নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুর প্রান্তে

নিজেকে জানার চেসটা করছি, নতুন কিছু শেখার চেসটা করছি ।

ইমরান আশফাক

নিজেকে জানার ও খুজে পাওয়ার চেষ্টায় রত আমি, জানি না কবে নাগাদ সফল হবো কিংবা আদৌ হবো কিনা।

ইমরান আশফাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কি ঘটেছিল কারবালার প্রান্তরে?(যুগ যুগ ধরে প্রচার হয়ে আসা মিথ্যা কাহিনীটাই আমরা জানি, সত্যটা জানা দরকার)-

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:২১

১০ই মুহাররম বা আশুরার দিন। এ দিনটি বিভিন্ন কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। কিন্তু সেই বিভিন্ন কারণ বাদ দিয়ে যে উপলক্ষ্যে আমরা ছুটি কাটাই তা হল কারবালার ঘটনা। শেষ নবী ও রসুল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাতি ইমাম হুসাইন ইবনে আলী (রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু) এদিন কারবালাতে মুসলিম নামধারী কিছু মুনাফিকের হাতে শহীদ হন। তিনি অত্যন্ত সৎ, সজ্জন এবং সাহসী সাহাবা ছিলেন। রসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মত তিনিও আমাদের খুব প্রিয় একজন নেতা। কিন্তু ইসলামের অন্যান্য অনেক বিষয়ের মত তার মৃত্যু সম্পর্কে সত্য ইতিহাসটা আমরা জানি না, জানার চেষ্টাও করি না


আসলে কি হয়েছিল

৬০ হিজরির ঘটনা। ইয়াজিদ বিন মুয়াবিয়াকে খলিফা নিযুক্ত করেন তার বাবা মু’আবিয়া (রা: ) কিন্তু এটা ইসলামের মর্মের চেয়ে রাজতান্ত্রিক ধারায় বেশী প্রভাবিত ছিল। তাই তার হাতে বায়াত করেননি হুসাইন (রা: ) ইরাকের লোকেরা এ খবর পেয়ে তার কাছে চিঠি/দূত পাঠিয়ে জানাল তারা তাকে খলিফা হিসেবে চায়, ইয়াজিদকে নয়। সমর্থকদের চিঠি পেয়ে হুসাইন (রা: ) তাঁর চাচাতো ভাই মুসলিম বিন আকীলকে কুফায় পাঠালেন অবস্থা দেখার জন্য। মুসলিম দেখলেন যে আসলেই অনেক মানুষ হুসাইনকে (রা: ) কে খলিফা হিসেবে চাচ্ছে। তিনি হুসাইন (রা: ) কে সেটা জানিয়েও দিলেন। ইতমধ্যে কিছু অত্যুৎসাহী লোকেরা হানী বিন উরওয়ার ঘরে মুসলিমের হাতে হুসাইনের পক্ষে বায়াত নেওয়া শুরু করল। সিরিয়াতে ইয়াজিদের কাছে এ খবর পৌছালে সে বসরার গভর্নর উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদকে পাঠাল কুফাবাসীর বিদ্রোহ দমন করতে।


উবাইদুল্লাহ কুফায় গিয়ে দেখে ঘটনা সত্যি। মুসলিম বিন আকীল চার হাজার সমর্থক নিয়ে উবাইদুল্লাহ বিন জিয়াদের প্রাসাদ ঘেরাও করলেন। এ সময় উবাইদুল্লাহ দাঁড়িয়ে এক ভাষণ দিয়ে মানুষকে ইয়াজিদের সেনা বাহিনীর ভয় দেখাল। কুফাবাসীরা ইয়াজিদের শাস্তির ভয়ে আস্তে আস্তে সরে পড়তে লাগল। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর মুসলিম বিন আকীল দেখলেন, তথাকথিত হুসাইন সমর্থকদের কেউই অবশিষ্ট নেই। তাকে গ্রেপ্তার করে হত্যার আদেশ দিল উবাইদুল্লাহ। মুসলিম মৃত্যুর আগে হুসাইনের কাছে একটি চিঠি পাঠান –
“হুসাইন! পরিবার-পরিজন নিয়ে ফেরত যাও। কুফা বাসীদের ধোঁকায় পড়ো না। কেননা তারা তোমার সাথে মিথ্যা বলেছে। আমার সাথেও তারা সত্য বলেনি।”


এদিকে মুসলিম বিন আকীলের মৃত্যু হলেও তার প্রথম চিঠির উপর ভিত্তি করে যুলহিজ্জা মাসের ৮ তারিখে হুসাইন (রা: ) মক্কা থেকে কুফার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। অনেক সাহাবী তাকে বের হতে নিষেধ করেছিলেন। তাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস, আব্দুল্লাহ ইবনে উমর,আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর, আব্দুল্লাহ বিন আমর এবং তাঁর ভাই মুহাম্মাদ ইবনুল হানাফীয়ার নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।


সুফীয়ান আস সাওরী ইবনে আব্বাস (রা: ) থেকে সহীহ সূত্রে বর্ণনা করেন যে, ইবনে আব্বাস (রা: ) হুসাইনকে বলেছিলেন: মানুষের দোষারোপের ভয় না থাকলে আমি তোমার ঘাড়ে ধরে বিরত রাখতাম। আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রা: ) হুসাইনকে বলেন: হুসাইন! কোথায় যাও? এমন লোকদের কাছে,যারা তোমার পিতাকে হত্যা করেছে এবং তোমার ভাইকে আঘাত করেছে?


যাত্রা পথে হুসাইনের কাছে মুসলিমের সেই চিঠি এসে পৌঁছল। চিঠি পড়ে তিনি কুফার পথ পরিহার করে ইয়াজিদের কাছে যাওয়ার জন্য সিরিয়ার পথে অগ্রসর হতে থাকলেন। পথিমধ্যে ইয়াজিদের সৈন্যরা আমর বিন সাদ, সীমার বিন যুল জাওশান এবং হুসাইন বিন তামীমের নেতৃত্বে কারবালার প্রান্তরে হুসাইনের (রা: ) গতিরোধ করল। তিনি আগত সৈন্যদলকে আল্লাহর দোহাই এবং নিজের মর্যাদার কথা উল্লেখ করে তিনটি প্রস্তাব দেন –


১. তাকে ইয়াজিদের দরবারে যেতে দেয়া হোক। তিনি সেখানে গিয়ে ইয়াজিদের হাতে বায়াত গ্রহণ করবেন। কেননা তিনি জানতেন যে, ইয়াজিদ তাঁকে হত্যা করতে চান না।

২. অথবা তাঁকে মদিনায় ফেরত যেতে দেয়া হোক।

৩. অথবা তাঁকে কোন ইসলামী অঞ্চলের সীমান্তের দিকে চলে যেতে দেয়া হোক। সেখানে তিনি জিহাদ করবেন এবং ইসলামী রাজ্যের সীমানা পাহারা দেবেন।


ইয়াজিদের সৈন্যরা উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদের ফয়সালা ছাড়া কোন প্রস্তাবই মানতে রাজী হল না। এ কথা শুনে উবাইদুল্লাহর এক সেনাপতি হুর বিন ইয়াজিদ বললেন: এরা তোমাদের কাছে যেই প্রস্তাব পেশ করছে তা কি তোমরা মানবে না? আল্লাহর কসম! তুর্কী এবং দায়লামের লোকেরাও যদি তোমাদের কাছে এই প্রার্থনাটি করত, তাহলে তা ফেরত দেয়া তোমাদের জন্য বৈধ হত না। এরপরও তারা খুব যৌক্তিক এই প্রস্তাবগুলো মেনে নেয়নি। সেই সেনাপতি ঘোড়া নিয়ে সেখান থেকে চলে আসলেন হুসাইন (রা: ) ও তাঁর সাথীদের সালাম দিয়ে উবাইদুল্লাহ এর সৈনিকদের সাথে হুসাইনের পক্ষে যুদ্ধ করে নিহত হলেন।


সৈন্য সংখ্যার দিক থেকে হুসাইনের সাথী ও ইয়াজিদের সৈনিকদের মধ্যে বিশাল পার্থক্য ছিল। হুসাইনের (রা: ) এর সাথে ছিলেন –


১. আলী ইবনে আবু তালিবের (রা: ) এর ছেলেরা - আবু বকর, মুহাম্মাদ, উসমান, জাফর এবং আব্বাস।

২. হুসাইনের (রা: ) নিজের সন্তানেরা - আবু বকর, উমর, উসমান, আলী আকবার এবং আব্দুল্লাহ।

৩. হাসানের (রা: ) এর ছেলেদের মধ্যে থেকে আবু বকর, উমর, আব্দুল্লাহ এবং কাসেম।

৪. আকীলের সন্তানদের মধ্যে হতে জাফর, আব্দুর রাহমান এবং আব্দুল্লাহ বিন মুসলিম বিন আকীল।

৫. আব্দুল্লাহ বিন জাফরের সন্তানদের মধ্যে হতে আউন এবং আব্দুল্লাহ।


সাহাবা এবং তাবেঈদের এই ছোট্ট দলটির সবাই বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে নিহত হন। অবশেষে হুসাইন (রা: ) ছাড়া আর কেউ জীবিত রইলেন না। সীমার বিন যুল জাওশান নামের এক নরপশু বর্শা দিয়ে হুসাইনের (রা: ) শরীরে আঘাত করে ধরাশায়ী করে ফেলল। শেষে ইয়াজিদ বাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণে নির্ভীক এই বীর আল্লাহর লিখে রাখা ভাগ্যানুযায়ী শহীদ হলেন। হুসাইন (রা: ) অন্যায় কিছু বলেন নি, অন্যায় কিছু করেন নি। তার হত্যাকারী ও হত্যায় সাহায্যকারীদের আল্লাহর ক্রোধ ঘেরাও করুক, এরা ধ্বংস হোক! আল্লাহ্ তায়ালা শহীদ হুসাইন (রা: ) এবং তাঁর সাথীদেরকে আল্লাহ তায়ালা স্বীয় রহমত ও সন্তুষ্টি দ্বারা আচ্ছাদিত করুন।


এ ঘটনা মুসলিম জাতির ইতিহাসের একটি লজ্জাজনক অধ্যায় যা বিশ্বাসঘাতক কুফাবাসী আমাদের উপহার দিয়েছে। এরপরে তারা এতে রঙ মাখিয়ে গল্প বানিয়েছে - পাথর উল্টালে রক্ত বের হওয়া, সূর্যগ্রহণ, আকাশের দিগন্ত লাল হওয়া, আকাশ থেকে পাথর পড়া ইত্যাদি। আল্লাহ যদি চাইতেন তিনি এইসব আজগুবি ঘটনা না ঘটিয়েই হুসাইন (রা: ) ও তার সঙ্গীদের রক্ষা করতে পারতেন।



হুসাইন (রা: ) এর হত্যাকারী কে?


শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইম্যিয়া (রা: ) বলেন: সকল মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকের ঐকমতে ইয়াজিদ বিন মুয়াবিয়া হুসাইনকে (রা: ) হত্যার আদেশ দেয়নি। বরং উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদকে ইরাকে হুসাইনকে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে বাঁধা দিতে বলেছিল। এতটুকুই ছিল তার ভূমিকা। বিশুদ্ধ মতে তার কাছে যখন হুসাইন (রা: ) নিহত হওয়ার খবর পৌঁছলে সে আফসোস করেছিল। সে হুসাইন (রা: ) পরিবারের কোন মহিলাকে বন্দী বা দাসীতে পরিণত করেনি; বরং পরিবারের জীবিত সকল সদস্যকে সসম্মানে মদিনায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল।
ইবনে আবী নু’ম হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন: আমি একদা আব্দুল্লাহ ইবনে উমরের নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন একজন লোক তাঁকে মশা মারার বিধান জানতে চাইল। তিনি তখন লোকটিকে জিজ্ঞেস করলেন: তুমি কোন দেশের লোক? সে বলল: ইরাকের। ইবনে উমর (রা: ) তখন উপস্থিত লোকদেরকে লক্ষ্য করে বললেন: তোমরা এই লোকটির প্রতি লক্ষ্য কর। সে আমাকে মশা মারার হুকুম জিজ্ঞেস করছে, অথচ তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নাতিকে হত্যা করেছে। আর আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, এরা দুজন (হাসান ও হুসাইন) আমার দুনিয়ার দুটি ফুল। (বুখারী, হাদীছ নং- ৫৯৯৪)


হুসাইন (রা: ) নিহত হওয়ার পূর্বে ইরাকবাসীদের বলেন

তোমরা কি চিঠির মাধ্যমে আমাকে এখানে আসতে আহবান করো নি? আমাকে সাহায্য করার ওয়াদা করো নি? অকল্যাণ হোক তোমাদের! যেই অস্ত্র দিয়ে আমরা ও তোমরা মিলে ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি এখন সেই অস্ত্র তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে চালাতে যাচ্ছ? মাছি যেমন উড়ে যায় তেমনি তোমরা আমার পক্ষে কৃত বায়াত থেকে সড়ে যাচ্ছ, সকল ওয়াদা-অঙ্গীকার ভঙ্গ করেছ। ধ্বংস হোক এই উম্মতের তাগুতের দলেরা!


তিনি তাঁর পূর্বের সমর্থকদের বিরুদ্ধে একটি বদদু’আও করেন:

“হে আল্লাহ! আপনি যদি তাদের হায়াত দীর্ঘ করেন, তাহলে তাদের দলের মাঝে বিভক্তি সৃষ্টি করে দিন। তাদেরকে দলে দলে বিচ্ছিন্ন করে দিন। তাদের শাসকদেরকে তাদের উপর কখনই সন্তুষ্ট করবেন না। তারা আমাদেরকে সাহায্য করবে বলে ডেকে এনেছে। অতঃপর আমাদেরকে হত্যা করার জন্য উদ্যত হয়েছে।”

হুসাইনের (রা: ) এই দু’আ প্রমাণ করে যে, ইয়াজিদ প্রত্যক্ষভাবে হুসাইনের (রা: ) হত্যায় জড়িত ছিল না। কেননা তিনি দু’আয় বলেছেন: হে আল্লাহ! আপনি তাদের শাসকদেরকে তাদের উপর কখনই সন্তুষ্ট করবেন না। এ থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, ইরাকবাসী শিয়ারা উমাইয়া শাসকদের সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় হুসাইনের (রা: ) সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। তবে আল্লাহ সুবহানাহু হুসাইনের (রা: ) দু’আ কবুল করে নেন। পরবর্তীতে উবাইদুল্লাহ বিন যিয়াদকেও ইয়াজিদের আদেশে হত্যা করা হয়।


আমাদের করণীয়:

সালফে সালেহীনের কেউ ইয়াজিদের নামের শেষে রাহিমাহুল্লাহ বা লাআনা হুল্লাহ - এ দু’টি বাক্যের কোনটিই উল্লেখ করেন নি। সুতরাং সে যেহেতু তার আমল নিয়ে চলে গেছে, তাই তার ব্যাপারে আমাদের চুপ থাকাই ভাল। তার ভাল মন্দ আমলের হিসাব সে দেবে, আমাদেরটা আমরা। আমরা তাকে গালি দেব না তবে ভালবাসার প্রশ্ন তো ওঠেই না। তার চেয়ে হুসাইন (রা: ) ইমামাতের অনেক বেশি যোগ্য ছিলেন, বহু গুণে শ্রেষ্ঠ মানুষ ছিলেন, তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু আল্লাহ যাকে খুশি তাকে রাজত্ব দেন, এটাই আল্লাহর রুবুবিয়াত।


কোন ধরণের জন্ম-মৃত্যু বার্ষিকী পালনের প্রথা ইসলামে নেই। মুসলিম হিসেবে আমাদের রসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিক্ষা দিয়েছেন, মৃত বা শহীদ ব্যক্তির জন্য বিলাপ না করা, আনুষ্ঠানিকভাবে তিন দিনের বেশি শোক প্রকাশ না করা। তিনি বলেছেন:
মৃত ব্যক্তির উপর বিলাপকারী যদি তওবা না করে মারা যায়, তাকে কিয়ামতের দিন লোহার কাঁটাযুক্ত জামা পড়ানো হবে এবং আলকাতরার প্রলেপ লাগানো পায়জামা পড়ানো হবে। (সহীহ মুসলিম)


যে কোন বিপদে আমাদের কর্তব্য কুরআনের সেই বাণী স্মরণ করা -

“যখন তাঁরা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয়ই আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তারই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো।” (সূরা বাকারাঃ ১৫৬)


রসুলের সুন্নাত ভালবাসলে আমাদের উচিত এই দিনে সিয়াম পালন করা। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা: ) বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায় কিছু ইহুদীদের আশুরার দিন রোজা রাখতে দেখে জিজ্ঞেস করলেন: এটি কোন রোজা? তারা উত্তর দিল, এটি একটি পবিত্র দিন। এদিনে আল্লাহ বনী ইসরাইলকে তাদের শত্রুদের কবল থেকে পরিত্রাণ দিয়েছেন। তাই মুসা (আঃ) এ দিন রোজা রেখেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন: তাদের চেয়ে মুসা (আঃ) এর সাথে আমার সম্পর্ক অধিক। সুতরাং তিনি সিয়াম থাকলেন এবং সাহাবীদেরকে সিয়াম রাখার আদেশ দিয়েছেন।” (সহীহ বুখারী) অপর বর্ণনায় তিনি আগামী বছর নয় তারিখেও সিয়াম থাকার নিয়ত করেছিলেন।


আল্লাহ আমাদের সত্যটা জেনে, সস্তা আবেগ ছেড়ে সঠিক আমল করার তৌফিক দিন। আমিন।


এফবি থেকে সংগৃহিত।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দ্বন্ধটা ছিলো মূলত রাজনৈতিক অথচ এটাকে ধর্মীয় বিষয় হিসেবে প্রচার করা হয় । ইয়াজিদ তো চাইবেনই রাজ্য অাঁকড়ে ধরে থাকতে । অাকীলের পত্র পেয়ে হোসাইনের ফেরত যাওয়া উচিত ছিলো । উনি শক্তি সঞ্চয় করে ইয়াজিদকে অাক্রমণ করতে পারতেন । তা না করে ভাবলেন, কুফাবাসী তাঁকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে । শুধু শুধু নিজের ও সহযাত্রীদের জীবন বিপন্ন করলেন!

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: ধর্মীয় বা রাজনৈতিক যে দৃষ্টিতেই দেখেন, ব্যাপারটি যে ঘটেছিলো এটা নিশ্চিত। তবে শিয়ারা যেভাবে বিকৃত করে ঘটনাটি প্রচার করে ব্যাপারটা আসলেই সেরকম নয়। আর আমাদের নবীজি সাহাবীদের এব্যাপারে পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছিলেন।

আবারও বলছি, শিয়াদের দ্বারা বিভ্রান্ত হবেন না। ইসলামের যেকোন গুরুত্বপূর্ন ঘটনাই দলিল দস্তাবেজ দ্বারা পূংখানুপুংখভাবে যাচাই বাছাই করা যায়। তবে সুখের বিষয় এসকল ব্যাপারে এখন পর্যাপ্ত গবেষনা হচ্ছে যা থেকে আমরা বিভিন্ন বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত হবো।

২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২০

নিজাম বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫০

ইমরান আশফাক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০২

হানিফঢাকা বলেছেন: কারবালা নিয়ে আমার আগ্রহ ছিল। এই সংক্রান্ত কিছু বই ও পড়েছি। প্রায় সব বইয়ে বিশেষ করে শিয়াদের লিখিত বই গুলিতে এত বেশি মিথলজি ব্যবহার করা হয়েছে যে এগুলি বিশ্বাস যোগ্য নয়। এই সংক্রান্ত যত বর্ণনা এসেছে তা খুবই রহস্যজনক এবং পরস্পরের সাথে কন্ট্রাডিক্ট করে। এইখানে যারা কারবালা নিয়ে লেখে তাদের বেশিরভাগই এই সংক্রান্ত কয়েকটি বই পড়ে লিখে ফেলেন। এতে দোষের কিছু নাই। কিন্তু সমস্যা হল এই সংক্রান্ত নিরপেক্ষ ভাবে গবেষণা মূলক কোন লেখা বের হচ্ছে না।
প্রথম কথা হচ্ছে কারবালার এই ঘটনার বর্ণনার উৎস কে বা কারা। ইবনে ইসহাক এর বর্ণনা করে নাই। ধারনা করা হয় আবু মিকনাফ, কিন্তু তাকে স্কলাররা মানতে রাজি নন। এই আবু মিকনাফ থেকে ইবনে তাবারী এই ঘটনা বর্ণনা করেছেন। এই আবু মিকনাফের কোন লিখিত ডকুমেন্ট ঐ সময় ছিলনা এবং সে ইবনে তাবারীর আগেই মারা যায়। সেই ক্ষেত্রে তার ছত্রদের মাধ্যমে তাবারীর কাছে এই ঘটনা এসেছে তাও কারবালার ২৩৯ বছর পরে।এই ইবনে তাবারীর লেখা পড়লে বোঝা যায় তার বর্ণিত ইতিহাসের অনেক কিছুই অগ্রহণযোগ্য। এমনকি তার লেখা বই "রাজা এবং নবীদের ইতিহাস"- এর ভুমিকাতে যা বলা হয়েছে তার অনুবাদ করলে দাড়ায় সে শুধু প্রচলিত কাহিনি লিপিবদ্ধ করেছে, কোন যাচাই বাচাই করেনি। আর এই বই হচ্ছে সর্ব প্রথম মুসলমানদের ইতিহাসের বই যার পরে অন্য লেখকরা এই বইটা কে অন্ধভাবে অনুসরণ করে গেছে। তাই কোনটা সত্য বা মিথ্যা তা যাচাই করা এখন খুব কঠিন কাজ। সেইজন্য কারবালা নিয়ে অনেক প্রশ্ন র‍য়ে যায় যা নিরপেক্ষ গবেষণার দাবী রাখে। কিছু ক্ষেত্রে এই কারবালার ঘটনা আসলে ঘটেছিল কিনা তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেন।
মজার বিষয় হল যইনুল আবেদীন- যিনি কারবালার প্রান্তরে ছিলেন বলে বর্ণনায় আছে তিনি শেষ জীবনে একটি বই লিখেছিলেন যার নাম "মুনাজাত ই যইনুল আবেদীন"। এই বইয়ে কারবালা সংক্রান্ত বিন্দুমাত্র ইঙ্গিত পাওয়া যায় না। ইমাম হুসেনের কথিত কর্তিত মস্তকের কি হয়েছিল কেউ বলেতে পারে না। সুতরাং আমার মনে হয় এই বিষয়ে সঠিক গবেষণা হওয়া উচিৎ। আমরা শুধু কাহিনীর বর্ণনা শুনতে চাইনা, আমরা সঠিক ইতিহাস জানতে চাই।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

ইমরান আশফাক বলেছেন: যথার্ত বলেছেন, নিরপেক্ষভাবে এই ব্যাপারে গবেষনা হওয়া উচিৎ। কারন শিয়ারা এই ঘটনা এত বেশী বিকৃত করে ফেলেছে যে ওদের রচিত বই-পুস্তক থেকে প্রকৃত ঘটনা উদ্ধার করা অসম্ভব। তবে কারবালার ঘটনা সত্য এবং আমাদের নবীজি এই ব্যাপারে আগাম বলে রেখেছিলেন। এই ব্যাপারে মুসলীম ইতিহাসবিদদের আরও আগে এগিয়ে আসা উচিৎ ছিলো।

৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২০

৮৩১আবীর১৯৮৩ বলেছেন: রসুলের সুন্নাত ভালবাসলে আমাদের উচিত এই দিনে সিয়াম পালন করা।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: সেটা ভিন্ন ব্যাপার, আর আপনার সাথে একমত।

৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনেক কিছু জানা হল ।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: @হানিফঢাকা, ইমাম হুসেনের কথিত কর্তিত মস্তকের কি হয়েছিল কেউ বলেতে পারে না।

আমি মাত্রই হজ করে (ফেমিলিসহ) গত ৬ই অক্টোবার দেশে ফিরলাম। আমরা জান্নাতুল বাকিতে (মদিনা) অন্য অনেক সাহাবীদের সাথে ইমাম হোসেনের কর্তিত মস্তকের কবর দেখলাম। আপনি যারা হজ সম্পন্ন করে এসেছেন এবং জান্নাতুল বাকি যিয়ারত করে এসেছেন তাদের কাছ থেকে ব্যাপারটা যাচাই করে দেখতে পারেন।

৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ, সময় নিয়ে পড়ার ইচ্ছে থাকল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.