নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুর প্রান্তে

নিজেকে জানার চেসটা করছি, নতুন কিছু শেখার চেসটা করছি ।

ইমরান আশফাক

নিজেকে জানার ও খুজে পাওয়ার চেষ্টায় রত আমি, জানি না কবে নাগাদ সফল হবো কিংবা আদৌ হবো কিনা।

ইমরান আশফাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিনির পরিবর্তে আমরা খাচ্ছি মেগনেসিয়াম সালফেট

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৭

চিনির পরিবর্তে আমরা খাচ্ছি মেগনেসিয়াম সালফেট.... ইয়া আল্লাহ রহম কর... পৃথিবীর এমন কোনো রোগ নাই যা আমাদের হবে না

শুনুন তাহলে বিষ+বিষ এর ভয়াবহ কাহিনী যা আমদের খাওয়ানো হচ্ছে। নিষিদ্ধ ঘন চিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেট) হাজার হাজার টন আমদানি হয়ে দেশে ঢুকছে কিভাবে? অনেক দিনের চেষ্টায় ক্লু পেয়ে গেলাম বণিক বার্তা পত্রিকার এক সংবাদে। সাইট্রিক এসিড নামে আমদানি হচ্ছে এই বিষ। দেয়া হচ্ছে, মিষ্টি, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকোলেট, কন্ডেন্সড মিল্ক প্রভৃতি মিষ্টি
জাতীয় খাদ্য দ্রব্যে। goo.gl/LY0d6h

চিনির চেয়ে প্রায় পঞ্চাশ গুণ বেশি মিষ্টি এই ঘন চিনি পৃথিবীর অনেক দেশেই নিষিদ্ধ। ক্যান্সার, কিডনি বিকল, হজম শক্তি হ্রাস সহ নানাবিধ জটিল রোগের সৃষ্টি করতে পারে এই চিনি।

সাইট্রিক এসিড এর মত দেখতে হুবহু এক রকম বলে অসাধু ব্যবসায়ীরা অতি সহজেই সাইট্রিক এসিড নামে ও কোডে ঘন চিনি আমদানি করছে। goo.gl/9FVGlE

ঢাকার মিটফোর্ড থেকে বের করলাম আরও এক নামে ঘন চিনি আমদানি হচ্ছে। সোডিয়াম সাইট্রেট দেখতেও ঘন চিনির মত দেখতে। সাইট্রিক এসিড এবং সোডিয়াম সাইট্রেট নামে আসছে নিষিদ্ধ বিষ ঘন চিনি। বণিক বার্তার সাংবাদিক ভাই খবর দিলেন মিটফোর্ডে দুই রকম ঘন চিনি বিক্রি হয়। একটা পিউর অন্যটা ভেজাল মিশ্রিত। পিউর ঘন চিনি কেজি ২২০ টাকা হলে ভেজাল ঘন চিনি ১৪০ টাকা কেজি। মাথাটা ঘুরে গেল!! বিষের সাথে বিষ! সেখানে সংবাদ নিলাম কম দাম বিধায় এই ভেজাল ঘন চিনির বিক্রি সর্বাধিক। সবাই গাড়ি ভর্তি করে এই ভেজাল ঘন চিনি নিয়ে যায় বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে দেয়ার জন্য।

ভেজাল মিশাতে হলে তো ঘন চিনির মতই অন্য কোন একটি দ্রব্য মেশাতে হবে, যার দাম হবে খুব কম এবং মিষ্টি অথবা টেস্টলেস হতে হবে। কি হতে পারে তা?? দুই দিন ঘুমাতে পারিনি। সমানে পারমুটেশন কম্বিনেশন করতে লাগলাম। কি সেই আইটেম? কেউ বলে না। গুগলে ঘন চিনির ছবি বের করে তার সাথে মিল রেখে খুঁজতে লাগলাম আইটেম। হটাত মাথার মধ্যে বিদ্যুৎ চমকে উঠল। প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না, কি করে সম্ভব!! আমার এক ভাই সার (ফার্টিলাইজার) বিক্রি করে। তাকে বললাম, “চিনির মত দানাদার সার কি আছে রে?” ইউরিয়া? না ইউরিয়া গোলাকার এবং খুব খারাপ স্বাদ। আর কি আছে? আচ্ছা ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার? ভাই আমার লাফ দিয়ে উঠল!! হ্যাঁ ভাই, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার দেখতে চিনির মত দানাদার, দাম কম ১৫/২০ টাকা কেজি এবং স্বাদহীন।

এবার আমি লাফ দিয়ে উঠে গুগলে ছবি দেখলাম। ঘন চিনি এবং ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার দেখতে একই রকম। বিশ্বাস হচ্ছিল না, যে আমাদের সার খাওয়াচ্ছে আর একটি বিষের সাথে। সেই সাংবাদিক ভাইয়ের দ্বারা মিটফোর্ড থেকে ভেজাল এক কেজি সার কিনে আমি সরকারীভাবে চিঠি দিয়ে ১০০ গ্রাম নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠালাম সরকারী ল্যাব (সারের জন্য) খামার বাড়ির মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটে। ঘুম হারাম হয়ে গেল আমার টেনশনে। রিপোর্ট পেলাম সেই ঘন চিনির নমুনায় ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার পাওয়া গেছে।

যা সন্দেহ করেছি তাই। সেই সার মিশ্রিত ঘন চিনির প্যাকেট বা নমুনা না দেখেই এত হাজার লাখ আইটেমের মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার কিভাবে নির্বাচিত করলাম, তা সত্যিই হবাক হবার বিষয়!! মহান আল্লাহ্পাক হয়ত সাহায্য করেছেন আমায়।

কয়েকজন বিজ্ঞানী রসায়নবীদকে জিজ্ঞাস করলাম, সার খেলে কি হয়? তাঁরা হতবাক হয়ে গেলেন। কেন সার খাবেন কেন? আমি বললাম, যদি খাই। ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার সাথে ঘন চিনি!! হেসে তাঁরা উত্তর দিলেন, "ভাই আপনার শখ লাগলে আপনি খান। তবে দুনিয়ার কোন অসুখ থেকে বাদ যাবেন না এবং প্রথম শেষ হবে বাচ্চারা"।

নানা ধরণের মিষ্টি জাতীয় খাদ্যে দীর্ঘদিন ধরে এক বিষ ঘন চিনির সাথে আর এক বিষ রাসায়নিক সার ম্যাগনেসিয়াম সালফেট খেয়ে আমাদের পরিণতি কি হচ্ছে?? পৃথিবীর কোথাও আছে মানুষকে সার খাওয়ানোর উদাহরণ??

কোথায় আছি আমরা? কোথায় আমাদের গন্তব্য? কে আমাদের বাঁচাবে, বাঁচাবে আমাদের সন্তানদের?

এফবি থেকে সংগৃহিত।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৯

আবু সাইফ বলেছেন: সালাম..
আঁতকে উঠলাম!!
এ লেখাটি ব্যাপক প্রচার হওয়া প্রয়োজন

আপনাকে ধন্যবাদ

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

ইমরান আশফাক বলেছেন: এই কারনেই তো ব্লগে প্রচার করলাম।

২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪১

আবু জান্নাত বলেছেন: সচেতনা মূলক পোষ্টের জন্য শুকরিয়া।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৩

ইমরান আশফাক বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: কি আর করা , পৃথিবীতে খাদ্য সংকট । এভাবেই একদিন সব অরিজিনাল খাবার হারিয়ে যাবে , সব আর্টিফিশিয়াল খাবারে ভরে যাবে ।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১

ইমরান আশফাক বলেছেন: হুম, তা খারাপ বলেননি।

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলার মানুষকে পংগু জাতিতে পারিণত করছে কিন্তু মগজহীন

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২০

ইমরান আশফাক বলেছেন: মন্তব্য পুরোটুকু শেষ করুন আগে..... আর হ্যা, আমাদের একইসাথে পংগু ও মগজহীন জাতীতে পরিনত করতে পারলে কাদের লাভ সবচেয়ে বেশী হতে পারে বলে মনে করেন?

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৩

মহান অতন্দ্র বলেছেন: সচেতনা মূলক পোস্ট। ভাল লাগা।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১২

ইমরান আশফাক বলেছেন: সচেতনার জন্যই এই ধরনের পোস্ট, আমরা আসলে কি খাচ্ছি সেটা তো জানা দরকার।

৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দুঃখজনক।ব্যবসায়ীরা যে কত নিচে নামতে পারে! বিষয়টি নিয়ে ভাবা ও লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৮

জেসমিন মলি বলেছেন: মূল লেখাটি মাহবুব কবির মিলনের লেখা, যিনি চট্রগ্রামে বিনিয়োগ বোর্ডের একজন পরিচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ভেজাল এবং কীটনাশক মুক্ত খাদ্য এবং চাষাবাদ নিয়ে সরকারের নীতি নির্ধারনী পর্যায়ে তিনি অনেক গুরত্বপূর্ণ কাজ করে চলেছেন। ফেসবুক থেকে সংগৃহীত বলে লেখাটি চালিয়ে দেয়া এক ধরনের অন্যায়।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১১

ইমরান আশফাক বলেছেন: আপনি খেয়াল করে দেখুন "এফবি থেকে সংগৃহিত" কথাটি ছবির উপর লিখা আছে। জনসচেতনার জন্যেই এই লিখাটি ব্লগে প্রচার করলাম যেটি মূল লেখকের আসল উদ্দেশ্য।

৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩০

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: দুঃখজনক।ব্যবসায়ীরা যে কত নিচে নামতে পারে! বিষয়টি নিয়ে ভাবা ও লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



জাযাকুমুল্লাহ। সচেতনা মূলক পোস্টে কৃতজ্ঞতা।

১০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এতো ভয়াবহ ব্যাপার! :(





ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫২

ইমরান আশফাক বলেছেন: হ্যা, খুবই ভয়াবহ ব্যাপার।

১১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভেজাল খেয়ে খেয়ে এখন মাথা অবশ হয়ে যাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.