নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মুহাম্মদ এনামুল হক আপনাদেরই লোক

ঢাকার লোক

বাংলা ভালোবাসি

ঢাকার লোক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে ঋণ করা

০৯ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৪৩

প্রয়োজনে ঋণ করা ইসলামে জায়েজ। তবে ইসলাম ঋণ থেকে বেঁচে থাকতে উৎসাহিত করেছে। রাসূলুল্লাহ (স) ঋণ করা থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চেয়েছেন ও উম্মতকে দোআ করতে শিখিয়েছেন।

ঋণ করার বিষয়ে আল্লাহ পাক কোরানে ঋণের লেন দেনের চুক্তি ফেরত দেয়ার সময় নির্ধারণ সহ লিখিত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন (সূরা বাকারা আয়াত ২৮২)। লিখার সুযোগ না থাকলে উপযুক্ত সাক্ষী রাখতে বলেছেন যাতে পরবর্তীতে ঋণ দাতা ও গ্রহীতার মাঝে সন্দেহ বা মতানৈক্য হয়ে কোনো কলহ বিবাদ না হয়।

একই সুরায় ২৭৫-২৭৬ নম্বর আয়াতে ইসলাম সুদকে হারাম ঘোষণা করায় সুদে ঋণ দেয়া বা নেয়া উভয় হারাম করা হয়েছে।

ঋণগ্রস্থ ব্যাক্তির জন্য দান সাদাকা, হজ ইত্যাদি করার বিষয়ে আলেমগণ তাদেরকে দুই শ্রেণীতে ভাগ করেছেন। যাদের ঋণ পরিশোধের নির্ধারিত সময় ইতিমধ্যে হয়ে গেছে তাদের জন্য দান সাদাকা বা হজ করার আগে ঋণ পরিশোধ করা অবশ্য কর্তব্য। ঋণ পরিশোধে অবহেলা করে দান সাদাকা বা হজ করলে তা আল্লাহ কবুল করবেন না বলে মনে করেন। এমতাবস্থায় ঋণ দাতা যদি গ্রহীতাকে ফেরত দেওয়ার সময় বাড়িয়ে দেন তবে ভিন্ন কথা।

আর যাদের ঋণ পরিশোধের নির্ধারিত সময় এখনো দেরি আছে, সময় মতো পরিশোধে আন্তরিক এবং সেই সাথে সক্ষম এ বিষয়ে নিশ্চিত, তারা দান সাদাকা বা হজ করতে পারবেন। তবে তাদেরও উচিত ঋণ আগে পরিশোধ করে পরে অন্য্ সকল অর্থনৈতিক ইবাদাতে মন দেয়া।

আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সকল প্রকার ঋণ থেকে হেফাজত করুন।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:০৯

কামাল১৮ বলেছেন: ইসলামে সুদ হারাম।কিন্তু বর্তমান বিশ্ব সুদ ছাড়া এক পা চলতে পারবেনা।

১০ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:০৬

ঢাকার লোক বলেছেন: সারা বিশ্ব কি করে তা আমার বা আপনার দেখার বিষয় নয়। আপনি আপনার চতুর্পাশে, এমনকি পরিবারেই এমন অনেক লোকজন পাবেন যারা কোনোদিন সুদী ব্যাংকে টাকা রাখেননি, কাউকে সুদ ভিত্তিক ঋণ দেননি বা কারো কাছ থেকে ঋণ করেননি। তারা হয়তো ফ্লাট কিনেননি, ছোট বাড়িতে বাস করেছেন, ভাড়া থেকেছেন, বড় কোনো ইন্ডাস্ট্রি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হননি! কিন্তু ৬০ বা ৭০ বা ৮০ বছর এভাবেই সাধারণ কাজ কর্ম করে জীবন যাপন করে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন। এদের সংখ্যাই বেশি ! আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলতে চাইলে আপনিও নিশ্চয়ই পারবেন।

পড়ে মন্তব্য লেখার জন্য ধন্যবাদ !

২| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৪৪

জগতারন বলেছেন:
পোষ্টে লাইক দিলাম।
সুন্দর পোষ্ট।

১০ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৮:৩৮

ঢাকার লোক বলেছেন: লেখাটি ভালো লেগেছে জেনে অনুপ্রাণিত হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ !!

৩| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৫৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ঋণ ভয়ানক খারাপ জিনিস।

৪| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৩৬

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ভালো লিখেছেন। তবে অনেকে ঋণ নিলে পরিশোধ করতে গড়িমশি করে।

১০ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৫৬

ঢাকার লোক বলেছেন: ঋণ পরিশোধে ইচ্ছাকৃত গড়িমসি করা কোনো মতেই উচিত না । মন্তব্য লেখার জন্য ধন্যবাদ !

৫| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৫৯

নতুন বলেছেন: চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ ক্ষতিকর। সেটা হারাম করা ঠিক আছে।

কিন্তু সাধারন সুদ ক্ষতিকর না। আর বর্তমানে ইসলামী ব্যাংকিং এ যে পদ্বতীতে মুনাফা নিদ্ধারন করে সেটাও সুদেরই মতন কিন্তু নাম আলাদা মাত্র।

এখন ১০০ টাকার জিনিস আপনাকে ইসলামী ব্যাংক কিনে দেবে। এবং ৫ বছর পরে আপনি ১৪০ টাকা ফেরত দেবেন।
এটাকে মুনাফা বলে নিদ্ধারন করেই চুক্তি করবে এবং লস হলে গ্রাহকই সেটা বেয়ার করবে।

সাধারন ব্যাংক আপনাকে ১০০টাকা দেবে আপনি প্রতি বছর ৮% হারে ৫ বছর পরে ৪০টাকা +১০০টাকা আসল=১৪০ টাকা পরিসোধ করবেন।

এটা কি একই জিনিস নয় কি?

৬| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশ তো ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী চলে না। সংবিধান অনুযায়ী চলে।

৭| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

কামাল১৮ বলেছেন: আপনি যে দেশটাতে বাস করেন সে দেশটা দাড়িয়ে আছে সুদের উপর।সুদের উপর নির্ভর করে বাঁচতে না চাইলে দেশ ছেড়ে অন্য কোথাও যেয়ে বাঁচতে হবে।সুদ ছাড়া কোন ব্যাংক বাংলাদেশে নাই।বাহারী কিছু নামের ব্যাংক আছে,তাঁরাও সুদ খায় অন্য নামে।ব্যাংক গুলোর ব্যাংকার হলো বাংলাদেশ ব্যাংক।প্রতিটা ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা নেয়,সেখানে তাকে সুদ দিতে হয়।

১০ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:৫১

ঢাকার লোক বলেছেন: আপনি এখনো ভাবছেন সারা দেশে কি হচ্ছে তা নিয়ে !
অথচ সেদিন "কেউ অন্য্ কারো বোঝা বইবে না" (সূরা আনাম: ১৬৪) অর্থাৎ আমাকে আমার কাজের জন্যই জিজ্ঞেস করা হবে, অন্য কে কি করে তার জন্য আমাকে জিজ্ঞেস করা হবে না। আমাকে বলা হয়েছে, "তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে সেই অগ্নি থেকে রক্ষা কর" (সূরা তাহরীম :৬)। ইসলামী ব্যাঙ্ক কি করে বা সরকার কি করে সে দায়িত্ব তাদের। আমার নিজের কর্তৃত্বে যতটুক আছে ততুকুই আমার জবাবদিহিতার সীমা। তার জবাব দিতে পারি তার প্রস্তুতি থাকাই যথেষ্ট। এর অতিরিক্ত কারো সুযোগ থাকলে তা করা অপশনাল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.