নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মুহাম্মদ এনামুল হক আপনাদেরই লোক

ঢাকার লোক

বাংলা ভালোবাসি

ঢাকার লোক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে বিয়ের অন্যতম অপরিহার্য শর্ত মেয়ের অভিবাবকের অনুমোদন

১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৫৮

সেদিন এক টিভির ইসলামিক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে এক ভদ্রলোক প্রশ্ন করলেন তার ছেলে এক মেয়েকে গোপনে কাজির অফিসে গিয়ে বিয়ে করেছে, কাজী ছাড়া বিয়েতে কাজির অফিসে সাক্ষী হিসাবে উপস্থিত ছিল মেয়ের দুই বন্ধু, ছেলের পক্ষে কেউ না। প্রশ্ন কর্তার এ বিয়েতে মত নেই, জানতে চাইলেন ছেলের এ বিয়ে শরীয়ত মতে হয়েছে কিনা। আরেক মহিলা প্রশ্ন করলেন তার ভাগ্নি এক হিন্দু ছেলেকে বিয়ে করেছে কাজির অফিসে, সাক্ষী হিসাবে উপস্থিত ছিল মেয়ের এক বোন। তারও প্রশ্ন, এ বিয়ে হয়েছে কিনা।
বিবাহ দুইজন ছেলে ও মেয়ের জীবনে দায়িত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনুমোদনের একটা অতি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিধান, সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও সামগ্রিক কল্যাণ নিশ্চয়তা বিধানের জন্য ইসলাম এ বিষয়ে কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেছ। মেয়ের সম্পূর্ণ মত থাকা ছাড়াও বিয়ের গুরুত্বপূর্ণ শর্তগুলোর মাঝে একটি হলো, মেয়ের ওয়ালী বা পুরুষ অভিভাবকের সম্মতি থাকা। রাসূলুল্লাহ (স) বলেন, "কোনো মহিলা যদি তার অভিবাবকের অনুমোদন ছাড়া বিয়ে করে তো তার সে বিয়ে বাতিল, তার সে বিয়ে বাতিল, তার সে বিয়ে বাতিল!" (তিরমিজি ১০২১ এবং একে সহী বলা হয়েছে)
রাসূলুল্লাহ (স) আরো বলেন, "একজন অভিবাবক ও দুইজন সাক্ষী ব্যাতিত কোন বিয়ে নেই।" (আল তাবরানী, সহী আল জামি, ৭৫৫৮)
মেয়ের ওয়ালী বা অভিভাবক হতে হবে পুরুষ। মেয়ের বাবা, বাবা না থাকলে প্রাপ্ত বয়স্ক ভাই, তাও না থাকলে দাদা, আপন চাচা, প্রাপ্ত বয়স্ক ভাস্তে ইত্যাদিও অভিবাবকের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। কোনো মেয়ের এমন কেউই না থাকলে স্থানীয় মসজিদের পরহেজগার ইমাম পাত্র পাত্রীর পরিচয় সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়ে এ দায়িত্ব পালন করতে পারেন।
এছাড়া বিয়ে গোপন না করে বরং সমাজে জানানোও একান্ত জরুরি, যদিও কোনো কোনো আলেম জানানোকে মুস্তাহাব (ভালো) বলেছেন, অনেকে জানানোকে বিয়ের আরেকটি অপরিহার্য শর্ত হিসাবেই মনে করেন, কেননা আমির বিন আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের তার পিতার বরাত দিয়ে উল্লেখ করেছেন,রাসূলুল্লাহ (স) নির্দেশ দিয়েছেন, " বিয়ে সম্বন্ধে ঘোষণা কর, জানাও।" (ইমাম আহমদ: ১১৬১৩০, সহী আল জামিতে এ হাদীসটিকেও হাসান বলা হয়েছে , ১০২৭ রাসূলুল্লাহ (স) আব্দুর রহমান ইবনে আউফকে তার বিয়ের সময় নির্দেশ দিয়েছিলেন, "ওয়ালিমা কর, একটা ভেড়া দিয়ে হলেও।" (বুখারী, মুসলিম) ) তখনকার দিনে এই জানানো বা ঘোষণা হতো ঢাক পিটিয়ে অথবা ছেলের পক্ষ থেকে ওয়ালিমার আয়োজন করে।
উপরে উল্লেখিত টিভিতে করা প্রশ্নগুলো আমাদের বর্তমান সমাজে, বিশেষত যুব সমাজে, বিবাহ সম্পর্কিত নিয়ম নীতির অজ্ঞতা ও অবহেলার একটা চিত্র তুলে ধরেছে। পারিবারিক কলহ, অনিশ্চয়তা, অশান্তি পরিহার করে ভবিষ্যৎ সংসার জীবন সুন্দর সহজ ও নির্ঝঞ্জাট করতে সুস্থ সামাজিক ও ধর্মীয় বিধানের প্রতি অবজ্ঞা মোটেও কাম্য নয়। এ বিষয়ে আমাদের যুব সমাজের আরো যত্নবান হওয়া আবশ্যক।
আমাদের দেশে যারা বিবাহ রেজিস্টার করেন সেই সকল কাজী সাহেবগন কিভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত হন জানিনা, তাদের ধর্মীয় জ্ঞান বিবেচনা করা হয় কিনা সে এক প্রশ্ন! সামাজিক বিশৃঙ্খলা প্রসারে মদদ না দিয়ে তারা ইসলামিক শর্তাবলী পূরণ না হলে বিয়ে রেজিস্টার করা থেকে বিরত থাকবেন সেটিও নিশ্চিত করা আবশ্যক। এ বিষয়ে তাদের নিয়োগকারী সংস্থা কার্য্যকর ব্যাবস্থা নিতে পারে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০৮

উদারত১২৪ বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ,, ইসলামের তুলনা শুধুই ইসলাম,,,, আল্লাহ তোমার দরবারে শতহাজার কুটি শুকরিয়া, আমায় তুমি মুসলমান ঘরে জন্ম দিয়ে ইসলামের ছায়ায় রেখেছ,

২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:০৪

বিটপি বলেছেন: অভিভাবক ছাড়া বিয়ে হাদীস অনুযায়ী বাতিল হতে পারে, কিন্তু হিন্দুর সাথে বিয়ে, সে তো কুরআনেই বাতিল। মুসলিম ঘরের সন্তান হয়েও যারা হিন্দু বিয়ে করে, তাদের সাথে তো রক্তের সম্পর্কই বাতিল হয়ে যায়। তারা পিতামাতার সম্পত্তি থেকেও বঞ্চিত হয়। অবশ্য ইসলামের বিধি বিধান না মানলে অন্য কথা।

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:০৬

কামাল১৮ বলেছেন: গ্রন্থের নামঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
হাদিস নম্বরঃ (3306)
অধ্যায়ঃ ১৭। বিবাহ
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ৩. মুত্’আহ বিবাহ বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, অতঃপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং তা কিয়ামাত পর্যন্ত স্থির থাকবে
৩৩০৬-(১৫/…) হাসান আল হুলওয়ানী (রহঃ) ….. আত্বা (রহঃ) বলেন, জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) উমরাহ পালন করতে এলেন। তখন আমরা তার আবাসে তার নিকট গেলাম। লোকেরা তার নিকট বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞেস করল। অতঃপর তারা মুত‘আহ সম্পর্কে উল্লেখ করলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে এবং আবূ বাকর (রাযিঃ) ও উমার (রাযিঃ) এর যুগে মুত’আহ (বিবাহ) করেছি।*। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩২৮১, ইসলামীক সেন্টার ৩২৭৯)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih
এখানে কারো কাছ থেকে অনুমতি নেয়ার কথা লেখা নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.