নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার চিন্তা ভাবনার খোলা খাতা আপনাদের সবার ভালো লাগলে ভালো না লাগলে দুঃখিত

মুর্খদের সাথে তর্ক করতে ভাল্লাগেনা,মুর্খ দের এভয়েড করতে ভাল্লাগে

ধ্রুব অন্যকোথাও

আমাকে অমানুষ ডাকুন

ধ্রুব অন্যকোথাও › বিস্তারিত পোস্টঃ

তানিম সুফিয়ানী ভাইয়ের পোস্ট(শেয়ার করলাম)

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৫





২০০৪/৫ সালের দিকে আমি আমার সহতীর্থ অনেক underground musician কে বলেছিলাম যে, দেখো তোমরা একদিন এমন দিন আসবে সবাই বুঝে না বুঝে হেভি মেটালসহ আরও যত যা আছে সব করবে। এক সময় পরিবেশটা কলুষিত হয়ে যাবে। কারন বাঙ্গালীর জাতটাই এমন। একটা জিনিসকে যতদিন না পর্যন্ত ব্যবসা বানিয়ে না ছাড়বে এদের শান্তি নেই।



সালমান রুশদি সাহেবের উপর আমার বিশেষ মেজাজ খারাপ। উনি ইসলাম ধর্মকে নিয়ে বাজে কথা বলেছেন এ জন্য না। উনি প্রথম বিশ্বের পাসপোর্ট পাওয়ার একটা সহজ উপায় বের করেছেন এ জন্য। উনার দেখাদেখি আসলেন তসলিমা নাসরিন। এখনকার কথা তো আর নাই বললাম। কিন্তু মজার ব্যাপারটা হল, এমব্যাসির লোকজন গাজা খায় না। এরা সবই বুঝে আর মুখ চেপে হাসে।



স্বার্থের ঊর্ধ্বে আমরা কেউই নই। সবাই সব কাজ কোন না কোন স্বার্থ নিয়ে করছে। আমার কথাই ধরুন। আমি নিজেই “ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো” theory তে বিশ্বাস রাখি না, তবুও আমি বসে বসে এসব লেখছি। কারন আমি আমার কথাগুলো সবাইকে জানাতে চাই, যদি এই লেখাগুলো পড়ে আমার কিছু সমমনা মানুষ খুজে পাই এবং ওনারা আমার বন্ধু হন; আর এর থেকে বড় কথা কিছু আনন্দও পাচ্ছি মনের বোঝা হালকা করে। এটাই শান্তি। এটাই আমার স্বার্থ।



সাম্প্রতিককালে ব্লগার ও জামাতিদের নিয়ে বেশ বড় মাপের নাটক শুরু হয়ে গেছে। এ নিয়ে আমি একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছিলাম, যার কারনে ফেসবুক আমাকে Spammer খেতাবে ভূষিত করেন। ওনারা আমাকে একটি নোটিফিকেশান দিয়ে বলেন, “some of your contents are probably inappropriate and objectionable”। ধন্যবাদ। একজন উন্মাদ অসুস্থ ব্যাক্তি বছরের পর বছর কুৎসিত কথা লেখলে, কিছু উগ্র ধর্মীয় দল কাউকে ওপেন মেরে ফেলার ঘোষণা দিলে, কিছু কুরুচিপূর্ণ মানুষ মেয়েদের খোলামেলা ছবি দিয়ে “প্রাপ্তবয়স্কদের গল্প”, deshi phone sex, NSU er sexy sexy meye, BD Hot girls সহ আরও কিছু কুরুচিপূর্ণ ফেসবুক পেজ খুললে হয়তো সেগুলো objectionable হয় না। কিন্তু আমার লেখা কিছু সাধারন কথা কিভাবে objectionable হল সেটা আমার জানা নেই।



যাই হোক। আমি আমার আগের স্ট্যাটাসটিতে কিছু প্রশ্ন রেখেছিলাম শুধুমাত্র আমার নিজের পরিচয় জানার জন্য। অন্য তেমন কোন উদ্দেশ্য ছিল না। এবারও আমি কিছু প্রশ্ন করবো আর কিছু উত্তর নিজেই দেয়ার চেষ্টা করবো। আর এসবই আমার ব্যক্তিগত অভিমত। এসব সত্য নাও হতে পারে।



দেশের পরিস্থিতি আমার খুব একটা ভালো লাগছে না। আমার অত্যান্ত বিরক্তিকর লাগছে সবকিছু। মনে হচ্ছে যদি আমাজন জঙ্গলের কোন প্রত্যান্ত অঞ্চলে গিয়ে কিছুদিন কাটিয়ে আসতে পারতাম তাহলে ভালো হতো। দেশ এখন মনে হচ্ছে দুভাগে বিভক্ত, উগ্রপন্থী নাস্তিক ও উগ্রপন্থী জামাত। আর এদের কার্যকলাপে বিরক্ত civilian জনগোষ্ঠী বিভিন্ন তকমার শিকার। না এদের পক্ষে যাওয়া যাবে, না এদের বিপক্ষে। খুবই চিন্তার বিষয়। কিন্তু এবারও আমার প্রশ্ন খুবই সাধারণ, বাংলাদেশে নাস্তিক অথবা জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকের সংখ্যা কত? ১০ লক্ষ? ২০ লক্ষ? ১ কোটি? এর থেকে বেশী কি হবে? যদি না হয় তবে বাকি ১৫ কোটি মানুষ কেন এদের যুদ্ধের জন্য ভুক্তভোগী হবে? ১ জন মানুষের জন্য আমরা কি ১৫ জনের মতামত উপেক্ষা করি? সেটা যদি নাই হয় তবে কিভাবে এই ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর কার্যকলাপ আমাদের মধ্যে এতো impact সৃষ্টি করছে? আর এরা কি চায়? যদি এখন আপনি বলতে আসেন যে নাস্তিকরা রাজাকারের বিচার চাচ্ছে তবে আমি বলবো, রাজাকারের বিচার স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক চায়। সে হিন্দু ,মুসলিম, খৃস্টান, ব্যোদ্ধ, নাস্তিক যে কেউ হতে পারে। আর জামায়ত? যে দল বাংলাদেশের কোন সংসদ নির্বাচনে ১৫টির বেশী আসন কখনো পায় নি, তারা কি চায়? উত্তর আসবে, তারা রাজাকারদের বাচাতে চায়। হ্যাঁ, Chances are very high. But, let’s see.



নাস্তিক



আমরা সবাই জানি নাস্তিক(Atheist) কি। যারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না। খুবই সরল কথা। কেন করেন না? আমি জানি না। যার যার ইচ্ছা। আমি যেমন আল্লাহকে বিশ্বাস করি এবং এটি আমার ব্যক্তিস্বাধীনতার একটা অংশ, নাস্তিকদের জন্যও তাই। এটা তার ব্যক্তিস্বাধীনতার একটা অংশ। কোনকিছুকে বিশ্বাস অথবা অবিশ্বাসের অধিকার প্রত্যেকটি মানুষের আছে।



ব্যাক্তিগতভাবে আমি অনেক নাস্তিককেই চিনি, আমার কিছু নাস্তিক বন্ধুও আছে এবং আমি তাদের সাথে অনেক কাজও করেছি/করছি। ঠিক যেমন আমি অনেক হিন্দু, খৃস্টান, ব্যোদ্ধ, শিখকে চিনি। আমার অনেক বিধর্মী বন্ধুও আছে এবং আমি তাদের সাথে অনেক কাজও করেছি/করছি। কিন্তু আমার কোন নাস্তিক বন্ধু অথবা বিধর্মী বন্ধু কোনদিন আমাকে এসে বলেনি “Hey man look, I’m an atheist/Hindu/Christian/Buddhist/Jew/Sikh/Scientologist/Baha’i and fuck you”. ঠিক যেমন আমিও বলিনি “Hey man look, I’m a Muslim and I believe your religion is not true”। যদি মুসলিম আমি একথা যেমন আমার গলায় ঘণ্টা ঝুলিয়ে জাহির করার দরকার নেই, ঠিক তেমনি আমার নাস্তিক বন্ধুরাও কখনো এই জিনিসটা জাহির করে না। তবে কেন এই উগ্রপন্থী নাস্তিকরা বিভিন্ন ধর্মীয় ব্যাপার নিয়ে বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের আক্রমন করে যাচ্ছে?



১৯৮৮ সালে সালমান রুশদি সাহেব Satanik verses নামে একটি পুস্তক রচনা করেন। আমি বইটি পড়েছি এবং কিছু আক্রমণাত্মক কথা আমার ভালো লাগেনি। ওনার পথ ধরে ৯০ এর দশকের শুরুর দিকে তসলিমা নাসরিন কিছু পুস্তক রচনা করেন এবং সেগুলোও আমি পড়েছি। এবং ওনার আক্রমণাত্মক কথাবার্তাও আমার পছন্দ হয়নি। আমি যে কোন কিছুকে পছন্দ বা অপছন্দ করতে পারি। সে অধিকার আমার আছে। কিছু অপছন্দ হলে যেটা খুব বেশী হলে বলা যায় তা হলো, “আমার এটি পছন্দ হচ্ছে না”। কিন্তু কোনোভাবেই আক্রমণ করা justified না। যদি কোনোভাবে আপনার মনে হয় কোন কিছু আপনাকে আক্রমণ করছে তবে আপনি খুব বেশী হলে আইনের আস্রয় নিতে পারেন। একটা আক্রমণাত্মক কথা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দিতে পারে এবং অনেক সময় করে দেয়ও।



আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশের একটি জিনিস আমার খুব পছন্দের। সেটি হল আমাদের সংস্কৃতি। আর এই উপমহাদেশের সংস্কৃতিটাই ধর্মপ্রাণ সংস্কৃতি। যে মুসলিম সে ধর্মপ্রাণ মুসলিম, যে হিন্দু সে ধর্মপ্রাণ হিন্দু, যে খৃস্টান সে ধর্মপ্রাণ খৃস্টান (আমাদের দেশে যত মানুষ নিয়মিত চার্চে যায়, খোদ আমেরিকাতে এই হারে মানুষ যায় না) এবং অন্যান্য ধর্মের লোকরাও অত্যান্ত ধর্মপ্রাণ। তবে কেন সালমান রুশদি ও তসলিমা নাসরিন এতো শিক্ষিত ও সামাজিক জ্ঞানের অধিকারী হয়েও এমন কাজ করলেন?



আগে আমরা একটু দেখে নেই ওনাদের এসব বিতর্কিত কাজের ফলশ্রুতিতে ওনারা কি পেয়েছেন।



উইকিপেডিয়া থেকে সরাসরি টুকলিফাই করে দিলাম



In 1989, Indian-born British author Salman Rushdie was sentenced to death for blasphemy by Iranian leader Ayatollah Khomeini for Rushdie’s depiction of Muhammad as a businessman in his novel The Satanic Verses. An Iranian businessman offered a $3 million reward to anyone carrying out the sentence against Rushdie. Other Islamic scholars followed suit, providing similar fatwa (legal pronouncement in Islam made by a mufti). In 1989, Khomeini died, making the fatwa permanent to those who follow his teaching. In 1991, Hitoshi Igarashi, the book’s Japanese translator, was murdered at the university where he taught in Tsukuba, Ibaraki, 60 kilometres north of Tokyo. The book’s Italian translator was beaten and stabbed in Milan. William Nygaard, the Norwegian publisher was shot in 1993. Thirty-seven people, who had come to listen to a speech by the translator and publisher (of some parts of the book) Aziz Nesin, a well-known satirist, perished when the hotel where they had gathered was torched in Sivas, Turkey.

The post-Khomeini Iranian government, while maintaining that the fatwa cannot be reversed, promised only in 1998 to dissociate itself from it. Rushdie stayed in hiding under police protection for several years.



In May 1994, a fatwa on Bangladeshi writer Taslima Nasrin came after she was quoted in The Statesman that “…the Koran should be revised thoroughly.” This follows attacks and persecution of Nasrin for her 1993 book Lajja (Bangla word for ‘shame’).



এছাড়াও তসলিমা নাসরিনকে কেন্দ্র করে অনেক রকম মিছিল মিটিং, দাঙ্গা হয়। এবং হাস্যকর হলেও সত্য সেসব দাঙ্গায় অল্পসংখ্যক নিরিহ মানুষও আহত হয়।



তাহলে এসব করে ওনারা কি পান?



Attention. সালমান রুশদি উনার কর্মজীবনের শুরুর দিকটাতে Ogilvy & Mather এর কপিরাইটার ছিলেন (দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমিও Ogilvy & Mather এর বাংলাদেশী অ্যাফিলিয়েটের কপিরাইটারই ছিলাম)। কিন্তু রুশদি সাহেব এ বিষয়টা খুব একটা স্বীকার করেন না। জন হেগারটি ওনার সমালোচনা করে বলেন, “He did write crap ads … admittedly.” আমি ওনার কোন বিজ্ঞাপনকর্ম দেখিনি তাই বলতে পারবো না। কিন্তু ওনার লেখার প্রধান বিষয়বস্তুর মধ্যে একটি হচ্ছে expatriate দের জীবন ও তাদের অভিজ্ঞতা। পশ্চিমা দেশে একজন ভারতীয় মুসলিম হয়ে সালমান রুশদির মতো পরিচিতি লাভ করা এবং এর উপরে নাইট উপাধিতে ভূষিত হওয়া কতটা কঠিন এটা যে কোন বিদেশে অবস্থানকারী ভারতীয়, পাকিস্তানী এবং বাংলাদেশী ভালমতো বলতে পারবেন। আমাদের উপমহাদেশীয় মানুষের জন্য সেসব দেশে একটি সুন্দর শব্দ রয়েছে “পাকি”। এ জন্য আপনাকে পাকিস্তানী হতে হবে না। আপনার উত্তরাধিকার সুত্রে পাওয়া বাদামী চামড়াই যথেষ্ট। অত্যান্ত সম্মানজনক বুকার অ্যাওয়ার্ড অরুন্ধুতি রায়ও পেয়েছেন কিন্তু অরুন্ধুতি রায়ের নাম অনেকেই জানেননা, হয়তো এই পোস্টেই অনেকে প্রথম পড়ছেন। এটা কেন হল, প্রশ্নটা নিজের কাছেই করুন।



তসলিমা নাসরিনের লেখা আমার কাছে মাঝারি শ্রেণীরই মনে হয়। এটা সম্পূর্ণ আমার ব্যাক্তিগত মতামত। আবার সার্বিকভাবে দেখতে গেলে উনি ১৯৮২ সাল থেকে লেখালেখি করছেন। লজ্জা প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। ১১ বছর যোগ্যতা প্রমান করার জন্য কম নয়। কারন ১১ বছরের মধ্যে হুমায়ুন আহমেদ, হুমায়ুন আজাদ, এমদাদুল হক মিলন নিজেদের ভালোমতো প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছিলেন। হুমায়ুন আজাদ আমার খুবই প্রিয় লেখক ছিলেন এবং উনিও নাস্তিক ছিলেন। এবং উনিও মুখ খারাপ কম করেননি। কিন্তু উনার লেখার ধার তলসিমা নাসরিন থেকে অনেক বেশী সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারন যুক্তিসহ গালাগালি এবং যুক্তিহীন গালাগালির মধ্যে অনেক তফাৎ আছে।



তো দেখা যাক রুশদি সাহেব ও নাসরিন সাহেবার মধ্যে কোন ব্যাপারটা কমন। বিদেশী পাসপোর্ট ও বিশ্বব্যাপী আলোচনার বিষয়। এবং আমার দেখামতে এটি একটি সহজ উপায় বিদেশে রাজনৈতিক আস্রয় প্রার্থনা করার জন্য (সালমান রুশদি Satanic verses প্রকাশিত হবার আগেই এক বিদেশী নাগরিকের সাথে বিয়ে করা সাপেক্ষে নাগরিক ছিলেন)।



আমি যেসব তথাকথিত উগ্রপন্থী নাস্তিকদের লেখা পড়েছি তাদেরকে আমার নিম্ন শ্রেণীর লেখক ও হুমায়ুন আজাদ-wannabe ছাড়া কিছুই মনে হয়নি। বলতে গেলে এদের সবার ব্লগই অকথ্য, কুরুচিপূর্ণ ও বিকৃত বাংলা ভাষায় লেখা। কিন্তু কই হুমায়ুন আজাদ আর কই এরা। ময়ূরপুচ্ছ ধারন করলেই যেমন কাক ময়ুর হয়ে যায় না, তেমনি মুখ খারাপ করলেই হুমায়ুন আজাদ হওয়া যায় না। টাইম মেশিন খুব প্রয়োজন হয় এসব সময়ে, কারন আমি দেখতে চাই এদের মধ্যে কতজন মরণোত্তর একুশে পদক পাবে। হুমায়ুন আজাদ স্যারের সাথে আমার দুবার দেখা করার সৌভাগ্য হয়েছিল। ওনাকে দেখে যতটুকু বুঝেছিলাম, বাংলা ভাষার এ ধরনের বিকৃতির জন্য উনি হয়তো জুতাপেটা করতেন এসব ব্লগারদের।



এবার একটু দেখি এই রাজনৈতিক আস্রয়টা কিভাবে পাওয়া যায়।



১ অতিরিক্ত নেশা ও আড্ডাবাজী করে জীবন পাড় করেছেন বলে সারাজীবন লেখাপড়ায় খারাপ ছিলেন? আপনার চেহারা দেখে গ্রাম থেকে উঠে আসা মনে হয়? ইংরেজিতে ভালো না তাই IELTS এ ভালো ফলাফল করতে পারবেন না মনে হচ্ছে? বাবার খুব একটা সামর্থ্য নেই টাকা খরচ করে বিদেশে পাঠানোর? কিছু অকথ্য ভাষায় যুক্তিহীন কথায় এবং সম্পূর্ণ কাল্পনিকভাবে ইসলাম অথবা অন্য কোন ধর্মকে কটাক্ষ করুন। (প্রকাশকরা যদি আপনাকে গাধা/Incompetent উপাধি দিয়ে গল্প উপন্যাস প্রকাশ করতে না দেয় কুছ পরওয়া নেহি, ব্লগ লিখুন)



২ লেখতেই থাকুন। যদি কাজ না হয় অশ্লীল কথাবার্তার মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিন।



৩ লক্ষ্য রাখুন জামাতসহ উগ্রপন্থী কোন ধর্মীয় দল খেপছে কিনা। যদি ক্ষেপে, আরও ক্ষেপান।



৪ এবার ওরা আপনাকে মৃত্যুর হুমকি দেবে, মিছিল বের করবে, কুশপুত্তলিকা দাহ করবে এবং ক্ষেত্র বিশেষে জবাইও করবে।



Success



৫ এবার আপনি কোন দেশকে টার্গেট করে বাংলাদেশ থেকে পালান। আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং বিশেষ করে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো ভালো টার্গেট। যাবার পরে বাংলাদেশী পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলুন এবং রাজনৈতিক আস্রয় প্রার্থনা করুন।



এবং দুর্ভাগ্যবশত যাদের টার্গেটই থাকে দেশ ছাড়ার, এদেরকেই কোনোভাবে পরে দেশপ্রেমিক খেতাব দেওয়া হয়। অথবা এদের হয়ত বিদেশী পাসপোর্টের শখ নেই। হয়তো ওরা আসলেই কমবেশি দেশকে ভালোবাসে। কিন্তু অশ্লীল ভাষায় কোন কন্টেন্ট বিহীন লেখা এটেনশন খোজা ছাড়া আর অন্যকিছু নয়। মনে রাখবেন, হুমায়ুন আজাদ সাহেব পিএইচডি-ধারী বাংলার গবেষক ছিলেন। ওনার মতো ভাষা নিয়ে নিরীক্ষা করতে হলে আপনাকে সেরকম যোগ্যও হতে হবে।



জামায়ত অথবা যেকোনো উগ্রপন্থী ধর্মীয় দল



jamaat



আমি জানি না এই ছবি কে একেছে। কিন্তু যদি এই ছবি কোন নারী একে থাকেন আমি তাকে বিবাহ প্রস্তাব দিচ্ছি। আমি সুদর্শন, দীর্ঘাকায়, শিক্ষিত, সম্ভ্রান্ত খানদানী মুসলিম পরিবারের ছেলে। ইত্তেফাক অথবা ঘটক পাখি ভাইয়ের শ্রেণীভুক্ত বিজ্ঞাপন থেকে তুলে নেওয়া কথা বলছি না আমি আসলেই এরকম। আর যদি পুরুষ একে থাকেন……… আহেম, দুঃখিত।



A picture speaks a thousand words. আমার আর কিছু বলার নেই এদের নিয়ে। জামায়তে ইসলামী, শিবসেনা অথবা Army of God জাতীয় উগ্রপন্থী ধর্মীয় দল শুধুমাত্র একটি ধর্মের নাম খারাপ করা ছাড়া আর কিছু করে না। যেহেতু উপরের ছবিটা পুরোপুরি আমার কথা বলে দিয়েছে আমি আর তেমন কিছু বলবো না এই জামাতীদের নিয়ে। বাংলাদেশে আমি বলতে গেলে সারাজীবনই হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে সম্প্রীতি ছাড়া আর কিছু দেখিনি। আমার প্রচুর হিন্দু বন্ধু আছে। আমার হিন্দু সহকর্মী ছিল। আমার ব্যান্ডে হিন্দু সদস্য ছিল। আমি আজ পর্যন্ত কাউকে বৈরি আচরন করতে দেখিনি অথবা আমি বৈরি আচরণ দেখিয়েছি এমন কেউ বলতে পারবে না। আজ পর্যন্ত কোন হিন্দু আমার তেমন কোন ক্ষতি করেনি (একজন ছাড়া, আমার জীবনে সর্বনাশকারী মুসলমানদের সংখ্যা আরও অনেক বেশী)। আমাদের সাধারণ জনগণদের মধ্যে আমি কোন মতভেদ জাতীয় কিছুতো দেখি না। তাহলে এতো হিংসা, এতো বিদ্বেষ আসে কোত্থেকে? আসে এমন কিছু ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের জন্য। আমি পবিত্র কুরআন অনেকবার পড়েছি। আরবি বুঝি না, তাই ইংরেজি বাংলা মিলিয়েই অনেকবার পড়েছি। আমি কোথাও হিংসা বিদ্বেষ, ফিতনা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করতে হবে এমন আয়াত পাইনি। বরঞ্ছ কুরআন মজিদের স্থানে স্থানে Self control, রাগ দমন ও শান্তি কায়েমের কথা বলা আছে। আমি শুধু কিছু আয়াতই তুলে ধরব।



Mankind! We created you from a male and female, and made you into peoples and tribes so that you might come to know each other. The noblest among you in God’s sight is that one of you who best performs his duty. God is All-Knowing, All-Aware. (The Qur’an , 49:13)



A good action and a bad action are not the same. Repel the bad with something better and, if there is enmity between you and someone else, he will be like a bosom friend. (The Qur’an , 41:34)



…if someone kills another person – unless it is in retaliation for someone else or for causing corruption in the earth – it is as if he had murdered all mankind. And if anyone gives life to another person, it is as if he had given life to all mankind… (The Qur’an , 5:32)



Those who give in times of both ease and hardship, those who control their rage and pardon other people – God loves the good-doers – (The Qur’an , 3:134)



ইসলাম শান্তির ধর্ম। কুরআন ঠিকমতো পড়া ও জানা থাকলে মানুষ কোন খারাপ কাজ করতে পারে না বলে আমার বিশ্বাস। কিন্তু আমি যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করছি জামাতের কর্মীরা আদৌ কুরআন পড়েছে কিনা। আর যদি পড়েই থাকে, ওরা যা করছে এটাকে বলা হয় ধর্ম ব্যবসা। ভণ্ডপীর ও সাধুদের ধর্ম ব্যবসার সাথে এহেন কাজের কোন পার্থক্য নেই।



বেশী ভেটর ভেটর করবো না কারন এসব কিছুই আমাদের জানা কথা। কিন্তু আমার প্রশ্ন অন্যখানে। এই জামাত, যারা কিনা কোন সংসদীয় নির্বাচনে কখনই ১৫টি আসনের বেশী আসন পায়নি। আর ওই আসন গুলোও অন্যান্য দলের লেজ ধরে ঝুলে থাকার ফলমাত্র। যাদের কোনদিনও প্রধান বিরোধী দল হওয়ারও সৌভাগ্য হবে না, তাদের নিয়ে এতো উত্তেজনা কেন? আর কিভাবেই বা তারা এই উত্তেজনা সৃষ্টি করে?



জামায়ত ১৯৯১ ও ২০০১ সালে বিএনপির জোট হিসাবে কাজ করে। এবং ১৯৯৬ এ আওয়ামী লীগের জোট হিসাবে কাজ করে। আর হাস্যকর হলেও সত্য তখন কোন সংবাদপত্রে বা কোথাও একদিনের জন্য হলেও “রাজাকার” শব্দটি উচ্চারন হয়নি। দুঃখজনক কিন্তু সত্যি।







তাহলে এদের ভুমিকা কি?



সহজ। সের কে সোয়া সের বানানো। এটিই তাদের কাজ। ১৯৯৭/১৯৯৮ সালের দিকে কোন এক সাক্ষাৎকারে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেছিলেন, “আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুদলেরই সমান সমান সমর্থন আছে বাংলাদেশে। ধরে নেওয়া যায় ৪০% আওয়ামী লীগের আর ৪০% বিএনপির। আর জামায়তের আছে ৮-১০% সমর্থন। আর বাকি অন্যান্য। তাই জামায়ত যেদিকে যাবে, ক্ষমতাও সেদিকেই যাবে”।



কিন্তু এরপরেও জামায়ত একটি শাখের করাত। দুদিকেই কাটে। কারন জামায়ত চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের দ্বারা পরিচালিত। এদের সাথে নিলেও সমস্যা, না নিলেও সমস্যা। এদের ধ্বংস করে দিলেও সমস্যা, ধ্বংস না করে দিলেও সমস্যা। এজন্যই এদের কারনে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। যেমনটা এখন হচ্ছে।



দেশের মানুষের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে। দেশের মানুষ confused হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ভাগে ভাগও হয়ে যাচ্ছে।



এতকিছুর ফলে লাভটা কি হয়?



জামায়ত বলুন আর এই উগ্রপন্থী নাস্তিকরাই বলুন এরা কোনোভাবে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। ধরে নেই এই উগ্রপন্থী নাস্তিকরা একটি দল গঠন করলো। সংসদ নির্বাচন করলো। কয়টি আসন পাবে? ১টি? ২টি? ৫টি? ৫টিও পাবে কিনা সন্দেহ। কিন্তু কোন দেশে যখনি কোন মুভমেন্ট হয়, আন্দোলন হয়; এর ফলশ্রুতিতে ছোট ছোট জনগোষ্ঠী তৈরি হতে থাকে। যেমন এখন হচ্ছে। আর এসব ছোট ছোট জনগোষ্ঠী যাদের সাথেই সংহতি প্রকাশ করে ভোটগুলো তাদের বাক্সেই গিয়ে পরে।



গনতন্ত্র একটি রাষ্ট্র পরিচালনার পন্থামাত্র। সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্রের মতো গণতন্ত্রও একটি পন্থা মাত্র। গনতন্ত্র কোন Utopia অথবা Shangri La নয় যাতে কোন ভুল থাকবে না। গনতন্ত্রের অনেক সমালোচনা রয়েছে। আমেরিকান অর্থনীতিবিদ Milton Friedman গনতন্ত্রের একটি বিষয়ের প্রচণ্ড সমালোচনা করেছেন যার সাথে আমিও একমত। তা হচ্ছে ভোট ব্যবস্থা। গণতন্ত্রে একজন মানুষের ভোটের মূল্য শুধু একটি ভোট। সে যেকোনো মানুষই হতে পারে। ব্যাপারটা আরেকটু পরিষ্কার করে বলছি। আমি একজন এমবিএ করা মানুষ। আমি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে মিশি। আমি বিভিন্ন স্থানে কাজ করেছি। আমি অনেক বই পুস্তক পাঠ করেছি। আমি অনেক নাটক সিনেমা দেখেছি এবং আমি কিছু দেশ ভ্রমনও করেছি। সুতরাং ধরে নেওয়া যায় আমার বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান আছে এবং আমি অনেক কিছুই বুঝি। পক্ষান্তরে, একজন দিনমজুর যিনি হয়তো বেশী লেখাপড়া করেননি। আমার মতো সমাজের বিভিন্ন স্তরে মেশারও যার সৌভাগ্য হয়নি। বইপুস্তক ও বেশী নাটক সিনেমা দেখারও যার সৌভাগ্য হয়নি। দেশ বিদেশ ভ্রমন দুরের কথা। এখানে পার্থক্যটা খুবই দৃশ্যমান। উনি হয়তো আমার মতো Critical thinking করতে পারবেন না। সাধারণ সময়ে আমার একটি কথার মূল্য ওনার কথার থেকে বেশী দেওয়া হতে পারে। কিন্তু ভোটের সময় ওনার ভোটেরও যেই দাম আমার ভোটেরও সেই দাম। আমি হয়তো ভোট বুঝে দিবো, উনি হয়তো ভোট না বুঝে দিবেন। (আমি কোনোভাবেই কাউকে ছোট করতে চাচ্ছি না। আমি মনে করি প্রত্যেকটি মানুষই সমান মর্যাদার অধিকারী। আমি শুধু যোগ্যতা/Meritocracy এর কথা বোঝাতে চাচ্ছি এখানে)



ঠিক সেভাবে দেশের মানুষ যদি ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে যায়, সেই ছোট ছোট দলগুলোর মাথারা যার সাথে সখ্যতা দেখাবেন ভোটগুলো তাদের বাক্সেই যাবে। এবং সঙ্গতকারনেই এই ছোট ছোট গোষ্ঠীগুলোর সবাই critical thinking করতে পারবেন না। কারন অনেক সময়ই আমরা অনেক কিছু না বুঝে ভেড়ার পালের মতো মানুষকে অনুসরন করা শুরু করি। এতে গিয়ে আসলে লাভ হয় বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোরই। আমরা রাজনৈতিক সূক্ষ্মতার শিকার হই।



প্রতিকার?



খুবই সহজ। সেটা হল সুশিক্ষা। বেশী বেশী বই পড়ুন। ভালো, শিক্ষণীয় এবং অর্থবহ চলচিত্র দেখুন। ইন্টারনেটে মেয়েদের প্রোফাইলে চোখ কম দিয়ে খবর ও আন্তর্জাতিক ব্লগারদের ব্লগ পড়ুন। ইতিহাস পড়ুন। সব ধরনের ধর্মীয় পুস্তক পড়ুন। মহাপুরুষ ও সফল মানুষদের আত্মজীবনী পড়ুন। সামাজিক কর্মকাণ্ড বাড়ান। সর্বোপরি, মনকে উদার করুন অনেক কিছুই তখন সহজ হয়ে যাবে এবং Critical thinking এমনিতেই সম্ভব হয়ে উঠবে।



আমি কি চাই?



আমি চাই আমাকে যাতে আর কোন পোস্ট না দিতে হয়। লেখালেখি বড়ই বিরক্তির কাজ। Unpaid লেখালেখি আমার মোটেও ভালো লাগে না। আমি জানি না ব্লগাররা এতো ধৈর্য কিভাবে পান। এতো ধৈর্য আসলেই প্রশংসনীয় (no pun intended)।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.