নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মরুর প্রান্তে

নিজেকে জানার চেসটা করছি, নতুন কিছু শেখার চেসটা করছি ।

ইমরান আশফাক

নিজেকে জানার ও খুজে পাওয়ার চেষ্টায় রত আমি, জানি না কবে নাগাদ সফল হবো কিংবা আদৌ হবো কিনা।

ইমরান আশফাক › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি আত্ন-উপলোদ্ধী মূলক পোস্ট: জাতী হিসাবে আমরা এতটা হীন কেন?

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮

প্রিয় স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন,

আপনার ক্ষুরধার মস্তিষ্ক আমাদের গর্ব করবার মত একটা স্মৃতিসৌধ উপহার দিয়েছিল। আমরা আপনাকে একটি যন্ত্রণাদায়ক জীবন ও মৃত্যু উপহার দিয়েছি। আপনার মৃত্যুদিন আমরা ভুলে গেছি। গুগল নিউজের গত কয়েক দিনের হিস্ট্রি ঘেঁটেও বাঙলায় আপনার মৃত্যুদিন পালন করার কোন খবর দেখলাম না। আমাদের ক্ষমা করে দিবেন।

"স্মৃতিসৌধ বানাবার পর খুনের হুমকি দিয়ে বেনামি চিঠি পাঠানো হত তাঁকে প্রতিনিয়ত। একটা সময় হুমকি পেতে পেতে প্রবলভাবে মানসিক বিপর্যয় ঘটে তাঁর। অ্যা বিউটিফুল মাইন্ড মুভিটা যারা দেখেছেন, তারা বুঝতে পারবেন আরও ভালোভাবে। সর্বক্ষণ ভয়ে থাকতেন মানুষটা, নিষেধাজ্ঞা আর হুমকির বাস্তব এবং অলীক ভয় ঘিরে থাকতো তাকে, অসম্ভব প্রতিভাবান এই মানুষটার চিন্তা-চেতনাই এলোমেলো করে দিয়েছিল। এমনভাবেই যে জীবদ্দশায় দুই-তিন বারের বেশী স্মৃতিসৌধে যাওয়া হয়নি তাঁর।

অথচ এতো বড় একজন রাষ্ট্রীয় ব্যক্তিত্ব হওয়া সত্ত্বেও তাঁর চিকিৎসা তো দূরে থাক, সামান্য খোঁজটাও কেউ নেয়নি। যেন তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় অপরাধ ছিল ৭টা স্তম্ভে একটা জাতির সবচেয়ে গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরা!

স্মৃতিসৌধের ডিজাইন করার সম্মানী পাবার কথা ছিল ২ লাখ টাকা, আয়কর চাওয়া হয়েছিল এর ৫০%, অর্থাৎ এক লাখ টাকা। ১৯৮২ সালের ১৬ ডিসেম্বর যখন এরশাদ জাতীয় স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করেন সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মানুষটাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। রাষ্ট্রীয় ভিভিআইপিরা চলে যাওয়ার পর তিনি সেখানে গিয়ে জনতার কাতারে দাঁড়িয়ে দেখেছিলেন তাঁর অমর সৃষ্টি!

একজন সৈয়দ মাইনুল হোসেন এবং তাঁর প্রতি এ রাষ্ট্রের এবং জনগণের সম্মাননা!" আমাদের সর্বান্তকরণে ক্ষমা করবেন স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেন।


মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: উনি তো একুশে পদক পেয়েছেন।

তবে আমাদের দেশে আওয়ামী বিএনপির রাজনীতিবিদ ছাড়া বড়বড় কোন মানুষের জন্মদিন, মৃতুদিন খুব একটা পালন করা হয় না।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫০

ইমরান আশফাক বলেছেন: জন্ম ও মৃত্যুদিন পালনের ব্যাপার নয় এটি, উনার প্রাপ্য সন্মানটুকু দিতে অসুবিধা ছিল কোথায়?

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: উনি মনে হয় তেলবাজি করেন নাই।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৬

ইমরান আশফাক বলেছেন: মনে হয় বলে নয়, আদতেই উনি তেলবাজী করেননি। ঐ সময় এটি আমাদের সংস্কৃতিতেই ছিল না। সেই সময় ক্ষমতায় ছিলেন সামরিক শাসক এরশাদ যিনি এই তৈলবাজী সংস্কৃতির জনক। এখন তো এই কালচারটি বিস্তৃতি লাভ করে এক মহিরুহতে পরিনত হয়েছে আমাদের দেশে, এবং এ থেকে সহসা উত্তরনের কোন উপায় ও আমাদের নেই।

৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৪৬

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আফসোস!

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

আইজ্যাক আসিমভ্‌ বলেছেন: আমি বাকরুদ্ধ ! কি আর বলব !

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: আর কতকাল বাকরুদ্ধ হয়ে থাকবো আমরা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.