নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুর প্রান্তে

নিজেকে জানার চেসটা করছি, নতুন কিছু শেখার চেসটা করছি ।

ইমরান আশফাক

নিজেকে জানার ও খুজে পাওয়ার চেষ্টায় রত আমি, জানি না কবে নাগাদ সফল হবো কিংবা আদৌ হবো কিনা।

ইমরান আশফাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজধানীতে তৈরি হচ্ছে ২০টি ভেহিকুলার আন্ডারপাস, সিগন্যাল ছাড়াই চলবে গাড়ি।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১০



একবার ভাবুন তো উত্তরা থেকে মতিঝিল কিংবা মতিঝিল থেকে মিরপুর যেতে আপনার গাড়িটি একবারও সিগন্যালে না পড়ে তাহলে কেমন হয়! নিশ্চয়ই অনেক মজা। কারণ মাত্র ৩০ মিনিটেরও কম সময়ে মতিঝিল থেকে উত্তরা বা ২০ মিনিটের মধ্যে মতিঝিল থেকে মিরপুর পৌঁছানো সম্ভব। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে যানজট নিরসনে এমনই কিছু আশার বাণী শুনিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) কর্মকর্তারা। তারা বলেছেন, এ জন্য প্রয়োজন ২০টি বেহিকুলার আন্ডারপাস বা মাটির নিচের রাস্তা। এই আন্ডারপাসগুলো তৈরি হলেই কোনো সিগন্যালে পড়া ছাড়াই মতিঝিল থেকে মিরপুর বা উত্তরা পর্যন্ত দ্রুতগতিতে চলবে সব ধরনের গাড়ি।

রাজধানী ঢাকায় যানজট নিরসনে এমনই বেশ কিছু বেহিকুলার আন্ডারপাস নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছে ডিএসসিসি। শুরুতে মিরপুর রোডে ৬টি, ফকিরাপুল ও রাজারবাগে দুটিসহ মোট ১০টি বেহিকুলার আন্ডারপাস নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব আন্ডারপাস দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল করবে।

ডিএসসিসি সূত্র জানায়, রাজধানীর ২০টি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংযোগস্থলে এ ধরনের আন্ডারপাস নির্মাণ করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। তবে দু’ভাগে এগুলো নির্মাণ করা হবে। প্রথম ধাপে নির্মাণ করা হবে ফকিরাপুল ও শাহজাহানপুরসহ মিরপুর রোডের ১০টি স্থানে। এ ১০টির জন্য ৬৪০ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব অনুমোদন চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে ডিএসসিসি। একইভাবে এয়ারপোর্ট রোডে ১০টি আন্ডারপাস নির্মাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, ঢাকার যানজট দীর্ঘদিনের। যানজটে পড়ে হাজার হাজার কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। ক্ষতি হয় মানুষ ও গাড়ির। থেমে যায় কর্মস্পৃহা, নেমে আসে অবসাদ। এই যানজট যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে পড়েছে। এ থেকে নগরবাসীকে রেহাই দিতে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওই সব প্রকল্প ও পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। সংশ্লিষ্টরা নতুন করে মনে করছেন, যানজটের অন্যতম কারণ সড়কের গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং। একদিক থেকে গাড়ি যেতে আরেক সড়ক বন্ধ রাখতে হয়। ফলে দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। এই ক্রসিংয়ে গাড়ি চলাচলে যাতে কোনো সড়ক বন্ধ না থাকে সে জন্যই মাটির নিচ দিয়ে রাস্তা (বেহিকুলার আন্ডারপাস) নির্মাণ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সিটি কর্পোরেশন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রথম ধাপে মিরপুর রোডের ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরে, ৭ নম্বরে ও ২ নম্বরে, রাসেল স্কোয়ার, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়, নীলক্ষেত, মানিক মিয়া এভিনিউয়ের মাথায়, টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার, ফকিরাপুল ও শাহজাহানপুর সংযোগস্থলে আন্ডারপাস নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্প অনুমোদনের জন্য ২৬ আগস্ট স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। এখন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে ডিএসসিসি। একইভাবে ২য় পর্যায়ের ১০টি আন্ডারপাস নির্মাণের প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ১০টির মধ্যে রয়েছে- মৎস্য ভবন ক্রসিং, শাহবাগ, সাকুরা (সাবেক শেরাটন হোটেল), বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বিজয় সরণির পশ্চিমে, মহাখালী, কামাল আতাতুর্ক ও বনানী ক্রসিং।
ডিএসসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশন) মো. আশিকুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, বেহিকুলার আন্ডারপাস নির্মাণ করা হলে নগরীর সৌন্দর্য বিঘ্নিত না করে যানজট নিরসনে সময়োপযোগী সমাধান হবে। এ ছাড়াও এটা ভবিষ্যতে মেট্রো লাইন নির্মাণ বা এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণে কোনো বাধার কারণ হবে না। তিনি আরও বলেন, একটি সড়ক সংযোগস্থলে ফ্লাইওভার নির্মাণ বাবদ ব্যয় হয় কমপক্ষে ৩৫০ কোটি টাকা। সেখানে আন্ডারপাস নির্মাণ করা হলে ব্যয় পড়বে ৪৫ কোটি টাকা।

এ ছাড়া একটি আন্ডারপাস নির্মাণস্থলে পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য ১৮ কোটি টাকা ও কনসালটেন্সি বাবদ এক কোটি টাকা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে একটি বেহিকুলার আন্ডারপাস নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৪ কোটি টাকা। তিনি বলেন, ইউটিলিটি সংস্থার সহায়তায় ৯ মাসের মধ্যে আন্ডারপাস নির্মাণ করা সম্ভব।

http://www.jugantor.com/last-page/2014/11/11/172129

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: অত্যাধুনিক এই ব্যাবস্থা হলে তো ভালোই হয় । আশাবাদী ।

২| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২১

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: কাবে নাগাদ কাজটি শুরু হতে পারে ?

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩০

ইমরান আশফাক বলেছেন: এই কাজটি আরও আগে শুরু করা উচিৎ ছিলো, ইতিমধ্যেই দেরী হয়ে গেছে। তবে একেবারে না হবার চাইতে সেটাও অনেক ভালো।

৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: শুনুন, এটা নভেস্বরে বললেন এটা বানাতে ২৪ কোটি টাকা লাগবে। ইনশাল্লাহ ২০১৭ সনে এটা কাগজেই থাকবে, মাগার কাগজ পাতি বানাতে খরচ হয়ে যাবে দশ কোটি টাকা আর খরচ বেড়ে দাঁড়াবে ৫০ কোটি, তারপর ষাট কোটি...চলবে। ডিএসসিসির কিছু লোক তো এখনি মনে হয় দুবাইতে ফ্লাট বুকিং দিসে!

৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৫২

ভিটামিন সি বলেছেন: এইসব প্রকল্প কম্পিউটারের স্ক্রিণেই দেখতে ভালো লাগে। রাস্তায় নাই স্ট্রিট লাইট, তারা আবার আন্ডারওয়ে বানাবে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩১

ইমরান আশফাক বলেছেন: এটাও ঠিক বলেছেন।

৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৭

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: এইসব উন্নয়ন প্রকল্পের নাম শুনলেই গায়ে জ্বর ওঠে। এর সুফল কারা পাবে, কখন পাবে - তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই - কিন্তু আবাল জনগণ তার জন্য ১০ বছর কষ্ট পাবে।

৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮

অেসন বলেছেন: আশায় রইলাম। ঢাকাকে বাসযোগ্য রাখতে হলে এরকম কিছু করতেই হবে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: আমাদের অনেকগুলি ফ্লাইওভারগুলি, ওভারপাস আর আন্ডারপাস তৈরী করতে হবে। পাশাপাশি মেট্রো ও মনোরেলের ব্যাবস্হাও করতে হবে। তাছাড়া ঢাকার উপর চাপ কমাতে বিভাগীয় শহরগুলিতে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরন করলে ব্যাবসা-ব্যানিজ্য সব ঢাকার পরিবর্তে সমস্হ দেশে ক্রমান্বয়ে ছড়িয়ে পড়বে। রাজধানীমূখি জনস্রোতও এইভাবে কমে আসবে।

৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৫০

মহান অতন্দ্র বলেছেন: পরিকল্পনা তো ভাল , এখন হলেই হয় ।

অনেক ভাল একটি ব্যাপার শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৩

ইমরান আশফাক বলেছেন: শুধু আশাবাদী হয়ে না থেকে এর অতিরিক্ত কিছু করতে হবে।

৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৩

খেলাঘর বলেছেন:

পানির কারণে আন্ডার গ্রাউন্ড করা যাবে না।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: আন্ডার গ্রাউন্ড টানেলে পানি ঢুকবার কোন সম্ভাবনা নেই (দুইমূখ থেকে তো?)। ধরুন যদি ঢুকেও তাহলেও শক্তিশালী পাম্পের সাহায্যে সংগে সংগে তা বের করে দেয়া যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.