নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মুহাম্মদ এনামুল হক আপনাদেরই লোক

ঢাকার লোক

বাংলা ভালোবাসি

ঢাকার লোক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুপারিশ করে জান্নাতে নিতে পারবে কারা এবং কাদের ?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪১

আমাদের দেশে অনেক পীর, মাওলানা, ওয়ায়েজ দাবী করে থাকেন তারা তাদের মুরিদ বা সহযোগীদের জন্য বিচার দিবসে আল্লাহর নিকট সুপারিশ (সাফায়াত) করে তাদেরকে জান্নাতে নিয়ে যাবেন।

আল্লাহ পাক সূরা বাকারার ৪৮ নং আয়াতে বলেন,
وَاتَّقُواْ يَوْماً لاَّ تَجْزِي نَفْسٌ عَن نَّفْسٍ شَيْئاً وَلاَ يُقْبَلُ مِنْهَا شَفَاعَةٌ وَلاَ يُؤْخَذُ مِنْهَا عَدْلٌ وَلاَ هُمْ يُنصَرُونَ
আর সে দিনের ভয় কর, যখন কেউ কারও সামান্য উপকারে আসবে না এবং তার পক্ষে কোন সুপারিশও কবুল হবে না; কারও কাছ থেকে ক্ষতিপূরণও নেয়া হবে না এবং তারা কোন রকম সাহায্যও পাবে না।
প্রায় একই সাবধান বাণী উচ্চারিত হয়েছে ১২৩, ২৫৪ নং আয়াতে ,
وَاتَّقُواْ يَوْماً لاَّ تَجْزِي نَفْسٌ عَن نَّفْسٍ شَيْئاً وَلاَ يُقْبَلُ مِنْهَا عَدْلٌ وَلاَ تَنفَعُهَا شَفَاعَةٌ وَلاَ هُمْ يُنصَرُونَ
তোমরা ভয় কর সেদিনকে, যে দিন এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তি বিন্দুমাত্র উপকৃত হবে না, কারও কাছ থেকে বিনিময় গৃহীত হবে না, কার ও সুপারিশ ফলপ্রদ হবে না এবং তারা সাহায্য প্রাপ্ত ও হবে না।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَنفِقُواْ مِمَّا رَزَقْنَاكُم مِّن قَبْلِ أَن يَأْتِيَ يَوْمٌ لاَّ بَيْعٌ فِيهِ وَلاَ خُلَّةٌ وَلاَ شَفَاعَةٌ وَالْكَافِرُونَ هُمُ الظَّالِمُونَ
হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যে রুযী দিয়েছি, সেদিন আসার পূর্বেই তোমরা তা থেকে ব্যয় কর যে দিন না আছে বেচা-কেনা, না আছে সুপারিশ কিংবা বন্ধুত্ব। আর কাফেররাই হলো প্রকৃত যালেম।

উপরোক্ত আয়াতগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে একজনের মনে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক বিচার দিবসে আদৌ কোনো সুপারিশ করা হবে কিনা !

কোরানের অন্যতম শ্রেষ্ট আয়াত বলে পরিচিত আয়াতুল কুরসী ( বাকারা: ২৫৫ ) তে আল্লাহ বলেন,
اللّهُ لاَ إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ
..... কে আছ এমন, যে সুপারিশ করবে তাঁর কাছে তাঁর অনুমতি ছাড়া? ......

এছাড়াও বিভিন্ন আয়াতে সুপারিশ হবে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে , তবে শর্ত সাপেক্ষে, যেমন ,
সূরা মুদ্দাস্সিরের ৪৮ নং আয়াতে বেনামাযী বিচারদিবসে অস্বীকারকারীদের প্রসঙ্গে বলেন ,
فَمَا تَنفَعُهُمْ شَفَاعَةُ الشَّافِعِينَ
অতএব, সুপারিশকারীদের সুপারিশ তাদের কোন উপকারে আসবে না .
يَوْمَئِذٍ لَّا تَنفَعُ الشَّفَاعَةُ إِلَّا مَنْ أَذِنَ لَهُ الرَّحْمَنُ وَرَضِيَ لَهُ قَوْلًا
দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দেবেন এবং যার কথায় সন্তুষ্ট হবেন সে ছাড়া কারও সুপারিশ সেদিন কোন উপকারে আসবে না।(সূরা তা হা :১০৯)
يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يَشْفَعُونَ إِلَّا لِمَنِ ارْتَضَى وَهُم مِّنْ خَشْيَتِهِ مُشْفِقُونَ
তাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যা আছে, তা তিনি জানেন। তারা শুধু তাদের জন্যে সুপারিশ করে, যাদের প্রতি আল্লাহ সন্তুষ্ট এবং তারা তাঁর ভয়ে ভীত। (সূরা আম্বিয়া :২৮ )
وَكَم مِّن مَّلَكٍ فِي السَّمَاوَاتِ لَا تُغْنِي شَفَاعَتُهُمْ شَيْئًا إِلَّا مِن بَعْدِ أَن يَأْذَنَ اللَّهُ لِمَن يَشَاء وَيَرْضَى
আকাশে অনেক ফেরেশতা রয়েছে। তাদের কোন সুপারিশ ফলপ্রসূ হয় না যতক্ষণ আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছা ও যাকে পছন্দ করেন, অনুমতি না দেন।(সূরা নজম :২৬ )

আনাস ইবনে মালিক বর্ণিত এক দীর্ঘ হাদিস থেকে জানা যায় রাসুল্লাহ (স) হাসরের দিন সাফায়াত করবেন । Click This Link

. স্বয়ং আল্লাহ বলেছেন, রাসূল প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না ,

, وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَى
এবং প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না।(সূরা নজম :৩)

উপরোক্ত আয়াতসমূহ পর্যালোচনা করে আলেমগণ একমত যে সাফায়াত হবে, তবে তার জন্য ৩ টি অপরিহার্য শর্ত পূর্ণ হতে হবে ,

১. একমাত্র আল্লাহর অনুমোদিত ব্যাক্তিই সাফায়াত করতে পারবেন
২. সাফায়াতকারী অবশ্যই আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে হবে
৩. যার জন্য সাফায়াত করা হবে তারও প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং অনুমোদন থাকতে হবে

এর যে কোনো একটি শর্তও অপূর্ণ থাকলে সাফায়াত গ্রহণযোগ্য হবে না । অর্থাৎ যে কেউ যাকে তাকে সুপারিশ করে জান্নাতে নিয়ে যাবে তা হবে না । যারা সুপারিশ করবেন আশা করেন এবং আমরা যারা রাসূলের (স) বা আল্লাহর কোনো প্রিয় বান্দার সুপারিশ আশা করি, সবাইকেই সুপারিশ করা বা পাওয়ার উপযুক্ত করে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে, গুনাহ থেকে বেঁচে থেকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সচেষ্ট হতে হবে, এবং আল্লাহর কাছে তাঁর এ অনুগ্রহের জন্য দোআ করতে হবে !
আল্লাহর এই বিশেষ অনুগ্রহ লাভের বিষয়ে নিজে জীবদ্দশায় নিশ্চিত হওয়া কতটা সম্ভব ? এবং নিজে নিশ্চিত না হয়ে অন্য কাউকে সুপারিশ করে জান্নাতে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া কতটা বাস্তবসম্মত ভাবনার বিষয় সন্দেহ নেই !

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫১

হাবিব বলেছেন: জাযাকাল্লাহ

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

ঢাকার লোক বলেছেন: জাযাকাল্লাহ

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৫

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

ঢাকার লোক বলেছেন: জাযাকাল্লাহ

৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আল্লাহপাক আমাদেরকে এগুলি আমল করার তৌফিক দিন ; আমীন।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

ঢাকার লোক বলেছেন: আমীন

৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ৭০ টা হুর পরী দিয়া-
আমার তো কাম নাই---
ও আমি দোযকে যাবো-----

৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আল্লহর রতমত থেক কেউ যেন মাহরুম না হয়।
তিনি পরম পরিক্রমশালী ও দয়ালূ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

ঢাকার লোক বলেছেন: আমীন

৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আল্লাহ'র রাসূলের সাফায়াত লাভের জন্য নিজেকে উপযুক্ত করে গড়ে তোলার সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে জীবন যাপনের ব্যাপারে আল্লাহ'র হুকুম আহকামগুলো সম্পর্কে ক্বুর'আন পাঠ ও সঠিক অনুধাবন করে জেনে নেয়া এবং আল্লাহ'র রাসূলের সুন্নাহ অনুসরণ করা।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ, পোস্টে প্লাস + +।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৫০

ঢাকার লোক বলেছেন: ঠিক বলেছেন, ভাই, জাজাকাল্লাহু খাইরান !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.