নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কী ভাবার কথা কি ভাবছি?

ডি এইচ খান

স্বাধীনতা অর্জনের চে রক্ষা করা কঠিন

ডি এইচ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের গল্পঃ একঃ অভিশপ্ত সোফি!

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮



আততায়ী গ্যাভ্রিলো প্রিন্সিপ প্রায় পয়েন্ট ব্ল্যানক রেঞ্জ থেকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রথম বুলেটটা ছুড়েছিল, আর তার অব্যর্থ হাতেই ঠিক ৪র্থ বিবাহবার্ষিকীর দিনই নিহত হলেন হাবসবার্গ রাজপরিবারের উত্তরাধিকারী আর্চডিউক ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্ড আর তার স্ত্রী কাউন্টেস সোফি।



সোফি ছিলেন সাধারন কাউন্টেস, তাই হাবসবার্গ রাজপরিবার তাকে আমৃত্যু আর্চডাচেস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি; আস্ট্রিয়ান সাম্রাজ্য অথবা হাংগেরির রাজত্বের ভাবি উত্তরসূরি আর্চডিউক ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্ডকেও মুচলেকা দিতে হয়েছিল এই মর্মে যে সোফির ঘরের সন্তানদের কেউই রাজকীয় উত্তরাধিকারী হতে পারবেন না। বিয়েটাকে অনেকেই তাই হাবসবার্গ রাজবংশের জন্য কুফা ভাবত।



ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্ড ছিলেন আস্ত একটা গাড়ল, কিন্তু তিনি যে সোফিকে ভীষন ভালবাসতেন সে ব্যাপারে কোন সন্দেহের অবকাশ ছিলনা। আর্চডাচেস না হবার কারনে সোফি কখনও ভরা মজলিসে তার পাশে বসতে পারতেন না, কিন্তু অস্ট্র-হাংগেরিয়ান আর্মির ইন্সপেক্টর জেনারেল আর ফিল্ডমার্শাল ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্ড এর স্ত্রী হিসেবে সোফি স্বামীর সাথে সামরিক অনুষ্ঠানাদিতে একসাথে যেতে পারতেন। সেজন্যই, ২৮ জুন ১৯১৪, বিবাহবার্ষিকীর দিন ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্ড সস্ত্রীক বসনিয়ান সেনাবাহিনী পরিদর্শনের দিন ধার্য করলেন যেন পাশাপাশি বসে মোটর শোভাযাত্রায় যোগ দিতে পারেন।



বসনিয়া আর হার্জেগোভিনা সবে বছর ছয়েক হল হাবসবার্গদের করায়ত্ত হয়েছে, যারা আদতে সার্বিয়ার সাথে গাঁটছড়া বাধতেই বেশি আগ্রহী ছিল, আর তাই সারাক্ষন হাবসবার্গ কর্মকতাদের হেনস্থা করতে মুখিয়েই থাকত এরা। এই তাতানো পরিস্থিতিতে ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্ড আসছেন শুনে ছয় স্থানীয় তরুন মিলে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করল।



২৮ জুন যথাসময়ে আর্চডিউক সস্ত্রীক সারায়েভো পৌছে গেলেন। পথে এক আততায়ী সময়মত পিস্তল বের করার আগেই আর্চডিউকের গাড়ি পেড়িয়ে গেল, আরেকজন সোফিকে দেখে মায়া লাগায় অস্ত্র বের করতে গিয়েও পিছিয়ে এল, তৃতীয়জন একটা হাতবোমা ছুড়ে মারল এবং সেই বোমাটাও ফস্কে গেল একটুর জন্য। পরিস্থিতি আচ করতে পেরে ফ্রাঞ্জ ফার্দিনান্ড দ্রুত শহর ত্যাগ করতে চাইলেন, কিন্তু তার গাড়ি চালক ভুল পথে মোড় নিতেই দৈবক্রমে আততায়ী গ্যাভ্রিলো প্রিন্সিপের সামনে পরে গেলেন।





এমন চরম নাটকীয়তা সম্ভবত বিশ্বযুদ্ধ পর্যায়েই মানায়। যাহোক, এ ঘটনা অথবা দূর্ঘটনা থেকেই কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শুরু...

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: কী লিখলেন! :( পিপাসা মিটলো না।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪০

ডি এইচ খান বলেছেন: ভাই হাসান, সিরিজ হিসেবেই লিখব, ধৈর্য ধরুন প্লিজ।

২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৭

মোহাম্মদ রাহীম উদ্দিন বলেছেন: যুদ্ধ আমার খুব ভালো লাগার একটা বিষয়বস্তু। মজা নিয়ে পড়েছি। কিন্তু কিছুই মনে রাখতে পারছি না।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪১

ডি এইচ খান বলেছেন: ভাই রাহীম, যুদ্ধের খুঁটিনাটি আসলে কেউই মনে রাখে না, মনে রাখে শিক্ষাটা। ইংরেজিতে বলে লেসন্স লার্ন্ট। সো মনে রাখার চেস্টাই বা কেন। আমিতো হিস্ট্রি পড়ি স্রেফ মজা পাই তাই। :-)

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এটা একটা উপলক্ষ মাত্র! বিশ্বযুদ্ধ লাগার পেছনে অারো বহুবিদ কারণ ছিলো ।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪১

ডি এইচ খান বলেছেন: ভাই রূপক, একদম ঠিক, এটা স্রেফ ছুতো মাত্র, একটা বিস্ফারণ এর জন্য অনেক উপাদান আর অনুঘটক থাকে, আর থাকে একটা ছোট্ট ডেটোনেশন, ব্যস। অন্যান্য কারনগুলো নিয়েও লিখব, একবারে না পড়তে ভাল্লাগে, না লিখতে। ম হা যু দ্ধ বলে কথা।

৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৮

তুষার আহাসান বলেছেন: চরম ভাল লাগা,আগামীতেও পড়ব।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

ডি এইচ খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৫

নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: বিস্তারিত লিখলে ভালো হতো

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

ডি এইচ খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, চেস্টা করে যাব, ইনশাল্লাহ।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

ডি এইচ খান বলেছেন: সাবজেক্ট টাই এতো বিশাল যে ছোট ছোট টুকরা করে না নিলে এগুনো কঠিন।

৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৫

প্রামানিক বলেছেন: অনেক সুন্দর একটি লেখা। ধন্যবাদ

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩

ডি এইচ খান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৩

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: যুদ্ধের অনেক অনুসঙ্গ আগে থেকেই ছিলো, তবে এই ঘটনাকেই ট্রিগার পয়েন্ট হিসেেব ধরা হয়।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪০

ডি এইচ খান বলেছেন: তনিমা
আপনাকে ধন্যবাদ।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৪

ডি এইচ খান বলেছেন: সাবজেক্ট টাই এতো বিশাল যে ছোট ছোট টুকরা করে না নিলে এগুনো কঠিন।

৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১০

সায়ান তানভি বলেছেন: অনেক পার্ট হবে ঠিক আছে ,কিন্তু এতো ছোট ছোট পর্ব হলে ঠিক মন ভরে না ,আরও বেশি লিখুন ।ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.