নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নাইল্যাকাডা

দিনমজুর

নাইল্যাকাডা ১ম বর্ষ, ২য় সংখ্যার প্রাপ্তিস্থানঃ আজিজ সুপার মার্কেট ১। বইপত্র/ ২। জনান্তিক/ ৩। শ্রাবণ/ ৪। প্রথমা (একুশে)/ ৫। তক্ষশীলা/ ৬। লিটল ম্যাগ প্রাঙ্গন লোক/ ৭। বিদিত/ ৮। পলল/ ৯।পাঠশালা মুক্তিভবন (পুরানা পল্টন) ১০। জাতীয় সাহিত্য প্রকাশন

দিনমজুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রানাপ্লাজা: শ্রেণী যুদ্ধের যে বধ্যভূমির কথা ভুলে থাকাই আরামদায়ক

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩

১. পাঁচ হাজার গার্মেন্টস মালিক সহ বিজিএমইএ ভবন ধ্বস! প্রথম দুই দিন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ছাড়াই আর্মি, ফায়ার সার্ভিস ও সাধারণ মানুষের উদ্ধার প্রচেষ্টা। তৃতীয় দিন থেকে মানুষের দয়ায়, ত্রানে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আসা শুরু। ততদিনে অধিকাংশ গুরুতর আহত মালিকের মৃত্যু। মৃত মালিকদের লাশের গন্ধে বাতাস ভারী। উদ্ধার কাজে আর্মির দাড়িয়ে থাকা, বাশি বাজানো, ফায়ার সার্ভিসের দুই/তিনটি দিক থেকে কাজ করা। বিশেষজ্ঞ মতামত, সমন্বয়, পরিকল্পনা, ব্যাবস্থাপনার বালাই না থাকা। কেবল চারপাশ থেকে সাধারণ মানুষ, শ্রমিকদের আপ্রাণ চেষ্টায় হাতড়ে হাতড়ে কারো হাত কেটে কারো পা কেটে কাউকে আস্ত রেখে কিছু জীবন্ত মালিককে উদ্ধার, কিছু খন্ডিত, বিকৃত, গলিত লাশ উদ্ধার।



তৃতীয় দিন থেকে লাশ উদ্ধার করা বাদ। কেবল জীবিত মালিকদের অনুসন্ধান। ধ্বসে পড়া কংক্রীটের ফাকে ফাকে অসংখ্য লাশের অস্তিত্ব। ধ্বসে পড়া ভবনের বাইরে দামী গাড়ি নিয়ে কোটিপতি মালিকদের আত্মীয় স্বজনের উৎকন্ঠিত অবস্থান। উদ্ধারকাজের ধীর গতি, অপ্রতুল যন্ত্রপাতি, সমন্বয় হীনতা ইত্যাদি দেখে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠা। কোটিপতি মালিকদের কোটিপতি আত্মীয় স্বজনের উপর পুলিশের লাঠি চার্জ, রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস। আর্মি কর্তৃক ঘাড় ধরে ধরে অনেক কে দুরে সরিয়ে দেয়া। পঞ্চম দিনের মাথায় ভারী যন্ত্রপাতি ব্যাবহার। ভেতরে তখনও জীবিত মানুষ থাকার অভিযোগ। সাবধানে কাজের আশ্বাস।



তার আগে কয়েকটি আবেগ ঘন উদ্ধার অভিযানের লাইভ টেলিকাষ্ট। দুই একজনকে উদ্ধার করার আপ্রাণ আন্তরিক চেষ্টার লাইভ দৃশ্য দেখে আমাদের মুগ্ধ হয়ে যাওয়া, অসংখ্য মালিককে সময় মতো উদ্ধার করার যথাযথ চেষ্টা না করা ও উদ্ধার কাজে রাষ্ট্রীয় অবহেলাকে ভুলে যাওয়া। আল্লাহর ওয়াস্তে আড়াই হাজার মালিক উদ্ধার হওয়ার কাহিনী দিয়ে অন্য দুই/তিন হাজার কোটিপতি মালিক উদ্ধার না হওয়ার নির্মমতা কে আড়াল করা, মানবিকতার ক্রেডিট নেয়া। ক্রেন, বুলডোজার দিয়ে কাজ শুরুর আগে স্বেচ্ছাসেবক, সাংবাদিক সবাইকে সরিয়ে দেয়া। ভারী যন্ত্র দিয়ে কাজ শুরুর দুই দিন পরও দেড়/দুই হাজার কোটিপতি মালিকের কোন খোজ না পাওয়া, লাশ উদ্ধার না হওয়া। বাইরে নিখোজ কোটিপতি মালিকদের বিক্ষুব্ধ কোটিপতি আত্মীয় স্বজনের উপর পুলিশের নির্মম লাঠি চার্জ……….



গার্মেন্টস মালিকদের নিয়ে উপরের কল্পিত দৃশ্যপট যতটা অবাস্তব, শ্রমিকদের ক্ষেত্রে ঠিক ততটাই বাস্তব। বিজিএমইএ ভবনের বদলে রানা প্লাজা এবং মালিকের বদলে শ্রমিক শব্দটি বসিয়ে নিলেই উপরের কল্পনাটুকু নির্মম বাস্তব হয়ে উঠে।







ছবি: রানা প্লাজায় উদ্ধার তৎপরতার মধ্যে বিক্ষোভরত হাজার খানেক মানুষকে লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। বিডিনিউজ২৪, ৩০ এপ্রিল ২০১৩।







ছবি: ধ্বংসস্তূপ সরাতে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার শুরুর ২০ ঘণ্টায়ও লাশ না পেয়ে রানা প্লাজার কাছে বিক্ষোভ শুরু করেছে নিখোঁজদের স্বজনরা। উদ্ধার অভিযানের নেতৃত্বে থাকা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে স্লোগানও দিচ্ছে তারা। বিডিনিউজ২৪, ২৯ এপ্রিল ২০১৩।



এক বছর আগে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানাপ্লাজা ধ্বসের পর রানাপ্লাজাকে কেন্দ্র করে ঠিক এমনই দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিলো। ঘটনার একদিন আগেই ভবনটিতে ফাটল দেখা দিয়েছিলো, সাভার উপজেলার ইউএনও কবির হোসেন ভবনটির তিন তালার গার্মেন্টস কারখানার দেয়ালের ফাটল পরিদর্শনও করেছিলেন। ভবনের মালিক যুবলীগ নেতা সোহেল রানা গণমাধ্যমে বলেছিলেন: “সামান্য একটু প্লাস্টার খুলে পড়েছে।এটা তেমন কিছু নয়” । ইউএনও সাহেবও তাল মিলিয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন: “ভবনটি ভেঙে পড়ার কোনো কারণ নেই।” রানা প্লাজার প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় ব্যাংক, অফিস ও দোকান ছিল। তৃতীয় থেকে সপ্তম তলা পর্যন্ত গার্মেন্টস কারখানায় ৫ থেকে ৬ হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। প্রশাসন জানতো, ভবনের মালিক জানতো, গার্মেন্টস এর মালিকরাও জানতো কিন্তু কি নিদারুণ অবহেলায় ভবনের হাজার হাজার গার্মেন্টস শ্রমিক, এবং অফিস ও বিপনী বিতানের কর্মকতা- কর্মচারীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হলো যার পরিণতিতে ভবন ধ্বসে পড়ল, সহশ্রাধিক শ্রমিক খুন হলেন, হাত পা ভেঙে পঙ্গু জীবনের অভিশাপ নামলো হাজারো শ্রমিকের জীবনে।রানা প্লাজার সেই খসে পড়া প্লাস্টারের মতোই এদেশের সাধারণ মানুষ, শ্রমিক, কর্মচারীর জীবন ‘মূল্যহীন’, ‘তেমন কিছু না’!





২. রানা প্লাজা ধ্বসের ১৭ দিন পর ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার হয়েছিলো আটকে পরা শ্রমিক রেশমা। ১৭ দিন ধরে রেশমার এই বেচে থাকার লড়াই ও উদ্ধার যেমন ভীষণ আনন্দজাগানিয়া তেমন ভীষণ আফসোসেরও ব্যাপার ছিল। আফসোস ভীষণ, কারণ, আরো অসংখ্য রেশমা ভবনের পেছন দিকটা থেকে জীবিত উদ্ধার হতে পারতো যদি, পেছন দিকটাতে সরকারি বাহিনী সময় মতো উদ্ধার তৎপরতা চালাতো।



ভবনের পেছন দিকের সিড়ি দিয়েই মূলত শ্রমিকরা উঠা নামা করত। ফলে বেশির ভাগ শ্রমিক ঐ দিকটাতেই আটকা পড়েছিল। কিন্তু অনেক বলে কয়ে, মানুষের অনেক ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখিয়েও কোন বাহিনীকে রাজী করানো যায়নি পেছন দিকে উদ্ধার তৎপরতা চালাতে। যদি বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে, নানান বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়েও কোন কাজ না হতো তাহলে হয়তো এই আফসোসটা থাকতো না। কিন্তু শ্রমিকরা এলিট শ্রেণীর নন এবং তাদের আত্মীয় স্বজনও কেউ এলিট শ্রেণীর নন যে তাদের চাপে এইটুকু চেষ্টা অন্তত হবে। ফলে পেছন দিক থেকেই সবচেয়ে বেশি লাশ উদ্ধার হয়েছে ... কিংবা হয় নাই। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্যের শিক্ষক মাতলুবা খান এ বিষয়ে লিখেছেন: "ভবনের পেছনের অংশে দুই ফ্লোরের মাঝের উচ্চতা অন্যান্য অংশের তুলনায় বেশি। যেকোনো দুর্যোগে মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা থাকে সিঁড়ির কাছে পৌঁছানো, যা ভবনের পেছনের অংশে অবস্থিত। এর থেকে ধারণা করা যায়, সেই অংশে অনেকে আটকা পড়ে ছিলেন। এই ধ্বংসস্তূপের কোথাও যদি একটুখানি ফাঁকা জায়গা থাকে, সেখানটাতেই জীবিতের সন্ধান পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। অথচ সেই অংশটাতে কোনোভাবে উদ্ধারকাজ করা সম্ভব হয়নি। "







ছবি:ধ্বংসস্তুপের পেছন দিকে সাধারণ মানুষের উদ্ধার তৎপরতা, ২৪ এপ্রিল ২০১৩।



৩. রানা প্লাজা ধ্বসের প্রায় আট মাস পরের একদিনের ঘটনা। ঘটনা স্থল রানা প্লাজার ধ্বংস স্তুপের পেছন দিক। খুব যত্নের সাথে একটা একটা করে হাড় ব্যাগে ভরছিলেন এক বৃদ্ধা। তার চোখে জল। পুলিশ তাড়া দিচ্ছে। তাদের ডিউটি আছে। কোন এক জজ সাহেবকে নাকি এসকোর্ট করতে হবে। একটু পর পর ফোন আসছে। একটা একটা করে হাড় গুনে গুনে সিজার লিস্ট বা জব্দ তালিকা তৈরী করার সময় নাই। কিন্তু বৃদ্ধার কোন তাড়া নেই, তিনি ধীরে ধীরে গুনে গুনে হাড়গুলো ব্যাগে ভরছেন। হয়তো এই হাড়গুলো তার মেয়ে নূরজাহানের। ছোট ছোট দাতের চোয়াল, পাজরের হাড়, মেরুদন্ডের কশেরুকা, হাত পায়ের হাড় – সব মিলে এক জায়গা থেকেই পাওয়া গেছে ৫২টা হাড়। রানা প্লাজার ধ্বংস স্তুপ যে পুকুরে ডাম্প করা হয়েছে, সেই পুকুরের কিনারার দিকেই পাওয়া গেছে হাড়গুলো।







ছবি: রানাপ্লাজার ধ্বংসস্তুপের পেছন থেকে হাড়-কংকাল উদ্ধার,২৮ ডিসেম্বর ২০১৩।



নূরজাহান রানা প্লাজার একটা গার্মেন্টস এ কাজ করতো। আট মাস হয়ে গেলেও মেয়েটার কোন হদিস নেই। এতদিন পরেও রানা প্লাজার ধ্বংসস্তুপ থেকে একের পর এক হাড় পাওয়ার ঘটনা। তার বিশ্বাস এখানেই কোথাও পাওয়া যাবে তার মেয়ের হাড়-গোড়। পুলিশদেরকে তাই বার বার অনুরোধ করছেন- যেন প্রতিটা হাড়ের ডিএনএ টেস্ট করা হয়। সেইদিন উদ্ধার হওয়া মোট ১০২ টা হাড় তিনি নিজ হাতে দুই ব্যাগে ভরে পুলিশের গাড়িতে তুলে দিলেন।



স্থানীয় টোকাইরা লোহার টুকরা, ভাঙা যন্ত্রপাতি ইত্যাদি খুজতে এসে প্রথমে এই হাড় খুলি কংকালের সন্ধান পায়। এরপর নিয়মিতই অল্প অল্প করে হাড় উদ্ধার হয়েছে, সাংবাদিকদের খবর দেয়া হলে তারা এসে সংবাদ নিয়ে গেছে আর পুলিশ এসে হাড় নিয়ে গেছে থানায় । কিন্তু সেই খবর পত্রিকার প্রথম পাতায় ছাপা হয়নি, দেশে তেমন আলোড়নও ওঠেনি-যেন উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত হওয়ার আট মাস পরও রানা প্লাজার ধ্বংস স্তুপ থেকে মাঝে মাঝে নিখোজ শ্রমিকের হাড়-খুলি-কংকাল উদ্ধার হওয়া খুব স্বাভাবিক একটা ঘটনা!



৪. রানপ্লাজা ধ্বসের পর, বাতাসে লাশের গন্ধ মিলায়ে যাওয়ার আগেই,এমনকি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্ধার তৎপরতা সমাপ্ত হওয়ার আগেই শ্রমিক শোষণকারী মালিক শ্রেণীর সংগঠন বিজিএমইএ মুখ মুছে ফেলেছে, চোখ উল্টে দিয়েছে। চিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ, পূনর্বাসনের ব্যাবস্থা তো দূরের কথা স্রেফ পাওনা বকেয়া মজুরী র জন্যই রাস্তায় নামতে হয়েছিলো রানা প্লাজার গার্মেন্টস এর ক্ষতিগ্রস্থ, আহত, কর্মসংস্থান হারনো অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখী দাড়ানো শ্রমিকদের।মালিক শ্রেণীর প্রতিনিধিত্বকারী রাষ্ট্রও দ্রুত হাত গুটিয়ে নিয়েছে। শ্রমিকরা হাসপাতালে ফোলা পেট নিয়ে ডায়ালাইসিসের অভাবে কাতরিয়েছেন, ইনফেকশান হয়ে ব্লিডিং হয়ে মরেছেন, যন্ত্রণা আর ট্রমা সইতে না পেরে অনেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন , এমনকি কয়েকদিন আগে সালমা নামের এক আহত শ্রমিক যথাযথ চিকিৎসার অভাবে যন্ত্রণা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন।



ঘটনার পরপর মালিক শ্রেণী সহ সরকারি বেসরকারি দেশী বিদেশী বিভিন্ন পক্ষ থেকে কোটি কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও তার খুব সামান্যই বাস্তবায়িত হয়েছে বা শ্রমিকদের কাছে পৌছেছে। বিচ্ছিন্ন ভাবে কোন কোন শ্রমিকের কাছে দান/সহায়তার আকারে কিছু অর্থ পৌছলেও এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় ভাবে রানা প্লাজার নিহত ও আহত শ্রমিকদের জন্য কোন ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ঘোষিতই হয়নি। অর্থ-কড়ি কিংবা অন্যকোন কিছু যদিও কোন অর্থেই জীবনের ক্ষতিপূরণ হতে পারেনা- তবু শ্রেণী বিভক্ত সমাজে রাষ্ট্র কোন শ্রেণীকে কেমন দৃষ্টিতে দেখে তা নগ্নভাবে ফুটে ওঠে জীবণের ক্ষতিপূরণ প্রশ্নে রাষ্ট্রীয় তৎপরতা/আগ্রহ থাকা না থাকার মধ্যে।



বিডিআর বিদ্রোহের পর নিহত সেনা কর্মকর্তাদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ, ধরণ ও পরিবারগুলোকে পুনর্বাসন কার্যক্রমের সাথে গার্মেন্টস শ্রমিক আগুণে পুড়ে কিংবা ভবন ধ্বসে নিহত হওয়ার পর ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ও ধরণ মিলিয়ে দেখলে এক্ষেত্রে শ্রেণী বৈষম্য খুব স্পষ্ট হয়ে উঠে। নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের জন্য এককালীন ৫০ থেকে ৯০ লাখ টাকা, ১০ বছর পর্যন্ত মাসে মাসে ৪০ হাজার টাকা, পরিবারের আবাসনের ব্যাবস্থা, সন্তানদের শিক্ষার দ্বায়িত্ব, গোটা পরিবারের চিকিৎসার ব্যাবস্থা ইত্যাদি সরকারি ও বেসরকারি তরফ থেকে করা হয়েছে। কিন্তু এই যে এতো এতো শ্রমিক নিয়মিত মরছে তাদের জন্য কি করা হয়েছে? তারা কি ক্ষতিপূরণ পেয়েছে, রাষ্ট্র ও মালিকদের তরফ থেকে কি শ্রমিক ও তার পরিবারের দ্বায়িত্ব নেয়া হয়েছে? তাদের কর্মসংস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার দ্বায়িত্ব নেয়া হয়েছে? বলাই বাহুল্য, আর সব গার্মেন্টস হত্যাকান্ডের মতো রানাপ্লাজার ঘটনার ক্ষেত্রেও এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আজও না বোধক।



এটা নিশ্চিত যে, শ্রেণী বিভক্ত সমাজে এলিট সামরিক বাহিনী ও রফতানি মুখী ‘শ্রম মেশিন’ গার্মেন্টস শ্রমিকদেরকে রাষ্ট্র এক ভাবে ট্রিট করবে না, করার কথাও না। কিন্তু তাই বলে এত বৈষম্য! মাসে মাসে ৪০ হাজার টাকা মাসোহারা না হোক, অন্তত ৮-১০ হাজার টাকা করে দেয়া হোক, এককালীন ৯০ লাখ টাকা করে না হোক শ্রমিকদের তোলা দাবী অনুযায়ী একজীবনের আয়ের সম পরিমাণ অন্তত: ৩০ লাখ টাকা করে তো দিতে হবে, সিএমইএচ না হোক পরিবারের সবার চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতাল গুলোতে ব্যাবস্থা হোক, ডিওএইচএস এ না হোক শ্রমিক কলোনি বানিয়ে তাদের আবাসনের ব্যাবস্থা হোক, নর্থ সাউথ ইস্ট ওয়েষ্ট এ না হোক সরকারি স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শ্রমিকের সন্তান, ভাইবোনদের পড়াশোনার ব্যাবস্থা তো হতে পারতো!



৫. মালিকদের বিজিএমএইএ ভবন কিংবা বসুন্ধরা সিটি বা রাইফেল স্কয়ারের মতো শপিং কমপ্লেক্স যদি ধ্বসে পড়তো এবং ধ্বসে পড়ার এতদিন পরেও যদি নিখোজ মধ্যবিত্ত উচ্চবিত্ত এলিটশ্রেণীর মানুষদের হাড়গোড় এভাবে টোকাইদের হাতে উদ্ধার হতো কিংবা বিডিআর বিদ্রোহের পর নিহত আর্মি অফিসারদের হাড়গোড় যদি এভাবে এদো পুকুরের কিনারা থেকে উদ্ধার হতো তাহলে কি ঘটতো! কি ঘটতো যদি তাদেরকে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের কোন ব্যবস্থাই না করা হতো! স্রেফ শ্রমিক বলেই তাদের হাড় গোড় এভাবে বুলডোজার দিয়ে চাপা দেয়া ধ্বংসস্তুপের মধ্যে পড়ে থাকা ‘স্বাভাবিক’ ঘটনা। শ্রমিক বলেই এর জন্য উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকারী সরকারি কোন বাহিনী বা কর্তৃপক্ষকে কোন জবাব দিহি করতে হয় নি। নিখোজ শ্রমিকের আত্মীয় স্বজনের ক্ষমতা কাঠামোর সাথে কোন যোগাযোগ নেই বলে, সুশিল সমাজের কারো আত্মীয় স্বজন তারা নন বলে, মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্ত সমাজের কেউ নন বলেই তাদের হাড়গোড় এভাবে ধ্বংসস্তুপের মতো পড়ে থাকতে পারে। এক বার দুই বার না, একটা দুইটা না, কয়েক দিন ধরে কয়েক শত হাড় উদ্ধার হওয়ার পরও তাই নতুন করে উদ্ধার কর্মকান্ড পরিচালনার নিখোজ শ্রমিকের দেহাবশেষ অনুসন্ধানের কোন কথা শোনা যায়নি, এই বিষয়ে সমাজের মধ্যে তেমন কোন প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি না, এমনকি যে মানুষেরা রানা প্লাজা ধ্বসের পর পর উদ্ধার তৎপরতা সহ নানান ধরণের কাজে যুক্ত হয়েছিলেন তাদেরও যেন এ বিষয়ে আর কোন দায় নেই! শ্রমিক বলেই, তাদের হত্যাকারীদের আজো কোন সাজা হয় নি, জনবিক্ষোভ সামাল দেয়ার জন্য স্রেফ লোক দেখানো গ্রেফতার করা হয়েছে এবং সময় ক্ষেপন করে এখন জামিন দেয়া ও ছেড়ে দেয়ার তৎপরতা চলছে। শ্রমিক বলেই ক্ষতিপূরণ পাওয়াটা আজো তাদের অধিকার নয়- যেন মালিক শ্রেণীর দেয়া লিল্লাহ বা ভিক্ষা!



রানা প্লাজার ধ্বংস স্তুপের সামনে দাড়ালে, এতদিন পর বিচ্ছিন্ন ভাবে উদ্ধার হওয়া খুলি-কংকালের দিকে তাকালে মনে হয় এটা যেন কাটাতার ঘেরা কোন বধ্যভূমি। যেন কোন হানাদার বাহিনী গণহত্যা চালিয়ে গণকবর দিয়েছে শত শত মানুষকে। অথচ রানাপ্লাজার ধ্বংসযজ্ঞ কোন বিদেশী হানাদারের হাতে ঘটেনি, ঘটেছে দেশীয় শাসক-পুজিপতির হাতেই। শ্রমিক শ্রেণীর সাথে পুজিপতি শ্রেণীর যে নিরন্তর শ্রেণী যুদ্ধ চলে, শ্রমিকের শ্রমের ফসল ব্যাক্তিগত মুনফা রুপে দখলের যে লড়াই চলে, সেই শ্রেণী যুদ্ধের ধ্বংস যজ্ঞেরই একটা নির্মম দৃষ্টান্ত রানা প্লাজার এই ধ্বংসস্তুপ। রানা প্লাজার এই ধ্বংসস্তুপ তাই শ্রেণী যুদ্ধের এক বধ্যভূমি যেখানে এসে সভ্যতা, মানবিকতা, মানবাধিকার ইত্যাদি শ্রমিকের হাড়-কংকালের মতোই এদো পুকুরের তলায় পচতে থাকে।

মন্তব্য ১০৫ টি রেটিং +২৫/-০

মন্তব্য (১০৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৪

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: এই ক্রমহত্যাকান্ডের চলমান ইতিহাস বন্ধ করাই কর্তব্য।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৪

দিনমজুর বলেছেন: প্রতিদিন যে শোষণ নিপীড়ন খুব 'স্বাভাবিক' ভাবে চলছে, তারই চরম পরিণতি এই 'অস্বাভাবিক' হত্যাকান্ড। এই চলমান ইতিহাস প্রতিরোধ করাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫

আমিনুর রহমান বলেছেন:



রানা প্লাজার ধ্বংস স্তুপের সামনে দাড়ালে, এতদিন পর বিচ্ছিন্ন ভাবে উদ্ধার হওয়া খুলি-কংকালের দিকে তাকালে মনে হয় এটা যেন কাটাতার ঘেরা কোন বধ্যভূমি। যেন কোন হানাদার বাহিনী গণহত্যা চালিয়ে গণকবর দিয়েছে শত শত মানুষকে। অথচ রানাপ্লাজার ধ্বংসযজ্ঞ কোন বিদেশী হানাদারের হাতে ঘটেনি, ঘটেছে দেশীয় শাসক-পুজিপতির হাতেই।



সহমত।



রাজাপ্লাজা ট্রাজিটিতে নিহতদের স্মরণ করছি এবং তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করি।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৬

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ। দেশী বিদেশী শোষকদের এই কাঠামোগত গণহত্যার প্রতিরোধ জরুরী।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০৬

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: টিক...টিক... টিক... টিক...
ষাট ঘন্টা পেরিয়ে গেছে,- মৃত্যুর অন্ধকূপে তার!
সেখানে বুকে পাহাড় চাপা পড়ে আছে সবাই,
সেখানে বাতাস নেই, আলো নেই, জীবন নেই,
সেই নরকের বর্ননা কোন কিতাবেও কেউ আঁকেনি !
মাটি দুলিয়ে আকাশ ভেঙ্গে লুটিয়ে পড়া ভবনটা,
তার ঠিক প্রবেশদ্বারে সারি সারি উর্দি, প্রটোকল, ক্যামেরা,
খবর এসেছে তাকে উদ্ধার করা হচ্ছে,
হাতুরি ছেনি দিয়ে সুরঙ্গ খুঁড়ে,
মৃত্যুর জঠর থেকে তুলে আনা হচ্ছে তার দেহ,
জীবিত, নাকি মৃত, সেই খবর অবশ্য এখনও পাওয়া যায়নি,
স্তুপপ্রমান কর্পূর এবং সারি সারি এম্বুলেন্স দাঁড় করানো আছে,
সরাসরি সম্প্রচারের রুদ্ধশ্বাস আবেগে থর থর কাঁপছে জাতি!


টিক... টিক... টিক... টিক...
বাষট্টি ঘন্টা পেরিয়ে গেছে,- মৃত্যুর অন্ধকূপে তার!
সুড়ঙ্গ মুখে তোড়জোড়, সারি সারি উর্দি, প্রটোকল, ক্যামেরা,
কাতারে কাতারে দূর্ধর্ষ খবর ভিখারীর দল, হাতের চোঙ্গা বাড়িয়ে,
যারা জানিয়ে যেতে চায়, - ধ্বসে যেতে আপনার অনুভূতি কী?
পিষে যেতে আপনার অনুভূতি কী? মরে যেতে আপনার অনুভুতি কী?


টিক... টিক... টিক... টিক...
৯৬ ঘন্টা পেরিয়ে গেছে,- মৃত্যুর অন্ধকূপে তার!
তাই বলে কাউকে অবশ্য লজ্জা পেতে দেখা যায়নি,
কারন লজ্জা সেলাইয়ের কাজই তো ওরা করে যেত দিনভর।
যত গালিই দাওনা কেন, ওদের জন্য এটাই কি অনেক পাওয়া নয়?
ওরা মাসে তিনহাজারে কেনা কৃতদাস ছিল তোমাদের,
সবথেকে সস্তা! আসলে গেলেও কোন ক্ষতিবৃদ্ধি নেই,
ওরা তো আছেই ঝাঁকে ঝাঁকে,পরগাছার মত,
আনাচে-কানাচে-আগাড়ে-ভাগাড়ে কোথায় নেই ওরা?

মানুষের সভ্যতায় মানুষ পিষে গেলে সভ্যতার কী যায় আসে?





পোস্ট পড়ে পুরো কবিতাটা কোট করে দিতে হল, মানুষও যখন চাহিদা-যোগান তত্তের দাড়িপাল্লায় মাপা হবে, তখন এত অজস্র মানুষের মধ্যে কিছু গার্মেন্টস শ্রমিক চাপা পড়ে মরে গেলে রাষ্ট্রের কিচ্ছু যায় আসে না!


শ্রমিক শ্রেণীর সাথে পুজিপতি শ্রেণীর যে নিরন্তর শ্রেণী যুদ্ধ চলে, শ্রমিকের শ্রমের ফসল ব্যাক্তিগত মুনফা রুপে দখলের যে লড়াই চলে, সেই শ্রেণী যুদ্ধের ধ্বংস যজ্ঞেরই একটা নির্মম দৃষ্টান্ত রানা প্লাজার এই ধ্বংসস্তুপ। রানা প্লাজার এই ধ্বংসস্তুপ তাই শ্রেণী যুদ্ধের এক বদ্ধভূমি যেখানে এসে সভ্যতা, মানবিকতা, মানবাধিকার ইত্যাদি শ্রমিকের হাড়-কংকালের মতোই এদো পুকুরের তলায় পচতে থাকে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১২

দিনমজুর বলেছেন: দারুণ কবিতা!

"ওরা মাসে তিনহাজারে কেনা কৃতদাস ছিল তোমাদের,
সবথেকে সস্তা! আসলে গেলেও কোন ক্ষতিবৃদ্ধি নেই,
ওরা তো আছেই ঝাঁকে ঝাঁকে,পরগাছার মত,
আনাচে-কানাচে-আগাড়ে-ভাগাড়ে কোথায় নেই ওরা?"

-ব্রয়লার মুরগির খামারের মালিকদের মুরগির বাচ্চার প্রতি যতটা যত্ন ও মমতা থাকে, গার্মেন্টস মালিকদের ততটুকু্ও থাকে না। মুরগি বাচ্চা তো খামারিকে পয়সা দিয়ে কিনতে হয়, শ্রমিক মরলে তো তার কোন লস নাই- কোন ক্ষতিপূরণ্ও দিতে হয় না! স্মার্ট গার্মেন্টস এ যেদিন আগুন লাগল, তখন স্মার্ট গার্মেন্টস এর ভেতরের অবস্থা দেখে মনে হয়েছিল- একটা মুরগীর খামারের পরিবেশও এর চেয়ে ভালো!

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

আজীব ০০৭ বলেছেন: রাজাপ্লাজা ট্রাজিটিতে নিহতদের স্মরণ করছি এবং তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করি।

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

লিরিকস বলেছেন: আজীব ০০৭ বলেছেন: রাজাপ্লাজা ট্রাজিটিতে নিহতদের স্মরণ করছি এবং তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করি।

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭

ফিলিংস বলেছেন: রানা প্লাজা কে শ্রমিকদের বদ্ধভূমি ঘোষনা করা হোক। মালিকদের শোষনের প্রতীক আর শ্রমিক শ্রেণীর আত্মত্যাগের প্রতিক হয়ে থাক।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৩

দিনমজুর বলেছেন: রানা প্লাজা কে শ্রমিকদের বদ্ধভূমি ঘোষনা করা হোক। রানা প্লাজা হয়ে উঠুক শ্রমিকের ঘাম আর রক্তের স্মৃতির মিনার।

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: এত নিকৃষ্ট হৃদয়হীন পুলিশ আর প্রশাসন দুনিয়াতে আর নেই!

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৬

দিনমজুর বলেছেন: রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোর অমানবিকতা, হ্রদয়হীনতা, নিষ্ঠুরতা এই সবের উতস হলো রাষ্ট্রের শাসক শ্রেণী। শাসক শ্রেণীর প্রশাসন ও বাহিনী শাসক এলিটদের সাথে ব্যবহার আর সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের সাথে ব্যবহারের তুলনা করলেই বিষয়টা পরিস্কার হয়।

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০০

হাসান ইকবাল বলেছেন: ভিক্ষা দিলে দানের মহিমা অর্জন হয়, প্রচার হয়, ব্র্যান্ডিং হয় আর ক্ষতিপূরণ দিলে দায় স্বীকার করে নেয়া হয়, একটা বাধ্যবাধ্কতা চলে আসে যা ভবিষ্যতে যে কোন দুর্ঘটনার(আসলে কাঠামোগত হত্যাকান্ড) বেলায় ক্ষতিপূরণের উদাহরণ হিসেবে ব্যাবহ্রত হবে।

তাই তারা বড়জোর কিছু কিছু করে ভিক্ষা দেবে, কিন্তু ক্ষতিপূরণ কিছুতেই দেবে না!

‘ক্ষতিপূরণ নয়, ভিক্ষা’- এই নীতিতে গার্মেন্টস মালিক, তাদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিদেশী কর্পোরেট ক্রেতা কোম্পানি এবং বাংলাদেশ সরকার- সবাই একজোট হয়ে রানা প্লাজার ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের ও তাদের স্বজনদের ঘোরাচ্ছে। ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে হতাশ করছে, অভাবে জর্জরিত করে সামান্য কিছু টাকা মাঝে মাঝে তাদের হতে ধরিয়ে দিচ্ছে- যেন যা পাওয়া যায়, তাই নিয়েই শ্রমিক ও তাদের স্বজনরা সন্তুষ্ট থাকে, যেন কোন ভাবেই ক্ষতিপূরণ বা অধিকার হিসেবে কিছু দাবী না করে।

এই কারণেই –

রানা প্লাজা হত্যাকান্ডের এক বছর পার হয়ে গেলেও কোন সুনির্দিষ্ট ক্ষতিপূরণ নীতিমালা তৈরী করা হয় নি। হাইকোর্টের নির্দেশে একটা লোকা দেখানো কমিটি করে সর্বোচ্চ মাত্র ১৪ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের সুপারিশ তৈরী করা হলেও সেটাকে আইনি বাধ্যবাধকতায় পরিণত করা হয় নি।

প্রধান মন্ত্রীর তহবিলে ১২৭ কোটি টাকা জমা পড়লেও তা থেকে মাত্র ২২ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে- তাও কোন ক্ষতিপূরণ নীতিমালার আলোকে নয়, ভিক্ষা বা দান হিসেবে।

বিজিএমইএ মাত্র ১৪ কোটি টাকা খরচ করে দায় সেরেছে

বিদেশী কর্পোরেট ক্রেতা কোম্পানিগুলো কোটি কোটি ডলারের গালভরা প্রতিশ্রুতি দিলেও, কার্যত বিতরণ হয়েছে সামান্যই। তারাও ক্ষতিপূরণ দিয়ে দায় স্বীকার করতে রাজী না, একটু একটু করে লিল্লাহ দিয়ে বারবার নিজেদের ব্র্যান্ডিং করতেই আগ্রহী।

সহস্রাধিক শ্রমিক হত্যা করেও এই ত্রিচক্র যদি সামান্য কিছু ভিক্ষা দিয়ে পার পেয়ে যায়, যদি সুনির্দিষ্ট হারে ক্ষতিপূরণ দিতে তাদেরকে বাধ্য করা না যায়, তাহলেও আর কোন দিনও ক্ষতিপূরণ জিনিসটাকে বাংলাদেশে আইনি বাধ্যবাধকতায় পরিণত করা যাবে না।

উৎস:
(কে. মোস্তফার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে)

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৩

দিনমজুর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০০

জমরাজ বলেছেন: ফিলিংস বলেছেন: রানা প্লাজা কে শ্রমিকদের বদ্ধভূমি ঘোষনা করা হোক। মালিকদের শোষনের প্রতীক আর শ্রমিক শ্রেণীর আত্মত্যাগের প্রতিক হয়ে থাক।

১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০২

শংখনীল কারাগার বলেছেন: ধন্যবাদ লেখককে পোস্টের জন্য।

সামু কর্তৃপক্ষকেও ধন্যবাদ পোস্টটি স্টিকি করার জন্য।

সোনার বাংলাতে এর চেয়ে ভাল কি আশা করা যায়।

১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

জমরাজ বলেছেন: সামুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি পোস্টটি স্টিকি করার জন্য।

১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৯

অকুল পাথার বলেছেন: প্রশাসনের ব্যর্থতা এবং পুঁজিবাদী সমাজের লোভের কবলে পড়ে জীবন গেল শ্রমিকদের।
নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি।

১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৬

কিং অফ মাইনকা চিপা বলেছেন: জাতি হিসেবে আমরা প্রায়ই নিজেদের নিয়ে অনেক গর্ব করি, আমরা হেন করেছি, তেন করেছি। কিন্তু আমি মনে করি জাতি হিসেবে আমরা অনেক বেসি নিকৃষ্ট!!!
এমন একটা দেশে থাকি যেখানে অপহরন, গুম, হত্যা, ধর্ষণ, ট্রাজেডির কোন বিচার হয় না!!
এখানে মানুষের জীবনের কোন মূল্যই নেই।
আমদের আসলে লজ্জাই নেই, কারন আমরা ১০০কটি টাঁকা খরচ করে জাতীও সঙ্গিত গাই কিন্তু রানা প্লাজায় উদ্ধারের জন্য উদ্ধার সরঞ্জাম কেনার জন্য টিভিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে টাঁকা ভিক্ষা করা লাগে!!!
আজব একটা দেশে বাস করি।জাতি হিসেবে আমরা প্রায়ই নিজেদের নিয়ে অনেক গর্ব করি, আমরা হেন করেছি, তেন করেছি। কিন্তু আমি মনে করি জাতি হিসেবে আমরা অনেক বেসি নিকৃষ্ট!!!
এমন একটা দেশে থাকি যেখানে অপহরন, গুম, হত্যা, ধর্ষণ, ট্রাজেডির কোন বিচার হয় না!!
এখানে মানুষের জীবনের কোন মূল্যই নেই।
আমদের আসলে লজ্জাই নেই, কারন আমরা ১০০কটি টাঁকা খরচ করে জাতীও সঙ্গিত গাই কিন্তু রানা প্লাজায় উদ্ধারের জন্য উদ্ধার সরঞ্জাম কেনার জন্য টিভিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে টাঁকা ভিক্ষা করা লাগে!!!
আজব একটা দেশে বাস করি।
দোয়া করি আর যেন কখনও এমন কিছু না ঘটে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৩

দিনমজুর বলেছেন: সমস্যা আসলে জাতিগত নয়, সমস্যা মূলত শাসক শ্রেণীর। আপনি যে উদাহরণগুলো দিলেন, খেয়াল করে দেখেন, এই সিদ্ধান্ত গুলোর মধ্যে সাধারণ মানুষের মতমতের যে প্রতিফলন ঘটেছে তা নয়, এগুলো শাসকদের নীতি-দর্শনেরই প্রতিফলন।

১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২১

জনসাধারণের মধ্যে একটি মলিন পট্টবস্ত্র বলেছেন: আমাদের দেশের শ্রেণী বৈষম্যের বিষয়টি খুব নিখুঁত ভাবে তুলে ধরেছেন। যাদের শ্রমের বিনময়ে এদেশ আজ পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে আছে তাদের মৃত্যুতে আমারা শুধু সমবেদনা জানিয়ে দায় সারায়। রানা প্লাজায় খতিগ্রস্থ হাজার পরিবারের পুনর্বাসনের কি ব্যাবস্থা নিয়েছে সরকার। কিছুই করেনি শুধু ঘোষণা দেয়া ছাড়া। মর্তে যাদেরকে খুশী রাখলে ক্ষমতায় থাকা যাবে তাদেরকেই সবাই খুশী রাখে। দুটাকার পোশাক শ্রমিককে খুশী রাখার কি দরকার আছে?

রানাপ্লাজার সাথে সাথে ধ্বসে যাওয়া হাজার পরিবারে পুনর্বাসনের সু ব্যাবস্থা নেয়া হোক।
লেখককে ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোষ্টের জন্য।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৪

দিনমজুর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: রানা প্লাজার দূর্ঘটনাটি শুধু মাত্র গার্মেন্টস শ্রমিক হত্যাকান্ড নয় এটা স্ট্রাকচারাল কিলিংও বটে। কত লোক মারা গিয়েছে এই নিয়ে বিস্তর মত পার্থক্য হয়েছে। (প্রাথমিক ভাবে প্রত্যাক্ষদর্শীদের ভিডিও)

আপনাকে খুবই ধন্যবাদ এই পোষ্টটি দেয়ার জন্য। চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন এই সমাজের শ্রেণী বৈষম্যের নিদারুন চিত্রটি। সরকার এত টাকা পেল, কিন্তু সবাই টাকা পেল না! আমলাতান্ত্রিক জটিলতার এই নির্মম ও নোংরা চিত্র দেখে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই হতাশ

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৮

দিনমজুর বলেছেন: এত বড় একটি হত্যাকান্ডের পরেও যদি শাসক গোষ্ঠী কোন খেসারত বা ক্ষতিপূরণ না দিয়ে পার পেয়ে যায় তাহলে আর কোন ক্ষেত্রে এদেরকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনা যাবে-জানিনা।

১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: রানাপ্লাজার শ্রমিকরা, তোরা তো মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আমাদের আভিজাত্য বাড়িয়ে দিয়েছিস, তাই না? এটাই তোদের আজন্ম পাপ!





তোরা আমায় ক্ষমা কর।

১৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

ইছামতির তী্রে বলেছেন: অনেক্ষণ চিন্তা করেও কোন কথা মনে আসছে না। মনে হচ্ছে, সিরিয়ার ঐ শিশুটির মত করে বলি, "আল্লাহকে বলে দিব"।

মহান আল্লাহ যথাসময়ে এইসব শ্রমিক ভাই-বোনদের রক্তের, চোখের পানির হিসেব আদায় করবেন। চিরতরে হারিয়ে যাওয়া শ্রমিক ভাই-বোনদের আত্বার মাগফেরাত কামনা করছি। আর যারা 'না মরে বেচে আছেন' তাদের প্রতি সমবেদনা রইল। আল্লাহ ওদের সহায় হোন।

এমন একটা পোস্ট স্টিকি করার জন্য সামুকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আর আপনার পোস্ট পরে কান্না চলে এসেছে। তবু আপনাকে ধন্যবাদ।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮

দিনমজুর বলেছেন: আন্দোলন সংগ্রাম ছাড়া শ্রমিকদের কোন অধিকারই আজ পর্যন্ত আদায় হয় নি।

১৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬

শামীম সুজায়েত বলেছেন: আমার আল্লাই করবে তোমার বিচার..............................
তোমাদের বিচার।

১৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন: পোস্ট স্টিকি করার জন্য সামুকে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ দিনমজুর।

২০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৬

ক্যাতর আলী বলেছেন: কিছু কওয়ার নাই। আল্লাহ দেখবে।

২১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪০

শেরশাহ০০৭ বলেছেন: রেশমা এর খবর কি? কোন আপডেট কি আছে?

২২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৩

জন কার্টার বলেছেন: bengoli people have short term memory .

hats off you

২৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫

মোঃ মামুনুর রশিদ বলেছেন: আমিও সামুর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি পোস্টটি স্টিকি করার জন্য।

২৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৯

ভিটামিন সি বলেছেন: আমার কথাগুলো উপরের কমেন্টগুলোতে বলে দেয়া হয়েছে। তাই আমি আর নতুন কিছু না বলে শুধু কমেন্টে লাইক দিয়ে গেলাম।

২৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩

সবুজ সাথী বলেছেন: শিরনামে "বদ্ধভূমি" না হয়ে "বধ্যভূমি" হবে মনে হয়।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ। সংশোধন করা হলো।

২৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৯

ভাইটামিন বদি বলেছেন: মাঝে মাঝে মনে হয় চিতকার করে বলি - রানা প্লাজা রানা প্লাজা....
......দায়ী কোন ***** বাচ্চার বিচার হলো না... কেউ কোন শাস্তি পেল না।......কষ্টে মাঝে মাঝে (প্রতিদিন মনে রাখার সময় কৈ!) বুকটা মোচড় দিয়ে উঠে।.....কোন না কোন একদিন এর মুল্য দিতেই হবে.....সবাইকেই দিতে হবে....আর সেই দামটা খুব বেশী হয়ে যাওয়ার আগে আমাদের হুস হলেই হয়।।।.

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৫

দিনমজুর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, সবাইকেই হয়তো একে একে মাশুল দিতে হবে এভাবে..

২৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গার্মেন্টস মালিকদের নিয়ে উপরের কল্পিত দৃশ্যপট বাস্তব হলেই বুঝি শ্রমিকদের আত্মা অট্টহাসি দিয়ে হেসে উঠতো ওপারে বসে!!!!!



আবারও স্যালুট। লেখক, সামু, সত্যের পক্ষাবলম্বনকারী সকলকে।

ৎৎৎ এর প্রকাশ অনন্য।

এই ঢিম তেতালে খুচায় আমরা কবে জাগব? আদৌ জাগব কি?

এ যেন এক অসম যুদ্ধ!!!

সুসজ্জ্বিত, ঐক্যবদ্ধ,স্বার্থ, মিডিয়া, অর্থ, ক্ষমতা নিয়ে এক পক্ষে
নিরস্ত্র, ক্ষুধার্ত, আবেগী দুর্বল আরেক পক্ষের মাঝে!!!!! X(( X((

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০১

দিনমজুর বলেছেন: লড়াই চলছে, লড়াইয়ের মাধ্যমেই মীমাংসা হবে।

২৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫৭

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: কি আর বলবো বলেন, এরপরেও তাদের শাস্তির নামে নাটক হয়, জামিন হয় আর আমরা ওই দীর্ঘ শ্বাস মাখা হাপিত্যেশ ছাড়া কিছুই দিতে পারিনা শ্রমিকদের!
গতমাসের একটা লেখা এ প্রসঙ্গে শত কোটি বাজেটের জাতীয় সঙ্গীত, জিএসপিতে অহেতুক বাধা এবং "দেশে এখন কোন শ্রমিক নির্যাতন নেই!"- মাননীয় মন্ত্রীর সময়োপযোগী মন্তব্য এবং একজন ইমরানের মাইক্রো জীবনগল্প...!

২৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১৬

জাতির বোঝা বলেছেন:

"রানাপ্লাজা: শ্রেণী যুদ্ধের যে বদ্ধভূমির কথা ভুলে থাকাই আরামদায়ক"।


এটা কি "বধ্যভূমি " হবে???

পোস্টে +++++++

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০২

দিনমজুর বলেছেন: হ্যা 'বধ্যভূমি' হবে। ধন্যবাদ।

৩০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

ডি মুন বলেছেন: কিছু বলার মতো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।
অন্য দেশের কথা জানি না , তবে আমাদের দেশে এমনটাই হতে থাকবে।
শ্রমিকদের মানুষ বলে মনে করার মতো মানুষ খুব কমই আছে এ দেশে।

৩১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪২

আশিক হাসান বলেছেন: এই পোশাক শিল্পের সাথে জড়িত আমাদের দেশের আইন প্রনেতাদের এক বিরাট অংশ । তাই মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।

পোস্টের সাথে সহমত।

৩২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৬

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: হত্তার বাধ্রামি থেকে আল্লাহ আমাদের রেহাই দিন

৩৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩৩

মোমের মানুষ-২ বলেছেন: সবচেয়ে বেশি অবাক লাগছে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবীলে ১০০ কোটি টাকার উপরে জমা হয়েছে, অথচ এখান থেকে মাত্র ২২ কোটি টাকাই শ্রমিকরা পেয়েছে।
এভাবে অল্প অল্প না দিয়ে এক কালীন একবারেই দেওয়া হউক, যাতে করে টাকাটা কাজে লাগাতে পারে

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১৯

দিনমজুর বলেছেন: এরা অল্প অল্প করে ভিক্ষা দেবে কিন্তু ক্ষতিপূরণ দিবে না- কারণ ক্ষতিপূরণ দিলে শ্রমিকদের অধিকারের স্বীকৃতি দেয়া হয় আর ভিক্ষা দিলে দানের মহিমা অর্জন করা যায়।

৩৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:২০

রিফাত ২০১০ বলেছেন: সামুকে ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি স্টিকি করার জন্য ।

কতটা জঘন্য ও খারাপ হলে সরকার কুখ্যাত সোহেল রানাকে জামিন দেওয়ার কথা ভাবে। আবার সে জামিন সাতদিনের জন্য স্থগিত করা হয়। ধিক্কার জানাই ভারতীয় দালাল মুন্নিসাহা ও অন্যান্য তথ্যসন্ত্রাসীদের যারা সে সময় মৃত মানুষের অনুভূতি জানতে চাইলেও কিছুদিন পরে ঘাতক সোহেল রানার পক্ষ নিয়েছিলো।

রানাকে মদতদানকারী আওয়ামী মুরাদ জংকে কেন শাস্তি দেওয়া হয়নি। সাভার ট্রাজেডি একটি পরিকল্পিত গণহত্যা। এই গণহত্যার সাথে স্বয়ং শেখ হাসিনা জড়িত।

এই হাসিনাই তো বলেছিল শ্রমিকরা ফ্যাক্টরির ভেতরে সুই সুতা , সুচ ইত্যাদি চুরি করতে গেছিলো। শেখ হাসিনার কুখ্যাত মন্ত্রী মাল খোর আলমগির বলছিল ভবনের গেট ধরে নড়াচড়া করার কারণে রানা প্লাজা ধ্বসে পড়ছে।

এসব কথার জন্য শেখ হাসিনা , মখা , রেশমি নাটকের সাথে জড়িত ভারতীয় দালাল সাংবাদিক সহ সংশ্লিষ্ট সবার বিচার একদিন হবেই হবে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১৪

দিনমজুর বলেছেন: আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

৩৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৪:৩৪

আজাইরা পঁ্যাচাল বলেছেন: যখন নিজের দেশকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে যাই তখন মানুষ এইসব ব্যাপারগুলো তুলে নির্বাক করে দেয়। :(

৩৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:২৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পৃথিবীর বৃহত্তম ইন্ডাসট্রিয়াল একসিডেন্ট রাজাপ্লাজা ট্রাজিটিতে নিহতদের স্মরণ করছি।

রানা প্লাজা ধ্বংশের দায় আমি সবটা রানাকে দিবনা।
যারা অনুমোদন দিল, ৬ তালাকে ৯ তালা করার অনুমতি দিল।
রানা ভবনটি ভেংগে পড়ার আগেরদিন ২৩ তারিখে একটি পিলারে ক্রাক দেখা দিলে সবাইকে ভবন খালি করে UNO, OC ও উপজেলা পোর চেয়ারম্যান, পৌর প্রকৌশলিদের ডাকে। তারা চেক করে বলে, এটা জটিল এবং আমাদেরর আওতার বাইরে। বুয়েট ও রাজুকের এক্সপার্ট ছাড়া কোন সিদ্ধান্ত দেয়া যাচ্ছেনা। এরপর UNO বলে কাল বুয়েট থেকে টিম আসবে। এরপর সে তার দলবল নিয়ে চলে যায়, ভবনটি তালাবদ্ধ না করেই।

আমার মতে সবচেয়ে বেশী দায়ী যারা, তাদের তালিকা।

১। UNO সবচেয়ে বেশী দায়ী।

২। সাভার পৌরসভার প্রকৌশলি ও চেয়ারম্যান, পদাধিকার বলে ৬ কে ৯ তালা করার অনুমোদন ক্ষমতা তাদের। তারা ভবন ধ্বসের জন্য মুলত দায়ী

৩। গার্মেন্টস মালিকেরা ৬, ৭, ৮ ও ৯ তলার। যারা জেনেশুনে অর্থ লোভে সেদিন কারখানা চালু করেছিলেন।

৪। রানা অবস্যই দায়ী, কিন্তু কতটুকু?
রানা বরং আগের দিন দিন ভবন খালি করে পৌর টিম ও ইউএনও কে এনেছিলেন পিলার ফাটা ভবনটির একটা বিহিত করার চেষ্টায়, কিন্তু ইউএনও গুরুত্ব দেয়নি গার্মেন্টস মালিকেরাও শুনেনি।

পদাধিকার বলে UNO সবচেয়ে বেশী দায়ী, কারন সে জেনেশুনেও ভবন সিলগালা করেনি। তার ফাসি হওয়া উচিত ছিল!
Click This Link

৩৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:৩২

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: সন্মানিত লেখককে অনেক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি লেখার জন্য এবং সামুকে ধন্যবাদ লেখাটি প্রথম পাতায় আটকে রাখার জন্য।
সরকারের তরফ থেকে সামরিক বাহিনীকে যে ধরনের সুযোগ, সুবিধা ও সন্মান দেয়া হয় তার বিপরীতে খেটে খাওয়া শ্রমিকদের রাষ্ট্র যেভাবে অপমান করে, তা আপনার এই লেখায় পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে।
সামরিক বাহিনীর অংগ সংগঠন ইদানিং পুরোপুরি ব্যবসায় নেমে গেছে। যার কারনে আমার ন্যয় অনেকেরই প্রশ্ন; যার কারনে সামরিক বাহিনী গঠন করা হয় বা একটি দেশে প্রতিষ্ঠিত করা হয় অর্থাৎ যুদ্ধ করার জন্য, যুদ্ধ করে দেশ রক্ষা করার জন্য, পারবে কি সামরিক বাহিনী সেই গুরু দ্বায়িত্ব পালন করতে? ইদানিং ট্রাষ্ট ট্যক্সি ক্যব নামানো হয়েছে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১১

দিনমজুর বলেছেন: বাংলাদেশ আর্মি এখন স্রেফ একটা প্রথাগত সামরিক প্রতিষ্ঠান না, পাকিস্তান বা ইন্দোনেশিয়ান আর্মির মতো এইটা এখন একটা বৃহত মিলিটারি কর্পোরেশন। ফলে আর্মি কোন পরিস্থিতিতে কোন ধরণের আচরণ করছে এবং কেন করছে, এ বিষয়টা বুঝতে গেলে আর্মিকে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান বা বৃহত পুজির একটা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমলে নেয়া দরকার। ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।

৩৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:২০

মাসুম রুবেল বলেছেন: আল্লাহর কোরআন এবং রাসুল স, এর হাদিস এর ভাষ্যমতে যারা দুর্ঘটনায় নিহত হয় তারা শহীদি মর্যাদা লাভ করে, আল্লাহ - রানা প্লাজায় যারা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা গেছে তুমি তাদেরকে শাহাদাতের উচ্চ মর্যাদা দান কর, এবং তাদেরকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব কর। এবং তাদের পরিবার এর সকলকে ধৈর্য্য ধারণ করার মত ক্ষমতা দান কর।
আর যারা রানা প্লাজা ধ্বংসের মাধ্যমে বিভিন্ন দিক থেকে টাকার পাহাড় বানিয়েছে তাদেরকে তুমি এই শহীদদের শাহাদাতের মর্যাদার মধ্য দিয়ে হয় হেদায়াত দান কর না হয় তোমার বিশেষ আযাব দারা তাদের বিচার কর। কেননা এই টাকা তাদের নয় এটা গরীবের হক । আর যারা গরীবের হক খায় তারা যেন আগুন খায়।

৩৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:২৪

হিমালয় হিমু বলেছেন: মূল প্রতিচ্ছবি প্রতিফলিত.

৪০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৭

অচিন্ত্য বলেছেন: আপনার লেখার প্রথম অংশটি পড়ে খুব আপ্লুত হয়েছি। আপনার লেখা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আমি একটি গান করেছি। 'শ্রেণীযুদ্ধের বদ্ধভূমির কথা' কথাটি অত্যন্ত স্পর্শ করেছে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার গানটি সবার সাথে শেয়ার করলে খুব ভালো হয়।

৪১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩

ইখতামিন বলেছেন:
আপনার লেখাটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো.
এটি দূর্ঘটনা নয়, হত্যাকান্ড বলা যেতে পারে
এসব বন্ধ করা উচিত

৪২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩

রোহান খান বলেছেন: এর জন্য আলোচনা করে কি হবে। এর জন্য দায়ী আমি। পারলে আমাকে ফাসী দেন। কারন আমি ঘুস খেয়ে ৯ তলা করার পারমিশন দিয়েছি। কারন আমিই সেই ইন্জিনিয়ার, ফাটলের পরেও মাত্র ৫০০০০ টাকার জন্য ঐ বিল্ডিং নিরাপদ বলে ঘোষনা দিয়েছি। কারন আমিই সেই যে এত বড় ঘটনার পরেও বিল্ডিং এর মালিককে জেল খানায় এসিতে থাকার সুযোগ করে দিয়েছি। কারন আমিই সেই নেতা যার সুপারিশে মামলাটিকে অন্য খাতে নেয়া হবে। কারন আমিই সেই অফিসার যে ঘোষনা দিয়ে লাশ থাকা শর্তেও উদ্ধার কাজ বন্ধ করেছি। আমিই সেই মহাজন যে বছরের পর বছর ফায়ার সার্ভিসের জরুরী আধুনীক যন্ত্রপাতি কেনার পয়সা গুলো লুটে পুটে খেয়েছি। কারন আমিই সেই পিতা যে ঐ সন্তানকে জন্ম দিয়েছি ওদের ইটবালুর নিচে পিষে মরার জন্য। হ্যা আমি সেই বাংলাদেশি। এটাই আমার গর্ব। আমার রক্তের প্রতিটি সীরায় দুর্নিতী। আমি সে সন্তান যে জানতাম আজ আমার বাবা টাকা খেয়ে ঐ বিল্ডিং টিকে নিরাপদ ঘোষনা করে এসেছে, আমিই সেই ভাই যে এত বড় খুনীর ভাই হওয়া সর্তেও তাকে বাচানোর জন্য অন্যদের পিছনে ঘুরছি উৎকোচ দেবার জন্য।

৪৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯

ইভেন বলেছেন: দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার পড়ে আমাদের সবার নৈতিকয়তা একবারে ক্ষুদার্থ বাঘের মত জেগে ওঠে। যেকোন ব্যাপারে সরকারকে দোষী করা আমাদের নিয়ম হয়ে দারিয়েছে। কিন্তু আমরা যারা ভবন মালিক এদের এবং যারা সাধারণ জনগন বলে পরিচিত তাদের কি কোন করনিয় নেই? যতদিন না আমরা সবাই নিজেকে ভালোর পথে পরিচালিত না করতে পারব, আমার মনে হয় না ততদিন আমাদের কোন অবস্থার পরিবর্তন হবে।

৪৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এটি একটি গণহত্যাকান্ড ছিল। খুনিদের সাজা চাই।

৪৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৮

ড্যান্ডিলায়ন বলেছেন: রানা প্লাজার দুর্ঘটনার জন্য শুধু ভবনটির মালিক না, সাথে পোশাক রপ্তানীকারক সমিতি বিজিএমিএ, সরকারী নীতিনির্ধারক ও মনিটরিং বিভাগও সমান দায়ী।
যে মানুষগুলো সুখী জীবনের স্বপ্ন চোখে এঁকে গার্মেন্টসে কাজ করতে এসেছিল, একদিনের ব্যবধানে সব স্বপ্ন কাঁচের আয়নার মত ভেঙ্গে খানখান হয়ে গেছে। হাজার স্বপ্নকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে যারা, তাদের বিচার হওয়া অবশ্যই উচিত। কিন্তু, এদেশের বর্তমান ব্যবস্থায় রানা প্লাজার ভয়ংকর হত্যাকান্ডের বিচার আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ হয়। আইন তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে চলে। রানা প্লাজার দুর্ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের সঠিক ও ন্যায্য বিচার সম্পন্ন হলে এ দুর্ঘটনায় যাদের জীবন অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছে, তাদের জন্য কিছুটা হলেও সান্ত্বনা বয়ে নিয়ে আসবে।

সেই সাথে, দুর্ঘটোনার শিকার সকল পরিবারকে যথাযথ সহায়তা প্রদানের জন্য মহামান্য সরকারের প্রতি বিনীত অনুরোধ থাকবে। জানা গেছে, এ পর্যন্ত যে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে, তা চাহিদার ও প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল যদিও যথেষ্ট সহায়ক ফান্ড আছে। আশা করব, সরকার এ ব্যাপারে দৃষ্টি দেবেন।

৪৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪২

মনিরুজ্জামান স্বপন বলেছেন: ভাইরে, যাদেরকে হত্যা করা হইছে তারাতো আর মানুষ না!!!, শ্রমিক!!!
আর যারা মারছে তারা আমাদের সমাজের ভদ্রলোক, বড়লোক, মালীক!!! বিচার কেমনে হবে?

পোষ্টের জন্য লেখককে অ-নে-ক অ-নে-ক ধন্যবাদ।

নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

৪৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

ফা হিম বলেছেন: শ্রমিকদের ঝুকিপূর্ণ জীবন, দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে নাম মাত্র ক্ষতিপূরণ, অথচ এই শ্রমিকরাই দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রেখেছে, এই শ্রমিক না থাকলে দেশে পোষাক শিল্প এত ব্যাপক হারে গড়ে উঠত না।

আমরা কি আদৌ এইসব শ্রমিকদের মূল্য বুঝতে শিখব কোনদিন?

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২২

দিনমজুর বলেছেন: শ্রমিকদের মুল্য মালিক শ্রেণীর রাষ্ট্র দেবে না, যত দিন না শ্রমিকরা লড়াই করে তা আদায় করে নেয়।

৪৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪৪

মামুন রশিদ বলেছেন: কিচ্ছু বলার নাই ।

৪৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪৭

অতঃপর জাহিদ বলেছেন: যাদের সেলাই করা জীবন আমরা বয়ে বেড়ায় প্রতিদিন, তাদের আমরা বাঁচাতে পারি না এজীবন কতো লজ্জার।

৫০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩৮

ম েনা েন শ দাস বলেছেন: এমন দৃশ্য আর দেখতে চাই না ।

৫১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:০৬

দূরবীক্ষণ বলেছেন: প্রথম কয়েক লাইন পড়েই চোখে পানি আইসা গেছে। থাক আর পড়–মনা মালিকরা আরো মরোক।

৫২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:০০

বেনজির আহম্মেদ শাওন বলেছেন: :-(

৫৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:৩৫

দিশার বলেছেন: অসাধারণ বিস্লেসেন দিন মজুর ভাই. কবে জাগবে শ্রমিক !

৫৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩

অন্ধকারের পাতা বলেছেন: এ দেশে লাশ অনেক শস্তা /:)

৫৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০

আশা জাগানিয়া বলেছেন: শোষক শ্রেণির হত্যাকান্ডের সাক্ষী এই রানা প্লাজার ঘটনা।

৫৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৮

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: কিং অফ মাইনকা চিপা বলেছেন: জাতি হিসেবে আমরা প্রায়ই নিজেদের নিয়ে অনেক গর্ব করি, আমরা হেন করেছি, তেন করেছি। কিন্তু আমি মনে করি জাতি হিসেবে আমরা অনেক বেসি নিকৃষ্ট!!!
এমন একটা দেশে থাকি যেখানে অপহরন, গুম, হত্যা, ধর্ষণ, ট্রাজেডির কোন বিচার হয় না!!
এখানে মানুষের জীবনের কোন মূল্যই নেই।
আমদের আসলে লজ্জাই নেই, কারন আমরা ১০০কটি টাঁকা খরচ করে জাতীও সঙ্গিত গাই কিন্তু রানা প্লাজায় উদ্ধারের জন্য উদ্ধার সরঞ্জাম কেনার জন্য টিভিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে টাঁকা ভিক্ষা করা লাগে!!!

ধিক আমাদের!

৫৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৬

নেবুলাস বলেছেন: কি দরকার বারবার পুরানো ক্ষত তাজা করার ! বেশ ভালোইতো আছি। দিব্বি আরামে আছি। মেশিন চলছে, সুই সুতায় কাজ চলছে। কাপড় তৈরি হচ্ছে। পাজেরোতে চড়ছি। প্লাজমা টিভি কিনছি। নরম গদিতে শুয়ে রাত কাটাচ্ছি।
ওই সব ২ পয়সার! শ্রমিকদের নিয়ে কে ভাবতে যায়?
কে ভাবতে যায় আজ খুজে না পাওয়া শ্রমিকের লাশ নিয়ে? কে শুনতে যায় সন্তানহারা মায়ের আর্তনাদ? কেউ না। কেউ না। এভাবেই শ্রমিকরা তাদের জীবন দিয়ে যায়, রক্ত পানি করে যায়, তাদের হাড়ভাঙ্গা শ্রমে উন্নতির সোপন বেয়ে তড়তড় করে উঠে দেশ। সেই সাথে আমরা, যারা পুজিপতি তারা আরো সুখে থাকবো। আবারও একটা গাড়ি কিনবো। এবার পাজেরো নয়, হয়তো ফোর্ড।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬

দিনমজুর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন- "বেশ ভালোইতো আছি। দিব্বি আরামে আছি। মেশিন চলছে, সুই সুতায় কাজ চলছে। কাপড় তৈরি হচ্ছে। পাজেরোতে চড়ছি। প্লাজমা টিভি কিনছি। নরম গদিতে শুয়ে রাত কাটাচ্ছি।
ওই সব ২ পয়সার! শ্রমিকদের নিয়ে কে ভাবতে যায়? "

৫৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৩

বেনজির আহম্মেদ শাওন বলেছেন: :-x

৫৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫৬

কামরুল ফারুকি বলেছেন: কি এক দেশে যে আমরা বাস করছি।যেখানে মানবতার নেই কোন দাম।ধিক শত ধিক।

৬০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৪১

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: এ বোধয় সমগ্র পৃথিবীর জেগে ওঠা আর হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার একীভূত ইতিহাস ।

আগুণ জ্বলে হাড় পাথরে
ফুটপাতে কুকুর ঝিমায়
ঘেমে ওঠে শান্ত এসি
পায়ের তলে রক্ত পাপোস
ইরানি গালিচা
আর বোধয় একটি বিমান টিকেট ।

৬১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৭

চারশবিশ বলেছেন: সেদিন তো সাধারন জনগন ঝাঁপিয়ে পরেছিল উদ্ধার কাজে অংশ নিতে নিজের জীবনকে বিপন্ন করে

আমরা নিজেরা ঝগড়া, মারামারি করি কিন্তু কারও বড় বিপদ দেখলে সাহায্য করতে পিছপা হইনা

৬২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৯

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
রানা প্লাজা অথবা তাজরিন ফ্যাশনকে শুধুই দুর্ঘটনা আর অপমৃত্যু বলে শেষ করা যাবে না। গত কয়েক দশকে গার্মেন্টস শিল্পের মাধ্যমে শ্রমিকের অধিকার এবং শ্রমিক শোষণের একটি জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত হলো রানা প্লাজার গণহত্যা।

এই ঘটনায় যাদের নগ্নতা প্রকাশ পাচ্ছে, তারাই একে ভুলে থাকতে চায়।

৬৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২২

শরীফ েফরদৌস বলেছেন: পোষাক শিল্পকে এদেশে টিকিয়ে রাখতে হলে শ্রমিক মালিক দুরত্ব কমিয়ে আনা অতি প্রয়োজন। উপযুক্ত কাজের পরিবেশ যদি মালিকেরা তৈরি করত তাহলে হয়ত এরকম ট্রাজেডীর সম্মুখীন আমাদের কখনই হতে হতনা। আমরা কি এ থেকে শিক্ষা নেব না...................?

৬৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১৪

অতঃপর জাহিদ বলেছেন: তোমার হাতে সেলাই করা যে জীবন আমি বয়ে বেড়ায় প্রতিদিন, আমার সে জীবন বড় লজ্জার তোমাকে বাঁচাতে পারিনি। নিহত সকল পোশাক শিল্পীকে জানাই শ্রদ্ধা।

৬৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৫১

কামরুল হাসান েসাহাগ বলেছেন: দোয়া করছি ও রাজাপ্লাজা ট্রাজিটিতে নিহতদের স্মরণ করছি এবং তাদের রূহের মাগফেরাত কামনা করি। আল্লাহ যেন তাদের জান্নাত বাসি করেন।

৬৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৩

সাইদ সরকার বলেছেন: আসলে মর্মান্তিক খবর দেখতে দেখতে শুনতে শুনতে এখন আর এগুলি নতুন মনে হয় না।।

৬৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: শুধুই দীর্ঘশ্বাস :(

৬৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১৯

মেঘরোদ্দুর বলেছেন: এখনও বাতাসে ভেসে বেড়ায় লাশের গন্ধ.....

৬৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২৭

রিমঝিমবৃষ্টি বলেছেন: যতই বলিনা কেন যে শ্রেণীহীন সমাজ চাই, না এটা পসিবল না রিভোলিউশন যতক্ষন না আসবে। যতক্ষন না সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা না যাবে। নিম্ন শ্রেনীর উপরে উঠার প্রতি পদক্ষেপে প্রতিবন্ধকতা। দূর করতে হবে সব বাধা। তবেই হবে সুন্দর দেশ

৭০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:১৭

সুমন জেবা বলেছেন: বেশ ভালোইতো আছি। দিব্বি আরামে আছি। মেশিন চলছে, সুই সুতায় কাজ চলছে। কাপড় তৈরি হচ্ছে। পাজেরোতে চড়ছি। প্লাজমা টিভি কিনছি। নরম গদিতে শুয়ে রাত কাটাচ্ছি।
ওই সব ২ পয়সার! শ্রমিকদের নিয়ে কে ভাবতে যায়?
কে ভাবতে যায় আজ খুজে না পাওয়া শ্রমিকের লাশ নিয়ে? কে শুনতে যায় সন্তানহারা মায়ের আর্তনাদ? কেউ না। কেউ না। এভাবেই শ্রমিকরা তাদের জীবন দিয়ে যায়, রক্ত পানি করে যায়, তাদের হাড়ভাঙ্গা শ্রমে উন্নতির সোপন বেয়ে তড়তড় করে উঠে দেশ। সেই সাথে আমরা, যারা পুজিপতি তারা আরো সুখে থাকবো। আবারও একটা গাড়ি কিনবো। এবার পাজেরো নয়, হয়তো ফোর্ড।

৭১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৪৪

আ. আবেদ বলেছেন: গার্মেন্টস কর্মীর বেতন কম হতে পারে কিন্তু তারাও মানুষ। আজ এই মূল্যায়নটা করা হয় না।

৭২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: গার্মেন্টস মালিকদের নিয়ে উপরের কল্পিত দৃশ্যপট যতটা অবাস্তব, শ্রমিকদের ক্ষেত্রে ঠিক ততটাই বাস্তব।

৭৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১

আলোর পরী বলেছেন:

আমার অন্তরলীন অবচেতনে , শয়নে জাগরণে
চড় মেরে যায় থেঁতলানো কর্মঠ হাত গুলো ,

আমার নিঃশ্বাস নেওয়ার অক্সিজেন বাতাস থেকে কেড়ে নিচ্ছে
বয়লার চাপা পড়া নিঃশব্দ বুক ।

আমার পরিপুষ্ট পা অচল হয়ে আসে
নুপুর পড়া নিথর পায়ের লাথিতে ...

উহ আর যে পারি না ।
কানের পর্দা ফেটে যায় মৃত মায়ের নবজাতকের জন্ম চিৎকারে

হ্যাঁ আমি , আমিই সেই পুরনো পাপী
আমার উপর ভেঙ্গে পড়ুক আকাশের ছাঁদ আর পৃথিবীর দেয়াল ।

৭৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৫৯

সোজা কথা বলেছেন: রাষ্ট্রযন্ত্র বরাবরই যেন এসব ব্যাপারে নির্বিকার! ট্রেড ইউনিয়ন গুলো এখন কোথায়? শ্রম আইনের মাধ্যমে প্রাপ্ত ক্ষতিপূরন কই? জানি এরা কোন কিছুই পাবে না। কারণ তারা শ্রমিক, মানুষ নয়!

৭৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৬:০৭

ত্রিশোনকু বলেছেন: "সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের জন্য এককালীন ৫০ থেকে ৯০ লাখ টাকা, ১০ বছর পর্যন্ত মাসে মাসে ৪০ হাজার টাকা, পরিবারের আবাসনের ব্যাবস্থা, সন্তানদের শিক্ষার দ্বায়িত্ব, গোটা পরিবারের চিকিৎসার ব্যাবস্থা ইত্যাদি সরকারি ও বেসরকারি তরফ থেকে করা হয়েছে।"

গোটা পরিবারের চিকিৎসার ব্যাবস্থা কথাটা একটা বিশাল ব্লাফ। সেনাবাহিনীর অফিসারদের ও তাঁদের স্ত্রীদের আজীবন এবং সন্তানদের বেড়ে উঠা পর্যন্ত (২১ বছর) চিকিৎসা সুবিধা সেনাবাহিনীতে চাকরী করার জন্যেই পেয়ে থাকেন। বি ডি আর বিদ্রোহ এর জন্যে তাদের এ সুবিধা দেয়া হয়েছে বলে যে প্রচারনা তা গোয়েবলসিয়।

পরিবারের আবাসনের ব্যাবস্থার নাম করে বিরোধী দলীয় নেত্রীকে ঘর ছাড়া করেছিল বতর্মান সরকার। সেখানে বহুতলা বিশিষ্ট তিনটি ইমারত উঠেছে ঠিকই কিন্তু সেখানকার একটি ফ্ল্যাটও বিডি আর বিদ্রোহে নিহত পরিবারকে বরাদ্দ দেয়া হয়নি।

আরেকটি সরকারী মিথ্যাচার।

৭৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩

শ্রমন বলেছেন: রানা প্লাজার দূর্ঘটনা আচমকা একটা প্রলয় হয়ে যাবার মত কিছুই নয়, এটা পুজিবাদী ধনিক গোষ্ঠি ও ভোগবাদী সমাজের হাতে বৃহত্তর জনগোষ্ঠির চিরকাল শোষিত হয়ে যাবারই ধারাবাহিকতা! এই ঘটনাকে যতই ট্রাজেডিময় করে বর্ননা করুন না কেন এটি চিরিকাল পুজিবাদী বেনিয়ার স্বার্থে শোষিত হবার বিভিন্ন মাত্রায় ঘটে যাওয়া একটি দূর্ঘটনা মাত্র! এখানে ওকে একে দ্বায়ী করে লাভ নেই কারন তারা দ্বায়ী না হলে দ্বায়ী এই সমাজেরই আর কাউকে হতে হত! মনে রাখতে হবে, এই দ্বায়ী ব্যাক্তিরা মঙ্গল্গ্রহ থেকে আসেনি, তারা এই পচে যাওয়া বিবেক বর্জিত নিষ্ঠুর কর্পোরেট প্রভাবিত সমাজের অংশ!
এ ধরনের বহু ঘটনা, হয়তো তা রানা প্লাজার ধসের মতো এত বড় হয়ে ওঠেনি বা প্রচার পায় নি তা এই সমাজে অহরহ ঘটেই চলেছে, এখানে মানুষের শ্রম পন্য, মানুষের জীবন নিয়ন্তা হয়ে উঠেছে কর্পোরেট ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান গুলো! শোষক ও শোষিতের নিরন্তর দন্দেরই প্রকাশ এ রকম অজস্র ঘটনাতে প্রতিক্ষন ঘটে চলেছে, কোনটা প্রকাশ্যে, কোনটা সাধারন লোকচক্ষুর অন্তরালে! এই সমাজ বা এই রাজনীতির কাছে থেকে এর বেসী রেস্পন্স আশা করা বাতুলতা, কারন শ্রেনী চরিত্র অনুযায়ীই এদেশীয় ক্ষমতাধরেরা আন্তর্জাতিক কর্পোরেট বুর্জোয়াদের পদলেহন করবে, সেটিই স্বাভাবিক, ছাগল দিয়ে যেমন হাল চাষ হয় না, এ সমাজ ও রাষ্ট্রের কাছে এই ধরনের ঘটনায় এর বেশী কিছু প্রত্যাশা বোকামী!
এর জন্যে চাই নতুন জন কল্যান মুখী নতুন সমাজ, নতুন রাস্ট্র বাবস্থা আর তা একদিন নিশ্চয়ই আসবে এই দেশে, হয়তো কুসুমাস্তীর্ন পথে নয়, কিন্তু আসবেই! আসুন সেই দিনের আগ মনকে ত্বরান্বিত করার জন্যে যে কাজ করার তাতে ঝাপিয়ে পড়ি যার যার জায়গা থেকে! মোটাআ দাগেই লিখ লাম কথাটা, যার যার মত অনূগ্রহ করে বুঝে নেবেন!আর রানা প্লাজার মতো আর ও অনেক ঘটনাই ঘটতে পারে, তাতে আবেগ বিহবল না হয়ে এই সব ঘটনার সৃষ্টির উৎসে যাতে সক্ষম প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায় আসুন সেই চেষ্টা শুরু করি!

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২০

দিনমজুর বলেছেন: ভালো বলেছেন। আপনার সাথে একমত। ধন্যবাদ।

৭৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:০১

দিনমজুর বলেছেন: পোষ্ট স্টিকি করার জন্য সামুকে এবং মতামত ও সহমর্মিতা প্রকাশের জন্য ব্লগার বন্ধুদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। জরুরী কাজে নেট সংযোগের মোটামুটি বাইরে থাকায় সময় মতো রেসপন্স না করার জন্য দু:খিত।

৭৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪

রিফাত ২০১০ বলেছেন: আপনাকেউ ধন্যবাদ । পোস্টের জন্য ও মন্তব্যের জবাব দেওয়ার জন্য।
আরো আগুন পোস্ট চাই।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:২০

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

কুশল রাজ রায় বলেছেন: " জীবন ‘মূল্যহীন’, ‘তেমন কিছু না’!
২. রানা প্লাজা ধ্বসের ১৭ দিন পর ধ্বংসস্তুপ
থেকে উদ্ধার হয়েছিলো আটকে পরা শ্রমিক
রেশমা। ১৭ দিন ধরে রেশমার এই বেচে থাকার
লড়াই ও উদ্ধার যেমন ভীষণ
আনন্দজাগানিয়া তেমন ভীষণ আফসোসেরও
ব্যাপার ছিল। আফসোস ভীষণ, কারণ, আরো অসংখ্য
রেশমা ভবনের পেছন দিকটা থেকে জীবিত
উদ্ধার হতে পারতো যদি, পেছন
দিকটাতে সরকারি বাহিনী সময় মতো উদ্ধার
তৎপরতা চালাতো। " আপনার এই কথার সাথে আমিও একমত, রেশমার মতো অনেকেই বাঁচতে পারত, এর দায়ী প্রশাসনের উপরই বর্তায়।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩

দিনমজুর বলেছেন: এই বিষয়টা নিয়ে শাসকদের টনক নড়েনি। ফলে নিশ্চিত ভাবেই এই রকম ঘটনা যদি আবারও ঘটে তাহলে আবারও শ্রমিকদের কপালে অবহেলাই জুটবে।

৮০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: শিরোনামের বানানটা বোধহয় , "বধ্যভূমি" হবে।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৬

দিনমজুর বলেছেন: ধন্যবাদ। সংশোধন করা হলো।

৮১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪

মোঃ নুরুল আমিন বলেছেন: 'খুব যত্নের সাথে একটা একটা করে হাড় ব্যাগে ভরছিলেন এক বৃদ্ধা। তার চোখে জল। পুলিশ তাড়া দিচ্ছে। তাদের ডিউটি আছে। কোন এক জজ সাহেবকে নাকি এসকোর্ট করতে হবে। একটু পর পর ফোন আসছে। একটা একটা করে হাড় গুনে গুনে সিজার লিস্ট বা জব্দ তালিকা তৈরী করার সময় নাই। কিন্তু বৃদ্ধার কোন তাড়া নেই, তিনি ধীরে ধীরে গুনে গুনে হাড়গুলো ব্যাগে ভরছেন। হয়তো এই হাড়গুলো তার মেয়ে নূরজাহানের।'

কি নির্মম! এতেও রক্ত চোষকদের মন এতটুকু কাঁপেনা........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.