নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মুহাম্মদ এনামুল হক আপনাদেরই লোক

ঢাকার লোক

বাংলা ভালোবাসি

ঢাকার লোক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাদিসের নামে জালিয়াতি (১)

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৪

"আতিউল্লাহ ওয়া আতিউর রাসূল " - "আল্লাহকে মানো এবং রাসূলকে মানো" কোরানে আল্লাহ্পাক বিভিন্নস্থানে আল্লাহকে মানার সাথে রাসূল (স) কে মানার নির্দেশ দিয়েছেন, তাই রাসুল্লাহ (স) এর হাদিস সমূহকে সঠিক ভাবে জানা প্রতিটি মুসলমানের জন্য অপরিহার্য্য !

রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, যে ব্যাক্তি আমার নামে মিথ্যা বলে ,সে তার জায়গা জাহান্নামে করে নিলো ." (বুখারী, মুসলিম ) এইখানে দেখুন Click This Link

রাসূলুল্লাহ (স) এর (১) কাজ, (২) কথা/নির্দেশ ও (৩) তাঁর সময় কেউ একটা কাজ করেছেন এবং রাসূল (স) তাতে সম্মতি দিয়েছেন বা নিষেধ করেননি, তেমন সবকিছুকেই রাসূল (স) এর হাদিস বলা হয়ে থাকে ।

রাসূল (স) এর জীবদ্দশায় এগুলো বিভিন্ন সাহাবীদের কাছে , কারো স্মৃতিতে, কারো কাছে লিখিত আকারে, ছিল এবং অনেক পরে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট আলেম/ ইমাম বছরের পর বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে সেগুলো বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে একত্রিত করেন । ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল, ইমাম তিরমিযী, ইমাম নাসায়ী এমনি কয়েকজন বিখ্যাত হাদিস সংকলক ।
হাদিস সংগ্রহ করার সময় তাঁরা হাদীসটির সত্যতা যাচাই করতে সাধ্যমতো সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে চেষ্টা করেছেন । হাদিসের বক্তব্য, বর্ণনা কারীর ধর্মীয় জ্ঞান, আকিদা, তাকওয়া, সামাজিক পরিচিতি, স্মৃতি শক্তি ইত্যাদি বিশেষ বিবেচনায় নিয়েছেন । সত্যতা যাচাইয়ের মাপকাঠিতে ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম এর সংকলিত হাদিসগুলোকে সর্বাধিক বিস্বস্ত বলে ইসলামিক দুনিয়ায় সকলে একমত ।
পরবর্তীতেও বিভিন্ন ইমামগণ এ সকল হাদিসের বক্তব্য ও তাদের বর্ণনাকারী ব্যাক্তিবর্গের জীবন পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করে হাদিস গুলোর সত্যতা যাচাই করেছেন । এদের মধ্যে ইমাম নাসিরুদ্দিন আলবানীর হাদিস শ্রেণীকরণ বর্তমানে ব্যাপক ভাবে সমাদৃত । সত্যতা বিচারে যে হাদিসগুলো প্রশ্নাতীত ভাবে উত্তীর্ণ সেগুলোকে "সহী (সঠিক/সত্য ), যেগুলো সামগ্রিক ভাবে উত্তীর্ণ সেগুলো "হাসান" (ভালো) , এবং যেগুলোর মাতন (বক্তব্য) বা সনদ (বর্ণনাকারীদের ইন্টিগ্রেটি) সম্পর্কে অস্পষ্টতা/ সন্দেহ বিদ্যমান, সেগুলোকে "দয়ীফ" বা দুর্বল হাদিস হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে । কোনো কোনো ইমাম তাদের সংকলনে দুর্বল হাদিসগুলো যে তাদের কাছেও দুর্বল মনে হয়েছে তা উল্লেখ করেছেন এবং কি কারণে তা দুর্বল তাও উল্লেখ করেছেন ভবিষ্যতে যাতে কোনো প্রশ্ন না উঠে । দুর্বল হাদিসগুলো আমল করার ব্যাপারে প্রায় সবাই নিরুৎসাহিত করেছেন, বিশেষ করে যখন তার বিপরীতে বা একই বিষয়ে অন্য কোনো সহী বা হাসান হাদিস থাকে ।
এ ছাড়া আরেক ধরনের অগণিত ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথাকথিত "হাদিস" যুগ যুগ ধরে আমাদের সমাজে প্রচারিত হয়েছে ও হচ্ছে যাকে জাল হাদিস বা বানোয়াট হাদিস বলা হয়, সেগুলো আদতে প্রাথমিক কালের কোনো হাদিস সংকলনে দেখা যায় না, পরবর্তীতে বিভিন্ন জন মূলত নিজস্ব বা গোষ্ঠী স্বার্থ সিদ্ধির জন্য, নিজস্ব ধারণায় প্রভাবিত হয়ে অথবা ইসলামকে তার মূল পথ থেকে বিচ্যুত করার দুরভিসন্ধিতে কিছু কিছু মনগড়া কথা হাদিসের নামে বইয়ে বা প্রচার মাধ্যমে যোগ করেছে । সঠিক জ্ঞানের অভাবে এগুলো যদিও সাধারণ অসচেতন মুসলমানদের কাছে এখনো হাদিস নামে পরিচিত, বিভিন্ন আলেমগণের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ তা ধীরে ধীরে সাধারণের গোচরে আসছে। এমনি একজন আলেম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক, ড. খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, তাঁর "হাদিসের নামে জালিয়াতি " বইয়ে আমাদের দেশে প্রচলিত এমনি অসংখ্য জাল হাদিস এবং কি কারণে হাদিসগুলো জাল, তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন । এ লেখার মূল উদ্দেশ্য তেমনি কিছু জাল হাদিসের সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা যাতে আমরা এ থেকে সতর্ক হতে পারি, যারা বিস্তারিত জানতে আগ্রহী তারা উক্ত বই পড়তে পারেন ।

আজকের এই প্রথম পর্বে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (স) সম্পর্কিত ভিত্তিহীন কিছু প্রচলিত কথা বা বিশ্বাস তুলে ধরা হলো,

১) রাসূল (স) এর অলৌকিক অস্বাভাবিক জন্মগ্রহণ সম্পর্কিত কিছু গল্প সমাজে প্রচলিত আছে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন
২) হিজরাতের সময় সাওর গিরিগুহায় আবু বাকারকে সাপে কামড়ানো
৩) মিরাজের রাত্রিতে রাসূল (স) পাদুকা পায়ে আরশে আরোহন করেছিলেন
৪) মিরাজের রাত্রিতে রাসূল (স) কে "আত্তাহিয়াতু -- " দেয়া হয়
৫) রাস্তায় এক হরিণীর সাথে রাসূল (স) এর কথা বলা
৬) জাবির (রা) এর বাড়ি দাওয়াত খেতে গিয়ে তার মৃত সন্তানদের জীবিত করা
৭) উকাশা কর্তৃক রাসূল (স) এর উপর প্রতিশোধ নিতে তাঁর পেটে চুমু খাবার গল্প
৮) রাসূল (স) এর ইন্তেকালের সময় এক বেদুঈনের বেশে মালাকুল মউতের আগমন ও আলাপ আলোচনা/কথোপকথন শেষে রূহ কব্জা করেন
৯) ইন্তেকালের পর ১০ দিন দেহ মুবারক রেখে দেয়া হয়
১০) রাসূল (স) জন্ম থেকেই কোরান জানতেন
১১) রাসূল (স) এর দাঁতের নূরের আলোকে আয়েশা (রা) অন্ধকারে হারানো সুঁই খুঁজে পান
১২) রাসূল (স) ইন্তেকাল পরবর্তী জীবন (বারযাখী জীবন ) দুনিয়ার জীবনেরই মতো
১৩) তিনি মিলাদের মাহফিলে উপস্থিত হন
১৪) তিনি গায়েব জানতেন

রেফারেন্স https://islamhouse.com/bn/books/806568/

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩১

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আল্লাহ এদের সঠিক বুঝ দান করুন।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০১

রাজীব নুর বলেছেন: সব কিছুতেই ভেজাল।
হাদিসেও ভেজার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.