নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুর প্রান্তে

নিজেকে জানার চেসটা করছি, নতুন কিছু শেখার চেসটা করছি ।

ইমরান আশফাক

নিজেকে জানার ও খুজে পাওয়ার চেষ্টায় রত আমি, জানি না কবে নাগাদ সফল হবো কিংবা আদৌ হবো কিনা।

ইমরান আশফাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রুহ্ বা আত্মা সন্মন্ধে জানতে চাই।

১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৪

রুহ্ বা আত্মা সন্মন্ধে ইসলামে কি কি বলা হয়েছে? কোরআন ও হাদিসের আলোকে এই সন্মণ্ধে কোন পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে? লিংকসহ জানালে খুশি হবো।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৪

বংশী নদীর পাড়ে বলেছেন: ভাইজান, কোনো লিংক দিতে পারছিনা বলে দুঃখিত। তবে এই বইটি যদি পড়তে পারেন অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।

পবিত্র কোরআন-হাদীসের আলোকে "ক্বলব সংশোধন" (অন্তর পরিশুদ্ধি) মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আলী। মদিনা পাবলিকেশান্স। ৩৮/২, বাংলাবাজার-১১০০,ঢাকা।

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩০

মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:


@ ইমরান আশফাক :

কোরআনের আয়াত খুজেটুজে যেই সব আয়াত প্রাসাংঙ্গিক বলে মনে হয়েছে সেগুলিই দিলাম।

এর কোন আলাদা লিন্ক নেই।

আয়াতের রেফারেন্স দেওয়া রয়েছে, কোন অনুবাদ দেখে মিলিয়ে নিতে পারেন।

তবে নিচের অনুবাদগুলি মওলানা মহিউদ্দীন খানের এবং এটা Zekr সফটয়্যার থেকে নেয়া হয়েছে।


সফটয়্যারটির লিন্ক নীচে দিয়ে দিলাম।
এই খানে ক্লিক করুন।

অনুবাদের জন্য নিচের লিন্ক ক্লিক করুন।
For Qur'an Translations, click here.


আপনাকে ধন্যবাদ।




কোরআনের আয়াতঃ

১// রূহ ও মানবদেহে রূহ সন্ঞ্চার সম্পর্কে

“তারা আপনাকে (মোহাম্মদ সা.) রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দিনঃ রূহ আমার পালনকর্তার আদেশ ঘটিত। এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে।
(Bani Israil/Al-Israa {Makki*50}- 17: 85)”

“অতঃপর তিনি তাকে (মানব-কে) সুষম করেন, তাতে রূহ সঞ্চার করেন এবং তোমাদেরকে দেন কর্ণ, চক্ষু ও অন্তঃকরণ। তোমরা সামান্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
(As-Sajda/al-Malaika {Makki*75}- 32: 9)”

“তোমাদের সৃষ্টি ও পুনরুত্থান একটি মাত্র প্রাণীর সৃষ্টি ও পুনরুত্থানের সমান বৈ নয়। নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।
(Luqman {Makki*57}- 31: 28)”

“কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?
(Al-Anbiyaa {Makki*73}- 21: 30)”




২// জীবন ও মৃত্য একমাত্র আল্লাহর হাতে

“আমি জীবন দান করি, মৃত্যু ঘটাই এবং আমারই দিকে সকলের প্রত্যাবর্তন।
(Qaaf {Makki*34}- 50: 43)”

“তিনিই প্রাণ দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান এবং দিবা-রাত্রির বিবর্তন তাঁরই কাজ, তবু ও কি তোমরা বুঝবে না?
(Al-Muminoon {Makki*74}- 23: 80)”

“এবং তিনিই মারেন ও বাঁচান,
(An-Najm {Makki*23}- 53: 44)”

“কেমন করে তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে কুফরী অবলম্বন করছ? অথচ তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ। অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে প্রাণ দান করেছেন, আবার মৃত্যু দান করবেন। পুনরায় তোমাদেরকে জীবনদান করবেন। অতঃপর তারই প্রতি প্রত্যাবর্তন করবে।
(Al-Baqara {Madani*87}- 2: 28)”

“তবে তোমরা এই আত্মাকে ফিরাও না কেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও ?
(Al-Waaqia {Makki*46}- 56: 87)”

“প্রত্যেক প্রাণীকে আস্বাদন করতে হবে মৃত্যু। আর তোমরা কিয়ামতের দিন পরিপূর্ণ বদলা প্রাপ্ত হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, তার কার্যসিদ্ধি ঘটবে। আর পার্থিব জীবন ধোঁকা ছাড়া অন্য কোন সম্পদ নয়।
(Aali Imraan/Al-Imran {Madani*89}- 3: 185)”




৩// নিদ্রাকালে প্রাণ মানুষের হরণ হয় এবং ফেরতও আসে শুধু মৃত ব্যক্তিদের প্রাণ বাদে

“আল্লাহ মানুষের প্রাণ হরণ করেন তার মৃত্যুর সময়, আর যে মরে না, তার নিদ্রাকালে। অতঃপর যার মৃত্যু অবধারিত করেন, তার প্রাণ ছাড়েন না এবং অন্যান্যদের ছেড়ে দেন এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।
(Az-Zumar {Makki*59}- 39: 42)”




৪// মৃত্যুর সময় আত্মাকে আল্লাহর আদেশে ফেরেশতারা হস্তগত করে নেয়

“অনন্তর তাঁরই দিকে তোমাদের প্রত্যাবর্তন। অতঃপর তোমাদেরকে বলে দিবেন, যা কিছু তোমরা করছিলে। তিনিই স্বীয় বান্দাদের উপর প্রবল। তিনি প্রেরণ করেন তোমাদের কাছে রক্ষণাবেক্ষণকারী। এমন কি, যখন তোমাদের কারও মৃত্যু আসে তখন আমার প্রেরিত ফেরেশতারা তার আত্মা হস্তগত করে নেয়।
(Al-An'aam {Makki*55}- 6: 61)”

“বলুন, তোমাদের প্রাণ হরণের দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতা তোমাদের প্রাণ হরণ করবে। অতঃপর তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে।
(As-Sajda/al-Malaika {Makki*75}- 32: 11)”




৫// পাপিষ্ঠ মানুষের মৃত্যুতে তার আত্মার জন্য শাস্তি

“ফেরেশতা যখন তাদের মুখমন্ডল ও পৃষ্ঠদেশে আঘাত করতে করতে প্রাণ হরণ করবে, তখন তাদের অবস্থা কেমন হবে?
(Muhammad/al-Qital {Madani*95}- 47: 27)”

“ঐ ব্যক্তির চাইতে বড় জালেম কে হবে, যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে অথবা বলেঃ আমার প্রতি ওহী অবতীর্ণ হয়েছে। অথচ তার প্রতি কোন ওহী আসেনি এবং যে দাবী করে যে, আমিও নাযিল করে দেখাচ্ছি যেমন আল্লাহ নাযিল করেছেন। যদি আপনি দেখেন যখন জালেমরা মৃত্যু যন্ত্রণায় থাকে এবং ফেরেশতারা স্বীয় হস্ত প্রসারিত করে বলে, বের কর স্বীয় আত্মা! অদ্য তোমাদেরকে অবমাননাকর শাস্তি প্রদান করা হবে। কারণ, তোমরা আল্লাহর উপর অসত্য বলতে এবং তাঁর আয়াত সমূহ থেকে অহংকার করতে।
(Al-An'aam {Makki*55}- 6: 93)”




৬// কেয়ামতের সময় আত্মা এবং দেহকে একত্রিত করা হবে।

“যখন আত্মাসমূহকে যুগল করা হবে,
(At-Takwir {Makki*7}- 81: 7)”




৭// আদম আ. –এর রূহ।

“যখন আমি তাকে (আদম আ.) সুষম করব এবং তাতে আমার রূহ ফুঁকে দেব, তখন তোমরা তার সম্মুখে সেজদায় নত হয়ে যেয়ো।
(Saad {Makki*38}- 38: 72)”

“অতঃপর যখন তাকে (আদম আ.) ঠিকঠাক করে নেব এবং তাতে আমার রূহ থেকে ফঁুক দেব, তখন তোমরা তার সামনে সেজদায় পড়ে যেয়ো।
(Al-Hijr {Makki*54}- 15: 29)”




৮// ঈসা আ.-এর রূহ

“এবং সেই নারীর কথা আলোচনা করুন, যে তার কামপ্রবৃত্তিকে বশে রেখেছিল, অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার রূহ ( যে মারয়াম আ. এর গর্ভে শিশু ঈসা আ. এর রূপ ধারণ করেছিল) ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং তাকে তার পুত্রকে বিশ্ববাসীর জন্য নিদর্শন করেছিলাম।
(Al-Anbiyaa {Makki*73}- 21: 91)”

“হে আহলে-কিতাবগণ! তোমরা দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহর শানে নিতান্ত সঙ্গত বিষয় ছাড়া কোন কথা বলো না। নিঃসন্দেহে মরিয়ম পুত্র মসীহ ঈসা আল্লাহর রসূল এবং তাঁর বাণী যা তিনি প্রেরণ করেছেন মরিয়মের নিকট এবং রূহ ( যে মারয়াম আ. এর গর্ভে শিশু ঈসা আ. এর রূপ ধারণ করেছিল)-তাঁরই কাছ থেকে আগত। অতএব, তোমরা আল্লাহকে এবং তার রসূলগণকে মান্য কর। আর একথা বলো না যে, আল্লাহ তিনের এক, একথা পরিহার কর; তোমাদের মঙ্গল হবে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ একক উপাস্য। সন্তান-সন্ততি হওয়াটা তাঁর যোগ্য বিষয় নয়। যা কিছু আসমান সমূহ ও যমীনে রয়েছে সবই তার। আর কর্মবিধানে আল্লাহই যথেষ্ট।
(An-Nisaa {Madani*92}- 4: 171)”

“আর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন এমরান-তনয়া মরিয়মের, যে তার সতীত্ব বজায় রেখেছিল। অতঃপর আমি তার মধ্যে আমার পক্ষ থেকে জীবন ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং সে তার পালনকর্তার বানী ও কিতাবকে সত্যে পরিণত করেছিল। সে ছিল বিনয় প্রকাশকারীনীদের একজন।
(At-Tahrim {Madani*107}- 66: 12)”




৯// ফেরেশতা জিবরাঈল আ. –কে রূহ বলা হয়

“অতঃপর তাদের থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্যে সে পর্দা করলো। অতঃপর আমি তার কাছে আমার রূহ (ফেরেশতা অথবা ফেরেশতা জিবরাঈল আ.) প্রেরণ করলাম, সে তার নিকট পুর্ণ মানবাকৃতিতে আত্নপ্রকাশ করল।
(Maryam {Makki*44}- 19: 17)”

“এই রসূলগণ-আমি তাদের কাউকে কারো উপর মর্যাদা দিয়েছি। তাদের মধ্যে কেউ তো হলো তারা যার সাথে আল্লাহ কথা বলেছেন, আর কারও মর্যাদা উচ্চতর করেছেন এবং আমি মরিয়ম তনয় ঈসাকে প্রকৃষ্ট মু’জেযা দান করেছি এবং তাকে শক্তি দান করেছি ‘রুহূল কুদ্দুস’ অর্থাৎ জিবরাঈলের মাধ্যমে। আর আল্লাহ যদি ইচ্ছা করতেন, তাহলে পরিস্কার নির্দেশ এসে যাবার পর পয়গম্বরদের পেছনে যারা ছিল তারা লড়াই করতো না। কিন্তু তাদের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়ে গেছে। অতঃপর তাদের কেউ তো ঈমান এনেছে, আর কেউ হয়েছে কাফের। আর আল্লাহ যদি ইচ্ছা করতেন, তাহলে তারা পরস্পর লড়াই করতো, কিন্তু আল্লাহ তাই করেন, যা তিনি ইচ্ছা করেন।
(Al-Baqara {Madani*87}- 2: 253)”




১০// ফেরেশতা ও রূহ

“এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ (জিব্রীল আ.) অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে।
(Al-Qadr {Makki*25}- 97: 4)”

“ফেরেশতাগণ এবং রূহ (জিব্রীল আ.) আল্লাহ তা’আলার দিকে উর্ধ্বগামী হয় এমন একদিনে, যার পরিমাণ পঞ্চাশ হাজার বছর।
(Al-Ma'aarij {Makki*79}- 70: 4)”

“যেদিন রূহ (জিব্রীল আ.) ও ফেরেশতাগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াবে। দয়াময় আল্লাহ যাকে অনুমতি দিবেন, সে ব্যতিত কেউ কথা বলতে পারবে না এবং সে সত্যকথা বলবে।
(An-Naba {Makki*80}- 78: 38)”




১১// পবিত্র রূহ' বলতে অহী-জ্ঞান বুঝানো হয়েছে । অহী নিয়ে দুনিয়ায় আগমনকারী জিব্রীলকেও বুঝানো হয়েছে । আবার হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের পাক রূহকেও বুঝানো হয়েছে ।

“অবশ্যই আমি মূসাকে কিতাব দিয়েছি। এবং তার পরে পর্যায়ক্রমে রসূল পাঠিয়েছি। আমি মরিয়ম তনয় ঈসাকে সুস্পষ্ট মোজেযা দান করেছি এবং পবিত্র রূহের মাধ্যমে তাকে শক্তিদান করেছি। অতঃপর যখনই কোন রসূল এমন নির্দেশ নিয়ে তোমাদের কাছে এসেছে, যা তোমাদের মনে ভাল লাগেনি, তখনই তোমরা অহংকার করেছ। শেষ পর্যন্ত তোমরা একদলকে মিথ্যাবাদী বলেছ এবং একদলকে হত্যা করেছ।
(Al-Baqara {Madani*87}- 2: 87)”

“যখন আল্লাহ বলবেনঃ হে ঈসা ইবনে মরিয়ম, তোমার প্রতি ও তোমার মাতার প্রতি আমার অনুগ্রহ স্মরণ কর, যখন আমি তোমাকে পবিত্র আত্মার দ্বারা সাহায্য করেছি। তুমি মানুষের সাথে কথা বলতে কোলে থাকতেও এবং পরিণত বয়সেও এবং যখন আমি তোমাকে গ্রন্থ, প্রগাঢ় জ্ঞান, তওরাত ও ইঞ্জিল শিক্ষা দিয়েছি এবং যখন তুমি কাদামাটি দিয়ে পাখীর প্রতিকৃতির মত প্রতিকৃতি নির্মাণ করতে আমার আদেশে, অতঃপর তুমি তাতে ফুঁ দিতে; ফলে তা আমার আদেশে পাখী হয়ে যেত এবং তুমি আমার আদেশে জন্মান্ধ ও কুষ্টরোগীকে নিরাময় করে দিতে এবং যখন আমি বনী-ইসরাঈলকে তোমা থেকে নিবৃত্ত রেখেছিলাম, যখন তুমি তাদের কাছে প্রমাণাদি নিয়ে এসেছিলে, অতঃপর তাদের মধ্যে যারা কাফের ছিল, তারা বললঃ এটা প্রকাশ্য জাদু ছাড়া কিছুই নয়।
(Al-Maaida {Madani*112}- 5: 110)”




১২// অন্যান্য

“যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন-কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ঠ? তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাময়।
(Al-Mulk {Makki*77}- 67: 2)”

“মদীনাবাসী ও পাশ্ববর্তী পল্লীবাসীদের উচিত নয় রসূলুল্লাহর সঙ্গ ত্যাগ করে পেছনে থেকে যাওয়া এবং রসূলের প্রাণ থেকে নিজেদের প্রাণকে অধিক প্রিয় মনে করা। এটি এজন্য যে, আল্লাহর পথে যে তৃষ্ণা, ক্লান্তি ও ক্ষুধা তাদের স্পর্শ করে এবং তাদের এমন পদক্ষেপ যা কাফেরদের মনে ক্রোধের কারণ হয় আর শত্রুদের পক্ষ থেকে তারা যা কিছু প্রাপ্ত হয়-তার প্রত্যেকটির পরিবর্তে তাদের জন্য লিখিত হয়ে নেক আমল। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সৎকর্মশীল লোকদের হক নষ্ট করেন না।
(At-Tawba {Madani*113}- 9: 120)”

“অতঃপর ঐ ব্যক্তির চাইতে অধিক জালেম কে, যে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা আরোপ করে অথবা তার নির্দেশাবলীকে মিথ্যা বলে? তারা তাদের গ্রন্থে লিখিত অংশ পেয়ে যাবে। এমন কি, যখন তাদের কাছে আমার প্রেরিত ফেরশতারা প্রাণ নেওয়ার জন্যে পৌছে, তখন তারা বলে; তারা কোথায় গেল, যাদের কে তোমরা আল্লাহ ব্যতীত আহবান করতে? তারা উত্তর দেবেঃ আমাদের কাছ থেকে উধাও হয়ে গেছে, তারা নিজেদের সম্পর্কে স্বীকার করবে যে, তারা অবশ্যই কাফের ছিল।
(Al-A'raaf {Makki*39}- 7: 37)”

“পার্থিব জীবন তো কেবল খেলাধুলা, যদি তোমরা বিশ্বাসী হও এবং সংযম অবলম্বন কর, আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের প্রতিদান দেবেন এবং তিনি তোমাদের ধন-সম্পদ চাইবেন না। (Muhammad/al-Qital {Madani*95}- 47: 36)”

“যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমাণদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরষ্কার দেব যা তারা করত।
(An-Nahl {Makki*70}- 16: 97)”

“তোমরা জেনে রাখ, পার্থিব জীবন ক্রীড়া-কৌতুক, সাজ-সজ্জা, পারস্পরিক অহমিকা এবং ধন ও জনের প্রাচুর্য ব্যতীত আর কিছু নয়, যেমন এক বৃষ্টির অবস্থা, যার সবুজ ফসল কৃষকদেরকে চমৎকৃত করে, এরপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তুমি তাকে পীতবর্ণ দেখতে পাও, এরপর তা খড়কুটা হয়ে যায়। আর পরকালে আছে কঠিন শাস্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। পার্থিব জীবন প্রতারণার উপকরণ বৈ কিছু নয়।
(Al-Hadid {Madani*94}- 57: 20)”

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, সময় নিয়ে আপনার মন্তব্যটি পড়তে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.