নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কোন কবি নই, আমি কোন সাহিত্যিক-ও নই। তবুও মাঝে মাঝে এক একটি গভীর রাতের কিছুটা সময় আমার আঙুল প্রসব করে গল্প, ছোট গল্প, অনুগল্প, কবিতা নাম না জানা আমার আরোও অনেক সন্তান। এড়া ছড়িয়ে ছিটিয়ে চতুর্দিকে। যারা যে নামেই ডাকুক না কেন আমি বিরক্ত হই না। আমি সাহিত্য পড়ি না। জন্ম দেই। আমি জীবন থেকে নেই না্, বরং জীবন আমার থেকে নেয়। আমি মোটেও কেউকেটা নই, কীটস্ব-কীট আমি। আমার ধনবল নেই, শিক্ষা গৌরব নেই। আমি প্রকৃতি থেকে শিখি । বই পড়ে শিখি । অন্যের কথা শুনে শিখি । বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে শিখি । বিভিন্ন উৎসে বিচরন করি । জানার চেষ্টা করি । এভাবে লেখার রসদ সংগ্রহ করি । তারপর নিজের ভাবনা, বোধ, বিশ্বাস, অভিব্যক্তি দিয়ে মাঝেমধ্যে লেখার চেষ্টা করি । এক্ষেত্রে কিছু যোগ-বিয়োগ করি ।
বিদায়!
একটা ছেলে,
জীবনে নদীতে ভাসিয়ে ভেলা,
উজান ঢেউয়ে সাতরে চলা,
অন্যায়ের প্রতিবাদে কথা বলা,
কেন সবকিছু করে অবহেলা?
কেন শেষমেষ আমাদের ছেড়ে চলে যায়?
ক্যামেরাটা আছড়ে ভেঙে করে চুরমার,
সব স্মৃতিগুলো পুরে ছারকার,
নেমে আসে নিকশ কালো আধার,
রক্তাক্ত হয় তার দু’টো হাত,
বাইরে পৃথিবীতে নামে রাত।
একটা টেবিল,
কত স্বপ্ন আর ভালোবাসার বইয়ে বোঝাই!
দেখে যায় এই অপ্রত্যাশিত লড়াই,
আশা-আকাঙ্খা-স্বপ্ন সব পুড়ে ছাই,
কিন্তু কেউ মুখফুটে কিছুই বলে না।
ড্রিম লাইটের আবছা আধারে,
ভাঙাচুড়া হৃদয়ের স্বপ্নগুলো গুমড়ে গুমড়ে মরে,
অপেক্ষায় বসে থাকে কেউ হাত ধরে টেনে তুলবে ভেবে!
কিন্তু কেউ আর সেই হাতটি ধরেনা,
ঈশ্বর-ও তাই স্বান্ত্বনা দিতে আসে না।
আসে সকাল,
অনেক ডাকাডাকি করে চলা,
ছেলেটা, দুপুরেও ঘরের দরজা না-খোলা,
তাই দরজাটা ভেঙে ফেলা,
ঘরে ঢুকেই তাকিয়ে দেখা,
সিলিং ফ্যানে ছেলেটার দেহ ঝুলা।
অহো!
এভাবে কি কেউ চলে যায়?
পৃথিবীকে জানিয়ে বিদায়!
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ২:০৭
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: Click This Link