নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কী ভাবার কথা কি ভাবছি?

ডি এইচ খান

স্বাধীনতা অর্জনের চে রক্ষা করা কঠিন

ডি এইচ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

'দ্য আর্ট অব ওয়ার' : ১৩ : গুপ্তচর নিয়োগ

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৫:৫৩





২য় বিশ্বযুদ্ধে সব মিলিয়ে প্রায় ১৭ মিলিয়ন সৈন্য আর ৩৫ মিলিয়ন বেসামরিক লোক প্রান হারায়। ১৯৪৫ সালের হিসেবে খরচ হয় প্রায় এক ট্রিলিয়ন ইউ এস ডলার। কিন্তু জীবন, সমাজ আর অর্থনীতিতে প্রতিটা যুদ্ধের কুপ্রভাব কাটিয়ে উঠতে সময় লাগে আরো অনেক বেশি। পরিনতির কথা না ভেবেই স্বার্থপরের মত যুদ্ধের ডাক দেবার চে দুর্ভাগ্যজনক আর কিছুই নেই। একজন আদর্শ জেনারেল জানেন গৌরব কখনো লক্ষ্য হতে পারেনা, গৌরব হল কৃতকর্মের ইতিবাচক ফলাফল। তাই তিনি চেষ্টা করেন ব্যক্তিগত স্বার্থের উর্ধে উঠে ন্যুনতম খরচে বিজয় অর্জন করতে।



১৯১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্যারিসের এক বনেদি হোটেল থেকে মাতা হারি কে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। অত্যন্ত আবেদনময়ী এই ডাচ নর্তকি ছিলেন অনেকের কাংখিতা আর বহুগামী। বহু ইউরোপীয় উচ্চপদস্থ সেনাকর্মকর্তা, ডাকসাইটে রাজনীতিবিদ আর হোমরা চোমরাদের সাথে ছিল তার উঠা বসা। কোন সুনির্দিস্ট প্রমান উপস্থাপন ছাড়াই বৃটিশ আর ফ্রেঞ্চ ইন্টেলিজেন্স ক্রমাগত তার বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনে অক্টবর মাসে ফায়ারিং স্কোয়াডে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। একটাই প্রমান গোয়েন্দারা তার বিরুদ্ধে জোগাড় করতে পেয়েছিল, আর তা হল তার ঘরে পাওয়া এক প্রকার রহস্যময় গুপ্ত কালি, যদিও মাতাহারি দাবী করেছিলেন যে ওটা ছিল তার মেকাপ এর বিশেষ প্রসাধনী। যাহোক ১৯৭০ সালে খোলা জার্মান গোপনীয় দলিলাদি থেকে প্রমানিত হয় মাতাহারি তাদের গুপ্তচর ছিলেন, তার কোড নেম ছিল ‘এইচ-২১’।



সানজু বলেন, একমাত্র দুরদর্শিতাই পারে একজন শাসক আর জেনারেলকে বিজয়ী করতে। এই দুরদর্শিতা আধ্যাত্মিক সাধনা থেকেও আসেনা, অভিজ্ঞতা থেকেও না, এমনকি নির্ভুল হিসেব কষেও পাওয়া যায় না। এর জন্য চাই সঠিক তথ্য। শত্রুর সংখ্যা, সামর্থ্য, মোতায়েন আর পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য পেলেই শুধুমাত্র আপনি সঠিকভাবে আপনার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। এই তথ্য সংগ্রহের জন্য চাই উপযুক্ত গুপ্তচর।



চন্দ্রগুপ্ত মুরিয়া ছিলেন মুরিয়ার রাজা আর চানক্যের ছাত্র। তার গুপ্তঘাতক আর গুপ্তচর ব্যবহারের বর্ননা পাওয়া যায় চানক্যের বিখ্যাত ‘অর্থশাস্ত্র’ গ্রন্থে। প্রাচীন ইজিপসিয়ান, গ্রীক আর রোমানদের মাঝেও গুপ্তচর নিয়োগের দৃস্টান্ত প্রচুর। বর্তমানে সি আই এ, কেজিবি, মোসাদের মত প্রত্যেক দেশেরই নিজস্ব এসপিওনাজ আছে। সানজুর মতে গুপ্তচর পাঁচ প্রকার।



একঃ নেটিভ এজেন্টরা হল যে এলাকায় আপনি যুদ্ধ করতে যাচ্ছেন সেখানকার স্থানীয় লোক। যুদ্ধের কারনে জনজীবন এমনিতেই অতিস্ট হয়ে যায়। স্থানীয়রা যদি এমনিতেই আপনার শত্রুর ওপর ক্ষিপ্ত থাকে, তাহলে তো কাজ খুব সোজা। অন্যথায় খাবার আর পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে তাদের কাজে লাগানো যায়। আর একেবারে বেকায়দায় মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে বা ব্ল্যাকমেইল করেও এদের ব্যবহার করা যেতে পারে।



দুইঃ ইন ওয়ার্ড এজেন্ট হল শত্রুর সামরিক অথবা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী। এদের বিপুল পরিমান উৎকোচ দিয়ে অথবা অন্য উপায়ে কিনে ফেলা যায়। এদের অনেকেই নানা কারনে নিজ দেশের সরকার বা প্রশাশনের ওপর নাখোশ থাকে, তাই চেনা সহজ।



তিনঃ ডাবল এজেন্ট হল শত্রুর গুপ্তচর যে আপনার হয়েও কাজ করে। নিজ স্বার্থেই এরা দুই দিকেই তথ্য বিক্রি করে। তাই নিজেদের তথ্য যতটা সম্ভব এদের কাছ থেকে গোপন রাখতে হয়। এসপিওনাজ জগতে এদের কখনও পুর্ন বিশ্বাসের সুযোগ নেই।



চারঃ এক্সপান্ডেবলস হল সেই সব গুপ্তচর যারা শত্রুকে বিভ্রান্ত করতে আপনার দেয়া ভুল তথ্য নিয়ে ইচ্ছেকরে শত্রুর হাতে ধরা দেয়। শত্রু আপনার ভুল তথ্যের ওপর কাজ করতে গিয়ে বিভ্রান্ত হয়, আর আপনি তাকে পরাস্ত করতে পারেন।



পাঁচঃ সারভাইভিং বা জীবিত গুপ্তচরেরা আপনার নিয়োগ দেয়া গুপ্তচর যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শত্রুর তথ্য সংগ্রহ করে ফিরে আসে। সেরা গুপ্তচরেরা সহজে আর লাভজনকভাবে যুদ্ধজেতার মত তথ্য এনে দিতে সক্ষম।



যখন এই পাঁচ ধরনের গুপ্তচরেরা একত্রে কাজ করে, তখন সানজু একে বলেন, ‘মহান রেশমের গুটি।’ রাস্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের লোকেরাই শুধু এদের ব্যাপারে জানে। এমন সংস্থা আর তাদের কাজ রাস্ট্রের সবচে স্পর্শকাতর আর গুরুত্বপুর্ন বিষয়। তাই গুপ্তচরদের সবসময় উন্নত পারিশ্রমিক আর সুবিধাদি দিয়ে রাখতে হয়। গুপ্তচরেরা অবশ্যই অত্যন্ত মুল্যবান অস্ত্র, তাই তাদের উপযুক্ত ব্যবহার আর তদের কাছ থেকে প্রকৃত তথ্য বের করে আনার মত প্রজ্ঞা থাকা আবশ্যক। এসপিওনাজ পরিচালনা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। ঘরে বাইরে সবখানে এদের ব্যবহার করা যায়। তাই গুপ্তচরদের ডাবল এজেন্ট হবার ঝুঁকি সম্পর্কে যেমন সজাগ থাকতে হয়, তেমনি তাদের আত্মত্যাগের প্রতিও সহানুভুতিশীল থাকা জরুরী।



গুরুত্বপুর্ন তথ্য জানা গুপ্তচরদের নজরে রাখুন। অপারেশনের আগে আপনার প্ল্যানের নিরাপত্তার খাতিরে এদের সরিয়ে দিন। শত্রু জেনারেল, তাদের স্টাফ অফিসার আর অন্যান্যদের সম্পর্কে আপনার গুপ্তচরেরা আপনাকে যত বেশি তথ্য দেবে, আপনার কাজ তত সহজ হবে। শত্রুর গুপ্তচরদের সনাক্ত করতে চেষ্টা করুন আর খুঁজে পেলে তাদের অত্যাচার না করে কিনে ফেলতে চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে কার্পন্য না করাই শ্রেয়, কারন সে যদি ডাবল এজেন্ট হতে রাজি হয় তাতে আপনারই লাভ। ডাবল এজেন্টরা উপযুক্ত স্থানীয় আর ইন ওয়ার্ড গুপ্তচর নিয়োগে সহায়তা করতে পারে। এছাড়াও তার তথ্যের ওপর ভিত্তিকরে আপনার গুপ্তচরদের আপনি সঠিকভাবে নিয়োগ করতে পারবেন। সবশেষে, যখন তার প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে তখন তাকে ভুল তথ্য দিয়ে শত্রুর কাছে ফেরত দিতে পারেন। তবে ডাবল এজেন্টদের দেয়া তথ্যই সবচে গুরুত্বপুর্ন। কারন এরা সহজাতভাবেই শত্রু সম্পর্কে আপনার গুপ্তচরদের চেয়ে ভাল জানে। মনে রাখা ভাল যে, জেরা করলে আপনি জানতে পারবেন যা আপনি জানতে চান, কিন্তু যদি তাকে কিনে নিতে পারেন তাহলে সে আপনাকে জানাবে যা আপনার জন্য জানা জরুরী।



আপনার সবচেয়ে মেধাবী লোকদের আপনি কোথায় নিয়োগ দেন, তা খুব গুরুত্বপুর্ন। আপনি কি তাদের সম্মুখ যুদ্ধে পাঠাবেন, নাকি অন্যদের প্রশিক্ষিত করতে প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেবেন, নাকি গুপ্তচর হিসেবে নিয়োগ করবেন? যেকোন যুদ্ধে সিক্রেট অপারেশনের গুরুত্ব অপরিসীম, কেননা যুদ্ধক্ষেত্রে আপনার প্রত্যেকটা চাল এর উপর নির্ভরশীল।



যুগের পর যুগ অভিজ্ঞতা আর সাধনায় লব্ধ প্রজ্ঞা বা উইজডম সবসময়ই এক বিরল অর্জন, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এই প্রজ্ঞার সঠিক হস্থান্তর রাস্ট্রের পরম্পরাকে সমুন্নত রাখে; কিন্তু একবার যদি কোনভাবে তা হারিয়ে যায়, তবে রাস্ট্রের পতন হয়, আর এই প্রজ্ঞা পুনরায় অর্জন করতে দীর্ঘ সময় আর সাধনার প্রয়োজন। তাই যেকোন জাতির অনুজদের জন্য তাদের অগ্রজদের এই কস্টার্জিত প্রজ্ঞাকে ধারন, চর্চা আর লালন করতে না পারার চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কিছুই নেই!



মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৬:২২

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ইনট্রেসটিং! এটা কি অনুবাদ? সোর্স? উইজডমের বাংলা বিজ্ঞতার চেয়ে প্রজ্ঞাই বেশী যুতসই এবং পড়তে ভালো লাগে

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮

ডি এইচ খান বলেছেন: অভিধান বলছিল প্রাজ্ঞতা, ঐটা আরো খটমটে লাগছিল। তাই বিজ্ঞতা আর ইন ব্র্যাকেট উইজডম লিখেছিলাম। যাহোক ফার্স্ট ড্রাফট কাল রাতেই শেষ হল। প্রুফ রিডিং এ প্রজ্ঞাই দেব। আপনাকে ধন্যবাদ।

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৬

ডি এইচ খান বলেছেন: আপনার জন্য ভাই

Click This Link

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:১১

ইয়ার শরীফ বলেছেন: জেরা করলে আপনি জানতে পারবেন যা আপনি জানতে চান, কিন্তু যদি তাকে কিনে নিতে পারেন তাহলে সে আপনাকে জানাবে যা আপনার জন্য জানা জরুরী

একদম খাঁটি কথা, আর্ট অফ ওয়ার কে আপনি আমাদের সামনে দারুন ভাবে উপস্থাপন করে চলেছেন।
ধন্যবাদ জারি রইল।

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮

ডি এইচ খান বলেছেন: আপনার জন্য এক বাক্সে সব দিয়ে দিলাম

Click This Link

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১২

ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর উপস্হাপনা, ভাল লাগল লেখাটি।

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮

ডি এইচ খান বলেছেন: আপনার জন্যও এক বাক্সে সব দিয়ে দিলাম

Click This Link

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: উইজডমের আভিধানিক বাংলা জ্ঞান। প্রজ্ঞা এটার পজিটিভ এবং ম্যাচিউর চর্চাকে বোঝায়। বিজ্ঞ দিয়ে আসলে কোনো ব্যাপারে জ্ঞানীকেই বোঝানো হয়, বিজ্ঞতা সে ক্ষেত্রে একটা ইমপ্রোভাইজেশন হতে পারে

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:১৫

ডি এইচ খান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। কিছু ইংরেজির উপযুক্ত বাংলা পাওয়া কঠিন। যেমন ওয়েজিং ওয়ার কথাটার সঠিক বাংলা এখনো খুজছি।

এখানে প্রজ্ঞাকে বেছে নিয়েছি একটা লজিকাল সিকোয়েন্সিং করে। ইনফো মানে তথ্য, শেলফে রাখা বই এর মত। নলেজ হল পাঠ করে তথ্যগুলো জানা, জ্ঞান। উইজডম হল পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে উপযুক্ত জ্ঞান কে প্রয়োগ করতে পারার সক্ষমতা। এটা আসলে জ্ঞান+অভিজ্ঞতা+প্রাধিকার। বিজ্ঞতা আভিধানিক ভাবে সঠিক কিন্তু প্রজ্ঞা দিয়ে বোঝানো সহজ। তাই প্রজ্ঞা টাই নেয়া।

৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: ওয়েজিং ওযার হচ্ছে যুদ্ধ জারি রাখা। যুদ্ধ ঘোষনা এবং তারা নানা পর্যায়ে ব্যাপ্তি দেওয়া, চালু রাখা। এটা সত্যি যে আপনি ইংরেজি হুবহু অনুবাদ করতে গেলে অনেকসময় সমস্যা পড়বেন, বেটার হচ্ছে ভাবানুবাদ। এতে পাঠকের জন্যও সহজ হয় ব্যাপারটা বোঝা

২২ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৮

ডি এইচ খান বলেছেন: প্রথমে স্রেফ অনুবাদ করতেই চেয়েছিলাম, করতে গিয়ে দেখি পাদটীকা দিতে দিতে পৃষ্ঠা ভরে যাবে। তখন ভাবলাম ভাবানুবাদ করি। তখন আবার আরেক সমস্যা, সানজুর ভাবটা ছিল চাইনিজ, প্রথম অনুবাদ করেছিল জনৈক ফ্রেঞ্চ পাদ্রি। কিন্তু পরে স্যামুয়েল গ্রিফিতের মত বাকি অনুবাদকেরা সেই অনুবাদকে অতি দুর্বল বলে রিজেক্ট করে বিভিন্ন চাইনিজ কমেন্টেটরদের ব্যাখ্যা সহ 'ইলাসট্রেটেড' ভার্সন বের করলেন। আগ্রহী পাঠক চাইলেই এই ইংরেজি অনুবাদ গুলোই পড়তে পারবেন, বেশ সহজ ইংরেজিতেই লেখা। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম নিজের মত করেই লিখব। নাম হোক 'কথাচ্ছলে সানজুর দ্য আর্ট অব ওয়ার'। এই হল এই লেখার শানে নুযুল। লাভের লাভ হল, অনুবাদক হতে গিয়ে লিখক হয়ে যাচ্ছি দিন দিন। :)

৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৭

বাঙ্গাল অ্যানোনিমাস বলেছেন: হুম!

৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১৮

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: কই লিংক তো দিলেন না ...

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪৪

ডি এইচ খান বলেছেন: Click This Link

৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫২

বিতর্কিত বিতার্কিক বলেছেন: গুপ্তচর নিয়া সম্ভবত আমাদের জ্ঞান অন্যান্য সামরিক সেক্টরের চেয়ে মাত্রাতিরিক্ত ;) ;) রকমের বেশি। এর মূল কৃতিত্ব কিন্তু সামরিক বাহিনীর না। বরং মাসুদ রানা, জেমস বন্ড, শার্লক হোমসদের। ইয়ান ফ্লেমিং বা ডয়েল যা বলেছেন, সেই কথাগুলো নিজেদের ফরম্যাটে বলে পাঠক এবং বাজার দুটোই মাত করেছেন কাজী আনোয়ার হোসেন। আমাদের প্রকাশনা শিল্পে উনার কাজ নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত।
অভিধানের চেয়ে মাঝে মাঝে নিজের কানের উপর বেশি আস্থা রাখতে ইচ্ছা করে। আর উইজডমের ক্ষেত্রে আমার কানে প্রজ্ঞা শব্দটাই বেশি ভাল লাগে।
আপনার সবচেয়ে মেধাবী লোকদের আপনি কোথায় নিয়োগ দেন, তা খুব গুরুত্বপুর্ন। আপনি কি তাদের সম্মুখ যুদ্ধে পাঠাবেন, নাকি অন্যদের প্রশিক্ষিত করতে প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেবেন, নাকি গুপ্তচর হিসেবে নিয়োগ করবেন?
এইটা একটা সার্বজনীন ইস্যু। খালি যুদ্ধ না, যেকোনো দেশের যেকোনো সেক্টরের উন্নতির জন্য এইটা খাটে। মিলিটারি থেকে পরবর্তীতে যারা ট্র্যাক চেঞ্জ করে সিভিল লাইফ লিড করেন, তাদের সাকসেস অন্যান্য সিভিলিয়ানের চেয়ে হাই। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া থাকলে সাধারন অবস্থা হ্যান্ডেল করা আরও সহজ হয়। ইনটেন্সিভ ট্রেইনিং এর কারিকুলাম সম্পর্কে আইডিয়া নাই। তবে ধারনা করি হিউম্যান সাইকোলজি নিয়ে আর্মিম্যানরা ভাল রকম এক্সপার্ট।
আমাদের দেশি গোয়েন্দা বাহিনী নিয়ে অনেক হিউমার, রিউমার প্রচলিত আছে। সময় পেলে লিখবেন আশা করি।

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২০

ডি এইচ খান বলেছেন: ঠিক বলেছেন, আমাদের এস্পিওনাজ ধারনা হোমস-বন্ড-ফেলুদা-রানা প্রভাবিত। এটা কতটা বাস্তবসম্মত তা পরখ করার কোন সুযোগ নেই। যদিও সিআইএ, র বা মোসাদের কার্যক্রম দেখলে কিছুটা আচ করা যায় যে তাদের সক্ষমতা লেখকদের কল্পনাকেও হার মানিয়েছে। আর এর কারন সম্ভবত এইসব ক্ষেত্রে তাদের উদার বিনিয়োগ। আর আমরাতো সব সেক্তরেই এখনো শিশু।

৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩

মাসউদুল_আলম বলেছেন: গত কয়েকদিনে আপনার এই সিরিজের সবগুলো পর্ব পড়লাম। এর আগে অবশ্য একবার ডকুমেন্টারি দেখেছিলাম। তবে আপনার এই ভাবানুবাদে মজা পেয়েছি।

অনুবাদ না করে ভাবানুবাদ করাটাই ভালো হয়েছে। আগামী বইমেলার অপেক্ষায় রইলাম :)

বানান ও বাক্যগঠনগত কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। এ বিষয়টা বাদ দিলে অসাধারণ একটা সিরিজ। আপনার ভাষা খুব সাবলীল। পড়ে আরাম পেয়েছি। আমি অবশ্য নিজের সংগ্রহে রাখার জন্য সবগুলো পর্ব ওয়ার্ড ফাইলে কপি করে রেখেছি। সপ্তাহখানেকের মধ্যে এডিটিং করে প্রিন্ট করে রাখবো।

২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২১

ডি এইচ খান বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ লেখাটা আপনার সংগ্রহে রাখার প্রচেষ্টার জন্য, সত্যি সম্মানিত বোধ করছি।
প্রথম দিককার ভাষায় হেয়ালি করার জন্য দুঃখিত, এখন প্রুফ রিডিং এর সময় ঐ অধ্যায় গুলোর খোলনলচে পালটে ফেলছি। আশাকরি ভাল্লাগবে।

১০| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:০১

মাসউদুল_আলম বলেছেন: কিছু মনে না করলে দুইটা পরামর্শ দিয়ে রাখি:

১। সিরিজ লেখার ক্ষেত্রে একটা সাধারণ নিয়ম হলো, পর্বের শুরুতে আগের পর্বগুলোর লিংক হাইপারলিংক করে দিয়ে দেয়া। এবং পরবর্তিতে লেখার শেষে পরবর্তী পর্বের লিংক আপডেট করে দিতে পারলে আরো ভালো। এতে পাঠকের সুবিধা হয়।

২। সাম্প্রতিক বিভিন্ন যুদ্ধ নিয়ে আমরা সাধারণত পলিটিক্যাল অ্যানালাইসিস পড়ি। কিন্তু যুদ্ধের সামরিক বয়ান পাওয়া যায় না সাধারণত, বাংলায় তো নয়ই। আপনি আগ্রহী পাঠকদের এই ঘাটতি পূরণে এগিয়ে আসতে পারেন :)

১১| ২৪ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:১৫

ডি এইচ খান বলেছেন: আমি নিজেও কিন্তু যুদ্ধের ঢিসুম ঢিসুম পার্টটা এড়িয়ে গেছি। প্রেক্ষাপটটা শুধু বয়ান করেগেছি। একটা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট পর্যালোচনায় অনেক মজার মজার ইস্যু জানা যায়, এই বিষয়টা আমার খুব ভাল্লাগে।

আরো লেখার আগ্রহ আছে। চেস্টা করব লিখে যেতে। ইনশাল্লাহ।

১২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫১

বোকা মিয়া বলেছেন: অসাধারণ ভাইয়া।গোগ্রাসে পড়লাম।আচ্ছা অপারেশন নরম্যান্ডি নিয়ে কোন ভাল মুভির নাম বলতে পারেন?

২৭ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৯

ডি এইচ খান বলেছেন: সেভিং প্রাইভেট রায়ান।

নরম্যান্ডি ল্যান্ডিং অপারেশনের নাম অপারেশন নেপচুন। ৫টা বিচ এ ল্যান্ডিং হয়েছিল, এত্তোবড় ল্যান্ডিং যে এক মুভিতে ৫টা দেখানো আসলে অসম্ভব।

সেভিং প্রাইভেট রায়ান বানানো অমাহা বিচে ল্যান্ডিং নিয়ে।

কেউ যদি একটা সত্যিকার ব্যাটেল ফিল্ডের চিত্র দেখতে চায়, এই মুভির প্রথম ১৫ মিনিটের চেয়ে ভাল আর নেই।

১৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

বিতর্কিত বিতার্কিক বলেছেন: কোনো যোগাযোগের সূত্র পেতে পারি কি? ফেবু/মোবাইল/ই-মেইল ?

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৬

ডি এইচ খান বলেছেন: অবশ্যই ভাই, কেন নয়। ফেসবুকেই তো আছি
https://www.facebook.com/Debonair.Delta

১৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

অরণ্যতা বলেছেন: "শত্রুর গুপ্তচরদের সনাক্ত করতে চেষ্টা করুন আর খুঁজে পেলে তাদের অত্যাচার না করে কিনে ফেলতে চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে কার্পন্য না করাই শ্রেয়, কারন সে যদি ডাবল এজেন্ট হতে রাজি হয় তাতে আপনারই লাভ।"

রিস্কও কিন্তু কম না। কারণ ধরা পরলে সে ছাড়া পাবার জন্য ভানও তো করতে পারে। পরে দেখা যাবে শত্রপক্ষের ওই গুপ্তচর আপনাকেই ভুল তথ্য দিয়ে যেমন মদন বানিয়েছে তেমনি আপনি কী জানতে চান সেটাও শ্ত্রুকে জানিয়ে দিয়েছে।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫

ডি এইচ খান বলেছেন: সেটাও অহরহই হয়। এদের বলে ট্রিপল এজেন্ট। এজন্যই তথ্যটা যিনি যাচাই করবেন, তার গুরুত্বই সর্বাধিক।

১৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৭

ডি এইচ খান বলেছেন: অবশ্যই ভাই, কেন নয়। ফেসবুকেই তো আছি
https://www.facebook.com/Debonair.Delta

১৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার একটা সিরিজ পড়ে শেষ করলাম। দারুণ তৃপ্তি অনুভব করছি। তবে এবস্তু একাধিকবার পড়া আবশ্যক বলে মনে করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.