নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাহিদার শেষ আমার কাছে , আমি সুখী, রাজ্য- প্রজাহীন রাজা , ......

অর্ধ চন্দ্র

আমি মানুষ,আমি গর্বিত এবং দৃঢ় চিত্তে ভীষণ উচ্ছ্বাসিত, স্বপ্নীল সোঁনার বাংলার বিশ্বে মাথা উঁচু, আপনা পূর্ণতা নিয়ে।

অর্ধ চন্দ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

লেখকের পাওয়া,পাঠকের চাওয়া

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫১



প্রত্যেকের অধিকার আছে যেকোন বিষয়ের নিজস্ব যথাযথ যুক্তিতে ব্যাখ্যা করা এবং সেরা গ্রহনযোগ্য সমাধানটি মেনে নেওয়া। তেমনি অন্যদের মূর্খের মত না চিল্লাপাল্লা করে ঐ যুক্তিসূমহ সর্বোত্তম তথ্য দিয়ে খন্ডাতে পারেন। তবে কোন প্রকার যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা না দিয়ে কেহ যদি আক্রমণাত্বক উল্টাপাল্টা লিখেন,তাহলে তা কোনো ভাবেই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না।

এমনি করে ঐ বিষয়টির যথার্থ ও সর্বোত্তম তথ্য আমি আমরা আমাদের প্রজন্মান্তরের জন্য কোন প্রকার কাজে লাগবে না। বরং সমাজ বিভ্রান্ত হবে, মানুষ প্রগতির পথে যথাযথ পথ নির্দেশনা হতে বঞ্চিত হবে, দেশের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা সেই বিদেশী প্রেতাত্মা ও তাদের এজেন্টরা সহজেই গুজব ছড়িয়ে বাংলার সহজ সরল ধর্মভীরু ভাইবোনদের সহিংস বিপথগামী করবে,আমাদের উন্নয়ন ও বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার পথে বারংবার ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে। সংযুক্ত কারণেই আমরা আগামীর পথে এগিয়ে যাওয়ার কথা ভুলে গিয়ে নিজেরা নিজেদের মধ্যে ঝড়গা বিবাদ আর রক্তপাতের মত ভয়ঙ্কর কাজে লিপ্ত থাকবো।

আর তাই একজন সত্যিকার প্রগতিশীল জ্ঞানী দেশপ্রেমিক,আধুনিক সমাজে মানবতার স্মার্ট সেবক হিসাবে প্রতিটি লেখকগন তাদের লেখার যথাযথ যুক্তি তথ্য দিয়ে, আমাদের মত শিক্ষানবিশ নগন্য পাঠক এবং আগামী প্রজন্মদের ভবিষ্যত এগিয়ে চলার শক্ত ভীত গড়ে দিবেন।

আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে মনে হয় যে,নিশ্চয় প্রতিটি লেখকের তার লেখার একটা মূলমন্ত্র থাকে,যা হতে মানুষ তার সামনের জীবনে আগত সমস্যাসূমহের সহজ সর্বত্তম পথ চিনতে ও হৃদয়ে ধারণ করে, নিজ পরিবার,সমাজ,দেশের তরে আপনা বিলিয়ে জন্ম সার্থকতা খুজে পাই। এবং লেখকের লেখা সূমহ ইতিহাসে শক্ত জায়গা করে নেই,যা সেই লেখকের জন্য হয় সর্বচ্চ সম্মানের সার্থকতা, পরিপূর্ণ তৃপ্ততা অর্জন।

নাকি লেখক শুধু লিখেই চললেন , কিছু পাঠক পাঠ অনিচ্ছাগ্রস্থ চোখে করলেন, তারপর সে লেখাটি জঞ্জালের মত ময়লা আবৃত পড়ে রইল অথবা সহজে কম সময়ে নাম কামানোর নিমিত্তে লেখক উল্টাপাল্টা বিভ্রান্তি কিংবা বিদ্বেষ মূলক একটা লিখলেন, এক শ্রেণীর পাঠকগন না বুঝে তা নিয়ে সাধারণ মানুষদের সংযুক্ত করে দুচারদিন হাস্যকর হৈচৈ হানাহানিতে মত্ত রইল! আর এমনটি করে উনি উঁচু লেখক বনে গেলেন! আসলে এভাবেই কি শক্ত লেখক তৈরি হতে পারে,নাকি কখনো কোনদিন কেউ হতে পেরেছে? না, এমন পন্থানুসরণ করে কেহ খুব বেশিপথ যেতে পারেনি,শুরুতেই সে লেখক নামের করুণ মৃত্যু ঘটেছে, ইতিহাস এবং বাস্তবতা তার নির্মম স্বাক্ষী চিরকাল।

অবশ্য কিছু ব্যতিক্রমী সফল জ্ঞানপাপী লেখক দেখা যায় নির্দিষ্টভাবে একটা গোষ্ঠীগৃহের মাঝে, যারা সেই লেখকের একপ্রকার অন্ধভক্ত বলাই যেতে পারে,কেননা এই জাতীয় লেখকগন শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে একটা নির্ধারিত উদ্দেশ্য নিয়ে লিখে থাকেন। যার পাঠক ঐ সম্প্রদায়ের মাঝেই সিমাবদ্ধ থাকে। এই ধরণের লেখকদের আদৌ সফল লেখক বলা হয় কিনা তা আমার জানা নেই!

তবে হ্যা,একজন লেখক সাধারণত শতভাগ পাঠক প্রশংসিত হতে পারে না কখনো কোনদিন। তিনিই সফল এবং স্মরণীয় হয়ে যুগের পর যুগ মানুষের হৃদয়ের গভীরে জায়গা করে নেন,থাকেন। যার লেখা বিষয় সূমহ অধিকাংশ মানুষের জীবনে প্রতিনিয়ত কোন না কোন ভাবে সর্বোত্তম পথের সন্ধান,সমাধান,অনুপ্রেরণা,আশা,ভালোবাসা,মহৎ,মহান, আলোর পথ দেখিয়ে সুখ, শান্তি,সমৃদ্ধি, অগ্রগতি,প্রগতি ও মানবতার পাথেয় হয়ে অঙ্গাঙ্গি ভাবে অবিচ্ছেদ্য জড়িয়ে রয় চিরকাল।

সকল সমৃদ্ধ লেখকদের কাছে আমাদের অনেক চাওয়া পাওয়া,আমরা আপনাদের অনুজ। আপনাদের অনুকরণ করে কিছু শিখতে চাই এবং সে শিক্ষা বাস্তব সমাজ জীবনে কাজে লাগাতে চাই। এই ছোট্ট চাওয়া একজন নগন্য পাঠকের জন্য নিশ্চয় খুব একটা বেশি কিছু নয়। সকল লেখকের প্রতি একজন ছোট্ট গর্বিত বাঙ্গলী হিসাবে,শুভেচ্ছা শুভ কামনা রইল।।

বিঃদ্রঃ সম্মানিত লেখক মহোদয় গনের লেখা নিয়ে কথা বলার বিন্দু পরিমান নূন্যতম যোগ্যতা জ্ঞান আমার নেই,তা আমি খুব ভালো করেই জানি। তবুও এই কষ্টার্জিত সোঁনার বাংলার একজন সামান্য নাগরিক হিসাবে,কিছু চাওয়া বা স্বপ্ন দেখা নিশ্চয় খুব একটা দোষের কিছু নয়। আর আমার কোথাও ভুল হলে,হতেই পারে!সে জন্য নিজগুনে ক্ষমা করবেন নিশ্চয়।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


পাঠকদের আলোচনা, সমালোচনাই লেখকের ভাবনা, বিষয়বস্তু ও প্রকাশকে রিফাইন করতে সাহায্য করে; পাঠকের মতামতের দাম না দিলে লেখকের শেষ ঘন্টা বাজবেই।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২১

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়তর আপনাকে। আপনি আপনারা আমার আমাদের মত নতুনদের জন্য বিশেষ অনুপ্রেরণা। আমি ব্যক্তিগত ভাবে আপনার দেখা পেয়ে ধন্য।

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: লেখক লিখেন নিজের ভাবনাকে পূঁজি করে।। আর পাঠকরাও ভাবেন নিজের মত করে।। যেখানেই সম্মিলন অধিক, সফলতাও সেখানেই বেশী।।
তবে এটাও ভুলে গেলে চলবে না, কেউ দুধ বেঁচে মদ খায়, কেউবা আবার মদ বেঁচে দুধ।।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৪

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: হাহাহাহা, দারুন বলেছেন,তবুও আমরা ধন্য যে খাই তারা ফেলে না দিয়ে!

৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৯

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:



মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে।
তাই আমরা সারা জীবন --
১. পড়তে পড়তে শিখি;
২. লিখতে লিখতে শিখি;
৩. সমালোচনা শুনতে শুনতে শিখি;
৪. সমালোচনা করতে করতে শিখি।

তবে কোন লেখকেরই উচিত না আক্রমণাত্মক কোন কিছু লেখা ।
আবার কোন সমালোচকেরও উচিত না লেখককে আক্রমণ করে কোন কিছু লেখা।

আমাদের সংবিধানে চমৎকার ভাবে বলা আছে--বাক স্বাধীনতা বা লেখার স্বাধীনতা কতগুলি সর্ত সাপেক্ষ।
যেমন-- এমন কিছু বলা বা লেখা যাবে না যা--
১. রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নষ্ট করে,
২. বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট করে,
৩. জনশৃঙ্খলা নষ্ট করে যেমন কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন,
৪. শালীনতা ভঙ্গ করে,
৫. নৈতিকতার বিরোধী,
৬. আদালত-অবমাননাকর,
৭. কোন মানুষের মানহানি ঘটায়,
৮. অপরাধ-সংঘটনে প্ররোচনা মূলক।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪৫

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: ধন্যবাদ সাংবিধানিক বিষয় সূমহ জানানোর জন্য।

৪| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:০৮

আটলান্টিক বলেছেন: কিছু কিছু লেখক আছে যারা লেখে মনের আনন্দে।আর কিছু লেখক আছে যারা লেখে পাঠকের মন বুঝে।২য় শ্রেনীর লেখকদের দ্বারাই পাঠকদের বেশিরভাগ সময় ক্ষতি হয়ে থাকে।সম্পূর্ণ চিত্রটা আপনি বেশ ভালভাবেই তুলে ধরেছেন।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:১৭

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: জি সামান্য চেষ্টামাত্র, ধন্যবাদ লেখাটি ভালোলাগার জন্য।

৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭

জাহিদ অনিক বলেছেন:
পাঠক চায় তার নিজের কোথাগুলোই ঘুরেফিরে আসুক লেখকের লেখায়;
লেখক কি চায় জানি না। কিছু একটা চায় যা সে লিখতে পারে না

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০২

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: তবুও যে লিখতে হয় আপনারে আপন করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.