নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বচ্ছ বিনোদনের প্রতিশ্রুতি!

হীরক পাখি

মেহেদী হাসান আকিব

হীরক পাখি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরকীয়া ও ছাত্র/ছাত্রীর কিছু দিক

০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ৮:২৬

এখন এই যুগে এটা সচারচর দেখা যায় বা শোনা যায়। কিন্তু বিষয়টা খুব খারাপ এবং নিন্দনীয়। সমাজের কিছু মানুষের কাছে এটা নিন্দনীয় হলেও কিছু মানুষের কাছে এটা খুব সম্মানজনক ও প্রতিভার কাজ। কিন্তু এতে মানুষের জীবন, সুখের সংসার, মূল্যবান কিছু সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়। আর জন্ম দেয় এক ঘৃণা...

পরকীয়া নিয়ে অনেকের মনেই অনেক রকম প্রশ্ন দেখা দেয়।
১. পরকীয়া কী ও কিভাবে শুরু হয়?
আসলে বিষয়টা হল “ভাললাগা”। ভাললাগার থেকেই সবকিছুর সূত্রপাত ঘটে। ভাল লাগা থেকেই শুরু হয় “ভালবাসা” তারপর সেই ভালবাসা গভীর হতে শুরু করে আর তারপরেই “কাছে আসা” তারপর একটু বেশি কাছে এসে গেলেই সেখানে “যৌনতা” জন্ম নেয়।
পরকীয়া সাধারণত কাছের মানুষের সাথে ঘটে থাকে। অথবা কোন কোন সময়ে এক পলকেও হয়ে যায়। মানে ওই যে বললাম “ভাললাগা”। এক পলকের একটু দেখাতেই মনের মধ্যে দাগ কাটে। আর সেই দাগ জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ায়। কথায় আছে “কারো পৌষ মাস আর কারো সর্বনাশ”। ব্যাপারটা হল... যে পরকীয়া প্রেম করবে সে মনে করবে যে পৃথিবীর সব সুখ তার কাছেই আর যাকে সরিয়ে দেওয়া হয় তার হল সর্বনাশ।

২. কারা পরকীয়া করে?
আসলে এটা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। সবটাই হঠাত করে ঘটে যায়। আবার কেউ কেউ এটা করে অর্থ-সম্পত্তির জন্যে অথবা অনেকে এটা করে মজা পায়।

৩. পরকীয়া করে ভবিষ্যতে উপকার বা অপকার কি?
উপকারের কথা নাই বা বললাম... মানে উপকারের থেকে অপকার বেশি। কারণ, এটা সমাজে ঘৃণিত। কেউ অর্থের জন্যে, বা শারীরিক সুখের কারণে পরকীয়া করে। কিন্তু আসল ভালবাসাটা না বুঝেই এমন করে। আর যদিও বা ভালবাসাটা বোঝে তখন আর সময় থাকে না। মনে রাখা উচিৎ, সময় কারো চাচা খালু বা মামা না।

৪. কাদের জীবনে কিভাবে প্রভাব ফেলে?
পরকীয়া ছাত্র/ছাত্রী, কিশোর/কিশোরী, সংসার জীবন অর্থাৎ দাম্পত্য জীবনে বিশাল প্রভাব ফেলে।
ধরুন... কোন কিশোর বা কিশোরী কোন বন্ধুর বাসায় গেলে। দেখল বন্ধুর মা বা বাবা তাকে খুব আদর যত্ন করল। এবং সেই বন্ধুকেও বেশ সুন্দর করে ডাকল। সেটা দেখে আপনি নিশ্চিত মনে মনে ভাববেন “আন্টি ওকে কত ভালবাসে, কিন্তু আমার মা বাবা কি রকম যেন। বছরে একটা বার ভাল করে ডাকেও না” এই বিষয়টা যখন কোন মানুষের চোখে পড়বে তখন সে দুশ্চিন্তায় ভুগবে। এবং অন্য কারো ভালবাসা পাবার জন্য চেষ্টা করবে। সেই ভালবাসাই তার লক্ষ্য থেকে দূরে সরিয়ে দেবে। অবশ্য এটা পরকীয়া প্রেমের মধ্যে পড়ে না। তবুও জীবন ধ্বংসের একটা অন্যতম পথ। কারণ তারা মনে করে মা-বাবার থেকেও আপন কেউ হতে পারে। কিন্তু সে ধারণা ভুল। মা এর থেকে মাসীর দরদ বেশি হতে পারে কিন্তু তার মাঝে অবশ্যই “কিন্তু” থাকবে।

সংসার জীবন বা দাম্পত্য জীবনে এটা সব থেকে বেশি ক্ষতিকর। একজন মান সম্মান নিয়ে চিন্তায় পড়েন আর অন্যজন সুখের আহ্লাদে মেতে থাকেন। তখন নিজের স্বামী বা স্ত্রীর থেকেও অন্যজন বেশি আদর ভালবাসা পায় বা দিতে ইচ্ছে হয়। আর কোন একটা জীবন নষ্ট হতে থাকে। অনেকে সন্তান রেখেও অন্য কারো সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। খুব খারাপ। যে খারাপের কোন শেষ নেই।

যাই হোক অনেক কথা বললাম। অনেক সময় নষ্ট করার জন্য দুঃখিত। কিন্তু একটা কথা মাথায় রাখবেন। আসল ভালবাসা চিনে বুঝে চলবেন। মানুষকে বুঝতে শিখুন বা বোঝার চেষ্টা করলেই হবে। সবার সম্পর্ক ঠিক ঠাক থাকুক। সবার জন্য শুভ কামনা ও অনেক অনেক ভালবাসা রইলো।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৩

বিজন রয় বলেছেন: পরকীয়া মজাদার কিন্তু ভাল না।

২| ০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ১০:১২

হীরক পাখি বলেছেন: ঠিক বলেছেন দাদা :-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.