নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুর প্রান্তে

নিজেকে জানার চেসটা করছি, নতুন কিছু শেখার চেসটা করছি ।

ইমরান আশফাক

নিজেকে জানার ও খুজে পাওয়ার চেষ্টায় রত আমি, জানি না কবে নাগাদ সফল হবো কিংবা আদৌ হবো কিনা।

ইমরান আশফাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বার্মার সাথে আমাদের ভূ-রাজনৈতীক কৌশল কি হওয়া উচিৎ?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

সর্বাত্নক যুদ্ধের জন্য বার্মিজ জান্তার পাতানো ফাঁদে পা না দিয়ে আমাদের ভিন্ন কৌশল নিয়ে ভাবতে হবে।

যেকোন দেশকে দাবানোর জন্য দুই একটি প্রতিষ্ঠিত শক্তিই যথেষ্ট। অথচ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সব কয়টি সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তিই বার্মাকে সমর্থন দিচ্ছে। দেশগুলি দেখুন, চীন, রাশিয়া, ভারত, জাপান, ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র (যুক্তরাষ্ট্র-থাইল্যান্ডের সামরিক মহড়ায় মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ) ইত্যাদি। আমাদের প্রতিবেশী কিছু দূর্বল দেশগুলির কথা না হ্য় বাদই দিলাম। দিনে দিনে এটা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে আর কারা কারা বার্মার পক্ষে আছে।

বার্মায় শতাধীক বিচ্ছিন্ন গ্রুপ জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে চললেও রহিংগা ইস্যুতে সকলেই এক। এইজন্য রহিংগাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিয়ে গোটা বর্মিজ মূলুকে নিজেদের অবস্হান আরও পাকাপোক্ত করার চেষ্টা করে আসছে বার্মিজ জান্তা অনেকদিন ধরে।

বার্মা আমাদেরকে সর্বাত্বক যুদ্ধের জন্য পদে পদে উস্কানী দিলেও বাংলাদেশ ওদের ফাঁদে পা না দিয়ে নিজেকে সংবরত রেখেছে। কারন বাংলাদেশ জানে একটা সর্বাত্নক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পরিনাম কি হতে পারে।

সৌদি আরব ইয়েমেনে অনর্থক একটা যুদ্ধে জড়িয়ে কি পরিমান আর্থিক বিপর্যয়ের সন্মূখীন তা ঐ দেশে যারা আপনার পরিচিত তাদের কাছ থেকে জেনে নিন। সোভিয়েত ইউনিয়ন এক আফগান যুদ্ধে জড়িয়েই শেষ পর্যন্ত খতম। যুক্তরাস্ট্র আফগানিস্তানে যুদ্ধে জড়িয়ে যে শিক্ষা পেয়েছে তাতে করে সে গোটা বিশ্ব থেকে নিজেকে ক্রমশ: গুটিয়ে নিয়ে আসছে। চীন ভিয়েতনাম যুদ্ধে কায়দামত শিক্ষা পেয়ে আর কোন যুদ্ধে সরাসরি জড়ানো চিন্তা বাদ দিয়েছে।

রোহিংগা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক চাপ উপর দিয়ে উপর দিয়ে হলেও তা ইতিমধ্যেই জান্তার জন্য ভয়ানক দূ:চিন্তার কারন হয়ে দাড়িয়েছে। কারন এক পর্যায়ে তাদেরকে নামমাত্র হলেও বিচারের মূখোমূখি হতে হবে। এইজন্য বাংলাদেশের সংগে একটি সর্বাত্নক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে তারা খুবই উদগ্রিব। কারন এই যুদ্ধটা তাদের জন্য একটা রক্ষাকবচ হবে।

হতাশ হয়েন না, আমাদের আগে জানা দরকার ওদের পিছনে কারা কারা আছে এবং কোন কোন স্বার্থে তারা জড়িত। তাদের শক্তিমত্ত্বা ও দূর্বলতা আমাদের চিহ্নিত করতে এবং আমাদেরটাও সেইভাবে সনাক্ত করতে হবে। লক্ষাধিক সৈন্য, হাজার খানেক ট্যাংক ও শতাধিক যুদ্ধবিমান নিয়ে কোন দেশকে আক্রমন করার দ্বিত্বীয় মহাযুদ্ধীয় ধারনা বর্তমানে ক্রমান্বয় অচল হয়ে আসছে। যে সব দেশ সবধরনের যুদ্ধাস্ত্র তৈরীতে সক্ষম এবং আর্থিক শক্তিতে ও বলিয়ান সেই সকল দেশসমূহ ছাড়া অন্যরা এই পদ্ধতি আর অবলম্বন করে যুদ্ধে যায় না।

এখন যুগ হচ্ছে শত্রুর কোন টার্গেট ঠিক করে অতর্কিত হামলা করে সেটি ধ্বংস করে ফেলা, শত্রুকে নিকটে আসতে না দিয়ে দুরবর্তী স্হানেই তাদের প্রতিরোধ করা, তাদের সাপ্লাই লাইন কেটা ফেলা, তাদের রসদপত্র অতর্কিত আক্রমনে ধংস বা অকেজো করে ফেলা, তাদের গোপন কর্মসূচী গুলি ফাইন্ড-আউট করে কমান্ডো আক্রমনে নস্যাৎ করে ফেলা ইত্যাদি। এই কাজগুলি সম্পন্ন হবে স্পেশাল বাহিনী দ্বারা যারা উচ্চ প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত এবং অত্যাধিক যন্ত্রপাতী দ্বারা সজ্জ্বিত (মিশনের ধরন বুঝে)। আর এর জন্য দরকার হবে অতি আধুনিক যন্ত্রপাতী, যোগাযোগ কৌশল সমৃদ্ধ উচ্চ প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত গোয়েন্দাবাহিনী।

এক্ষেত্রে স্হানীয় মানুষদের কৌশলে জান্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যেতে পারে। অর্থাৎ প্রচলিত-অপ্রচলিত সবধরনের যুদ্ধকৌশল ব্যবহার করে ক্রমান্বয়ে তাদের দূর্বল করে ফেলতে হবে। এটি একটু সময়স্বাপেক্ষ হলেও কার্যকরী। সর্বাত্নক যুদ্ধ হলে কয়েক সপ্তাহের খরচই বাংলাদেশকে দেউলিয়া করে ফেলতে যথেষ্ট। সুতরং এটি পরিত্যজ্য।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: বার্মা আমাদের দেশ থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। তবু বার্মা থেকে আমাদের অনেক কিছু কিনতে হয়।

আসলে বার্মার বুদ্ধি আছে , আমাদের নেই।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

ইমরান আশফাক বলেছেন: বার্মা থেকে আমাদের চাল, লবন, মাছ, দামী কাঠ ইত্যাদি কিনতে হয়, এর জন্যে তেমন বুদ্ধির প্রয়োজন হয় না। ওদের দেশ অনেক রিসোর্সফুল, জায়গা ও আছে অনেক। ওদের একটা সুবিধা আছে, যেহেতু গনতন্ত্র নেই সেহেতু ওরা যা ইচ্ছা তাই করতে পারে যেটা আমরা পারিনা।

ওরা হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে দূবৃত্ত্বায়ীত, অসংযত, অস্হির, সুবিধাভোগী, হিংস্র এবং মিথ্যাচারী জাতী।

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

শাহ আজিজ বলেছেন: ধর্মীয় জঙ্গিবাদের উত্থান নিয়ে আলাপ করেননি । বর্তমান চীন বৌদ্ধ ধর্মের দিকে খুব সমর্থন দিচ্ছে।জাপান আগে থেকেই বৌদ্ধ ধর্মের দিকে ঝুকে আছে ।এই মুহূর্তে বামিয়ানের ধ্বংস প্রাপ্ত মূর্তির পুনঃনির্মাণ চলছে জাপানি ফান্ডে। ভারত বুদ্ধের বিচরন ভুমি । হলি আর্টিজানের ঘটনার পর সবাই সতর্ক হয়েছে । আমি যতদুর জেনেছি রোহিঙ্গাদের মধ্যে ভিনদেশী জঙ্গি ঢুকে পড়েছে আর তাই বার্মা এই রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে আর বিশ্বাস করতে চাইছে না । অতএব খেদাও আন্দোলন । আমাদের ঠিক কি করা উচিত তাই ভাবি কিন্তু কোন সদুত্তর মেলেনা। আমেরিকায় বাঙালি মুসলিমদের লিস্টি করে খেদাও কার্যক্রম চলছে । আমাদের নেতৃত্ব বিশ্বায়ন পরিস্থিতির সাথে কৌশলগত আদান প্রদানে দুর্বল । আমাদের বিশ্বাসের অবস্থান নড়ে গেছে । তাই একসময়ের সাথীরা সরে গেছে । ঈশ্বর মঙ্গল করুন ।

৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি আবার কবের থেকে ফিল্ড-মার্শাল হয়ে গেলেন? বার্মা কি কারণে আমাদের সাথে যুদ্ধ করবে?

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

ইমরান আশফাক বলেছেন: ব্যাপারটা খালি যুদ্ধের মধ্যে সীমিত না, আরও অনেক কিছু জড়িত এর মধ্য।

আর বার্মা নয় বরং বার্মিজ জান্তা আমাদের সাথে সর্বাত্নক যুদ্ধে জড়াতে চায় নিজেদের বেনিফিটের জন্য, নিজেদের রক্ষা করার জন্য।

ফিল্ড-মার্শাল হওয়ার আগেই অবসর করিয়ে দেয়া হয়েছে। অবশ্য পরে শুনেছি আমাদের দেশে ফিল্ড-মার্শালের পদটা নেই।

৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

আবু তালেব শেখ বলেছেন: যুদ্ধের কথা বাদ দিয়ে অন্য কোন পন্হা আছে কিনা সেটা আলোচনা করুন। বার্মা আমাদের থেকে সামরিক শক্তিতে অনেক এগিয়ে। তাছাড়া যুদ্ধ করার মত পরিস্হিতি এখনো হয়নি। বার্মা যদি দেশ দখল করতে আসে তাহলে যুদ্ধ অনিবার্য। কিন্তু রোহিংগা ইস্যুতে যুদ্ধে জড়ানোর কোন বৈধতা নেই কারন নেই

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

ইমরান আশফাক বলেছেন: আমাদের দেশে প্রায় ১৫-১৬ লক্ষ রোহিংগা আছে যা আমাদের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশ। এই পরিমান জনগোস্ঠি তাদের জমি থেকে উৎখ্যাত করে আমাদের দেশের দিকে ঠেলে দিয়েছে বার্মা। এবং আপনি নিশ্চিত থাকুন ব্যাপারটা এইখানে শেষ থাকবে না। ওরা বহুভাবে আমাদের টেষ্ট করে নিয়েছে আগে যে আমরা কি ধরনের প্রতিক্রিয়া দিতে পারি। আপনি কি জানেনে বার্মা পারমানবিক বোমা বানোর চেষ্টা করছে? ওদের মিসাইল প্রজেক্ট বেশ আগেই শুরু হয়েছে উত্তর কোরিয়ার সাহায্যে।

বাংলাদেশ যদি চুপ করে সব হজম করতে থাকে তাতে কারও কোন ক্ষতি হবে না নিজেদের ছাড়া। সামান্য আণ্তর্জাতিক চাপেই বার্মিজ জান্তাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ওরা জন্মগতভাবেই কাপুরুষের জাত সেটা আগামীতে বেশ ভাল ভাবেই টের পাবেন সবাই।

৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:

আপনি আবার কবের থেকে ফিল্ড-মার্শাল হয়ে গেলেন? বার্মা কি কারণে আমাদের সাথে যুদ্ধ করবে
:) :D =p~
---
১০ লক্ষ কে Guerilla বানিয়ে ধীরে ধীরে পাঠাতে পারলে, আরাকান আজকে না হোক ৫০ বছর পরে অচল হয়ে যেত। এটা করার জন্য নিজের অর্থনৈতিক অবস্থা ঠিক করতে হবে। যার কোন প্রকার ঠিকানা নাই দেশে।
অথবা এদেরকে আপন করে কাজে লাগাতে পারলে শিক্ষা দিয়ে এটাও ভাল ব্যাপার হতে পারে। কিন্তু নিজ দেশের বর্তমান বাংলাদেশীরাই সব সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না, সরকার দিতে পারছে না।
ভূ-রাজনৈতীক কৌশল পরে আগে দেশাত্ববোধ তৈরী করতে হবে অথবা নিজেরা মধ্যে পরিষ্ফুটিত করতে হবে। কতদিন আর অমুকের বাবা আর অমুকের জামাই নিয়ে মাতামাতি হবে? এরকম করলে তো যে যেমন পিতা/মাতা/ঘোষক হোক সমস্যা বাড়বেই বরং কমবে না। যে সম্মান পাবার সে মন থেকেই পাবে, জোর করে আদায় করা যায় না।

তখন অটোমেটিক ভূ-রাজনৈতীক কৌশল ঠিক হয়ে যাবে। কোন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বা বাহিরের শক্তির তাবেদারী করতে হবে না। এখন যে কূটনৈতিকতা আশা আপনি বা আমি করছি তা করতে বর্তমান সরকার ৯০ ভাগ ব্যর্থ। ১০ ভাগ হল মানুষ দেখানো অবস্থা।

পাকিস্তানী,ভারতীয় মনে করে আমরা বাংলাদেশে উর্দু বা হিন্দী শিখে থাকি!, তাই আমাদের সাথে তাদের ভাষায় কথা বলতে চায়
। আমরা যদি ভিন্ন ভাষায় কথা বলতে চাই তখন তারা নাক সিটঁকায়! তখন যদি বাংলায় বলি তখন তারা স্থান ত্যাগ করে। আমরা যেমন তাদের উচ্চারণ কিছুটা বুঝতে পারি তেমনি তারাও বুঝতে পারে। চেষ্টা করলে তারা পারবে, যেভাবে আমরা কিছুটা পারি। কিন্তু তারা চেষ্টা করবে না তাদের দেশাত্ববোধটা সমষ্টিগতভাবে মনে হয় ওজনে একটু বেশি।

বাংলাদেশ যাই পদক্ষেপ নিবে বন্ধু! রাষ্ট্রের অনুমতি নিয়েই অপারেশনে যাবে। যা হওয়া উচিত না, এইখানেই দেশের দেশাত্ববোধটা মাটিতে মিশে যায়। একটা না দুইটা সাব মেরিন কেনা হয়েছে। সেটাতেই বন্ধু রাষ্ট্রগুলি চিন্তিত! আর আপনি বলছেন গোয়েন্দা বা গেরিলা না হেনতেন করবে। বাংলাদেশে বিদেশী রাষ্ট্রের গোয়েন্দা ভর্তি এটা বুঝতে কষ্ট করতে হয় না। সি আই এ না এফ বি আই বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধীর খবর পায়, নির্বচানের আগে র আর আইএসআই এক্টিভ থাকে। তাহলে দেশের গোয়ান্দা বাহিনী কি বিডিআর বিদ্রোহ এর পরে এক্টিভ থাকবে, সব শেষ হবার পর!
এদের(দেশী) কে অচল বলব না, বলব অচল করে রাখা হয়েছে।

আমি মনে হয় পোষ্টের মূল বিষয় থেকে সরে এসেছি । অনেকদিন পোষ্ট করি না তো ... :) আজকে একটু ঝেড়ে কেশে দিলাম।

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বার্মার মানুষজন দুষ্ট ধরনের স্বাবলম্বী; এদের ৩০% মানুষ কাজ করে না, তারা বৌদ্ধভিক্ষু; এদের সরকার বিশ্বের কাউকে পাত্তা দেয় না; বাংলাদেশের উচিত, এদের সাথে কোন প্রকার বিতন্ডায় না যাওয়া।

০৩ রা মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: আপনি উটপাখীর মত মাথা বালির মধ্যে গুজে রাখলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে? ওরা কি ছেড়ে দেবে আমাদের?

৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
সরকার এখন ধীরভাবে এগুচ্ছে, অপেক্ষায় অপেক্ষায় রোহিঙ্গা নারীদের নির্যাতনের সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে ৩০%...

৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: ইন্টারেস্টিং ডিসকাশন। ভাল লেগেছে। + +

৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: রোহিঙ্গা সমস্যায় বাংলাদেশ ধৈর্য্য ধারণে নো-বেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য হইয়া গিয়াছে ! ইহাতে আঞ্চলিক শক্তিগুলোর ধারণা হইয়াছে বাংলাদেশ সর্বদা পশ্চাৎদেশ পাতিয়াই রাখিবে ! যাহার খুশি আসিয়া মারিয়া যাইবে ! ভারত তো অনেক আগের থেকেই মারিতেছে, বার্মা মারিল, এখন নেপাল বাকি ! সামনে আসামের ৩০ লক্ষ মুসলমান আসিতেছে !

সংঘর্ষে যাইবে না এই নিয়তে সবাইরে সাইড দিতে গিয়া গাড়ি যে খাদে পড়িয়া যাইতেছে ইহার দিকে খেয়াল যাইতেছে না !

শিয়ালের কাছে মুরগি হত্যার বিচার দিয়া নিশ্চিন্ত !

০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

ইমরান আশফাক বলেছেন: ধৈর্য্য ধরুন, হঠাৎ করে কিছু করা যাবে না। এতে আমরাই ঠকবো। এটা একটা বিরাট সুযোগ আমাদের জন্য। কিন্তু তার জন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।

ইতিমধ্যেই ওদের মিত্রদের মধ্যে ফাটল ধরে গেছে, তাছাড়া এটা প্রমানিত যে বার্মিজ জাতী আদতে একটা কাপুরুষ জাতী। আমরা পৃথিবীর সবচাইতে মিথ্যাচারী, সুযোগ সন্ধানী, হিংস্র, অস্হির ও হঠকারী একটা জাতীর মোকাবেলা করছি।

আমি কয়েকদিন পরে রিপ্লাই দেব আরও কিছু তথ্য নিয়ে। তার আগ পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরুন। অনেক ধন্যবাদ।

১০| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


পানতা নিয়ে থাকলে বসে
ইলিশ মাছের আশায়,
একটা ইলিশ পথ ভুলে কী
ঢুঁকবে আমার বাসায়?
কেষ্ট বলে, শুনছো কথা!
বলে কী মোর দুলায়,
এই বাজারে ইলিশ নিয়া
কেমনে মাথা ঘামায়?
থালায় নিয়ে রাখছি পুঁটি
উদযাপনের আশায়,
লও সবে বৈশাখী মোর
রাঙা নিমন্ত্রণের খাতায়,
খেজুর পাতার আসন পেতে
বসবো সবাই দাওয়ায়,
করবো ভাগ মহা আনন্দে
পুঁটি-পান্তার থালায়।।

................শুভ নববর্ষ।
...................আমার ব্লগে স্বাগতম।

১১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বার্মা একটা অসভ্য দেশ। বার্মিজরা অসভ্য জাতি। তাদের সম্পদ আছে। তারা কাজে লাগাতে জানে না। তারা মানুষদেরকে সম্মান করতে জানে না। নিষ্ঠুর একটা খারাপ ইতর জাতির নাম বার্মিজ।

০১ লা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: অসভ্য, সুযোগসন্ধানী, হিংস্র, অস্হির, গোলযোগপ্রিয়, কাপুরুষ, দূবৃত্তায়িত, অসংযত ও মিথ্যাচারী জাতী।

১২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি মনে হয়, নিজের পোষ্টে আসেননি অনেকদিন

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২৩

ইমরান আশফাক বলেছেন: তা ঠিক।

১৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৫৬

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: ১৯৭১ সালে ভারতে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশীদের ভারত অস্ত্র আর প্রশিক্ষণ দিয়েছিলো যাতে তারা বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে যুদ্ধ করে নিজ ভূমি পুনরুদ্ধার করতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া দশ লাখ রোহিঙ্গাদের গোপনে বা বেসরকারিভাবে এরকম কিছু করে তাদেরকে মায়ানমারে পাঠাতো যায়। বিষয়টায় যদিও অনেক সমস্যা আর বাধা আছে কিন্তু শুধু কূটনৈতিকভাবে অগ্রসর হলে এই দশ লাখ রোহিঙ্গার দায় থেকে বাংলাদেশ মুক্ত হতে পারবে বলে মনে হয় না।

০১ লা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

ইমরান আশফাক বলেছেন: কূটনৈতীকভাবে অগ্রসর হতে হবে অন্যদের দেখানোর জন্য, এই মূহুর্তে আমাদের এর বিকল্পও নেই। বিশেষ করে চীনকে কাজে লাগাতে হবে তাদের সাথে আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্কের দোহাই তুলে। চীনও চাপ দিচ্ছে মায়ানমারকে। ভারতের বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। নিজেদেরকে এর মধ্যে পরিপূর্নভাবে তৈরী করে ফেলতে হবে কারন এই সংঘর্ষ এই অন্চলের ভূ-রাজনৈতিক অবস্হা বা মানচিত্র পরিবর্তন করে ফেলবে। আপনাদের আশা দিতে পারি যে বাংলাদেশ এই ব্যাপারে নিজেদের যথাযোগ্যভাবেই তৈরী করে নিচ্ছে। সময়ের সাথে সাথে এটা পরিস্ফুটিত হচ্ছে যে তাদের সাথে কারা কারা জড়িত আর আমাদের পক্ষে কারা কারা। যে কোন সংঘর্ষের পূর্বে এটি জানা খুবই জরুরী।

পরবর্তীতে আমি জানাবো মিয়ানমার সবলতা ও দূর্বলতা এবং আমাদের সম্ভাব্য কি কি পদ্ধতিতে অগ্রসর হতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী চিন্তাভাবনা, সর্টকার্টে নয়।

১৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

সিগন্যাস বলেছেন: ভারত নাকি বাংলাদেশ দখল নেওয়ার চিন্তা করছে?

১৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

রাকু হাসান বলেছেন: কূটনৈতিক ভাবে বিষয়টা দেখতে হবে । কূটনৈতিক বিজয় ই পারে রোঙ্গিা সমস্যার সঠিক ,সমাধান দেখানো । সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে ।

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: এটা ঠিক যে কূটনৈতীক তৎপরতায় আমরা একটু পিছিয়ে পড়েছি, কারন আমাদের পররাস্ট্র দপ্তর ঠিক স্মার্ট না তাদের সম্ভাব্য করনীয় সন্মন্ধে। এটা হয়েছে চৌকস লোকদের নিয়োগ না দিয়ে দলীয় আনুগত্যদের ওখানে নিয়োগ দেয়ার কারনে।

যাই হোক আমাদের থিংক টাংক এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে সচেতনভাবেই। সামনে আমাদের আরও কিছু মোকাবেলা করার প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। যেমন আসাম থেকে বাংগালীদের (কমপক্ষে ৩০ লক্ষ) বহিস্কার করে আমাদের দিকে ঠেলে দেয়া হবে অচিরেই। আমাদের তথাকথিত বন্ধুদের চেহারা উন্মোচিত হচ্ছে। আমাদের শক্তি ও দূর্বলতা ক্রমশ: চিন্হিত করে ফেলছি সঠিকভাবে। এই সকল পয়েন্ট বিশ্লেষন করে আমরা আমাদের কৌশলগুলি প্রনয়ন করতে পারছি।

যেমন আমরা চীন বা রাশিয়া থেকে জংগীবিমান না কিনে ইউরোপ থেকে টাইফুন জংগীবিমান সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছি। এইগুলি অত্যান্ত ব্যায়বহুল বিমান হওয়ায় আপাতত: সেকেন্ডহ্যান্ড বিমান সংগ্রহ করার চেষ্টা করা হচ্চে। পরিবহন বিমান সি-১৩০জে সংগ্রহ করা হয়েছে। অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার সংগ্রহ করা হচ্ছে পাশ্চাত্য থেকে। অর্থাৎ চীন-রাশিয়ার খপ্পর থেকে বেরিয়ে এসে স্বাধীনভাবে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক সামরিক সরন্জাম সংগ্রহ করতে পারছি।

তাছাড়া আমাদের দেশের ক্রমবর্ধমান বিশাল বাজারও অন্যদের দ্বিধাবিভক্ত করে ফেলছে। যাইহোক, সামনে বেশকিছু নাটকীয় ঘটনা দেখার জন্যে প্রস্তুত হোন।

১৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২৪

রাকু হাসান বলেছেন: আপনি কি মনে করেন আমাদের পরাষ্ট্রনীতির সংস্কার করার ?যে ছেলেটার ক্লাসে সবাই বন্ধু ,বিপদের বন্ধু তার খূব কম পাওয়া যায় । সমাজ বা ব্যক্তি জীবনেএকজনের সবাই বন্ধু হতে পারে না । আর সেটা রাষ্টীয় জীবনে কিভাবে সম্ভব !!

৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: সেটা বাংলাদেশ এখন বুঝতেছে, আরও একটু আগে বুঝলে ভালো হতো। বর্তমানে যুদ্ধের কৌশলও বদলে গেছে। যেমন অধিকাংশ লোকের ধারনা যুদ্ধ হয় প্রচুর পরিমানে সৈন্য, ট্যাংক, কামান, সাজোয়া বহর, জংগীবিমান, রনোতরী ইত্যাদি নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর ঝাপিয়ে পরা। উন্নত দেশগুলি এই বুলি আওড়ায় যুদ্ধরত দেশগুলিতে প্রচুর সমরাস্ট্র বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে। আর যারা এইগুলি কেনে তারা যুদ্ধ হারলে ক্ষতিগ্রস্হ হয়, আর জিতলেও লাভবান হয় না।

যাই হোক, এখন যুদ্ধের ধারনা এখন বদলে যাচ্ছে। আরেকটি পোষ্টে এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.