নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাহিদার শেষ আমার কাছে , আমি সুখী, রাজ্য- প্রজাহীন রাজা , ......

অর্ধ চন্দ্র

আমি মানুষ,আমি গর্বিত এবং দৃঢ় চিত্তে ভীষণ উচ্ছ্বাসিত, স্বপ্নীল সোঁনার বাংলার বিশ্বে মাথা উঁচু, আপনা পূর্ণতা নিয়ে।

অর্ধ চন্দ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগার মানেই নাস্তিক, ধর্ম অবমাননা!!!

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩



এক একজন ব্লগার তাদের নিজস্ব ধ্যান ধারণা হতে লিখে থাকেন, তারা বিভিন্ন জন ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপর যুক্তিবল দিয়ে সমসাময়িক সমস্যা পরিষ্কার চিহ্নিত করেন এবং যুগপৎ সমাধান দেন। যা কবিতা, কৌতুক,গল্প,ইতিহাস,বিজ্ঞান, রাজনীতি, দেশপ্রেম, ছবি গ্যালারী,আবিষ্কার, স্মরণীয় ব্যক্তি,ভ্রমন,স্মৃতিপট ইত্যাদি বিষয়ের একটি বেছে নিয়ে তার উপরে নিয়মিত লিখে থাকেন।

আর দু একজন আছে যারা ধর্ম এবং ধর্ম গ্রন্থেরর বিভন্ন বিষয়াবলীর বিপক্ষ নিয়ে নিজস্ব যুক্তিবল দাঁড় করান ও তার সে যুক্তি খন্ডানোর আমন্ত্রন জানান, অনেক সময় সে বিষয়টি ধর্মভীরুদের কাছে আপত্তিকর মনে হয়। যদিও সকল ক্ষেত্রে ঐ সব ধর্ম ওয়ালা যুক্তিসূমহ খন্ডাতে ব্যর্থ!!

মনে রাখতে হবে সকল লেখার দায়ভার স্বয়ং সেই লেখকের! একজনের দায় অন্যেদের কখনও হতে পারে না। আমি নিজে ২০১১হতে বেশ কয়েকটি ব্লগে নিয়মিত লিখি, কই কখনও তো কোন ধর্ম বিদ্বেষ নিয়ে লিখি নাই! বরং পরিষ্কার করেছি যে, কেমনে ধর্ম ব্যাবসীরা ধর্ম কে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে, সাধারণ মানুষ কে পরকালের ভয় ধরিয়ে বোকা বানিয়ে নিজেরা কোটি কোটি টাকা আর সম্পদের মালিক বনে যাচ্ছেন!আর নিজেদের সন্তানদের বিদেশে পড়ানোর নামে ইউরোপ আমেরিকা পাঠিয়ে মদ মেয়ে জোয়া নিয়ে মত্ত থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন,যার হাজার সচিত্র বিদ্যমান!

এমন হাজার ব্লগারের নাম আমি জানি যারা কোন ধর্ম নিয়ে কিছুই লিখেন না...... !!
সকল চেতনার ব্লগার, সমর্থনে লেখার মূলমন্ত্র, আগামীর উন্নত বাংলার,প্রগতিশীল সমাজের সকলের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার,বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের চেতনার,৩০ লক্ষ শহীদ আর দুলক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের স্বপ্ন পূর্ণতা ,এবং রাজাকারদের শেকড় নিঃচিহ্ন করতে,,।

এ ধর্ম গেল ও ধর্ম গেল, করে করে দেশটাকে বোকা বানিয়ে, এই ধর্ম ব্যাবসায়ীরা,রাজাকার এবং তাদের দোসর ও তাদের ধর্ম বাতাসে দীক্ষালাভ কারীরা, অনেক কাল ধরে ধর্মের নামে মিথ্যা গুজুব রটিয়ে দেশটাকে বর্তমান পৃথিবী হতে ১০০ বছর পেছনে আটকে রেখেছিলো। কারণ ওরা জানে ধর্মের গ্যাঁড়াকলে এদেশের মানুষে বলদ বানানো খুবই সোজা!

আর তাই ওরা চাই না,ওদের বড় ভয় বাঙ্গালীর শতভাগ শিক্ষিত সভ্য হলে, আধুনিকতার ছোঁয়াই যে ওদের সকল ভন্ডামীর কফিনে পেরেক ঠুকে দিবে!!!

আচ্ছা একজন ব্লগে কিছু লেখলো তাতে কি ধর্মের কাপড় খুলে ন্যাংটা হয়ে যায়?এতই ঠুনকো ধর্ম? নাকি এটি পদ্ম পাতার জল যে টোকা মারলেই অস্তিত্ব হীন?

যে কারণে ব্লগার মানেই নাস্তিক আর ধর্ম অবমানকারী, এহেন মিথ্যা গুজব রটিয়ে নিজেদের ধর্ম ব্যাবসার আর পাকি স্বপ্ন পূরণের শেষ রক্ষা চলছে মাত্র!!

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


হুজুরেরা যেটা পারে না, সেটা অন্যেরা করলেই সমস্যা; বৃটিশ আমলে ইংরেজী শিখলেই মানুষকে কাফের মাফের বলা হতো

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: অনেকটা শীত কালের হাদিস,গরম কালে দেওয়া বলে কথা :-D ধন্যবাদ প্রিয়তর ভাই।

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ব্লগার মানেই ধর্মবিদ্বেষী নয়। কিন্তু কিছু কিছু ব্লগার আবার ধর্ম ও মহানবী (সাঃ) অবমাননা না করলে পেটের ভাত হজম হয়না। এদের জন্যই সব ব্লগাররা সমস্যায় পড়েন।

মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে এই নয় যে-আমি অন্য ধর্ম/নিজ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানব।

সকলেই সচেতন হোক। ব্লগ ও ব্লগার সম্পর্কে ভুল ধারনা ভাঙ্গুক।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: শুধু ইসলাম নয়,সে যে ধর্মই হোক না কেন, যুক্তিযুক্ত লেখা বাদ দিয়ে উল্টোপাল্টা আক্রমণাত্মক লেখা কখনই কাম্য নয়, ধন্যবাদ

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

পুকু বলেছেন: আপনার লেখার ভক্ত বরাবরই আমি।কারণ অবশ্যই বক্তব্য ও যুক্তির স্বচ্ছতা।অকাট্য যুক্তি ও সর্বপরি সৎসাহস।ভাল থাকবেন।আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করি।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১০

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: আমি ধন্য কৃতজ্ঞ। তবে আপনার কোন লেখা পাই না কেন?

৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১

Sujon Mahmud বলেছেন: ভালো লাগলো।লেখাটি যুক্তি যুক্ত

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: আমি ধন্য। শুভেচ্ছা রইল। ধন্যবাদ

৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

আমি চির-দুরন্ত বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:


হুজুরেরা যেটা পারে না, সেটা অন্যেরা করলেই সমস্যা; বৃটিশ আমলে ইংরেজী শিখলেই মানুষকে কাফের মাফের বলা হতো

সঠিক বলেছেন। তবে আরেকটু যোগ করি,একই অন্যায় কাজ সাধারন মানুষ করলে বিচ্ছিন্ন ঘটনা,কিন্তু হুজুর করলে সেটা হয় ধর্মান্ধতা,মৌলবাদি কিংবা হুজুর জাতটাই খারাপ।

মুক্তিযোদ্ধার ছেলেও যদি দাড়ি রাখে টুপি পরে, তবুও তাকে রাজাকারের বাচ্চা কিংবা শালা রাজাকারের জাত নাকি! এই
ধরনের কথা শুনতে হতেই পারে। মানে হুজুর আর রাজাকার শব্দদুটো কে আমরা ওতপ্রতভাবে জরিয়ে ফেলেছি।।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: রাজাকার এবং হুজুর দুটি শব্দের যথার্থ মিলন ও উত্থান এ দেশের নির্মম ইতিহাস। তবে হ্যা বর্তমানে তা পরিষ্কার হয়ে গেছে প্রায়।
ধন্যবাদ,

৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

তপোবণ বলেছেন: কিছু ব্লগার আছেন যারা থৈ-তুফান পছন্দ করেন তারা সাবধান হলে কোন সমস্যা হবার কথা নয়। নাস্তিকতাও একটা ধর্ম। এটা তার নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু আপনার নাস্তিকতা জাহির করতে আপনি যখন অসহিষ্নু হয়ে পড়েন বিপত্তিটা তখনই ঘটে। কারো বিস্বাসে আঘাত করার রাইটস কারো নেই। ধর্মের ভেতরে থাকা গোড়ামী গুলো জনস্বার্থে তুলে ধরলে জনগণ উপকৃত হবে। কিন্তু আপনি যদি একলাইন বেশি বুঝে নবী-রাসুল নিয়ে কুৎসা করেন, গালাগাল করেন থৈ-তুফান লাগিয়ে দেন তাহলে তো আপনাকে আদর করবেনা লোকজন।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: একেবারে যথাযথ বলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ

৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৫

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: ধর্ম নিয়ে তর্ক বিতর্ক কবে যে বন্ধ হবে ।
কিছু ব্লগার সত্যি আছেন এখনো ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করে । আমার মতে যার ধর্ম যার যেভাবে ইচ্ছে পালন করুক , কারো নবী কিংবা দেবতা নিয়ে কথা না বলাই ভালো ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: যুক্তিযুক্ত কথা বলাটা দোষের কিছু নয়। তবে উল্টাপাল্টা অতিরঞ্জিত গ্রহণযোগ্য নয়।
ধন্যবাদ,

৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২

এম এস নবীন বলেছেন: বিশ্ব যখন জ্ঞান বিজ্ঞান আহরনে ব্যস্ত। তখন আমাদের দেশের মওলানারা মসজিদে ওযু, গোসলের ফরজ শেখায়। বিশ্ব যখন অত্যাধুনিক অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে শক্তির হুংকার ছাড়ে, তখন আমার দেশের মুসলমান কদু খাওয়া, মদু খাওয়া সুন্নতের গল্প শোনায়। আমাদের মওলানারা জানেই না কোন সময় কোন বয়ান দেয়া উচিত। ব্লগ মানেই নাস্তিক, এই কথাটা গাধার মাথায়ও আসে না।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: হাহাহাহা, ওরা কি গাধার বাহিরে! তবে এ প্রাচীন সমস্যাদি আর বেশি দিন থাকবে না। ধন্যবাদ

৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫১

আবু তালেব শেখ বলেছেন: নাস্তিকতা মানেই ইসলাম নিয়ে গাত্রদাহ কেন? কোন নাস্তিক কে দেখলাম না অন্য ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করতে।
কেন?

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৫

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: যদিও আজ ইসলাম নিজেই নিজেদের মধ্যে গাত্রদাহ অতিমাত্রাই নিয়ে গেছে, তবুও আমরা কোন ধর্ম কে কটাক্ষ সমর্থন করি না। ধন্যবাদ

১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫২

আবু তালেব শেখ বলেছেন: মানে আপনি পুরোপুরি নাস্তিক

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৮

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: হাহাহাহা তার মানে আমি নাস্তিক!! বাহ্ আপনি এইটা কেমনে বুঝলেন?

১১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: নাস্তিক হলে সেটা প্রমাণ করার জন্য ধর্মের কটুক্তি কেন করতে হবে? তারা নিজেরাই নিজেদের গালি খাওয়ার উপযুক্ত...

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২১

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: যে কোন ধর্ম কে কটুক্তি গ্রহনযোগ্য সমাধান হতে পারে না। ধন্যবাদ

১২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৪৪

অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: দেশি নাস্তিকেরা ইসলাম বিরোধী।অন্যধর্মে এদের কোন মাথা ব্যাথা নাই।এদের উদ্দেশ্য একটাই আর তা বিদ্বেষ ছড়ানো।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৬

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: নাস্তিকেরা তো অন্য ধর্ম না মেনেই নাস্তিক ধর্ম গ্রহন করেছে। কারণ হিসাবে তার পেছনের যুক্তিসূমহ সে অবশ্যই ব্যাখ্যা করবেই এটাই স্বাভাবিক এবং অন্য সকলকে নিজ দলে টানতে শক্ত যুক্তিতথ্য উপস্থাপন করবেই,যা নিজ দল ভারি করতে সবাই করে।
তবে হ্যা, তার মানে এই নয় যে যথাযথ যুক্তিতথ্য না ব্যবহার করে, সে হযবরল ভাবে ফালতু অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে সমাজে বিদ্বেষ ছড়াবে! যা কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না।

১৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



এম এস নবীন বলেছেন: বিশ্ব যখন জ্ঞান বিজ্ঞান আহরনে ব্যস্ত। তখন আমাদের দেশের মওলানারা মসজিদে ওযু, গোসলের ফরজ শেখায়। বিশ্ব যখন অত্যাধুনিক অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে শক্তির হুংকার ছাড়ে, তখন আমার দেশের মুসলমান কদু খাওয়া, মদু খাওয়া সুন্নতের গল্প শোনায়। আমাদের মওলানারা জানেই না কোন সময় কোন বয়ান দেয়া উচিত। ব্লগ মানেই নাস্তিক, এই কথাটা গাধার মাথায়ও আসে না।

-@এম এস নবীন,
জ্ঞান আহরন করা যায়, ঠিক আছে। কিন্তু, বিজ্ঞানও কি আহরন করার বিষয়? বিজ্ঞান তো গবেষনার বস্তু। এটাকে আহরন বললেন কেন? আলেমদের এত এত ভুল ধরে বেড়ান। অথচ দু'চারটা লাইন নির্ভুলভাবে লিখতে পারেন না!

আপনার ভুল বানানে লেখা ছোট্ট এই মন্তব্যটিই প্রমান করে, তাদের প্রতি এক অদৃশ্য বিদ্বেষ আপনি আপনার ভেতরে লালন করেন। এটা থেকে ফিরে আসা প্রয়োজন।

তখন আমাদের দেশের মওলানারা মসজিদে ওযু, গোসলের ফরজ শেখায়।

-মাওলানারা মসজিদে উজু গোসলের ফরজ শেখাবে না, তো নিউটনের তৃতীয় সূত্র আর ডারউইনের বায়োলোজিক্যাল ইভালুয়েশন ফর দ্য concepts of transmutation of species শেখাবেন?

মুসলমান মাত্রেরই জ্ঞাত থাকার কথা, ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীগন পরকালের অন্তহীন জীবনে বিশ্বাসী। দুনিয়া ক্ষনস্থায়ী। পার্থিব জীবন পরকালের পাথেয় সঞ্চয়ের ক্ষেত্র মাত্র। পারলৌকিক অনাদিকালের জীবনের প্রস্তুতি পর্ব হিসেবে ধর্মীয় জ্ঞান শিক্ষা করা প্রত্যেকের জন্য অত্যাবশ্যকীয়।

পাশাপাশি, বিজ্ঞান শিক্ষা করা মানবকল্যানে গুরুত্বপূর্ন। তবে সেটা প্রত্যেকের জন্য নয়। বিজ্ঞানী সবাই হয় না। হতে পারে না। হওয়া সম্ভবও নয়। বিজ্ঞানকে ধর্মের মুখোমুখি দাড় করিয়ে দেয়াটাও নিছক মূর্খতা। বুঝতে হবে, দু'টোর প্রয়োজন রয়েছে। তবে অবস্থা এবং অবস্থান এক নয়। কোনভাবে একটি অপরটির সাথে তুলনীয় হতে পারে না। পৃথিবীতে কয়েকশো কোটি বিজ্ঞানী কল্পনা করা যায় না। তবে কয়েকশো কোটি নয়, মানুষের সংখ্যা হাজার কোটি কিংবা তারচে' বেশি হলেও তাদের সকলের ধার্মিক হওয়া মোটেই অসম্ভব নয়। বরং, ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন তাদের প্রত্যেকের জন্য ফরজই থেকে যাবে। কিন্তু বিজ্ঞান চর্চা একটি দেশের কিংবা জাতির পক্ষে কিছু লোক করলেই এর সুফল বাকিরা পেতে পারেন।

সুতরাং, ধর্মীয় আবশ্যকীয় বিষয়াদির জ্ঞান অর্জনের সাথে বিজ্ঞান চর্চার মত গুরুত্বপূর্ন পার্থিব জিনিষের তুলনা করার পূর্বে নিজের মাথাকে আরেকটু খাটিয়ে নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে, মনে করি।

বিশ্ব যখন অত্যাধুনিক অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে শক্তির হুংকার ছাড়ে, তখন আমার দেশের মুসলমান কদু খাওয়া, মদু খাওয়া সুন্নতের গল্প শোনায়।

-কদু খাওয়া, মধু খাওয়া সুন্নতের গল্প শোনাবে না তো, এদেশের মুসলমানগন কি অস্ত্র হাতে লম্ফ ঝম্ফ করবে? কোনটা করলে আপনি খুশি হন? বুঝিয়ে বলুন না, আরেকটু! আসলে সমস্যা অন্যখানে নয়তো? সুন্নতের আলোচনা শুনলে আপনার মত কিছু লোকের গাত্রদাহের কোন রোগ নেইতো? তা কদু হোক, আর মধুই হোক।

আমাদের মওলানারা জানেই না কোন সময় কোন বয়ান দেয়া উচিত।

-অতি দ্রুত আমাদের মাওলানাদের বয়ান শিডিউল তৈরির দায়িত্ব আপনার হাতে অর্পন করার জোর দাবি জানাই!

কোন ধর্মের প্রতি ন্যূনতম কটাক্ষ কাম্য নয়। পোস্ট লেখককে ধন্যবাদ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১২

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন:
বিশ্ব যখন অত্যাধুনিক অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে শক্তির হুংকার ছাড়ে, তখন আমার দেশের মুসলমান কদু খাওয়া, মদু খাওয়া সুন্নতের গল্প শোনায়।
#
দারুন বলেছেন,ধন্যবাদ

১৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা খুব মন দিয়ে পড়লাম।
কিন্তু কোনো মন্তব্য করবো না।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ মনদিয়ে পড়ার জন্য। মন্তব্য না করার কোন কারণ দেখছি না!

১৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৫

এভো বলেছেন: নাস্তিকরা নাকি শুধু মাত্র ইসলাম ধর্মের পিছনে লাগে , এই কথাটার সাথে আমি একমত নই ।
যারা মুসলমান ধর্মে জন্ম গ্রহন করেছে তারা, নাস্তিক হয়ে গেলে, ইসলাম ধর্মকে টারগেট করে ।
যারা হিন্দু ধর্মে জন্ম গ্রহন করেছে, তারা নাস্তিক হয়ে গেলে, হিন্দু ধর্মকে টারগেট করে ।
এই ভাবে যার যে ধর্মে জন্ম গ্রহন , সে যদি কোন কারনে নাস্তিক হয়ে যায় তখন মুলত সে ধর্মকে আক্রমণ করে । সে মুলত তার জন্মগত ধর্মের গভিরে অনেক কিছু জানে এবং তার সাথে একমত হতে না পেরে নাস্তিক হয়ে যায় এবং সে কারনে সে মুলত তার জন্মগত ধর্মকে আঘাত করে । সে অন্য ধর্মের গভিরতা সম্পর্কে অত অবগত হয় না সাধারণত,তাই অন্য ধর্মকে সে আক্রমণ করে না , তবে সব ধর্মের ব্যপারে তার সাধারণ মূল্যায়ন সব ধর্ম মানুষের তৈরী । ধন্যবাদ

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৫

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়তর ভাই আমার

১৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৭

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ মূল্যবান মতামতের জন্য। তবে কেন যে এই অতি সাধারণ বিষয়টি বুঝতে পারি না আমরা!

১৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন: ধর্মের কোন বিষয় ভাল না লাগলে বিতর্ক তুলতেই পাবে তবে .. ফলাফল দিয়ে দিতে পারেনা .... নাস্তিকরা ফলাফল দিয়ে দেয় যে অমুক এই কারনে এই করছে অথচ ঘটনার অনেক কারন হতে পারে......

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৫

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: প্রত্যেকের অধিকার আছে যে কোন বিষয়ের নিজস্ব যথাযথ যুক্তিতে ব্যাখ্যা করা এবং সেরা গ্রহনযোগ্য সমাধানটি মেনে নেওয়া। তেমনি অন্যদের মূর্খের মত না চিল্লাপাল্লা করে ঐ যুক্তিসূমহ সর্বোত্তম তথ্য দিয়ে খন্ডাতে পারেন। তবে হ্যা কোন প্রকার যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা না দিয়ে কেহ যদি আক্রমণাত্বক উল্টাপাল্টা লিখেন,তাহলে তা কোনো ভাবেই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। এবং এমনি করে ঐ বিষয়টির যথার্থ ও সর্বোত্তম তথ্য আমি আমরা আমাদের প্রজন্মান্তরের জন্য কোন প্রকার কাজে লাগবে না। বরং সমাজ বিভ্রান্ত হবে, মানুষ প্রগতির পথে যথাযথ পথ নির্দেশনা হতে বঞ্চিত হবে, দেশের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা সেই বিদেশী প্রেতাত্মা ও তাদের এজেন্টরা সহজেই গুজব ছড়িয়ে বাংলার সহজ সরল ধর্মভীরু ভাইবোনদের সহিংস বিপথগামী করবে,আমাদের উন্নয়ন ও বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার পথে বারংবার ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে। সংযুক্ত কারণেই আমরা আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়ার কথা ভুলে গিয়ে নিজেরা নিজেদের মধ্যে ঝড়গা বিবাদ আর রক্তপাতের মত ভয়ঙ্কর কাজে লিপ্ত থাকবো।

১৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫

আটলান্টিক বলেছেন: একদম আমার মনের কথা বলছেন।জ্ঞানীদেরকে কখনো মেনে নেয়নি এই জাতী।একটা ব্লগে সেই দেশের মেধা ও জ্ঞানের প্রতিফলন ঘটে।তাইতো ব্লগ নিয়ে এতো বিদ্বেষ ব্লগারদের এতো অবজ্ঞা।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৭

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: আমার মনে হয় না, সামনে সে দিন আসতে খুব একটা বেশি সময় লাগবে,যে দিন সকল প্রগতিশীল ব্লগারদের নিয়ে উল্টাপাল্টা মাতামাতি থাকবে। অবশ্য সামনের সে দিনের অপেক্ষা যদি উল্টো হয়ে আসে, তবে তো ব্লগারদের কপালের যে কি হাল হয় তা সহজেই অনুমেয়!!

ধন্যবাদ ভাই,ভালো থাকবেন।

১৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫

জাহিদ হাসান বলেছেন: আমার বাপে আমারে কয়- ‘ বালের বলগার, বলগার? B-)

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১২

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: হাহাহাহা, তবে ভাই আমার মনে ধারণা আপনার বাপজানের ব্লগ সম্পর্কে ধারণা নেই নতুবা কেহ তাকে ভুল ব্যাখ্যা বুঝিয়েছে,উত্তম হয় যদি আপনি তাকে একান্তে ব্লগের সংক্ষেপ মূলমন্ত্র বুঝিয়ে দেন।

ধন্যবাদ,শুভকামনা রইল উভয়ের জন্য।

২০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জ্ঞানকে ঠেকাতে যুগ যুগান্ত আবেগকে প্রশ্রয় দেয়া হয়েছে কখনো দেশপ্রেমেরে নামে, কখনো ধর্মের নামে!
অপপ্রচার বন্ধ হোক।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৫

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: অবশ্যই বন্ধ হওয়া অতীবও জরুরী সকল অপপ্রচার।

ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.