নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুর প্রান্তে

নিজেকে জানার চেসটা করছি, নতুন কিছু শেখার চেসটা করছি ।

ইমরান আশফাক

নিজেকে জানার ও খুজে পাওয়ার চেষ্টায় রত আমি, জানি না কবে নাগাদ সফল হবো কিংবা আদৌ হবো কিনা।

ইমরান আশফাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুলনা-যশোর এলাকার জনপ্রিয় খাবার ডেগের গোস্ত

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫০









বৃহত্তর খুলনা বা যশোর জেলায় বিশেষ করে গ্রাম অন্চলে এটি খুবই জনপ্রিয় খাবার। বিশেষ বিশেষ অনুস্ঠানে এটি রান্না হয় মুলত: গনভোজের জন্য, অনেকটা চট্টগ্রামের যিয়াফত বা মেজবানীর মতই।



আমাদের গ্রামের বাড়ীতে প্রতি বছর দুই বা তিনবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং প্রতিটা অনুষ্ঠানে কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই হাজার লোক খাওয়ানো হয়। অনেক বৎসর যাবৎ ধারাবাহিকভাবে করার ফলে আমরা এখন খুব দক্ষভাবে এই অনুষ্ঠানগুলি সামলাতে পারি। তাছাড়া আমদের পরিবারটাও চাচাতো, ফুফাতো ও মামাতো ভাই/বোনদের দিক দিয়ে খুবই বড় এবং তারা সবাই সমাজিক ও আর্থিকভাবে খুব ভালভাবে প্রতিস্ঠিত। এছাড়া গ্রামে আমাদের বংশের লোকজনও খুবই সাহায্য করে কারন এই আয়োজনের কোন ত্রুটি হলে সেটা বংশের ইজ্জতের উপর আঘাত করবে বলে তারা বিশ্বাস করে। অর্থাৎ এই ধরনের গনভোজের অনুষ্ঠান সুষ্ঠভাবে আয়োজনের জন্যে যা যা প্রয়োজন তার সবই আমাদের কাছে বিদ্যমান।





অনুষ্ঠানের কমপক্ষে একদিন পুর্বেই সবধরনের বাজার-সওদা শেষ করা হয়। আত:পর রাতের বেলা্য কয়েকটি গরু যবাই করে কাটাকুটি করে প্রস্তুত করে রাখা হয় (কমপক্ষে ১০ মন)। এইদিকে আরেকদল বিভিন্ন মসলাপাতি যেমন পেয়াজ, রশুন, আদা, শুকনা ঝাল ইত্যাদি কেটে রাখে এবং অন্যান্য উপকরন যেমন বাটা হলুদ, ধনে বাটা, যিরা বাটা, গুড়া ঝাল, গরম মসলা ইত্যাদি প্রস্তুত করে রাখে। ভাতের দায়িত্বে থাকে আরেক দল। স্হানীয় বাজারে পরিমানমত মিস্টি দইয়ের অর্ডার দেওয়া থাকে যেটা মুল খাওয়ার পর দেওয়া হয়।



একটু বেলা হলে গোস্তগুলি কমপক্ষে ৮ বা ১০টা ডেগে করে ধারাবাহিকভাবে চুলায় চড়ানো শুরু হয়। যেহেতু অনুষ্ঠানগুলি শুক্রবারে করা হয়ে থাকে সেহেতু আমাদের টার্গেট থাকে যেন বেলা ২টা থেকে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারটা শুরু করতে পারি নচেৎ কমপক্ষে দুই হাজার লোক খাওয়ানো সম্ভব হবে না। এইজন্য প্রথমে ৬০০/৭০০ জন পুরুষ মানুষ প্রথম ব্যাচে বসেন আমাদের বিশাল উঠানে (পান্ডেল টাংগানো থাকে)। এরপরের ব্যাচটায় বাচ্চারা ও কিছু মহিলারা। ৩য় ব্যাচে মহিলারা এবং যারা এখনও বসতে পারে নাই তারা। এরপর খাদেমগন (যারা রান্নাবান্না ও পরিবেশন করেন) আহার করে নেন। আমাদের পরিবারের একান্ত ঘনিষ্ঠজনেরা (১৫০ জনের কম হবে না) বাসার ভিতরে পালাক্রমে খেয়ে নেন। নীচে যতদুর সম্ভব ডেগের গোস্তের রেসিপিটা দিলাম:







- প্রতিটি ডেগে একমনের মত মাংস চড়ানো হয়।



- এরমধ্যে বেশী করে পেয়াজ ও সমপরিমান রশুন দেয়া হয়, এরপর আদা, শুকনা ঝাল বাটা, তেজপাতা, বাটা হলুদ, বাটা ধনে, যিরা, গরম মসলা, লবন, তেল (সর্ষের তেল হলে ভালো হয়, সয়াবিন হলেও চলবে) দিয়ে একসংগে ভালোভাবে মাখিয়ে বেশ কিছুক্ষন রেখে দেয়া হয় চুলায় চড়ানোর আগে।







- রান্নার একপর্যায়ে চুই ঝাল দেয়া হয় (ছবি দেখুন)।



- আপনি আলু দিতে চাইলে আগে থেকেই অর্ধেক করে কেটে হালকা ভাজি করে রাখবেন, রান্না চুলা থেকে নামানোর কিছুক্ষন আগে এই ভাজা আলুগুলি ডেগের মধ্যে দিয়ে দিবেন।



- রান্নায় সাধারনত: কোন পানি দেয়া হয় না, মাংসের পানিতেই মাংস সিদ্ধ করা হয়। তবে যদি একান্তই পানি দিতে চান তাহলে সেটা গরম করে দিবেন।







- রান্না হয়ে গেলে উপরে যিরা টেলা (যিরা শুকনা তাওয়ায় ভেজে গুড়া করা হয়) ও ধইনে পাতা কুঁচি ছড়িয়ে উত্তপ্ত কয়লার উপর ডেগটা কিছুক্ষন ঢেকে রাখা হয়, এতে তেলটা উপরে ভেসে উঠে আসে। তখন ডেগের ঢাকনাটা খুলে বিশাল হাতাওয়ালা চামচ দিয়ে সমস্হ ডেগের মাংস একবার উলটপালট করা হয়। অত:পর পুনরায় ঢেকে কয়লার উপর ডেগটা রাখা হয় পরিবেশনের আগ পর্যন্ত।



সংগে ডালও দেওয়া হয় এবং সেটিও একটা এলাহী কান্ড। কয়েকধরনের ডাল যেমন মুগ, মশুর, আড়হর, মাসকালাই, খেসারী অর্থাৎ সেই সময়ে যে যে ডাল পাওয়া যায় সেইগুলি খানিকাটা ভেজে শিলপাটায় আধছেচাঁ করে এই ডাল তৈরী করা হয়। সংগে দেওয়া হয় আলু, পুইশাক, চুইঝাল, পেপে আর পর্যাপ্ত পরিমানে ঝাল। ডালের মধ্যে খানিকটা মাংসের চর্বিও দেয়া হয় স্বাদ বাড়ানোর জন্যে।



বাসার ভিতর যারা থাকেন অর্থাৎ আমাদের নিকট আত্নীয় ও বন্ধু-বান্ধবদের জন্য অতিরিক্ত থাকে কয়েকপ্রকারের মাছ, দেশী মুরগী, কয়েকধরনের সব্জী দিয়ে তৈরী একধরনের ঘন্ট (এরমধ্যে শোল মাছ কেটে দেয়া হয় যেটি ঝোলে পরিনত হয়ে তরকারীর স্বাদ বাড়িয়ে দেয়)।



হিন্দুদের জন্যে আলাদা করে খাসীর মাংসের ব্যাবস্হা করা হয়।



মেজবানীর পূর্বে অর্থাৎ সকালে আমরা নাস্তা করি খিচুড়ী, বেগুন ও আলু ভাজি এবং কলিজা ভুনা দিয়ে।





বি:দ্র: এইটা আমার প্রথম মৌলিক পোস্ট, সুতরং ত্রুটি মার্জনীয়। B-)



অনেক চেষ্টার পরও আমাকে ছবি যোগ করতে দেয়া হোলো না, আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৩

খেলাঘর বলেছেন:


আপনারা কি রাজনীতি করেন, নাকি কন্ট্রাকটারী করেন?

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: অধিকাংশই সরকারী উচ্চপদে চাকুরে করেন, কেউ কেউ বিদেশে থাকেন, কেউ কেউ ব্যবসা করেন, রাজনীতির সাথে ও জড়িত কেউ কেউ অর্থাৎ তারা জনসেবা করেন, আমাদের পৈত্রিক বাড়ীর জমির পরিমানও অনেক (শুধু ভিটা বাড়ীটিই ৯বিঘার উপর)। শুধু পায়ের উপর পা তুলে খাওয়ার লোকও আমাদের ফামেলিতে পাবেন।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১১

ইমরান আশফাক বলেছেন: পাস করা ডাক্তারও আছে ডজন খানেক (কমপক্ষে এমবিবিএস)। বললাম না আমার ফামেলিটা অনেক বড়। ষেই তুলনায় ইন্জিনিয়ার হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র।

২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০০

নিলু বলেছেন: আর যাই হউক খাওয়াটা মজারই হয় বোধ হয় , কিন্তু খাওয়াটা ফ্রী না উপহার দিয়ে ?

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: ফ্রি, এটা মুলত: দোয়া-খায়েরের অনুষ্ঠান।

৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৯

কল্যাণমিত্র বলেছেন: জিভে জল চলে এলো ভাই ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৩

ইমরান আশফাক বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১১

শাহরীয়ার সুজন বলেছেন: আহাহা রান্নার যে বর্ণনা দিলেন। জিভে একেবারে পানি এসে গেলো। :-P :-D

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: আদতেই জিভে পানি আসার মত রান্না, অনেক দুর থেকেই রান্নার সুবাস পাওয়া যায়। কারন বাজারের কোন গুড়া মসলা ব্যবহার করা হয় না, আস্ত মসলা আমাদের এখানেই বেটে রান্নায় দেয়া হয়।

৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২০

তিথীডোর বলেছেন: জিহবায় পানি এসে গেলো :!> ২০১০ এ দেশে ভাগনির বিয়ের পরে ওর শ্বশুরবাড়ী চট্টগ্রামে মেজবানীর দাওয়াতে গিয়েছিলাম--দারুন মজার ছিল খাওয়া দাওয়া আর তাদের অতূলনীয় আন্তরিকতা!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: আমাদের এলাকার রান্নায় ঝাল ও তেল বেশী করে দেয়া হয়।

৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৩

পাগলাগরু বলেছেন: "রাজনীতির সাথে ও জড়িত কেউ কেউ অর্থাৎ তারা জনসেবা করেন"- হেহেহেহে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩২

ইমরান আশফাক বলেছেন: আক্ষরিক অর্থেই জনসেবা, তারা কিছুই করতে পারেন নাই রাজনীতিতে এমপি, চে্যারমান হওয়ার পরও। শুধু শুধু বাপের বাড়ীর টাকার শ্রাদ্ধ।

৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৫

শাহ আজিজ বলেছেন: আমার বাবা বেচে থাকতে এই আয়োজন ছিল প্রতি ২৭ রমজানে। ডেগের মাংস সুস্বাদু এবং বেশী খাবার ইচ্ছে জাগায় সাথে লাল আতপ চালের ভাত। ইদানিং ছোট ভাইটি বিদেশ থেকে এসে প্রতি বছর এই আয়োজন করে আব্বার মৃত্যু বার্ষিকীতে । হিন্দুদের জন্য মুরগি তখন ছিল খাসি। এটা আমাদের এলাকার ট্র্যাডিশন বলতে পারি।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫০

ইমরান আশফাক বলেছেন: আতপ চালের কথাটা বলতে ভুলে গেছি, আমাদের জমিরই চাল। আপনার বাড়িটা কোন এলাকায়?

৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৭

শাহ আজিজ বলেছেন: রামপাল। সেই চাল এখন উৎপাদন হয়না , ওটা জামাই নাড়ু ধানের চাল । ২০০৮ কি ৯ তে সিলেটে খেয়েছি একজনের বাসায়। অনেকটা ওয়াইল্ড রাইসের মতো , আমাদের জমিতেই চাষ হতো। বিরিয়ানি চালু করতে এখানে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে । গভীর গ্রামে এখনো বলে "ওই মাখা ভাত খাবনা" ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: বিরিয়ানিকে বলে মাখা ভাত! হা হা হা।

মজা পাইলাম। যাই হোক আমার পৈতৃক বাড়ী কালিয়া উপজিলার খড়রিয়া গ্রামে (নড়াইল)।

৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৫

খেলাঘর বলেছেন:


আপনাদের চাকর ছেল ও চাকরাণী মেয়ে কত জন?

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪০

ইমরান আশফাক বলেছেন: আমাদের ওখানে কাজ করে অনেক বৎসর ধরে এমন বেশ কয়েকজন আছে, এমনকি আমার আব্বার ছোটবেলা থেকে কাজ করছে এমন একজনও। যদিও এখনও সুঠামদেহী তারা। তাছাড়া বললাম না যে আমাদের বংশের অনেক স্বেচ্ছাসেবক আছে।

তাই বলে ভাববেন না আমরা জমিদার বংশীয়, স্রেফ অনেক পুর্ব থেকেই আমারা শিক্ষিত। যেমন আমার আপন নানা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাস করা (বৃটিশ আমলে), দাদা ইশাপুর গান ফাক্টরীর ক্যাশিয়ার ছিলেন (বৃটিশ আমলে)। এখন বুঝে নিন তাদের সন্তানদের তারা কিভাবে শিক্ষা দিতে পারেন? সেই সময়ে এক একজনের ছেলেমেয়েও হইত প্রচুর এবং তারা সবাই যদি শিক্ষিত হয় তাহলে তাদের প্রতিপত্তি এমনিতেই বেড়ে যায়। আর কালিয়া অন্চল ছিলো বৃটিশ আমলের সবচেয়ে শিক্ষিত এলাকা।

১০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৭

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: মজার পোস্ট। পড়েই গোস্তের মজা পেলাম। আরো মজা পেলাম খেলাঘরভাই এর কমেন্টে ও আপনার জবাবে।
শুভকামনা

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৪

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: (ছবি দেখুন)

ছবি কই?

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫২

ইমরান আশফাক বলেছেন: সামু ব্যাটা ছবি পোস্ট নিলো না, দেখি পরে দিতে পারি কিনা।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: ছবিগুলি দেখুন।

১২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ২:৪৪

রাজিব বলেছেন: নতুন জিনিশ জানলাম। তবে ছবি থাকলে বেশ ভাল হত। এ ধরনের ছবি বা ভিডিও কি ফেইসবুক বা অন্য কোথাও আছে? থাকলে লিংক দেন
আমাদের ব্লগঃ http://blog.e-cab.net/

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: ছবি শেষ পর্যন্ত আপলোড করতে পেরেছি।

১৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৪৫

বাছাধন বলেছেন: চুই ঝাল কি?

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: ছবি দেখুন।

১৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৪

সুমন কর বলেছেন: বিশাল আয়োজন। ;)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

ইমরান আশফাক বলেছেন: কিন্চিৎ বিশাল আয়োজন তো বটেই, তবে কিনা নিয়মিত আয়োজনের কারনে আমাদের কাছে সবকিছু ম্যানেজ করা এখন ততটা কঠিন মনে হয় না।

১৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৭

এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: খুলনা যশোর না বলে সরাসরি নড়াইল বলতে পারতেন শিরনামে। কারন এত মহাআয়োজন বর্তমান সময়ে খুব বেশি হয় বলে মনে হয় না। আপনার পরিবারটাকেই হাইলাইট করলে ভাল হতো। তবে আমার এলাকার নাম দেখে ভালই লাগছে।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: আপনার এলাকাটা কোনটা? আর এইধরনের আয়োজন আগের তুলনায় কমে গেলেও আমাদের এলাকায় এখনও অনেকে করে থাকেন। আর চট্টগ্রাম অন্চলে বলে এই ধরনের আয়োজন ডালভাত মাত্র।

১৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৩১

আমি ইহতিব বলেছেন: আমার শশুরের মিলাদের সময় ও দেখেছি এই ধরনের রান্নাগুলো কিভাবে যেন খুব মজা হয়। বাসায় এই টেস্ট কখনোই পাওয়া যায়না।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: এটা আসলেই সত্য। যেমন উক্ত অনুষ্ঠানের আগেরদিন হরেক রকম মাছ খাই আমরা যেমন কই মাছের ঝোল, শোল মাছের দোপেয়াজা, ফলুই মাছের কোপতা, পাঁচমিশালী ছোট মাছ ভাজী, ছোট চিংড়ীর বড়া, রুই বা কাতলা মাছের ভুনা (আমাদেরই পুকুরের), মুড়িঘন্ট, গলদা বা বাগদা চিংড়ী ইত্যাদি। খেয়াল করে দেখেছি যে বাসায় অন্যসময় এই একই পদগুলি সেইরকম টেস্টি হয় না। আসলে রান্নার পরিমান যত বেশী হবে তার স্বাদও ততই বেশী হবে।

১৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০১

কলমের কালি শেষ বলেছেন: ব্যাপক আয়োজন ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫২

ইমরান আশফাক বলেছেন: ব্যাপক আয়োজনই, তবে আমরা অনেকদিন যাবৎ করে আসছি বিধায় এতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। জানিনা আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই ধারাটি বজায় রাখতে পারবে কিনা।

১৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫১

বাজপাখি বলেছেন: আমার পৈতৃক বাড়ী নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামে । ইতনা নাম তো শুনার কথা ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:২৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: চিনি, সৌরভ গাংগুলীদের ভিটা বাড়ী ওখানে ছিলো। ঠিক বোলেছি না?

১৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০০

এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: আমার এলাকা খুলনা এবং যশোর

২০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৫

ভারসাম্য বলেছেন: চুইঝাল কী? অনেক আগে একটা গল্পে পড়েছিলাম খুলনার লোকেরা মাংসে কী একটা গাছের ডাল না শেকড় খায়, সেটাই নাকি?

ভাল লাগলো ডেগের গোস্ত, তবে শুধু পড়ে পড়েই। খেয়ে দেখতে পারলে আরো ভাল লাগত হয়তো। ;)

+++

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২১

ইমরান আশফাক বলেছেন: ঠিক ধরেছেন, গাছের শিকড় এবং পুরা গাছটাই (পাতা বাদে)। খেতে বেশ ঝাল এবং তরকারীর স্বাদ বাড়িয়ে দেয়।

২১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১২

আরমিন বলেছেন: পোস্ট ভালো হইছে তো, এর পরের বার আমাদেরকেও দাওয়াত দিয়েন , ওকে?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: কেন নয়? অবশ্যই আসবেন।

২২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:২৪

আরমিন বলেছেন: থ্যাংস! :)

২৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০২

বিপ্লব06 বলেছেন: এই ঝোল আর মুড়ি!!! ইসস!!!!! :(( :(( :(( :((

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৩

ইমরান আশফাক বলেছেন: আমি দেখেছি ডেগের গোস্ত কয়েকদিন পর কড়াইতে ভেজে খেলে স্বাদ কয়েকগুন বেড়ে যায়। সংগে কাঁচা আাটার রুটি, অব্শ্য তেল ছাড়া পরাটা ও হতে পারে।

২৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৬

নতুন বলেছেন: খিদা লাইগা গেলো তো... :)

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:০০

ইমরান আশফাক বলেছেন: সারা বৎসর কমপক্ষে দুইবার (চারবারও হতে পারে) এইরকম আয়োজন করা হয়, এই আয়োজনের জন্য আমাদের অনেকেই অপেক্ষায় থাকে।

২৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৬

প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই বহুদিন হলো চুইঝাল খাইনা। এখন আমাদের এলাকায় আর পাওয়া যায় না। আপনার পোষ্টে চুইঝাল দেখে ভাল লাগল। ধন্যবাদ

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: আমাদের এলাকায়ও এটি খুব শীঘ্রই দূর্লভ হয়ে পড়বে বলে মনে হয়।

২৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: লোভনীয় পোস্ট ।ডেগের মাংস সত্যি অসাধারণ ।

টপ টপ টপ লুল পরছে ভাই

এখন ডেগের মাংস কোথায় পাই ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: এখনও তো ডেগের রান্নার প্রচলন আমাদের এলাকায় আছে, বিশেষ করে গ্রাম এলাকায়। তবে শহর এলাকায় এটি আর চলে না।

২৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: এই পোস্ট কেমনে এতদিন আমার চোখের আড়ালে ছিল ! ! ! খানা দানার পোস্ট খুব ভালা পাই :#) তয় এখন খালি দেখতাছি খাইতে পারতাছিনা তাই আপনারে মাইনাস X( এর পরের অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দিলে কিন্তুক আপনার খবর আছে, আর গোস্তের সাথে সাথে আমি মাছও ভালা পাই। ;)

অন্যান্য অঞ্চলেও সাধারণতঃ গ্রামের দিকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এভাবে গোস্ত রান্না হয় তার সাথে এই ডেগের গোস্তের কি কোন পার্থক্য আছে? আর চুই ঝাল জিনিষটা কি? এটাতো আগে কখনো দেখেছি বলে মনে পড়ে না - স্বাদের পার্থক্য এই চুই ঝাল জিনিষটার জন্য হয়?

কিছু মানুষের মন্তব্য দেখে বেশ অবাক হলাম। পারিবারিক কোন শিক্ষাদীক্ষা কি তাঁরা পাননি ! !

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: এরপর আমি ব্লগেই পূর্ব ঘোষনা দিয়ে যাব। :D

এই রান্নাটাকেই বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে চেনে, রান্নার মসলায় হয়তো একটু তারতম্য থাকে। যেমন চিটাগ্যাং অন্চলে মৌরী বা মিষ্টি যিরা দেয়া হয় যেটা এই অন্চলে দেয়া হয়না। সিলেটে দেয়া হয় সাতকরা। আমাদের অন্চলে চুই ঝাল (ছবি দেখুন) দেয়া হয়, এটি এক ধরনের ঝাল যা অন্যান্য ঝালের সাথে মিশে তরকারীর স্বাদ আরও বাড়িয়ে দেয়। আর মাংসে সাধারনত: বাড়তি পানি দেয়া হয় না, মাংসের পানিতেই মাংস সিদ্ধ করা হয়।

মাছ রান্না হয় আমাদের নিজেদের ও ঘনিস্টজনদের খাওয়ার জন্যে, আমরা অন্তত: একদিন আগেই ওখানে যাই। আমাদের এলাকায় ঐ সময় যেসব মাছ পওয়া যায় পদ্নবিল থেকে যেমন কই, ফলুই, সিংগী, শোল, পাঁচমিশালী ছোট ছোট মাছ, পুকুরের রুই-কাতলা, মৃগেল, গলদা চিংড়ী, ছোট চিংড়ীর বড়া কিংবা খুলনা থেকেই কিনে নিয়ে যাওয়া ইলিশ মাছ থাকতে পারে। টাকি মাছের ভর্তাও গতবার খেয়েছিলাম।

আর মন্তব্যের ব্যাপারে বলছেন |-)

কিছু কিছু মন্তব্য আমাকে রীতিমত ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছে, তবে মজাও পেয়েছি। আসলে ব্লগে কে কিভাবে মন্তব্য করবে সে ব্যাপারে কোন বিধিনিষেধ নেই, এটা পারসন টু পারসন ভ্যারী করে। মন্তব্যগুলি থেকেও তার সন্মন্ধে কিছু ধারনা করা যায়।

২৮| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:১৫

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: অসাধারন। জিভে জল এসে গেল। পরের বার অবশ্যই দাওয়াত দিবেন। যত কিছুই হোক অবশ্যই খেয়ে আসবো ইনশাআল্লাহ। এটা আমার ফেসবুক আইডি এখানে জানাবেন দয়া করে।

https://www.facebook.com/Basharsiddiqe

০১ লা মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

ইমরান আশফাক বলেছেন: অবশ্যই, আ্যডভান্স দাওয়াত দিয়ে রাখলাম। তারিখটা পরে চূড়ান্ত হওয়ার পর পরই আপনাকে জানাবো।

২৯| ০১ লা মে, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮

In2the Dark বলেছেন: ভাই খিদা লেগেছে

০১ লা মে, ২০১৫ রাত ১১:০০

ইমরান আশফাক বলেছেন: এখন আপাতত ঝটপট কিছু একটা খেয়ে নেন, পরবর্তী অনুষ্ঠানে আপনাকে আশা করছি ওখানে।

৩০| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

লোভনীয় !! কালারটা সেই। খেতে মন চাই।

৩১| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪৬

ইমরান আশফাক বলেছেন: এর পরেরবারের টা ছবিব্লগ আকারে পোষ্ট করার ইচ্ছা আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.