নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কী ভাবার কথা কি ভাবছি?

ডি এইচ খান

স্বাধীনতা অর্জনের চে রক্ষা করা কঠিন

ডি এইচ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মারফি মিয়া কহেন, শুনে পুন্যজন :D (মারফি'স লজ অব কম্বেট)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮



'মারফির'স ল' এর মারফি সাহেবের কথা বলছি। ঐযে যিনি 'এনি থিং দ্যাট ক্যান গো রং, উইল গো রং', মানে 'যা হবার তা হবেই'; এই ফরমান জারী করে বিখ্যাত হয়ে গেলেন। ইনি নাকি যুদ্ধ নিয়েও মজার মজার ল দিয়ে গেছেন। মারফি ছিলেন ইউএস আর্মির মেজর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্যাসিফিক থিয়েটারে ফাইটার পাইলট হিসেবে যুদ্ধ করেছিলেন।



সৈনিকদের মাঝে প্রচলিত বেশ কিছু 'ওল্ড সেইং' এই মারফি সাহেবের বরাত দিয়ে হরদম চলছে। আসলেই এর সব মারফি বলে গেছেন কিনা, আজকাল কেউ আর সেইটা নিয়া প্রশ্ন তোলে না, কিন্তু 'মারফি'স লজ অব কম্বেট' নামে এইসব চালু আছে। গভীর সব বাস্তবতা এইসব ল তে বেশ রম্য ঢং এ বলা আছে। যেমন সৈনিকদের উদ্দেশ্যে উনার প্রথম কথা হল, 'মনে রাখবা, তুমি সুপারম্যান না।'



আবার শত্রু সৈনিকদের ব্যাপারে তিনি বলেন, 'প্রফেশনালরা প্রেডিক্টেবল' মানে প্রফেশনাল সৈনিক কী করবে সেইটা তুমি আন্দাজ করলেও করতে পারবা, 'কিন্তু দুনিয়া ভর্তি এমেচার দিয়া', অতএব সাধু সাবধান!



কখন বুঝবেন যে আপনি যুদ্ধে আছেন? যখন দেখবেন একমাত্র শত্রু ছাড়া আর সবকিছুই (সৈন্য, গোলাবারুদ, রসদ) আপনার কাছে কম কম ঠেকতেছে। আর প্ল্যানিং এর ব্যাপারে তিনি বলেন, 'পারফেক্ট প্ল্যান' বলতে কিছু নাই, পয়লা বুলেট বাইর হবার পর সব প্ল্যানই গুলায়া যায়। তাই প্ল্যানে কাজ চালনো যায়, এমন প্ল্যানরে ফালতু মনে হলেও, আসলে কিন্তু সেইটা অত ফালতু প্ল্যান না।



ট্যাকটিকসের ব্যাপারে তার মতামত বেশ সোজা সাপ্টাঃ



১। আযাইরা নজরকাড়ার চেষ্টা কইরো না, বরং একটা বিষয় বোঝার চেস্টা কর, শত্রুরও কিন্তু মাঝেমধ্যে গুলি শর্ট পড়ে, তখন শত্রুও বাছ বিচার কইরা গুলি চালায়; এই নজরকাড়ার কারনে তুমি হইবা তেনাদের পছন্দের টার্গেট, তাই গুলিটা তুমিই আগে খাইবা, আর তুমি গুলি খাইলে তোমার আশেপাশের লোকজন বিরক্ত হয়। কারন তুমি মরলে ওদেরকেই গোর দিতে হবে, না মরলে স্ট্রেচারে তোমারে শুয়াইয়া টানতে হবে হাসপাতাল পর্যন্ত। দুইটাই যুদ্ধের সময় পেইনফুল।



২। শত্রু দেইখাই আহলাদে আটখানা হইও না, কারন তুমি যখন তারে দেখতেছ, মানে সেও তোমারে দেখতে পারতেছে। তুমি যেমন ভাবতেছ সে তোমার রেঞ্জের মধ্যে, তুমিও তেমনি তার রেঞ্জের মধ্যেই আছো। তাই যখনই ডাউটে থাকবা ম্যাগাজিন খালি না হওয়া পর্যন্ত ফায়ার করতে থাক। আর ভুলেও তোমার চে সাহসী কারও সাথে এক ট্রেঞ্চ শেয়ার করবা না। কারন এই আহাম্মক সাহস দেখাইতে গিয়া নিজের বিপদ ডাইকা আনবে আর বিপদ আসলে ওর সাথে তুমিও শ্যাষ।



৩। মনে রাখবা, সহজ রাস্তা মানেই মাইন পাতা আছে। যখন দেখবা কোন প্রকার বাঁধা বিপত্তি ছাড়াই তরতর কইরা শত্রুর বিরুদ্ধে আগাইতে পারতেছ, বুঝবা সামনেই শত্রু এম্বুশ পাইতা রাখছে। শত্রুর যে এটাক কে তুমি ব্লাফ ভাবতেছ, অইটাই আসল এটাক।



৪। যুদ্ধে টিম ওয়ার্ক আসলেই কাজের জিনিস, কারন টিমে যত বেশি লোক, শত্রুর গুলি ভাগাভাগি করে নেবার মত টার্গেটও তত বেশি, তাই গানিতিক হিসাবে তোমার গায়ে গুলি লাগার চান্স অপেক্ষাকৃত কম। তোমার ডিফেন্স খুব বেশি টাইট করতে যাইও না, পড়ে নিজেই আবার বাইর হবার রাস্তা পাইবা না। অবশ্য যুদ্ধ না কইরাও যুদ্ধ জিতা যায়, কিন্তু সবসময় এই ব্যাপারে, মানে তোমারে জিততে দিতে, শত্রু কো-অপারেট নাও করতে পারে।



এমুনিশন সংক্রান্ত মারফির সুত্র মারাত্মকঃ



১। জীবনের চে কি গুলির দাম বেশি? তাছাড়া যুদ্ধে গোর দেয়ার ফর্মালিটির চে গুলি ফুটানো অ-নে-ক সোজা। তাই ডাউট হইলেই ম্যাগাজিন খালি কইরা ফেল। কিন্ত এতে কাজ হবে কিনা তার কিন্তু কোন গ্যারান্টি নাই, কারন তোমার অস্ত্রও কিন্তু টেন্ডার দিয়া কেনা, আর টেন্ডারে যে লোয়েস্ট বিডার সেই টেন্ডার পায়। সুতরাং এই অস্ত্র মোক্ষম সময় ডিস্টার্ব দিবে, এইটা স্বাভাবিক।



২। বেয়নেট ফাইটিং এর সুত্র হল, যার কাছে শেষ পর্যন্ত একটা বুলেট অবশিষ্ট থাকে, সেই জিতে, বেয়নেট ওয়ালা মরে।



৩। পিন খোলার পর গ্রেনেড পাঁচ সেকেন্ডের মধ্যে ছুড়ে মারার কথা থাকলেও, তিন সেকেন্ড পরেও ফেটে যেতে পারে। এই সম্ভাবনাকে নাকচ করার উপায় নাই, কারন যার গ্রেনেড তিন সেকেন্ডে ফাটছিল, সে আর কমপ্লেইন করার জন্য বেঁচে থাকে না।



৪। ঠিক যখন তোমার আর্টিলারী ফায়ার জরুরী দরকার, তখনই দেখবা ওয়্যারলেস কাজ করতেছে না।





লজিস্টিক সম্পর্কে মারফি বলেন, একটা কাজের জন্য যা যা একসাথে প্রয়োজন তা কখনো একসাথে সাপ্লাই দেয়া যায় না, তাই টানাটানি চলতেই থাকবে। আপাতত মারফির আরেকটা বচন দিয়া শেষ করি, "Anything you do can get you killed, including doing nothing!!!"







মারফির আরো কিছু সুত্রের জন্য নিচের লিঙ্কটি দেয়া হল, পড়ে দেখতে পারেন চাইলে





Click This Link

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৭

আলম দীপ্র বলেছেন: পোস্ট পর্যবেক্ষনে রাখলাম । সময় করে পড়ব ভাই । বেশ ভালো মনে হচ্ছে ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩১

ডি এইচ খান বলেছেন: হা হাহ হা, আসলেই মজার পোস্ট, নিজেই পড়ে হাসি

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬

শ. ম. দীদার বলেছেন: অনেক দিন পর কোন ব্লগে কমেন্ট করলাম। চমৎকার, সুখপাঠ্য এবং কাজেরও।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯

ডি এইচ খান বলেছেন: কাজের অবসরে এই ফ্রাইডে ব্লগিং। মাঝে মাঝেই ভাবি মানুষ লেখে কেন? আমি কেন লিখি? কী উদ্দেশ্য? আসলে ভাললাগা থেকে লেখা। যেমন ছোটবেলা নতুন একটা ডাকটিকেট পাবার পর বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার মজা। কেউ বলত 'ওয়াও' কেউ বলত 'অনেক সুন্দর দোস্ত, আমার না এই দেশেরটা নাই, আমারও একটা পাইলে দিস।' আবার কেউ বলত 'এইটা কি আনছস? এইটা তো মনেহয় কোন ডাক টিকেটই না। হাদা কোথাকার।'

লিখি ভাললাগা শেয়ার করতে, তাই করো যখন সত্যি ভাল্লাগে, তখন আরো ভাল্লাগে।

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: দারুণ পোষ্ট।

+ দিয়ে গেলুম

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৬

ডি এইচ খান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:১৪

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
ভাল লাগলো চমৎকার পোস্ট ৷

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

ডি এইচ খান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২

ডি এইচ খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দারুণ! অনেক মজা করে লিখেছেন।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৩

ডি এইচ খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

ইসপাত কঠিন বলেছেন: শত্রু একটা হইলে খুব কম। কিন্তু দুইটা হইলে ডেফিনেটলি অত্যাধিক বেশী।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫

ডি এইচ খান বলেছেন: হা হা হা। ইস্পাত কঠিন হলে কিন্ত ১০০ তেও কিসসু যায় আসে না।

৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: মারফির ল আগে কিছু পড়েছিলাম। এইগুলা একেবারেই নতুন। দারুণ লিখেছন।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬

ডি এইচ খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪২

নোয়াখাইল্ল্যা বলেছেন: ভালো লাগলো.।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৭

ডি এইচ খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৮

অরণ্যতা বলেছেন: আপনি যাই লেখেন সেটাই পড়তে অনেক ভাল লাগে

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩০

ডি এইচ খান বলেছেন: লেখার সময়ই করতে পারছি নারে ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.