নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুখ ফেরানো মুখ

দীপঙ্কর বেরা

আমি ভাষা বাংলা ভালোবাসি

দীপঙ্কর বেরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আকাশের দীর্ঘশ্বাস

২৬ শে মে, ২০১৭ সকাল ৮:২১

(অণুগল্প)
রোজকার মত আজও বিকেলে পার্কের বেঞ্চটিতে আড্ডা জমেছে পাঁচ বন্ধুর।প্রত্যেকেই কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়েছেন। বিকেলে নাতি বা নাতনির হাত ধরে পার্কে আসা। তারা যখন বিভিন্ন খেলায় মেতে ওঠে,দাদুদেরও আড্ডাটা জমে ওঠে। সাংসারিক, রাজনৈতিক, আর্থিক সব রকম আলোচনাই চলে এখানে।কিন্তু আজ প্রণববাবু যেন বড্ড বেশি চুপচাপ। বিমলবাবু আর থাকতে না পেরে জিজ্ঞাসাই করে বসলেন। উত্তরে দীর্ঘশ্বাস ফেলে উত্তর প্রণববাবুর,"না বন্ধু,বাড়িতে খুব অশান্তি চলছে। ছেলে আর বৌয়ের চাপে বাড়িটা বোধহয় প্রোমোটারের হাতে তুলে দিতেই হবে।"
শুনেই বিমলবাবু কপাল চাপড়ালেন – আমি তো আগেই কুপোকাত ভায়া। কিছু করার নেই। একটা বড় চক্র কাজ করছে। তোমার ছেলে আর বৌও হয়তো হয়তো সেই প্যাঁচে পড়েছে।
কথাটা শুনেই বেশি বয়স্ক নিতুবাবু মাথা নাড়লেন – এ দিকটা ভাবা দরকার। শুধু ছেলে বৌয়ের চাপ প্রমোটার কিভাবে চাপাচ্ছে তাও দেখা দরকার। না হলে গনেশ উল্টে ছেলে বউও না প্যাঁচে পড়ে যায়।
হঠাৎ বিমলবাবুর নাতি এসে বলল – দেখো না দাদু, আমরা খেলছি আর একটা লোক এসে বলল যা ওদিকে এখানে বালি পড়বে।
মতিলাল পণ্ডিত মানুষ। নিরীহ। বললেন – ওই দেখুন, পাশে ফ্ল্যাট হচ্ছে তার জিনিসপত্র। কে কাকে বলবে? চলো হে সন্ধ্যে হয়ে এল।
আর কিছু না বলে প্রণববাবু একা লাঠি ঠুকে বাড়ি ফিরলেন। বৌমা চা বাড়িয়ে দিল। তিনজনের সংসার। গম্ভীর অবস্থান একটু সহজ করার জন্য প্রণববাবু বললেন – বিমলের নাতিটা খুব দুষ্টু। আমাদেরকে সারাটা সময় মাতিয়ে রাখে।
ছেলে হঠাৎ সুর চড়িয়ে দিল – সময়ের সঙ্গে তাল মেলাও বাবা। আমরা তোমার শত্রু নই। কিন্তু আমাদের চাহিদা বুঝলে এত না না করতে না।
প্রণববাবুর বুকটা খালি খালি মনে হল। হয়তো ছেলেটার মনেও তেমন কিছু। এ তারই প্রকাশ। রাতে বৌমার অসহায় কান্না ভেজা গলা পেলেন – অন্তত এটুকু সুখ থেকে আমরাও বা কেন বঞ্চিত হব। টাকা পয়সা আয়েশ।
প্রণববাবু রাতের আকাশের দিকে তাকালেন। কাছেই একটা ফ্ল্যাটের দশতলায় তখনও আলো জ্বলছে। হয়তো কোন শিশু খেলছে আপন খেলা। এ বাড়ি ফ্ল্যাট হলে, এমন হবে কি? দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন প্রণববাবু।

রোজকার মত আজও বিকেলে পার্কের বেঞ্চটিতে আড্ডা জমেছে পাঁচ বন্ধুর।প্রত্যেকেই কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়েছেন। বিকেলে নাতি বা নাতনির হাত ধরে পার্কে আসা। তারা যখন বিভিন্ন খেলায় মেতে ওঠে,দাদুদেরও আড্ডাটা জমে ওঠে। সাংসারিক, রাজনৈতিক, আর্থিক সব রকম আলোচনাই চলে এখানে।কিন্তু আজ প্রণববাবু যেন বড্ড বেশি চুপচাপ। বিমলবাবু আর থাকতে না পেরে জিজ্ঞাসাই করে বসলেন। উত্তরে দীর্ঘশ্বাস ফেলে উত্তর প্রণববাবুর,"না বন্ধু,বাড়িতে খুব অশান্তি চলছে। ছেলে আর বৌয়ের চাপে বাড়িটা বোধহয় প্রোমোটারের হাতে তুলে দিতেই হবে।"
শুনেই বিমলবাবু কপাল চাপড়ালেন – আমি তো আগেই কুপোকাত ভায়া। কিছু করার নেই। একটা বড় চক্র কাজ করছে। তোমার ছেলে আর বৌও হয়তো হয়তো সেই প্যাঁচে পড়েছে।
কথাটা শুনেই বেশি বয়স্ক নিতুবাবু মাথা নাড়লেন – এ দিকটা ভাবা দরকার। শুধু ছেলে বৌয়ের চাপ প্রমোটার কিভাবে চাপাচ্ছে তাও দেখা দরকার। না হলে গনেশ উল্টে ছেলে বউও না প্যাঁচে পড়ে যায়।
হঠাৎ বিমলবাবুর নাতি এসে বলল – দেখো না দাদু, আমরা খেলছি আর একটা লোক এসে বলল যা ওদিকে এখানে বালি পড়বে।
মতিলাল পণ্ডিত মানুষ। নিরীহ। বললেন – ওই দেখুন, পাশে ফ্ল্যাট হচ্ছে তার জিনিসপত্র। কে কাকে বলবে? চলো হে সন্ধ্যে হয়ে এল।
আর কিছু না বলে প্রণববাবু একা লাঠি ঠুকে বাড়ি ফিরলেন। বৌমা চা বাড়িয়ে দিল। তিনজনের সংসার। গম্ভীর অবস্থান একটু সহজ করার জন্য প্রণববাবু বললেন – বিমলের নাতিটা খুব দুষ্টু। আমাদেরকে সারাটা সময় মাতিয়ে রাখে।
ছেলে হঠাৎ সুর চড়িয়ে দিল – সময়ের সঙ্গে তাল মেলাও বাবা। আমরা তোমার শত্রু নই। কিন্তু আমাদের চাহিদা বুঝলে এত না না করতে না।
প্রণববাবুর বুকটা খালি খালি মনে হল। হয়তো ছেলেটার মনেও তেমন কিছু। এ তারই প্রকাশ। রাতে বৌমার অসহায় কান্না ভেজা গলা পেলেন – অন্তত এটুকু সুখ থেকে আমরাও বা কেন বঞ্চিত হব। টাকা পয়সা আয়েশ।
প্রণববাবু রাতের আকাশের দিকে তাকালেন। কাছেই একটা ফ্ল্যাটের দশতলায় তখনও আলো জ্বলছে। হয়তো কোন শিশু খেলছে আপন খেলা। এ বাড়ি ফ্ল্যাট হলে, এমন হবে কি? দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন প্রণববাবু।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭

দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: লেখাটি যদি কেউ দেখতেই না পেল তো পোষ্ট করে লি লাভ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.