নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার চিন্তা ভাবনার খোলা খাতা আপনাদের সবার ভালো লাগলে ভালো না লাগলে দুঃখিত

মুর্খদের সাথে তর্ক করতে ভাল্লাগেনা,মুর্খ দের এভয়েড করতে ভাল্লাগে

ধ্রুব অন্যকোথাও

আমাকে অমানুষ ডাকুন

ধ্রুব অন্যকোথাও › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্দা(৩য় কিস্তি)- ডার্ক কমেডি

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪০



ঘুম ভাংগলো।না কথাটা ঠিক না। সারারাত জেগে থেকে আধো ঘুম আধো জাগরনের তন্দ্রা ভাব টা ঝেড়ে ফেলে দিলাম।কপালে হালকা জ্বর।তো কি হইছে।আজকে নতুন দিন,নতুন শুরু।
কিসের যেনো আওয়াজ ভেসে আসতেছে।তেমন কিছু না। বড় আপু আবারো তার বেকার বয়ফ্রেন্ডকে বিয়া করবে সেজন্য ঝগড়া করতেছে আব্বা-আম্মার সাথে।এগুলাই কোন সমস্যাই না।কতজনের বোন মানসিক রোগী থাকে নাহয় অন্য ছেলের হাত ধরে পালায় যায়,না হয় আবার প্রেগন্যান্ট হয়ে যায়।তার উপর আপুর পছন্দের এই ছেলে দেখতে শুনতে ভালো।খালি চাকরী নাই - রেজাল্ট ও নাই- এম্বিশন ও নাই।

আমি রেডি হচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাসের জন্য।হ্যা,আমি সেইসব লুজার ছেলেদের একজন যে কিনা ঘরে বসে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন পার করতেছে।একদম হুবুহু এই লেখার লেখক ধ্রুবর মতন।পড়তেছি মোটামুটি মানের একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে্র কঠিন এক সাবজেক্টে।রুম থেকে বের হলাম নাস্তাটা বানাবো।নিজেরই বানাতে হবে।মা উনার ন্যানোটেকনলজির উপর থিসিসের কাজ আছে সেটা নিয়ে সারারাত কাজ করে উঠেমাত্র আপুর সাথে ঝগড়া করতে বসছেন।তাও আপুই তাকে উঠাইছেন।

যথারীতি নাস্তা করে ড্রয়িং রুমে গেলাম সবাই কে জ্ঞাত করতে যে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে রওনা দিচ্ছি।তখন আমার বোন আমাকে দেখিয়ে সাথে সাথে বলে দেখ ওর মতন হলে একটা কথা ছিল।ও দেখতে শুনতেও ভালো না,পড়েও ফিজিক্স এ তাও আমার মতন ভালো কোথাও না।ওর মতন ছেলে হলে তুমি বিয়েতে না করতে পারতা।কিন্তু আমার বয়ফ্রেন্ড কত্ত সুন্দর তুমি দেখছো?আর চাকরী সেটা তো আজ-কাল হোক হয়েই যাবে।প্রাইভেটের বিবিএ চাকরী পাবেই।

আমি দীর্ঘশ্বাস ফেললাম আর চুপ করেই বের হয়ে পড়লাম।নিজেকে বুঝালাম,আরে ব্যাপার না।আপু বিয়ের জন্য পাগল হয়ে আছেন আর কি।প্রেমের বিয়ে তো।আমি বুঝি।আমি সবই বুঝি।আর আমি বাড়ির একমাত্র ছেলে আমি ইমোশন দেখালে কিভাবে হবে।আর আমি না হয় আপুর মতন ভালো জায়গায় পড়িনা তাতে কি হয়েছে?আমি আমার কাজ দিয়ে বড় হব।অনেক অনেক বড় হবো।আমি আমার কাজ দিয়ে আমার দেশ কে পালটে দিবো।আমাকে তখন আমার পছন্দের মেয়েটা আর কুতসিত বলতে পারবেনা।বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েরা আর আমাকে দেখে মুখ টিপি দিয়ে হাসবেনা।কোথাও খেতে বসলে সবাই আর হা করে তাকায় থাকবেনা।স্যার রা আর আমার গায়ের রঙ আর ওজন নিয়ে প্রশ্ন করবেনা।হেহেহেহে, দেখেছেন পাঠকবৃন্দ আমি কতটা মেকি পজিটিভিটির বুলি ছাড়া শিখছি।সবই ইংরাজি সিনেমা, স্পিরিট সায়েন্স আর ফেসবুকের ভং চং মেমের কারিকুরি।না হয় কি আর আপনাদের মতন ফেসবুক ইউজার রা লাইক দিবেন?এককাজ করি অপেক্ষা করেন।এই ধ্রুব।তুই টাইটেল টা লিখার সময় লিখে দিস “ মডেল স্পর্শিয়া সারারাত এ কি করলেন(ভিডিও সহ)। ভিতরে থাকবে স্পর্শিয়ার সাক্ষাতকার এর ভিডিও আর উনি বলবেন সেখানে এস এস সি এর সময় কিভাবে সারারাত পড়ার চেষ্টা করতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।তাইলে মাইনষে খাবে।লাইকের দরকার আছে জীবনে।

আজকে নতুন দিন আমি আবার নতুন করে শুরু করবো সব। সম্পর্ক ভংগের কষ্টে যে সারারাত জেগে ছিলাম সেটা ভুলে যাবো।আমার বোন যা বলেছে সেটা ভুলে যাবো। পরাজিত যুবক হিসেবে বেচে থাকার কষ্ট থেকে পালাবার উদ্দেশ্যে ছুরি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টায় হাত ফালাফালা করার যে চেষ্টা করেছিলাম সেটা ভুলে যাবো।মা-বাবা-বোনের কুতসিত সব ঝগড়া তাও ভুলে যাবো। বাবাকে যেভাবে পারি সুস্থ করে আনবো। আরে মানুষের আরো কত কষ্ট থাকে।আমার মামা-খালা দুইজনেই আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে মারা গেলেন তারপরেও উনি ন্যানোটেকনলজীর বড় এক্সপার্ট তাই না?আমি না হয় একটু নিচু মানের জায়গায় পড়ি আর আমি পড়ি ফলিত পদার্থবিদ্যা।আমাকে আর কে ঠেকাবে।জি আর ই দিয়েই ফেলছি। আরি শালা,ধ্রুব তুই আমারে এরকম একটা চলমান ক্লিশের ডিব্বা বানায় দিলি।

এরপর ঢুকলাম ক্লাসে।গিয়ে বসলাম প্রিয়তির সাথে,তাকে ভালো বান্ধবী বলে আমি মনে করি।কিন্তু সে আমাকে দেখেই নাক কুচকালো।কিন্তু আবার কি মনে করে হাসিও দিলো।মেয়েটাকে বন্ধু হিসেবে বেশ ভালোই লাগে আমার।একথা ওকথা থেকে জানতে পারলাম তার দুই ভাই জি আর ই দিয়ে আমার চেয়ে প্রায় ২০ নাম্বার বেশি পেয়ে চলে যাচ্ছেন বাইরে।দুইজনেই অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক।সব শেষে আবার আসবেন ফিরে।দ্বিতীয় খবর যেটা দিল সেটা হল তার জন্য বিয়ের প্রস্তাব এসেছে ছেলে বিশ্ববিখ্যাত কোম্পানী গুগলের বেশ বড় একটা পোস্টে চাকরী করেন।

বিবেক যেনো ব্যাংগ করে বলছে "হেহ,প্রিয়তিই তো তোরে বিয়া করবেনা।তুই তো ওর ভাই আর ওই প্রস্তাব পাঠাইছে তার নখের ও যোগ্যতা ধারন করস না।প্রিয়তির অর্ধেক ও তুই না।ওর জিপিএ জানোস?ও কোন কলেজের জানোস???বে্কুবের বাইচ্চা।আর বিয়া করলেও সে থাকবে তোর বাড়িতে?তোর মা আছে রিসার্চ আর তোর বোন রে নিয়ে।তোর বোন হইলো সাইকো আর বাপ তো নাই।তুই বিয়াই করিস না বুঝছোস?ওইযে তোর ওই গার্লফ্রেন্ডের নাম কি জানি?রুহি,তাই না?ওই ডাইনী ঠিক বলছিলো।ডাইনী বলা ঠিক না,মেয়ের ঘিলু আছে।তুই বিয়া করার যোগ্যতা রাখোস না।না আছে পরিবার, না আছে রেজাল্ট, না আছে চেহারা।বোন একটা আছে তাও মাথা নষ্ট।রুহির সমান যোগ্যতা তুই এই আর্থ-সামাজিক কাঠামোর ভিতর থাইক্যা শুধু ভালোবাসা দিয়া অর্জন করতে পারবি?আর্থ-সামাজিক কাঠামো কথা টা কেন আইলো জানোস গাধার বাচ্চা?আমি তো তোর বিবেক তাই তোর মতনই একটু পার্সোনালিটি দেখালাম।নিজের ব্যর্থতা অন্যের উপর কিংবা সমাজের উপর দিলাম দোষ চাপায়।হাহাহা। ওই,যারা লেখাটা পড়তাছোস শুন এই হালায় মনে করে কমেডি কইরা পরিবার চালাইবো জীবন চালাইবো।রিয়ালিটি শো তে গেছে।ভালো পজিশন পাইছে।এখন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডাক ও পরে।সমাজ-দেশ-রাজনীতি নিয়ে রিভিশনিস্ট কমেডিও করে কিন্তু গাধাটা জানেনা, মেয়েরা এরকম পোলাপানরে *দে বেড়ায় না।*দার কতো কিছু আছে। রেজাল্ট,বাড়ি-গাড়ি,চাকরী,টাকা-পয়সা,সম্মান,জমি-জমা।এসব জিনিস মেয়েরা শুধু *দে বেড়ায় তা নয় তাদের পরিবার পরিজন এগুলার জন্য আরো উন্মুখ হয়ে থাকে। বাঙ্গালী তো,অলয়েজ হট ফর ফা**।কিরে ধ্রুব চ-বর্গীয় গালি গুলাতে স্টার চিহ্ন দিচ্ছোস কেন?আজব।ইংলিশ এফ দিয়ে যে গালিটা ওইটাও এরকম সেন্সর করে দিলি? আরে ভাই ফেসবুক আর ব্লগেই তো দিবি।সেন্সর এর কি আছে?যারা পড়বে তাদের সবার তো “চুদে আমায় দিলি পাগল করে”, “ফেসবুক চটি”, “জীবন এখন ১৮+”, “যৌবনের জ্বালা বড় জ্বালা”, “নায়লা নাইম”থেকে শুরু করে বিদেশী সকল পর্নস্টারদের পেজে লাইক দেওয়া আছে।ওরা কেউ মাইন্ড করবেনা।করে দে আনসেন্সরড।নিজের তৈরি চরিত্রের মতন হয়ে যা দুঃসাহসী।

হইছে,বিবেক এবার অফ যাও,বাচাল কোথাকার।বড় বেশি বল।
-কি করবো?তোমার টিচার রা এত বাইক্কা হইলে আর কি করতাম।তোমারেই জ্ঞান দেই।
-আমারে জ্ঞান দেওয়া লাগবেনা।তুমি আমার বিবেক।আমারই অংশ।আমি যা ভাবি তুমি সেটাই।বেশি ভাব ধইরো না।
-হইছে বুঝছি।
-এখন চুপ যা।ক্লাস শেষ হইতাছে।অফ যা।
ক্লাস শেষ হলো।বন্ধু তোজো এসে বলল “ওই বীচে যামু।তোর ক্যামেরাডা নিয়া আয়”।
-আমার ভাংগা ক্যামেরা দিয়া কি করবি।
-বলছি আনতে,নিয়া আসবি,যা।
-সাথে থাকে,সবসময়।চিন্তা করিস না।
তোজো বন্ধু আমার বড় নেতা ছিল।এখন বেসিকালি রিহ্যাবে আছে।সরকারী দল করত।নিজের দলের পোলাপান যেদিন মারতে আসছিলো সেই দিন আমার ঘরে এসে আশ্রয় নিয়েছিলো।তোজো বলেছিল “তোকেই একমাত্র ক্লোজ মনে করি।বুঝদার মনে করি।তাই তোর কাছে আসা”।আমি উত্তরে বলেছিলাম “ভুল।ক্যাম্পাসে একমাত্র আমিই হলে থাকিনা।তাই আমার কাছে আসছোস।এটা স্বীকার করতে কি সমস্যা?”
তোজো হেসে দিয়ে বলে “হ্যা,নিজের জীবনের তাগিদে আমিও স্বার্থপর। তো কি থাকতে দিবি?”
আমি রিকশা ডেকে বললাম “উঠে পড়”।
তো সেই থেকে তোজো সব ছেড়ে দেয়।আমাদের ও কাছের হয়ে যায়।সব বলতে আসলেই সব।মদ,গাঞ্জা,ইয়াবা,হেরোইন,মেয়ে সবকিছুই।সেই থেকে কোন রাজনৈতিক দলের অফিস রুম রাতের বেয়ায় হয়ে উঠে গ্রুপ সেক্সের সর্গ, হলের কোন মেয়ের কাছে ইয়াবা আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোথায় কোথায় স্বাধীনভাবে যৌনকার্য সম্পন্ন করা যায় সবই জানা হয়ে যায়।অবাক লাগতো না।মেয়েরা মাদক খেতেই পারে,তারাও তো মানুষ তাই না?শুধু ছেলেরা মাদক নিচ্ছে এইটা কেন ট্রেন্ডি হবে?সবাই মিলে চলেন মাদক নেই। এমন বিজ্ঞাপন হলে খারাপ কি?

“হিরো গাঞ্জা”
একলা কেন খাবেন,পরিবার নিয়ে খান
সম্পূর্ন পারিবারিক গাঞ্জা
কিংবা “দাদা-নাতি সবার জন্য রুস্তম ইয়াবা” অথবা “নাবিলা ফেন্সিডিলেই সবার জন্যেই সেরা ডিল;৮-৮০ বছরের মাঝের সবার জন্য”।

সে যাই হোক,এই গ্রুপের সাথে আসলে কোথাও যাইতে মন চায় না।এরা সবাই খুব ভালো।কিন্তু কথা হইলো গিয়াই সবাই মোবাইল টিপবে নাহয় আলাদা হয়ে বসে সিগ্রেটের ধোয়া ছাড়বে কিংবা একদল বসে মদ গিলবে।দল হিসেবে একসাথে কোথাও গিয়ে খন্ডে খন্ডে ভাগ হওয়ার মতন বিরক্তির মতন কিছু নাই।আবার আরেক দল থাকবে মেয়েদের পিছে পিছে।তাদের যেনো জন্মই হয়েছে মা-বোন জাতির সেবার উদ্দেশ্যে।এরাই সবচে স্মার্ট কিন্তু মনের দিক দিয়ে অদ্ভুত রকমের পিছে চলার প্রবনতা।আর কেউ নাই তাদের এই মা বোন জাতি ছাড়া।ওদের ডাকে যেকোন মূহুর্তে যে কোন কিছু করতে পারে তারা।মহিলা ছাড়া ছেলে কিংবা হিজরা বন্ধুদের জন্য সময় নেই তাদের।রুহির কথা মনে হল। ওর আশপাশেই এরকম মানুষের ভীড় টাই থাকতো বেশি ।যাত্রার শুরুতেই ওর কথা মাথায় আসলো যেহেতু দিলাম ফোন।সম্পর্কটা উষনতা নেই বললেই চলে কিন্তু মনটা আসলে মানেনা।গত ৩ দিন ধরেই যোগাযোগ নেই।

ফোন দিলাম।রিং বাজছে।রিসিভ হল।
-হ্যালো।রুহি?
-তুমি ফোন দিছো কেন?কি চাও?
-এত হোস্টাইল কেন?
-হোস্টাইলের কি দেখছো?তোমাকে আমি খুন করব।শুধু তোমাকে না তোমার ১৪ গুষ্টিরেও করবো
-কি হইছে বলোতো?
-তোমার বোনের কোন খবর রাখো?
-কেন কি হইছে?
-শুধু ভালো জায়গায় পড়লে,ভালো রেজাল্ট থাকলেই সব হয় না।চরিত্র থাকা লাগে।
-মানে?
-ও তুমি জানো না?
-না।
-আমাদের হলে আজকে রি রি পড়ে গেছে।হায় হায় করতেছে সব।আপু এইটা কি করলো?
-মানে?
-সঞ্জয় ভাইয়ার কথা তোমাকে বলছিলাম।ওইযে ভাইয়া তার গার্লফেন্ডকে ১০০০টা গোলাপ দিছিল,রিলেশনের ১০০০ তম দিনে।
-[চুপ থাকলাম অল্পকিছুক্ষন]হ্যা।
-উনি তো তোমার বোনদের ব্যাচে।
-হুম
-উনি উনার গার্লফ্রেন্ড রে একটা খবর দিছেন।সেইডা নাও আগে।
-বলতে সমস্যা আছে তোমার?
-হ্যা,আছে।রুচিতে বাধে।তোমার সাথে কথা বলতে রুচিতে আটকায়।কেমন ভাই তুমি,কেমন পরিবার তোমার?তোমার কি লজ্জা নেই?আমার হলের সবাই তোমাকে চিনে এবং আমাদের ব্যাপারটা জানে।আমার এখানে মরে যেতে ইচ্ছা করতেছে।লজ্জায় আমি রুম থেকে বের হচ্ছিনা।তুমি নিজে কি?আর এখন?আর কি বলবো?তুমি মরে যাও বুঝছো?
-[উত্তেজিত গলায়] আমার কি ভাল্লাগে খুব?আমার নিজের বোন বলে কথা।
-চুপ কর।করার মতন কিছু হইলে তুমি কিছু করতা।তোমার ভেড়া বাপ-মা কি করেন?ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠায় কাজ শেষ?ও ভুল বললাম তোমার বাপকে তো তোমরাই শেষ করে দিছো।আর তুমি তো আর কি বলতাম?পার্সোনালিটি-এচিভমেন্ট বলতে নাই কিছুই।
-[দীর্ঘশ্বাস ফেলে]জানি আমাকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য,আমাকে নিজের প্রতি সজাগ করে তোলার জন্য এতকিছু বলা।তবে এরকম বলায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার চেয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছি বেশি।
-পারো তো একটাই কাজ।লুজার।আর কথা বলবানা।
এই কথা বলার পরেও আমরা দুইজনেই ফোন টা ধরে রাখলাম।প্রায় ৪৫ সেকেন্ড এভাবেই কাটলো।এরপর আমি বললাম “রাখি” তারপর ফোন লাইন কাটলো।হায়রে অবাধ্য-অরাধ্য ভালোবাসা।জীবন কাটবে এভাবেই।না পারা যাবে টিকিয়ে রাখতে,না পারা যাবে ছেড়ে দিতে। বাসার কথা,বোনের কথা ভুলে খুবই টিপিক্যাল আত্মচিন্তায় চিন্তিত টিপিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের ন্যায় বন্ধুদের সাথে মিলে রওনা হলাম সাগর পাড়ে।মোবাইল সাইলেন্ট হয়ে গেল।বাস্তবতা থেকে আবারো পালিয়ে গেলাম।কি আর হবে কয়েক ঘন্টায়।তাই না?
বড় আপুর সাথে আগেও কথা হইছে উনার সম্পর্ক নিয়ে।কি আর হবে উনার?খুব বেশি হলে হয়তোবা আবারো একসাথে দেখা গেছে উনাদেরকে।সেটা নিয়ে কানাঘুষা।প্রাইভেটের ছেলের সাথে কেন ঘুরে।ছি ছি ছি।সিরিয়াস আর কি হতে পারে?নিজের বোনের উপর তো এতটুকু বিশ্বাস আছে তাই না?আর রুহী সবসময় বেশি বেশি করে।সব বাদ।আমি এখন হারিয়ে যেতে চাই সবার সাথে,সাগর পাড়ে।
ESCAPISM_RULEZ

[আগামী কিস্তিতে সমাপ্য]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.