নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুর প্রান্তে

নিজেকে জানার চেসটা করছি, নতুন কিছু শেখার চেসটা করছি ।

ইমরান আশফাক

নিজেকে জানার ও খুজে পাওয়ার চেষ্টায় রত আমি, জানি না কবে নাগাদ সফল হবো কিংবা আদৌ হবো কিনা।

ইমরান আশফাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্কটল্যান্ডের ‘না’ ভোটে বহির্বিশ্বে স্বস্তি ও উদ্বেগ

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২৩



স্কটল্যান্ডে স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট বহির্বিশ্বে শ্বাসরুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। সারা বিশ্বে স্কটল্যান্ডের নিজস্ব সাংস্কৃতিক এবং জাতীয় পরিচিতির জন্য গভীর ভালবাসা রয়েছে। কিন্তু তারপরও, স্কটিশরা যুক্তরাজ্যের সাথে থাকার পক্ষে রায় দিয়েছে জেনে অনেক দেশের সরকার হাফ ছেড়ে বেঁচেছে।



কোনো কোনো দেশ আশংকা করেছিল, যে স্কটল্যান্ডের গণভোট স্বাধীনতার পক্ষে গেলে, সেটা অন্যান্য দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে উৎসাহ দেবে।





আবার, স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা যুক্তরাজ্যর বাকি অংশকে দুর্বল এবং অন্যমনস্ক করে দেবে ভেবে বৃটেনের সহযোগী দেশগুলো বেশ উদ্বিগ্ন ছিল।



কিন্তু এর ফলে কি বিশ্বে বৃটেনের ভাবমূর্তি এবং মর্যাদার ওপর কোনো প্রভাব পরবে?



পৃথিবীতে বৃটেনসহ গোটা পশ্চিমা বিশ্বের প্রভাব কমছে বলে একটি ধারনা প্রচলিত আছে।



বলা হচ্ছে যে, চীন, রাশিয়া, ভারত এবং ব্রাজিলের মত নতুন শক্তির উত্থান পশ্চিমা বিশ্বের প্রভাবকে ক্রমাগত খর্ব করছে।



স্কটল্যান্ডে যে স্বাধীনতার প্রশ্নে আদৌ গণভোট হয়েছে, সেটাই প্রমাণ করে যে বৃটেনের দাপট ক্রমশ কমছে, এবং সহযোগী হিসেবে তার নির্ভরশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।





উদ্বেগের আরেকটি কারণ হচ্ছে, স্কটল্যান্ডকে আরো বেশি স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার প্রশ্নে এবং গোটা বৃটেনে সাংবিধানিক সংস্কার করতে লন্ডনে সরকার এত ব্যস্ত হয়ে যাবে যে, তার পক্ষে বহির্বিশ্বে কার্যকর ভূমিকা পালন করা সম্ভব নাও হতে পারে।



“আমার মনে হয়, এমনকি না ভোটও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে”, বলেন প্রাক্তন বৃটিশ রাষ্ট্রদূত লর্ড ডেভিড হ্যানে।



তিনি বলেন, এই গণভোটের ফলে এমন কিছু বিষয় উঠে এসেছে, যেগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নির্বাচনের আগে এবং পরে বৃটিশ সরকার ব্যস্ত থাকবে।



“সাংবিধানিক পরিবর্তন, বৃটেনের অন্যান্য অঞ্চলের জন্য আরো ক্ষমতা প্রদান ইত্যাদি বিষয় পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরকারের মনোযোগ কেড়ে নেবে”, তিনি বলেন।



ইউরোপীয় ইউনিয়নে বৃটেনকে আরো একটি উদ্বেগ আছে। বৃটেনের ক্ষমতাসীন টোরি পার্টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে তারা জয়লাভ করলে তার দু’বছরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বৃটেন সদস্য থাকবে কি থাকবে না, সে প্রশ্নে গণভোট দেবে।



তাহলে, নির্বাচনে টোরি পার্টি যদি জয়লাভ করে ২০১৭ সালে ই ইউ-তে বৃটেনের সদস্যপদ প্রশ্নে গণভোট দেয়?



স্কটল্যান্ডের গণভোট যে ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে, তার ফলে কি তিন বছর পর বৃটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাবার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করেছে, নাকি কমিয়েছে?



কিন্তু হয়তো এখানে বৃটেনের জন্য সুসংবাদও আছে।



অনেক দেশ ভাবতেও পারেনি যে বৃটেন স্কটল্যান্ডকে স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট দেবে। প্রাক্তন বৃটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার স্টিফেন ওয়াল বলছেন, এটা প্রমাণ করে বৃটিশ গণতন্ত্র কার্যকর আছে।



তিনি বলেন, এটা খুবই আশ্চর্যজনক যে কোনো দেশ, তার একটি অংশকে তার সাথে থাকতে বাধ্য করবেনা, সেই অংশ যদি চায়, তাদের স্বাধীন হয়ে যাবার সুযোগ দেবে।



“এটা করার জন্য আপনাকে এমন একটি দেশ হতে হবে, যার নিজস্ব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর অগাধ আস্থা রয়েছে”, স্যার স্টিফেন বলেন।



কিন্তু সামনের দিনগুলো বেশ উত্তেজনায় ভরপুর থাকবে বলে মনে হচ্ছে।



রাজনৈতিক তিক্ততার পরে প্রয়োজন আপস। প্রয়োজন সংস্কার আর অস্থিতিশীলতার মধ্যে ভারসাম্য।



বৃটেন গণতন্ত্রের এই পরীক্ষায় পাস করতে থাকবে কি না, সেটা দেখার জন্য গোটা পৃথিবী এখন তাকিয়ে থাকবে।



যে গণতন্ত্র শান্তিপূর্ণ এবং সভ্য ভাবে একটি বিচ্ছেদের আয়োজন করতে পারে, কোন ধরনের সামরিক অভ্যুত্থান দিয়ে নয়, বা বন্দুকের নলের ডগায়ও নয়।

লন্ডন: গণভোটের ফলাফল ঘোষণার পর 'না' সমর্থকের উল্লাস আর 'হ্যাঁ' সমর্থকের হতাশা।



স্কটল্যান্ডে স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট বহির্বিশ্বে শ্বাসরুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। সারা বিশ্বে স্কটল্যান্ডের নিজস্ব সাংস্কৃতিক এবং জাতীয় পরিচিতির জন্য গভীর ভালবাসা রয়েছে। কিন্তু তারপরও, স্কটিশরা যুক্তরাজ্যের সাথে থাকার পক্ষে রায় দিয়েছে জেনে অনেক দেশের সরকার হাফ ছেড়ে বেঁচেছে।



কোনো কোনো দেশ আশংকা করেছিল, যে স্কটল্যান্ডের গণভোট স্বাধীনতার পক্ষে গেলে, সেটা অন্যান্য দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে উৎসাহ দেবে।





আবার, স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা যুক্তরাজ্যর বাকি অংশকে দুর্বল এবং অন্যমনস্ক করে দেবে ভেবে বৃটেনের সহযোগী দেশগুলো বেশ উদ্বিগ্ন ছিল।



কিন্তু এর ফলে কি বিশ্বে বৃটেনের ভাবমূর্তি এবং মর্যাদার ওপর কোনো প্রভাব পরবে?



পৃথিবীতে বৃটেনসহ গোটা পশ্চিমা বিশ্বের প্রভাব কমছে বলে একটি ধারনা প্রচলিত আছে।



বলা হচ্ছে যে, চীন, রাশিয়া, ভারত এবং ব্রাজিলের মত নতুন শক্তির উত্থান পশ্চিমা বিশ্বের প্রভাবকে ক্রমাগত খর্ব করছে।



স্কটল্যান্ডে যে স্বাধীনতার প্রশ্নে আদৌ গণভোট হয়েছে, সেটাই প্রমাণ করে যে বৃটেনের দাপট ক্রমশ কমছে, এবং সহযোগী হিসেবে তার নির্ভরশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।





উদ্বেগের আরেকটি কারণ হচ্ছে, স্কটল্যান্ডকে আরো বেশি স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার প্রশ্নে এবং গোটা বৃটেনে সাংবিধানিক সংস্কার করতে লন্ডনে সরকার এত ব্যস্ত হয়ে যাবে যে, তার পক্ষে বহির্বিশ্বে কার্যকর ভূমিকা পালন করা সম্ভব নাও হতে পারে।



“আমার মনে হয়, এমনকি না ভোটও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে”, বলেন প্রাক্তন বৃটিশ রাষ্ট্রদূত লর্ড ডেভিড হ্যানে।



তিনি বলেন, এই গণভোটের ফলে এমন কিছু বিষয় উঠে এসেছে, যেগুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নির্বাচনের আগে এবং পরে বৃটিশ সরকার ব্যস্ত থাকবে।



“সাংবিধানিক পরিবর্তন, বৃটেনের অন্যান্য অঞ্চলের জন্য আরো ক্ষমতা প্রদান ইত্যাদি বিষয় পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরকারের মনোযোগ কেড়ে নেবে”, তিনি বলেন।



ইউরোপীয় ইউনিয়নে বৃটেনকে আরো একটি উদ্বেগ আছে। বৃটেনের ক্ষমতাসীন টোরি পার্টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে তারা জয়লাভ করলে তার দু’বছরের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বৃটেন সদস্য থাকবে কি থাকবে না, সে প্রশ্নে গণভোট দেবে।



তাহলে, নির্বাচনে টোরি পার্টি যদি জয়লাভ করে ২০১৭ সালে ই ইউ-তে বৃটেনের সদস্যপদ প্রশ্নে গণভোট দেয়?



স্কটল্যান্ডের গণভোট যে ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে, তার ফলে কি তিন বছর পর বৃটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাবার সম্ভাবনা বৃদ্ধি করেছে, নাকি কমিয়েছে?



কিন্তু হয়তো এখানে বৃটেনের জন্য সুসংবাদও আছে।



অনেক দেশ ভাবতেও পারেনি যে বৃটেন স্কটল্যান্ডকে স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট দেবে। প্রাক্তন বৃটিশ রাষ্ট্রদূত স্যার স্টিফেন ওয়াল বলছেন, এটা প্রমাণ করে বৃটিশ গণতন্ত্র কার্যকর আছে।



তিনি বলেন, এটা খুবই আশ্চর্যজনক যে কোনো দেশ, তার একটি অংশকে তার সাথে থাকতে বাধ্য করবেনা, সেই অংশ যদি চায়, তাদের স্বাধীন হয়ে যাবার সুযোগ দেবে।



“এটা করার জন্য আপনাকে এমন একটি দেশ হতে হবে, যার নিজস্ব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর অগাধ আস্থা রয়েছে”, স্যার স্টিফেন বলেন।



কিন্তু সামনের দিনগুলো বেশ উত্তেজনায় ভরপুর থাকবে বলে মনে হচ্ছে।



রাজনৈতিক তিক্ততার পরে প্রয়োজন আপস। প্রয়োজন সংস্কার আর অস্থিতিশীলতার মধ্যে ভারসাম্য।



বৃটেন গণতন্ত্রের এই পরীক্ষায় পাস করতে থাকবে কি না, সেটা দেখার জন্য গোটা পৃথিবী এখন তাকিয়ে থাকবে।



যে গণতন্ত্র শান্তিপূর্ণ এবং সভ্য ভাবে একটি বিচ্ছেদের আয়োজন করতে পারে, কোন ধরনের সামরিক অভ্যুত্থান দিয়ে নয়, বা বন্দুকের নলের ডগায়ও নয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৫১

ঢাকাবাসী বলেছেন: এটা সভ্য দেশে খাটি গনতন্ত্রের উদাহরণ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: এটি স্কটল্যান্ড না হয়ে যদি অন্যকোন আফ্রিকান দেশ হতো তাহলে বুঝা যেত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.