেনের ঘন বনের ভেতর দিয়ে রওয়ানা দিলেন। ফ্রেঞ্চ-বেলজিয়াম সীমান্তে যেখানে মেজিনো লাইনের শেষ সেখানেই এই আর্ডেন ফরেস্টের শুরু, ফ্রেঞ্চরা ভেবেছিল এই ঘন বনের ভেতর দিয়ে পথ করে এসে আক্রমন করা অসম্ভব। তাদের অপ্রত্যাশিত এলাকা দিয়েই জার্মান মেইন এফোর্ট এগিয়ে গেল। এরপর গুডেরেইন আর রোমেল তাদের প্যাঞ্জার ডিভিশন নিয়ে এতো দ্রুত এগুতে লাগল যে জার্মান কোয়ার্টারমাস্টার জেনারেল হিটলারের কাছে নালিশই করে বসল যে হতচ্ছারা রোমেল লজিস্টিক সাপোর্ট এঁর কোন নিয়মই মানছেন না! জার্মানরা ছয় হপ্তায় ফ্রান্স দখল করে নিয়েছিল।



সানজু বলেন, গতিই হল যুদ্ধের সারকথা। শত্রুর অপ্রস্তুত অবস্থার সুযোগ নিতে হবে। শত্রুর অপ্রত্যাশিত পথে এগিয়ে গিয়ে তার অরক্ষিত স্থানে আঘাত করতে হবে। শত্রুদেশের যত গভীরে আপনি ঢুকবেন, আপনার আর্মি তত একতাবদ্ধ হবে, আর কোন প্রতিরোধই আপনাকে থামাতে পারবে না। শত্রুর সম্পদ থেকে আপনার আর্মির রসদ সংগ্রহ করে নিন। আপনার নিজের সৈন্যদের যত্ন নিন, অযথা তাদের ক্লান্ত করা থেকে বিরত থাকুন, তাদের মনোবল চাঙ্গা রাখুন, তাদের শক্তি বাঁচান, শত্রুর পিলে চমকে দেয়া সব প্ল্যান করুন আর অনবরত এগিয়ে যান।



আপনার যোদ্ধাদের এমন পরিস্থিতিতে ফেলুন যেন তারা পালানোর চে মৃত্যুকে শ্রেয় ভাবে, আর যার মৃত্যু ভয় থাকেনা সে পারেনা এমন কোন কাজ নেই। এমন পরিস্থিতিতে অফিসার আর সৈনিকেরা ভয়ভীতির উর্ধে উঠে লড়ে। পালাবার পথ খোলা নেই জানলে তারা মরিয়া হয়ে লড়বে। শত্রুদেশের গভীরে তারা এতোটাই একতাবদ্ধ হয়ে যায় যে, প্রয়োজনে তারা শত্রুর সাথে হাতাহাতি করে হলেও জিততে চায়। এমন পরিস্থিতিতে কোন বাড়তি প্রণোদনা ছাড়াই তারা প্রাণপণ লড়ে, কোন শাসন ছাড়াই তারা বিশ্বস্ত থাকে আর স্বপ্রনোদিত হয়েই তারা আপনার ইচ্ছেমত চলে।



আপনার আর্মিতে যুদ্ধের ফলাফল নিয়ে কোনপ্রকার ভাগ্যগননার অবকাশ রাখবেন না, এমনকি কোন কুসংস্কারকেও প্রশ্রয় দেবেন না। সৈন্যরাও আর দশজন সাধারন মানুষের মতই বেঁচে থাকতে চায়, ধনী হতে চায়। যুদ্ধের কথা শুনলে তাদের কেউ কেউ কেঁদে বুক ভাসায়। কিন্তু এরাই যখন জানে যে পালাবার কোন পথ নেই তখন মরিয়া হয়ে বীরের মত লড়ে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:১৬

মায়াবী ঘাতক বলেছেন: দুর্দান্ত!!! এই বইটার বাংলা অনুবাদ কি বের হয়েছে?? হলে কোথায় পাওয়া যাবে??

সামুতে অনেক আজে বাজে পোস্টের ভিড়ে আপনার পোস্ট অনেক ভালো। কিন্তু কেউ কমেন্ট করে না দেখে খারাপ লাগলো।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬

ডি এইচ খান বলেছেন: অনুবাদ এখনও শেষ হয়নি ভাই। কাজ করে যাচ্ছি। শিগগিরি শেষ হবে ইনশাল্লাহ।

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:০০

অরণ্যতা বলেছেন: সামুতে অনেক আজে বাজে পোস্টের ভিড়ে আপনার পোস্ট অনেক ভালো।

৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৭

অরণ্যতা বলেছেন: আরও লেখা চাই

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮

ডি এইচ খান বলেছেন: ভালো লাগছে জেনে ভাল্লাগছে। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০৫

ইয়ার শরীফ বলেছেন: ভাই এতদিন আমার কীবোর্ড নষ্ট ছিল তাই আপনার পোস্ট গুলুতে মন মত কমেন্ট করতে পারিনাই।

সানজু এর বইটার ভাবানুবাদ এককথায় অসাধারন হইছে । পাঠক হিসেবে আমাকে অনেক তৃপ্ত করেছে। বিভিন্ন যুদ্ধ থেকে আপনার দেয়া উধারন গুলি খুব ভালো লেগেছে।
এই সব বিষয়ে জানা ও পড়ার আমার অনেক আগ্রহ।

বিশেষ করে মুসলিম সেনানায়ক দের গৌরবময় ইতিহাস জেনে খুব গর্ব হয়েছে।

আপনার জন্য আন্তরিক শুভকামনা থাকল।
আশা করি আপনি আরও লিখা লিখবেন সামরিক বিষয়াদি নিয়া।

আপনার লিখার গুনমুগ্ধ পাঠক।

আবারো ধন্যবাদ।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:০২

ডি এইচ খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রনকৌশল পড়ে ভাল লেগেছে। প্রতিপক্ষকে হারাতে হলে ইমন কৌশল কাজে দিবে অনেক । #:-S

৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১৭

ডি এইচ খান বলেছেন: আমার ব্যক্তিগত ধারনা হল, ব্লগের লেখকদের চে পাঠক রা স্মার্টার। এরা না বুঝে মন্তব্য করেন না। ফেসবুকে মৃত্যু সংবাদে লাইক দেয়া লাইকার এখানে নাই বল্লেই চলে। আমার লেখার টপিকটাই বিদঘুটে, তাই সুখপাঠ্যভাবে উপস্থাপনটা জরুরী। যখন পাঠকরা পড়ে মজা পাবেন আর ভাববেন যে অন্যরাও এটা পড়ে মজা পাবেন, তখনই এই লেখার সার্থকতা।কমেন্ট করা বা পাওয়াটা আদৌ জরুরী না।

ব্লগে কে পড়ল, কে লাইক করল, কে প্রিন্ট অথবা দাউনলোড করল বুঝিনা, বুঝতে পারলে ভাল হত। কারন সেদিন অন্য এক ব্লগে আমার লেখার হুবহু দেখলাম। ভদ্রলোক অনুমতির ধার ধারেননি। ভাগ্যিস নিজের নামে চালিয়ে দেননি।

সবাইকে ধন্যবাদ।

৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনবদ্য। মুগ্ধ হয়ে পড়ে যাচ্ছি।

লেখা অন্যব্লগে কপি হয়ে যায় এটা খুব সত্য কথা ভাই। কিন্তু আসলেই এটা ঠেকানোর তেমন কোন উপায় নাই। তাই এটা মেনে নিয়েই ব্লগে আছি :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.