নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অসংখ্য মানুষের ভালবাসা বা ভূয়সী প্রশংসা প্রত্যাশা করি না, প্রচুর গালি আর প্রচুর অসভ্যতা সহ্য করি।

আমি মানব অতএব আমার মধ্যে থাকবে মানবতা

ডানপিঠে নিশাচর

আমি কোন কবি নই, আমি কোন সাহিত্যিক-ও নই। তবুও মাঝে মাঝে এক একটি গভীর রাতের কিছুটা সময় আমার আঙুল প্রসব করে গল্প, ছোট গল্প, অনুগল্প, কবিতা নাম না জানা আমার আরোও অনেক সন্তান। এড়া ছড়িয়ে ছিটিয়ে চতুর্দিকে। যারা যে নামেই ডাকুক না কেন আমি বিরক্ত হই না। আমি সাহিত্য পড়ি না। জন্ম দেই। আমি জীবন থেকে নেই না্, বরং জীবন আমার থেকে নেয়। আমি মোটেও কেউকেটা নই, কীটস্ব-কীট আমি। আমার ধনবল নেই, শিক্ষা গৌরব নেই। আমি প্রকৃতি থেকে শিখি । বই পড়ে শিখি । অন্যের কথা শুনে শিখি । বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে শিখি । বিভিন্ন উৎসে বিচরন করি । জানার চেষ্টা করি । এভাবে লেখার রসদ সংগ্রহ করি । তারপর নিজের ভাবনা, বোধ, বিশ্বাস, অভিব্যক্তি দিয়ে মাঝেমধ্যে লেখার চেষ্টা করি । এক্ষেত্রে কিছু যোগ-বিয়োগ করি ।

ডানপিঠে নিশাচর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস এবংসংখ্যালঘু নির্যাতন -২য় সংস্করন

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:০২

বিশেষ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সংখ্যালঘু আক্রমন প্রসঙ্গে মিডিয়ায় তোলপাড়,

অনলাইন মিডিয়ায় অনেকেই লিখছেন বা টিভি টকশোতে অনেকেই বলছেন,

"এতে কোন মানুষ কিন্তু আহত বা নিহত হয় নাই,

শুধুমাত্র বাড়িঘর ও আসবাবপত্র ধ্বংস করা হয়েছে।"

অর্থাৎ

হিন্দুদের বাড়িঘর ধ্বংস হওয়াতে আক্রমন গ্রহনযোগ্যতা পায় নি,

আক্রমনে কিছু হিন্দু আহত হলে আক্রমনটি অবাধ,সুষ্টু, নিরপেক্ষ হতো,

সাথে কিছু মালাউন মরলে আক্রমনটি আন্তর্জাতিক মানের আক্রমন হতো!!!

তাদের এই কথাটার প্রেক্ষিতে বলতে হয়

"কাদম্বিনী মরিয়া প্রমান করিল সে মরে নাই"



তারা ইনাইয়া-বিনাইয়া প্রমান করতে চায়,

সরকার পক্ষই এই আক্রমনটি পরিচারনা করেছে।

আমিও দৃঢ়ভাবে বলি এ আক্রমনে সরকারের পক্ষকে সন্দেহের বাইরে রাখার কোন অবকাশ নেই।

ঐ বক্তারা, সরকার পক্ষের দিকে সন্দেহের দৃষ্টি রাখলেও বিরোধী জোটকে কিন্তু সন্দেহের ত্রিসীমানায়ও রাখছে না।



আমার কথা হচ্ছে,

আপনি যে বলছেন- আপনি বা আপনারা ঐ হিন্দুদের ওপর আক্রমন করেন নি।

বেশ ভালো। মানলাম আপনারা করেন নি।

কিন্তু আপনারা ঐ হিন্দুদের রক্ষা করার জন্যও কোন প্রতিরোধ-প্রতিবাদও করেন নি।

হয়তো মনে মনে ভাবছেন, যাক কিছু হিন্দু মরছে। মানুষ তো আর মরে নাই।

উদ্দেশ্য যখন হিন্দু নিধন তখন সরকারি দল-বিরোধী দল নির্বিশেষে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লুঙ্গি কাছুঁটি বেঁধে নেমে পড়ে।



সম্প্রতি যে এলাকাগুলাতে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে সেখানে খোঁজ নিলে দেখা যাবে,

হামলায় যারা কলকাঠি নেড়েছেন, তারা হয় সে এলাকার ক্ষমতাধর (সরকারদলীয় বা বিরোধীদলীয়)ব্যাক্তিবর্গ নেতা/কর্মী বা তাদের আত্মীয়স্বজন,

এলাকার বিশেষ ধর্মীয় বা রাজনৈতিক নেতা,

বিশেষ কোন ধর্মীয় বা রাজনৈতিক সংগঠনের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ,

বিশেষ ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক,

অথবা থানায় নিয়মিত চাঁদা দানকারী।



প্রথম জীবনে কামাই করা ঘুষ/দুর্নীতি’র হারাম টাকা হালাল করার জন্য শেষ বয়সে তারা ধর্মের কাজে ব্যবহার করে এবং হজ্জ –ওমরাহ করে এসে এলাকায় বিপুল সম্মান-পরিচিতি অর্জন করে।

বাংলাদেশে তো আর ইহুদী নাই তাই পরবর্তীতে ইহুদীর বিকল্প হিসেবে

কিছু "হিন্দু-মালাউন" খতম করে জান্নাতের এপার্টমেন্ট বুকিং এর ইন্সটলমেন্ট পরিশোধ করে, দুনিয়াতেও গনিমতের মাল হিসেবে হাসিল করে হিন্দু-মালাউনদের জায়গা জমি।



আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনি যখন সেইসব সাম্প্রদায়িক আক্রমণের হোতাদের ধরতে সরজমিনে তদন্তে নামে,

স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করতে শুরু করতেই সেই তদন্ত শুরুতেই শেষ হয়ে যায়।

পুলিশ যেহেতু তার বাপ-দাদার এলাকায় পোষ্টিং পায় না তাই যে এলাকার তার কর্মস্থল প্রথমেই ঐ এলাকার ময়-মুরুব্বির শরনাপন্ন হয়,

তারা তখন পুলিশকে একটি কথাই বলে,

"আপনিও মুসলমান, আমিও মুসলমান।

এখন ভেবে দেখেন আপনি কি ঐ হেন্দু মালাউনদের পক্ষে থাকবেন নাকি আল্লার পথে।

নবীর পথে নাকি কাফেরদের পথে?"

এই কথা বলার পরে আমাদের ঈমানদার পুলিশ সাধারণত আর কিছু করে না।

কারণ তাদের চাকরির চাইতে পরকালের হুর-পরীর হাতছানি তাদের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

দেশের দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক তুচ্ছ "হিন্দু-মালাউন"দের কারণে তো আর দেশের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক গণ্যমান্য ধর্মীয় মুরুব্বিদের অপদস্থ করা যায় না!



তাই এই পর্যন্ত আমাদের দেশে কোন সাম্প্রদায়িক আক্রমণেরই তেমন কোন বিচার হয় নি।

কেউ ধরাও পরে নি।

যদিও আক্রমণের সময় হাজার হাজার লোক অংশ নিয়েছে,

কিন্তু সরজমিনে তদন্তের সময় পুলিশ কাউকে খুঁজে পায় না।

তবে আইনের হাত অনেক লম্বা হবার কারণে কিছু হিন্দু ঠিকই দেশছাড়া হয়।



যদিও কেউ ধরা পরে তখন ঐ আক্রমণ ও হত্যাকারী ধর্মান্ধ মৌলবাদীরা গোয়েন্দা ঐ একই ডায়লগ পুলিশকে বলে,

"আপনারাও মুসলমান, আমরাও মুসলমান।

যেই কাজ আপনাদের করা উচিত ছিল, তা আমরা করছি।"

এই কথা শুনার পরে পুলিশ সদস্যদের মুসলমানিত্ব চাগার দেয়।

এরকম ঘটনায় সাধারণত তদন্ত সেখানেই শেষ হয়ে যায়।

অথবা দেখানোর জন্য কয়েকজন দাড়ি-টুপিওয়ালাকে ধরে আনা হয়,

যারা আসলে দোষী নয়।

চার্জশীট এমনভাবে তৈরি করা হয় যা দিয়ে অপরাধীর একটা লোমও বাঁকা করা যাবে না।



তবে দেশের নানা স্থানে সাম্প্রদায়িক আক্রমণের ব্যপারে পুলিশ সতর্ক না থাকলেও ঐ সমস্ত হামলাকরীদের খুঁজে না পেলেও অনলাইনে কে কোথায় কি লিখে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে,

কে ঐ লেখায় লাইক/শেয়ার দিয়ে ধর্ম অবমাননা করেছে,

তা আমাদের গোয়েন্দা পুলিশ ভালই খবর রাখে।



সাম্প্রদায়িক আক্রমণকারীরা ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিল,

উপাসনালয় গুড়িয়ে দিল তাতে তারা অপরাধী খুঁজে পায় না,

উপাসনালয় ধ্বংস করা সম্ভবত ধর্ম অবমাননার পর্যায়ে পরে না!

অথচ ফেসবুক ব্যবহারকারীর লাইক আর স্ট্যাটাস নিয়ে তারা মহা চিন্তিত থাকে।



তাই এভাবেই চলতে থাকবে,

আক্রমণ হতেই থাকবে এবং কারো কোন শাস্তি হবে না।

কোন বিচার হবে না,

যতদিন আমাদের রাষ্ট্র-সরকার-রাজনৈতিক দল নিজেদেরকে শুধুমাত্র মুসলমান না ভেবে মানুষ ভাবতে পারবে,

এরকম হতেই থাকবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিম্পি-জাশি চক্রের ককটেল বোমা, আগুনে পুড়িয়ে কাবাব বানানো সহ সকল প্রানঘাতি হামলাকেই চুপা শুশিলরা সাজানো বলে সরকারকে দায়ী করে চিপা মন্তব্য করে যাচ্ছে, কোন প্রাথমিক তথ্য প্রমান ছাড়াই!
বলে "কাছেই পুলিশ থাকার পরও 'কেমনে' হইল" .. নিশ্চই ..? বাসটির মালিক আম্লিগ .. তাই আম্লিগই দায়ী ...

এরা উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে 'অভিযুক্তদের পাপ' হালকা করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেই যাচ্ছে।

এরা গ্রেনেড হামলায় ২৪ জন মারা যাওয়ার পরও একে সাজানো ঘটনা বলে
এই গোষ্ঠিরা এখনো বলে ৭১এর বুদ্ধিজীবি হত্যা ভারতীয়দের কাজ!
মালালাকে হুমকি দিয়ে ঘোষনা দিয়ে সাবধান করে কয়েক দিন পরে গুলি করা হয়েছিল। এর পরও এই গোষ্ঠি মালালা ঘটনা আমেরিকানদের সাজানো বলে ধারনা করে।
নাইন ইলেভেনের ধ্বংশকান্ডকেও তাই মনে করে।
লাদেন হত্যাকেও বলে কাল্পনিক!

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৫৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: যারাই এটা করে থাকুক তীব্র নিন্দা জানাই,,,,,,,,,তবে আমার মনে কিছু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে,,,,,,এত চিৎকার, এত সময় ধরে ঘরবাড়ি পুরলো অথচ আ’লীগের একজন সমর্থকও সেখানে গেল না,,,,,কেন !!! নিরাপত্তাবাহিনী কি করছিল,,,তারা কেন খবরটা পায় নাই,,,,,,,,!!! ওখানে দুই জন ক্যানডিডেটই আসলে আ’লীগের,,,,,,,,,,পরে একজন কলস মার্কা আর একজন আ’লীগ হতে মনোয়ন পাওয়া নৌকা মার্কা,,,,,,,,,,,,,,,। আসলে তাদের ভিতর কি হয়েছিল,,,,,,,,,,,!!

আমি একজন মনে প্রাণে আ’লীগ সাপোর্টার,,,,,। কিন্তু এই ঘটনার পর হতে আমার অবস্থান অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে,,,,,,কারণ দল অন্যায় করলেও সাপোর্ট করবো !!! এমন পাগল অন্তত আমি নই,,,,,,,,,,,,,,

এখানে দেখলেই একটু পরিষ্কার হবেন এবং আরো দেখুন,,,,,

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩

ডানপিঠে নিশাচর বলেছেন: আপনি যদি ভেবে থাকেন যে আওয়ামীলীগে মৌলবাদী এবং হিন্দু বিদ্ধেষী নেই তাহলে আপনাকে বলবো আরেকবার ভেবে দেখুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.