নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কী ভাবার কথা কি ভাবছি?

ডি এইচ খান

স্বাধীনতা অর্জনের চে রক্ষা করা কঠিন

ডি এইচ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ-দুঃখিত পাকিস্তানের দুধ-কলা দিয়ে পোষা সাপের ছোবলে ১৩২ স্কুলছাত্রের অপমৃত্যু

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৮





২৬৭ দিনের যুদ্ধে তারা প্রতিদিন গড়পরতায় ১০,০০০ এরও বেশি বাঙ্গালী হত্যা করেছে। ১৯৭২ এর প্রথম তিন মাসে প্রায় ১,৭০,০০০ সেল্ফ ইনডিউসড গর্ভপাত এবং প্রায় ৩০,০০০ যুদ্ধ শিশুর জন্ম আরেকটি ভয়াবহ পরিসংখ্যান। বাঙ্গাল হোক অথবা পশতুন, ইসলামাবাদের উদ্দেশ্য বরাবরই পৈশাচিক এবং জঘন্য। '৭১ এর কৃতকর্মের জন্য রাস্ট্র পাকিস্তান অনুতপ্ত কিনা অথবা 'দুঃখিত' বলবে কিনা তা নিয়ে আমার কোন ভাবান্তর নেই। সম্মুখ যুদ্ধে পরাজিত এক শত্রুর কাছে আবার কিসের অনুতাপ প্রত্যাশা? আমাদের কস্টার্জিত স্বাধীনতাই আমাদের গৌরবদীপ্ত প্রতিশোধ!



কিন্তু টেররিজম এর 'বলি' ১৩২ জন স্কুলছাত্রের মৃত্যুও আরেকটি ভয়াবহ পরিসংখ্যান! প্রিয়জন হারানোর ভুক্তভুগি বলেই বর্বরচিত এই হত্যাকান্ড কে নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই। তাই এহেন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সব পরিবারদের প্রতি রইল অকৃত্রিম সমবেদনা। কবি কহেন, "কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে, কভূ আশীবিষে দংশেনি যারে।" আশা করি ১৯৭১ এ তাদের কৃতকর্ম এবং এর ভয়াবহতা কিছুটা হলেও তারা এখন অনুভব করতে শিখবে।



টেররিজম এর কোন সুনির্দিস্ট ভৌগলিক সীমারেখা নেই, টেররিস্টদেরও কোন নির্দিস্ট নাগরিকত্বের পরোয়া নেই, তাই তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এরা যে কোন সময় যে কোন কাউকে আক্রমন করতে দ্বিধা করে না, করবেও না। টেররিস্টরা কেন নিরপরাধ মানুষ মারে এবং হত্যার দায় স্বীকার করে নেয়? কারন আর কিছুই না, পাব্লিসিটি, অর্থাৎ গন মাধ্যমের দৃস্টি আকর্ষন! এ জাতীয় মৃত্যু সংবাদের জন্ম দেয়, তারা পরিচিতি লাভ করে। এরপর লোকজন জানতে চায়, তাহলে কেন এই হত্যা? তখন তারা তাদের ইডিওলজি বা ইজম তুলে ধরে। ইডিওলজি বা ইজম প্রচারের কী জঘন্য এক পন্থা। এরা ব্যাঙ্ক ডাকাতি করেনা, টাকা পয়সা ছিনতাই করেনা, কিন্তু নিরপরাধ মানুষ অথবা গনমাধ্যমকর্মী অথবা স্বেচ্ছাসেবকদের ধরে নিয়ে মেরে ফেলে এবং ইউটিউবে ভিডিও ছাড়ে। কোন প্রতিহিংসার কীসের প্রতিশোধ, তা বুঝে উঠা দুস্কর।



টেররিস্টদের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধকে বলে ৪র্থ প্রজন্মের যুদ্ধ। এই নব্য ধারার যুদ্ধে জিততে চাই ভিন্নধারার সক্ষমতা, আর এমন সক্ষমতার জন্য চাই ভিন্ন রকমের প্রস্তুতি। ক্রুসেড করেও ইসলামকে দমানো যায়নি কারন ইহুদিবাদ বা খ্রিস্টানত্বের চেয়ে ইসলাম অনেক বেশি আধুনিক আর যুক্তিসঙ্গত। তার পরও ক্রুসেড হয়েছে কারন ধর্মবোদ্ধাদের যুক্তি-তর্কের পরোয়া না করে ধর্মযোদ্ধাদের মাধ্যমে এ সংকট মোকাবেলা করার চেষ্টা করা হয়েছে, অন্যায় ভাবে নিজের মতবাদ মেনে নিতে অন্যদের বাধ্য করানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ফলাফল শুধুই মৃত্যু আর ধ্বংস!



লাদেনের মৃত্যুতে আল-কায়েদা থেমে থাকেনি। ইরাক-আফগানিস্তান গুড়িয়েও যুদ্ধ শেষ হয়নি। টেররিস্টরা কী চায় জানতে হবে। একটা ইজম/ইডিওলজি বা মতবাদকে টুটি চেপে মেরে ফেলার বা শেকর সমেত উপড়ে ফেলার চেষ্টা সফল হয় না। ইজম/ইডিওলজি বা মতবাদকে মোকাবেলা করতে হয় শ্রেয়তর ইজম/ইডিওলজি বা মতবাদ দিয়ে। বাস্তবতা হল এই মুহুর্তে তেমন কোন উদ্যেগ চোখে পড়ছে না। দু পক্ষই কানে তুলা গুঁজে এগিয়ে যাচ্ছে, বলির পাঠা হচ্ছি আমরা আম জনতা। তাই আপাতত টেররিস্ট ইডিওলজি অথবা ইজমের 'ইট' সামলাতে সামাজিক, জাতীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ঐক্যের 'পাটকেল' ছাড়া গত্যান্তর নেই। এই ঐক্য জীবন ও জীবনযাপনের জন্য কাঙ্ক্ষিত একটা নিরাপত্তা বলয়ের প্রত্যাশায়। তাই এর বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার এখনি সময়, চাই আঞ্চলিক সমঝোতাও। নিরাপদ হোক সবার জীবন এবং জীবন যাপন। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবার সহায় হোন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪

সরদার হারুন বলেছেন: ইতি হাস থেকে কোন অসভ্য দেশ শিক্ষা নেয়না । পাকিস্তানও নেয়নি নিবেও না । তবুও যেহেতু আমরা মানুষ সে হেতু পাকিস্তানের শিশু হত্যার নিন্দা করেছি এখনও করি ।

যতদুর মনে পরে তদানিন্তন পাকিস্তানের (পূর্ব পাকিস্তানের) গর্ভনর ফিরোজ খান নুন বলেছিল," বাঙালিরা মুরগী হালাল করে খেতে জানেনা । জবাবে ভাষানী সাহেব বলেছিলেন,"তোমাকে কি কাপড় খুলে দেখাতে হবে য়ে আমরা মুসল মান কি না ।"
আমার জানামতে বর্তমান ভিকারুন্নেসা স্কুলের প্রতিস্ঠাতা ভিকারুন নেছার স্বামীই হলেন ফিরোজ খান নুন । ওরা কোন দিনই সভ্য
লোকের মত ব্যাবহার করতো না । তবুও শিশুদের জন্য আমাদের সমবেদনা আছে ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৩

ডি এইচ খান বলেছেন: ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট মানসে রেখেই টেররিজম সংক্রান্ত বাস্তবতার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। কূটনীতিতে চিরন্তন বন্ধুত্ব বা চিরন্তন বৈরিতা বলে কিছু নেই। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অস্ত্বিত্বের সংকট মোকাবেলায় সমন্বিত প্রতিরোধ এখন সময়ের দাবী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.